ক্লাশ নাইনে যখন উঠলাম, সেবছর পুরো জানুয়ারি মাস ছুটি ছিলো। রোজার ছুটি। ছুটির পরে কলেজ খুললো ফেব্রুয়ারির পাঁচ তারিখে। এটা স্পষ্ট মনে আছে কারণ আমি সেবারে একদিন পরে কলেজে এসেছিলাম। আমার বাবা সেইসময়ে ট্রেনিঙয়ে ছিলেন দেশের বাইরে। সেখানে আমরাও বেড়াতে গিয়েছিলাম। আমি, মা আর বোন। আমার কলেজ খুলে যাবে বলে একা একাই ফিরে এসেছিলাম। প্লেনে করে ঢাকায় নেমে মামার বাসায়, সেখান থেকে পরের দিন বাসে করে ঝিনাইদহ।
কলেজ খোলার পরের দিন “এডমিন ডে” থাকে। সবাই ডর্ম গুছায়, ক্লাসরুমে গিয়ে বইখাতা ঝাঁড়পোছ করে, বাসা থেকে নিয়ে আসা গল্পের বই, ছুটিতে কী করা হলো সেই গল্প আর আড্ডা চলে। আর বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে বা ডর্মের ভেতরেই ‘মিনি’ (মিনি ক্রিকেট) ধুন্ধুমার শুরু হয়ে যায়। আর সেদিনটা হেয়ারকাটের দিন। পুরো রোজার মাঝে লকলকিয়ে বেড়ে ওঠা কেশরাজি নিদারুণভাবে নিকেশ হবার দিন। কপালের ওপরে কতখানি চুল বাঁচানো যাবে সেই চেষ্টায় নাপিতের সাথে হাত-মাথার সে কী টানাটানি!
আমি সেবার একদিন দেরি করে আসলাম, কলেজে ঢুকলাম দুপুরের দিকে। সাথে করে একটা দরখাস্ত, বাবা দেরি করে আসার কারণ জানিয়ে অধ্যক্ষকে দিতে বলেছেন। স্টাফের ব্যাগচেকিং শেষে আস্তে আস্তে হেঁটে হাউসের দিকে যাচ্ছি। মাথা হেঁট। শেড দিয়ে আর রাস্তা দিয়ে যারা আসা-যাওয়া করছিলো, তারা আমার দিকে অবাক হয়ে তাকাচ্ছে। কলেজে “অন্যের ব্যাপারে নাক গলানো ঠিক না”- এই নীতিটা সবাই মানে বলে কেউ থামিয়ে জিজ্ঞাসা করছিলো না কেন আমার দেরি হলো। আমি একটা অজানা কুণ্ঠা নিয়ে নিজের ডর্মে গেলাম। সবাই দুপুরের খাওয়া শেষে গড়াগড়ি নয়তো খোশগল্প চালাচ্ছে, আমি সেখানে অনাহূতের মতো হাজির হলাম!
আজকে অনেক অনেকদিন পরে সিসিবি’তে একটা লেখা দিতে গিয়ে ছয়ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৮-এর কথা মনে পড়ছে।
*
২.
আমি মাঝে মাঝে ঘটনার মাঝখানে কেমনে কেমনে জানি পড়ে যাই। আগে যা করতাম, বেশ উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে নিজের গলার স্বরের জোর পরীক্ষা করে উপস্থিতি ও মতামত জানান দিতাম। মত দিলেই অমত হয় বলে আমার বিরুদ্ধে প্রচুর অভিযোগ জমা হতো। এমনও ঘটেছে কোনো আলোচনার মাঝে আমি দু’পক্ষকেই ক্ষেপিয়ে দিতে সক্ষম (!) হয়েছি। তারপরে দুমুখি চিপা বা মাইনকা চিপা খেতাম। ঘাড়ের রগ দুয়েকটা ত্যাড়া হয়ে গিট্টু লেগে গেছে বলে “চিপা খাইলেও ব্যথা পাই নাই” এমনধারা যণ্ডাবেগে তেড়ে যেতাম। প্রচুর বাক্যক্ষয়ের পরে দেখতাম আমিই হতাহত, ক্ষতবিক্ষত। অন্যদের হারানোর আনন্দটা ছাপিয়ে এটাই বড়ো হয়ে দেখা দিতো।
সময়ের কাজই হলো ধীরে ধীরে সবকিছুর ধার কমিয়ে দেয়া। সেটা যে কোন বস্তু বা অবস্তুগত জিনিশের বেলায়ই খাটে! আমার এই তর্ক করার বা মতামত প্রকাশের অভ্যাসের সাথে লাগোয়া আঘাতগুলো বড়ো বুকে বাজতো। আমিও তাই নিজেকে মিহি করার চেষ্টা করলাম। মাংস ছেড়ে ঘাসে অভ্যাস করলাম (*শুনেছি নিরামিষাশী, বাঁচে বেশি!*)। যেটা উপকার হলো, দেখলাম বন্ধু বা সহপাঠীরা বেশ সহজ হয়ে এলো। আর যারা শত্রু হয়ে গেছিলো, বাতচিত বন্ অবস্থা, তারাও কোনো না কোনোভাবে নমনীয় হয়ে সৌজন্যমূলক সাজ নিলো। সামাজিকভাবে আমি “অভিযোজিত” হলাম। শিখলাম, মনের কথা ধুপধাপ বলে ফেলাটাই জরুরি বিষয় নয়। জরুরি কথাটা মনে চেপে রাখাটাও মাঝে মাঝে খুব দরকারি। এই দরকারটা যতো শিখছি, ততো মনে হচ্ছে অথর্বের মতো নখ-দন্তহীন হয়ে পড়ছি!
যাক, আমি তো আর বন্যশার্দুল নই যে নখ বা দাঁত কোনো কাজে আসবে। আমি না’হয় ভেতোবাঙালি হয়ে উঠি নিদারুণ!
*
৩.
এখন মানুষের সাথে সবচেয়ে বেশি জড়িয়ে থাকার মাধ্যম মনে হয় ‘ফেসবুক’। তিন-চারশ’ বন্ধুর মাঝে গত ছ’মাসে পনেরোজনের সাথেও দেখা হয়েছে কিনা, সেবিষয়ে আমি ঘোরতর সন্দিহান। তবে এই যুগে যোগাযোগ থামে নাই। স্ট্যাটাস, ছবি, মেসেজ, ভিডিও- …জুড়ে আছি, কাছে আছি, মুড়ে আছি। যে বছরটা আমার জীবনে সবচেয়ে খারাপ গেছে (২০০৭) তার শেষে এসে ব্লগিং শুরু করলাম। দেখা গেলো, ২০০৮ বছরটা আমার জীবনের সেরা বছর (কলেজের বাইরে আসার পরে)। স্বভাবতই ব্লগ এবং এই লেখালেখি খুব বেশি ভালোবেসে ফেললাম। ভালোবাসলে মানুষ একটা ঘোরে চলে যায়। উথালপাথাল প্রেম, ফল্গুধারার মতো লিখছি, কথা আসছে, ভাষা আসছে, কবিতা-গল্প নয়তো নেহাতই ব্লগরব্লগর!
এই বছরে এসে মনে হলো জীবনটা একটু গুছিয়ে নেয়া দরকার। সামনের পথটা একটু পিচ ঢেলে পাকা করে নেই, রাস্তার পাশে দুয়েকটা ছায়াবৃক্ষ (প্রেফারেন্স টু হোমল্যাণ্ড), কাঠের শীতল বাড়ি বানিয়ে নিলে নিশ্চিন্তি। সেজন্যে আবার অনেক কাঠখড় পুড়াতে হবে। যেহেতু আমি বৃক্ষ এবং সবুজ (লাইক্করি), সেহেতু আমার চেষ্টা হচ্ছে যতোটা কম পুড়িয়ে যতটা আচার বানানো যায়। হুম। (দুয়েকটা ফিরিঙ্গিভাষাশিক্ষা লাগিবে, গোটাকতক বইপুস্তক কিনিয়া কোমর কষে বাঁধিয়া পড়িলাম)।
“অস্থিতপঞ্চম” বলে একটা বাংলা শব্দ আছে, যেটার অর্থ আমি ইহজনমে শিখি নাই। নিজের মায়ের ভাষাতেই ভূরি ভূরি শব্দ চিনি না, সেখানে ফিরিঙ্গিভাষা এই ধূলিধোঁয়ার দেশে বসে কীভাবে শিখবো! তবু নাকমুখ গুঁজে রাখি, ঘাড়ের পুরনো রগগুলো ত্যাড়া করার চেষ্টা করি। অনভ্যাসে সেগুলো ঢিলে ঢিলে লাগে। যা হোক, পরীক্ষা একটা দিলাম, ভালো হয়েছে। আরেকটা সামনে (সেটার নামটাও এমন, সেই ছোটবেলা থেকে ঠিকমতো উচ্চারণও করতে পারি না!) চব্বিশ তারিখে। পড়তে পড়তে চোখে সর্ষে দেখি, ঘুমে চোখ ভাঙি ভাঙি করে, আর ধুম করে কবিতার লাইন আসে। দেখি, এক শ্যামাঙ্গি চুল বিছায়ে দেয় বইয়ের ওপরে। পুরোপুরি গোলমেলে বিভ্রম। আমার আর পড়া হয় না। কারো কারো জন্য কিছু হয়ে উঠতে ইচ্ছে করে, কারো কারো জন্য সবকিছু ছেড়ে দিতেও ইচ্ছা করে। আমার কবিতা আর ঐ মেয়েটা তেমনই দুইজন।
এই দীর্ঘসময়ে অনেকে গুঁতিয়েছেন, মেসেঞ্জারে, ফেসবুকে। “আন্দালিব, তুমি সিসিবি’তে নাই কেন? লেখা দাও না কেন? আসো না কেন?” আমি খুব লজ্জায় মিইয়ে গেছি। অপারগতার অনুভব খুব কষ্ট দিয়েছে। আমি এর কোনোকিছুরই যোগ্য নই, তারপরেও সবাই মিলে আমাকে ক্রমশ বুঝিয়ে দিয়েছেন বৃক্ষেরও অনুভূতি আছে!
*
৪.
আজকে এই পোস্টটা লেখার কথা ছিলো না। তারপরে ভাবলাম নিজের ঘরে না’হয় দেরি করে ফিরলাম। সবাই বকা দিবে। হয়তো অনেকে রেগেও আছেন। তবু ফিরি। বকার পরে “আম্রা আম্রাই তো” কেউ না কেউ তো বলবেই (কাইয়ূম ভাই, কি বলেন?)।
ব্লগে কুণ্ঠা নিয়ে ঢুকে আমার ‘প্রিয়’ বাবারে স্যারকে নিয়ে লেখা দেখলাম। স্যারের কথা মনে পড়লো আর মন একইসাথে খারাপ আর ভালো হয়ে গেলো। সিসিবি’টা খুবখ্রাপ জাইগা!
***
১০ অক্টোবর, ‘০৯
দোস্ত তোরে যে খুব মিস করেছি তুই না লেখলে এইটা বলাই হত না।
🙁
আমিও করছি। এতো কবিতায় এতো কিছু লেখার চেষ্টা করি, আর এই সহজ কথাটা বলতে পারি না।
তুই কেমন আছিস? তোর শরীর কেমন এখন?
শরীর ভাল দোস্ত এখন আল্লাহর রহমতে। মাঝে একটু ব্যস্ততা গেল ২ মাসের। এখন একটু শান্তি। অনেকদিন এন্টেনা টেস্ট হয় না।
এই লেখা তো একদম ঝরঝরে মাথায় একবারেই ঢুকে গেছে।
তুই কি বাইরে ট্রাই করছিস? দেশে গেলে তো একেবারে গোবেচারা হয়ে যাব একটাও থাকবে না আগামীবার।
আমি একটা peer-pressure -এ পড়ে গেছি বলতে পারিস। আশে পাশের সব বন্ধুরা বাইরে চলে গেছে বা সামনের বছরে যাবে। আমি যেতে চাই না, আমার নিজের চাহিদা এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষা নাই বললেই চলে। 🙁
তারপরেও চাকরিটার জন্যে একটা ডিগ্রি দরকার বাইরের। আমার ঘর থেকে বেরুতেই ভালো লাগে না, আর দেশের বাইরে গিয়ে কীভাবে থাকবো! :((
মনে হয় দেশে আর দুই বছর পরে ব্যাচের ১০ভাগ রয়ে যাবে। বাকিরা ব্রেনড্রেইন!
১ম বারের মতো ১ম 😀 😀 😀
খুব ই ভালা লাগতাসে.......এখন পুস্টটা পড়ি
🙂 🙂
হাহাহাহা আমি কিন্তু পড়েই কমেন্ট করেছি। সমস্যা নাই নেক্সট টাইম
বড়ই দুস্ক পাইলাম ........ভাবিলাম ১মবারের মতো ১ম হইয়াছি..........
:(( :(( :(( :(( :(( :(( :(( :(( :(( :(( :(( :(( :(( :(( :((
শাতিল, পারলে না একটুর জন্যে। :grr:
ব্যাপার না, পোস্ট পড়ে জানাইয়ো। 🙂
আন্দা ভাই সুস্বাগতম! 😀
মাস্ফূ, কীরামাছো? 😀 😛
জীবনের সকল পরীক্ষার জন্য রইল অস্থিতপঞ্চম শুভকামনা... B-)
(এর মানে কি হইল জানি না... 😛 )
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
অস্থিতপঞ্চমঃ
১. সমীকরণজাতীয় অঙ্কবিশেষ;
২. জটিল সমস্যা;
৩. কিংকর্তব্যবিমূঢ অবস্হা।
মিঞাভাই, আপনে আমারে পেঁচাই দিলেন।
কেমন আছেন?
এই তো ভালোই আছি... 😀
তোমার তাইলে এই কাহিনী...
আমি মিলাইতেই পারতেছিলাম না, তুমি সিসিবিতে কেন নাই!
শুভকামনা রইল।
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আমি বাপ-মারে নিয়ে দেশ ছাড়ছি প্রায় আড়াই বছর, তারপরো প্রতিদিন একবার করে হলেও কান্দন আসে। :(( :(( ভাইয়া, কোন দেশে যাবেন???
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ওহ আরেকটা কথা কওয়া হয় নাই। আপনারে মিস করতেছিলাম। 😕
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
রকিব, আমিও তোমাকে আর সিসিবি'কে অনেক মিস করেছি। গত এক মাসে মাঝে মাঝে দশ পনেরো মিনিটের জন্য চুপচাপ এসে ঘুরে গেছি, মন্তব্য করবো, আলাপ করবো বা তোমার চায়ের দোকানে একটু গফসফ করবো সেই সময়টা পাইনি!
তা মিয়া মিস করছো বুঝলাম, এদ্দিন পরে আইলাম এককাপ চা তো খাওয়াইবা, নাকি? 😉
:shy: স্যুরি।
এই নেন :teacup: :teacup:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ভাল লাগলো ভাই পোস্ট পড়ে ........ 🙂 🙂
আমরা এখনও ছোট মানুষই আছি.....
যতো যাই হোক না কেনো, ঢাকায় থাকলে মাসে অন্তত একবার ছোটখাট একটা মিটে সক্কলের সাথে দেখা হয়ে যায় (সক্কল=২০/২৫ জন , কখনও ৭/৮জনে নামে তবুও খারাপ না দেখা ত হয় 🙂 ) .......
আমাদের মাঝেই আমাদের বেঁচে থাকা......আশেপাশে ক্যাডেট পোলাপান না থাকলে মনে হয় টিকতে পারবনা .............মগজ পাচারের গড্ডালিকায় হয়ত নিজেও সামিল হবো , কিন্তু চেষ্টা থাকবে যাতে সাগর থেকে আবার বাষ্প হয়ে পাহাড়ের চূড়ায় যেতে পারি........
