তাড়াহুড়া করে যখন বাস স্টপেজে এসে দাঁড়ালাম, ঘড়িতে তখন বাজে বেলা ৩টা। সাড়ে চারটার মধ্যে লবিতে থাকতে বলেছেন মঈন ভাই। কপাল ভালো এক্সপ্রেস বাস পেয়ে গেলাম। সিটে বসে একটু হাঁফ ছেড়ে গত দুদিনের কথা ভাবতে শুরু করলাম। কানাডা এসে কেমন যেন একটা বিচ্ছিন্ন জীবন যাপন চলছে। এরই মাঝে সিসিবিয়ানদের গেট-টুগেদারের ছবিগুলো যেন কাঁটা ঘায়ে আয়োডিন যুক্ত মোল্লা লবণের ছিটা দিয়ে যেত। শেষ পর্যন্ত আমিও এমন একটা গেট-টুগেদারে অংশ নিতে যাচ্ছি। আসলে কেন যেন পুরো ব্যাপারটা আমার কাছে কেবল গেট-টুগেদার নয়, আরো বড়, বিস্তৃত অর্থ বহন করছিল। রাব্বি ভাই, নাসিম ভাই আর মঈন ভাইকে যেভাবে গত ক’দিন জ্বালিয়েছি; শুধু ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে তাদের হয়তো ছোট করা হয়ে যাবে, সে ধৃষ্টতা তাই আর দেখাচ্ছি না।
আগেরদিন বিকেলে এহসান ভাইয়ের সাথে দেখা; সময়ের অভাবে যেতে পারছেন না বলে দুঃখ প্রকাশ করলেন; চাও খাওয়ালেন। যা হোক, যাবার আগে গেলাম রবিন ভাইয়ের (এসসিসি)| পেট পুরে নাস্তা করে,অবশেষে রাত ৮:৩০ নাগাদ যাত্রা হলো শুরু। মাঝখানে অবশ্য কথা ছিল, পথিমধ্যে মেলিতা ভাবীকে তুলে নেবার (অপহরণ না কিন্তু) উনার ভার্সিটি থেকে। কিন্তু রান্না করে খাওয়াতে হবে- এই ভয় দেখানোয় উনি একদিন আগেই পালিয়েছেন অটোয়ায়। তাই আপাতত সব মিলিয়ে চারজন- আমি, সোহেল ভাইল (এসসিসি), মঈন ভাই এবং আসিফ ভাই (পিসিসি)| শুক্রবার রাত হওয়ায় হাইওয়েতে গাড়ি বেশ কম, শুরু হলো ভ্রাম্যমান আড্ডা। আসিফ ভাই আর সোহেল ভাই পুরোটা জমিয়ে সমিয়ে রেখেছিলেন। রাস্তায় হঠাৎ কোথা থেকে একখান গাড়ি এসে পাল্লা দিতে শুরু করলো আমাদের সাথে। মিনিট খানেক পর, আসিফ ভাই গাড়ির কাঁচ নামিয়ে জিটিএ গেমের মতো আঙ্গুল উঁচিয়ে ঠা ঠা শব্দে কাল্পনিক গুলি ছুড়তেই পাশের গাড়ি দিলো ঝেড়ে টান।
অবশেষে রাত ১:৩০ নাগাদ পৌঁছালাম রাব্বী ভাইয়ের বাসায়। ভাইয়া সারাদিন ক্লাস করে এসে রাত জেগে অপেক্ষা করছিলেন আমাদের জন্য। মাঝপথে বেশ ক’বার ফোন দিয়ে জেনে নিয়েছিলেন আমাদের অবস্থান। বাসায় পৌঁছেই শুরু হলো আড্ডার দ্বিতীয় দফা; সশব্দে, আরো জোরেসোরে। আশেপাশে অন্য কেউ থাকলে হয়তো সময়টা কী দিন নাকী রাত, তা নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়তো।

সিসিবি টহল- আর সেই সাথে আড্ডা
মাঝে মাঝে চললো সিসিবিতে আপডেট। রাত তিনটের দিকে মাথায় ভূত চাপলো- রাতের নগরী দেখতে যাবো। গায়ে জ্যাকেটটা চড়িয়ে আবারো গাড়িতে চেপে বসলাম; প্রথম গন্তব্য- কার্লটন বিশ্ববিদ্যালয়, রাব্বী ভাইয়ের এলাকা। অন্ধকারে তেমন কিছু না বুঝলেও বুঝলাম ক্যাডেটরা পারেও বটে। ফটোসেশন চললো খানিকক্ষণ।

