১।
দশরথ ছিলেন কোশল রাজ্যের রাজা, তাঁর রাজধানী ছিল অযোধ্যা নগরীতে। তাঁর তিন মহিষী: কৌশল্যা, কৈকেয়ী ও সুমিত্রা। দীর্ঘদিন অপুত্রক অবস্থায় থাকার কারণে পুত্রকামনায় রাজা দশরথ পুত্র-কামেষ্টী বা পুত্রেষ্টী যজ্ঞের আয়োজন করেন। এরপরই কৌশল্যার গর্ভে রাম, কৈকেয়ীর গর্ভে ভরত এবং সুমিত্রার গর্ভে লক্ষ্মণ ও শত্রুঘ্ন নামে দুই যমজ পুত্রের জন্ম হয়।
রাম ও সীতার বিবাহের বারো বছর পর বৃদ্ধ রাজা দশরথ রামকে যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। কোশল রাজসভায় তাঁর ইচ্ছাকে সকলেই সমর্থন করল। কিন্তু উক্ত অনুষ্ঠানের পূর্বসন্ধ্যায় দাসী মন্থরার কুমন্ত্রণায় কৈকেয়ীর ঈর্ষা জাগরিত হয়ে উঠল। বহুকাল পূর্বে রাজা দশরথ কৈকেয়ীকে দুটি বর দিতে প্রতিশ্রুত হয়েছিলেন। তার সুযোগ কৈকেয়ী রাজার কাছে দাবি করেন যে রামকে চৌদ্দ বছরের জন্য বনবাসে পাঠাতে হবে এবং তাঁর স্থলে ভরতকে যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত করতে হবে। বৃদ্ধ ও হতাশ রাজা নিজ প্রতিজ্ঞা রক্ষার দায়েই কৈকেয়ীকে প্রার্থিত বরদুটি প্রদান করতে সম্মত হলেন। রাম পিতার আজ্ঞা স্বেচ্ছায় ও শান্তচিত্তে মেনে নিলেন। পত্নী সীতা ও ভ্রাতা লক্ষ্মণ তাঁর সঙ্গী হলেন। রামের প্রস্থানের পর পুত্রশোকে কাতর হয়ে রাজা দশরথ দেহত্যাগ করলেন। এই ঘটনার সময় ভরত ছিলেন তাঁর মাতুলালয় নন্দীগ্রামে। সব শুনে ভরত সত্বর অযোধ্যায় ফিরে এলেন। তিনি মায়ের কুটিল চক্রান্তে পাওয়া রাজপদ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলেন। রামকে খুঁজতে খুঁজতে তিনি উপস্থিত হলেন বনে। তিনি রামকে অযোধ্যায় ফিরে রাজপদ গ্রহণের অনুরোধ জানালেন। কিন্তু পিতার আজ্ঞার বিরুদ্ধাচারণ করে চৌদ্দ বছর কাল উত্তীর্ণ হওয়ার পূর্বে অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তনে অসম্মত হলেন। ভরত তখন রামের খড়মদুটি চেয়ে নিলেন। রাজ্যে ফিরে সেই খড়মদুটিই সিংহাসনে স্থাপন করে রামের নামে রাজ্যশাসন করতে লাগলেন তিনি।
সূত্রঃ উইকি
আমি এরকমই জানতাম রামায়নের কাহিনী। কিন্তু বাধ সাধল ভানু বন্দোপাধ্যায়। তিনি এক কৌতুকে বলে বসলেন “ভরত আসলে ভাইদের মধ্যে সবচেয়ে বুদ্ধিমান ছিল। চৌদ্দ বছর রাজ্য শাসন করলো, এই কথা বলে “যা করে ভাইয়ের খড়ম, আমি কেউ না”। তিনি আরও বলে বসলেন “এই ভরত থেকেই কিন্তু ভারতবর্ষ নামটা আসছে।” (অডিও ক্যাসেটে শুনা, বাবার সংগ্রহে ছিল, নেটে পাচ্ছি না।)
যাক, তিনি কৌতুকাভিনেতা, এমন অনেক কিছু উল্টা-পাল্টা বলতেই পারেন।
২।
আমাদের কলেজ জীবনের দুঃশাসনের শুরু হয় স্কোয়াড্রন লীডার আহমেদ চৌধুরীর (এক্স মির্জাপুর) শুভাগমনের মাধ্যমে। নিজে ক্যাডেট ছিলেন তো, তাই ক্যাডেট সাইজ করার মোক্ষম অস্ত্র তাঁর জানা ছিল ভালোমতই। তিনি এসেই আমাদের ইনটেকের কয়েকজন কে বাছাই করলেন, (কালার করা আর কি)। এর পরে কলেজে কোন আইন বিবর্জিত কাজ হলেই ডাক পড়তো তাদের। রাতে ঝর্ণার মাছ চুরি হয়েছে, ডাকো মাহমুদ-মনোয়ার কে, ডাব চুরি হয়েছে, ডাকো তাদের, অডিও ভিজুয়াল চুরি হয়েছে, ডাকো, সিপির রুমের দরজায় মুত মুত গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে, ডাকো তাদের, রাতের বেলা নাইট ডিউটির টিচার লাইটস অফের পরে হো-যা-মাল-হো খাইছে, ডাকো ওদের, শীতের রাতে নাইট গার্ডের মাথায় পানি ঢালছে কেউ একজন, ডাকো কালপ্রিট দুইটারে, ডাকো এদের বাপ মারে।
ট্রিকস এ কাজ হলো মোটামুটি। কারন কেউ চায় না, তার দোষের কারনে তাঁর বন্ধু অকারনে পানিশমেন্ট খাক। এই আইন ভাংগাতে মজা নাই কোন। কলেজ (সুনিদির্ষ্ট করে বললে আমাদের ব্যাচ) সাইজ হয়ে গেল। একদম না হলেও মোটামুটি “আলিফ।”
৩।
