পাতার কান্না শুনি ঝিকমিকে আঁধার নির্জন
সবুজ প্রহার…
এ সবই শীতল দৃশ্যে লেপটে থাকে
ঘুঙুরের শব্দের রঙ দেখে আমি যেভাবে বিস্ময়ে ভাসি
সেভাবে অনেক বছর পরে তোমরা সেই দৃশ্যটি দেখে
নিশ্চয়ই কাঁদবে
হাসবে হাসিমুখ ভেঙেচুরে পাতা হয়ে যাবে
কিংবা হতেও পারো কোলাজরূপী দালান
অদ্ভুত ট্র্যাফিক সিগন্যাল যেটি নীল’
তোমরাও জ্বলবে নিভবে তিন মিনিট পর পর
যেভাবে হাসছো এখন
আমিও হাসছি তোমাদের সাথে
***
২.১১.৯
~~~~~~~~~~~~~~~~~~
অনেকদিন আগে, প্রায় দু’বছর হতে চললো, আমি লেখা শুরু করেছি। সেইসময়ে আমার লেখা পড়ে একজন আমাকে বলেছিলো, আমি কেনো কেবল কষ্টের কথা বলি, আনন্দ নিয়ে আমার উচ্ছ্বাস কেনো এতো কম?
সেই প্রশ্নের জবাবে, ভেবেছিলাম একটা আনন্দের কবিতা লিখবো। তারপরে অনেক দিন অনেক রাত কেটেছে সেই চেষ্টায়। আজকে অভাবিত কারণেই মন ভালো, খুব ভালো। তাই তাকেই এই লেখাটা উৎসর্গ করে দিচ্ছি!
🙂
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
সাবাশ বেটা। জিতছিস। :clap:
আনন্দের কবিতার শুরুটাও কান্না দিয়ে করলেন 🙁
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আনন্দ বেদনা পাশাপাশি থাকে রে ভাই। একটারে ছাড়লে আরেকটা আসে। একটারে জড়ায় ধরলে অন্যটা ঠেলা দেয়। 😕
...............
😉
আপ্নের্কবিতায়ামিভয়েভয়েপইড়াওকিছুবুঝিনাতাওভাললাগে
ভয় বাদ দিয়ে পড়ো, আরো ভালো লাগবে। আর কবিতা বুঝার কিছু নাই, ভালো লাগা আর না-লাগাটাই জরুরি, গুরুত্বপূর্ণ হে! 😉
কবিতা ভাল লাগল রে। ঠিকই বলেছিস কান্না ছাড়া কি আনন্দের পূর্ণতা আছে নাকি। আমিও আজ অনেক ভাল আছি একেবারে একটা পোস্ট দিয়ে দেওয়ার মত মন ভাল।
পোস্ট তো দিলি না রে...
সুন্দর, বড় সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। :boss:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ধন্যবাদ হে রকিব। ভালো থেকো অনেক।
সুন্দর হইছে ভাইয়া :clap:
তোমাকেও অনেক ধন্যবাদ রেজওয়ান।
কেমন মন খারাপ করা ভাব নিয়ে আনন্দের কবিতা শুরু করলা? :-/
যাই হোক, কবিতা ভালো লাগল, বিশেষ করে শেষ অংশটুকু। 🙂
খারাপ ভালো থাকা খুব শিফট করছে আজকাল। এই ভালো আছি, তো এই খারাপ লাগছে। লেখাটাও তেমনই, সব মিলে মিশে গেছে মনে হয়!
সৌন্দর্য লাগলো কবিতাটা... :boss:
কমলা সুন্দরীর মতো সৌন্দর্য্য, কী বলিস? 🙂
৫বার পরলাম......তবুও কিছুই বুঝলামনা!!!!!!!! 🙁
সোনিয়া, পাঁচবার পড়ার আগ্রহটা আমার খুব ভালো লাগলো। তোমাকে অনেক ধন্যবাদ। বুঝতে পারা বা না-পারার চাইতে কবিতা কেমন লাগলো, সেই বিষয়টা বেশি জরুরি। একটা চিত্রকর্ম দেখে আমরা কিন্তু বুঝে ফেলার চাইতে ভালো লাগছে বা কেমন লাগছে সেটাই বেশি বিচার করি। কবিতাও তেমন। সেটা জানাতে পারো..।
অনেক ভালো থেকো।
ভাইয়া, আমি আবার পরলাম.....কেমন লাগলো সেটাই বোঝার চেষ্টা করছি........ 🙂
অনেক অনেক ধন্যবাদ........
মাহবুবা, এরকম মনোযোগী পাঠক পেলে খুবই ভালো লাগে। তোমার জন্যে অনেক শুভেচ্ছা রইলো। ভালো থেকো।
বুঝতে পারলাম না এটা কি আনন্দের কবিতা নাকি ভর্ৎসনা করে লেখা কবিতা? বুঝলাম নাকি বুঝলাম না তাতে কিছু যায় আসে না। একটা যায়গায় একটু হোঁচট খেয়েছি কিন্তু এছাড়া খুবই ভালো লেগেছে।
হুম। আমি আসলে শিরোনামটা খুব ভেবে দিয়েছিলাম। কোলাজে যেমন, সবকিছু ঠিকঠাক বোঝা যায় না, আনন্দ-বেদনা-হর্ষ-ক্রোধ সব মিলেমিশে যায়, এটাও তেমনি একটা Feel দিক সেই চেষ্টাটা ছিলো।
এখন মনে হইতেছে আরেকটু কম এলোমেলো হলে ভালো হতো, অনেকেই কনফিউজড। হাহা। 😉
কনফিউজড হলেও ভালো লেগেছে 🙂
থ্যাঙ্কু দিহান আপু। ভালো থাকবেন।
শেষের চারটা লাইন আমার খুব ভাল লেগেছে । তোর ফিকশন কই ??
ফিকশন লিখতেছি, তবে গল্পটা যেভাবে বলতে চাই, সেভাবে পারছি না। একটু সময় লাগবে আদনান ভাই 🙁
ফিকশনের একটা উপজাত 'সে সিরিজ'-এ চার হিসেবে দিয়েছি। মেয়ে চরিত্র নিয়েই একটা সিরিজ লেখা হয়ে গেছে বলতে পারেন! 🙂