একজন লাইবেরিয়ানের হৃদয়ে বাংলাদেশ


বেশ কিছুদিন ধরেই ভাবছি লাইবেরিয়া এবং আমাদের শান্তিরক্ষী মিশন নিয়ে কিছু লিখব। ইতিমধ্যে সায়েদ অনেক ছবি ব্লগ, লেখা এবং টুশকির মাধ্যমে লাইবেরিয়ার অনেক কিছুই সিসিবির পাঠকদের সামনে তুলে এনেছে। তাই এখানে আমার বলা অনেক কথাই হয়তো কমন পড়ে যাবে।

লাইবেরিয়ার ভৌগলিক অবস্থান সমন্ধে সবার ধারণা নাও থাকতে পারে। তাই একটু প্রাথমিক ধারণা দিয়ে নিচ্ছি। এই দেশটি পূর্বে আইভরিকোষ্ট, পশ্চিমে সিয়েরালিওন, উত্তরে গিনি এবং দক্ষিনে আটলান্টিক মহাসাগর দ্বারা পরিবেষ্টিত। এই দেশের আয়তন ১,১১,৩৭০ বর্গ কিলোমিটার, অর্থাৎ আমাদের দেশ থেকে কিছুটা ছোট। আয়তনে সামান্য ছোট হলেও এদেশের জনসংখ্যা মাত্র ৩২ লক্ষ। অত্যন্ত কম জনসংখ্যার কারনেই যুদ্ধবিদ্ধস্ত এই দেশটির অর্থের (লাইবেরিয়ান ডলার) মান আমাদের চেয়েও বেশি (বর্তমানে ১ ইউ এস ডলার = ৬৩ এলডি বা লাইবেরিয়ান ডলার)। এদেশের জনসংখ্যার মধ্যে ৪০% খৃষ্টান, ২০% মুসলমান এবং বাকি ৪০% ট্রেডিশনাল বা নিজ নিজ মতবাদে বিশ্বাসী। এদেশের মানুষের অফিসিয়াল ভাষা ইংরেজী হলেও প্রকৃতপক্ষে তা বিকৃত হয়ে সংক্ষিপ্ত আকার ধারন করেছে, যার উদাহরন গুফে (গুড ফ্রেন্ড), নোগু (নট গুড), বিব (বিগ বস) ইত্যাদি।

ছোটবেলা থেকে আমার মনে একটা ধারণা ছিল যে, বিদেশ মানেই অনেক সুন্দর, অনেক ভাল এবং সব বিষয়ে আমাদের চেয়ে উন্নত কোন দেশ। লাইবেরিয়াতে না আসলে মনে হয় কোন দিনও বুঝতাম না যে আমরা অনেক আধুনিক এবং উন্নত একটি দেশে বাস করি। অন্ততঃ আফ্রিকার এই দেশের তুলনায় আমরা হাজারগুনে ভাল আছি একথা ভেবে আমাদের সান্তনা পাওয়া উচিত। দীর্ঘ ১৪ বছর গৃহযুদ্ধ হবার কারনে আফ্রিকার এই দেশটি পিছিয়ে যায় প্রায় ১০০ বছরেরও বেশি। মাত্র ৯ মাসের যুদ্ধে আমাদের দেশেরই কি অবস্থা হয়েছিল, আর ১৪ বছর যুদ্ধে কি হতে পারে তা একটু ভেবে দেখুন। একটি দেশের মেরুদন্ডকে ভেঙ্গে দেয়ার জন্য এরকম একটি যুদ্ধই যথেষ্ঠ।

অবাক হবার মতো বিষয় হলো, সারা পৃথিবির মোট ৪৮% লৌহ মজুদ আছে এই দেশের মাটিতে, এছাড়াও আছে স্বর্ণের খনি, হীরার খনি সহ ইউরেনিয়ামের মতো মহা মূল্যবান খনিজ সম্পদ। একটি দেশের উন্নয়নের জন্য যা যথেষ্ঠ এখানে আছে এর চাইতেও অধিক। কিন্তু এত কিছু থাকার পরও কোন লাভ হচ্ছেনা এদের, কারন এসব সম্পদ উত্তোলন করা এবং প্রক্রিয়াজাত করার মতো নিজস্ব কোন ব্যবস্থা এদের নেই। আমেরিকার মতো আরো কিছু দেশ শুষে নিচ্ছে এদের খনিজ সম্পদ, রাবার সহ অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদ। পৃথিবির দ্বিতীয় বৃহত্তম রাবার উৎপাদনকারী এই দেশটি তাদের এই অপার সম্ভাবনাময় শিল্পটিকে ১০০ বছরের জন্য নাম মাত্র মূল্যে লিজ দিয়ে রেখেছে “ফায়ারষ্টোন” নামক এক আমেরিকান কোম্পানীর কাছে। দীর্ঘ ১৪ বছর নিজেদের মধ্যে মারামারি আর কাটাকাটি করে এরা শুধু নিজেদের সর্বনাশই করেনি, বরং ভবিষ্যত প্রজন্মকেও করে রেখেছে পঙ্গু।

