কবীর ভাই এর ফুলের বাগানে সাপ…!!! লেখাটি পড়ার পর পর-ই বসে গেলাম। ওটিজম নিয়ে আমি কিছু বিষয় জানি যেটা শেয়ার না করে পারছিনা; কারণ আমারই ২টি কাজিন আছে অটেস্টিক 🙁 —
এই ধরনের বাচ্চার জন্মদানে প্রধান দোষী আমি মা-বাবা কেই বলব। আপাততঃ আমার কথাটা ঊদ্ভট শোনাতে পারে কিন্তু আমি ব্যাখ্যা করছি কেন:
এটা শিশু বিশেষজ্ঞদেরই কথা যে, একটি ভ্রুণে জীবনের আলোড়ন শুরু হওয়া থেকে তার জন্মের পর ৫ বছর পর্যন্ত সে যা কিছু নেয়, সেটা দিয়েই সারা জীবন করে খায়। একটা সাধারণ উদাহরণ দেই – তাকে যদি ছোট বেলা থেকে অংকের প্রতি ইন্টারেস্ট তৈরি করানো হয়, যে কোনভাবে, ধরি খেলনা হিসেবে এবাকাস কিনে দেওয়া হল ইত্যাদি; তাহলে সে বড় হয়ে অংকে পারদর্শী হবে।
আমি আমার নিজের কথাই কেন বলিনা? আমি শুনেছি আমি যখন আমার মায়ের পেটে ছিলাম তখন বাসায় সারাক্ষণ নাকি জগজিত সিং এর গজল বাজতো। আমার বাবা নিজে গান করতেন। বাসায় একটা সংগীতের পরিবেশ ছিল। আমার বাবা বলে, হয়তো সেই কারণেই আমার মিউজিক সেন্সটা এত বেশি সেন্সিটিভ। আমি কারো কাছে গান শিখিনি, গিটার বাজানোও/মিউজিক কম্পোজিশন-ও তেমন একটা শিখিনি কারো কাছে। বেসিক-টা নিয়ে তারপর নিজে নিজে ডেভেলপ করেছি।
আরো কিছু বিষয় জেনেছি যে, মায়ের পেটে থাকা অবস্থায়ও বাচ্চা অনেক কিছু শুনে বা ফিল করে। মা যেটায় আনন্দিত হয়, কষ্ট পায়, অবাক হয়, বা যা কিছুই হোক না কেন… বাচ্চার ঠিক সেই সেই ফিলিংস গুলা হয়। সে সেইসময় যে সব আওয়াজ শুনে সেগুলি তার মস্তিস্কের গঠনের সময় ‘এমবেড’ হয়ে যায়। ছোটবেলায় বাচ্চা যখন কাঁদে তখন তাকে ঠিক সেই সেই শব্দগুলি শোনানো যেতে পারলে সে চুপ করে যায়, কিন্তু আমরা সেটা করিনা; আমরা কি করি? ঝুঞ্জুনি কিনে দেই, আরো কি কি সব করি। ওগুলার চেয়ে ইফেক্টিভ সেই বিশেষ শব্দগুলি, যেগুলা সে মায়ের পেটে থাকতে শুনত। সেটা যদি সহধর্মিনীকে খুব সুন্দর করে “আই লাভ ইউ” -ও বলা হয় তাহলে সেটাই!
