আমার ডায়েরীর একটা মূল বিষয় ছিল ‘’বয়েজ ক্যাডেটস’’। আমাদের সেইসময়কার মতে, বয়েজ ক্যাডেটরা অনভিজ্ঞতার কারনে মেয়েদের সাথে কথা বলার কৌশলে একদম কাঁচা ছিল। বেশির ভাগ ক্যাডেটরা ছিল নাক-উঁচা, লাজুক অথবা চরম নার্ড টাইপের (মেয়েরাসহ)। বিপরীত লিংগের সাথে পূর্বে অতি সীমিত মিলামিশার অভিজ্ঞতার কারনে ক্লাস নাইন-টেনে আমাদের ব্যাচের বয়েজ এবং গার্লস ক্যাডেটদের মাঝে অনেক ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল।
আমাদের ব্যাচের বয়েজ ক্যাডেটদের সঙ্গে আমাদের (ম.গ.ক.ক. ১৮তম ইনটেক) প্রথম পরিচয় হয় MABS কোচিং সেন্টারে। অবশ্যই MGCC মেয়েদের একমাত্র ক্যাডেট কলেজ হওয়াতে আমাদের বেইল বয়েজ ক্যাডেটদের কাছে যত না হওয়া উচিত তার চাইতে একটু বেশি ছিল। বয়েজ ক্যাডেটরাও আমরা ক্যাডেট হওয়াতে আমাদের সাথে অনেক কলেজের গল্প share করতে সাচ্ছন্দ্য বোধ করত। (আসলে অন্য মেয়েরা ওদের জোকসগুলো কম বুঝত। :D) মেয়েরা কি পানিশমেন্ট খায়, গেমস পিরিওডে কি পরে ইত্যাদি নিয়ে তাদের কৌতুহলের সীমা ছিলনা। আমাদেরও অনেক কৌতুহল ছিল কিন্তু ওদের ১০টা ক্যাডেট কলেজ হওয়াতে ওদের সবাইকে চিনা মুশকিল হয়ে যেত।
ডায়েরীর কিছু excerpt তুলে দিচ্ছি।
২৬শে অক্টোবর ১৯৯৮
” MABS এ কোচিং করলাম। অতি ভাল একটা কোচিং সেন্টার, তুলনা হয়না। অনেক বয়েজ ক্যাডেটদের সাথে পরিচিত হলাম।
M.C.C. – আলম/রুশো, মোস্তফা/সুমিত, মাশরুর, আল-রাজী
J.C.C. – ফারাবী, আন্দালীব, হাসনাইন, তাজ
F.C.C.- তাশফিক
বাকি নামগুলো মনে আসছেনা।” “
১লা ফেব্রুয়ারী ১৯৯৯
“”এবারের ছুটিতেও MABS এ কোচিং করলাম। কোচিং এ অনেক গোলমাল হত কারন মডেল টেস্টের জন্য টিচারের ঘাটতি ছিল। তাই আমরা ২৯জন একসাথে ক্লাস করেছি। এবার অনেক নতুন ছেলে ছিল। ওরা এসে গতবারের সুন্দর friendship-টার ১২টা বাজিয়ে দিয়েছে। সবচেয়ে বড় idiot ছিল শিশির। একবার আমারা দেখি আমাদের পিছনদিকের ডেস্কে লিখা – Pushon I love you. এইসব ফালতুমি দেখে খুব খারাপ লাগল।
ওদের মধ্যে আমার সবচেয়ে ভাল এবং matured মনে হয়েছে মোস্তফাকে (MCC)।ওর attitudeও খুব friendly, তাই আমরা ঠিক করলাম যে ওকে অ্যাপ্রোচ করব। আমি ওকে আমাদের পক্ষ থেকে ফোন করে বুঝালাম যে ওরা এইসব করলে আমাদের মাঝের friendly relation টা নষ্ট হয়ে যাবে। তার পরের দিন ওরা সবাই মিলে পুষনকে একসাথে সরি বলেছে। আমরা যে কি খুশি হয়েছিলাম!
কোচিং এর লাস্ট দিনে ইফতার পার্টিতে অনেক হৈ চৈ হল। আমি ছেলেদের থেকে ৭ টা কমলা আর ৩ টা আপেল পেয়েছিলাম!””
(শিশির যেখানেই থাক এই লিখা পড়ে আমারে গালি দিওনা। মাফ করে দিও। আশা করি ভাল আছ।)
এই ঘটনার পর আমি মোটামোটি বয়েজ ক্যাডেটদের মাঝে কুখ্যাতি লাভ করি। হিরো হয়ে ফোন করতে গিয়ে সব দোষ পড়ল আমার ঘাড়ে। আমার ক্লাসমেটরাও পরে ওদের প্রেমে পড়ে ওদের দলে ভিড়ল, আর মধ্যে দিয়ে আমি সবার villain হয়ে গেলাম।
আমরা যে কত বোকা ছিলাম চিন্তা করলেই হাসি পায়। সামান্য I love you লিখা নিয়ে আমরাও কত ড্রামা করলাম আর ওরাও কত পলিটিক্স করে ‘একসাথে’ সরি বলল! (আমরা তো জানতামই শিশির পুষনকে পছন্দ করত আর ওইটা ও ছাড়া আর কেউই লিখে নাই। শিশিরকে একটা চুম্মা দিলেই ত চুকে যেত। 😀 )
আরেকটা ঘটনাও আমার কুখ্যাতির পিছনে অবদান রেখেছে। চাকমা সমাজে পরিবার পরিজনেরা সাধারনত চাকমা মেয়েদের সাথে বাঙ্গালি ছেলেদের মেলামিশা পছন্দ করেনা। আমরা ঈদও তেমনভাবে উদযাপন করিনা। একবার ঈদে শিশির, আল-রাজী, রুশো আর ইমরান হঠাত আমাদের বাসায় উপস্থিত। চারজন আবার চারটা গোলাপ ফুলও আনসে। ওরা নাস্তা-পানি খেয়ে আমার বাস্কেট বলের বেস্ট প্লেয়াশিপের ক্রেস্টা ড্রইং রুমে আবিষ্কার করে খুব মজা পাইসিল। আমি মাত্র (!!) ৯টা score করে ওটা পাইসি শুনে ওরা হাসতে হাসতে লুটপুটি দিল। ওরা আসাতে বেশ মজাই হইসিল। কিন্তু ওরা চলে যাওয়ার পর আব্বু-আম্মু আমাকে অনেক জেরা করসিলো আর ওয়ার্নিং দিসিল! আর তার পরের দিনই আবার হাসনাইন একটা friendship কার্ড নিয়ে হাজির! (হাসু তোকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আর ওইজন্যই তুই এখনও আমার জিগরি দোস্ত।)
বয়েজদের জন্য মা-বাবার কাছে প্যাদানি খাওয়ার কথা আমি আমার ক্লাসমেটদের বলি। কোচিং এর সুত্র ধরে অনেকে তখন প্রেম-প্রেম খেলতেসিল, আমার মতে ব্যাপারটা অনেক silly অবস্থায় পরিণত হইসিলো। (আমি আবার তখন ‘প্রকৃত’ ভালবাসায় বিশ্বাসী ছিলাম এবং ওদের প্রেমের ধরনটা সাপোর্ট করতে পারতাম না। Maybe I was wrong.) যাইহোক, আমার ক্লাস-মেটগুলোই সুন্দরমত আমার কথাগুলো তাদের ক্যাডেট প্রেমিকদের কাছে পাস করে দেয়। (একে বলে মেয়েদের পলিটিক্স।) তিল তাল হয়। বয়েজ ক্যাডেটদের তাদের ধারনা হয় আমি তাদের অপছন্দ করি এবং আমার কুখ্যাতির আরো বিস্তার ঘটে। তখন আমার নাক-উঁচা আর নার্ড স্বভাবের কারনে আমিও ব্যাপারটাকে বেশি গুরুত্ব দেইনি, পরে বয়েজ ক্যাডেটদের কাছ থেকেই এইসব জানতে পারি।
আমরাও ধিরে ধিরে বড় হয়ে উঠি আর আমাদের সবার মাঝে আরও matured সম্পর্ক গড়ে উঠে। আমরা অনেকেই কলেজ থেকে বেরিয়ে ক্যাডেট বন্ধুদের প্রেমেই পড়ি। অবিশ্বাস্য মনে হলেও সেই দলে ironically আমিও ছিলাম!
