(সন্তান হিসেবে বাবা-মায়ের গর্বের জায়গাগুলো ধারণ ও সংরক্ষন করা আমার নৈতিক দায়িত্ব বটে … ধারণ করেছি ঠিকই, সংরক্ষনে ব্যর্থ হয়েছি বলেই হয়ত আমার মায়ের এই লেখাটা ব্লগে শেয়ার করছি … সান্তনা … প্রথম আলো নারীমঞ্চ পাতায় লেখাটাকে ঠাই করিয়ে দেবার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ …)
স্বপ্ন হত্যার প্রতিবাদ …
-বিলকিস জাহান
টাংগাইলের মির্জাপুরে, মৈশামূড়া বসন্তকুমারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে প্রথমবারের মত প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের পূনর্মিলনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে। ফোনে খবরটা শুনে আমি যেন সদ্য কৈশোর পেরুনো আমার সেই মেয়েবেলায় ফিরে গেলাম। স্কুলটার প্রতি গভীর ভালবাসার টান অনুভব করলাম। সেই কবে স্কুল ছেড়েছি, সংসারের শত ব্যস্ততায় আর ঐ স্কুল প্রাঙ্গণ মাড়ানো হয়নি। এই মধ্যবয়সেও তাই অসুস্থ শরীর নিয়ে রাজশাহী থেকে দীর্ঘপথ পারী দেবার মনস্থির করলাম। যাব নাই বা কেন ? স্কুলটাকে ঘিরে আমার স্মৃতি আর গর্বের জায়গাটুকু তো আর কম নয়। স্কুল প্রতিষ্ঠার ৪৮ বছর পর্যন্ত ছেলেদের হাইস্কুলটির আমিই যে প্রথম ছাত্রী।
১৯৬৬ সালে আমার পরম শ্রদ্ধেয় বাবা যখন আমাদের পরিবারের সবাইকে কাঁদিয়ে জান্নাতবাসী হন, তাঁর তখনকার কর্মস্থল ফরিদপুর ছেড়ে আমার মা আমাদের সাত বোন আর এক ভাই কে নিয়ে মির্জাপুরের মসদৈ গ্রামে আমাদের পৈতৃক বাড়ীতে চলে আসেন। গ্রামে এসে মেয়েদের পড়ার মত কোন হাইস্কুল না দেখে পণ করি, বসন্তকুমারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ছেলেদের সাথে হলেও আমি আমার পড়াশুনা চালিয়ে যাব। মসদৈ গ্রামের যে সমস্ত মেয়েরা প্রাইমারী পাশ করে মেয়েদের হাইস্কুলের অভাবে পড়াশুনা ছেড়ে দিয়ে ঘরে বসে ছিল, তাদের কাছে গিয়েছি। বড়ভাই, বাবা-চাচা’রা রাজী হবেনা বলে তারা ছেলেদের স্কুলে পড়বেনা জানিয়ে দিয়েছিল।
স্কুল কর্তৃপক্ষের অনেকেই একা আমার জন্য ছেলে-মেয়ে সহ-শিক্ষার ঝুঁকি নিতে চাননি। পাশের গ্রাম নাগরপাড়ার বরুন স্যার তখন আমাকে তাঁর কাছে পড়াশুনা চালিয়ে যাবার জন্য বলেন এবং বাকী শিক্ষকদের আস্তে আস্তে বুঝিয়ে-শুনিয়ে পরবর্তীতে স্কুলে ভর্তির ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দেন। একবছর তাঁর হাতেই আমার লেখাপড়া চলতে থাকে।
অবশেষে ১৯৬৮ সালে ক্লাস টেনে ৮৪ জন ছাত্রের মধ্যে আমি একা মেয়ে ভর্তি হই। মায়ের বোরখা পরে গ্রাম থেকে প্রথমদিকে একা একা বের হতাম। স্কুলে যাওয়ার পথে বরুন স্যারের বাসা হয়ে স্যারের সাথে স্কুলে যেতাম। তারপর আমার ছোট বোন আর বরুন স্যারের গ্রামের আরও পাঁচ ছয়জন মেয়ে ক্লাস সেভেন আর এইটে ভর্তি হল, ক্লাস নাইনে কোন মেয়ে ছিলনা। স্কুল চলার সময় আমরা লাইব্রেরীতে বসে থাকতাম। যখন যেই ক্লাস, সেই ক্লাসের শিক্ষকের সাথে ক্লাসে যেতাম, আবার তাঁর সাথেই ফিরে আসতাম। পরীক্ষার সময়ে লাইব্রেরীতে স্যারদের পাশে বসে একা পরীক্ষা দিতাম। এভাবেই আস্তে আস্তে মৈশামূড়া বসন্তকুমারী উচ্চ বিদ্যালয়ে মেয়েরা পড়তে শুরু করে।
১৯৬৯ সালে আমার ম্যাট্রিক (এসএসসি) পরীক্ষার সময় ছেলেদের সিট পড়েছিল টাংগাইল জেলা স্কুলে আর মেয়েদের সিট বিন্দুবাসিনী স্কুলে। গ্রামের স্কুলের ৮৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে আমি একা মেয়ে, কর্তৃপক্ষের চোখ এড়িয়ে তাই আমার সিটও স্কুলের অন্য সব ছেলেদের সাথে টাংগাইল জেলা স্কুলে পরেছিল। পরীক্ষার দিন সকালে কর্তৃপক্ষের অবগতি হবার পর মেয়েদের পরীক্ষার হলে টাঙ্গাইল জেলা শহরের ছাত্রীদের একেবারে পেছনে আমার জন্য আলাদা ডেস্ক দেয়া হয়।
হেডস্যার, রাজ্জাক স্যার, বরুন স্যার, আনসার স্যার, সামসু স্যার সহ দরদী সব শিক্ষকদের কথা এখনও শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করি। তাদের সহানুভূতি, স্নেহ আর মমতার ছায়া পেয়েই আমি আমার পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পেরেছিলাম, পেয়েছিলাম এসএসসি সার্টিফিকেট। এখনও চোখে ভাসে, টেস্ট পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে, খুব বৃষ্টি, আমার দেরি দেখে স্কুলের বারান্দায় চিন্তিত চেহারায় হেডস্যার দাঁড়িয়ে আছেন। আনসার স্যার বাংলা ক্লাসের ফাঁকে নিজের লেখা গল্প পড়ে শোনাতেন। খুব কড়া ছিলেন বরুন স্যার, অংকে আরও ভাল করার জন্য আমাকে অনেক সাহায্য করতেন।
অখ্যাত এক স্কুলের অখ্যাত এক ছাত্রীর যে স্বীকৃতির স্বপ্ন কখনই দেখিনি, ৯০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানসূচী’তে ছাত্র-ছাত্রীদের স্মৃতিচারণ বক্তব্য আর ছেলেদের স্কুলের প্রথম ছাত্রীকে সম্মাননা দেয়া হবে শুনে সেই প্রাপ্তির স্বপ্ন আমাকে আন্দোলিত করে। গত ০৯ এপ্রিল ২০১১ তারিখে রাজশাহী থেকে আমি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর, মৈশামূড়ায় যাই। এবং এখানেই আমি মানসিকভাবে তীব্র হোঁচট খাই। ৪২ বছর ধরে জমিয়ে রাখা আমার গর্বের জায়গাটা নাড়িয়ে দেয় এই অনুষ্ঠান আর এই অনুষ্ঠানের আয়োজকেরা।
অনুষ্ঠানসূচিতে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের বক্তব্য পাঠ, স্মৃতিচারণা উল্লেখ থাকলেও শুধু এই অংশগুলো বাদ দিয়ে আর সব ঠিক রাখা হয়। আমাকে দুই-তিন মিনিটের স্মৃতিচারণা করতে দেওয়া তো হলোই না, বরং নেপথ্য কণ্ঠে প্রথম ছাত্রী হিসেবে ঘোষণা করা হলো আয়োজকদের কোনো এক আত্মীয়ার নাম। হিসেব নিকেশ ঠিক রাখতে প্রথম ছাত্রী’র ভর্তির সাল / তারিখ ও বলা হল ১৯৬৭ সাল অর্থাৎ আমার ভর্তির আগের বছর। তাই যদি হত, তাহলে আমাকে কেন এত কাঠ খড় পুড়িয়ে ১৯৬৮ সালে সেই স্কুলে ভর্তি হতে হয়েছিল ? ওই সালের উপস্থিত কোন ছাত্রই সে ছাত্রীর কথা মনে করতে পারল না, তারাও প্রথম ছাত্রী হিসেবে আমার কথাই বলছিল। সেই সময়কার শিক্ষক সামসু স্যার, যিনি এখনও জীবিত আছেন, গ্রামের প্রতিটি মানুষ সত্যটা জানে। প্রাক্তন ছাত্র হয়েও জানেননি, জানতে পারেননি শুধু আয়োজকরা। আর এই বিরল সম্মান যাকে দেয়া হল, তিনিই বা সেখানে কেন উপস্থিত ছিলেন না ? আমি তো প্রবেশপত্র সহ সার্টিফিকেট দেখাতে পারব, তিনি কি পারবেন ? কিছু সমালোচনা, প্রতিবাদ আর প্রথম ছাত্রী হিসেবে যার নাম প্রচার করা হয়, তাঁর অনুপস্থিতির কারণেই হয়ত, আমাকে প্রধান অতিথি ডঃ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, এমপি এর সামনে মঞ্চে ডাকা হয়। আমার হাতে তুলে দেয়া হয় সেই ছাত্রীর নাম সম্বলিত ক্রেস্ট। ছবি তোলা হয়। স্টেজ থেকে নামবার সময় সেই ক্রেস্ট আবার রেখেও দেয়া হয়। আয়োজকেরা অনুষ্ঠান শেষে ঐ ক্রেস্টের নাম পালটে আমার কাছে পাঠাতে চায়। কিন্তু ঐ ক্রেস্ট দিয়ে আমি এখন কি করব ? তারা কি পারবেন মঞ্চে আমার ঐ সময়টুকু ফিরিয়ে দিতে ?
অতিথির সামনে নিজের স্কুলকে ছোট করতে চাইনি। নইলে মাত্র ১৪ / ১৫ বছর বয়সে যেই আমি সংগ্রাম করে গ্রামের স্কুলে সহশিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছিলাম, সেই আমি চুপ করে এই অন্যায় মেনে নেই কি করে ? আমার উচিৎ ছিল তখনই অতিথির অনুমতি নিয়ে আমার বক্তব্য উপস্থাপন করা। দুপুরের খাবারের পর আমন্ত্রিত অতিথি’রা চলে গেলে নিজ উদ্যোগে একজন প্রাক্তন ছাত্র স্মৃতিচারণ করতে গেলে, বক্তব্যের অংশে প্রথম ছাত্রী হিসেবে আমাকে নিয়ে কিছু বলতে যাওয়া মাত্রই তাঁর হাত থেকে মাইক নিয়ে নেয়া হয়।
গত ৪২ বছরে প্রথম ছাত্রী’র স্বীকৃতি, সম্মান চাইনি তাই অসম্মানও প্রত্যাশা করিনি। প্রাপ্তির স্বপ্নও দেখিনি। তবু কেন আমাকে স্বপ্ন দেখানো হল, সে স্বপ্ন কেনই বা ভেঙ্গে দেয়া হল, এতে কার কি এমন লাভ হল সেসব প্রশ্নের উত্তর আমি খুঁজে পাইনা, খুঁজতেও চাই না। আগামী পুনর্মিলনীতে আমি আমরা হয়ত অনেকেই থাকব না, এবারকার মত যেমন অনেকেই নেই। মনঃকষ্ট নিয়ে মরতে চাইনা বলেই হয়ত প্রতিবাদের মাধ্যম হিসেবে আমার এই লেখা।
লেখাটি খুব ভাল লাগলো। ঝোপ-জংগল কেটে প্রথম যে পথ বানায় সেই জানে সংগ্রামের কী তীব্র কষ্ট। একজনের কষ্ট তার সামনের প্রজন্মের বাসিন্দাদের পথচলা সহজ করে দেয়। সেই সহজ পথ দিয়ে অনায়াসে যাতায়াত করে তারপর আমরা কী সহজেই ভুলে যাই একদিন এই পথ ছিল না। আজকের ফর গ্র্যআন্টেট অধিকারের জন্য কেউ কোনদিন লড়েনি। আমরা আমাদের মতো ইতিহাস সাজাই - আমাদের কাছেদের মানুষদেরকে সেই ইতিহাসের নায়ক-নায়িকা বানিয়ে দিই। ক্ষমতার পালা বদল হয় আর ইতিহাসের চরিত্র বদল হয়। আমরা ভুলে যাই কখনও সত্য বলে কিছু ছিল। আমরা ভুলে যাই আমাদের মূল্যবোধের বিশুদ্ধতার দরকার আছে।
তাইফুর - তোমার আম্মাকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছি। এই সমাজের বাসিন্দা হয়ে উনাকে বলো দুঃখকেই সাথী করে নিতে নয়তো আবারও সেই ১৯৬৮ সালের মতো জ্বলে উঠতে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
শান্তাপু, সুন্দর কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
এরকমটা নাকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিকেও ছিল।
লেখা প্রসঙ্গে - লেখাটা আগ্রহ নিয়েই পড়া শুরু করেছিলাম। তারপর যা অনুভূতি হবার কথা তাই-ই হলো। মানুষজন এতো ছোটলোক হয় কি করে?
তোর মায়ের জন্য শুভকামনা। সবসময় ভাল থাকুন।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
রাব্বী মামা কিরাম আছুইন ??
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
আমি বিমূঢ়। আপনার মাকে আমার সালাম জানাবেন।
জানিয়ে দিলাম ... ধন্যবাদ
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
আন্টির জন্য ::salute::
::salute::
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
লেখাটা পড়তে কিরকম যেন অনুভূতি হচ্ছিলো। কখনো অবাক হচ্ছিলাম, কখনো চোখ ভরে উঠছিলো, মাথা আপনি নুয়ে আসছিলো।
আন্টির প্রতি আর সেসব মাষ্টারমশাইদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছি।
মাঝে মাঝে ভাবি, আজ যদি ১৯৬৮ সাল হতো তাহলে হয়তো আরো দুরূহ হতো একটি মেয়ের পক্ষে একা স্কুল করা।আমরা এগুলাম না পিছোলাম, কিনারা করতে পারিনা।
আর আমাদের শিক্ষার অঙ্গনগুলোতে তো ব্যাপারিরা এসে পড়েছে বহু আগেই, সম্মান-অসম্মান বুঝতে তাদের বয়েই গেছে।
কথাটা ব্যাপক লাগল বস
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
আয়োজকদের ছবি যোগাড় কইরা পোস্ট কইরা দাও, ফেসবুকে লটকাই দেই "এদের ধরিয়ে দিন" ব্যানার লাগাই দিয়া।
আন্টিরে সালাম দিও। আমার জন্য স্পেশাল দোয়া করতে বলিও। 🙂
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
বস,
আয়োজকদের সাথে ফোনে কথা বলার পর আমি নিজেও এরাম অনেক কিছু করার পিলান নিছিলাম, ... কিন্তু আম্মা প্রতিহিংসা চায় নাই ... স্বান্তনা চাইছে ...
কুকুর আর পথিকের পার্থক্য (সম্পাদিত)
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
আন্টির জন্য ::salute::
এইটা আমাদের জাতিয় অভ্যআস
হুম ... গাইটের পয়সা খরচ কইরা ঘাম ঝরায়ে যারা আয়োজন করে ... তাদের তো কিছু নিজস্ব প্রাপ্তির ব্যবস্থা করতেই হয় ...
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
::salute::
:hatsoff:
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
লেখাটা পত্রিকাতেই পড়েছিলাম, ভিন্ন ধরনের কয়েকটা অনুভূতি এক সাথে হয়েছিল পুরোটা পড়ার পর। স্বজনপ্রীতি জিনিষটা আমরা প্রায় আমাদের জাতিগত বৈশিষ্ঠে পরিণত করে ফেলেছি।
আন্টিকে অন্তর থেকে শ্রদ্ধা... ::salute::
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ধন্যবাদ আকাশ ...
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
সর্বস্তরে স্বজনপ্রীতি। কবে যে ভাল ভাল সংবাদ শুনব।
আন্টিকে ::salute::
কামতপু,
আছিস ক্যামন ??
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
তাইফুর,
ফয়েজ ভাইয়ের এই কথার সাথে সহমত। আয়োজকদের একটা সাইজ দিলে খারাপ হইতনা। আমাদের এই জাতীয় সমস্যা কবে যাবে, কে জানে?
তয় আন্টিরে আমার লাল সালাম না (রংধনু সালাম দিস) ::salute:: । লেখাটা পড়ে আসলেই চোখ ভিজে গেছিল। অনেক সুন্দর করে লেখা। অনেক কিছু ভাবাইলো মরে।
অনেক দিন পর। কেমন আছস, মামা... :hug:
ভাল আছি মামা :-*
তুই ক্যামন ??
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
চলতেছে গাড়ি...
আন্টিরে ::salute::
লেখা পইড়া আর কিছু কওয়ার নাই। স্বজনপ্রীতি আড় ইতিহাস বিকৃতি আমাদের পার্ট অফ কালচার হয়া গেছে।
অন্যদের সাথে আমারও মনে হলো ঐ আয়োজকদের একটু সাইজ দিলে মন্দ হতো না। শারীরিক ভাবে দেয়া না যাক, তাদের এই কুকীর্তির কথা নাম ধরে ফাঁস করে দেয়া হোক প্রিন্ট আর ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে।
তাহলে আর তাদের সাথে আমাদের কি তফাৎ ??
লেখা পড়ার জন্য ধইন্যা ...
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
বস! সরাসরি অফটপিকে চলে যাই।
আমাদের গ্রামের বাড়ী কিন্তু মসদৈ গ্রামে। আমার আব্বা, বড় চাচা সহ অনেক আত্মীয় মৈশামূড়া বসন্তকুমারী স্কুলের ছাত্র।
আমাদের বাড়ীর নাম বড়বাড়ী আর আমার আব্বার ডাকনাম দলু। দাদাভাই যদিও ১৯৫৫ সালের দিকে ঢাকায় মুভ করেন, তবুও আন্টি নিশ্চয়ই চিনবেন। হয়তো দেখা যাবে আমরা আত্মীয়...সো এক্সাইটেড!
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
তুই তো এমনিতেও আমার আত্মীয় ... ছুড ভাই ...
(আম্মাকে জিজ্ঞেস করে জানাব তোরে ... আমিও x-cited)
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
লেখাটা পড়তে অনেক দেরি হলো তাইফুর ভাই। পড়ে মন খুব খারাপ হয়েছে! রাগও হচ্ছে এরকম কেন ঘটলো ভেবে!
আন্টিকে আমার সালাম আর শ্রদ্ধা জানিয়ে দিয়েন!
আন্দা, আছিস ক্যামন ??
সালাম আর শ্রদ্ধা জানিয়ে দিলাম ...
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
আজকালের পোলাপাইন খালি আংকেল আর আন্টি ডাকে। আমার অভ্যাস নাই।
তাইফুর, খালাকে অভিনন্দন জানিও।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
আপ্নে না আমার মায়ের পেটের আপন খালাতো ভাই ...
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
কারও কোন স্বীকৃতি আমাদের দরকার নেই... x-(
খালাকে বলবেন উনি আমাদের গর্ব... :salute:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
ধন্যবাদ জুনা ...
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