রিভিউঃ অন্যরকম ক্যাডেট কলেজ

রিভিউঃ অন্যরকম ক্যাডেট কলেজ

[ডিসক্লেইমারঃ এই লেখাটা শুরু করার মাত্র অল্প কিছুক্ষণ আগেই আমি “অন্যরকম ক্যাডেট কলেজ” ধারাবাহিকের শেষ পর্বে আমার একটা ছোট্ট মন্তব্য যোগ করেছি। আসলে মন্তব্যের ঘরেই কথাগুলো চলে আসছিল। কিন্তু মন্তব্য বড় হয়ে যাবার আশংকায় একটা রিভিউ-ব্লগ লেখার সিদ্ধান্ত নিলাম। এর মূল কারন অবশ্য দুটো – প্রথমতঃ আমি নিজে একজন ভাষা ও সাহিত্যের ছাত্র এবং দ্বিতীয়তঃ শেষ পর্বের বাস্তব ও জীবনমূখী সমাপনী যা আমাকে তীব্রভাবে আকর্ষন করেছে এবং বেশ ভাবিয়েছে।]

বলতে গেলে প্রায় একটানে গল্পগুলো (পুরো সিরিজটা) পড়ে শেষ করলাম। সকল লেখক যারা এখানে অবদান রেখেছেন, তাদের সবাইকে অভিনন্দন। গল্পের ধারাবাহিক ঘটনাপ্রবাহের ঘনঘটায় শেষ পর্বটা সত্যিই মনে রাখার মত হয়েছে। তবে গল্পের সবকিছু মিলে আমার একান্ত ব্যক্তিগত কিছু অভিমত রয়েছে। এই লেখায় আমি শুধুমাত্র সেগুলোই ব্যক্ত করছি।

ক্যাডেট-কলেজ-ব্লগ (সিসিবি)-এর নব্য-সদস্য এবং অ-সদস্যদের সুবিধার্থে এবং তাদের কনফিউশন এড়ানোর জন্য আট পর্বের এই ধারাবাহিকের লিঙ্কগুলো প্রথমেই দিয়ে দিলাম।
১। http://www.cadetcollegeblog.com/mohib/173
২। http://www.cadetcollegeblog.com/muhammad/178
৩। http://www.cadetcollegeblog.com/kamrultopu/181
৪। http://www.cadetcollegeblog.com/kanak1150/188
৫। http://www.cadetcollegeblog.com/raihanabir/198
৬। http://www.cadetcollegeblog.com/kamrultopu/289
৭। http://www.cadetcollegeblog.com/kamrultopu/501
৮। http://www.cadetcollegeblog.com/rahman6197/1634

সত্যিকারর্থেই চমৎকার একটা সিরিজের জন্ম দিয়েছে সিসিবি। ধারাবাহিকটি শুরু করেছেন একজন, আর এর শেষ হল আরেকজনের হাতে। মাঝখানে হাল ধরে ছিলেন আরো চারজন, যাদের মধ্যে একজন লিখেছেন তিনটি পর্ব। গল্পের শুরুটা কাল্পনিক এবং ফ্যান্টাসি-নির্ভর হলেও, এর ধারাবাহিকতায় চমৎকার সাবলীলতার ছোঁয়া রয়েছে যা আমার মতন অন্যান্য পাঠকদের ধরে রাখতে পেরেছে বলেই আমার ধারনা। শুধু তাই নয়, সম্ভবতঃ সাহিত্যের জগতে এটা এক বিরল ধারাবাহিক যেখানে শুধুমাত্র একাধিক লেখক নন, বরং এর প্রায় সকল পাঠক (অর্থাৎ যারা এই ধারাবাহিকের সাথে সবসময় ছিলেন) তাদের নিয়মিত মন্তব্য দিয়ে পুরো লেখাটিকে সামনে নিয়ে যাবার প্রয়াস দিয়েছেন এবং সেইসাথে সমগ্র লেখনিতে এক বিশেষ নষ্টালজিক আবহ সৃষ্টি করেছেন।

পুরো ধারাবাহিকটি কল্পনাপ্রসূত হওয়া সত্ত্বেও এর সার্বিক চরিত্রায়নে, এবং শেষ পর্বের ঘটনাপ্রবাহে যে বাস্তবতার রূপকছটা বা ছায়া রয়েছে তা যেকোন ক্যাডেটকে (প্রাক্তন ক্যাডেটরাও এর মধ্যে সামিল) স্মৃতির পাতা ওল্টাতে বাধ্য করে। বিশেষ করে সপ্তম শ্রেনীর দুই ক্যাডেটের রোলার-চাপায় অকাল মৃত্যুবরণ নিঃসন্দেহে আমাদের স্বতীর্থ হারানোর বেদনাকে জাগ্রত করে দেয়। এই গল্পে শিক্ষক চরিত্রগুলোর পরিবেশন এবং কৈশর মানষপটে তাঁদের ছোঁয়া এবং এর প্রতিক্রিয়া সুনিপুনভাবে দেখানো হয়েছে। কোন শিক্ষকের অহেতুক শত্রুভাবাপন্ন আচরন যে একজন ছাত্রের কাছে বা ছাত্রসমাজে (বিশেষ করে কৈশরে) কতক্ষানি যন্ত্রনার কারন, তার আসাধারণ এক পরিবেশন রেয়েছে এই গল্পে। আবার ঠিক একইভাবে শিক্ষকের স্নেহ এবং দায়িত্বশীলতা কিভাবে তাঁকে ছাত্রদের অন্তরে নিয়ে গিয়ে স্থান করে দেয়, তারও এক বাণী দিয়ে গেছে আট পর্বের এই ধারাবাহিক। এখানে প্রাশাসনের ব্যক্তিবর্গের (প্রিন্সিপাল, ভাইস প্রিন্সিপাল, এডজুট্যান্ট) আচরন এবং সে’অনুযায়ী ক্যাডেটদের মাঝে তাঁদের গ্রহনযোগ্যতার মুল্যায়ন নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার। এমনকি কিছু মধ্যম এবং নিম্নপদস্থ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর দায়ীত্বশীলতাও এখানে এসেছে। সার্বিকভাবে বলা যায় এই ধারাবাহিকে ক্যাডেট কলেজের সকল শ্রেনীর সদস্যদের বাস্তবধর্মী এবং গ্রহনযোগ্য সামাজিক সমন্বয় ঘটান হয়েছে।

ব্লগে পাঠকদের মন্তব্য নিঃসন্দেহে গল্পটিতে প্রানের সঞ্চার ঘটিয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা সংযোজন করেছে। তবে এক্ষেত্রে আমার মনে হয় গল্পের ‘সামিয়া’ চরিত্রের এবং ‘শিকড়ের’ গ্রহনযোগ্যতার বিষয়ে পাঠকদের মধ্য থেকে প্রাপ্ত ব্যাখ্যা কিছুটা অসমাপ্ত থেকে গেছে। এখন এ’বিষয়ে আমার কিছু কথা আছেঃ

১। যেহেতু ‘অন্যরকম একটা ক্যাডেট কলেজের’ সমাধানে এসে ধারাবাহিকটি থেমেছে, কাজেই আমার মনে হয় এখানে পরিবেশনের ভিন্নতার মিস্টিরিয়াস ছোঁয়ায় দোষের কিছু নেই। আর সেক্ষত্রে ‘সামিয়া’ নামক চরিত্রের অবতারনা গ্রহনযোগ্য বলেই সমালোচক হিসেবে আমি মনে করি।

২। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে গল্পটা সূচনালগ্নে ফ্যান্টাসি-নির্ভর হলেও এর সমাধান হয়েছে বাস্তবতার আলোকে, কাজেই ‘সামিয়া’ চরিত্রটির ইতি টেনে গল্পের শেষ লেখক যুক্তিযুক্ত কাজ করেছেন বলেই আমি মনে করি, কেননা আমার মতে ‘সামিয়া’ চরিত্রের মত অলীক বিষয় বাস্তবতার বিচারে শেষ পর্যন্ত না থাকাই স্রেয়।

৩। বিশ্বসাহিত্যের নামকরা সাহিত্যকর্মে এরকমের নিদর্শন রয়েছে। Samuel Taylor Coleridge-এর The Rime of the Ancient Mariner কবিতায়ও আমরা এমনটা দেখি, যেখানে একটা ভূতুড়ে গল্পের অবসান ঘটানো হয়েছে ভূতুড়ে জাহাজটাকে (যেখানে সব ভূতুড়ে ঘটনাগুলো ঘটে) মোহনায় এসে ডুবিয়ে দিয়ে। এর কারন হিসাবে ব্যাখ্যাটা এমন যে, বাস্তব জগতে আবাস্তবকে টিকিয়ে যায় না বা রাখা ঠিক নয়।

৪। ‘শিকড়’ হল, আমার মতে, এই গল্পে একটা বিরাট সিম্বলিক ইস্যু, যার মধ্য দিয়ে আমাদের মানষিকতার বা চেতনার শিকড়ের কথাই বোঝানো হয়েছে। সিসিবি-র জন্মের মধ্য দিয়ে আমরা প্রাক্তন ক্যাডেটরা সেই বাস্তব শিকড়েই ফিরে গেছি। কাজেই গল্পে ‘শিকড়টা’ ফিরিয়ে দেয়া যথার্থই হয়েছে বলে আমি মনে করি, কারন এখন আর সেটার প্রয়োজন নেই।

৫। এক্ষেত্রে ‘সামিয়া’ প্রসংগে আরেকটু কথা হয়তো থেকে যায় – এই চরিত্রটাকে আমার কাছে গল্পের মূল চালিকা শক্তি মনে হয়েছে যাকে তুলনা করা যেতে পারে একজন ক্যাডেটের conscience বা বিবেকের সাথে।

[বিঃদ্রঃ এই রিভিউ লেখাটি সম্পুর্ণভাবে আমার একান্ত ব্যাক্তিগত অভিমত। অন্যদের সাথে আমার মতের মিল নাও থাকতে পারে। কাউকে ব্যাক্তিগতভাবে বা কারো ইমোশনে আঘাত দিয়ে থাকলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। মতমতের ভিন্নতাকে আমি সাধুবাদ জানাই। সেইসাথে মুক্ত আলোচনার আহবান ব্যক্ত করছি।]

৩৩ টি মন্তব্য : “রিভিউঃ অন্যরকম ক্যাডেট কলেজ”

  1. রকিব (০১-০৭)

    দারুন রিভিউ ভাইয়া, সত্যিই দারুন।
    এসিরিজের সকল লেখক এবং সমালোচক মন্ডলীকে পাঠকদের পক্ষ থেকে লাল সালাম। :salute:


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  2. রহমান (৯২-৯৮)
    সকল লেখক যারা এখানে অবদান রেখেছেন, তাদের সবাইকে অভিনন্দন

    আহমদ ভাই,
    আপনার এই রিভিউ পড়ে আমি যার পর নাই আনন্দিত, মোহিত এবং গর্বিত। আপনার মতো একজন ভাষা সাহিত্যিকের কাছ থেকে প্রশংসা পাওয়া সত্যিই খুব গর্বের ব্যাপার। এর আগে বিভিন্ন সিনেমা অথবা গল্প, উপন্যাসের রিভিউ পড়েছি, কিন্তু এই প্রথম সিসিবিতে প্রকাশিত লেখার রিভিউ এই সিসিবিতেই পড়লাম।

    "অন্যরকম ক্যাডেট কলেজ" এর শেষ পর্বটা লিখার আগে আমি আগের সাতটা পর্ব খুব মনযোগ দিয়ে পড়েছিলাম এবং পরবর্তী সিরিজগুলো পড়ার জন্য খুব উদগ্রীব হয়ে ছিলাম। কিন্তু দেখলাম অনেকদিন ধরে সিরিজটা ঝুলে ছিল। অনেকেই কন্টিনিউ করার আশ্বাস দিয়ে আর লিখছিল না। এদিকে সিরিজটি আমার খুব ভাল লেগেছিল। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম আমি সিরিজটির শেষ পর্ব লিখব এবং সিসিবির সাথে একটা লিংক-আপ করিয়ে ফিনিশিং দিব। বেশ কয়েকদিন চিন্তা করে যথেষ্ঠ টাইম নিয়ে লেখাটি শেষ করেছিলাম। তাই শেষ পর্ব অনেক বড় হয়ে গিয়েছিল।

    আপনি যে চমৎকার ভাবে 'সামিয়া' চরিত্রটি এবং 'শিকড়' এর ব্যাখ্যা দিলেন তা কিন্তু আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। আপনি গল্পটির একদম গভীরে গিয়েছেন বলেই এত সুন্দর ব্যাখ্যা দাড় করাতে পেরেছেন। এদিক থেকে আমি বলবো আপনার এই রিভিউ অত্যন্ত প্রশংসার দাবীদার। :thumbup:

    সম্ভবতঃ সাহিত্যের জগতে এটা এক বিরল ধারাবাহিক যেখানে শুধুমাত্র একাধিক লেখক নন, বরং এর প্রায় সকল পাঠক (অর্থাৎ যারা এই ধারাবাহিকের সাথে সবসময় ছিলেন) তাদের নিয়মিত মন্তব্য দিয়ে পুরো লেখাটিকে সামনে নিয়ে যাবার প্রয়াস দিয়েছেন এবং সেইসাথে সমগ্র লেখনিতে এক বিশেষ নষ্টালজিক আবহ সৃষ্টি করেছেন।

    :boss: চমৎকার ভাবে প্রকাশ করেছেন। আমি আপনার এই মন্তব্যের সাথে ১০০ ভাগ সহমত। সিসিবির পাঠকদের এটাই সবচেয়ে বড় গুন আর এ কারনেই সিসিবি অন্য সব ব্লগ থেকে আলাদা।

    আমার কমেন্টটি অনেক বড় হয়ে গেল বলে দুঃখিত। আপনার রিভিউ পড়ে খুব ইমোশনাল হয়ে গেলাম। আপনি যেভাবে প্রশংসা করে রিভিউ লিখলেন, তা নিঃসন্দেহে অন্য লেখকদের আরো লিখার জন্য বিশাল প্রেরণা দিবে। আমি বিশ্বাস করি, পাঠকের কাছ থেকে একজন লেখকের এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া।

    পরিশেষে এই চমৎকার রিভিউর জন্য আপনাকে অসংখ্য :salute:

    জবাব দিন
    • আহমদ (৮৮-৯৪)

      প্রথমেই একটা ভুল ধরিয়ে দেই ... তুমি আমাকে ভাষা সাহিত্যিক বলে ফেলেছো। এইটা ঠিক হয়নি। আমি সাধারণ একজন পাঠক মাত্র। পার্থক্য শুধু এই যে আমার বিষয় হল ইংরেজী ভাষা ও সাহিত্য। আমি শুধুমাত্র আমার একটু অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েছি ... এইই যা...

      তোমার মন্তব্য পড়ে ভাল লাগল। আশাকরি তোমরা সবাই আরো অনেক বেশী বেশী লিখবে যাতে আমরা আরো আনেক বেশী পড়ার সুযোগ পাই। :teacup:


      চ্যারিটি বিগিনস এট হোম

      জবাব দিন
      • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

        তুমি আমাকে ভাষা সাহিত্যিক বলে ফেলেছো। এইটা ঠিক হয়নি। আমি সাধারণ একজন পাঠক মাত্র।

        তীব্র দ্বিমত পোষণ করছি।আহমেদ ভাইকে এ ব্লগের ভাষা-সাহিত্যিক হিসেবে স্বীকৃতি জানানোর জন্যে আহবান জানাচ্ছি B-)
        আহমেদ ভাই,রিভিউটা আসলেই মারদাঙ্গা হইছে-পরিষ্কার বুঝা যাইতেছে যে খুব মনোযোগ নিয়ে এইটা লিখছেন।আর রহমান ভাইয়ের কথা কি কমু,নিজের মামার কথা নিজ মুখে কইতে শরম লাগে :shy:

        জবাব দিন
        • আহমদ (৮৮-৯৪)

          মাসরুফ,
          আসলে সবাই এত ভাল লিখেছে যে এই রিভিউটা না লিখে আমি থাকতে পারছিলাম না। সারা রাত জেগে লিখেছি। বুঝতেই পারছো লেখাগুলো কতটা ভাল লেগেছিল। অন্য আরেকজন রিভিউ করলে দেখা যাবে আরো ভাল হয়েছে সেটা।


          চ্যারিটি বিগিনস এট হোম

          জবাব দিন
  3. কামরুলতপু (৯৬-০২)

    ভাইয়া একেবারে বিমোহিত হয়ে গেলাম আপনার এই লেখা পড়ে। ঐ লেখার কিছু অংশ আমি লিখেছিলাম, তবে রহমান ভাইর দেয়া ফিনিশিংটা অসাধারণ ছিল। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

    জবাব দিন
    • আহমদ (৮৮-৯৪)

      কামরুল তোমার লেখাও আমাকে বিমোহিত করেছে। ইন ফ্যাক্ট, প্রেত্যেক লেখকই এখানে সমানভাবে প্রশংসার দাবী রাখে। তবে একটা ধারাবাহিকের শেষ পর্ব রচনা করা মুখের কথা না। সেটা এখানে আসলেই যুক্তিযুক্ত ছিল।

      বিঃদ্রঃ তুমি দয়া করে তোমার লেখা অংশগুলো আরেকবার চেক করে আসো। এক জায়গায় সম্ভবতঃ তুমি স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক-কে ভিপি স্যার লিখে ফেলেছ ভুল করে। কাইন্ডলি ওই জায়গাটা ঠিক করে দাও। আমার কথায় আবার কিছু মনে করলে না তো?


      চ্যারিটি বিগিনস এট হোম

      জবাব দিন
  4. ভাইয়া একটানে পুরো সিরিজ টা পড়ে ফেললাম!তারপর আপনার রিভিউ আবার পড়লাম।একটা পারফেক্ট গল্পের পারফেক্ট রিভিউ! :clap: :clap:
    আপনার লেখা গুলো এত্ত ভাল হয় ভাইয়া :boss: :boss:

    জবাব দিন
    • আহমদ (৮৮-৯৪)

      জেরিন আপু,
      তোমার মন্তব্য এবং আগ্রহের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। কিন্তু, তুমিও বেশ বাড়িয়ে কথা বল দেখছি। আমি শুধু সেটাই লিখি যা আমার মনে আসে। এর বেশি কোন গুন আমার নেই। সেই সাথে আমি আবার প্রচুর বানান ভুল করি, বিশেষ করে বাংলায়। এটা আমার জন্য একটা চরম লজ্জার বিষয়।


      চ্যারিটি বিগিনস এট হোম

      জবাব দিন
  5. তানভীর (৯৪-০০)

    চমৎকার একটা রিভিউ আহমেদ ভাই।

    এই সিরিজের প্রত্যেকটা পর্ব আমার প্রিয়তে আছে অনেক দিন থেকেই। আমি ভয়াবহ রকম মুগ্ধ হয়েছিলাম সিরিজটা প্রথমবারের মত পড়ে (তখন একেকটা পর্বের জন্য অনেকদিন অপেক্ষা করতে হত 🙁 )

    জবাব দিন
    • আহমদ (৮৮-৯৪)

      তানভীর,
      তোমাকে একটা সত্যি কথা বলি। আমি আসলে তোমার ব্লগ-এর প্রিয় লেখার তালিকা থেকেই এই সিরিজটা পড়ার আগ্রহ পাই। খুব ভাল লাগছিল পড়ার সময়। প্রায় একটানে শেষ করেছি। সারারাত জেগে জেগে লেখাটা লিখেছি। বুঝতেই পারছো কতটা আগ্রহ ভরে রিভিউটা লিখেছি। না লিখে থাকতে পারিনি।


      চ্যারিটি বিগিনস এট হোম

      জবাব দিন
  6. মিশেল (৯৪-০০)

    অসাধারন সিরিজ এবং অসাধারন রিভিউ। আহমদ ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই সিরিজটা সামনে এনে দেয়ার জন্য। শিকড়ের এই অদ্ভুত সুন্দর ব্যাখ্যাটা আপনি না দিলে হয়ত কখনো বুঝতেই পারতাম না।

    সিরিজের শেষটা যে এত ভালো হবে সেটা আমি কল্পনাও করিনি। রহমান ভাই, আপনার লেখা কল্পনাকেও হার মানায়।

    জবাব দিন
  7. আমি কোনো কাডেট কলেজ এর স্টুডেন্ট নই বাট পুরো সিরিজ তা পরে অসাধারণ লেগেছে.বিশেষ সুত্রে এই লেখাটা পরার প্রতি আগ্রহ বোধ করি আমি এবং পরার পরে কাডেট স্টুডেন্ট দের ছাত্র জীবন সম্পর্কে কৌতুহল টা আরো বেড়ে গেছে ....

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।