এবার আসি ওটিজমের বিষয়টা, যেহেতু প্রসঙ্গ প্রায় চলেই এসেছে কারন আমি বউকে ঐ I LOVE YOU ডায়লগ দেবার স্টেজে এসে পড়ছি। বিষয়টা এখানেই। ডাক্তারি ব্লগরব্লগরে আমি যাবনা কারন আমি সেটা পারব-ও না, শুধু সাধারণ চিন্তায় যেটা আসে সেটা বলি: আমি যেটা জানি (এবং মনে করি আমার ধারনা সঠিক) যে, প্রেগ্নেন্ট অবস্থায় নারীদের শারিরীক অবস্থা তো নাজুক থাকেই, মানসিক ভাবেও তারা খুব সেন্সিটিভ হয়ে থাকে তখন। খুব সাধারণ লেভেলের একটু ঝাঁঝবিশিষ্ট কথায় তারা খুব বেশি মুষড়ে পড়ে। সামান্য একটু কিছুতেই তাদের এক্সাইটমেন্ট একেবারে ‘গামা লেভেল’ এ উঠে যায়। এটা স্বাভাবিক, ঐ সময় সব ক্ষেত্রেই তাদের হরমোন সিক্রেশান আর আরো কি কি আছে ব্যাপার স্যাপার সেগুলি বেশি হয়, কারন শরীরের ভেতর তখন আরেকটা শরীর। আর আগেই তো বল্লাম, সেই ভেতরের শরীরটা অনুভুতি শেয়ার করে মায়ের সাথে, তখন থেকেই; তাই সাইড ইফেক্ট গুলাও বুঝতে পারা যাচ্ছে আশা করি।
এমতাবস্থায় সংসারের পুরুষ সদস্যটির যেসব কাজ করা উচিৎ/উচিৎ না [বলে আমি মনে করি] সেগুলা হলঃ
= অহেতুক ইগ্নোরেন্স না দেখানো।
= সহধর্মিনীর উগ্র আচরণের উত্তরে ভালবাসায় তাকে সিক্ত করা।
= কাজের মাঝে প্রায়শঃ তার খোঁজ নেওয়া।
= [বউ-এর গোচরেই] একজন ‘স্পাই’ রাখা যে যেকোন সিচুয়েশন রিপোর্ট করবে দ্রুত (স্পাই শব্দটা খাটলো না মনে হয়)।
= যোগাযোগের সুবিধার্থে একটা এক্সট্রা ফোন মেইন্টেইন করা যেটা মিটিং/কনফারেন্স টাইমেও এক্টিভ থাকবে, ফর ইমার্জেন্সি।
= ডাক্তারি পরামর্শ/ট্রিটমেন্ট নেওয়াতে অবহেলা না করা।
= [একেবারে অসম্ভব না হলে] সহধর্মিনীর আব্দার পুরণের চেষ্টা করা, আর অপারগতার কারন সুন্দর করে বুঝিয়ে দেওয়া।
= বেবীর সাথে সুন্দর করে ইন্টার্যাক্ট করা, যেভাবে জন্মের পর করা হয় সেভাবে।
= এন্টার্টেইনমেন্টের সুব্যবস্থা রাখতে হবে ঘরে যাতে “বোর ফিল করছি” এই জাতীয় অভিযোগের উৎপত্তি না হয়।
মায়েদের কথা কি বলব? আমার মনে হয় তাদেরকেও বেশ কন্সিডারেট হতে হবে বিভিন্ন বিষয়; যেমনঃ
= ঘরের মধ্যে বন্দি জীবন যাপন করা চলবে না।
= হাসিখুশি, প্রাণোচ্ছল থাকার চেষ্টা করতে হবে; জন্মের পর মা-রা যেটা ভাবে যে বেবীর আনন্দ মানে তার আনন্দ (ভাবে তো আর না, পুরাপুরি ফিল-ই করে) তার উল্টাটা ভাবতে হবে — “আমার আনন্দ মানে আমার বেবীর আনন্দ”; সেভাবে দৈনন্দিন আচার-আচরণ করা লাগবে।
= রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন (ডায়লগ-টা আমার অতিশয় প্রিয়) প্রিন্সিপালে বিশ্বাসী হয়ে থাকতে হবে। নিজের বাচ্চার উদ্দেশ্যেই তাকে জীবনযুদ্ধে দুর্বল সৈনিক হিসাবে আত্বপ্রকাশ ঘটতে দেয়া যাবেনা, হারতে দেয়া যাবেনা – সুখানুভুতি আর আনন্দঘন পরিমন্ডলেই তার জন্ম-পূর্ব অবস্থা থেকেই মানসিক গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে।
পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সম্পূর্ণ সাপোর্টিভ হতে হবে; দুর্ব্যবহার, লাঞ্ছনা বা এড়িয়ে চলা, কেয়ার না করা এসব যত রকমের ব্যাপার-স্যাপার সব ঝেটিইয়ে বিদায় করতে হবে। আল্লাহ্র সৃষ্টির প্রসেস-কে অবজ্ঞা করাটা খুব একটা ক্রেডিট-এর কিছু নয়!
বাচ্চার অটিজমকে ডিফিট করার সবচেয়ে ইফেক্টিভ পন্থা হল মা-বাবা ও পরিবার-পরিজনদের সতর্কতা, আর কিছু না। মা-বাবার কেয়ারফুল হওয়াটা বেশি ইম্পর্ট্যান্ট। আমার পরিবারের মাঝে আছে, আমরা দেখেছি, তাই আমি বিষয়টা বুঝতে পারি, আর এর দুঃখটাও বুঝতে পারি। আমি সবসময়ই দোয়া করি আল্লাহ্ যেন এই ধরনের পরীক্ষা না নেন; বড়ই কঠিন এ পরীক্ষা!
