বেশ কিছুকাল হলো সিসিবিতে আসি, ঘুরি, পড়ি…তারপর ভেগে যাই। লেখা আর কীবোর্ড দিয়া বেরই হয় না। তাই বাধ্য হয়েই এবার রবিন ভাই স্বীকৃত ডজিং ছবি ব্লগ। (পিরাদা, পিডায়েন না :party: )
১)এখানে ঘুঘুর ডাকে অপরাহ্নে শান্তি আসে মানুষের মনে;
এখানে সবুজ শাখা আঁকাবাঁকা হলুদ পাখিরে রাখে ঢেকে;
জামের আড়ালে সেই বউকথাকওটিরে যদি ফেল দেখে
একবার — একবার দু’পহর অপরাহ্নে যদি এই ঘুঘুর গুঞ্জনে
ধরা দাও — তাহলে অনন্তকাল থাকিতে যে হবে এই বনে………
(এখানে ঘুঘুর ডাকে অপরাহ্নে- জীবনানন্দ দাশ)
(নিচের ছবির পাখিটা অবশ্য ঘুঘু কিংবা বউ কথা কও না।)
২) বিলাইয়ের ঘুম দেখলে আমার ব্যাপক হিংসে হয়। কেমন নিশ্চিন্ত, নিরুপদ্রব, আদর মাখা ঘুম!
৩) `ওগো পায়ে চলার পথ, অনেক কালের অনেক কথাকে তোমার ধূলিবন্ধনে বেঁধে নীরব করে রেখো না। আমি তোমার ধুলোয় কান পেতে আছি, আমাকে কানে কানে বলো।’
পথ নিশীথের কালো পর্দার তর্জনী বাড়িয়ে চুপ ক’রে থাকে।
`ওগো পায়ে চলার পথ, এত পথিকের এত ভাবনা, এত ইচ্ছা, সে-সব গেল কোথায়!’
বোবা পথ কথা কয় না। কেবল সূর্যোদয়ের দিক থেকে সূর্যাস্ত অবধি ইশারা মেলে রাখে।
`ওগো পায়ে চলার পথ, তোমার বুকের উপর যেসমস্ত চরণপাত একদিন পুষ্পবৃষ্টির মতো পড়েছিল আজ তারা কি কোথাও নেই?’
পথ কি নিজের শেষকে জানে, যেখানে লুপ্ত ফুল আর স্তব্ধ গান পৌঁছল, যেখানে তারার আলোয় অনির্বাণ বেদনার দেয়ালি-উত্সব।
(পায়ে চলার পথ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
৪) এই একলা ঘর আমার দেশ,
আমার একলা থাকার অভ্যেস। (ফসিল)
৫) রাতের শহরের প্রতি ভালো লাগাটা বেশ পুরনো। দিনের চিরচেনা পথঘাট কেমন যেন একটা আলো আঁধারীর জালে আটকে পড়ে; কখনো চেনা পথও অচেনা হয়ে যায়।
৬) শেষ বিকেলের একলা বেঞ্চি … শীতের শেষটা বলে হয়তো খালিই পড়ে ছিল।
৭) এইটার কোন ক্যাপশন পাইনি 😐
৮) শেষটা আবারো জীবনানন্দের হাত ধরেই হোক।
আমি যদি হতাম বনহংস;
বনহংসী হতে যদি তুমি;
কোনো এক দিগন্তের জলসিঁড়ি নদীর ধারে
ধানক্ষেতের কাছে
ছিপছিপে শরের ভিতর
এক নিরালা নীড়ে;
তাহলে আজ এই ফাল্পুনের রাতে
ঝাউয়ের শাখার পেছনে চাঁদ উঠতে দেখে
আমরা নিম্নভূমির জলের গন্ধ ছেড়ে
আকাশের রুপালি শস্যের ভিতর গা ভাসিয়ে দিতাম-
তোমার পাখনায় আমার পালক, আমার পাখনায় তোমার রক্তের স্পন্দন-
নীল আকাশে খইক্ষেতের সোনালি ফুলের মতো অজস্র তারা,
শিরীষ বনের সবুজ রোমশ নীড়ে
সোনার ডিমের মতো
ফাল্গুনের চাঁদ।
হয়তো গুলির শব্দঃ
আমাদের তির্যক গতিস্রোত,
আমাদের পাখায় পিস্টনের উল্লাস,
আমাদের কন্ঠে উত্তর হাওয়ার গান!
