পূর্ব প্রকাশের পর…
রাইন!
ইশ! কতো কিছু মনে করায় দিচ্ছেন!
আরেকটা গাছ ছিলো। ফুলার রোডের ঐ পাড়া। ভিসির বাড়ি আর ইউনিভার্সিটির মাঝখানে একটা আইল্যান্ড ছিলো, তিনকোনা। সেই আইল্যান্ডের মাঝখানে… মাঝখানেই তো।
একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ। আমি ল্যাবরেটরি স্কুলের যেতাম আর উইক-এন্ডে ঐ খানেই ছায়ানট, নাচ শিখতাম। কখন ফোটে কৃষ্ণচূড়া? গ্রীষ্মকালে?
পুরা রাস্তায় পাঁপড়ি ছড়িয়ে থাকতো আর আমি মাঝে মাঝে তুলতাম। ডায়েরিতে রাখতাম।
আমার একটা বান্ধবী ছিলো। নাম হলো দিয়া। ও পুরনো উদয়ন স্কুল যেখানে ছিলো, তার পাশের পাড়ায় থাকতো। একদিন এমন বৃষ্টি আসলো, ওর কোনো ছাতা নাই আর আমার কাছে একটা ছাতা। আমরা দুই জন এক ছাতার তলায় আসলাম দৌড়াতে দৌড়াতে। কিন্তু বৃষ্টিতে ভিজলাম ঠিকই। পরে, আমার পাড়ার গেইট পর্যন্ত এসে ওকে দিয়ে দিলাম ছাতাটা। আর আমি আরো ভিজতে ভিজতে বাসায় ফিরলাম। বৃষ্টিটা অনেক ভালো ছিলো। অনেক!
চশমা নেয়ার আমারও শখ ছিলো জানেন? আমাদের বাসায় একটা ফ্যামিলি আসলো বেড়াতে। উনাদের তিন ছেলেমেয়ে। সবগুলার চশমা পড়তো! আমার শখ অবশ্য মিটেছে। এখন ড্রাইভ করতে হলে চশমা পড়তে হয়। কিন্তু এখন আর ভালো লাগে না। স্পেশালি বৃষ্টির মধ্যে মহা যন্ত্রণা। তখন মনে হয় চশমায় যদি ওয়াইপার থাকতো, গাড়ির মতোন!
কী দারুণ বলেন? যেই গাছটা আমি দেখতাম ঐ গাছটা আপনিও দেখেছেন। এটা একটা যোগাযোগ। আপনার সাথে আমার, না? এই রকম আমার ভালো লাগে। মনে হয় যে আপনাকে আরো কত্তো আগে থেকেই চিনি… যখন চিনতাম না…
সুন্দর করে বলসেন, অধিকারের কথা। অধিকারবোধ আর অধিকার এক জিনিস না, তাই না? বোধহয় একটা অনুরণনের মতোন… মাঝে মাঝে অধিকার জন্মাবার আগে থেকেই অনুভূতিটা থাকে… আবার শেষ হওয়ার পরও বাজতে থাকে।
আপনার বাসায় ফেরার কথা শুনে আমার অনেক আগে লেখা একটা কবিতার কথা মনে পড়লো-
জুতার ভেতর কেমন করে ছোট্ট একটা পাথর কুচি
ঢুকে আছে, খুব আয়েশে।
আমি এখন পথে পথে ব্যস্তথাকি, সমস্তদিন।
আমি এখন ভদ্রমানুষ, তাই থামিনা, থামতে মানা।
তবু আমার মোবাইল ফোনে, মৃত্যু এল তরঙ্গিত
আমার ঘরে পর্দা টানা, নতুন বাতাস ঢুকতে মানা
তবু দেখো, মৃত্যু কেমন ঘুরছে আমার ঘরটা জুড়ে।
একটা ছবি, একটা হাসি, ভালোমানুষ গোবেচারা।
মৃত্যু মানে আমার কাছে, হলুদ হওয়া একটা কাগজ
হারিয়ে যাওয়া, হারিয়ে যাওয়া…
মৃত্যু মানে আর খুব জোড়, কয়েক ফোঁটা চোখের পানি,
বুকের মধ্যে একটুখানি, থমকে যাওয়া রুগ্ন বাতাস
আর কিছু না, আর কিছু না।
তবু যখন অন্ধকারে, অফিস পাড়া ঘুমিয়ে পড়ে।
আমি তখন গুটি গুটি, ফিরতে থাকি, ঘুরতে থাকি।
আমি তখন অন্ধকারে, একটা জানলা আলোকিত
যায় না ছোঁয়া, যায় না ছোঁয়া…
কিংবা যখন অফিস ঘরে।
জানলা বেয়ে গড়িয়ে নামে অন্ধকারের তরল শরীর।
নিয়ন বাতির বিশাল ঘোরে, নিরবতা ঘুরতে থাকে।
ব্যস্ত আমার আঙুলগুলো থমকে থামে,
কানের পাশে কার নিঃশ্বাস? হাসতে থাকে হাসন রাজা।
জুতার ভেতর পাথর কুচি, তুলতে মানা, যায় না থামা।
এখন দেখছি বানানগুলা কেমন উল্টা-পাল্টা হয়ে আছে… একদম শেষের দিকে একটা অফিস থেকে ফেরার কথা আছে… ঐ অনুভূতিটা মনে হয় আপনার মতোন…
নিয়ন্তি
-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-
নিয়ন্তি,
কবিতায় এতো মৃত্যু কেনো??
আমি এমনিতেই মরবিড হয়ে আছি। মৃত্যুচিন্তা করি না, এটা আসলে আমার অস্তিত্ব নিয়ে আজীবন ধরে চলমান ভয়, শঙ্কা। আমি নিজের অস্তিত্ব হারাতে খুব ভয় পাই। এজন্য কখনই মৃত্যু নিয়ে লিখি না। লিখতে পারিও না সেরকম!
আপনি আগে অনেক ‘ফ্লুয়েন্ট’ কবিতা লিখতেন। এখন লেখেন না কেনো?
বৃষ্টি নিয়ে আমার কলেজের একটা স্মৃতি মনে পড়লো। আমি তখন একটা কোচিংয়ে পড়তাম। এক স্যারের কাছে অঙ্ক, আরেকজনের কাছে কেমিস্ট্রি। একই গলিতে দু’জন স্যার, পড়ার টাইমটাও ছিলো পরপর। পড়া শেষ হলে হেঁটে হেঁটে বাসায় আসতাম।
ওটা পুরো ছেলেদের ব্যাচ ছিলো। তারপরে মেয়েদের ব্যাচে জায়গা হয়নি বলে দু’টা মেয়ে পড়তে এলো! আর সব ছেলেগুলা অতিরিক্ত এটেনশন দেয়া শুরু করলো, বুঝেনই সতের বছর বয়েস।
আমার কেনো জানি সতের বছরের তরুণীদের তখন থেকেই দূর্বোধ্য লাগতো। কথা, চাহনি, সবকিছু। তাই এড়িয়ে চলতাম। একজনের তাতে কৃপা হলো, আমার প্রতি নজর পড়লো। অন্য সব শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে সে আমার সাথে যেচে কথা বলতো। আমি তাতে বিরাট বিব্রত হতাম, বিব্রত হলে আমার কান লাল হয়ে যায়। যারা জানতো ব্যাপারটা সেই বন্ধুরা বিরাট ক্ষেপানো শুরু করলো! আর ক্রমেই আমার মেয়েটার উপরে রাগ বাড়তো।
অগাস্ট সেপ্টেম্বরের দিকে, বৃষ্টি মৌসুমে একদিন এরকম ঝুম নামলো। আমি হেঁটে হেঁটে যাচ্ছি ফুটপাত দিয়ে, খেয়াল করলাম মেয়েটা বড়ো কষ্ট করে ছাতা সামলে যাচ্ছে। প্রচণ্ড বাতাস! ছাতা শেষমেশ ভেঙেই গেলো উল্টা হয়ে। আই দৌড়ে ওটা কুড়িয়ে দিলাম আর কী বেকুবের মতো বললাম, ‘স্যরি’, যেনো আমি ওটা ভেঙে ফেলেছি!
মেয়েটা ঐ বৃষ্টির তোপের মধ্যেও হেসে ফেলেছিলো। তারপরে ওড়না দিয়ে মাথা ঢেকে দ্রুত-হাঁটা। আমি আমার প্রায় খালি ব্যাগ (ওটার ভেতরে দুয়েকটা খাতা ছিলো) ওর মাথায় ধরলাম। মেয়েটা এমনভাবে তাকালো!!…।।
বাসায় ফিরে জ্বর, ঠাণ্ডা। কোচিং বন্ধ। তারপরে পরীক্ষা চলে এলো আর কোচিংটা বন্ধ করে দিলাম। পরীক্ষার পরে, মাঝে তিনমাস চলে গেছে, স্যারের বাসায় গিয়েছিলাম একদিন দেখা করতে। মেয়েটা হতো অন্য কোনো কোচিংয়ে চলে গেছে। দেখা হয়নি আর কোনোদিন!
তখন বুঝিনাই, এখন বুঝি। এ ধরনের স্মৃতিগুলো মনে হয় মানুষকে অনেক বড়ো করে দেয়, পরিপক্ক করে দেয়। তখন যে ভাবালুতা কাজ করতো, মেয়েটার জন্য একটা করুণ কান্না পেতো মাঝে মাঝে। মনে হতো, ওকে একবার দেখতে পেলে বেশ হয়। জীবন নীরবেই শিখিয়ে দিচ্ছে, দেখা পেলে বেশ হতো না! তাতে আমার শেখা হতো না, যে মানুষের জীবনটাই এমন। ফ্রেম ফ্রেম সারি সারি মুখ, কিন্তু কেউই কারো আপন নয়!!
অনেক বাজে এখন। আপনার অফিস টাইমের বারোটা বাজাচ্ছি। স্মৃতিকাতরতা মার্জনা হউক!
রাইন
(চলবে)
🙂
ইটা
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
নাহ তহোর লেখার জবাব নেই...কই জানি নিয়া চলে যাস(সিরিয়াস কমেন্টের ভাত নাই :bash: )
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
আমার পাগলা ঘোড়া রে/ কই থিকা কই লইয়া যাস! :ahem:
ইটা, বিটা আর থিটা এক বোন দুই ভাই। আপনে খালি বোনটার নাম নিতেছেন, ভাই দুইটা কি দোষ করছে?? :grr: :grr:
সম মেরু পরস্পরকে বিকর্ষণ করে 😕 😕
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
নাহহ এ তো খুব মুশকিল! এতো কিছু মিলে গেলে তো খুব সমস্যা :-/
কবিতা খুব কম পড়ি। বুঝিনা,তাই...তারপর ও কবিতা টা আপন আপন লাগলো...
টুম্পা ভাবি আমি তো ভেবে ভেবে লিখতেছি। আপনার সাথে মিলে গেছে এইটাই তো আশ্চর্যের বিষয়! 😕
তবে আপনি এতো মনোযোগ দিয়ে পড়তেছেন বলে খুব ভালো লাগছে... ধন্যবাদ! :hatsoff:
:dreamy: :dreamy: :dreamy:
=(( =(( =((
জীবনের শিক্ষা ম্যান। জীবনের শিক্ষা। 🙁
চমৎকার লাগল আন্দা।
সত্য কথা। 🙂
জ্বি বস, প্রকৃত সত্যের কাছাকাছি সত্য। (কারণ কেউ কেউ আবার আপনের চেয়েও আপন হয়)!
:boss:
অসাধারন ...... এক সময় অনেক চিঠি লিখতাম ...... স্মৃতিকাতর হয়ে গেলাম রে ভাই ......
