যারা যারা আমার মত গেমপাগল, তারা এই ব্লগটি পড়বেঃ
সেদিন XBOX360 -তে একটা গেম খেললাম, নাম Mirror’s Edge… আমি এ পর্যন্ত কোন ফার্স্ট পার্সন গেমে এত ডিটেইল্ড মুভমেন্ট দেখিনি। কাটসিন মুভিগুলাতে সেল-শেড গ্রাফিক্স ব্যবহার হয়েছে। আর ইন-গেমে যেটা সেটা বর্ননাতীত… এত রিয়েলিস্টিক গ্রাফিক্স আমি এ পর্যন্ত দেখিনি!
গেমটার কাহিনী সংক্ষেপ এরকমঃ
ভবিষ্যতের পৃথিবী; যে পৃথিবীতে সবরকম যোগাযোগ মনিটরিং হয়। প্রত্যেকটা কমিউনিকেশন সিস্টেম এত বেশি সার্ভেলেন্স হয় যে মানুষের স্বাধীনতা বলে কিছু নেই।
এমতাবস্থায় একটি গ্রুপ যারা এই দ্বায়িত্বটা নেয় যে মানুষকে ইনফরমেশন পৌছে দিতে হবে এসব সার্ভেলেন্সের চোখ এড়িয়ে, এবং সেটা তখন-ই করা সম্ভব যখন তা হবে কোন ইলেক্ট্রনিক সরঞ্জামাদি’র সাহায্য ছাড়া। বিশেষভাবে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত সেসব মেসেঞ্জারদের একজন হল গেমের মূল চরিত্র – ফেইথ।
আমরা অনেকেই ‘রানার’ কবিতাটি পড়েছি। এখানে ফেইথের ভূমিকাটাও অনেকটা ওরকম। রানার, অর্থাৎ তাকে ছুটে বেড়াতে হবে। তাদের এই ‘বে-আইনি’ সার্ভিসের কথা ল এনফোর্সারদের জানা, তাই বসে থেকে লাভ নেই; দৌড়ানোই বেঁচে থাকার সবচেয়ে ভাল উপায়।
পুরো কাহিনী বলবনা… তাহলে মজা নষ্ট হয়ে যাবে। খেলতে খেলতে আগালে আসল থ্রিলটা পাওয়া যাবে বলে আমি মনে করি।
গেমপ্লে অসাধারণ! ফার্স্ট পার্সন এডভেঞ্চার গেম। গোলাগুলির সুযোগ আছে, তবে স্টেলথ মেথডে খেললে মজাটা আরো বেশি। গেমে ফার্স্ট পার্সনের যে ভিউ টা আছে সেটা একদম রিয়েল লাইফ মুভমেন্টের সাথে মিল খাওয়ানো। বিশেষ বিশেষ ইফেক্টগুলি একটু বলি তাহলে জিনিসটার ডিটেইল লেভেল সম্পর্কে একটু আইডিয়া করা যাবেঃ
– জোরে দৌড়ানোর সময় র্যান্ডম স্ক্রীন বাম্প, অন্যান্য এফপিএস এর মত শুধু ওপরে-নীচে নয়।
– দৌড়-ঝাপের সময় হাত দুটো ভিসুয়াল রেঞ্জের মধ্যে আসা।
– প্রত্যেকটা ফুটিং, এমনকি একটা ছোট পাইপের ওপর দিয়ে স্টেপ করার বিষয়টাও নিখুতভাবে রেন্ডার করে।
– গরম এবং ঘামের কারনে মাঝে মাঝে দৃষ্টি একটু হাল্কা বা ঘোলাটে হয়ে আসার ব্যাপারটাও বেশ ডিটেইল করা।
– ইন গেম মুভি কাটসিনে রিয়েলটাইম মানবিক এক্সপ্রেশন ব্যবহার হয়েছে; জড়িয়ে ধরা, হ্যান্ডশেক করা, হাত ধরে টেনে নিয়ে যাওয়া, ইতস্তত ঘোরাফেরা এই জিনিসগুলি অসম্ভব রকমের সুন্দর।
গেমটা খেলার সময় মনে হবেনা একটা গেম খেলছি, মনে হবে একটা এ্যাডভেঞ্চার মুভি দেখছি। পুরো গেমিং এনভাইরনমেন্টটা ইন্টারেক্টিভ। প্রায় প্রতিটি জায়গায় যাওয়া যায়।
গেমটির পিসি ভার্সনের রিকুয়ারমেন্ট অনেক বেশি। মিনিমাম রিকুয়ারমেন্ট ১গিবা র্যাম, ৮গিবা হার্ডডিস্ক, ৩.০০গিহা প্রসেসর, ৫১২মেবা জিপিইউ। এটাতে কেমন পার্ফরমেন্স দিবে জানিনা; আমি কন্সোলে খেলেছি তাই বেস্ট এর কাছাকাছি পেয়েছি। কাছাকাছি বলছি কারণ হাই ডেফিনিশন টিভি তে না লাগালে নাকি এক্সবক্স তার ২৫ ভাগের মাত্র এক ভাগ গ্রাফিকাল পারফরমেন্স দিতে পারে।
গেমারদের এই গেমটি চেখে দেখার জন্য ইনসিস্ট করছি।
ওহ্ আর এখানে ট্রেইলার-এর একটা ভিডিও দিলাম, যারা ইন্টারেস্টেড তারা দেখে নিতে পারে।
1st :grr:
আমিও গেম পাগল। যদিও গত দুইবছরে পড়াশোনার চাপে কিছুই খেলতে পারি নাই। খেলতে চাওয়ার তালিকায় আছে এসাসিন'স ক্রিড আর প্রিন্স অব পার্সিয়া-র লেটেস্টটা। কনসোলের চেয়ে পিসিতে খেইলা বেশি আরাম পাই। কনসোলের জিপিইউ গুলা এতোই শক্তিশালী যে, কোন ইউনিভার্সিটির এক প্রফেসর ১৫টা প্লেস্টশন একসাথে জোড়া দিয়া টেরাফ্লপস স্পিড পাইতেছে, ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিং ব্যবহার কইরা। আমাদের ভার্সিটির আর্থ সায়েন্স ডিপার্টমেন্টে এক কম্পিউটারের সাথে ১টা প্লেস্টেশন জোড়া দিয়া সিমুলেশন ল্যাব বানাইছে।