ডায়েরীর একটা হাস্যকর অংশ share না করে পারছিনা:
১লা ফেব্রুয়ারী ১৯৯৯
“”…ছেলেরা আসলে বন্ধুত্বই করতে জানেনা। এইযে এতগুলা ছেলেদের সাথে কোচিং করলাম সবচেয়ে পছন্দ আমার আন্দালিবকে। কারন সে মেয়েদের পিছনে ঘুরেনা, অনেক ভদ্র আর ঠিকমত পড়াশুনা করে। আর অনেকের সাথে তো ভালমত কথাই হয়নি, নামও জানিনা। ও আচ্ছা লিখতে ভুলে গিয়েছিলাম, আলম না দেখতে একদম আর্নল্ড সোয়ার্জেনেগারের মত!””
(আন্দালিব sorry মিয়া, এইটা পড়ে আমি এখনও জোরে জোরে হাসতেসি!)
১৩ ই ডিসেম্বর ১৯৯৯
““এই টার্মে একটা মজার ব্যাপার ঘটেছে। আমারদের MABS এর কোচিং-মেট রুশো হঠাত করে শাখরুনাকে চিঠি লিখে ফেলল ‘রুশি আপু’ হিসেবে।আর কি মজা ক্লাসরুমে! আমরাও ওদের চিঠি লিখে ফেললাম। কল্পনাও করিনি এত তাড়াতাড়ি উত্তর পাব। মোস্তফার ডাকনাম সুমিত, তাই সে নাম দিয়েছে সুমি আপু আর আলম ওরফে রুশো দিয়েছে রুশি!””
MCC-র আলম aka রুশোর কথা মনে পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল। রুশো আমারদের প্রাণের কাছের বন্ধুতে, আর আমাদের সবচেয়ে আদুরে ক্লাস-মেটটার soulmate-এ পরিণত হয়েছিল। কতগুলা লোভী গুন্ডা-সন্ত্রাসী একদিন কিছু টাকার জন্য ওর মাথায় গুলি করল আর আমাদের প্রানপ্রিয় রুশো এ পৃথিবীর বুক থেকে হঠাত চিরদিনের জন্য হারিয়ে গেল – আমাদের সবচেয়ে আলহাদি ক্লাসমেট-টার আত্মাটাকে বিধবা করে দিয়ে। আমাদের আদরের শাকু আর স্বাভাবিক হতে পারেনি, আজও সে রুশোর জন্য রোজ দোয়া করে আর ঈদের দিন কবরে ফুল দিতে যায়।
Once a cadet, always a cadet. ক্যাডেট কলেজ যতই অপছন্দ করিনা কেন, আর ক্যাডেটদের যতই পঁচাইনা কেন, আসল ঘটনা হচ্ছে – ক্যাডেট জীবনের কিছু ব্যাপার আমাদের রক্তের সাথে মিশে গেছে আর সেই ব্যাপারগুলো শুধু ক্যাডেটরাই বুঝে। সেইজন্যই মনে হয় বয়েজ ক্যাডেটদের সাথে এত কাহিনী করেও শেষমেষ আমি একটা বয়েজ ক্যাডেটকেই জীবনসাথী হিসেবে বেছে নিলাম, তাও আবার নাক উঁচা একটা ফৌজিয়ানকে!
অনেকের গোমর ফাঁস কইরা দিলা। 😀
আমি তোমাদের খবর জানতাম না, অনেক অনেক অভিনন্দন। ভালো থাইকো।
১ম হইলাম। :grr:
২য়
আপু,
অনেক গোপন কথা বের হয়ে আসল...
যা হোক... ফৌজিয়ান ভাইয়া কে আমার :salute:
আর লেখার ধাঁচ বহুত সুন্দর।
:hatsoff: :hatsoff:
অনেক কথাই মনে আসছিল... থাক, এই খানে না বলি :grr:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
কি এমন গোমর ফাঁস হইল ১০ বছর পর?
হায় খোদা এই গোমরগুলা তোমারা এখনো সিরিয়াসলি নিতেসো? তাহলেতো এই লিখা মুছে ফেলতে হবে। আমিতো ভাবলাম বিয়া-শাদি করে ১০ বছরের আগের কাহি্নী নিয়া হাসাহাসি করার সময় হইসে।
আরে চলুক চলুক। মজাই লাগছে। এমন কোন গোমর না এইগুলা।
আহসান কিরে তোর কি কিছু ফাঁস হবার চান্স আছে?
@ ত্রিমিতা... আরে কেউ এখানে সিরিয়াসলি নিতেছে না, :just: চালায়া যা... ভালই মজা পাইতেছি 😀
@ তপু... হারিকেন দিয়া খুজলেও আমার ফাঁস হবার কোন কিছু পাওয়া যাবে না... কলেজ থেকে বের হবার আগ পর্যন্ত আমি পুরা ক্লিন 🙂
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
কলেজ থেকে বের হয়ে কেমন ডার্টি হইলি সেই গোমর ফাঁস করার মত কেউ নাই?
মানে কলেজ থেকে বের হওয়ার পর আন-ক্লিন !!! :-B
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
আরে ডার্টি হইছিলাম কে বলল... ছি ছি ছি আমি খুবই ভাল ছেলে (আন্দালিবের মত সার্টিফিকেট যদিও নাই)
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আন্দালিব ভাইরে তো ত্রিমিতা আপু একদম কিংবদন্তী বানায়া দিল...
যা হোক আহসান আকাশ ভাই আপনার নিজের ঢোল নিজে পিটানোর ব্যাপার টা খুব ভালো লাগল...
:khekz: :khekz: :khekz:
কাউকে না কাউকে তো ঢোলটা পিটানো লাগবে আর কাউকে যখন পাওয়া যাচ্ছে না তখন নিজেই 😛
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
চামে আমিও ঢোল পিটায়া লই। 🙂
ঢোলের ইমো কই। এডু স্যারের ব্যঞ্চাই।
এই উদ্ধৃতি শুনছিলাম কোন মহা মণিষীর মুখে। আজকে মনে পড়লো!
=)) =))
তোর ঢোল তো অন্যরাই পিটাচ্ছে...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
রকিব, ফাজিল পোলা... ডিগবাজি লাগা এক্ষুনি... সিনিয়রকে আনক্লিন বলিস 😡 :gulli2:
:thumbup: :thumbup:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ওয়াস্তাগফিরুল্লাহ... আমি কখন আন-ক্লীন্ বল্লাম, আমি তো খালি জিজ্ঞেস করলাম 😛 😛 ?
:frontroll: :frontroll: :frontroll: :(( :(( :frontroll: :frontroll:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
আরে ধুরো, মাইন্ড খাও ক্যালা? সকালবেলা কিছু খাও নাই নাকি? :grr:
একটু আগে এই নাক উচার সাথে 'এফ বি' তে চ্যাট করলাম অনেকদিন পর। ওখানে তোমার ছবি দেখে সব পরিস্কার হলো।তোমাকে নিয়েও অনেক কথা হলো।সে আমার প্রিয় জুনিয়রদের একজন। অনেক ভাল স্মৃতি আছে কলেজে এই পোলাডার সাথে।আমিও যে আরেক নাক উচা ফৌজিয়ান।তবে ফৌজিদের তোমার নাক উচা ভাবার কারন উদ্ধার করতে পারলামনা।
ইশশ ম্যাবস এ যাওয়া দরকার ছিল। মিসটেক হইয়া গেছে।
প্রথম গার্লস ক্যাডেট দেখছিলাম তোমাদের কলেজে যেয়েই। আমরা গিয়েছিলাম তখন তোমাদের সে কি ভাব। আর কলেজে সবাই মিলে বিসমিল্লাহ বলাটাকে সবাই মিলে পঁচানোর ট্রাই নিছিলাম।
:khekz: :khekz: :thumbup: :thumbup:
আরে আমরা তো শুনে প্রথমে পুরা চমকে উঠেছিলাম, হঠাৎ করে সবাই মিলে আওয়াজ করে উঠল... প্রথমে ভেবেছিলাম কাউরে মনে হ্য বিট দিচ্ছে 😛
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
পরে আলহামদুলিল্লাহর সময় আমরা রেডি ছিলাম দিলাম এক সাথে বিট। মজা পাইছিলাম।
ঐ
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
হাঃ হাঃ :khekz:
ঐ :khekz: :khekz:
আমাদের কলেজে ঢুকলা ক্যামনে? স্ট্যান্ড পার্টি ছিলা নাকি? ইশ ওই সময় আমি ছিলাম না।
আমাদের বিসমিল্লাহ বলাটা আসলেও অনেক আজিব। বরং না পঁচালেই আমি সারপ্রাইজড হব।
ঐসময়ের অনেক কাহিনী মনে পড়ে গেল।
লিখে ফেল। আমি কাহিনী শুনতে চাই!
আমারো মনে পড়তেসে... আমি অল্রেডি একটা লেখা দিছিলাম আগে এই শিরোনামে... আরো দিমু কিনা ভাইবা লই।
আপু, আপ্নেরেও ঐ জাগাতেই দেখছিলাম ফার্স্ট। আপনার যদিও মনে থাকার কথা না।
ঐ সময় তো আমি ছিলাম না। তুমি মনে হয় আমার মেঝ বোনরে দেখসো।
মজার সব ঘটনা।।। লেখা ভাল লেগেছে।
হুম,
মজা পাইছি। 😀
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
এইবার আর আন্দালিব ভাইকে পায় কে!!!!!!!!
সার্টিফাইড ভালো মানুষ হয়ে গেলেন তো 😛 😛 ।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
আপু, দারুণ হচ্ছে :thumbup: :thumbup: :thumbup:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
আন্দালিব ভাই তো হিট হয়ে গেলেন!!
😀
:awesome: :awesome:
হিরো এতক্ষনে আসলো...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
খেকয্ । আহসান ভাই কোন হিরোর কথা কইতেসেন ? :khekz: :khekz:
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
বড় হইয়া আমি আন্দালিব হইতে চাই 😛
:)) =)) :pira: :boss: :khekz: :khekz: :khekz:
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
😀 😀 😀
আন্দা ভাইয়ের আসল কাহিনী আমি জানি কিন্তু কমু না,হাজার হউক আমার কলেজের বড় ভাই 😀
বাপ মা দুইজনেই ক্যাডেট, পোলায় কি চিজ হইবো আল্লাহ মাবুদ জানে। :grr:
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আমিও সেই দুশ্চিন্তায় আছি। 😐
এখনই ??
একটু তাড়াতাড়ি হইয়া গেল না?
আহেম আহেম, তপু, আমদের কী হইবো দোস্তো! :no:
আগে বিয়া তো কইরা নেন। পরে না হয় দেখা যাবে কি না কি হয় ;;;
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
সেটাই ভাবতেছি।
:bash:
চিন্তার কথা ভাইডি...
বাবা -মা রে দৌড়ের উপরে রাখবে মনে হইতেছে...
😛 😛
পাঙ্গার :frontroll: উপ্রে আর কি!!!
:)) :))
People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.
:-B :-B :-B
ahem ahem kisu shunlam mone hoy.. 😀
:khekz: এই ইনফরমেশনটা ডায়েরীতে লিখা না থাকলে পুরাপুরি হারায়ে যেত।
ভাগ্যিস লেখা ছিল! এই ইনফো এতদিন পরে পাইয়া বড়ই আনন্দ পাইলাম! 😀
ত্রিমিতা আপু,আপনি ঝান্তেওপার্লেন্না উনার্পেটেপেটে জিলাপির্প্যাচ 😀
এই নাক উঁচা লোকটাকে তো চিনলাম না :-B
FCC-র ৪২তম ব্যাচের কুখ্যাত সৌরভ aka টিনটিন। অনেকের চিনার কথা না।
টিনটিন ভাইয়ের ছবি দেখছিলাম। কিন্তু উনি যে ফৌজিয়ান তা জানতাম না! আরো একবার তোমাকে কনগ্র্যাটস, ত্রিমিতা। :clap:
বলতে ভুলে গেছি- লেখাটা জোশ হইছে :thumbup:
মজা পাইলাম লেখাটা পড়ে।
হায় ম্যাবস!! কত স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। মগাকক এর সব মেয়েরা আমারে এখনও কুখ্যাত রায়হান হিসাবেই চিনে ... 🙁
:thumbup: ব্যাপারই না। কয়েকদিন পরে সবাই ভুলে গিয়ে হাসাহাসি করবে। জীবন আসলে এত বড় যে, সে তুলনায় কোচিং সেন্টার, ক্যাডেট কলেজ ইত্যাদি অভিজ্ঞতা বালুকণার মত।
পড়লাম পুরো লেখাটা মনযোগ দিয়ে। ম্যাবসের সময়কার কথাগুলো মনে পড়ে গেল। আমি এমন ধরণের মানুষ যারা কোন সব ঘটনায় এমন নিস্ক্রিয় থাকে তাদের উপস্থিতি তারা নিজেরাও ভুলে যায়। সো আমাকে চেনার চান্স নাই। তবে ঘটনা গুলো বেশ পরিচিত লাগলো। প্রিয় বন্ধু আলমকে উৎসর্গ করে আমি এই ব্লগে বেশ কিছু লেখা লিখেছিলাম। সেখানে ম্যাবসের এই গল্পগুলো অনেক ছোট পরিসরে তুলে এনেছি।
চিঠি নিয়ে মজার কথাগুলো খুব মনে পড়ল। ভালো কথা তোমরা শুধু আমাদের পোলাপানের মেয়ে নাম গুলো বললা। তোমরা যে ছেলে নাম দিয়া লিখতা শাহরুখ শান্ত এগুলো গোপন কেন??
এই জন্য ত্রিমিতার ব্যাঞ্চাই।
যা হোক, শেষের তথ্যটা আসলেই চমকপ্রদ। অভিনন্দন তোমাদের। 🙂 🙂
হাঃ হাঃ শাহরুখ শান্ত....আসলে ডায়েরী তে যা লিখা ওইগুলা ভাসা ভাসা মনে পড়ে। অনেককিছু মনে নাই। আলমকে উৎসর্গ করে তোমার লিখাগুলো পড়িনি।খুঁজে দেখি পাই কিনা।
লিংক দিলাম।
আমার প্রিয় বন্ধু আলমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমার ক্ষুদ্র প্রয়াস।
ধন্যবাদ। খুঁজে পেতে কষ্ট হচ্ছিল।
এইটাও দেখতে পারো
নাউজুবিল্লাহ!!!!ক্লাস টেনেই এইসব করার চিন্তা???
না এই চিন্তাটা এখন বাইর হইসে, ক্লাস টেনে তোহ মাইন্ড-টাইন্ড করে একাকার অবস্থা করে ফেলসিলাম।
আহসান, তুই আর কিছু কইস না, পরে তোর আবার কোন গোমর ফাস হয়, কে জানে ?
মানু পা* মানু পাং** মানু **কি!!!!
আমার নামে খালি আজেবাজে জিনিস ছড়ানর ধান্দায় থাকিস!!!
আমার আবার কিসের গোমর???আমি amlochief....
প্রাউড টু বি আ amlo :salute:
আহসান ভাই আপনে আমলো 😮 😮 ...........গোমর ফাস হইতাসে ধীরে ধীরে কিন্তু ;)) ;)) ;)) 😀 😀 😀
খাইসে!!!
আন্দালিব ভাই ভচ :salute:
হেহে! ;;;
ত্রিমিতা ,
লেখা পরে মজা পেলাম।ম্যাবস মনে হয় সব ব্যাচেই হিট।
পরের লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ আপা।
ত্রিমিতা, ব্লগে স্বাগতম। তুমি লেখা শুরু করছো দেখে খুব ভাল লাগতেছে। ম্যাবস-এর অনেক পুরনো কথা মনে করিয়ে দিলা। আহা! দারুণ একটা সময়। তোমাদের এই ফীডব্যাকটা জানতাম না। আমাদের কাছেও তোমরা মহা ভীতিকর পাবলিক ছিলা। আমি খুব সমঝে কথা বলতাম, একে মেয়ে তার উপরে ক্যাডেট! 😕
আলম, শাখরুনা- আমরা কতই না মজা করতাম, ম্যাবসের পরেও বলতাম আলমকে দেখা হইলেই। শাখরুনার কি জানি একটা নিকনেইম দেয়া হইছিলো আমাদের তরফ থেকে, ভুলে গেছি!