একসময় তো আমরা সবাই-ই চিঠি লিখতাম, প্রতি সপ্তাহে! 😛
আপনাকে স্মৃতিকাতর করে দিতে পেরে ভালো লাগছে, মাইনুল ভাই! :dreamy:
সবিনয় নিবেদনের কথা মনে পড়ে গেল 😡 😡 ....
আন্দাভাই,সবসময় হয়তো কমেন্ট করতে পারিনা...তবে সিরিজটা পরতেসি...হেভী হইতেসে :hatsoff: :hatsoff:
সবিনয়ে বলি সবিনয় বাদ দেয়ার চেষ্টায় আছি!
পড়তেছো জেনেই খুশ লাগতেছে! পড়তে থাকো, মাঝে মাঝে আওয়াজ দিও যাতে আমিও লিখতে থাকি। 🙂
😀
আইচ্ছা আওয়াজ দিলাম, তোমার লেখা পড়ছি
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ওহ! এখন এই শীতার্ত সন্ধ্যায় আপনার এইটুকু আওয়াজ কী যে উষ্ণতা মনে ছড়িয়ে দিলো ফয়েজ ভাই! ইচ্ছা হচ্ছে খুশিতে ধেই ধেই করে নাচি! :awesome:
থেংকু ভাই, পড়ার জন্যে।
আমিও আওয়াজ দিলাম... 😀
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
তোমার আওয়াজে কেউ নাচলোনা 🙁
খালি রেশাদ ভাইয়ের মুখ গোমড়া হয়ে গেলো! =))
ধরা খাইলাম নাকি বুঝলাম্না 😕
রেশাদ ভাই, আমার আওয়াজ ফয়েজ ভাই এর মতন ছন্দময় নয় মনে হয়... 🙁
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
ব্যাপার না কবীর ভাই। মাত্রাবৃত্ত ছন্দটি শিখে নিলেই আপনার আওয়াজে সংক্ষিপ্ত নৃত্যকলা দেখিয়ে দিবো। :-B
আন্দালিব নাচতেও পারে!!! আহা ছেলেটার কত গুণ...
অটঃ আমি শুন্সিলাম পোলাটা নাকি নাচাইতে পারে আরো ভাল 😀
কে না কে, নাচানাচি কইরা আপনেরে নালিশ দিসে। আর আপনি পুরা পিকনিকের রাস্তা আমার সাথে গল্প করতে করতে গেলেন, একবার ভেরিফাইও করলেন না! :((
আমিও 😀
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
দারুন হচ্ছে সিরিজটা... =)) =))
হাসিস না হাসিস না। পরে... (থাক কইলাম না :grr: )
জীবনের চরম সত্য...
লিখলাম গল্প। সবাই পাইলো সত্য! :bash:
ভেতরটা কেমন জানি কইরা উঠল 🙁 আবার পাঁচ তারা 🙂
এই কেমন কইরা উঠার কাহিনী আমি ও জাতি জানতে চাই! 😀
সিরিজের একটা সমস্যা জানেন আন্দা ভাই, এক পর্ব পড়লে পরের গুলা পড়তে ইচ্ছে করে 🙂 পরের টা একটু তাড়াতাড়ি দেন 🙂
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
প্রতিদিন বিকালে একটা কৈরা দিবো। তাইলে হবে তো? (একদিনের কম বিরতিতে দিলে পর পর চলে আসে পোস্ট। সেটা আবার বাজে দেখায়... তাই।
মন খারাপ করা সুন্দর...
এরকম একটা লেখা পড়ার বিনিময়ে অনেক কিছুই ছেড়ে দেয়া যায়।
এমনে বললে খেলুম না। আগে একটা কবিতা দিয়েও আপনার এমন মারাত্মক কমেন্ত পাইছিলাম। এগুলাকে আমি কমেন্ত বলি, ধারালো ছুরির মতো অনায়াসে কেটে ফেলে!
বস্ তাইলে ফার্স্ট চান্সে চাকরিডা ছাইড়া দেন :grr:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
;)) ;))
:khekz:
দিলাম... বিনিময়ে?
