শহীদলিপির ইতিহাস-২
লন্ডনে যেয়ে প্রোজেক্টের কাজ শুরু করার আগেই এর মধ্যে তেলের মূল্য হ্রাস হয়ে যাওয়ায় অনিশ্চিত হয়ে পড়লো এই প্রেজেক্টের ভবিষ্যত। ফলে এই সময়টা আমি কম্পুউটারে বাংলা স্থাপনের কাজে ব্যয় করতে মনস্ত করলাম । আমি সাথে করে আমার আগের করা কাজ – যেমন গ্রিডে প্লট করা বাংলা অক্ষরের কাগজগুলি, বেসিকে লেখা কিছু প্রোগ্রাম, বাংলা লেখা কিছু অক্ষরের কিছু স্যাম্পল প্রিন্ট-আউট, ইত্যাদি নিয়ে এসেছিলাম। বাড়ীর দোতলা ওঠার ঠিক সিড়ির মুখে একটা খুব ছোট্ট ঘর ছিল। ‘বক্স রুম’ বলা হত সেই ঘরকে। সেই ছোট ঘরটিকেই আমার অফিস ঘর বানিয়ে নিলাম।
লন্ডন অফিসের ইন-চার্জকে বললাম আমাকে কিছু টাকা দিতে একটা কম্পুউটার কেনার জন্যে। সেই বছর সবে এ্যাপেল কম্পুউটার তার নতুন ম্যাকিনটশ পিসি বাজারে ছেড়েছে। সখ করে সেই ভদ্রলোক একটা ম্যাক কিনেছিলেন। তিনি আমাকে বললেন – নতুন কম্পুউটার না কিনে এই ম্যাকটা নিয়ে যেয়ে ব্যবহার করে দেখো তোমার কাজ হয় কিনা। বাসায় নিয়ে এলাম এই নতুন বাজারজাত ম্যাকিনটশ কম্পুউটার এবং এর উপরই শুরু করলাম আমার বাংলা লেখার পরীক্ষা নিরীক্ষা।
এই কম্পুউটারের মেমরী ছিল মাত্র ৬৪ কিলো-বাইট রম এবং ১২৮ কিলো-বাইট র্যাম, কোন হার্ড-ডিস্ক ছিল না, ৩.৫ ইঞ্চি মাইক্রো-ফ্লপি ডিস্ক (এর আগের কম্পুউটারগুলিতে ব্যবহৃত ৫.২৫ ইঞ্চি এবং ৮ ইঞ্চি ডিস্কগুলি সত্যি ফ্লপ ফ্লপ করে নড়তে পারতো, তাই তাদেরকে ফ্লপি ডিস্ক বলা হতো)। ছোট ৯ ইঞ্চি স্ক্রিনে লেখা শুধু সাদা-কালোতে দেখা যেত।
জর্জ অরওয়েলের বিখ্যাত উপন্যাস “১৯৮৪” কে ভিত্তি করে অনেক টাকা খরচ করে আমেরিকার ফুটবলের সুপার বোউলের প্রাইম টাইমে এ্যাপেল কোম্পানী ম্যাকিনটশের সেই বিখ্যাত টিভি বিজ্ঞাপনটি প্রচার করেছিল তখনকার আই,বি,এম-এর একচেটিয়া বাজার দখলকে লক্ষ করে।
আমি লন্ডনের প্রায় প্রতিটি কম্পুউটার শোতে যেতাম। দেখতাম নতুন কি কি বাজারে এলো। স্থানীয় এ্যাপেল ইউজার গ্রুপের সদস্য হয়ে তাদের মিটিংয়ে নিয়মিত যাওয়া আসা শুরু করলাম। এই ইউজার গ্রুপের সদস্যরা ছিল অধিকাংশই ‘টেকি’ জাতীয়। নিজেদের মধ্যে ম্যাকের জন্যে তৈরী বিভিন্ন টুলস ও তথ্য আদান প্রদান হতো। এমনি একটি মিনি-বেসিক টুলের সাহায্যে আগের তৈরী কিছু প্রোগ্রামের অংশ নিয়ে চেষ্টা করলাম ম্যাকে বাংলা লেখার প্রচেষ্টা। এই গ্রুপের পিটার ট্রিন্ডার পরামর্শ দিল আমার কাজের ব্যপারে সরাসরি এ্যাপেলের সাথে যোগাযোগ করতে। যোগাযোগ করলাম এ্যাপেল ইউ, কে অফিসের লরি ডিপল ও রিচার্ড ব্রাডলির সাথে। তাদের পরামর্শ অনুসারে এ্যাপেল আমেরিকার অফিসে চিঠি লিখলাম আমার কাজের কিছু নমুনা পাঠিয়ে। আমার চিঠির উত্তর এলো এরিক জারাকভ বলে এক ব্যাক্তির কাছ থেকে। আমার কাজে উৎসাহ জানাল এবং আরও জানালো যে ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর জর্জ হার্ট বলে এক অধ্যাপক দক্ষিণ ইন্ডিয়ার কোন এক ভাষা ম্যাকে ব্যবহারের কাজ করছেন এবং আমার চিঠির অনুলিপি সেখানে পাঠানো হয়েছে।
এক সপ্তাহের মধ্যে জর্জ হার্টের কাছ থেকে চিঠি পেলাম। আমাকে অনেক উৎসাহ জানিয়েছেন চিঠিতে এবং এই সাথে ‘রেসএডিট’ নামে একটি টুল পাঠিয়েছেন। ম্যাকের অপারেটিং সিসটেম ছিল দু’টি ফাইলে – একটির নাম ‘সিসটেম’ এবং অপরটি ছিল ‘ফাইন্ডার’। এই টুলের সাহায্যে আমি সিসটেম ফাইলের মধ্যে কি কি আছে তার কিছুটা দেখতে সক্ষম হলাম। এর মধ্যে ‘ফন্ট এডিট’ নামে আর একটা টুল ছিল যার সাহায্যে সিসটেমের সাথে যুক্ত ফন্ট গুলির আকার পরিবর্তন করা যাচ্ছিল। ম্যাকের মেনুর ফন্ট ছিল ‘শিকাগো’ – বেশ বড় বড় অক্ষর এগুলি। মেনুর উপরের লাইনের সর্ব বায়ে ছিল একটি ছোট অ্যাপেল ফলের প্রতিক। অনেকটা খেলার ছলে এ্যাপেলের ছবিটির জায়গায় বাংলাদেশের ছোট একটি ম্যাপ বানালাম ফন্ট এডিটরের সাহায্যে। সিসটেম ফাইলটা সেইভ করলাম আগের ফাইলের স্থানে। তারপর যখন আবার কম্পুউটার চালু করলাম তখন দেখলাম – কি আর্শ্চয্য, এ্যাপেলের প্রতিকের জায়গায় জ্বলজ্বল করছে আমার প্রিয় বাংলাদেশের ছোট মানচিত্রটি। অতটা সুন্দর বা নিখুত হয়তো হয়নি মানচিত্রটি, কারণ আমি জানতাম আমার হাতের লেখা সব সময়ই খারাপ ছিল। আমার এক ঘনিষ্ট বন্ধু একবার ঠাট্টা করে বলেছিল – “সাইফের হাতের লেখা এতই খারাপ যে, কেউ ওর চেক জাল করতে পারবে না”। তবুও এই খারাপ হাতের লেখায় আকা বাংলাদেশের মানচিত্রটির দিয়ে তাকিয়ে থাকলাম অনেকক্ষণ ধরে। এই মানচিত্রটি পাবার জন্যে কতই না ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে একটি জাতিকে। অদ্ভুত এক ধরণের ভাল লাগায় আচ্ছন্ন হয়ে গেল মন।