ঈদানীং যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে বেশ হই-চই। আসল কাজের কাজ কতটুকু হচ্ছে বুঝতে পারছি না, কারন যুদ্ধাপরাধের সংগে এখন মানবতা-বিরোধী অপরাধ মিশে গিয়েছে। চাইছি দুধ, পাইছি মালাইকারী, খুশি হব, না বেজার হব বুঝতে পারছি না (আম পাব্লিকের এই এক সমস্যা)। তবে এইটা যে “হট” ইস্যু, তাতে কোন সন্দেহ নাই। নেতারা বুঝে ফেলেছেন, পাব্লিক এই ইস্যু এখন খুব খাচ্ছে (আম পাব্লিক তো)।
এর আগে এর অনেক গুলো সংস্করণ বের হয়েছে, মানে কারা কারা যুদ্ধাপরাধের বিচার ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য কি কি করছে। এমনি কি সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেও বলা হয়েছে বিরোধী দল আসলে চাচ্ছে যাতে বিচার না হয়, গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ, দূর্নীতি, স্বজন-প্রীতি এগুলো আসলে সমস্যা না, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে দূর্বার বেগে।
এরই লেটেস্ট সংস্করণ আজকে বেরিয়েছে পত্রিকায়। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতেই ড্যাপের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হচ্ছে। আম পাব্লিক এই কথা বলেনি কিন্তু, পত্রিকা লিখেছে, যিনি বলেছেন, তিনি ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি।
ভানু বন্দোপাধ্যায় বেচে থাকলে নির্ঘাৎ নতুন একটা কৌতুক বানিয়ে ফেলতেন।
ভরত বিষয়ক আইডিয়া ভালা পাইলাম :boss: :boss:
কালের কন্ঠের প্রথম পাতা ড্যাপের জন্য বরাদ্দ। হাজার হোক তাদের তিপান্নটা প্রজেক্ট 😀
লিংকিং টা বিয়াপওক লাগছে বস ...
লেখায় ১০ তারা ...
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
:clap: :clap:
:hatsoff: :hatsoff:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ভালো লাগলো বস। :boss: :boss:
কলিকালেও রামের জুতার প্রভাব দেইখা ভালো লাগতেছে, ফয়েজ ভাই। এখনও তাইলে মহাপ্রলয় অনেক দূরে! 😀
:)) :)) :))
আপনারে একখান :salute:
ভানুরে আমিও অনেক ভালা পাই। 😛
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
- জট্টিল !!!
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
ফয়েজ ভাই, এই দেশে জীবনেও যুদ্ধাপরাধীদের সুষ্ঠু কোন বিচার হবে না...এখন যা হচ্ছে সবই নাটক...শেষে মনের শান্তির জন্য আধ্যাত্মিক লাইনেই যেতে হবে...'তোদের বিচার এই জীবনে না হলেও পরের জীবনে হবে' কিংবা 'তোরা মরেও শান্তি পাবি না, শয়তান'...ইত্যাদি ইত্যাদি
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
:no:
হালুম ভাই, আপনের খেরোখাতারে মিস্করি... :((
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
একটা ভানু প্রতিযোগিতার আয়োজন করা দরকার। এতোসব ঘটনা ঘটে যাচ্ছে আর কেউ তা নিয়ে কোতুক বানিয়ে অডিওতে ছাড়বে না তা কী করে হয়?
লেখা ভালো লাগলো।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
বিপদটা তো এইখানেই ফয়েজ। লেখাটা দারুণ হয়েছে। এভাবে ভাবলে কি করে? রীতিমতো মুগ্ধ। :salute:
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
সাম্প্রতিককালে ইসসিরে পোস্টে আপনার কাটাছেড়া ... ফয়েজ ভাইকে এভাবে ভাবতে ও দ্রুত পোস্ট নামাতে বাধ্য করেছে ... :-B
(মন্তব্য আমার না ... ভাইয়ের খরমের
আমাকে করলে দায়ী হইবে তা শরমের)
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
=)) =))
ওরে মাম্মা এইটা কি কইলা? =))
ফজু ভাই লিখা চমৎকার হয়েছে 🙂 ১৪ তারা ;))
’তোদের বিচার এই জীবনে না হলেও পরের জীবনে হবে’ কিংবা ‘তোরা মরেও শান্তি পাবি না, শয়তান’… :boss: :boss: :boss: :boss: :boss:
ফয়েজ ভাইরে :salute: :salute: :salute: :salute: :salute: :salute: