পিএসসিতে আসলে কি আছে?
সরকার তথ্য জানানোর অধিকার সংরক্ষন করে কি একটা আইন করেছে, আমি নিশ্চিত নই। তবে বিটিআরসি থেকে খুব ঘন ঘন এসএমএস পেয়েছি একসময়। যার মৌলিক ভাষ্য ছিল “তথ্য জানা আমার অধিকার” এবং যেকোন তথ্যের জন্য একটা সুনিদির্ষ্ট ওয়েব সাইটে যাবার আমন্ত্রন জানানো হচ্ছিল। যদিও আমি সেই সাইটে গিয়ে খুব হতাশ হয়েছিলাম। আমার মনে হয়েছিল যে মন্ত্রনালয় আমন্ত্রন জানাচ্ছেন এবং যে মন্ত্রনালয় সাইটটি তৈরী করছেন, তাদের মধ্যে সম্মনয় নেই।
রুটি-রুজি এবং এ জাতীয় নানা কারনে সংবাদ মাধ্যম এখন খুব একটা চেখে দেখা হয় না, ব্লগে ঘোরাঘুরিও হয় না আগের মত, তাই, এ কথা মনেপ্রানে বিশ্বাস করি, এমন অনেক কিছুই হচ্ছে, আমি “আপডেটেড” নই।
তাই এই ব্লগ লিখছি। সোজা বাংলায় জানতে চাচ্ছি।
আমি আসলে জানতে চাচ্ছি পিএসসিতে কি আছে? সরকার বলেছে তথ্য জানার অধিকার আমার আছে। আমি এখন এটা জানতে চাই। কিভাবে জানতে পারবো?
সম্পূরক আরও কিছু প্রশ্ন মাথায় এসেছে। ডঃ ইউনুসের ব্যক্তিগত অনেক অর্জনের কারনে আমরা গর্বিত, এবং বিদেশে আমাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে, শুধুমাত্র এই কারনে ওনার অনেক অনিয়মকে আমরা নিয়েমের বাইরে এনে ঊনাকে সম্মানিত করার জন্য অনেক চেস্টা করেছি। দেশে অবস্থানরত সুশীল সমাজ এবং বিদেশে অবস্থানরত দেশ-প্রেমিক জনগন, (যারা দেশের উন্নতির জন্য প্রায় সব ধরনের খবর রাখেন এবং মতামত দেন), বিশেষ করে তাঁরা জনমত তৈরীর জন্য অনেক চেস্টা করেছেন।
নিশ্চয় তাঁরা দেশ-প্রেমিক বলেই তা করেছেন।
তাহলে বর্তমান চলমান আন্দোলন সম্পর্কে তাঁরা কিছু করছেন না বা বলছেন না কেন? এ ব্যাপারে কি তাদের কাছেও নির্ভরযোগ্য তথ্য নেই? নাকি তাঁরা এই ব্যাপারে আগ্রহ বোধ করছেন না? যদি আগ্রহবোধ না করেন, তবে কেন আগ্রহ পাচ্ছেন না তাঁরা?
“আমাদের দক্ষ জনবলের অভাব” আমার কাছে এটা একটা ভিত্তিহীন প্রলাপ বাক্য ছাড়া আর কিছু নয়। স্বাধীনতার প্রথম দশকে এই কথা মানায়। এত দিনে পুরো একটা প্রজন্ম বের হয়ে গিয়েছে এবং শুধুমাত্র এনার্জি সেক্টরে খুজঁলেও আমার ধারনা অনেক দেশী “ভাই-বেরাদার” পাওয়া যাবে, যারা এই সেক্টরে উচ্চ পদে এবং সম্মানের সংগে দেশের বাইরে কাজ করছেন। আর যদি একান্তই না পাওয়া যায়, তবে বিশেষজ্ঞ ভাড়া করে আনতে বাধাটা কোথায়? কনকো-ফিলিপসের সিইও কে বাপেক্সের চাকুরীতে বসাতে সমস্যা কি? বাপেক্স বেশীর থেকে বেশী যে ক্ষতি টা করবে, হয়ত একটা গ্যাস ফিল্ডে আগুন ধরিয়ে দিবে। আর এই অভিজ্ঞতা তো আমাদের আছেই।
আনু মুহাম্মদের একটা কথা আমার মনে ধরেছে। “গ্যাস যদি কিনতেই হয়, ভারত-মায়ানমারের গ্যাস কিনবো, নিজেদের গ্যাস কেন কিনবো”? তাইতো, নিজেদের আমগাছের আম আমি আবার কেন কিনে খাব? আম পাড়তে পাড়িনা বলে?
কি অদ্ভুত কথা !
সোভিয়েত রাশিয়ার জার খুব সস্তায় আলাস্কা আমেরিকার কাছে বিক্রী করে দিয়েছিল। পরে সার্ভে করে দেখা গেল প্রায় পুরো আলাস্কাই তেলের উপরে ভাসছে। আমেরিকা কিন্তু সেখান থেকে তেল তুলছে না, বরং সে তাঁর বৈরী রাস্ট্র থেকে তেল কিনছে। নিজের টুকু রিজার্ভে রেখে দিয়েছে। অলটারনেটিভ খুজছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনিশ্চিত জীবন রেখে যাচ্ছে না।
শুনেছি ফুলবাড়িয়ায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন “তেল-গ্যাস বিদেশে বিক্রী করতে পারেন না বলে তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন না” (এটা শোনা কথা, ভূল হলে বদলে দিব)।
তবে এখন প্রধানমন্ত্রী কি বলবেন? বিরোধীদলই বা কি করছেন এই ব্যাপারে? তাদের কাছে তারেক-কোকোর মামলা, ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আর কিছু নেই? নাকি লাভের গুড়ের আশায় বড়-ভাইদের ঘাটাচ্ছেন না।
আমি আসলে তথ্য সংকটে ভুগছি, কেউ কি দয়া করে লিংক গুলো মন্তব্যে তুলে দিবেন। একটা আর্কাইভ করতে চাই এই সব নিয়ে। আর অবশ্যই সত্য জানতে চাই।
ক।
বুয়েটিয়ান টোকাইদের সৌজন্যে প্রাপ্য কিছু ভুক্তি যোগ করে দিলাম।
১। মডেল পিএসসি
২। অধ্যাপক ডঃ নুরুল ইসলাম এর প্রবন্ধ
৩। চুক্তির পক্ষে অধ্যাপক ডঃ ম তামিম
৪। যুক্তি খন্ডন করে অধ্যাপক ডঃ এম এম আকাশ
৫। আনু মুহাম্মদের সাক্ষাৎকার
এখানে উল্লেখ্য, আনু মুহাম্মদের সাক্ষাৎকার মোট ৭ টি ভাগে আপলোড করা আছে। আমি প্রথমটি দিয়েছি শুধু।
খ।
সানাউল্লাহ ভাই চারটি লিংক দিয়েছেন। এর মধ্যে একটা আগেই যোগ করেছি। নতুন তিনটি যোগ করে দিলাম।
১। গ্যাস অংশীদারি চুক্তি: ‘আমরা পারব না’—এই হীনম্মন্যতাই বড় বাধা: আনু মুহ্ম্মদ
২। সমুদ্রবক্ষে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান: বিতর্কে কনোকোর সঙ্গে করা পিএসসি: অরুণ কর্মকার
সচলে একটি লেখা পেলাম
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ফয়েজ ভাই, আপনার পোস্টের কথাগুলো আমার নিজের মনের কথাও বটে। আমিও জানতেচ্ছু। সবার আলোচনার অপেক্ষায় রইলাম।
তবে প্রাসঙ্গিক মনে করে কিছু কথা না বলে পারছি না। প্রথমত ফেসবুক জুড়ে পীরনে পীর জাফর সাহেবের পুরনো লেখার লিংক নিয়ে বেশ মাতামাতি হচ্ছে। অথচ ভদ্রলোক নিজে রহস্যময় ভাবে চুপ। যাই হোক সেই লেখাটার কন্টেন্ট থেকে বুঝলাম এই চুক্তি আমাদের জন্য আত্মঘাতি। সেটা দশ বছর আগে যে স্বরূপ ছিলো এখনও তাই আছে। তাহলে সমাধান কি?? সমাধান হলো আম পাড়তে শিখা। মানে বাপেক্স কিংবা পেট্রো বাংলা সহ দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে প্রমোট করা। প্রমোট করার কাজ কি শুধু সরকারের?? আমাদের কি কিছুই করার নেই? আমি বলবো গত দশ বছরে দেশীয় প্রতিষ্ঠান কতটুকু এগিয়েছে। উত্তর হলো শূন্য। তার জন্য সরকারের সদিচ্ছার অভাব আছে মানছি। আমরা নিজেরাও কি চেষ্টা করেছি?? যেসব লোকজন ভার্চুয়ালে গলা ফাটাচ্চেন তাদের অনেককেই আমি চিনি যারা সরকারি চাকরিতে ঢুকেননি চেষ্টাও করেন নি। সরাসরি মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে ঢুকেছেন। তাহলে তিনি কি বিবেকের কাছে পরিষ্কার? প্রকৌশলী হিসাবে আমি কি নিজের কাছে পরিষ্কার?
হয়তো এই চুক্তি জংণের সবার মতে বাতিল হলো, তাতে কি সব সমস্যার সমাধান হবে। না, বরং মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি ছোবল মারতেই থাকবে ক্রমাগত। দেশের কথা নিয়ে বিদেশে অবস্থান কারী দেশপ্রেমিক এবং দেশীয় সুশীলরা অনেকেই অনেক কথা বলছেন। বাট তারা নিজেরা কি করেছেন? আমি আমরা কি করেছি???
এই প্রশ্ংুলোর জবাব আপাতত আমার কাছে নেই।
আমিন তুমি কি দেশীয় বিনিয়োগকারীদের কথা বলছো? কিংবা পিপিপি এর মত কিছু? এর সুযোগ কি বিদ্যমান আইনে আছে?
যতটুকু বুজেছি আফ-শোর মাইনিং অনেক জটিল একটা ব্যাপার। হুট করে দেশীয় বিনিয়োগ আসবে না। আর এটা খুব সেনসেটিভ ইস্যু, সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে।
বাসাবাড়িতে গ্যাস দেয়া খুব আনপ্রোডাক্টিভ একটা কাজ হয়েছে। বাসাবাড়ির জন্য সিলিন্ডারই বেস্ট। আর বিদ্যমান গ্যাসটুকুর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য কোন সেক্টরে কি পরিমান ব্যবহার হবে তার রেসিও করা দরকার। যেমন বিদ্যুৎ, বিদ্যুৎ এর একটা বড় যোগান আমরা কয়লা দিয়ে করতে পারি।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
গ্যাস তুলতে না পারলে সেটা আমরা কি ১০ বছর পরে তুলতে পারি না। খনিজ তেল তো পচনশীল কিছু না যে না তুললে নষ্ট হয়ে যাবে। আমাদের expertise না থাকলে সেটা তৈরি করার ব্যবস্থা করা হউক। ১০ বছর পরে আমরা গ্যাস তুলি। এখন অন্যের হাতে কেন গ্যাস তুলে দিব?
আসলে আমার ধারনা সরকার যে চিন্তা করে গ্যাসের ব্যাপারে এগুচ্ছে তা পূরন হবে না। এই মেয়াদে গ্যাস আসছে না, ঘাটতি থাকবে।
কিন্তু সরকার চাইছে সাময়িক অসুবিধা থেকে দ্রুত বের হয়ে আসতে। গ্যাস সংকটের কারনে বিদ্যুৎ এবং উৎপাদন খাত ব্যাহত হচ্ছে, সরকার (যদি সাদা চোখে ভাবি) এখানে দ্রুত গ্যাসের যোগান দিতে চাচ্ছে। ভবিষ্যৎ এর কথা ভাবছে না।
অর্থাৎ আমরা সাময়িক সুবিধার জন্য আরও বড় বিপদের দিকে যাচ্ছি। কিন্তু সরকারের এই আশাও পূরন হবে না, কারন অফ-শোর এনার্জি মূল পাইপে আনতে এই টার্ম শেষ হয়ে যাবে। লাভের খাতায় আওয়ামী লীগের কিছুই যোগ হবে না।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আমি এরকম একটা পোস্ট আশা করছিলাম। এখনও অতো বিস্তারিত কিছু জানি না। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে একটা সময় আমেরিকাকে তোয়াক্কা না করার ভাব দেখিয়ে এখন তার সুদ আশল শোধ করার জন্য এই ধরনের চুক্তি করে বড় বসদের খুশি করতে হচ্ছে। নেতৃত্বের আর কি চিন্তা দিন শেষে কমিশনের টাকা পেলেই হয়।
অঃটঃ এই অন্তর্জালের যুগে প্রবাসীদের খুব আলাদা করে দেখার জন্য এক ধরনের কষ্টবোধ হয়।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আপু, অফটপিক নিয়েই বলি, যেহেতু এটা একটা ইমোশনাল ব্যাপার 🙂
প্রবাসীদের আমরা দেশীরা আসলে আলাদা করে দেখতে চাইনা, কিন্তু তাদের কাজকর্মই তাদের আলাদা করে রাখে, কারন তাঁরা নিজেদের "এলিট" করে রাখতে পছন্দ করে। এবং তাঁরা সুবিধাভোগী শ্রেনী, তাঁরা নিজেদের সুবিধার জন্যই সবকিছু করে বলে আমার ধারনা। এই ধারনা পালটে দেবার মত তেমন কোন উদাহরন নেই, তবে কিছু "ব্যতিক্রম" ব্যক্তিত্ব আছে।
কই মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমিক শ্রেনী, যাদের রেমিটেন্সে অর্থনীতি চলে, তাদের তো এসবে বিন্দুমাত্র মাথাব্যাথা দেখি না। তাদের কস্টটুকু আমার আসলেই কস্ট মনে হয়। আর আপনাদের কস্টটুকু আমার কাছে একধরনের "বিলাসিতা" ছাড়া আর কিছু নয়।
অনটপিকে আলোচনা করব, আরও কিছু ইনপুট দেখে নেই।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ফয়েজ - আমি মনে করি একজন মানুষ তার চিন্তাভাবনায় আন্তর্জাতিকতা আনতে হলে সমাজের বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষের পরিচিত হওয়া সাথে কিম্বা বিভিন্ন পরিবেশে কিছুদিন থাকা দরকার। প্রবাসী এলিট শ্রেনী সুবিধাবাদী - খুব সহজে কথাটা বলে দিতে পারলে। লাখ, লাখ এলিট প্রবাসী আছে, কয়জন দেশ নিয়ে মাথা ঘামায়?
মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমিক আর প্রবাসী এলিট নিয়ে যে কথা বললে একই কথা তো আমিও বলতে পারি - বাংলাদেশের বিশাল কৃষকসমাজ যাদের কারণে অর্থনীতির চাকা ঘোরে তারা তো ব্লগিং করে না। ম্যাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কাজ করা এলিট ফয়েজ কেন দেশ নিয়ে এতো আহাজারির ব্লগিং করে? আবার দেখো তোমার বয়সী কয়জন এলিট ফয়েজ ব্লগিং করছে? যে করছে সে তো মনের তারণাতেই করছে। এতে সুবিধাবাদের কি আছে?