হয়তো গুলির শব্দ আবারঃ
আমাদের স্তব্ধতা,
আমাদের শান্তি।
আজকের জীবনের এই টুকরো টুকরো মৃত্যু আর থাকত না:
থাকত না আজকের জীবনের টুকরো টুকরো সাধের ব্যর্থতা ও অন্ধকার;
আমি যদি বনহংস হতাম,
বনহংসী হতে যদি তুমি;
কোনো এক দিগন্তের জলসিড়ি নদীর ধারে
ধানক্ষেতের কাছে।
(আমি যদি হতাম- জীবনানন্দ দাশ)
চক্ষু-পীড়াজনিত যে কোন সমস্যার জন্য বিশাল একখান স্যরি। পরের বার না হয় বালিকাদের ছবি দিয়ে দেব 😀
শেষের কবিতাটার জন্য বড় কইরা প্লাস।
ফটুক গুলো ভালো হইছে যদিও ফটোগ্রফির ফ ও বুঝি না। ক্যাপশংুলোর জন্যই খুব ভালো পাইলাম।
ফটুগ্রাফির আমি নিজেও কিছু বুঝি না ;))
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ছবি আর কবিতা(ক্যাপশন) দুইটাইতো অস্থির...!!
তুইতো মাল্টি প্রতিভা রে... 😛 😛 (সম্পাদিত)
থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু। দোকানে আসিস, তোরে মোগলাই আর চা খাওয়ামুনে। 😉
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
সিরাম হইছে! ফাটাফাটি পুররা! পাপ্পারাজি করা ছবিগুলি কই? :shy:
আমার বন্ধুয়া বিহনে
লাভ-ভী ভাই, লং টাইম নো সি 😛
ছি! আমি আবার পাপ্পারাজি করি নাকী!!! :grr:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
দেখা হবে। সময় মতো ঠিক ঠিক জায়গায় থাকিস। ফোন ডেড হয়ে আছে কিন্তু। মিস হলে গতবারের পূনরাবৃত্তি হবে - খুউপ খিয়াল কইরা।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
আইসা পড়বো টেনশন নাইক্যা বস।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
:clap:
রকিব,
ক্যাপশন - আবহ কবিতা এবং ছবিগুলো ভাল লাগলো।
ডজিং ব্লগ এমন হলেও চলবে -
রকিব চা - সত্যি সতেজ করে।
🙂
সৈয়দ সাফী
আপনারে বড় এক কাপ দিছিলাম তো ঐ পোষ্টে।
ধন্যপাতা ভাইয়া। 😀
পরীক্ষা শেষ হচ্ছে কবে?
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
প্রথম কবিতাটার জন্য বড় কইরা প্লাস।
ফটুক গুলো ভালো হইছে যদিও ফটোগ্রফির ফ ও বুঝি না। ক্যাপশংুলোর জন্যই খুব ভালো পাইলাম। :clap: :clap:
থ্যাঙ্কু লুমজান সাহেব।
আইজকে বেশি কারিগরী করে কমেন্ট দিছোস 😛
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
কপি পেস্ট :thumbdown:
কপি পেষ্ট 😮
না তো, আজকে তো করিনাই 🙂
ওরে রকিব্বারে...... তোর এত প্রতিভা !!! আগে বুঝি নাই 😕
আয় চা খায়া যা :teacup:
দাদা, কত্তদিন পর। কেমন চলছে? কোন আপডেট বাইকের? 🙁
বস চা খামু না, এট্টু বিরানী আর বোরহানী হইলে জমতো। B-)
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
সাবাশ রকিব,ফটোগ্রাফির যা কিছু শিখিয়েছিলাম,সবই মনে রেখেছ দেখছি...