পরের দিন থেকে ফন্টের আকার পরিবর্তনের কাজে উঠে পরে লেগে গেলাম। এর আগে যে অক্ষরের ব্যবহারের উপর ফ্রিকোয়েন্সি এনালাইসিস করেছিলাম, সেটাতে আবার নজর দিলাম। এবার একটা নতুন জিনিস খেয়াল করলাম। আগেই ঠিক করেছিলাম এই অক্ষর গুলিকে কী-বোর্ডের লোয়ার কেসে (কোন সিফট কী ব্যবহার না করে যেগুলি টাইপ করা যাবে) বসাবো। চেষ্টা করলাম যতটা সম্ভব বাংলা অক্ষরের অবস্থান ইংরেজী অক্ষরের সাথে মিলিয়ে রাখতে। এর ফলে যারা ইংরেজীতে টাইপ করতে অভ্যস্ত তারা খুব সহজেই বাংলাতে টাইপ করতে সক্ষম হবে। বাংলাতে সব চাইতে বেশী ব্যবহৃত প্রথম ২৪টি অক্ষর নিচের তালিকা মত বিভিন্ন ইংরেজী অক্ষরের ঘরে বসালাম :
স্বর চিহ্ন যথা – া ে ি ু এবং ্য-ফলা, এই ৫টি অক্ষর বহুল ব্যবহৃত। এর মধ্যের প্রথম ৪ টি অক্ষরের জন্যে একটা ‘ডায়ামন্ড’ আকারের ছক মনে মনে একে নিলাম। এই ডায়ামন্ডের ঠিক উপরের অবস্থানে বসলাম ‘ি ‘ (ইংরেজী y )আর নীচের অবস্থানে ‘ ু’ (ইংরেজী v ), বায়ে বসল ‘ে’ (ইংরেজী f ) এবং ডান দিকে ‘া ‘ (ইংরেজী h ) বসালাম। ঠিক এর ডান পাশে বসালাম ্য-ফলা (ইংরেজী j )। এই ৫টি ব্যাতিক্রম ছাড়া, যেহেতু ইংরেজী-q এর সম-উচ্চারণের কোন বাংলা অক্ষর নেই, আমি সেখানে বসালাম বাংলা ‘দ’-অক্ষর।
এছাড়া উপরের অক্ষর গুলির আবস্থান একে বারে স্বেচ্ছাচারের সাথে বেছে নেওয়া হয়নি। যেহেতু ‘প’ আক্ষরের সিফটে ‘ফ’ পেয়ে যাচ্ছি, সেই জন্যে ইংরেজী ‘f’ কী-টি খালি পাচ্ছি। তেমনি ভাবে ‘ব’ আক্ষরের সিফটে ‘ভ’ পেয়ে যাচ্ছি, সেই জন্যে ইংরেজী ‘v’ কী-টি খালি পাচ্ছি। আমি ইংরেজী ‘w’ এর স্থলে ‘য়’ বসিয়েছি, তাই ‘y’ কে খালি পেয়েছি।
শুধু এক মাত্র ‘হ’-এর ব্যাপারে খুব একটা মনপুত সমাধান বের করতে পারলাম না। সব চাইতে বেশি ব্যবহার হয় এই ‘h’ কী-টি। তাই সেখানে ‘া’-চিহ্ন রাখাটা খুবই যুক্তিযুক্ত। ব্যবহারের দিক থেকে প্রথম ২৬টি অক্ষরের মধ্যে ‘হ’-এর স্থান। একবার ভেবেছিলাম না হয় ‘h’-এর বদলে ‘j’-তে ‘া’-চিহ্ন বসাই। তাহলে ‘h’-এর স্থানে ‘হ’ বসাতে পারবো। কিন্তু তাহলে এই চারটি আক্ষরের মধ্যে ডায়ামন্ড আকারটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
তেমনি ইংরেজী-x এর সম-উচ্চারণের কোন বাংলা অক্ষর নেই, আমি সেখানে বসালাম ‘য’-অক্ষরটি। এমনকি এখানেও কিছুটা মিল ছিল – যেমন St. Xaviers বাংলাতে সেইন্ট জেভিয়াস বা যেভিয়াসও লেখা যেতে পারে যে হেতু এটি একটি বিদেশী শব্দ । আমরা ‘সলিমুল্লাহ” বা ‘ছলিমুল্লাহ’ দু’টি বানানই অনেকটা মেনে নিয়েছি। বাংলাতে ‘ট’ বহুল প্রচলিত একটি অক্ষর, তাই সেটাকে ইংরেজী- t এর স্থানে রেখে দিয়ে ইংরেজী-u এর জায়গায় ‘ত’ বসালাম। তার মানে হলো, এই ৮টি ব্যাতিক্রম শুধু মনে রাখতে হবে কী-বোর্ডের মোট প্রায় ৫০টি কী-র মধ্যে। আসলে সামান্য একটু চেষ্টা করলেই যে ব্যাক্তি ইংরেজীতে টাইপ করতে সক্ষম, সে ব্যাক্তি বাংলায়ও টাইপ করতে সক্ষম হবে।
এছাড়া বাংলা মহাপ্রান অক্ষরগুলি একই কীর সিফট অবস্থানে বসালাম। ফলে সিফট-ছাড়া ও সিফট-করা অক্ষরের মধ্যে একটা সম্পর্ক রাখতে চেষ্টা করলাম। নিচের ছক দ্রষ্টব্য:
আগেই বলেছি যে তখনকার দিনের প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতার কারনে, কম্পুউটার দিয়ে যুক্তাক্ষর বানালে লেখার গতি অনেক স্লথ হয়ে যেত – তাই ঠিক যেভাবে আমরা হাতে লিখি অথবা লেটার প্রিন্টিং প্রেসে কম্পোজ হয় – তেমনি ভাবে একটার পর একটা অক্ষর টাইপ করে লেখার ব্যবস্থা করলাম।
আমি শহীদলিপিতে চেষ্টা করেছি যতটা সম্ভব সব অক্ষর ও যুক্তাক্ষরের অবিকৃত আকার ধরে রাখতে। এক অক্ষরের উপর এক বা একাধিক অক্ষর চাপাবার (সুপার ইমপোজিশন) ব্যবস্থা করতে পারার ফলে মাত্র ২০০ অক্ষর বা অক্ষরাংশের দ্বারা ১২০০ যুক্তাক্ষর লেখা সম্ভব হয়েছে। কী-বোর্ডের মাত্র ৫০টি কী দ্বারা এই ২০০ অক্ষরকে প্রকাশ করতে যেয়ে আমি একটি অতিরিক্ত সিফট-কী এর ব্যবস্থা করলাম।
কোন সিফট-কী ব্যবহার না করে টাইপ করলে নীচের ছবিতে দেখানো অবস্থান অনুসারে বিভিন্ন অক্ষর সেই কী-র সাথে সংশ্লিষ্ট হবে।
ঊপরের অক্ষরের মধ্যে ‘ি’ তার পরবর্তী অক্ষরের উপর এবং ‘ ‘ু তার পূর্ববর্তী অক্ষরের উপর কিছুটা এলিয়ে পরে। এটাকে বলা হয় ‘kerning’ এবং এর ফলে লেখার মান অনেক উন্নত হয়।
প্রথম সিফট-কী চাপলে অক্ষরের অবস্থান উপরের মতো হবে। এখানে এলিয়ে পরা অক্ষর হচ্ছে – ‘ ী ‘।
দ্বিতীয় সিফট-কী চাপলে আক্ষরের অবস্থান উপরের মতো হবে। এখানে বেশ কিছু অক্ষরাংশ এবং কিছু যুক্তাক্ষর রেখেছি।
একই সাথে দু’টি সিফট কী চেপে ধরে টাইপ করলে অক্ষরের অবস্থান উপরের মতো হবে। এখানে বাকী যুক্তাক্ষর রাখা হয়েছে।
একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে যে ঠিক উপরের দু’টি কেসের মধ্যে উপরের লাইনের কিছু কিছু অক্ষরের যেন পুনরাবৃত্তি হয়েছে। আসলে একই রকম দেখতে হলেও এই অক্ষরাংশগুলি ভিন্ন। ‘ব’, ‘ন’, ‘গ’, ‘প’ – ইত্যাদি অক্ষরের সাথে যখন অন্য অক্ষরাংশগুলি যোগ হয়, তখন সেগুলি একেবারে ডান দিকের সাথে সমান্তরাল হয়। অন্য দিকে – ‘ত’, ‘ভ’, ‘ড’, ‘ক’, ‘ট’ – ইত্যাদি অক্ষরের সাথে যখন অন্য অক্ষরাংশগুলি যোগ হয়, তখন সেগুলি একেবারে ডান দিকের বদলে অক্ষরের মাঝামাঝি অবস্থানের সাথে সমান্তরাল হয়। একটু গভীর ভাবে খেয়াল করে দেখলে দেখা যাবে যে ‘ কু ‘-এর চাইতে ‘ কু ‘ দেখতে বেশি ছন্দময়। দু’টি সিফট-চেপে যে অক্ষরাংশগুলি যোগ করার ব্যবস্থা করলাম তাতে এই ছন্দটা কিছুটা আনা সম্ভব হলো। এতটা কষ্ট করার একটাই কারন – আমি সব সময় চেয়েছি, যেন যন্ত্রের কারনে ভাষাকে বিকৃত করতে না হয়।