🙂 :thumbup: :thumbup:
টিঁকে যাবাই, এটাই আসলে মূল কথা। আমি জানি আমার ক্যাডেট জীবনের সবচেয়ে বড়ো অর্জন বন্ধুগুলো। তবে বাইরে আসার পরেও দেখবা নতুন বন্ধু হবে। ক্যাডেটের বন্ধুরা স্পেশাল, অনেকদিন পর দেখা হলেও দেখবা নৈকট্য আগের মতই আছে, সুতরাং তাদেরকে হারানোর ভয় নাই। তবে জীবন থেমে থাকে না কোনোখানেই!
আমার নতুন বন্ধু হয়নাই খালি ক্যাডেট বন্ধু নিজের কলেজ অন্য কলেজ আমার আম্মা আগে বলতো বন্ধু বানাবিনা খবরদার এখন আর বলেনা কারণ সব গুলা তো আমরা আমরাই :grr:
এত্তদিন কই আসিলা? আইলা যখন নাও :teacup: 🙂
অনেক ধন্যবাদ ভাবী। অনেকদিন বাদে। ছিলাম আশেপাশেই, তবে সময় করে উঠতে পারি নাই। এখন একটু আয়েশ কইরা চা খাই, কী বলেন? B-)
বস আপনি কতদিন আপনার দেখা পাইনা আপনি ছিলেন কেথায়। :(( :((
অবশেষে আসলেন এই ঢের
হৈ সাদিক, আইসা পড়ছি এখন কান্নাকাটি বন্ করো।
তারপর খবর বলো, ভালো আছো তো?
কিরে, কই ছিলি এতদিন?
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ঢাকাতেই ছিলাম। পরীক্ষা ছিলো দুয়েকটা, তার জন্য পড়াশোনায় ব্যস্ত ছিলাম। আরো কিছু দৌড়াদৌড়ি ছিলো যেগুলোর কারণে ব্লগে সেভাবে সময় দিতে পারি নাই।
এখন একটু অবসর পেয়েছি। তোর খবর কী?
আন্দালিব আছো কেমন? তোমাকে মিস করি। রবিন কেও দেখি না অনেকদিন।
কোথাও যাচ্ছ নাকি তুমি? বিয়ে সেরে তারপর যাবা? 😀
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আমি ভালো আছি ফয়েজ ভাই। বাইরে যাবার চেষ্টা আছে, অলস মানুষ তাই গেলেও হয়তো পরের বছর। তবে বিয়েশাদির খবর এখনও বলতে পারতেছি না। রয়ে-সয়ে এগুনোই ভালো! 😀
এরচে ব্যাপক কামব্যাক আর হইতে পারেনা! 😀
আপনার গদ্য দিনকে দিনকে দিন খালি হিংসাই বাড়ায় যাইতেসে এই যা সমস্যা 😀
ভালৈয়াছেন তাইলে? 😀
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
ভালৈয়াছেন তাইলে? প্রশ্ন করে তো কনফিউজ করে দিলে! 😕
আমি চেষ্টা করতেছি ভালো থাকার, আশেপাশের বাস্তবতা যেভাবে চেষ্টা করতেছে আমাকে ভালো থাকতে না দেয়ার। এই টাগ-অফ-ওয়ার চলতেছেই।
তোমার খবর কী হে? 😀
এইটা কি jcc special নাকি?আমি আমাদের কলেজে কখনো দেখি নাই।
অন্যের ব্যাপারে নাক গলানো' বলে আসলে অদরকারী কৌতূহল প্রকাশ বুঝিয়েছি। ধরা যাক, একজন সিনিয়র কাউকে পানিশ করছে, তখন তার বন্ধুরা তাকে জিজ্ঞাসা করবে না 'কী হইছে? ঘটনা কী?' যেমন, আমি ফিরে আসতে একদিন দেরি করেছি, অনেকেই রাস্তায় থামিয়ে জিজ্ঞাসা করতে পারতেন যে কেনো দেরি করলাম। কিন্তু কেউ করেন নাই।
এটা মনে হয় সব কলেজেই ছিলো, নাকি?
আমিতো আন্দার আন্ধাভক্ত পাঠক। সো, নিয়মিত লিখে যাও আন্দালিব :gulli: । তোমার এই লেখাটা নষ্টালজিক করে দেয়ার মতো।
রহমান ভাই, বিনীত ধন্যবাদ বস। আপনারা বেশি বলে বলে আমার অভ্যাস খারাপ করে দিয়েছেন। এখন শয়নে স্বপনে খালি খেলোয়াড়দের মতো 'স্নায়বিক চাপ'এ ভুগি! :(( :((
ভালো থাইকেন বস।
পুরা সা ঝুপ (কপি-আন্দা ভাই নিজেই) টাইপ পুস্ট দিয়া কাম ব্যাক... :duel: গ্রেট বস :salute: :salute: :salute: :salute:
সেই সাঁ ঝুপের কথা এখনও মনে আছে! হায় হায়! 😮
এই পোস্ট তো তেমন কিছু হয় নাই। এন্টিনা তেল মেরে চকচকে করে রাখো, সামনে আ-সি-তে-ছে! ;;;
কবিতা দিবেন নাকি ???? 😕 😕 😕
আমি কোবতে কম বুঝি :(( :(( :((
সমস্যা নাই রেজওয়ান। মজা করে বলেছি। আমিও এখন চেষ্টা করি সহজ করে লেখার, সহজ করে বলার। দেখো এই পোস্টটা কতো সহজবোধ্য হয়েছে! ;;;
😀 😀 😀 😀 এক্কেরে হাছা কথা কইছেন 😀 😀 😀 😀
চমৎকার লাগলো আন্দালিব ......... আবার ডুব দিয়ে চলে যেও না ...
না মাইনুল ভাই, আপাতত ডুবাডুবি বন্ধ। মাঝে ডুবেই ছিলাম বলে ভুস করে ভেসে উঠতে পারি নাই। 😀
এন্টেনাটায় জং ধরছিল। আইজকা বাইর কইরা তেল মবিল দিমু। :grr: :grr: :grr:
পরীক্ষার জন্য শুভকামনা। সাথে থাকিস। 🙂
ঠিক ঠিক। তেল মাইরা ছাদে রোইদে ফালায় রাখ পুরা বিকালডা। তারপরে ত্যান দিয়া মুইছা ঘরের মইদ্যে টাঙাইবি! :grr: :grr:
সাথে থাকবো, সমস্যা নাই দোস্তো। 😀
আন্দা ভাই, অনেক দিন ম্যান্দা মেরে থাকার পর গা ঝাড়া দিয়ে উঠছে।
:guitar: :guitar: :awesome: :awesome: :awesome: :awesome:
বাহ্। তুমি তো বেশ শব্দ মিলিয়ে কমেন্ট করলে। কবিতা লেখা শুরু করলে নাকি হে? :grr:
কেমন মন খারাপ করে দিলা! এতদিন পরে এসে বুঝি মন খারাপ করা ছাড়া আর কাজ নাই তোমার??
যাক্, আসছ যখন ঝটপট কিছু কবিতা, গদ্য ছেড়ে দাও এখানে। 😀
মন খারাপ করানো খুব সহজ কাজ। পোস্টটাও আসলে 'সেমি-অপরাধবোধ' থেকে লেখা, এজন্য হয়তো এমন মনে হচ্ছে। আমি আসলেই স্যারের পোস্টটা পড়ে বেশ মন খারাপ করে লিখতে বসেছিলাম।
কবিতা, গদ্য আসছে তানভীর ভাই। 🙂
আপনি ভালো থাকবেন।
ওয়েল কাম ব্যাক আন্দা..........
আছিস কেমন?
আসলেই মিস করছিলাম তোর লেখা.............
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
এইতো এখন লেখা নিয়েই ফিরলাম। দেখা যাক। 🙂
আন্দা ভাইয়া ওয়েল্কাম বেক 😀
আর চা নেন :teacup:
রকিব ভাইয়ার দোকান আর নাই আমি নতুন দোকান খুলসি B-)
ওয়েল্কাম বেকারি থেকে একটা বড়ো বাটারস্কচ কেক নিয়া আইসো! 😉
চা খুবই সুস্বাদু হৈছে। গুট গুট বেরি গুট! 😀
kemon asen vai?apnar lekha seriously miss koresi.(sprry for eng)
আমিও লেখা দিতে পারি নাই বলে দুঃখিত হইলাম। এজন্যেই তো এই লেখা।
ওয়েলকাম ব্যাক আন্দা । তোর লেখা দেখে আমিও ভেসে উঠলাম কমেন্ট করার জন্য ।
ভেসে উঠে আবার হারিয়ে যাইয়েন না। একটা বৈদেশিক পুস্ট ছাড়েন, মোটাতাজা অস্ট্রেলিয়ান! 😀
" আমি জানি আমার ক্যাডেট জীবনের সবচেয়ে বড়ো অর্জন বন্ধুগুলো। তবে বাইরে আসার পরেও দেখবা নতুন বন্ধু হবে। ক্যাডেটের বন্ধুরা স্পেশাল,"
বাইরের বন্ধুরা কি আর কলেজের বন্ধুদের মতো হয় ভাইয়া?
"টিঁকে যাবাই, এটাই আসলে মূল কথা।"
"তবে জীবন থেমে থাকে না কোনোখানেই!"
এইসব কথা শুনলে মনটা খারাপ হয়ে যায়.......
সোনিয়া, কথাগুলো সান্ত্বনাবাক্য ছিলো বলে হয়তো কিছুটা মন-খারাপ ধরনের। তবে আসলেই কিন্তু জীবন থেমে থাকে না। আমাদের মাঝে অনেকেই পিতামাতা হারিয়েছেন। তারপরেও তারা কিন্তু জীবন কাটাচ্ছেন। জগতের সবচেয়ে প্রিয় আশ্রয়স্থলটি হারিয়েও তারা ভালো আছেন, সুখে আছেন। আমি বলছি না কেউ চোখের আড়ালে চলে গেলে তাকে ভুলে যেতে হবে। তার কথা মনে পড়বেই, তবে সেই কারণে হতাশ হয়ে কোনরকম নৈরাশ্যবাদী হওয়াটা ঠিক নয়। জীবন শেষপর্যন্ত একটা অসীম সম্ভাবনাময় জিনিশ। আর এটা খুব তাড়াতাড়িই পার হয়ে যায়, চোখের পলকেই।
তাই মন খারাপ না করে বর্তমান আর ভবিষ্যত নিয়ে আমি আশাবাদী হই, অপটিমিজম অনেক বিষণ্ণতা আর দুঃখ দূর করে দেয় কিন্তু! 🙂
আর বন্ধুর ক্যাটাগরি করবো না, তবে আমার ক্ষেত্রে সবাই আলাদা সময়ের আলাদা বন্ধু। ক্যাডেট কলেজের সময়ের বন্ধুরা যেমন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরাও কম নয়। সকলেই বেশ হাসিখুশি, সুখে শান্তিতে থাকুক, এটাই কামনা... 🙂
" জীবন শেষপর্যন্ত একটা অসীম সম্ভাবনাময় জিনিশ। আর এটা খুব তাড়াতাড়িই পার হয়ে যায়, চোখের পলকেই।
তাই মন খারাপ না করে বর্তমান আর ভবিষ্যত নিয়ে আমি আশাবাদী হই, অপটিমিজম অনেক বিষণ্ণতা আর দুঃখ দূর করে দেয় কিন্তু! 🙂 "
আপনার কবিতা পড়লেতো মনে হয় আপনি হতাশাবাদী...... 😛
হা হা, হয়তো। আমি দুইটা দিকই তুলে আনতে চাইছি, হতাশার জায়গাগুলো কবিতায়, আশার জায়গাগুলো গদ্য। 😛
আসলে কাউকে খুব বিষণ্ণ দেখলে নিজেরও খারাপ লাগে। সান্ত্বনা কোনো কাজে আসে না জানি, তারপরেও মনে হয় নিজের আশাবাদের জায়গাটা তাকে দেখালে সেও হয়তো হতাশা কাটিয়ে উঠবে!