এই বে এড়িয়া থেকেই প্রতিবছর বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্ছলের বিশাল সংখ্যক সুবিধাবঞ্ছিত ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে বৃত্তির টাকা পৌছে। এখানে তিনটা অরগানাইজেশন আছে স্পন্দনবি, আগামো, ইকো। দেশে কত কর্মসংস্থান তৈরী করেছে বা বৃত্তি পাঠিয়েছে তার সঠিক সংখ্যাটা এই মুহূর্তে বলতে পারবো না। তবে এখানকার একজন বিশিষ্ট ব্যাক্তি নিজে একাই কয়েক বছরের জন্য পাঁচ হাজার স্টুডেন্ট স্পনসর করেছেন।
সিংগাপুর, মালয়েশিয়া, চীন বা ভারতের পরিবর্তনে কিন্তু প্রবাসীরা বড় ভূমিকা রেখেছে। তারা নিজদেশে ফিরে গিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকা বদলে দিয়েছে। সৌভাগ্য যে তাদেরকে ব্যবহার করার মতো নেতৃত্ব সে দেশগুলোর ছিল।
আরেকটা কথা বড় বড় ফিলসফার, নেতা, বিজ্ঞানী কিন্তু এই এলিট সমাজ থেকেই এসেছে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
🙂
১। আপু, সবার কথা তো বলিনি। বলেছি যারা নিজেদের প্রকাশ করছে তাদের কথা।
২। দেশের সুশীল সমাজের কথাও বলেছি ব্লগে, তারা নিশ্চুপ কেন জানতে চেয়েছি।
৩। মাল্টিন্যাশনালে চাকুরী করি বলি আর গালি দিতে পারবেন না, চাকুরী ছেড়ে দিয়েছি 😛 । আমি এখন দেশী উদ্দোক্ত্যদের কাতারে। 😀
আপু বিদেশের ব্যাপারে আমি খুব ইমোশনাল হয়ে যাই, অনেক কারন আছে, আমরা বরং এটা নিয়ে অন্যখানে আলাপ করবো, আপাতত এটুকু জানতে চাই "আমাদের প্রবাসী জনগন এনার্জি সেক্টরের এটা নিয়ে কিছু ভাবছেন না কেন? কেন এই টপিকটা ডঃ ইউনূসের মত এত হট আইটেম হয়ে উঠেনি তাদের কাছে"? আপাতত এই উত্তরটুকু দিয়ে যান।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
যাই হোক প্রবাসী প্যাচাল দীর্ঘ করবো না। তোমার আবেগটা বুঝতে পারি।
তুমি দেশে থেকে তেমন কিছু জানছো না। কিন্তু আশা করছো প্রবাসীরা আন্দোলন গড়ে তুলবে। ভাল কথা। ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসের প্রসংগের মোড়কে বাংলাদেশের আইনের শাসনের রূপটি বুঝতে চেয়েছি। একটি দেশের নাগরিকদের জন্য যা অপরিহার্য অধিকার। এখন দেখি প্রাক্তন বিচারপতি, ব্যারিস্টার, বিরোধী দলের নেত্রী (অহী তত্ত্ব) সবাই বাংলাদেশের আইনের শাসনকে একটি প্রহসণ হিসেবে দেখছে।
যে হামিদ কারজার ভয়ে ছিল সবাই এখন তো দেখা যাচ্ছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীই নিজেকে এই ভূমিকার জন্য সবচেয়ে যোগ্য ভেবেছেন। এই ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পোস্ট আশা করছি।
একজন ব্লগার কি লেখেন সেটাই তার পরিচয়। তার অবস্থান নিয়ে অতো সন্দিহান হওয়ার কিছু নেই।
উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য অনেক অনেক স্বাগতম।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
নতুন করে ৫ টি ভুক্তি যোগ করা হল।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ফয়েজ: পিএসসিতে কি আছে তা নিয়ে এর মধ্যে বেশ লেখালেখি হয়েছে। আশা করা যায়, আগামী দিনগুলোতেও আলোচনা চলতে থাকবে। নানা মতের এসব লেখা পড়লেই কনোকো ফিলিপসের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে নিজের পক্ষ তুমি ঠিক করে নিতে পারো। নিচে কয়েকটি লিংক দিলাম।
একটা বিষয়, অনেকের মধ্যে একটা ধারণা দেখলাম যেটা তোমার লেখাতেও এসেছে; সবাইকে সব বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিস্কার করতে হবে। কেন? আমি ইউনূস বিষয়ে সোচ্চার হলে তেল-গ্যাস চুক্তি নিয়ে আমাকেই বলতে হবে কেন? কিম্বা আমি আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচার চাই বলে নারী নির্যাতন নিয়ে আমাকেই সোচ্চার অবস্থান নিতে হবে কেন? এই যে আমি রুমানা বা নারী নির্যাতন নিয়ে লিখেছি, তুমি তেল-গ্যাস চুক্তি নিয়ে লিখেছো, মাহমুদ ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে লিখেছিল- তাতে সমস্যা কোথায়? অসহিষ্ণু হয়ো না। অন্যের স্বাধীনতাকে আমি সম্মান না করলে আমারটাকে অন্যেরা মানবে কেন?