কার্লটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে
এরপর দৌঁড় দিলাম সংসদ ভবনের দিকে; গিয়ে দেখি ঢোকার গেট বন্ধ। মাঝরাতে আমাদের উদ্দেশ্যবিহীন ঘোরাঘুরি দেখে একটা পুলিশের গাড়ি (মতান্তরে, আরসিএমপি= রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ) পিঁছু নিলো। বাধ্য হয়ে পিঁছু-ছাড়া করতে হাইওয়েতে উঠে এলাম; কিন্তু কপাল এমনই খারাপ জিপিএস এর সিগনাল গেলো বন্ধ হয়ে। একটু পর দেখি ক্যুইবেক প্রভিন্সের গ্যাটিনিউ চলে এসেছি। পুরা শহরে দেখি গিরিঙ্গিমার্কা অবস্থা- কোথাও ইংরেজি সাইন বা লেখা নেই, সব কিছু ফ্রেঞ্চে। যা হোক রাতটা বেশ গোলমাল করে বাসায় এসে দিলাম ছোট্ট একটা ঘুম, কালকের জন্য শক্তি সংরক্ষণ করতে হবে।
মূল-পর্ব (গেট-টুগেদার)

সম্মেলনে যাবার জন্য প্রস্তুত
বেলা ১২ টা নাগাদ গিয়ে হাজির হলাম ভেন্যুতে, সিতার রেস্টুরেন্ট। আমরাই সবার আগে পৌঁছে গিয়েছিলাম; আমরা মানে রাব্বি ভাই গ্যাং এবং মামুন ভাই-মেলিতা ভাবি। মামুন ভাইকে দেখেই ফট করে আমি বলে বসলাম- যুবরাজ সিং; আসিফ ভাই ঝাড়ি দিয়ে থামাইলো আমাকে। একটু পরই একে একে হাজির হলেন হ্যান্ডসাম নাসিম ভাই (সকক), এবং প্রায় একই সময়ে গিয়াস ভাই(ফকক)। টুকটাক গল্প শুরু হতে না হতেই দেখা মিললো চির-সবুজ সামি রিয়াজ ভাইয়ের (এফসিসি, ৭৫-৮১); আরো এলেন; সারোয়ার ভাই (আরসিসি); লেট পার্টির মধ্যে ছিলেন উচ্ছ্বাস ভাই (সালেহীন ভাই, ফকক), কামরুজ্জামান ভাই(ককর) এবং আসিফ ভাই (বকক); কামরুজামান ভাইকে সেদিনও অফিসের কাজে আটকা পড়তে হয়েছিলো; তবুও এরই মধ্যে উনি সময় বের করে চলে এসেছিলেন। আর মন্ট্রিয়ল থেকে প্রফেসরদের সাথে মিটিং সেরে অনেকটা পথ গাড়ি চালিয়ে হাজির হয়েছিলেন আসিফ ভাই।

আড্ড হলো শুরু
তুমুল আড্ডা শুরু হলো; রিয়াজ ভাই আমাকে পাকড়ালেন ক্যাডেট কলেজের বর্তমান অবস্থা সম্বন্ধে জানতে। সারমর্মে, বদলে যাওয়া অনেক কিছুর পাশাপাশি চিরায়ত কিছু ট্রেডিশনের টিকে থাকার কথা জানালাম। এরই মাঝে শুরু হলো খাওয়া দাওয়া; বাফেট- তাই যত খুশি তত খাবার সুযোগ পেয়ে কেবলই একজনের কথা মনে পড়ছিলো; বলুন দেখি কে?? প্রায় দু’দফায় খাওয়া দাওয়া চললো। এরই মাঝে জানা গেলো সিসিবির বেশ কিছু নীরব পাঠকের কথা, আশা করি শীঘ্রি তাঁরা সরব হবেন। ;;) রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ; কারণ বেলা ২-৫ টা পর্যন্ত বন্ধ থাকা সত্ত্বেও তারা আমাদের সেখানে বসে আড্ডা দেবার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। নাসিম ভাই আর রিয়াজ ভাই মিলে খানিকক্ষণ গিয়াস ভাইকে খোঁচালেন।