বিনিময়ে আন্দায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকঃ পর্ব ৩ দিবো কইসে 😀
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
সেকি ভাইয়া আপনি'ই তো কইসেন, সব ছাইড়া দেওন যায় ।
এখন বিনিময়ে চাইতাসেন ক্যান?? 😛
আপু ওই কথাটা () এর ভিতর ছিলো...
মন খারাপ ক্যানো শুনতে চাও?
লেখক ক্লান্ত হয়ে পড়ে, পাঠক হয়না। একটা সময় আসবে যখন তুমি আর এটা কন্টিনিউ করবেনা, হয়তো মনেও থাকবেনা, কিন্তু আমি খুঁজবো, আর খুঁজেও পাবোনা। যেকোনো কিছুই শেষ হয়ে যাবে এটা ভাবতেই আমার খারাপ লাগে, সেই তুলনায় এই ব্লগ যেকোনো কিছুর চেয়ে অনেক বেশী।
এটা তো শুরুই হয়েছে শেষ হয়ে যাবে বলে! আর হয়তো দুইটা পর্ব হবে। সেখানেই শেষ। চার পর্বের "ক্ষুদ্ররাতের-চেইনমেইল"।
আপনার কমেন্তের সৌন্দর্য আমাদেরকে আপনার লেখা পড়ার জন্যে আগ্রহী করে তুলছে। দোহাই লাগে একটা লেখা দেন...!
মাথা খারাপ... শেষে আম-ছালা দুটাই যাবে, এই রিস্ক নিমুনা :))
আম-ছালা যাবেনা,
রিস্ক নিয়ে লিখা দিয়াই দেন 🙂
হ দিহান ভাবি আমছালা ধইরা রাখবে। আপনে সাহস কৈরা লিখে ফেলেন! 😀
তুমি জানবেও না যে এই লেখাটা তোমায় নিয়ে... লেখাটায় লেখক কোন কমেন্টের জবাব দেননাই ক্যান জাতি হালকা জানতে চাইসে :dreamy:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
জাতি যেদিন জেলহত্যার আসামীদের ফাঁসিতে ঝুলাবে সেদিন এই গূঢ় ড়হস্য ভেদ করা হবে! :-B
খালি দিহান ভাবি ক্যান? আন্দা'ও ধইরা রাখবো। :grr: :grr:
বাহ, একজনে আম আরেকজনে ছালা ধরবো 😀 রেশাদ ভাই রিস্ক টারে তাইলে আমরা ধরুমনে, আপ্নে লেখেন 😛
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
তো, ঠিকাছে। দিহান ভাবী- ছালা ধরেন। আমি আম ধরি। কাইয়ূম ভাই কী বলেন? ওহ স্যরি আপনি তো :just: রিস্ক ধরে আছেন! :khekz:
সেকি আন্দা তুমি না কইলা তুমি ছালা ধরবা ;))
পোলাপান, এত চমৎকার একটা লেখার তোমরা কিন্তু বারোটা বাজাইবা এইভাবে কমেন্ট করলে... মিষ্টি খাওয়াখাওয়ির কথা মনে রাইখো।
পোলাপান খ্যামা দে, 😀
রেশাদ ভাই, শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে একটা লেখা দিয়েই দেন... O:-)
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
হ ঠিকাছে। শত্রুরে ধরে রাখবে জুনা ভাই। ছাই না হয় আমিই ধরলাম 🙂
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
রেশাদ ভাই খালি লেখাটা ধরেন :grr:
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
ফুলার রোডের ঐ পাড়া। ভিসির বাড়ি আর ইউনিভার্সিটির মাঝখানে একটা আইল্যান্ড ছিলো, তিনকোনা :(( :(( :(( হ ফুলার রোদেই তো,ব্রিটিশ কাউন্সিলের অপজিটে সি টু টাওয়ার ভবন :(( :(( আন্দাদা, কি মনে করায় দিলেন গো দাদা-আমার দীর্ঘশ্বাসে তো আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠছে দাদা... 🙁 🙁
তবে হ্যাঁ,বর্তমানে বেইলী রোডে গেলে ফুলার রোডের দুঃখ ভুলে যাই :shy: :shy:
এই রাস্তা দিয়ে একটা দীর্ঘসময় আমি বিকেল বেলায় রিকশা করে টিউশানিতে যেতাম। অদ্ভুত একটা সময় মগজের ভেতরে গেঁথে গেছে...
