চব্বিশ পেরোনো এক বালককে চিনি
আয়নার ওপাশে
অসম দূরত্বে দাঁড়িয়ে, বসে, অথবা শুয়ে;
প্রায়শঃ আমার দিকে খুব নির্বাক চোখ
বিম্বের সরলতায় তাকিয়ে থাকে।
শরীরে ক্রমশ পড়ছে বুড়িয়ে যাওয়া পলি-ছাপ,
ঘন চুলের ফাঁকে লুকিয়ে কেউ কেউ
বিশ্বাসঘাতকতার সূত্রে নীরবে শাদা হয়
ধবল বকের মত, কালোপানির খালে দাগ জেগে ওঠে।
কনুইয়ের উল্টোপিঠে বাহু-ভাঁজ, সেখানে
রেখার আঁচড়, বয়স লিখিত হয় গলার নিচে,
মুখের চারপাশে শ’য়ে শ’য়ে নতুন সূচালো শ্মশ্রু-ঘাম জমে থাকে।
তার করতল থেকে শৈশব আর দুধ-গন্ধ ঝরে গেছে
গ্রন্থিতে, পেশিতে, মাংশে ভেঙে পড়ছে আকৈশোর প্রেম
এবং প্রেমিকারা-
অভিমানী মন নিয়ে চলে গেছে বিম্বের সামনের পারদে।
গাঢ়তম আঁধারে ঢেকে থাকা রাতে
আমি বিম্ব-নিবাসী বালকের প্রৌঢ়ত্বে
অনেক বিষণ্ণ হয়ে পড়ি; বুঝি,
বালকের চোখের একটি প্রশ্নও তখন
বেঁচে ছিল না।
***
৫.২.৯
একটু কঠিন লাগছে, কিন্তু কবিতাটা ভালাপাইছি 😀 😀
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
১ম
১ম না ২য়!!! :grr: :grr:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
:khekz: :khekz:
আজকে কয়জনরে ফটো ফিনিশে ধরা খাওয়াইলি রে :grr: :grr:
সে-ই একদিনে দুজন ধরা খাইলো... এখন আমারই মায়া লাগতেছে! 🙁
মানে কি
বিম্বে যে বালক বসবাস করে তার প্রৌঢ়ত্বে ...
চব্বিশ পেরোলে আর বালক কিভাবে থাকে, এইটাই তো অনেক চিন্তা কইরা বাইর করতে পারলাম না। 😕
তবে তুমি যা-ই লিখো তাতেই প্লাস। 😀 😀
এইটাইতো কুহক, এইটাই তো রহস্য। বালক নিজেও তার উত্তর জানেনা। খুঁজে বেড়াচ্ছে। 🙁 🙁
যা লিখি তাতেই প্লাস দিয়েন না। মাঝে মইদ্যে "মাইনাচ" ;;; দিতে পারেন! 🙂
যেদিন বুঝুম সেদিন মাইনাচ দিমু।
তার আগ পর্যন্ত পিলাচ দিয়া যাই ;;;
এ+
simply nice bro.
ধন্যবাদ আলম। নম্বর যুগের মানুষ, এই প্রথম গ্রেড পাইলাম। অদ্ভুত ভালো লাগলো!
কিন্তু নামকরণ বুঝতেসি না!! 😀 😀
দ্বিঃ২। বাংলায় বললে অনেকটা সমার্থক শব্দ হলো, duality:2 ;;; ;;;
আয়নাটা কি বুড়িয়ে গেছে? পারদ ক্ষয়ে গেছে?
:dreamy: বিষন্নতা একটি রোগ, চিকিৎসক দেখাও জলদি।
সত্যি বলছি, ভালো লিখেছো। :hatsoff:
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
বিষণ্ণতা নাই লাবলু ভাই, এটা তার থেকেও বড়ো দর্শন নিয়ে চিন্তা করছি।
আমরা যতো বড়ো হই, বুড়ো হই... আসলে কি ধীরে ধীরে শৈশবের পথেই ফিরে যাই না? আমার পিতামহীকে দেখি, স্মৃতিভ্রষ্টতায় ভুগছেন, শিশুর মতো জেদ করেন, রেগে যান, অভিমান করেন। তখন মনে প্রশ্ন জাগে এরকম বিবিধ জরা আমাদের আবার শৈশবে ফিরিয়ে নিবে কী না!
আপনার প্রশ্ন আমাকেও দ্বিধায় ফেলে দিল। আপনি যেভাবে কবিতাটা পড়লেন সেটা অভিনব!!
"আয়নার বুড়িয়ে যাওয়া!" অসাধারণ অনুভব লাবলু ভাই! :clap: :clap:
আমার সঙ্গে থাকেন আমার মাতামহী (নানী)। ওই রকমই। হা...হা...
তবে সিসিবি দেখলে বাইরের যে কেউ বলবে আমরাও শৈশবেই আটকে আছি!! সিসিবিটা তো আমাদের আয়না! ~x( ~x( ~x(
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
আর যা-ই হোক, সিসিবি-র এই আয়নাটা বুড়িয়ে যাবে না একেবারেই!
খুব সুন্দর...
ধন্যবাদ তোমাকে রায়হান! 🙂
সুন্দর :clap: :clap:
চব্বিশে কি এই অবস্থা হয় নাকি?
ভাল লিখছ।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আন্দালিব ভাই, আমিও গাছে উটপো।
আন্দালিব, কি 'দ্বি' লা????
এবার তো আমি পুরা বুঝে ফেললাম... B-)
কিন্তু, এসব চিন্তা তো আরও কিছুদিন পরে আসার কথা... :-B
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
কয়দিন চুপচাপ দেখি তুমি!
তাই পুরোনো একটা লেখা খুঁজে বের করে পড়ে নিলাম।
মিস করছি তোমার কবিতা।