আড্ডাবাজির এক পর্যায়ে এবারে একটু সিরিয়াস আলোচনাও চললো। আসলে গেট-টুগেদারের পেছনে দেখা- সাক্ষাত ছাড়াও আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য ছিলো। সিসিবির ডাটাবেইজের ব্যাপারে বেশ জোরেসোরেই আলোচনা চলছে অনেকদিন আগে থেকেই; কাজও মোটামুটি ভাবে শুরু হতে যাচ্ছে কিংবা হয়েছে। আমরা যারা প্রবাসে থাকি তারা এমনিতেই খানিকটা দেশ-দেশের মানুষ, এবং সর্বোপরি ক্যাডেটদের কাছে থেকে খানিকটা বিচ্ছিন্ন থাকতে বাধ্য হই। একটা উদাহরণই দেই- আসিফ ভাই কানাডাতে আছেন বছর পাঁচেকের বেশি; থাকেন আমার থেকে মাত্র ১৫-২০ মিনিট বাস-যাত্রার দূরত্বে। উনার বিল্ডিঙ্গে আমি অনেকবার গিয়েছি এক বন্ধুর বাসায়; কিন্তু কখনো উনাকে জানবার সুযোগ হয়নি। একই ব্যাপার ঘটেছে সোহেল ভাইয়ের ব্যাপারেও, এই গেট-টুগেদার এবং মঈন ভাইয়ের বদৌলতেই চমৎকার মানুষটার সাথে দেখা হবার সৌভাগ্য আমার হয়েছে।

আলোচনার এক ফাঁকে
এখন এক্ষেত্রে যদি আমাদের ক্যাডেটদের একটা ডাটাবেইজ থাকতো, যেখানে ক্যাডেটদের বর্তমান অবস্থা-অবস্থান সম্পর্কে কিছু তথ্য থাকতো; তবে হয়তো আরো অনেককে আমি টরন্টোতে খুঁজে পেতাম। এছাড়া যারা দেশ থেকে পড়াশুনা-চাকুরীজনিত কাজে প্রবাসে আসছেন, তারাও সহজে পরিচিতদের (ক্যাডেট মাত্রই পরিচিত, অন্তত আমি এখন পর্যন্ত এখানে এসে যতজন ক্যাডেটদের সাথে পরিচিত হয়েছি, কখনোই তাঁরা আমাকে এমন আপনজন ছাড়া অন্য কিছু ভাবেননি। এপ্রাপ্তির কোন সংজ্ঞা নেই) সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন, নতুন জায়গায় খাঁপ খাইয়ে নিতে সাহা্য্য হবে।
এখানে আরো একটা ব্যাপার কাজ করছে, তা হলো; প্রশ্ন উঠতেই পারে যে, প্রায় সবগুলো ক্যাডেট কলেজেরই কিন্তু বিভিন্ন ডাটাবেইজ আছে। কোনটা হয়তো সামগ্রিকভাবে কলেজ ভিত্তিক, কোনটা হয়তো ইনটেক-ভিত্তিক, কোনটা আবার বিশেষ কোন কলেজের অঞ্চলভিত্তিক (এটা প্রবাসের বেলায় খাঁটে)| কিন্তু কলেজ-ইনটেক নির্বিশেষে ক্যাডেটদের কোন একক ডাটাবেইজ বোধ করি নেই। প্রবাসে এসে তাই এজিনিসটা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেছি যে, এমন কোন ডাটাবেইজ থাকলে খুব ভালো হতো। তাতে করে কেবল সমমনাদের যোগাযোগটাই গড়ে উঠতো না, বরং ক্যাডেটদের নানা প্রয়োজনে ক্যাডেটদের এগিয়ে আসবার সুযোগটা আরো সুগম হতো। আর সেজন্য যদি সিসিবিকে প্ল্যাটফর্ম হিসেবে নিয়ে একটা ডাটাবেইজ দাঁড় করানো যায়, তাতে কেমন হবে; ব্যাপারটা কতটা সম্ভাবনাময় হবে- তা নিয়ে অনেকক্ষণ কথাবার্তা হলো। সবাই এ ব্যাপারে একমত এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

গ্রপ ফটুক

আসলে গল্পে-আড্ডায়-খুঁনসুটিতে কখন যে বেলা পড়ে এসেছে টের পাইনি। আড্ডা ছেড়ে উঠতে মন চাইছে না, কিন্তু যেতে হবেই। বাইরে এসে খানিকক্ষণ কথাবার্তার পর রিয়াজ ভাই, নাসিম ভাইকে বিদায় জানিয়ে আবার গিয়ে থিতু হলাম কফির দোকানে; উদ্দেশ্য আরো কিছুক্ষণ সাথে থাকা, গল্পগুজব করা। সেই সাথে :teacup: , ডোনাট তো চলছেই- স্পন্সরঃ কামরুজ্জামান ভাই 😀 ।

চায়ের দোকানেও আড্ডা চলছে
আড্ডা ভেঙ্গে বাইরে আসবার পর গেলাম সংসদ দেখতে। এমনই আজাইরা এই দেশের সংসদ- না আছে সামনে চটপটি-ফুস্কা, কিংবা ভ্রাম্যমান চাওয়ালা (আমি ছাড়া), না আছে জোড়ায় জোড়ায় বসে থাকা Just বন্ধুদের দল। ঠান্ডার মধ্যে খানিকক্ষণ ফটোসেশন চললো। তারপর সবাইকে বিদায় জানিয়ে পাড়ি জমালাম রাব্বী ভাইয়ের বাসার উদ্দেশ্যে। রাতে বেরুবার আগেই নাসিম ভাই এলেন ভাবীকে নিয়ে, বিদায় জানাতে। সাথে এক রাজকন্যা, কেবলই হাসে। অবশেষে সবার কাছে থেকে বিদায় নিয়ে রওনা দিলাম; গন্তব্য- টরন্টো, আর সঙ্গী- পিছনে রেখে যাওয়া একরাশ ভালো লাগার গল্পকথা।

সংসদের সামনে কতিপয় সংসদ সদস্য
কি অদ্ভূত তাই না; প্রায় সবাইকেই আগে কখনো দেখিনি; কথা বলেছি মাত্র দু’তিনজনের সাথে। আর আমার সাথে প্রায় সবারই বয়সের ব্যবধানটা অনেক বেশি। রিয়াজ ভাই আর আমার মাঝে কলজের হিসেব করলে দূরত্ব প্রায় ২৬ বছর; আর সবচেয়ে কাছাকাছি যিনি, সেই আসিফ ভাইও ৬ বছরের সিনিয়র। অথচ এক মুহূর্তের জন্যও মনে হয়নি- এরা কেউ অচেনা। পুরোটা সময় হাসি ঠাট্টা আর গল্প- স্মৃতিচারণে অমলিন এক ভালোবাসার ছোঁয়া ছিল। আসলে কতগুলো সম্পর্কের পরিধি অনেক ব্যাপক, অনেক সমৃদ্ধ হয়- যেখানে চোখের দেখার থেকেও প্রাণের স্পর্শটাই প্রাধান্য পায়। ক্যাডেটীয় সম্পর্কগুলো তেমনই। এখন থেকে বোধহয় ঢাকার গেট-টুগেদারগুলো আরো বেশি বেশি মিস করবো।
যারা গেট-টুগেদারে অংশ নিয়ে আয়োজনকে প্রাণবন্ত সফল করেছেন; তাদের জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ রইলো। বিশেষ করে রাব্বী ভাই, মঈন ভাই এবং নাসিম ভাইকে আবারো বলবো- আপনাদের নিরলস প্রয়াস না থাকলে হয়তো এভাবে হতো না :salute: । আর যারা আসতে পারেননি, তাদের জন্য সুসংবাদ— এই গ্রীষ্মের ছুটিতে আরো বড় পরিসরে, দারুণ আয়োজনের সাথে সিসিবি/ক্যাডেট গেট টুগেদারের আয়োজন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ভেন্যু এবার সেভাবেই ঠিক করা হবে, যাতে করে সবার সরব উপস্থিতি সম্ভব হয়। ছোট্ট একটা বাক্যেই শেষ করছি-
:goragori: “সিসিবি রকস, ক্যাডেটস রকস।” :awesome:
:boss: :boss: :boss: :boss: ভাল হয়েছে... :clap: :clap:
ছবির নীচে নামগুলো দিলে মানুষদেরকেও চিনতাম। মেয়েটা বোধহয় মেলিতা আর রকিবকে তো চিনি।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আপু, আপনার ফেইসবুক আকাউন্ট আছে?