লাইবেরিয়া একসময় আমেরিকা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতো, যার কারনে এদেশের পতাকা আমেরিকার সাথে অত্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমেরিকার পতাকায় মোট ৫০ টি তারকা আছে, আর লাইবেরিয়ার পতাকায় একটি। তারকার সংখ্যা বাদে দুই দেশের পতাকা দেখতে প্রায় একই রকম। এদেশের কালচার এবং মানুষের চালচলনের মধ্যেও কিছুটা আমেরিকার ছাপ পাওয়া যায়। এদেশের মানুষের অনেকেই এখনো মনে প্রাণে বিশ্বাস করে যে, তারা আমেরিকার একটি অংশ এবং একদিন তারা সবাই আমেরিকায় গিয়ে স্থায়ী ভাবে বসবাস করবে। হয়তো একারনেই এদেশের মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম খুবই কম। এদের আরেকটি অদ্ভুত আচরন হলো এরা ভবিষ্যতের কথা খুব একটা চিন্তা করেনা। পকেটে এল ডি (লাইবেরিয়ান ডলার) থাকলে তারা মদ খাওয়া বা ফূ্র্তি করাকেই বেশি প্রাধান্য দেয়। আর খুব বেশি অর্থের মালিক হলে এরা নিজেদেরকে আমেরিকান ভাবতে শুরু করে। আমেরিকা গিয়ে তাদের অনেকেই বাড়ি গাড়ি করে ফেলেছে কিন্তু লাইবেরিয়াতে একটা পাকা দালানও করেনি।

দীর্ঘ সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলার কারনে এবং রাজনৈতিক দুর্নীতির কারনে দেশটির অর্থনৈতিক অবকাঠামো একেবারেই ভেঙ্গে গিয়েছিল। বর্তমানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো খাদ্য ও চিকিৎসা। আমাদের বাংলাদেশের কোন গাড়ি পাশ দিয়ে যেতে দেখলেই এখানকার আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সকলেই হাত নেড়ে হাসি দিয়ে অভিনিন্দন জানায় আর পেট ও মুখে হাত দিয়ে দেখিয়ে চিৎকার করে বলতে থাকে “বাংলা দে চোচো” (চোচো অর্থ খাবার) অর্থাৎ আমাদের কাছে সবসময় এরা খাবার চায়। একমাত্র বাংলাদেশ ব্যতীত পৃথিবির আর কোন দেশের মানুষ তাদের এই ডাকে সাড়া দেয়না বলেই হয়তো ওরা বাংলাদেশীদের ভীষণ ভালবাসে। এর প্রমাণ যখন মনরোভিয়া (রাজধানী) তে যাই তখন অন্য সব দেশের শান্তিরক্ষীদের মাঝেও বাংলাদেশীদের কেই তাদের বেশি পছন্দ, আর তাই “বাংলাদে” বলে তারা চিৎকার করতেই থাকে। অথচ সারা মনরোভিয়া জুড়ে নিয়োজিত আছে নাইজেরিয়ান সেক্টর, আমাদের কোন বড় ব্যাটালিয়ন সেখানে নিয়োজিত নাই, তাই আমাদেরকে ওখানকার মানুষ খুব একটা চেনার কথা না। চাহিদার তুলনায় এদেশে হাসপাতাল বা ক্লিনিকের সংখ্যাও অতি নগন্য। তাই মত্যুর হার এদেশে অনেক বেশি। উপরন্তু এইডসের মতো ঘাতক ব্যাধি ছাড়াও লাসা ফিভার নামক আরেক মরন ব্যাধিতে আক্রান্ত এদেশের অনেক মানুষ। প্রতিদিন অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে বিভিন্ন রোগে।