গোমর ফাঁস করলা, কিন্তু সাম্প্রদায়িকতা দেখাইছো, নিজের কলেজের কাহিনী বলো নাই। আমিও ঐ রকম চিঠি একটা পাইছিলাম। কার কাছ থেকে সেটা না হয় উহ্য থাকুক। ;;; এইটা একবার ক্লাসে কবিতা লেখার কম্পিটিশন এর পরের কথা। কী একখান লিখছিলাম, পইড়া সবাই আহা! কী সুন্দর! বললো। (আমার লাইফে প্রথম কবিতালেখার ফীডব্যাক ছিল ঐটা) তার পরের টার্মেই কলেজে গিয়ে দেখি চিঠি! :))
তোমার লেখা আরও আসুক। :thumbup:
ধন্যবাদ আন্দালিব।
আরে ক্লাস-মেটদের কথা বাদই দাও, আমি নিজে কাকে লিখসিলাম সেইটাই তো মনে নাই। আমার ডায়েরীতে শায়েদের নাম আছে, কিন্তু চেহারা মনে পড়তেসেনা। সত্যি একদম মনে নাই আমি কি নামে লিখতাম। কলেজে ওই বয়সে ওইটাই আমাদের একটা বড় entertainment ছিল।
😮 তোমাকে কে চিঠি লিখসিলো? প্লিজ একটা হিন্ট দাও! আর প্লিজ থাকলে ঐ কবিতাটাও দাও।
নিজের কলেজের কাহিনী বলি নাই কারন ক্যাডেট কলেজ থেকে আমি একবুক অভিমান আর একরাশ ভুল বুঝা্বুঝি নিয়ে বিদায় নিই এবং পরে সব স্মৃতি মুছে ফেলে নতুন জীবন গড়ার চেষ্টা করি। সেই কাহিনী না হয় আরেকদিন লিখব।
ভাল থেকো।
কবিতাটার বিষয় ছিল: "মানুষ"। তুমি মনে হয় একটা সায়েন্স-ফিকশন কবিতা লিখেছিলা। আমি কী লিখেছিলাম, সেটা একেবারেই মনে নাই। লেখাটা হারিয়েই গেছে। ... 🙁
চিঠি কে লিখেছিল সেটা নাহয় এখন গোপনই থাকুক। বিবাহিত সুখী (তুমি না, চিঠি লেখিকা) মানুষদেরকেও আমি ভয় পাই! 😉
😀 😀 😛 😛
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
😮
:thumbup: :)) :))
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
হ 😕
ফৌজিয়ানরে বিয়া করছো। বড় ভাই তো! খুশিতে তাই তোমাকে ১০টা লাল গোলাপ দিলাম। (গোলাপের ইমো কই এডু? 😡 ) ভালো থেকো।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
ইউসুফ ভাই, আপনারে সানা ভাই নোটিশ দিসে 🙁
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
😀 থেংকু
ত্রিমিতা আপা,
ম্যাবসে আমাদের বেসির ভাগ কেডেটের বয়েস দের সাথে দেখা হয়।আমাদের আনেক কথা আসে।
বড় হয়ে গেছি তাই সেইসব কথা ভাব লে সত্ত্য মজা লাগে।
এখন যারা বহুত বড় বড় কথা বলতাসে তদের কিন্তু অন্নক কথা আসে।হিহিহিইই 😀
সেইটাই। লিখে ফেলো। ;;; ;;;
বন্ধু নিজের নামটা সবার মাঝে দেখতে কেমন যেন লাগে...তাই ইচ্চা থাকলে লেখা হয়না।
মনে হয়না এটা বেশি দিন ধরে রাখতে পারবো।
লেখাপড়া এমন চাপে রাখসে......কেন যে পড়তে চাইসিলাম!!! :(( ~x(
নিজেকেই টেবলেট টেবলেট লাগে আজকাল।
ইচ্চা করে প্রথম অষুধ একটা বিশ বানায় খেয়ে ফেলি। 😕
এ্যাত্ত বানান ভুল ক্যান??
পড়তে অশান্তি লাগে...
😮 😮
তোমাকে পড়তে বলসে কে?