ঐ।
৩য় B-) (সম্পাদিত)
R@fee
পিচ্চি, তোমার ফান্ডিং বন্ধ, ম্যাক নুডলস ও x-(
ভাইয়া তো যুবরাজ সিং শুনে খুশিতে এই বিশাল লেখা আবার পড়তেছে
আর বর্ননা শুনাইতেসে কবে কবে কোন কোন সুন্দরী তাকে একই কথা বলছে
রকিব, তুমি তো আমাদের সুন্দরী হোস্টের কথা বললে না, যে কিনা বার বার তোমার গ্লাসে পানি ঢেলে দিচ্ছিল, মাঝে সবার ফোন নাম্বার নেওয়ার নাম করে ওর কাছে কাগজ় চাইলে?
:shy: :shy: :shy:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
x-(
এই কথা না বলাতে :frontroll: চলবে তোর। ভাবি আপ্নি বলেন তো কাহিনি টা কি?
একটা ছবিতে দেখেছি আমাদের মঈন দুইজনের (রকিব আর আরেকজনের) মাঝে কাবাব মে হাড্ডি হয়ে আছে! মেলিতা মনে হয় ছবির সেই মানুষটার কথাই বলতে চাচ্ছে! 😀
তানভীর ভাই, আপনার পর্যবেক্ষণ শক্তি দেখে আমি মুগ্ধ।
@রবিন ভাই
ঘটনা একরকম সিনেমার মতই।
রেস্টুরেন্টে পৌছানোর পরথেকেই একজন সুন্দরী অল্প বয়ষের মেয়ে আমাদের খাবার দাবারের তদারক করছিলো। সে বাংগালী মেয়ে আমরা সবাই তার সাথে বাংলায় কথা বলছিলাম। শুধু রকিব বলছিল ইংরেজিতে।এর পর আর কি কাগজ কলম নেওয়ার ভাব ধরে ফেইসবুক আইডি আদান প্রদান হয়েছে কিনা আমি জানি না। ;;;
তবে আমি অনেক কষট করে ২ জনের পাশাপাশি ছবি তোলার ব্যবস্থা করেছিলাম, কিন্তু মইন ভাই এমন করবে কে জানতো? ~x(
অফটপিকঃ মেয়েটার প্রতিযে অন্য এলিজেবল ব্যাচেলররা আগ্রহ দেখান নাই এমন কিছু কিন্তু আমি বলি নাই, অনেকেই দেখি আমাকে বুঝানোর চেষটা করলেন মেয়ে আসলে ২ জন ছিল, যমজ। আমি ঠিক বুঝতে পারি নাই মেয়ে একজনের বদলে ২ জন হলেও কি সব ব্যাচেলর কাভার হয় কিনা 😡
আর বেশি কিছু বল্লে হয় পরের গেট ২ গেদার এ আমার জায়গা হবে না, অথবা আমার বর আমাকে সাথে নিবে না এই অজুহাতে, চাইকি মেয়েটাকে ত্রিমজও ডিক্লেয়ার করে দিতে পারে। :chup:
আরেএএএএ!!! আমি আবার কি করলাম; আমি মনে করছিলাম মেয়ে ভারতীয়, তাই ইংরেজির জবাবে ইংরেজি বলছি। পরে যখন বুঝছি বাংলাদেশি, তখন তো বাংলাই বললাম। 😕
তানভীর ভাই, এই ছবি উপ্রে নাই, আপনি কই পাইলেন!! 😮
মেলিতা ভাবি, আমি তো কাগজ নিয়ে মঈন ভাইরে দিছিলাম, আইডি নিলে উনি নিছেন। আর পাপ্পারাজ্জিগিরি কইরা আমারে ফাঁসানোর জন্য রাব্বি ভাইয়ের ব্যাঞ্চাই। x-(
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
"ঠাকুরঘরে কেরে? আমি কলা খাই না"
থাক , রকিব আর ব্যাখ্যা দিতে হবে না। তোর কাহিনি মেলিতা ভাবি যা বলার বলছে, বাকি টা যা বুঝার আমরা বুঝে নিচ্ছি। এই জন্য তুই নেক্সট গেট টুগেদার এ আমার পক্ষ থেকে মেলিতাকে কুক খাওয়াইস। :grr:
🙂
সুন্দর :clap: :clap: :thumbup:
"Never think that you’re not supposed to be there. Cause you wouldn’t be there if you wasn’t supposed to be there."
