আমার ঘরে কিছু স্পর্শকাতর মানুষ বাস করে। তারা সামাজিক জীবঃ একা একা চলতে পারে না। থমকে যায়, দু’পা এগোয়, তারপরে থামে আর হোঁচট খায়।
আমার ঘরে কিছু অনুভূতিপ্রবণ মানুষ বাস করে। তারা সাংস্কৃতিক জীবঃ প্রাগৈতিহাসিক সংস্কৃতি ধরে রেখেছে। তারা সংস্কৃতি খায়। মাখে। ঘুমায়। চোষে। আমের আঁটির মতো সংস্কৃতির গায়ে কমলা কমলা মাংস কামড়ায়।
আমার ঘরে কিছু বাঙালি-চেতনায় গাঢ় মানুষ বাস করে। তারা হাজার বছরের বাঙালিত্ব লালন করে। বাঙালিত্বের ভারে তারা শ্বেত-শুভ্র হয়ে যাচ্ছে, বাংলায় হাসছে, বাংলায় নিন্দা করছে, বাংলা দিয়ে বাংলাদেশকে করছে।
আমার ঘরে এমন চমৎকার মানুষের ভীড়ে আমি ক্রমশ বর্ণবাদী হয়ে উঠছি। বর্ণবাদী সুশীলীয় শব্দ, এটাকে গালি মনে হয় না। বরং বলতে পারি, আমি রেসিস্ট হয়ে উঠছি। এটা বলামাত্রই মানুষগুলো শিউরে উঠলো, তাদের চোখে আমি নিজের ছায়াকে ধীরে ধীরে এনার্কিস্ট হয়ে উঠতে দেখলাম।
স্পর্শকাতরেরা সামাজিকভাবে আমাকে বয়কট করলো, এই হলো তাদের একুশ শতকের আন্দোলন।
অসহযোগের মতো দাবানল ছড়িয়ে গেলো তাদের মাঝে।
অনুভূতিপ্রবণেরা কমলা সংস্কৃতি খেয়ে রেগে লাল হয়ে উঠলো, তারা পথনাটক আর জনগানে
আমার বিরুদ্ধে মোর্চামিছিল নামিয়ে দিলো গতকাল সাঁঝে।
বাঙালিত্বে উজ্জ্বল মানুষেরা আমাকে বাংলায় তিরস্কার করলো, বাংলায় লিখলো পাতা-পাতা
স্মারকলিপি, প্রতিবাদ-বিবৃতি, রেগে উঠলো বাঙালি ঝাঁজে।
আমি তাদের সবাইকে আমার ঘরে রেখে বেরিয়ে এলাম
বাইরে তখন হলুদ হলুদ রোদ মেখে আকাশ খুব হাসাহাসি করছিলো নীল মেঘের ওড়না ধরে!
***
– অনীক আন্দালিব
৮.৮.১০
আমি আবারও প্রথম ???? 😮
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
আপনি ছোটবেলায় ঐ কবিতাটা পড়েছিলেন না, একবার না পারিলে... ? সেই রকমই আর কি, এখন বার বার প্রথম হচ্ছেন। 🙂
ম্যালাদিন পর ছক্কা টা মেরেই দিলাম B-) :grr:
=))
পুরা বোল্ড :gulli2:
হা হা হা, বাউন্ডারি লাইনে কট খাইছো। এখন ছক্কাটক্কা বাদ দিয়ে লেখাটা পড় :grr: :grr:
কর্পোরেট আগ্রাসনের কাছে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে সংস্কৃতি
নানান রঙা জীবন আমাদের। পরিপার্শ্ব।
হুমমম......আরেকটা মাথার উপর দিয়ে গেল গা 🙁
উড়ে যায় বক পক্ষী...
আঁচড় কেটে গেলো। :clap:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
এই লাইনের আগে একটা লাইন লিখছিলাম। সেটা আবার এখন মনে নাই। থাকলে হয়তো এতোটা দাগ কাটতো না! 🙂
যা অবশ্যম্ভাবী, তা দ্রুত ঘটা ভালো
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ঠিক বলেছেন ফয়েজ ভাই। ঘটছেও দ্রুত, অ্যাভালাঞ্চ ইফেক্ট হইতেছে!
কেমনে লেখেন আপনি ?
কেমনে কেমনে ? 🙁 🙁
হা হা!
আঙুল দিয়ে লিখি- আগে কলমে লিখতাম, এখন কিবোর্ডে। আগে হাতের লেখা বাজে ছিলো, এখন মুক্তোর মত ছাপার মত ঝকঝকে!
x-( এইরকম ডাহা মিথ্যাটাও কইতে পারলেন যে আপনার হাতের লেখা বাজে ছিলো? ওয়াল ম্যাগাজিনে কে জানি ক্যালিগ্রাফি করতো? x-(
হাতের লেখা ভালো ছিলো না। কেউ লাইন টেনে দিলে ঠিক ঠাক লিখতাম আর কি... ;;;
আর ছাপার চাইতে বাজে তো ছিলোই, নাকি? 😛
আমারও বের হয়ে যেতে বড় ইচ্ছা করে ... 🙁
ইচ্ছাটা তাহলে আমার একার করে না!! আমি ভাবছিলাম 'ঘরে' খালি আমি একাই আছি, বাকিরা ওই তিন দলে!
শুধু তুই একা বের হলে হবে না। আমাকেও বের করতে হবে। সবাইকে বের করতে হবে।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
সবাই যদি স্পর্শকাতর আর অনুভূতিপ্রবণ হয়ে থাকে, তাহলে তাদের বের করা না করা একই কথা বস। লাভ নাই। বরং হিউম্যান রিসোর্সের ক্ষয়। এর চাইতে যারা 'দলছুট', এই তিন দলে পড়ে না, তাদের একা একা বের হয়ে আসতে হবে।
তবে হ্যাঁ আমার ধারণা বের হয়ে আসার পরে, আমরা একে অপরের মুখ চিনতে পারবো। তখন দেখা যাবে যে একা নই। অনেকে। 🙂
হুমমমম ... ... ... :-B
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
:hatsoff:
:gulti:
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
উফ! ব্যথা পাইলাম! x-(
:clap:
সৈয়দ সাফী
বাহ! এই ঘরের কথা তো ভুলেই গেছিলাম!
বাহহ।
😀
ভাল লাগলো লেখাটা।
মাঝে মাঝেই এরকম ভাবি, মনে হয়, ভুল জায়গায় আছি, ভুল সময়ে বাঁচছি, ভুল কাজে দিন কাটাচ্ছি। বের হবার মত শক্তি পাই না।
www.tareqnurulhasan.com
ভুল জায়গায় ভুল সময়ে থাকার অনুভূতিটা আমারও হয়।
লেখাটা ভালো লাগল আন্দা।
তারেক ভাই, আমার ভাবনাটাও এরকম ছিলো 🙁
তানভীর ভাই। থেংকুশ! : 😀