(লেখাটিতে ভুল থাকতে পারে, আমি ভাই মুখ্যুসুখ্যু মানুষ, ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন যদি থাকে, আর শুধরে দিবেন দয়া করিয়া)
আদনান, তোমার ব্যাখা ভাল লাগল।
ইয়ে তুমি তো এখনো বিয়েই করনি, বুঝতে পারছি বেশ দায়িত্ববান স্বামী এবং বাবা হতে পারবে।
"স্পাই" ব্যাবহার না করে সংগী ব্যাবহার করতে পার, হতে পারে বউয়ের বোন, কিংবা তার মা অথবা স্নেহময়ী কেউ একজন যে তাকে বুঝতে পারে।
সংগ দেয়াটাই ইম্পর্টেন্ট
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আহা কত দিন প্রথম হই না, এটা আবার পড়ে প্রথম হওয়া :awesome:
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ফয়েজ ভাই, লেট্স পার্টি... :party: :party: :party:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
হ হ ভাই হেইডাই বুঝাইতে চাইসি... সঙ্গ দেবার ব্যাপারটা... স্পাই শব্দটা খাটেনাই বুঝতেসি।
পোস্টটা খুবই ভালো লাগলো, আসলে ঠিক এইটা বলে ভালো লাগাটা প্রকাশ করতে পারলাম না, যাই হোক তবুও বললাম।
এই কথাটা ঠিক বুঝলাম না, জন্মের পর কিংবা আগে বাবামা এই দায়িত্ব গুলো অবশ্যই পালন করবেন, কিন্তু বাচ্চা অটিস্টিক হওয়ার পেছনে তাদের দায়টা ঠিক কোথায়? জাস্ট কৌতুহল।
স্যাম (অর্চি'র কাছ থেকে তোমার নিক-টা জেনে গেসি হিহিহি), আমি অল্রেডি বলে ফেলসি আমার পোস্ট-এ, মা-বাবা'র দায়িত্বগুলা যেটা লিখসি সেটারে নেগেটিভলী চিন্তা করে দেখো, উত্তর পায়া যাবা।
তবে তোমার বোঝার জন্য আমি আরেকটু স্পেসিফাই করি; আমার পার্সোনাল ব্যাপারটাই বলতেসিঃ আমার মেঝ চাচির প্রথম সন্তান হবার সময় উনি একা একা থাকতেন, ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখতেন। তুমি কি মনে কর না তার এই আচরণ বাচ্চার উপর পড়সে?
এখন আল্লাহ যদি একান্তই পরীক্ষা নিতে চান সেখানে তো আমাদের কিসু করার নাই; কিন্তু যেটুকু করার আছে সেটা হল ওইগুলা যেটা বলসি। এটা না করলে বাবা-মা কে দায়ী করব না তো কি?
বুঝলা এখন?
বুঝি নাই, কি লেখেন কিচ্ছু বুঝা যায় না 😡
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
নিচে গিয়া বুজছি 😀
স্যাম, তোর এতো নিচে নামতে হয় কেন? :grr:
তুমি এত নীচ????
____________অটিজম বাংলাদেশ
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
জুনা ভাই(মতান্তরে ভুনা জাই :)) ) আপনি ভস। :boss:
এরকম যত্তো পুস্ট আছে ছাড় তাড়াতাড়ি...বউরে আগে ভাগেই কওন যাইবো... 😕
বউ রে কি কইবি?
বউরে কমু বাচ্চা পেটে থাকা অবস্থায় প্রাইভেট কথাগুলা যাতে ফিসফিস করে সাবধানে কয়। বাচ্চা আবার শুইনা ফিল কইরা পেটের ভিতরেই কি না কি কইরা ফালায়... 😮
হালার পো... :gulli2:
অই হালা গাইল দ্যাছ কিয়ের লাই...ভয় ধরাইয়া দিছিলি ব্যাটা... :gulti:
সিনিয়ররা গালাগালিও করে আবার গোলাগুলিও করে। কই যাই? 😕
আদনান ভাই
লেখাটা পড়ে ভালো লাগলো...জানার অনেক কিছু আছে
চমৎকার লেখা। অনেক কিছুই জানতে পারলাম।
একটা সন্দেহ আছে, শুধু কি প্যারেন্টস এর অবহেলার কারণেই বাচ্চারা অটিস্টিক হয়? আর অন্য কোন কারণ নাই?
প্যারেন্টস এর অবহেলা ওয়ান অফ দি রিজন্স যেটাকে আমরা কন্ট্রোল করতে পারি। আরো রিজন আছে যেটা কবীর ভাই বলসেন (উন্ধৃতি দিসেন) সেসব তো এখনো কন্ট্রোল করতে পারিনা ... তাই যেটুক পারি সেটা নিয়াই বল্লাম।
এইবার বুঝছি। :thumbup:
স্যাম তুই এত বুঝিস!!!!!!!!!!!!! 😮
পাকনা পাকনা... মহা পাকনা!!
