মাস্টার প্ল্যান!

১।
-হাই ড্যাড, কেমন আছো?
প্রশ্নটা শুনে শামীম হাসান কিছুটা থতমত খেয়ে গেলেন। একমাত্র সন্তানের সাথে তিনি কখনোই তেমন আন্তরিক বা বন্ধুত্বপূর্ণ হতে পারেন নি। অনেকবারই চেষ্টা করেছেন কেয়ারিং বাবা হবার জন্য, কিন্তু ছেলের সাথে ‘লিটল টক’ দিয়ে আলাপ শুরু করতে গেলে এমন অবাক ও বিস্ময়মাখা এক্সপ্রেশন দেখেছেন যে কথা আর বেশি দূর কখনো এগোয় নি। আজ শিমুলের আকস্মিক এই পরিবর্তন কিছুটা অবাক হবার মতন বৈকি!
-এই তো চলছে আর কি…নতুন একটা লেখা নিয়ে কাজ করছি। এবারের উপন্যাসটার প্লট…
-ড্যাড, আমি শুধু জানতে চেয়েছি তুমি কেমন আছো…তোমার লেখা-লিখি নিয়ে কিছু জানতে চাই নি!
-ওহ্‌, আই এম স্যরি! আসলে প্লটটা এত জটিল হয়ে যাচ্ছে যে…
-আমার আসলে ভুলই হয়ে গেছে তোমার সাথে কথা বলতে এসে। মাম্‌ এত করে আমাকে ইনসিস্ট না করলে আমি কথা বলতেও আসতাম না। আই ক্যান নেভার গেট এলোং উইথ ইউ…
-এটা কি ধরনের কথা? বাবার সাথে কেউ কি…
-ইউ নো হোয়াট, হোয়াট এভার…!

ছেলে বের হয়ে যাবার পর একা স্টাডিতে বসে শামীম বোঝার চেষ্টা করতে লাগলেন এই মাত্র আসলে হল টা কি! তিনি কি ভুল করলেন? বেশিক্ষণ অবশ্য চিন্তা করা হল না। ঝড়ের বেগে রুমে ঢুকলেন তার স্ত্রী ইশরাত।

-তোমার সমস্যাটা কি বল তো?
-আমি আবার কি করলাম?
-তুমি কি করলে? ইশরাত যেন আকাশ থেকে পড়ল। ‘নিজের ছেলের সাথে তোমার যে কত দুরত্ব তৈরি হয়ে গেছে তা কি তুমি বুঝতে পার না? তুমি একজন ক্লিনিক্যাল সাইকোলজির প্রফেসর, তার উপর আবার নামকরা লেখক। গল্পের চরিত্রের পেছনে এত রিসার্চ কর, চরিত্রগুলোকে বোঝার চেষ্টা কর। কিন্তু নিজের ১৭ বছরের একমাত্র ছেলেকে তুমি কেন বুঝতে পার না?’
-তুমি যা বলছ সবই ঠিক। কিন্তু আমি আসলেই জানি না-আমার কি করা উচিৎ…
-কি করা উচিৎ? তোমার উচিৎ ওর সাথে যতটা বেশি সম্ভব সময় কাটানো। ওর কি পছন্দ, কি অপছন্দ, কি খেতে ভালবাসে, কি গেইম খেলে, কি ধরনের মুভি দেখে…কিছুই তো তুমি জানো না…
-ওর যে এটিচ্যুড…!!
-এখনকার সব ছেলেমেয়েই এরকম, তাছাড়া ও এখন টিনেজার। ওকে তোমার গল্পের ক্যারেকটার মনে করে স্টাডি কর। দেখবে সব ঠিক হয়ে যাবে…
-আচ্ছা! এভাবে তো ভেবে দেখিনি…ইশরাত, ইউ আর দ্যা বেস্ট…!
-আই নো…পুরো সংসার একাই চালাই আবার বাসায় দুজন টিনেজার ম্যানেজ করি, আমি বেস্ট হব না তো কে হবে??!!

২।

-ইশরাত! এই ইশরাত…
পরদিন সন্ধ্যাবেলা বাসায় ফিরে শামীম চিৎকার করে স্ত্রীকে ডাকতে ডাকতে বাসা মাথায় তুলে ফেললেন।
-কি সমস্যা তোমার? এত চিৎকার করছ কেন?
-দেখো কি নিয়ে এসেছি…
ইশরাত অফিস থেকে বাসায় ফিরে সবার জন্য নিজের হাতে নাস্তা তৈরি করেন। রান্না ঘর থেকে আসার কারনে নাকের উপর জমা বিন্দু বিন্দু ঘাম শাড়ির আঁচল দিয়ে মুছতে মুছতে ড্রয়িং রুমে এসে দেখেন হুলস্থূল ব্যাপার। বিশাল দুটো ব্যাগ ড্রয়িং রুমের মাঝখানে পড়ে আছে। শামীম এবং ওদের ড্রাইভার দুজনে দুই ব্যাগ রুমে এনে হাঁপড়ের মতন হাঁপাচ্ছে। বোঝাই যাচ্ছে ব্যাগদুটো অনেক ভারি!
-কি এনেছ??
-সারপ্রাইজ! শিমুল কি বাসায়?
-হ্যাঁ, ও তো ঘন্টা খানেক হল এসেছে। ওর রুমেই আছে। ভনিতা বাদ দিয়ে বল কি এনেছ।
-শিমুলের জন্য গিফট এনেছি। প্রবলেম হল আমি ঠিক শিওর না, ও ক্রিকেট পছন্দ করে- না কি ফুটবল। তাই দুটোরই পুরো সেট কিনে এনেছি…
-ঘুষ দিয়ে ছেলের মন জয় করতে চাও! মুখ টিপে ইশরাত জিজ্ঞাসা করলেন।
-ইয়ে মানে, ঠিক ঘুষ না…তবে কারো সাথে আন্তরিক হতে গেলে তো একটু ইম্প্রোভাইজ করতেই হয়…তাই ভাবলাম…যাহোক, আগে বল ওর পছন্দের গেইমস কি?
– ছেলেকে ডেকে সেটা তুমি নিজেই জানছ না কেন?
-আমার সাথে সাইকোলজির খেলা খেলো না, বুঝেছ? আমি হচ্ছি ঢাকা ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অব ক্লিনিক্যাল সাইকোলোজির…
-বল যে তুমি নার্ভাস বোধ করছ- বাধা দিয়ে ইশরাত বলে উঠলেন।
-আমি নার্ভাস! নো নেভার…বলে শিমুলের রুমের দিকে এগোলেন তিনি।

দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ ইতস্তত করে শামীম নক করলেন।
-শিমুল! শিমুল!!
কিছুক্ষণ পর দরজা খুলে উঁকি দিয়ে শিমুল অবাক গলায় বলল,
-ড্যাড? তুমি! হঠাৎ!
-না…মানে…ভাবলাম…তুমি কি ব্যস্ত? কথা বলা যাবে?
-শিওর! ভেতরে এস…
শেষ কবে তিনি ছেলের রুমে ঢুকেছেন ঠিক মনে করতে পারলেন না। তবে ভেতরে ঢুকে বুঝতে পারলেন আগেরবার রুম অন্যরকম ছিল। বিশাল রুমের এক কোণে শোবার খাট, মাথার কাছেই পড়ার টেবিল, টেবিলের উপরে ছোট্ট একটি শেলফ জুড়ে আছে অনেক বই। এছাড়া আরো দুটো শেলফ আছে-একটিতে আরো অনেক বই এবং অন্যটি ডিভিডি ও ব্লু রে ডিস্ক এ ভর্তি। পড়ার টেবিলের ঠিক উল্টোপাশে দেয়ালের কাছাকাছি বড় আরেকটি টেবিল সেখানে দুটো মনিটর দেখা যাচ্ছে, টেবিলের নিচে তাকিয়ে দেখলেন বেশ কয়েকটি সি পি ইউ। দুই মনিটর জুড়ে দেখা যাচ্ছে অনেকগুলো উইন্ডো খোলা…
-কি করছিলে?
-তেমন কিছু না, স্কুলে প্রোগ্রামিং এর কম্পিটিশন চলছে…সেটা নিয়ে কাজ করছিলাম।
-প্রোগ্রামিং? মানে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং?
-ইয়া! কম্পিউটার প্রোগামিং…কম্পিটিশনে জিতলে ন্যাশনাল লেভেলে কম্পিট করার সুযোগ মিলবে…
-তাইলে তো বিশাল ব্যাপার…!
-বিশাল ব্যাপারের কিছু না…! আমি তো লাস্ট ইয়ারেও গিয়েছিলাম…
-লাস্ট ইয়ার? আমি কোথায় ছিলাম?
-তুমি তখন তোমার উপন্যাসের জন্য গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলে, রিমেম্বার?
-আমাকে কেউ কিছু জানায় নি কেন?
-কজ, ইউ নেভার আস্‌কড!!
-শিমুল…আমি আসলে…বলতে চাইছি কি…
-নেভার মাইন্ড! এখন বল কি বলতে এসেছিলে?

শামীমের অন্ধকার হয়ে যাওয়া মুখে আবার একটু আলো ফিরে এল।
-তুমি কোন খেলা পছন্দ কর, ক্রিকেট না ফুটবল??
-অফ কোর্স সকার…!
-ভেরি গুড! আমি তোমার জন্য ফুটবলের কিট কিনে এনেছি…বল, বুট, জার্সি…
-ড্যাড! স্টপ, স্টপ…আমি হচ্ছি, লাইক দে সে- আ গিক! আই ডোন্ট প্লে রিয়েল ফুটবল…আমি তো খেলি কন্সোল দিয়ে…ইউ নো, জয় স্টিক? প্লে স্টেশন? ভার্চুয়াল গেইম??
-হোয়াট!
-স্যরি, ড্যাড!
-না না…ইটস ওকে…আমি তাহলে এখন যাই…মন দিয়ে পড়াশুনা…আই মিন প্রোগ্রামিং কর…বলে হতাশ মনে শামীম ছেলের রুম থেকে বের হয়ে এলেন।

৩।

-আনবিলিভেবল! তৃতীয়বারের মতন স্বশব্দে বললেন শামীম।
কোলের উপর থাকা ল্যাপটপ সরিয়ে চোখ থেকে চশমা নামিয়ে ইশরাত বললেন,
-দেখো, আগামীকাল অফিসে কিছু ফরেনার্স আসছেন, তাদের জন্য প্রেজেন্টেশন তৈরি করছি। সুতরাং, ঝামেলা না করে কি বলবে ঝটপট বলে ফেল।
-তুমি আগে থেকেই জানতে যে শিমুলের জন্য আনা গিফটগুলো কোন কাজে আসবে না, তাই না?
-কেন তোমার মনে হল- মুচকি হেসে ইশরাত জানতে চাইল।
-এই যে, এই হাসি…তোমার মুখের এই হাসি তখনো দেখেছিলাম…সত্যি করে বল…
-সত্য মিথ্যার কি আছে? আমি তো জানতামই…
-কি দিন-কাল আসলো! ১৭ বছরের এক ছেলে মাঠে খেলে না, কম্পিউটারে ফুটবল খেলে! ওর শরীর ঠিক থাকবে কি করে?
-এটা ঠিক-ও বাইরে খেলাধুলা কম করে, কিন্তু ও রেগুলার সাইক্লিং এবং সুইমিং করে। সুতরাং ওর স্বাস্থ্য নিয়ে অত চিন্তার কিছু নেই।
-এখন বল, তুমি জানতেই যদি-তাহলে ওর রুমে যাবার আগে আমাকে জানালে না কেন?
-তাহলে এই ফান মিস করতাম যে…
-তুমি ফান দেখছ! অথচ আমি মিশনের প্রথম ধাপেই পিছিয়ে গেলাম…
-হয়েছে! আর মুখ গোমড়া করে থাকতে হবে না। এখন তুমি তোমার স্টাডিতে গিয়ে পড়াশুনা কর। আর আমি আমার প্রেজেন্টেশন তৈরি করি।
-ভাল কথা, ওর রুমে এতগুলো কম্পিউটার কেন?
-কয়েকটা কম্পিউটার জোড়া দিয়ে শক্তিশালী কম্পিউটার বানিয়েছে, প্রোগ্রামিং এর জন্য নাকি লাগে।
-কেমন প্রোগ্রামিং করে ও?
-আমি কিভাবে জানব? আমি ওসব বুঝি কিছু! তবে স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল ওর সম্পর্কে অনেক হাইলি ইম্প্রেসিভ রিমার্কস দিয়েছিলেন…গত এক বছরে এন্ড্রয়েড এর কয়েকটি অ্যাপ্‌স তৈরি করে ও নাকি ভালো রেস্পন্স পেয়েছিল। প্রথম কম্পিউটার আমরা কিনে দেবার পর পরেরগুলো নিজের টাকায় কিনেছে!
-মাই গড! আমি তো কিছুই জানি না!! এনিওয়ে, আমার দেরি হতে পারে। তুমি ঘুমিয়ে পড়। গুড নাইট।
-ওকে গুড নাইট।

স্টাডিতে ঢুকে শামীম প্রথমে আগামীকালের ক্লাস রুটিন দেখে নিলেন। ক্লাসে কি পড়াবেন তার উপর হালকা চোখ বুলিয়ে, টুকটাক কিছু নোট করে সব কিছু রেডি করে রাখলেন। এরপর শিমুলের জন্য বানানো ফাইল বের করলেন। কম্পিউটার ফাইল নয়, হার্ড কপি ফাইল। বেশ কয়েকপাতা নোট আছে সেখানে। আজকের দিন তারিখ দিয়ে নতুন পাতা শুরু করলেন। সবশেষে আজকের আয়োজন সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্যে লিখে রাখলেন।

তবে আজকে সন্ধ্যায় ছেলের ঘর থেকে হতাশ মুখে বের হবার সময় পেছনে ফিরে থাকা ছেলের মুখের কোণে যদি হালকা হাসির রেখাটি দেখতে পেতেন, তাহলে হয়ত এমন সিদ্ধান্ত নিতেন না!!

৪।

এরপরে চার-পাঁচদিন বলার মতন তেমন কোন ঘটনা ছাড়াই কেটে গেল। শামীম নিয়ম করে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর একবার করে শিমুলের ঘরে গিয়ে ১০/১৫ মিনিট সময় কাটাতে লাগলেন। শিমুলের মুখ দেখে বোঝার উপায় নেই ও খুশি হচ্ছে না বেজার, তবে শামীম ওসব নিয়ে তেমন ভাবছেন না। বেশিরভাগ সময়ই দুজনের মধ্যে কথা-বার্তা খুব কম হয়। সাধারনত দেখা যায় শামীম বিছানায় বসে আছেন, আর শিমুল কম্পিউটারে কাজ করে চলেছে।

আজ হঠাৎ করে শামীম তার লেখা নিয়ে ছেলেকে প্রশ্ন করলেন,
-তুমি কি আমার কোন লেখা পড়েছ?
-ইয়া, আই রেড ওয়ান ওর টু…
-কেমন মনে হয়েছে?
-আই রেকন দে আর ওকে…
-রিয়েলি?
-তা, এবার তুমি কি নিয়ে কাজ করছ?
-সত্যিই শুনতে চাও? আবার বোর হবে না তো?
শিমুল ঘুরে বাবার দিকে তাকিয়ে বলল,
-এরচেয়ে আর কত বোরিং হবে?!
-ভেরি ফানি! এনিওয়ে, এবার লিখছি…মানে চেষ্টা করছি একটি থ্রিলার লেখার জন্য। ব্যাপারটা এমন একজন অত্যন্ত ধুরন্ধর দাগী আসামী জেলে থাকা অবস্থায় শহরের আন্ডারওয়ার্ল্ড কন্ট্রোল করে। পুলিশ ব্যাপারটা জানা স্বত্ত্বেও প্রমানের অভাবে কিছু করতে পারে না। কিন্তু খুব সাহসী একজন পুলিশ অফিসার, অর্থাৎ আমাদের নায়ক, আন্ডারকাভারে জেলে যায়। এরপর নানা ঘটনা-দুর্ঘটনার মধ্য দিয়ে ঐ অপরাধীর মুখোশ উন্মোচিত করে দেয়…
-সো, হোয়াটস দ্যা প্রবলেম?
-মানে?
-মানে হচ্ছে- তোমাকে ডিস্ট্র্যাক্টেড মনে হচ্ছে…সম্ভবত কোন কারনে তোমার লেখা এগোচ্ছে না…
-ঠিক ডিস্ট্র্যাকশন নয়, আসলে ইনফরমেশনের অভাব…
-কি রকম?
-কাহিনীর একটি বড় অংশ জুড়ে জেল জীবনের বর্ণনা থাকবে। অর্থাৎ জেলের ভেতরের জীবন, ইনমেটদের আচার-ব্যবহার, ওখানকার থাকা-খাওয়া-ঘুম ইত্যাদি। সমস্যা হচ্ছে, এ সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না…
-ইংরেজী সিরিয়াল থেকে ধার নিতে পার, ‘প্রিজন ব্রেক’ এর মতন সিরিয়ালে তুমি সব পাবে…
-অমন হলে তো কথাই ছিল না! কিন্তু বাংলাদেশের সাথে ওসব দেশের জেলের পরিবেশ কি মিলবে?
-তা অবশ্য ঠিক। এক কাজ কর তুমি নিজেই জেলে চলে যাও!!
-হোয়াট!!
-জাস্ট কিডিং…হাসতে হাসতে জবাব দিল শিমুল।
শামীম অবাক হয়ে লক্ষ্য করল শিমুলের হাসি অনেকটাই ইশরাতের সাথে মিলে যায়। ‘থ্যাংক গড, ও ওর মা এর মতন হয়েছে!’- আপন মনে চিন্তা করলেন তিনি।

(আগামী পর্বে সমাপ্য)

২,২৬৪ বার দেখা হয়েছে

২৩ টি মন্তব্য : “মাস্টার প্ল্যান!”

  1. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    জুনাদাদাদা!!! আপনি পোস্ট দিছেন!!! :awesome: :awesome: :awesome:

    যাই এবার পইড়া আসি 😀


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  2. শাহরিয়ার (০৬-১২)

    পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। সুন্দর পোস্ট।


    • জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব - শিখা (মুসলিম সাহিত্য সমাজ) •

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।