আমাদের ব্যানমেড (বাংলাদেশ মেডিক্যাল) বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ ছাড়াও নিয়মিত এদেশের রোগীদের সেবা ও চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে। ব্যানইঞ্জিনিয়ার (বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার) রাস্তা মেরামত, ব্রিজ-কালভার্ট বানানো সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নির্মাণে সহায়তা করছে, ব্যানব্যাট (বাংলাদেশ ব্যাটালিয়ন) নিয়মিত টহল দেয়া ও নিরাপত্তা রক্ষা করা ছাড়াও বিভিন্ন গঠনমূলক কাজ যেমন কৃষি কাজ শেখানো, কাঠের কাজ শেখানো, স্কুলে গিয়ে শিশুদেরকে ভিটামিন ক্যাপসুল বিতরণ ইত্যাদি কাজ করছে, ব্যানসিগ (বাংলাদেশ সিগন্যালস) কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, টেলিকমিউনিকেশন এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, ব্যানলগ (বাংলাদেশ লজিষ্টিক) কারিগরী শিক্ষা, সেলাই কাজ এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল কোর্স পরিচালনা করছে। মোট কথা বাংলাদেশের সব কটি ব্যাটালিয়নই শান্তিরক্ষার পাশাপাশি নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত বেশকিছু গঠনমূলক কাজ করে যাচ্ছে যার কারনে এদেশের মানুষের কাছে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি অন্য সবার থেকে আলাদা।


গতকাল গিয়েছিলাম ফিবি ওয়াটার ফলস্‌ (সুন্দর একটি পাহাড়ি ঝর্ণা) এর পাশে। প্রাকৃতিক পানিকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে চাষাবাদ করা যায় তাই দেখানোর জন্য একটি চাইনিজ এনজিও কোম্পানী হাইব্রিড ধানচাষের একটি পরীক্ষামূলক প্রজেক্ট শুরু করেছে ঝর্ণাটির পাশে। এদেশের প্রেসিডেন্ট এসেছিলেন প্রজেক্টটি উদ্ভোধন করতে। আমার দায়িত্ব ছিল এই উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আমি ছিলাম ভেন্যু কমান্ডার।

অনুষ্ঠান শুরুর আগে স্থানীয় একজন পুলিশ অফিসারের সাথে পরিচয় এবং সেইসাথে অনেকক্ষন আলাপচারিতা হলো। তিনি হলেন এই কাউন্টির (বিভাগীয়) সর্বোচ্চ কর্মকর্তা। ৪২ বছর বয়স্ক এই মানুষটির সাথে কথা বলতে গিয়ে জানতে পারলাম নানান বিষয়। তার কাছ থেকে জানতে পারলাম ১৯৭৫-৮০ র দিকে এই দেশের জিডিপি নাকি ছিল জাপানের কাছাকাছি। যুদ্ধটা না হলে এই দেশটি এতদিনে হয়ে যেতে পারত আফ্রিকার মধ্যে অন্যতম এক শক্তিধর দেশ। কথাগুলো বলছিলেন আর খুব আক্ষেপ করছিলেন তিনি। আমি তাকে সান্তনা দিয়ে বললাম যা হবার তাতো হয়েই গিয়েছে, এখন আর পেছনের দিকে না তাকিয়ে সামনের ভবিষ্যত গড়ার স্বপ্ন দেখা উচিত। তাকে বললাম এই দেশের মাটি আমাদের বাংলাদেশের চেয়ে অনেক অনেক উর্বর, আমরা বাংলাদেশীরা যদি কৃষিকাজ করে নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি শস্য রপ্তানী করতে পারি, তাহলে তারা কেন পারবেনা? এদেশের মানুষ যদি কৃষিকাজটা শিখতে পারে তাহলে ক্ষুধার্ত মানুষের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এদেশে কৃষি বিপ্লবও ঘটিয়ে দেয়া সম্ভব। এছাড়াও এদেশে রয়েছে অসীম খনিজ সম্পদের অপার ভান্ডার। একটু ধৈর্য্যের সাথে এখনকার কঠিন পরিস্থিতিটা মোকাবেলা করা গেলেই এই সম্পদ ভবিষ্যতে তাদের অর্থনীতিকে অনেক দূর নিয়ে যেতে পারবে। দীর্ঘশ্বাস ফেলে ‘না’ সূচক মাথা নাড়লেন তিনি। এসবের কোন সম্ভাবনাই তিনি এখন আর দেখতে পাননা বলে জানালেন। ১৪ বছর যুদ্ধের কারনে এদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, তরুন প্রজন্মের একটা বড় অংশ এখনো অশিক্ষিত রয়ে গিয়েছে, তারা এখন মদ্যপান, চুরি, ডাকাতি, খুন, সন্ত্রাসী এবং বিভিন্ন অবৈধ কাজ করে বেরাচ্ছে। তাকে তখন আমি মনে করিয়ে দিলাম, এদেশের শিশু, কিশোর-কিশোরীরা কিন্তু শুন্য পাকস্থলী নিয়েও নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে, অত্যন্ত কষ্ট করে লেখাপড়া শিখছে; যা খুবই পজেটিভ একটা সাইন। জাতি শিক্ষিত হলে এই দেশ খুব কম সময়ের মধ্যেই মাথা তুলে দাড়াতে পারবে। শুনে মুচকি হেসে তিনি বললেন হয়ত পরবর্তী প্রজন্মে তা হবে, যা তিনি দেখে যেতে পারবেন না।

এরপর তিনি আমাকে বললেন বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীরা তাদের জন্য এক বিশাল আশীর্বাদ স্বরূপ। তাদের দেশকে নিয়ে আমরা বাংলাদেশীরা যেভাবে গঠনমূলক চিন্তা করছি এবং স্বপ্ন দেখছি তারা নিজেরাও নাকি সেভাবে চিন্তা করেনা। শান্তিরক্ষার পাশাপাশি আমরা সবসময়ই তাদের সেবা করতে সচেষ্ট। পৃথিবীর আর কোন দেশের শান্তিরক্ষীরা এভাবে আন্তরিকভাবে কাজ করেনা। উল্লেখ্য যে লাইবেরিয়াতে বর্তমানে নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ঘানা, ইথিওপিয়া এবং বাংলাদেশী ব্যাটালিয়ন শান্তিরক্ষার কাজে নিয়োজিত আছে। কথপোকথনের এক পর্যায়ে আমার কাছ থেকে আমাদের দেশের আয়তন এবং জনসংখ্যার হিসেব শুনে তার চোখ কপালে উঠল। তারপর মুচকি হেসে বলল এবার বুঝেছি কেন বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীর সংখ্যা জাতিসংঘের মধ্যে সর্বোচ্চ। আমি সাথে সাথে তাকে বুঝিয়ে দিলাম পাকিস্তান, ভারত সহ বিশ্বের অনেক দেশের সশস্ত্রবাহিনীর সদস্য সংখ্যা আমাদের দেশের চেয়ে অধিক হলেও শান্তিরক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের মতো পারফরমেন্স আর কারো নেই। আমাদের কাজের গুনেই আমরা আজ এই অবস্থানে আসতে পেরেছি, অধিক জনসংখ্যার কারনে নয়। তিনি তখন আমাকে পিঠ চাপড়ে বললেন এটা উনি দুষ্টামি করে বলেছেন, আমাকে আঘাত করার জন্য নয়। আমরা আমাদের জনসংখ্যাকে যে জনশক্তিতে রূপান্তরিত করছি এটার খুব প্রশংসা করলেন। এসব ছাড়াও দুই দেশের খাদ্যশস্য, খনিজ সম্পদ, আমদানী, রপ্তানী পন্য, শিক্ষাব্যবস্থা সহ আমাদের গার্মেন্টস, ইলিশ, চিংড়ী ও বিভিন্ন মৎস প্রকল্প এবং আরো কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে সংক্ষিপ্ত আলোচনা হলো।

অনুষ্ঠান শেষে যাবার আগে তিনি আমার কাছে এসে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য কতজ্ঞতা জানিয়ে ধন্যবাদ দিলেন এবং বললেন, গত ৬ বছর ধরে তিনি বাংলাদেশীদের যতই দেখছেন ততোই মুগ্ধ হচ্ছেন। তার অচেনা, অদেখা এই দেশটিকে উনি এখন নিজের দেশের চাইতেও বেশি ভালবাসতে শুরু করেছেন। এশিয়াতে কখনো যাবার সুযোগ পেলে অবশ্যই তিনি নাকি বাংলাদেশে ঘুরতে যাবেন। শুনে আমার বুকটা গর্বে ভরে গেল, অনেক অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে এবং আমাদের দেশে বেড়াতে যাবার আমন্ত্রণ জানিয়ে আমিও তার কাছ থেকে বিদায় নিলাম।

অতঃপর প্রচন্ড ভাললাগা আর আবেগাপ্লুত এক অনুভুতি নিয়ে আমি আমার টিম নিয়ে ক্যাম্পে ফিরে আসলাম। শুধুমাত্র এই লাইবেরিয়ান উর্দ্ধতন পুলিশ অফিসারই নয়, এদেশের প্রায় প্রতিটি মানুষের হৃদয়েই বাংলাদেশ নামটি যেন অমলিন, চিরঅমর ও অবিনশ্বর হয়ে থাকবে। গতরাতেই আমার এই অনুভুতিটুকু লিখতে বসেছিলাম কিন্তু এক বসায় শেষ করতে পারলাম না। তাই আজ বাকিটা (২য় অংশ) শেষ করে একবারে সিসিবিতে জমা দিলাম। সবার সাথে শেয়ার করতে পেরে ভাল লাগছে। কষ্ট করে পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।

৩,৪৩৯ বার দেখা হয়েছে

৪৮ টি মন্তব্য : “একজন লাইবেরিয়ানের হৃদয়ে বাংলাদেশ”

  1. রহমান (৯২-৯৮)

    মন্তব্যের মাধ্যমে আমাদের দেশের সকল শান্তিরক্ষীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য রকিব, আকাশ, মঞ্জুর এবং রবিনকে অনেক ধন্যবাদ 🙂 ।

    অবশিষ্ট পাঠকদের উদ্দেশ্যে অনুরোধ করব, আমার এই ঘটনাটি পড়ে আপনাদের কেমন অনুভুতি হচ্ছে একই সাথে সেটিও শেয়ার করার জন্য।

    জবাব দিন
  2. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    আহারে, যেই দেশে জন্ম সেই দেশ কে এরা ভালবাসতে পারে না, এমন দুর্ভাগা কেন এরা।

    শান্তি মিশনের কাজ কাম আমার খুব ভাল লাগে। আমি তাদের সবাইকে স্যালুট করি।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  3. সাকেব (মকক) (৯৩-৯৯)

    রহমান ভাই,
    বিদেশি কারো মুখে নিজের দেশ সম্পর্কে ভালো কথা শুনলে কেমন অনুভূতি হয়-সেইটা আসলে বিদেশে না থাকলে বুঝা যায়না...

    বন্যার দেশ-সাইক্লোনের দেশ-দুর্নীতির দেশ নামে সবসময় একটা নেতিবাচক ভাবমূর্তি নিয়ে থাকা আমাদের বাংলাদেশ নিয়ে প্রথম গর্ব করার সু্যোগ পাই ডঃ ইউনুস নোবেল পাওয়ার পর...আসলেই মনে হয় বুকটা একশো হাত ফুলে গেসিলো...আর লাইবেরিয়ান দের কাছ থেকে পাওয়া এই প্রশংসা তো আপনাদের নিজেদের কর্মনিষ্ঠা আর আন্তরিকতায় অর্জিত...তাই নিশ্চয়ই আরো অনেক অনেক ভালো লাগার কথা...

    একটা পোস্টে মাস্ফ্যুর একটা কমেন্ট ছিল কোন এক আফ্রিকান ছেলের আমাদের শান্তিরক্ষীদের সম্পর্কে বলা একটা কথা নিয়ে...জাস্ট চোখে পানি চলে আসছিলো...

    সিয়েরালিওনে নাকি বাংলাদেশের নামে একটা বড় রাস্তা আসে...আশা করি লাইবেরিয়া তেও একদিন আমাদের দেশের অনেকগুলা স্মৃতিস্মারক থাকবে...


    "আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
    আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"

    জবাব দিন
    • রহমান (৯২-৯৮)
      সিয়েরালিওনে নাকি বাংলাদেশের নামে একটা বড় রাস্তা আসে…আশা করি লাইবেরিয়া তেও একদিন আমাদের দেশের অনেকগুলা স্মৃতিস্মারক থাকবে…

      সাকেব, অনেক ধন্যবাদ তোমার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য। তোমার অবগতির জন্য বলছি লাইবেরিয়াতেও ইতিমধ্যে বেশ কিছু স্থাপনা এবং প্রকল্পের মধ্যে বাংলাদেশের নাম স্থান পেয়েছে। এর উদাহরনঃ

      ১। এখানে আছে BLYC (বাংলাদেশ-লাইবেরিয়া ইয়থ সেন্টার) নামে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে যেখানে এদেশের বেকার তরুন প্রজন্মকে কম্পিউটার, সেলাই কাজ, কাঠের কাজ সহ না ধরনের বিভিন্ন কারিগরী প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। BLYC এর পাশের মাঠেই স্থানীয় শিশু কিশোরদের জন্য তৈরী করা হয়েছে একটি শিশুপার্ক যেটি এখানকার ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের অতি প্রিয় জায়গা। এছাড়াও পাশাপাশি আরেকটি স্থানে ব্যান ইঞ্জিনিয়ার তাদের ডোজার দিয়ে পাহাড় কেটে সমান করে তৈরী করে দিয়েছে ফুটবল খেলার মাঠ ।

      ২। "বাংলা-বং এগ্রো ফার্ম" (বং এখাঙ্কার কাউন্টি বা বিভাগের নাম) যেখানে এদেশের সরকার প্রায় ২৫ একর জমি ও পাহাড় দান করেছেন এক্স কম্বাটেন্ট (এখানকার গৃহযুদ্ধের প্রাক্তন যোদ্ধারা) দের। এই ফার্মে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা স্থানীয় এক্স কম্বাটেন্টদের কৃষিকাজ শেখাচ্ছে।

      ৩। জাতিসংঘের বিভিন্ন কার্যক্রমে জড়িত অবস্থায় মৃত অথবা শাহাদত বরণকারী আমাদের শান্তিরক্ষীদের স্মরণে… "বাংলাদেশ স্কয়ার" নামে আমাদের সেক্টরের মাঠে তৈরী করা হয়েছে একটি চমৎকার ম্যুর‌্যাল বা ভাস্কর্য (শান্তি অঙ্গন) , যেটি এখানকার মানুষ আমরা চলে যাবার পরও অক্ষত রাখবে বলে জানিয়েছে। যুগ যুগ ধরে এই মুর‌্যালটি বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের স্মতির ফলক হয়েই থাকবে। সায়েদকে অনুরোধ করব এই ম্যুর‌্যালটির একটি সুন্দর ছবি সিসিবির পাঠকদের উপহার দেবার জন্য।

      ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হলেও এরকম আরো অনেক গর্ব করার মতো বিষয় আমাদের শান্তিরক্ষীরা রেখে যাচ্ছে এদেশের মানুষের আজীবন কল্যাণের জন্য।

      আশা করি লাইবেরিয়া তেও একদিন আমাদের দেশের অনেকগুলা স্মৃতিস্মারক থাকবে…

      আমিও খুব আশাবাদী। ভবিষ্যতে আমরা আরো অনেক বড় কিছু করতে পারব বলে আমার বিশ্বাস। ধন্যবাদ

      জবাব দিন
      • সায়েদ (১৯৯২-১৯৯৮)
        জাতিসংঘের বিভিন্ন কাযক্রমে জড়িত অবস্থায় মত আমাদের শান্তিরক্ষীদের স্মরণে “বাংলাদেশ স্কয়ার” নামে আমাদের সেক্টরের মাঠে তৈরী করা হয়েছে একটি চমৎকার ম্যুর‌্যাল বা ভাস্কর্য, যেটি এখানকার মানুষ আমরা চলে যাবার পরও অক্ষত রাখবে বলে জানিয়েছে। যুগ যুগ ধরে এই মুর‌্যালটি বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের স্মতির ফলক হয়েই থাকবে। সায়েদকে অনুরোধ করব এই ম্যুর‌্যালটির একটি সুন্দর ছবি সিসিবির পাঠকদের উপহার দেবার জন্য।

        বন্ধু, এই কাজটা আমি বহুত আগেই কইরা ফালাইছি (বাংলাদেশ স্কয়ার) 😀 😀


        Life is Mad.

        জবাব দিন
  4. সায়েদ (১৯৯২-১৯৯৮)
    তার কাছ থেকে জানতে পারলাম ১৯৭৫-৮০ র দিকে এই দেশের জিডিপি নাকি ছিল জাপানের কাছাকাছি।

    ১৯৮০ সালে স্যামুয়েল ডো কর্তৃক ক্যু এর মাধ্যমে ক্ষমতা দখল এর পরবর্তীতে ১৯৮৯ তে তাকে অপসারণের মাধ্যমে ১৪ বছরব্যাপী যে যুদ্ধের শুরু হয় তাতেই এরা পৌঁছে গেছে প্রায় শতাব্দী পিছনে। ষাট আর সত্তরের দশকের লাইবেরিয়া সত্যিকার অর্থেই ইর্ষনীয়।


    Life is Mad.

    জবাব দিন
  5. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    রহমান দোস্ত,
    তোর লেখাটা পড়ে এই হাজার মাইল দূরে বসেও গর্বে বুকটা ভরে উঠলো।
    আমরা কত ভালো আছি দেশে, তাইনা! আর আমাদের দেশের সামরিক বেসামরিক যেসব মানুষ জীবনের পরোয়া না করে বাইরের বিশ্বে প্রতিনিয়ত দেশের মুখ উজ্জ্বল করে চলেছেন তাদের জন্য অন্তর থেকে শ্রদ্ধা। ভাবতেই ভালো লাগে এদের মধ্যে আমার বন্ধু বড় ভাই ছোট ভাইরা আছে। তোদের সবার জন্য লক্ষ :salute: :salute:

    আর যারা দেশের এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন তাদের জন্য মহান স্রষ্টার কাছে দোয়া করছি। এবং সাথে সাথে তাদের এবং তাদের পরিবারের সবার জন্য এই মহান আত্মত্যাগের জন্য অসংখ্য :salute:


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  6. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    রহমান : ধন্যবাদ, দারুণ একটা উজ্জীবিত হওয়ার মতো লেখার জন্য। তোমরা শান্তিরক্ষীরা এখন বাংলাদেশের প্রকৃত রাষ্ট্রদূত। এই বিভক্ত, হানাহানি, সন্ত্রাস-দুর্নীতির দেশে আমাদের গর্ব করার মতো একটা ঐতিহ্য গড়ে তুলেছ তোমরা। এক একটা যুদ্ধ অথবা গৃহযুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে গিয়ে সেখানে শান্তি স্থাপন এবং পূনর্বাসনে তোমাদের অবদান সেদেশের মানুষ যেমন কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করে সেটা দেখে রীতিমতো ঈর্ষা হয়। তোমাদের জন্য :hatsoff: অভিবাদন।


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
    • রহমান (৯২-৯৮)

      সানা ভাই,
      অনেক অনেক ধন্যবাদ। বরাবরের মতোই বলব, আপনার মন্তব্য আমাকে অনেক বেশি প্রেরণা দেয়।

      তোমরা শান্তিরক্ষীরা এখন বাংলাদেশের প্রকৃত রাষ্ট্রদূত

      একই কথা বলে আমরা আমদের অধীনস্ত সদস্যদের মোটিভেশন করে থাকি। মিশন চলাকালীন সময়ে একমাত্র আমাদের দেশ ব্যতীত প্রায় প্রতিটি দেশের শান্তিরক্ষী সদস্যরাই কোন না কোন নারী ঘটিত বা অসৎ কাজে জড়িত হয়ে পড়ে। দীঘদিন পরিবার থেকে দূরে থাকা এবং প্রচন্ড একঘেয়েমি জীবন এর একটি প্রধান কারন। তাই আমরা সর্বদা আমাদের অধীনস্তদের মোটিভেশন এবং ধমীয় চচার উপর ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করি যেন আমাদের কেউ অসৎ পথে পা না বাড়ায়।

      আমাদের সবার ইউনিফর্মের বাম হাতে ছোট একটা বাংলাদেশের পতাকা আছে। শুধুমাত্র মিশন চলাকালীন সময়েই শরীরে এই পতাকা বহন করার সুযোগ পাওয়া যায়। আমরা তাদেরকে বুঝাই যে, এই পতাকার কারনেই আমরা প্রত্যেকে একেকজন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। এখন আমরা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে আছি। অন্য দেশের সামনে কোন ভাবেই আমাদের দেশের ইমেজ নষ্ট হতে দেয়া যাবেনা। আমাদের একজনের কোন ভুলের জন্য যেন এই পতাকা তথা দেশের অবমাননা না হয়।

      সত্যিকার অর্থেই এই মোটিভেশন খুবই কার্যকরী।

      সুন্দর মন্তব্যের জন্য সানা ভাইকে আবারো ধন্যবাদ 🙂

      জবাব দিন
      • সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)
        আমরা সর্বদা আমাদের অধীনস্তদের মোটিভেশন এবং ধর্মীয় চচার উপর ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করি যেন আমাদের কেউ অসৎ পথে পা না বাড়ায়

        রহমান ও সায়েদ : তোমাদের কষ্ট বুঝি!! 😀 😀 । তবে কলেজে কি জানি একটা শ্লোগান ছিল না, "থাকিতে .... হবো না কারো দ্বারস্ত"! সম্ভবত এইটাই আমাদের সুনাম অক্ষুন্ন রাখছে। পাকিরা তো মানুষ না ষাড়, তাই ওদের হাত নাই!!


        "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

        জবাব দিন
  7. তাইফুর (৯২-৯৮)

    একজন লাইব্রেরীয়ানের হৃ্দয়ে বাংলাদেশ হইলেও খ্রাপ হইত না ... :-B
    আমাগো কলেজ লাইব্রেরীয়ান'দের নিয়ে কিছু লিখা যাইত ... 😉


    পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
    মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥

    জবাব দিন
  8. পাকিস্তান, ভারত সহ বিশ্বের অনেক দেশের সশস্ত্রবাহিনীর সদস্য সংখ্যা আমাদের দেশের চেয়ে অধিক হলেও শান্তিরক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের মতো পারফরমেন্স আর কারো নেই :hatsoff: :hatsoff:

    জবাব দিন
  9. এই বেলা আমার একটা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলি।ইয়াহু চ্যাটরুমে বিভিন্ন দেশিদের সাথে একসময় চুটিয়ে আড্ডা দিতাম।বাংলাদেশ প্রসংগ এলেই দুর্নীতি,সাইক্লোন অবধারিত ভাবেই এসে পড়ত(তখনো ডঃ ইউনুস নোবেল পাননি)।অক্ষম আক্রোশে ফেটে পড়ে মাঝে মাঝে চ্যাটিং থেকেই বিদায় নিতাম।এরকম এক সময়ে পরিচয় হল মুরতালা মোহাম্মদ নামে এক সিয়েরা লিওনিয়ান ছেলের সাথে।আমি বাংলাদেশি শুনেই ও বলে উঠল-”দি পুয়োর,সাইক্লোন রিডেন কান্ট্রি ইউ আর টকিং এবাউট হ্যাজ সেন্ট হার ট্রুপ্স হু আর সেভিং মোর লাইভস ইন মাই কান্ট্রি দ্যান ইউ জোকারস ক্যান এভার ইমাজিন।”

    বিশ্বাস করুন,চোখের পানি সামলাতে পারিনাই ওইদিন।ধান্মন্ডি থেকে বনানী যেতে ট্রাফিক জ্যামে আটকা পড়ে প্রতি নিয়ত “গ্র্যাজুয়েশন শেষেই এই দেশ ছেড়ে চলে যাব” বলে প্রতিজ্ঞা করলেও সেই দিন আবার বুঝতে পারলাম,ক্ষুধা-দারিদ্র আর বন্যা-পীড়িত এই দেশটাই আসলে আমার স্বর্গ।আমার দেশের যেই ভাইদের শ্রম আর জীবনের বিনিময়ে সেইদিন আমার বুক গর্বে দশ হাত হয়ে গিয়েছিল,এই ব্লগে উপস্থিত এবং ব্লগের বাইরে কর্তব্যরত তাঁদের সবাইকে আমার ক্ষুদ্র-সামর্থ ভালবাসা আর শ্রদ্ধা জানাই।

    This was the comment :shy: :shy:

    জবাব দিন
  10. টিটো রহমান (৯৪-০০)

    চমতকার আর সাবলীল একটা লেখা দিছেন :boss:

    একটি দেশের উন্নয়নের জন্য যা যথেষ্ঠ এখানে আছে এর চাইতেও অধিক।

    আমি ভাবছি আমাদের কথা.......... :-B


    আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই

    জবাব দিন
    • রহমান (৯২-৯৮)

      হ্যাঁ ভাই আমিন, ঠিকই ধরেছে। এই অভাগা জাতিটার জন্য খুব আফসোস হয় আমার। কোন ভবিষ্যত নাই এদের। এরা যাতে কখনো মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সেজন্যও ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। মদ আর নেশা জাতীয় অন্যান্য পানীয়ের মূল্য ইচ্ছাকৃত ভাবে কমিয়ে রাখা হয়েছে এখানে, যাতে করে তরুন প্রজন্ম সহজেই বিপথে যেতে পারে, ধর্মকে করে রাখা হয়েছে শিথিল, যাতে অসৎ কাজ করতে কারো বিবেকে না বাধে, আর বড় ভাই গোত্রের দেশগুলোর শোষণ তো আছেই...

      লাইবেরিয়ানদের কষ্ট তোমার হৃদয় স্পর্শ করেছে জেনে ভাল লাগল।

      জবাব দিন
  11. রহমান (৯২-৯৮)

    সবাইকে অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

    লাইবেরিয়া সমন্ধে আরো কিছু জানতে চাইলে সচলায়তনে গিয়ে দেখে আসতে পারেন আমার এক কলিগ যুবরাজের লিখা "লেটার ফ্রম লাইবেরিয়া" সিরিজটি। তার এই সিরিজটি সচলে অনেক গুনী লেখক ও পাঠকের নজর কেড়েছে।

    জবাব দিন
  12. তানভীর (৯৪-০০)

    রহমান ভাই, অনেক কিছু জানতে পারলাম আপনার লেখা পড়ে। ভাইয়ার মুখেও লাইবেরিয়ানদের ব্যাপারে অনেক শুনেছি।

    শান্তিরক্ষায় নিয়োজিত বাংলাদেশের পতাকা বহনকারী সেইসব মানুষদের জন্য রইল শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা মিশানো :salute:

    লেখাটা চমৎকার হয়েছে ভাইয়া।

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।