আদনান পোষ্টটা খুবই কাজের। আরো কিছু এরকম পোষ্ট ছাড় দেখি।
অসাধারন পোষ্ট ১০০ তে ১০০
এডিসন ভাই ৫ এ ৫ হবে না 😕
আদনান : তোমার বিশ্লেষণে ঠিক সায় দিতে পারছি না। সন্তান জন্মে বাবা-মার ভূমিকা থাকলেও অটিস্টিক হওয়ার পেছনে তাদের দায়টা প্রমাণিত নয়। বরং জুনা যে অটিজম বাংলাদেশের বক্তব্য উদ্ধৃত করেছে সেটা বেশি গ্রহণযোগ্য।
তবে এই ধরণের শিশুদের জন্য ভালোবাসা, স্নেহ-মমতা অনেক বেশি জরুরি। বাবা-মা, পরিবার-স্বজন আর প্রতিবেশিদের মমতা এই শিশুদের স্বাভাবিক জীবনে আনতে বড় ভূমিকা রাখে।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
লাবলু ভাই, আপনার শরীর খারাপ কেন? কি হইছে?
আর আদনান ভাইয়ের বক্তব্য পরে বুজছি, প্রথমে আমিও ঠিক সায় দিতে পারি নাই।
সামিয়া ধন্যবাদ।
সানাউল্লাহ ভাই, আমি :just: আমার প্র্যাক্টিকাল লাইফের অভিজ্ঞতা থেকে বলেছি। অত তাত্ত্বিক বিষয়ে যাইনি কারণ ওগুলো আমি জানতাম না। কবীর ভাইকে-ও ধন্যবাদ, জানানোর জন্য। আমি যে দুটো কেস দেখেছি স্বচক্ষে, দুটোই একই প্যাটার্নের।
বাকিটুকু তো সামিয়া দেখিয়েই দিল তাই আর বলছি না।
সানা ভাইয়ের সাথে একমত।
আদনান,
তোমার লেখাটা আমার খুব ভালো লেগেছে এর বিষয়ের কারণে। তবে পড়ার পর আমার একটু খারাপ লেগেছে।
তুমি মনে হয় একটু মাইয়োপিক ভাবে দেখছো। তোমার যুক্তিটা অনেকটা মেয়ে হলে মায়ের দোষ টাইপের হয়ে গেলনা?
যদি তোমার যুক্তি ঠিক হয় তাহলে বিদেশে আমাদের যত ভাইবোনেরা আছেন তাদের সবার বাচ্চার বেশী সম্ভাবনা অটিস্টিক হওয়ার, সেটা সত্য নয়। আর বিদেশীদের কথা বাদই দিলাম। আমার কাছে মনে হয়েছে লেখাটাতে একটা বলির পাঁঠা বের করার সুযোগ আছে।
এটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত মত। কাউকে আঘাত করার জন্য নয়, শুধু চিন্তার খোরাক যোগানোর জন্য।
তোমার লেখার Dos আর Donts গুলো আজকালকার দিনে প্রেগন্যানসীর সময় কমন practice.
সেলিনা আপুর সাথে একমত।
Myopic
আমি জাস্ট আমার ভিউ-টা লিখসিলাম।
শুধরানোর জন্য থ্যাংকু আপু :clap:
আপু একটা 'কিন্তু'র কথা মনে হইলঃ
বাইরের দেশে চিকিৎসা বা এসব বিষয়ে যত্নের ব্যাপারগুলা যতটা উৎকর্ষিত আমাদের দেশে তো সেটা না। এই বিষয়টাও কি খেয়াল করার ব্যাপার না??