একটা পিসি চোখে চোখে রাখছি, টাকা হইলে কিনমু। ৬৪ বিট আর্কিটেকচার, ৬ গিগা র্যাম। কোয়াড কোর প্রসেসর। ফ্রন্ট সাইড বাস ১৩৩৩ মেগা হার্টজ, আর প্রসেসের ক্যাশ মনে হয় ৮ মেগা। মাদারবোর্ড ডুয়াল গ্রাফিক্স সাপোর্ট করে। দুইটা ভালো গ্রাফিক্স কার্ড লাগাইলে কনসোল পাত্তাই পাবে না বলে আমার ধারনা।
যাউজ্ঞা, আমার আগ্রহ আছে গেমিং-এ। পরের পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।
পিসির দিকে চোখ না রেখে কম্পোনেন্ট এর দিকে চোখ রাখো। নিজে বানায় নিবা।
খরচ কম পড়বে, ইচ্ছামতন বানাইতে পারবা।
নমুনা দেই, আমার কারেন্ট পিসি ডেল বা মাইক্রোসেন্টার থেকে কিনতে লাগে $৩০০০+, নিজে বানাইলাম ৯০০ দিয়া (+২০০ স্ক্রীন, আগেই ছিলো)।
ভাই রেসিং -এর প্রতি আগ্রহ আছে? GRID খেইলা দেখতে পারেন, এক্কেরে সিমুলেশন। আর সাউন্ড কি শালার !!!
NFS UNDERCOVER টা-ও জোস আছে। ট্রাই কইরেন।
পিসি আপগ্রেড কইরা কইরা ফতুর হয়া যাওন লাগে। ভাবতেসি একটা কনসোল কিনা নিমু কিনা...
এই দুইটা গেম ভাল লাগলে Project Gotham Racing 4 আর Forza Motorsport 2, খেলে দেখতে পারেন ২টাই ফাটাফাটি Xbox 360 আর PS3 তে বের হইসে, PC তে বের হইসে নাকি জানিনা। তবে যদি আসল গেমিং মজা পাইতে চান তাহলে GTA 4 খেইলেন এর চেয়ে ভাল গেম আর আসে নাকি সন্দেহ। এটা পিসি সহ কনসোলেও বের হইসে তবে মারাত্বক হাই এন্ড পিসি হওয়া লাগবে।
GTA 4 খেলসি... মাথা খারাপ করা গ্রাফিক্স। মানুষ মারার পর গাড়ির বনেটে রক্ত লাইগা থাকে, গাড়ি জোরে চালালে সেটা আবার শুকায় খয়েরি বর্ন ধারন করে... সেইরকম!!!
আমিও গেম পাগল, তবে একটি নির্দিস্ট গেম...ফিফা, শুরু হয়েছিল ফিফা৯৮ দিয়ে, এখনও ডুবে আছি ফিফা০৯ এ, অন্যান্য কিছু গেমস মাঝে মাঝে খেলা হয় তবে বেশিদিন চালিয়ে যাওয়া হয় না, শুধু মনে হয় এনবিএ০৫,০৬ বেশ কিছুদিন টানা খেলেছিলাম।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ভাই আপনি দেখি পুরা আমার মতন গেমার। আসেন ভাই :hug:
আমি শুরু করেছিলাম ফিফা ২০০০ দিয়ে, এখনও ফিফা ছাড়তে পারিনাই। এখন অবশ্য ফুটবল ম্যানেজার নিয়া পইড়া আছি। 🙂 🙂
পিসিতে খেলেন নাকি কন্সোলে? পিসি তে খেললে একটা কন্ট্রোলার লাগায় নেন; সেইরকম মজা! হাতের মধ্যে ভাইব্রেশনটা যখন দেয় খুব ভালা লাগে...
আমিও ৯৮ দিয়ে শুরু করেছিলাম, ২০০৯ পর্যন্ত সব খেলছি, খুব ভালা পাই এইটারে। 😀
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ভাই কমের মইধে কুনু কন্সল আসে নি ?? থাক্লি আওাজ দেন।
রাব্বি ভাই এত টাকা রোজগার করেন এখনও কমের মধ্যে খোজেন কেন?
পি এস ২... ১৫০০০-এর মধ্যে পাবা আশা করা যায়। মড করতে গেলে অবশ্য আরো ৪০০০ লাগবে।
আমি রেসিং আর স্পোর্টস গুলা ভালা পাই
ইয়ে মানে তোমরা কি কেউ সলিটেয়্যার আর ফ্রীসেল খেলে দেখেছ?.....পালাই! ("পালাই" এর একটা ইমো দরকার)
আমি ডি-এক্স বলও খুব ভালা পাই 😀 😀 ।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
আর রোড র্যাশ?
ডিয়েব্লো ২ এর কথা কন না ক্যা?
ইয়ে মানে, আমার্পিসি
পেন্টিয়াম ৩, ৭৩৩ মেগাহার্টজ
৬৪ মেগাবাইট এজিপি। ৫১২ মেগাবাইট ড়্যাম।
চল্পে নাকি???? টেরাফ্লপসে ইসপিড পাইবেন। 😀 😀 😀