আগের পর্বে কমেন্ট করতে গিয়েও সময়ের অভাব এ করি নি।লেখা কেমন হয়েছে জানি না, পড়তে ভালো লাগছে, শান্তি শান্তি লাগছে।
কেমিস্ট্রি আর ম্যাথ টিচার এর কথায় কেন জানি সিদ্ধেশরী কালিমন্দিরের পাশে বিশবজিত আর বিদ্যাসাগর স্যার এর কথা মনে পরে গেলো।
জব লাইফ, চশমা এইসব তো পুরা আমার জীবন থেকে নেওয়া...
বলো কি! আমি দেখি সবার জীবন থেকে গল্প নেয়া শুরু করে দিলাম! এই অসম্ভব কার্য কি করে সম্ভব হলো?! 😐
মেলিতা, টিচারদের ব্যাপারটাও আমার নিজের অভিজ্ঞতার সাথে মিলে গেছে। আমি যেখানে পড়তাম, সেখানেও দু'জন টিচার একই গলিতে কাছাকাছি জায়গায় পড়াতেন (এরকম টিচারগণ কাছাকাছি থাকতেন মনে হয় ছাত্র পাওয়ার সুবিধার্তে)!
এরকম টুকরো টুকরো ঘটনা আসলে আমাদের সবার জীবনেই ঘটে গেছে মনে হয়। আমি কোনোটা শুনেছি, কোনোটা নিজে পেয়েছি। সব মিলিয়ে লিখছি। তোমার কমেন্ট পেয়ে খুব ভালো লাগলো।
কেমন আছো?
আছি ভালই
দেশ ছেড়ে যতখানি ভালো থাকা যায় 🙂
:thumbup:
আহা!! কিভাবে লিখে ফেলো ভাইডি, মনের কথা?
মন থেকে লিখলে সেটা আরেকমনে খুব সহজেই পৌঁছায়...
সেজন্য এমন ঘটছে। আপনার কল্পনাই আপনাকে বেশি স্মৃতিকাতর করছে। আমি কেবল অনুঘটক। 🙂
আচ্ছা, নিয়ন্তিই সেই মেয়েটা না তো? :gulti:
কোন মেয়েটা? 😕
আজকের পর্ব কই 🙁
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
একটু দেরি হলো আজ লিখতে। এখন পোস্ট করলাম। দেখো! 😀
সহজ ভাষায় সুন্দর করে লিখে যাচ্ছিস । বিফোর সানরাইয আর বিফোর সানসেট মুভি দু'টা দেখার সময় কেমন যেন স্বপ্নময় একটা অনুভূতি হচ্ছিল, এখনো সেরকম একটা অনুভূতি হচ্ছে । যাই পরের পর্ব পড়ে আসি ।
সত্যি বলি, আমি এই সিরিজের দুইটা পর্ব লেখার পরে গল্প সংকটে ভুগছিলাম। তারপরে বিফোর সানরাইজ বের করে দেখলাম। দু'টা মানুষ সারা রাত ধরে এতো এতো কথা বলে কিন্তু কখনই তাদের মাঝে গল্প করাটা একঘেঁয়ে হয় না! এমন উদাহরণ দেখলে নতুন নতুন কথার বিষয় মাথায় আসে।
আজকে বিফোর সানসেট ডাউনলোড দিলাম। অনেক আগে দেখেছিলাম বলে কাহিনী ভুলে গেছি। আবার দেখা লাগবে!
ধন্যবাদ বস। অমন অনবদ্য ছবির সাথে এই লেখার অনুভূতি মিলালেন, আমি তো খুশি হই গেলাম! 😀 😀
আরও আগে জানা উচিত ছিল এই সাইটে ভিজিট করা।