এমন কথা অনেকেই বলে। ড. ইউনূস ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে, দারিদ্র নিয়ে এতো লাফালাফি করেন যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে কিছু বলেন না কেন? হয়তো তিনি এ নিয়ে আগ্রহ পান না। হয়তো তিনি এটার পক্ষে নন। নানা সংশয় হতে পারে, অনেকে সেটা প্রকাশ করতে পারে। কিছু না বলার স্বাধীনতা ড. ইউনূসেরও আছে। তিনি তো বিরুদ্ধেও বলেননি বা কাজ করেননি, তাই না?
আসলে আমরা প্রত্যেকে ভিন্ন ভিন্ন স্বত্তা। প্রত্যেকের চিন্তা-ভাবনা আলাদা। একেকজনের কাছে একেক সময় অগ্রাধিকার একেকটা। কেউ তো বলতে পারে, আনু মুহাম্মদরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে সরব নন কেন? ইউনূসকে যেভাবে হেনস্তা করা হলো, তখন সুশীল অনেকেই কোথায় ছিলেন বা আছেন? আসলে এসব প্রশ্নের কোনো অর্থ হয় না। প্রত্যেকেই যার যার অগ্রাধিকার নিয়ে চলেন।
বেশি বক্তৃতা হয়ে গেলে মাফ করে দিও। এবার নিচের লিংকগুলো দেখো, পড়ো এবং সংরক্ষণ করো। নিজের অবস্থান নিজে জেনে-বুঝে নাও। তারপর না হয়, আমরা একটা চমৎকার বিতর্ক করি। 😀
১. গ্যাস অংশীদারি চুক্তি: ‘আমরা পারব না’—এই হীনম্মন্যতাই বড় বাধা: আনু মুহ্ম্মদ
২. প্রাকৃতিক সম্পদ: গ্যাস উৎপাদন অংশীদারি চুক্তির সহজ পাঠ: ম. তামিম
৩. সমুদ্রবক্ষে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান: বিতর্কে কনোকোর সঙ্গে করা পিএসসি: অরুণ কর্মকার
৪. আগের পিএসসি ও কনোকোর মুনাফা বণ্টনের চিত্র
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
ভাইয়া,
চমৎকার পয়েন্ট বলেছেন। এভাবে ভাবিনি। সত্যিই তো, সবাইকেই সব বিষয়ে কথা বলাটা এক ধরনের বাহুল্য। এটা আমার একধরনের ইমম্যাচিউরিটি হতে পারে। এনিওয়ে, শিখছি 🙂
মডেল পিএসসির লিংক যুক্ত করেছি। ১১৩ পৃস্টা ~x( । এইটা কবে পড়ে শেষ করতে পারবো আমি 😕
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
সানা ভাই - একদম মনের কথা বলেছেন। অনেক দিকে ফোকাস দিতে চাইলে কোন একটা বিষয়ের গভীরে ঢোকা যায় না - এই সাধারণ ব্যাপারটা আমরা ভুলতে বসেছি।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
পিএসসির আর্টিকেল ১৪, ১৫, ১৬, ১৭ এবং ১৮ ভালো ইংরেজী জানা কেউ কি বাংলা করে দিতে পারবেন, আইন বা এগ্রিমেন্ট সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকা দরকার, যিনি অনুবাদ করবেন।
আমি চেস্টা করছি, এবং পেচিয়ে ফেলছি 🙂
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ফয়েজ ভাই, একটি সাংঘাতিক গুরুত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে চিন্তা শুরু করেছেন। জানার আগ্রহ দেখিয়ে সবার জন্য ব্লগ দিয়েছেন। সেজন্য সাধুবাদ।
বিষয়টি গুরুত্বপূর্ন হলেও ভৌতিক কারণে বেশিরভাগ মানুষকেই কম স্পর্শ করে। আমি আমার বাম ঘরানার বন্ধু-বান্ধব ছাড়া এইটা নিয়ে খুব মানুষকেই কথা বলতে শুনি বা আগ্রহ দেখাতে দেখি।
মূল ব্যাপার হলো, গরীবের ঘরে সুন্দরী বউ থাকতে নাই।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
* খুব কম মানুষকেই
আমার বন্ধুয়া বিহনে
এই বিষয়ে আলোচনা শুনছিলাম ইদানিং। আপনার এই পোস্টটা বিস্তারিত জানতে সাহায্য করবে। ধন্যবাদ 🙂