না পড়লেই পারো।আর বেশি কথা বললাম না।বেশি খোচাইলে রায়হান জা বলসে ......লিখা শুরু করলাম কিন্তু। 😀
আমাদের সময় মাবস্ এর বদলে শুরু হইসিল 'ক্যাডেটস্' কোচিং সেন্টার। মির্জাপুরের মাসুদ ভাই (কোন ব্যাছ ভুলে গেসি) শুরু করসিল। টিচারো ছিল সব ক্যাডেট। ভাইয়ারা অনেক চেস্টা করসিল কিন্তু পোলাপান না পড়ে খালি টাংকি মারত আর উপরের তালায় পুল খেলত। ১০ ক্যাডেট কলেজ মিলায় প্রায় ৫০ জন ছিলাম, খুব মজা হইত।
মাসুদ ভাই (১৯৯৭-২০০৩) ব্যাচ।
উনি কোচিং করানোর জন্য বিশেষ পারদর্শী
মনে করাইয়া দিলি 🙁
আহারে কী সুখের সময় ছিল :((
কত কি ভাইবা কোচিং এ ভর্তি হইসিলাম =((
লেখাটা খুব মজা লাগল।
এ যুগের পোলাপান 😉 যে কেন এগুলা বুঝে না 😡 😡
আপু দারুন লাগলো।
FCC এর ভাই এর একটা ছবি দ্যান আর ভাইকেও সিসিবিতে টেনে নিয়ে আসেন
ইস মগকক এর আড্ডা গুলার কথা মনে পড়ে গেলো। বেশ কয়েকবার এক্সট্রা ছুটি পাবার কারনে কলেজ খোলা থাকার সময় গিয়ে অনেক কাহিনি হইছিলো। 🙂
আপু খুবি মজা পাইলাম, আরও কিছু ছাড়েন তাড়তাড়ি 😀
সেকেন্ড লেখাতেই ১০০ কমেন্ট ও নাকি লেখতে পারে না। আমি ১০০ লেখা প্রায় লেখে ফেললাম এখনো সব মিলায় এত কমেন্ট পাইনাই।
বস
এই লেখাটা একটু বেশিই হিট হয়ে গেছে...
আপু আগে লিখতে পারিনা দিয়া এইটার জন্য সবাইকে ক্ষেপায়া তুলছিল...
দারুণ টেকনিক ত্রিমিতা আপুর...
গুড গুড 😀 😀
কামরুলতপু ভাইয়ো ভাবটা মাইরা লইলো ওনার নাকি ১০০ টা পোষ্টে এখনো ১০০ কমেন্ট হয়নাই 😕
আল্লাহ আমার এই আজাইরা লিখা পড়ে তোমরা যে এত কমেন্ট করবা আমি ঘুনাক্ষরেও টের পাই নাই। এই ব্লগের পাবলিক দেখি আর সবরকমের লিখা গিলে ফেলে। লিখাপিপাসু্র দল!
এত উৎসাহের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ, এখনতো লিখালিখির দায়িত্ব বেড়ে গেল। :-B
দ্বায়িত্ব বেড়ে গেল...
সুতরাং, ভাল লেখা চাই আরও...
😀 😀
আমাদের সময়ে হিট ছিল মিশাও কোচিং সেন্টার, আহা কতো কথা মনে পড়ে গেল এই লিখা পড়ে।
খুব ভালো লাগল।
ওরে বাবা! এই লেখা তো দেখি ব্যাপক হিট! সাথে আন্দালিবও। 🙂
ত্রিমিতা, তুমি কিন্তু বেশ ভালো লিখ। লেখাটা পড়ে বেশ মজা পেয়েছি।
লেখালেখি চালায়ে যাও।
কেমন আছো ত্রিমিতা? সৌরভ ভাই কেমন আছেন? কোথায় আছো তোমরা এখন? ম্যাবসে আমিও ছিলাম, আমার কথা মনে হয় মনে নাই তোমার। শাখরুনা কি করছে এখন?
শিশিরের প্রিফিক্স বা সাফিক্স থাকলে ভাল হত। গুরুতো মনে হয় এখানে ভোল পালটেছেন।মানে নামটা আমার দখলে কিনা। আর কেউ কি রাজীর কোনো তথ্য দিতে পার ?
কোন রাজীর কথা কস? তোর প্রোফাইলে ঢুকা যায় না ক্যান? কোন কলেজ?
এতগুলা প্রশ্ন দিয়া তোরে স্বাগতম জানাইলাম। 🙂
৯৬ এর আরেকজন আসছে দেখা যায়... স্বাগতম দোস্ত :hug:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
পড়তে পড়তে নিজেও কতো স্মৃতি যে রোমন্থিত হয়ে গেল ! একদিন লিখে দেব সিসিবি তেই................
-আলীম হায়দার.1312.