চালিয়ে যাও(হেলমেট পরে নিও)
ধন্যবাদ দিয়া আপনাকে ছোট করবো না গুরু। আপনি যদি ওভাবে হাতে কলমে না শেখাতেন তাহলে এতটা আসতে পারতাম না ভাইয়া। :grr:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
না না, কি দরকার ছিল ওইসব বলার!! আমি আসলে নিজ দায়িত্ব মনে করিয়া তোমাকে শিখিয়েছিলুম।ধন্যবাদ বা কোনো কিছু পাইবার আশায় নহে
কি ক্যামেরায় তোলা? ফেসবুকে দেখেছিলাম ছবিগুলা, ভালো লেগেছিলো তখনই, এখন লেখার সাথে ছবিগুলা দেখে আরো ভালো লাগলো...
রাতের টরেন্টোর ছবিটা খুব সুন্দর। টরেন্টোর উচু উচু অ্যাপারটমেন্টগুলো থেকে রাতের শহর দেখতে এতো ভালো লাগতো...
সবগুলো ছবিই Canon 450D তে তোলা; কেবল শেষেরটা Nikon D50 তে। রাতের ঐ ছবিটা তুলতে গিয়ে ভালো ভেজালে পড়ছিলাম। সে আরেক ইতিহাস। আরেকটু হলেই আমার ক্যাম্রাসুদ্ধু পুলিশ ধরতো।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
প্রিয়কবির প্রিয় কবিতা,
সাথে দারুণ সব ছবি।
খুব ভালো লাগলো রকিব।
তোমার ছবি তোলার হাত আর ছবি খোঁজার চোখ দুই-ই খুব ভালো।
ধন্যবাদ নূপুরদা। কবিতাগুলো আমার নিজের বেশ প্রিয়, সুযোগ পেলেই লোকজনরে শুনায়ে ফেলি :grr:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
যাক, ফটোব্লগ শিখাইতে পারছি।
সেলোগ্রাফী দেন একখান, পিরাদা।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
পোলাডা এত কাম একলগে করে কেমনে ? B-)
সিরাম ছবি । কিছুই পারলামনা এই জীবনে 🙁
ছুডো ভাই , :hatsoff:
আমার কি সমস্ত কিছুই হলো ভুল
ভুল কথা, ভুল সম্মোধন
ভুল পথ, ভুল বাড়ি, ভুল ঘোরাফেরা
সারাটা জীবন ভুল চিঠি লেখা হলো শুধু,
ভুল দরজায় হলো ব্যর্থ করাঘাত
আমার কেবল হলো সমস্ত জীবন শুধু ভুল বই পড়া ।
ফটুগ্রাফারের কাছে থেকে প্রশংসা পাইলাম :goragori:
আপনাদের ছবিগুলো দেখেই কিন্তু ইন্সপায়ার হই। :boss:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ওকি অসাধারন!
:shy: :shy: শরম পাইলাম।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
উরে নারে...অনেক সুন্দর হইসে...অনেক অনেক অনেক।
:shy: বিগলিত হইয়া গেলাম বোমাপ্পু :shy:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
উরে নারে…অনেক সুন্দর হইসে…অনেক অনেক অনেক।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
দাদা, কেমন আছেন যে?? শুনলাম বৌদিসহ নাকী ঘুরতে কাঞ্চনঝঙ্ঘা চলেছেন?
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
🙂 🙂 🙂 🙂
ছবি তো নয় যেন এক একটি কবিতা, রকিব!
অশেষ মুগ্ধতায় তোমার ছবি ব্লগ দেখলাম! চোখ আর মন দুটোই যে জুড়িয়েছে সন্দেহ নেই। আমার এখন ছবি ব্লগ লিখতে মন চাইছে, জানো!