আপনার কি মনে কয়? কাইন্ডলি জানান।
আদনান
ধন্যবাদ তোমাকে স্পর্শকাতর বিষয়টাকে ভালোভাবে নেয়ার জন্য।
১। আমি ডাক্তার নই, এ ব্যাপারে আমার জ্ঞান বিভিন্ন লেখা পড়ে, আর কিছু অভিজ্ঞতা থেকে (তোমার মতই)।
২। এক্ষেত্রে আসলে চিকিৎসার চেয়েও সুযোগ সুবিধার প্রয়োজন অনেক বেশি। যেমন এধরণের বাচ্চাদের জন্য বিশেষ স্কুল, কারিকুলাম ও বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক/সেবাপ্রদানকারী।
৩। দেশের বাইরে চিকিৎসাশাস্ত্র উন্নত (যদিও ভয়ঙ্কর দুর্মূল্য) তবে তার চেয়েও বড় মনে হয় সামাজিকভাবে এধরণের মানুষের (persons with special needs) গ্রহনযোগ্যতা। একটা আইন আছে যেটা হল American's with Disability Act (ADA) যেটা ভালো ভাবে মান্য করা হয়।
একটা ছোট্ট উদাহরণ দেই, এখানে যেকোন ভবন ডিজাইন করার সময় এমনভাবে করা হয় যাতে একজন হুইল চেয়ারে চড়া ব্যাক্তি (disabled person) অন্য কারো সহায়তা ছাড়াই ভবণের সব ফ্লোর এবং সুবিধা (টয়লেট পর্যন্ত) ব্যবহার করতে পারে। তা নাহলে ঐ ভবন নির্মানের অনুমতি পাওয়া যাবেনা।
এখানে এগুলা দেখি আর আমার মন খুব ছোট হয়ে যায়।
আমার এক চাচাতো বোন কথা বলতে পারেনা, গ্রামে থাকে বলে ওর কোন রকম শিক্ষার ব্যবস্থা নাই, সে তার নিজেরমত করে ভাষাকে এডাপ্ট করে নিয়েছে, ওর জন্য আমরা কিছুই করিনি।
ঢাকায় আমার পাশের বাসার ছোট ছেলেটা অটিষ্টিক ছিল। খুব দুষ্ট যেখানে যায় কিছুনা কিছু ভেঙ্গে ফেলে (নিজের নিরাপত্তাও বুঝতে পারেনা), ওর মা বেচারী কারো বাসায় গিয়ে খুবই সংকুচিত থাকেন। ওকে একটা স্কুলে দেয়া হয়েছিল, একদিন দারোয়ানের চোখ এড়িয়ে সে একা বাইরে চলে গেলে অন্য এক অভিভাবক তাকে চিনতে পেরে স্কুলে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। এর পর ভয়ে ওকে আর ঐ স্কূলে পাঠানো হয়নি। এখন কি অবস্থা কে জানে?
অনেক (অদরকারী) কথাও লিখে ফেললাম। মনটা খারাপ লাগছে।
বাচতে হলে জানতে হবে। কুদ্দালা পোষ্ট। -মুরতজা, তাইফুর ভাইদের ইন্সট্যান্ট উপকারে দিবো!!! :-B
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
অই কুদ্দালাপোস্ট কি রে?
কুদ্দালা মানে কি??? :-/
কুব্বালা লেখবার চাইছিলাম 😕 😕 কেমনে হইলো :(( :((
আদনান ভাই এডিট কইরা দেন প্লীজ :(( :((
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
বিষয়বস্তু অত্যন্ত মহৎ। :thumbup: :thumbup: কিন্তু বক্তব্যের(অথবা প্রকাশ ভঙ্গীর) সাথে ঠিক একমত হতে পারছি না।
:clap: :clap:
Life is Mad.
পোস্টটি পড়ে ভাল লাগলো আদনান।ধন্যবাদ তোমাকে।
জুনায়েদ এর কোট করা অংশটুকু আর লাবলু ভাইয়ের কথার খেই ধরে বলতে চাই প্রাকৃতিক বিষয়টুকু যা আমাদের হাতে নেই -তা ছাড়া বাবা মা'র সার্বিক সচেতনতা- পরিবারের অন্যান্যদের সহমর্মিতা : এই বিষয় গুলির দিকে অধিকতর দৃষ্টি দেয়া যেতে পারে।
আমার কাছে মনে অটিজম শুধু নয় - আমাদের শৈশব এ অযাচিত ভাবে চাপিয়ে দেয়া যান্ত্রিকতা সুস্থ মানসিকতা বিকাশে পরিপন্থী।
Taare Zameen Paar ছবিটা আইন করে সব বাবা-মা আর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কতৃপক্ষকে দেখানো উচিৎ।
কি জানি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেল কিনা কথা গুলো। :-B
ভাবনা টুকু এসে গেল দেখে শেয়ার করে ফেললাম।
সৈয়দ সাফী
অটিজম প্রতিরোধে একটি উপদেশ- :-B
ভুলেও তোমার বউ প্রেগন্যান্ট হওয়ার পরে তোমার এই প্রোফাইল পিকটা দেখায়োনা...
(সিরিয়াস পোস্টে সস্তা কমেন্ট করার জন্য আবারো নিজেই নিজের...চাই :chup: )
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
সাকেব ভাই, হেল্প লাগলে বইলেন... ;;;
( :chup: ... 😀 )
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