( চলবে … )
🙂
মন্ত্রমুগ্ধের মত পড়ে যাচ্ছি বাংলা কম্পিউটিংএর একজন পাইয়োনিয়ারের কথা ... :boss: :boss: :boss:
:salute: :salute: :salute: :salute: :salute: ছাড়া কিছু বলার নেই ...
পরবর্তী অংশগুলোর অপেক্ষায় থাকলাম। :-B :-B
ভাবতেই ভাল লাগছে আপনি আমাদের মতই ক্যাডেট ।
স্যরি ভুল হইয়া গেল... আমিও আপনার মত ক্যাডেট 🙁
স্নেহের মাসরুফ, মামুন, মাহমুদ(০২-০৮), মাহমুদ (১৯৯০-৯৬), রবিন, শান্তা, জুনায়েদ, নাজমুল, স্বপ্নচারী, আব্দুল্লাহ্, আদনান, ফয়েজ, আহসান, তানভীর, রকিব, রায়হান আবীর, সাব্বির, লাবলু, সায়েদ, শোয়েব, কামরুল, এহসান, তানভীর শাওন, মেলিতা, দিহান ও বাকী সবাই,
তোমাদের সবাইকে আগের পর্বটি পড়ার ও কষ্ট করে সুচিন্তিত মন্তব্য লেখার জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমার দে'য়া কথা মত বুধবারের মধ্যে ব্যাক্তিগত কাহিনীসহ লেখাটি পোষ্ট করতে পেরে ভাল লাগছে। আশা করি এটি পড়ে তোমাদেরও ভাল লাগবে।
শুভেচ্ছা রইল সবার প্রতি।
সাইফ ভাই
ধন্যবাদ সাইফ ভাই ।অসাধারণ :salute: :salute:
বাকি লেখা গুলো দ্রুত চাই ।সাথে মুক্তিযুদ্ধের উপরেও বাকি লেখা চাই ।
আবারো বিষেষ ধন্যবাদ এই সুন্দর লেখার জন্য ।
প্রিয় কমরেড, সশস্ত্র সালাম গ্রহন করুন :salute:
😀 😀
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
:salute: :salute: :salute: :salute: :salute:
Life is Mad.
আপনাকে নিয়ে আমরা গর্বিত ।প্রতিটি পর্বের জন্য অপেক্ষার সার্থকতা পর্ব শেষে বেশ ভালো ভাবেই উপলব্ধি করি ।
:salute: :salute: :salute:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ভাইয়া, অসাধারন লাগছে প্রতিটা অংশ। পরের বুধবার এর অপেক্ষায় থাকলাম।
:salute: :salute:
এই পর্বটাও দারুন আকর্ষনীয়। পুরোটা শেষ হলে সাইফ ভাইয়ের অনুমতিক্রমে এই ইতিহাস সিসিবির প্রথম পাতায় ইবুক আকারে ঝুলিয়ে রাখার প্রস্তাব রেখে গেলাম।
রায়হান আবীর ভাইয়ার সাথে একমত 🙂
:thumbup: :thumbup:
ঐ
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আপনার লেখাগুলো পড়তে অসম্ভব ভালো লাগে সাইফ ভাই। :boss: