বয়সটাই এখন এমন যে বন্ধু মহলে ছোট-বড় অনেকেই আছেন। জীবনের একটি পর্যায়ে এসে বন্ধু হবার জন্য বয়স কোন ফ্যাক্টর হয় না, মনের মিলটাই আসল। এরকম একজন ঘনিষ্ঠ বড় ভাই/বন্ধু আছেন যিনি পেশায় ডাক্তার। ইএনটি স্পেশালিস্ট, মোটামুটি ভালই নামকরা। খুব বেশি ব্যস্ততা না থাকলে প্রায় প্রতিদিনই তার সাথে আড্ডা মারি। সুখ-দুঃখের গল্প করি।
তো সেদিন তিনি হঠাৎ বলে উঠলেন,
-ডাক্তার হবার সবচেয়ে খারাপ দিকটি কি জানো?
-কি?
-কাউন্সিলিং করা। অর্থাৎ বড় অসুখ হলে বা কেউ মারা গেলে রোগী অথবা আত্মীয়স্বজনকে কাউন্সিলিং করে তাদের মোরাল ধরে রাখাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
-তাই?
-হুম। আমার কথাই ধরো-আমার লাইনে যার শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়ে গেছে তাকে আমি কী বলে সান্ত্বনা দেবো? তাকে কিভাবে কাউন্সিলিং করবো? প্রতিটি মানুষ আলাদা। তাদের চিন্তার ধরণ, যুক্তি গ্রহণ করা ক্ষমতা, আবেগ…সবই আলাদা। এজন্য নির্দিষ্ট কোন ফর্মুলাও নেই।
-কঠিন সমস্যা দেখি!
-তবে, বিগত কয়েক বছর ধরে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে!
-তাই নাকি? শিক্ষিতের সংখ্যা বাড়ছে, মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে- এজন্য?
-আরে নাহ! ওসব কিছু না। ক্রিকেটের জন্য…
-ক্রিকেটের জন্য?! বলেন কী!!
-হুম। একদম ঠিক বলেছি। এখন কারো শ্রবণশক্তি নষ্ট হলেই বলি- ‘শুকরিয়া করেন। মন্দের ভালো হয়েছে। কেমন হত যদি কান নষ্ট না হয়ে চোখ নষ্ট হত?! তাহলে বাকি জীবন আতহার আলী এবং শামীম আশরাফের ধারাভাষ্য শুনেই কাটাতে হত!! আর জাফর উল্লাহ শরাফতের কথা না-ই বা বললাম!’
রোগী একদম ঠাণ্ডা!
মামলা খতম!
=)) =)) =)) :boss: :boss:
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য