- A Concerto Is a Conversation
চমৎকার আড্ডাবাজী 🙂 ক্যাডেটীয় আড্ডা আসলেই অতুলনীয়
ডাটাবেজের ব্যাপারে একটু বলি: আমাদের রকা'র (সিসিআর) ওয়েবসাইটের কাজ নিয়ে আলোচনা চলছে, আমাদের কলেজের ডাটাবেজের কাজটাও চলছে..... আমাদের প্ল্যান আছে রকা'র সাথে এই ব্লগের ক্লোজ ইনট্রিগেশন করার, অন্য কলেজের সিদ্ধান্ত কি তা জানি না তবে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটটিকে এই ব্লগের সাথে ব্রিজ করার যথাসাধ্য চেষ্টা করবো.....
ব্রিজ মানে এই ব্লগে এমন কোন একটা সিস্টেম যাতে এই ব্লগে কিছু সার্চ করলে সেটার রেজাল্ট আমাদের কলেজের সাইট থেকেও দেখালো, ফলে একসাথে আমরা ২টা রেজাল্ট পেয়ে গেলাম, যতগুলি কলেজ এই সুবিধা দিবে অতই ভাল হবে ( এখানে সিকিউরিটি'র বা অন্য কোন সমস্যা নাই কারণ কোন একটি এপিআই দিয়েই কাজটা হবে)
যাক শুরু তো হল কানাডা চ্যাপ্টার। এরপর নিশ্চয় গেট-টুগেদার খাওয়ার টেবিল ছেড়ে মাঠেও গড়াবে (মানে ফুটবল-ক্রিকেট এগুলো হবে আরকি)
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
:clap:
আড্ডা তাইলে ভালৈ হৈছে :clap: :clap:
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ছবিগুলো সব কানাডার দিকে সরে যাচ্ছে কেন? 😀
গুড জব।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
সম্ভবত পোষ্টিঙ্গের সময় কোথাও ভেজাল করছি; আমারে দিয়া কিচ্ছু হইবো না :bash: :bash: । আর কোথায় সমস্যা করছি ধরতে পারছি না বিধায়, সমস্যা সমাধানও করতে পারছি না। :((
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
সব সমস্যার সমাধান করে দিয়েছে আল-কোরান। 😀
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
ছবিগুলো দেখে আগেই হিংসিত হয়েছিলাম, এখন বর্ণনা পড়ে আরেকটু হিংসিত হলাম। 🙂
😀 😀
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
🙁
তাই যত খুশি তত খাবার সুযোগ পেয়ে কেবলই একজনের কথা মনে পড়ছিলো; বলুন দেখি কে??
এমনে কস ক্যান?শরম্পাই তো...
ভুয়া :grr:
আরে!বাদশা ভাই নাকি? 😀
:grr: বাদশা ভাই, কিমুন আছেন??
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
বুঝতে পারছি তোদের দুইটা রে মেরামত করতে হবে x-( x-(
অ ট আমাদের ফিজিক্সের ল্যাব টিউটর হান্নান স্যার একবার আমাদের মহিউদ্দিনের উপরে ক্ষেপে এই ডায়লগ দিছিল,
"বিলাডী ফক্স, কাছে আয় তরে মেরামত করি"
সাব্বির-রে এই মন্তব্য কবে করছিলি? :gulli2: দাঁড়া তোরেও মেরামত করতে হবে।
বাদশা ভাই,আমি ডাকি ঠিকাছে কিন্তু পিচ্চি রকিব্বাও যে আপনেরে এই নামে ডাকে-অরে আসলেই ইট্টু মেরামত করন দরকার-কি কন? 😀
অফ টপিক- চাওয়ালা আজকাল বারের ললনাদের সাথে ঢলাঢলি করে x-(
হেহে......স্লামডগ মিলিওনিয়ারের লাতিকার কথা মনে পড়ে গেল =))
"ঝিঁ কে মেরে বৌ কে শেখানো" কথা টা মনে আছে :grr: :grr:
তোরে মেরামত করলেই হবে x-(
চাওয়ালা কাজ টা ঠিক করে নাই, পাবনার পোলাপাইন শুনলে মাইন্ড কর্তে পারে 😕 😕
@ মাস্ফ্যুদা & সাব্বির ভাই- ওয়াস্তাগফিরুল্লাহ। ছি ছি
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ঝি কে ? 😮
বৌ কে? 😮
ভাই তাড়াতাড়ি জাতিকে জানান ...
জাতি কে? :grr: :grr: