[সতর্কতাঃ পোস্টের বিষয়বস্তু প্রাপ্তবয়স্ক ও প্রাপ্তমনস্কদের উপযোগী। নিজ দায়িত্বে পড়ুন।]
আজকে আমাদের ক্যাম্পাসের “লজিকন” (LogiCon) ছিল। এটা অনেকটা কমিকন-এর মতো উৎসব, মূলত ছাত্র সংগঠনের উদ্যোগে বিজ্ঞান, সংশয়বাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা ইত্যাদি বিষয়ে বিভিন্ন বক্তা এসেছিল। আমি আগ্রহ নিয়ে গেলাম কারণ কার্ল স্যাগানের ছেলে ডোরিওন স্যাগান আসবেন key-note speaker হিসেবে কথা বলতে। কিন্তু তার চাইতেও ভাল লাগলো আরেকজনের কথা।
সারাদিনের অনুষ্ঠান, কিন্তু ছুটির দিনে সকালে আলস্য নিয়ে উঠতে উঠতেই দুপুর। লাঞ্চের পর গেলাম, দেড়টার দিকে ড্যারেল রে মঞ্চে উঠলেন। বিষয়টা ছিল যৌনতা ও লিঙ্গের বিবর্তন। খুবই ইন্টারেস্টিং ব্যাপার-স্যাপার। অভিজিৎ রায় একটা ব্লগ সিরিজ (পরে যেটা বই আকারে প্রকাশিত হয়েছে) লিখেছিলেন, “সখী ভালোবাসা কারে কয়”। সে সিরিজটা পড়ে কিছু কিছু বিষয়ে জানা ছিল, তবে আজকে ড্যারেলের স্পিচ থেকে আরো নতুন নতুন বিষয়ে জানলাম। বিবর্তনের ধাপে আমাদের মাসতুতো ভাই জানতাম গরিলা আর শিম্পাঞ্জিকে। বোনোবো নামে আরেক মাসতুতো ভাই আছে যার কথা প্রথম শুনলাম। এবং বোনোবোর সাথে আমাদের মিলই বেশি!
ড্যারেল লোকটা খুবই মজা করে কথা বলেন। আরকানসাস একটা গোঁড়া রিপাবলিকান স্টেট। তিনি নিজেও ক্যানসাস স্টেটের মানুষ, আশির দশক পর্যন্ত চার্চের সাইকোলজিস্ট ছিলেন। আর এখন ধর্মত্যাগী মানুষদের কাউন্সেলিং করেন। এই অঞ্চলের মানুষ ধর্মের ব্যাপারে বাংলাদেশের মানুষের মতই আচরণ করে। সমাজে ধর্মের প্রভাব, কুসংস্কার, বর্ণবাদ, এগুলো অনেক তীব্র। চার্চের সামাজিক ক্ষমতাও প্রবল। এখানে সমকামিতা পাপ, গর্ভপাত অবৈধ। এরকম বদ্ধ পরিবেশে বেড়ে ওঠা যে কারো জন্যই ধর্মত্যাগের জন্য যথেষ্ট মোটিভেশন লাগার কথা। ড্যারেলের প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম ছেড়ে দেয়ার পেছনে তার পেশার অভিজ্ঞতা একটা বড় প্রভাবক ছিল বলে মনে হলো।
পেশার কারণে বিভিন্ন মানুষের ভেতরের দ্বন্দ্ব নিয়ে সরাসরি কাজ করেছেন তিনি, আর নিজের ভেতরেও এমন ধর্মের দমন-পীড়ন অনুভব করেছেন নিশ্চয়ই। যেমন, যৌনতার সাথে ধর্মের সাপে-নেউলে সম্পর্ক। এজন্য ধর্মের ভেতরে থাকা মানুষ যৌনতা নিয়ে কথা বলতে অসম্ভব লজ্জা, অস্বস্তি এবং বাধা বোধ করেন। ধর্ম যৌনতাকে ধামাচাপা দিতে চায়, যা আসলে প্রকৃতিবিরুদ্ধ ব্যাপার। এই পীড়ন এতোটাই প্রবল যে নিজের জীবনসাথীর সাথে যৌনতার ব্যাপারগুলো নিয়ে আলাপ করেন না অনেকে। এই দমনের কারণে শিশু ও কিশোর-বয়সীরা সঠিক যৌনশিক্ষা পায় না। বেশিরভাগই এতটাই অজ্ঞ থাকে যে কোন পারভার্ট যদি সেক্সুয়াল এবিউজ করে, সেটা ঠেকানো তো দূরের কথা, বুঝতেও পারে না। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে যেমন, যৌনতার এই অবদমনের কারণে যৌনবিকারগুলোর ছড়াছড়ি দেখা যায় বেশি। দেখা গেছে, যে স্টেটে এই দমনমূলক আচরণ কম, সেখানে বিকারগুলো কম। যেখানে স্কুলে-কলেজে সঠিক যৌনতা শেখানো হয়, সেখানে ধর্ষণ কম, ইন্টারনেটে পর্ন খোঁজার পরিমাণও কম। এসব ডেটা নির্দেশ করে যে যৌনতার আলাপকে ডাল-ভাত খাওয়ার মতো ব্যাপার না বানালে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
যারা এরই মধ্যে ব্যক্তি পর্যায়ে যৌনতার ট্যাবু কাটাতে পেরেছেন, তাদের মাঝেও অনেক সময় ছোটবেলার শেখা আচরণের কিছু কিছু থেকে যায়। যেমন নিজের শরীর নিয়ে লজ্জা বা অস্বস্তি। অন্য একজন মানুষকে ভালোবাসার আগে নিজেকে ভালোবাসা জরুরি। আমি এই পৃথিবীতে একবারই জন্মাবো, আর এই জন্মে আমার শরীর একটাই। সেই শরীর বোঝা হয়ে গেলে বেঁচে থাকাই তো দুস্কর, তাই না? তাই নিজের শরীরটাকে সবার আগে ভালোবাসা লাগে। এটা আমাদের ধর্মে নিষেধ করে। প্রায় সব ধর্মেই করে। নিজের শরীরকে আরাম দেয়া এক গর্হিত অপরাধ! অথচ কোন যুক্তি হয় না। ধার্মিক হলেও এটা চিন্তা করা উচিত, যে আপনাকে যা মানতে বলা হচ্ছে, তা মেনে আদৌ কোন উপকার হচ্ছে, নাকি ক্ষতি হচ্ছে।
আরেকটা বড়ো ট্যাবু হলো নারীর যৌনতা। এইটা যেন একটা রূপকথার ইউনিকর্ন! যেন নারীর কোন যৌনতা থাকতেই পারে না। সে হবে পুরুষের যৌনতা মেটানোর মাধ্যম মাত্র। অথচ নারী, পুরুষের মতোই যৌনতাবোধ করে। এটা পুরুষকে যেমন জেনে ও মেনে নিতে হবে, তেমনি নারীকেও বুঝতে হবে। নারী বা পুরুষ, সর্বোপরি মানুষ হলে তাকে অপর একজন মানুষের যৌনতার ব্যাপারে নন-জাজমেন্টাল অবস্থান আমাদের প্রজাতি হিসেবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষ তো সুবিধাবাদী আর ক্ষমতাবান বলে নারীর ব্যাপারটা বুঝতে চায় না। সেটা তবু আমি বুঝতে পারি। ধনী কখনো গরীবের কষ্ট বুঝে না। দুঃখের ব্যাপার হলো, নারীও বুঝতে চায় না। নারী হয়েও আরেক নারীর যৌনতার প্রকাশকে পুরুষের মতো করেই নিন্দা করে। বেশি দূর যেতে হবে না, আমাদের আশেপাশেই এরকম উদাহরণ পাবেন। নারীর পোশাক ও জীবনধারণ নিয়ে কথা বলার সবচেয়ে বড় ঠিকাদারিটা অন্য নারীরাই নেন। এই ভণ্ডামি আর কতোদিন!
এই আলাপটা বেশ গুরুগম্ভীর বিষয়, কিন্তু পুরো টক-টা এরকম ছিল না মোটেও। এগুলো ফাঁকে ফাঁকে এসেছে। মূল ফোকাস ছিল এই যে জীবদেহের সবচেয়ে দ্রুত বিবর্তিত জিনগুলোর মধ্যে বৈচিত্র্য এবং বিভিন্নতায় যৌন-জিনগুলোই সবচেয়ে এগিয়ে। অর্থাৎ, প্রাণী ও উদ্ভিদে যৌন-জিন সবচেয়ে তাড়াতাড়ি বিবর্তিত হয়। এই জিনের প্রভাব বাহ্যিক হতে পারে (যৌন-অঙ্গের আকার ইত্যাদি), কিংবা হতে পারে আভ্যন্তরীন (যৌন-আচরণের বিচিত্রতা)। বংশগতি বা heredity এর কারণে নিজের সবচেয়ে সফল জিনকে যেমন আমরা পরের প্রজন্মে দিয়ে দিতে চাই। এই চেষ্টাটা মাধ্যম যৌন-অঙ্গ এবং যৌন -আচরণের ওপর নির্ভর করে বলেই এরা আশেপাশের পরিবর্তনের সাথে দ্রুত বদলে যায়।
একটা মজার জিনিস দেখলাম, আগেও জানতাম, কিন্তু এভাবে খেয়াল করি নি। ফুল আসলে উদ্ভিদের যৌন-অঙ্গ। আমরা যখন কোন গোলাপ নাকে ঠেকিয়ে গন্ধ নিচ্ছি, তখন আসলে ঐ গাছের যৌনাঙ্গে নাক ঠেকাচ্ছি। (এর পরে ফুলের গন্ধ নিতে গিয়ে কারো ‘eww’ লাগলে আমি দায়ী না!)। আরেকটা “পোয়েটিক” ব্যাপার হলো মানুষ প্রেমের সময় একে অপরকে এই ফুল দিয়ে ভালোবাসার প্রকাশ ঘটায়। খুবই ইন্টারেস্টিং না?
গাছের ফুলের মতো প্রাণীর যৌন-অঙ্গ ও আচরণও বিচিত্র রঙ-ঢঙে ভরা। শুধু স্তন্যপায়ী এবং আদি-বানরের উত্তরসূরী চারটা প্রজাতির মাঝেও বিচিত্র সব আচরণ দেখা যায়। এগুলোর প্রায় সবই অভিজিৎ ভাইয়ের ব্লগে চলে এসেছে, আমি আর বিস্তারিত বললাম না। আগ্রহীরা লিংকের সিরিজটা দেখে নিয়েন।
এরকম উৎসবে গেলে অনেক কিছু জানার পাশাপাশি পুরা চিন্তার জগতে একটা ওয়াশিং মেশিন ইফেক্ট হয়। মাঝে মাঝে নিজেকে চেক-অ্যান্ড-ব্যালেন্স করার জন্য তাই এগুলোর দরকার আছে। ডরিওন স্যাগান সেই জায়গায় একটা টোকা দিয়েছেন। সেটা নিয়ে সামনে লিখবো!
যাক শুরুতে একটা ডিসক্লেইমার দিসেন মনে করে। এই সুপাঠ্য অনেকের বদহজম করবে নিশ্চিত।
রেজাল্ট যদিও তালপাতার সেপাই তবে কৃতজ্ঞ থাকবো আমার বিদেশে পড়তে আসার ও বিশেষ করে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে পড়তে আসার সুযোগ পাওয়ায়। বিভিন্নভাবে গত দুইবছরে সুযোগ পেয়েছি এবং চেষ্টা করেছি নিজের মাঝে শুদ্ধি কিংবা পরিবর্তন যেটাই হোক আনতে। এখনো কাজ করছি। বছর দুই-তিনেক আগের আমি এই লেখা পড়লে বদহজম নিশ্চিত ছিল। এই প্রক্রিয়ায় সবাই কমবেশী পরিবর্তিত হয়। বেশীর ভাগই কগনিটিভ ডেজোনেন্সের পাল্লায় পড়ে আরো শক্ত করে আঁকড়ে ধরে। আমি পারিনি। 🙂
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
আমি ভাগ্যবান যে কলেজ থেকেই আমার ভেতরে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। বাইরে বের হবার পরে আরো বেড়েছে। তারপরেও সবসময় সতর্ক থাকি, যেন আমার মধ্যে সংকীর্ণতা বা গোঁড়ামি না থাকে।
এই লজিকনেই ডোরিওন স্যাগানের কথা শুনে সেই গোঁড়ামির জায়গায় একটা নাড়া লেগেছে।
লেখাটা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। এ বিষয়ে খুব একটা পড়াশুনা নেই.. অভিজিত রায় এর ব্লগ গুলো বুকমার্ক করে রাখলাম। সময় করে পড়তে হবে.. আর ডরিওন স্যাগান কে নিয়ে লেখাটার অপেক্ষায় থাকলাম।
ফুল গিফট করার ব্যাপারটা পড়ে বিশাল মজা পেলাম 🙂 মোক্ষম সময়ে , উপযুক্ত জায়গায় এই তথ্য ব্যবহার করা যাবে 😛
হা হা, তথ্যটা মজার কিন্তু আবার প্রেমিকার উষ্মার শিকার হইও না। 😉
বুঝেছ নাফিস, এখন থেকে আনিকার ব্যাপারে সাবধান!! 😉
যে জীবন ফড়িঙের দোয়েলের- মানুষের সাথে তার হয় নাকো দেখা
চিন্তার জগতে একটা ওয়াশিং মেশিন :-B
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
জ্বি ভাই। 🙂
পুষ্প -- সে এক আশ্চর্য বস্তু।
মনে নেই, পুংকেশর, স্ত্রীকেশর, পরাগধানী এবং আরো সব নাম?
:clap: :clap: :clap:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
সেটাই। গর্ভাশয় আর পুংদণ্ড ফুলের ভেতরেই থাকে। সব জানা কথা কিন্তু এভাবে কেউ সরাসরি আগে বলে নি আমাকে। তাই মজা লেগেছে। 😀 (সম্পাদিত)
:shy: :gulti:
Truth is beauty, beauty is truth.
ভাল লেখা আন্দালিব।
পরে কম্পু থেকে বড় কমেন্ট করব
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আচ্ছা ভাই।
পড়ে ভালো লেগেছে ভাই। চমৎকার এই পোষ্টের জন্য :boss:
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
পরে ভালই লাগলো। লেখাটা ভাল লেগেছে। বিষয়বস্তু আমার জন্য নতুন কিছু না। লেখার ধরণটা সহজবোধ্য। আমি একতা প্যানেল ডিসকাসনে গেসিলাম, ওটা প্রতিবন্ধীদের সেক্স এবং সেক্সুয়ালিটি নিয়ে। দুর্দান্ত ছিল!
কানসাসের অনগ্রসরতার কথা চিন্তা করতে পারছি। এদিকের অনেক প্রান্তিক জায়গাও একইরকম।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
ভাই, কেমন আছেন? আপনার লেখা মিস করি। একটা লেখা দেন, পড়ি।
আমেরিকার দক্ষিণ, মধ্য-দক্ষিণ এলাকাসহ বেশ কিছু স্টেট ভয়ানক গোঁড়া। নির্বাচনের সময় এই এলাকাকে বলা হয় ল্যান্ড অফ জিসাস। খুব অল্প ব্যতিক্রম ছাড়া এখানের পলিটিশিয়ানগুলোও সেরকম মার্কামারা সব কথাবার্তা বলে। রিপাবলিকান জ্যাক্যাস। উন্নতি যে আসলে মানবিক বোধের সাথে সম্পর্কিত না, সেটা এই এলাকার মানুষের কথা শুনলে বুঝা যায়।
ভালো লেগেছে, ভাই। এরকম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আরও পোস্ট পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
যে জীবন ফড়িঙের দোয়েলের- মানুষের সাথে তার হয় নাকো দেখা
পড়ার জন্য ধন্যবাদ, ফেরদৌস। তুমি দেখি আমার কলেজের! 🙂
আরেকপর্ব দিয়েছি আজকে, সময় পেলে পড়ো।
বিবর্তন নিয়ে কারো আগ্রহ দেখলে আমি সত্যিই পুলকিত (ইতিবাচক অর্থে) বোধ করি। যারা বিবর্তন জানে না, তাঁদের প্রতি করুনা হয় কিন্তু দোষারোপ করতে পারি না। এই অজ্ঞানতাটার পুরো দায় তার একার না, এইজন্য। তবে হাতের কাছে উপকরন পেয়েও যদি কেউ এই অজ্ঞানতাটাকে নারচার করে, তাঁকে তো দোষারোপ করতেই হবে।
যাঁদের বিবর্তন নিয়ে প্রাথমিক ধারনা নেই এবং এই জাতীয় লিখা পড়ে এলার্জি দেখা দিচ্ছে তাঁদের জন্য বাংলায় লিখা আমার রিকমান্ডেশন হলো বন্যা আহমেদের "বিবর্তনের পথ ধরে"।
পড়াশুনা করে যদি চোখই না ফুটলো, তো কি লাভ সেসব পড়াশুনায়?
এই ফাইন্ডিংটা জেনে বিস্মিত হলাম:
"খা গেছে, যে স্টেটে এই দমনমূলক আচরণ কম, সেখানে বিকারগুলো কম। যেখানে স্কুলে-কলেজে সঠিক যৌনতা শেখানো হয়, সেখানে ধর্ষণ কম, ইন্টারনেটে পর্ন খোঁজার পরিমাণও কম। এসব ডেটা নির্দেশ করে যে যৌনতার আলাপকে ডাল-ভাত খাওয়ার মতো ব্যাপার না বানালে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।"
অনেক ভাল লাগলো......
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
ফাইন্ডিংটা আসলেই খুব ইন্টারেস্টিং! এখানে দেখতে পারেন। পর্নহাব নামে একটি ওয়েবসাইট আছে, তাদের জরিপ মতে সবচেয়ে বেশি সমকামী-পর্ন দেখে দক্ষিণের স্টেটগুলো (যেখানে সমকামিতা নিষিদ্ধ)! অবদমনের ফলাফল আর কি।
অবদমন এই ফলাফল নিয়ে আরও কিছু কথা। ইউটাহ-র ৬০% এর মত পপুলেশন হলো মর্মন যারা তাঁদের চার্চের (The Church of Jesus Christ of Latter-day Saints) নিয়মাবলি দিয়ে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। আর সেই স্টেটই নাকি যুক্তরাস্ট্রের "Online Porn Capital"
এত কঠোর নিয়ন্ত্রনের এই তাহলে ফল?
হায়!!!
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
সোশ্যাল সাইকোলজিতে এই নিয়ে মজাদার আলোচনা রয়েছে। পলিসি মেকিং এর জগতে করা খুব প্রচলিত ভুলঃ সঠিক পরিকল্পনা ও দুরদর্শিতার পরিচয় না দিয়ে শুধু "স্ট্রাকচারাল ফিক্স" দিয়ে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করা। আইন করে দিলাম ঠিক হয়ে গেল---এই ধরণের ভয়াবহ ভুল নিয়মতি হয়ে থাকে। পর্ণের ব্যাপারটিও তার একটি উদাহরণ মাত্র।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
হ্যাঁ, পারভেজ ভাই। ইউটাহ আর মিসিসিপি, মর্মন আর ক্রিশ্চিয়ান গোঁড়ামোর দুইটা স্টেট এইদিক দিয়ে প্রথম আর দ্বিতীয়।
যদি পৃথিবীর দিকে তাকান, পাকিস্তান পর্ন সার্চে প্রথম। পাকিস্তানের সমাজ আর ধর্মপালনের অবস্থা তো সবাই-ই জানি।
বেশ আগ্রহ নিয়ে পড়লাম। এধরনের চিন্তার খোরাক যোগানোর মত লেখা মিস করি।
:thumbup:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আর বলিস না, আমি নিজেও অনেকদিন পর এরকম এক্সপেরিয়েন্স পেলাম।