ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা উইন্ডিজ (ইংরেজি: West Indies cricket team) বহুজাতিক ক্রিকেট দল নিয়ে গঠিত। ১৫টি ইংরেজিভাষী ক্যারিবিয় দেশ, ব্রিটিশ উপনিবেশ এবং ব্রিটিশ উপনিবেশবিহীন দ্বীপরাষ্ট্রসমূহের ক্রিকেট দলের অংশগ্রহণ ঘটেছে এতে।
–উইকিপিডিয়া
সদস্য দেশ ও অঞ্চলগুলো হচ্ছেঃ
১। এন্টিগা এবং বারবুডা
২। বার্বাডোজ
৩। ডোমিনিকা
৪। গ্রানাডা
৫। গায়ানা
৬। জ্যামাইকা
৭। সেইন্ট লুসিয়া
৮। সেইন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রানাডাইন্স
৯। ত্রিনিদাদ এবং টোবাগো
১০। সেইন্ট কিটস এবং নেভিস
ব্রিটিশ অধ্যুষিত-
১১। অ্যাঙ্গুইলা
১২। মন্টসিরাট
১৩। ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস
ডাচ অধ্যুষিত
১৪। সিন্ট (সেইন্ট) মার্টিন
আমেরিকা অধ্যুষিত
১৫। ইউ এস ভার্জিন আইল্যান্ডস
———————————————————
উনিশ ‘শ সত্তর এবং আশির দশকে ক্রিকেটারদের অন্যতম অপ্রিয় কাজ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাওয়া কিংবা ওদের সাথে সিরিজ খেলা! অন্য দেশের খেলোয়ারদেরই বা দোষ কি? কে আর যেচে বিশাল আকৃতির বোলারদের আগুনের গোলার সামনে পড়তে চায়, বলুন? শুধু বোলাররাই ভয়ানক ছিল তা কিন্তু না, ব্যাটসম্যানরাও ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দী! একেকজন যেন এক একটি রান মেশিন!
কিন্তু সেই রামও নেই, সেই অযোধ্যাও আর নেই! আশির দশকের পর থেকে অস্ট্রেলিয়া, ইন্ডিয়া, ইংল্যান্ডের (!) ক্রিকেট অনেক এগিয়ে গেছে এমনকি পুঁচকে শ্রীলংকাও ধীরে ধীরে জায়ান্টে পরিণত হয়েছে- কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ উলটো ধীরে ধীরে পতনের দিকে এগিয়েছে। বর্তমানে অবস্থা এমনই হয়েছে যে- ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরকে সবাই এখন ‘টাইম পাস’ এর মতন হালকাভাবে নেয়! গত তিন দশকের সামগ্রিক ফলাফল দেখলেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধঃপতনের চিত্রটি পরিস্কার হবেঃ
গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান তো আরও ভয়াবহ! সারসংক্ষেপে বলা যায় – আশির দশকের ‘ত্রাস’, নব্বুইতে ‘প্রতিদ্বন্দিতাপুর্ণ’, ২০০০ পরবর্তী দশকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত ‘আনপ্রেডিকেটেবল’ এবং শেষের দিক হতে বর্তমানে প্রায় ‘মিনোস’!
এটা ঠিক যে আশি ও নব্বুইতে ক্যারিবিয়রা এমন কিছু গ্রেট খেলোয়ার হারিয়েছে যাদের শূণ্যস্থান অপূরণীয়! কিন্তু সব দেশেই তো এমন হয়, হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। সমস্যা হচ্ছে-অন্যন্য দেশ সেই শূণ্যস্থান পূরণ করতে পারলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ তা করতে পারে নি। তবে এটাই মূল বা একমাত্র কারণ নয়। আসুন দেখা যাক ক্যারিবিয়দের ক্রিকেটের অধঃপতনের কিছু কারণ খোঁজার চেষ্টা করিঃ
১। স্পৃহা বা মোটিভেশনের অভাবঃ এক সময় সারা পৃথিবীজুড়ে সাদা-কালো বর্ণ বিদ্বেষ ছিল তুঙ্গে। সেই অস্থির সময়ে শুধুমাত্র ক্রিকেটই একমাত্র খেলা/ইভেন্ট ছিল যেখানে সাদা চামড়ার মানুষেরা কালো চামড়ার মানুষের কাছে নাস্তানাবুদ হত। সুতরাং ঐ সময়ের ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলকে বর্ণ বিদ্বেষের বিরুদ্ধে জোরালো একটি ‘আঘাত’ বললেও অত্যুক্তি হবে। বলাই বাহুল্য-এই জাদু বলেই খেলোয়াররাও দারুণভাবে উজ্জীবিত থাকতেন।
কিন্তু ৯০ এর পর থেকেই সাদা-কালো ভেদাভেদ, বৈষম্য অনেকাংশেই কমে এসেছে (অন্তত কাগজে-কলমে!), ফলে রক্ত গরম করা সেই সব দিনের মতন খেলোয়াররা আর এই ইস্যুতে মোটিভেশন পান না।
২। নেতৃত্বের অভাবঃ ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের কথা চিন্তা করুন- এত গুলো স্বাধীন দেশ, এতগুলো স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল তাদের মধ্য থেকে মাত্র ১৫ জনকে নিয়ে দল গঠন করা! সেই বিভিন্ন দেশ/অঞ্চলের প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দেয়া কি চাট্টি-খানি কথা!! ফ্রাংক ওরেল, গ্যারি সোবার্স, রোহান কানহাই, ক্লাইভ লয়েড কিংবা ভিভ রিচার্ড এর মতন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন নেতা না থাকলে কি এত বিচিত্র একটি দলকে এক সুঁতোয় বাঁধা যায়? যায় না…
৩। দেশপ্রেমের অভাবঃ খেলা শুরুর আগে যখন দেশের জাতীয় সঙ্গীত বেজে ওঠে খেয়াল করে দেখবেন অনেকেই চোখ বন্ধ করে আছে বা কেঁদে দিয়েছে। মাশরাফির মতন খেলোয়াররা দেশের জন্য নিজের জীবন বিপন্ন করতেও পিছপা হন না। অর্থাৎ দেশপ্রেম যে কোন খেলোয়ার বা দেশের প্রতিনিধির জন্য অন্যতম সেরা অস্ত্র। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের জন্য এই অস্ত্রটি এখন আর মোটেও কার্যকরী নয়। কিভাবে হবে, তারা তো নির্দিষ্ট কোন দেশ নয়। ক্রিকেটের জন্য সবাই মিলে একটি দল হলেও সেই বাঁধন আজ হুমকির মুখে!
৪। অর্থের অভাবঃ আমার মনে আছে ’৯০ শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মান কমে যাওয়ার কারন হিসেবে এক কলামে পড়েছিলাম বাস্কেটবল এবং অ্যাথলেটিক্স (স্প্রিন্ট) এর কথা। পড়েছিলাম ‘শারীরিক সুবিধার কারনে ক্যারিবিয়রা সহজাত অ্যাথলেট। সাগর পাড়ি দিলেই আমেরিকার বাস্কেটবলের অর্থ, জশ, খ্যাতির হাতছানি। এছাড়া রোমাঞ্চকর ট্র্যাক এন্ড ফিল্ড তো আছেই। ফুটবলেও অর্থ-কড়ি মন্দ নয়। এদের সাথে পাল্লা দিয়ে ক্রিকেট ঠিক পেরে উঠছে না’। স্মৃতি থেকে লিখেছি- হুবহু এরকম না হবার সম্ভাবনাই বেশি। তবে মুলভাবটি এরকমই ছিল! এখন তো এসব আরও অনেক বেশি প্রযোজ্য!
৫। অভ্যন্তরীন কোন্দলঃ ক্যারিবিয় দেশ এবং আঞ্চলিক ক্রিকেট এসোসিয়েশনের মধ্যে অবিশ্বাস, কোন্দল, রেষারেষিও অন্যতম একটি কারণ। অফিসিয়াল পর্যায়ের এসব দ্বন্দ খেলোয়ারদের মধ্যেও চলে আসে- যা সহজেই খেলার পারফরমেন্স এর উপর প্রভাব ফেলে।
৬। দুর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ডঃ বোর্ডে এমন অনেকেই রয়েছেন যারা খেলোয়ার হিসেবে হয়ত ভাল ছিলেন, কিন্তু সংগঠক বা ক্রিকেট কর্মকর্তা হিসেবে তেমন কার্যকরী নন। বিগত কিছু বছরের হুজুগে সিদ্ধান্ত, খেলোয়ারদের ঠিকমতন সামাল দিতে না পারা, ক্রিকেটের উন্নয়নে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থতা… ইত্যাদি এ কথাই প্রমাণ করে যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সম্পূর্ণ ব্যর্থ একটি সংস্থা। খেলোয়ারদের কন্ট্যাক্ট নিয়ে সমস্যা হওয়া তো ওদের একটি নৈমিত্তিক ঘটনা! ক্যারিবিয় ক্রিকেটকে বাঁচাতে হলে এই বোর্ডে পরিবর্তন প্রয়োজন।
৭। টি-২০ এর প্রভাবঃ অন্যান্য অনেক দেশের মতনই টি-২০ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটেও ভয়াল থাবা বসিয়েছে। দ্রুত টাকা উপার্জন, সাময়িক জশ-খ্যাতির প্রলোভনে পড়ে ওরা জাতীয় দলের চেয়ে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলতেই বেশি আগ্রহী। হবেই না বা কেন- জাতীয় দলের খেলে তো আর এত বেশি পয়সা ওরা পায় না! কিন্তু এর ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা যে হুমকি মুখে পড়ছে- তার দিকে নজর দেবার কেউ নেই!
৮। অবকাঠামোজনিত সমস্যাঃ এ কথা সত্য যে টাকা দিয়ে ট্যালেন্ট তৈরি করা যায় না। অর্থাৎ আপনার কাছে যত টাকাই থাকুক না কেন- আপনি কাউকে জোর করে ফাস্ট বোলার বা উইকেট কীপার বানাতে পারবেন না! আবার এ কথাও সত্য যে শুধু ট্যালেন্ট থাকলেই হয় না- তাকে ঘষে-মেজে তৈরি করার জন্য অবকাঠামো এবং নানাবিধ সুযোগ-সুবিধাও প্রয়োজন। বোলারদের জন্য উইকেট, জিম, ট্রেনিং বা ব্যাটসম্যানদের জন্য বোলিং মেশিন, নেট। এছাড়াও বিভিন্ন একাডেমি, ক্যাম্প, মেডিকেল, পুষ্টি… ইত্যাদি কারণে ন্যূনতম বিনিয়োগ করা তো প্রয়োজন! বর্তমানে এগুলোও ঠিকমতন হচ্ছে না! মাঠ এবং পিচ এর ঠিকমতন যত্ন না নেবার ফলে ধীরে ধীরে প্রায় সবগুলোই হয়ে গেছে মন্থর গতির এবং স্পিন সহায়ক। ফলে খুব সহজেই অন্য দেশ সফরে এসে ওদেরকে হারিয়ে দিচ্ছে। ক্যারিবিয় দেশে স্পিন সহায়ক পিচ!! চিন্তা করা যায়?? অবশ্য বর্তমান ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের ফাস্ট বোলাদের অবস্থাও তেমন সুবিধে নয়!
অন্যান্যঃ
ক) একটি সময় পর্যন্ত ক্যারিবিয়দের ইংল্যান্ডে খেলোয়ার কোটায় ভিসা পাওয়া খুব সহজ ছিল। র’ ট্যালেন্টেড যে কোন ফাস্ট বোলার একটু চেষ্টা করলেই কাউন্টির প্রথম বা দ্বিতীয় সারির কোন দলের হয়ে খেলতে পারত। কিন্তু বিগত কয়েক বছর যাবত ভিসা পাবার ব্যাপারে অনেক কড়াকড়ি করা হয়েছে। ফলে ক্যারিবিয় ক্রিকেটারের কর্মসংস্থানের একটি বড় জায়গা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে অনেকের ক্রিকেট ক্যারিয়ার!
খ) একের পর এক বাজে ফলাফল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাজে ফল করছে বলে নতুনরা খেলার প্রতি উৎসাহ হারাচ্ছে, প্রতিভাবান নতুনরা কম আসছে বলে জাতীয় দল শক্তিশালী হচ্ছে না- ফলে দলের ফারফর্মেন্স ভাল হচ্ছে না। অর্থাৎ একটি দুষ্ট চক্র! এই দুষ্ট চক্রও একটি অন্যতম কারন!
গ) দুর্বল জাতীয় পর্যায়ের ক্রিকেট একটি কারণ। লীগগুলোতে যে মানের খেলা হয় তা আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেটার তুলে আনার জন্য যথেষ্ট নয়। অবশ্য টি-২০ লীগ মোটামুটি প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ হয়! কিন্তু তাতে তো আর ক্রিকেটের উন্নয়ন হবে না। কেননা টি-২০ নামেই ক্রিকেট, আসলে এটি সস্তা বিনোদন ছাড়া আর কিছুই নয়!
উত্তরণের উপায়ঃ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের উত্তরণের পথ আসলে সবারই জানা- অর্থাৎ উপরের সমস্যাগুলোর সমাধান করলেই তা সম্ভব। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে তা বাস্তবায়ন করবে কে? এ প্রসঙ্গে ডেইলি টেলিগ্রাফের কলামিস্ট স্কীল্ড বেরি গত ফেব্রুয়ারীর এক কলামে লিখেছিলেন যে- এ ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি অগ্রনী ভূমিকা রাখতে হবে আই সি সি’কেই। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই প্রতিষ্ঠানের হস্তক্ষেপ ছাড়া তিনি কোন আশা দেখতে পান নি। তার আরেকটি পরামর্শ হচ্ছে আই সি সি থেকে উন্নয়নখাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যে অর্থ বরাদ্দ পায় তা ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ডকে না দিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র সমূহ এবং স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল সমূহের প্রধানকে দেয়া হোক। এতে করে স্বচ্ছতা বাড়বে এবং সেই অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহৃত হবার সম্ভাবনাও বেশি থাকবে।
উপসংহারঃ একটি খেলা এতগুলো আলাদা দেশ/অঞ্চলকে এক করেছে- এমন নজির ক্রিকেট ছাড়া আর কারও ছিল না। ভ্রাতৃত্ব, বন্ধন এবং মিলনমেলার এক অনন্য নিদর্শন ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আমরা আশা করব ওয়েস্ট ইন্ডিজ আবার তাদের হারানো গৌরব ফিরে পাবে। ২২ গজের উপরে ক্যারিবিয় বিশালাকৃতির ফাস্ট বোলার দাপিয়ে বোলিং করছে, উইকেট ভেঙ্গে ফেলছে কিংবা কোন ক্যারিবিয় এক পা তুলে স্কোয়ার লেগ দিয়ে পুল করে বাউন্ডারি হাঁকাচ্ছে অথবা হালকা গড়নের ব্যাটসম্যান কিছুটা লাফিয়ে উঠে শর্ট পিচ বলকে কাট করে থার্ড ম্যান বা পয়েন্টের উপর দিয়ে ছয় মারছে- এরকম সুন্দর দৃশ্য ক্রিকেটে খুব কমই আছে! ট্যালেন্টের কোন অভাব ক্যারিবিয় অঞ্চলে নেই, দরকার শুধু সুষ্ঠু পরিকল্পনা এবং পরিচর্যা!
বিঃ দ্রঃ সোনালী ঐতিহ্য বাদ দিলে বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের মাঝে আমি অনেক মিল পাই। দুই দেশেরই কিছু ক্রিকেটার এবং কর্মকর্তা ছাড়া বাকিরা সবাই ব্যক্তিগত লাভ-লোকসান নিয়ে ব্যস্ত। ক্রিকেটের উন্নয়নে কারও কোন চিন্তা নেই। অবকাঠামো, জাতীয় লীগ, দীর্ঘ-মেয়াদী পরিকল্পনা – এসব নিয়ে ঠিক মত কাজ করতে পারলে দুই দেশই খুব দ্রুত প্রথম সারির দলে পরিণত হবে। কেননা, ওদের মতন আমাদেরও ট্যালেন্টের কোন অভাব নেই! এ কারনেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিয়ে লেখার চেষ্টা করলাম!
ব্যক্তিগত মতামত জানিয়ে লিখেছি। ভুল-ত্রুটি থাকাটাই স্বাভাবিক। সকল প্রকার সমালোচনা সাদরে গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত রইলাম!
ধন্যবাদ!
ব্যক্তিগত অনুসন্ধিৎসা নিয়ে লেখা তথ্যবহুল আলোচনা, বেশ ভালো লাগলো।
ধৈর্য্য ধরে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, খায়রুল ভাই! 😀
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
ওদের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ আসলেই ধূসর...
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
ঠিক বলেছেন পারভেজ ভাই। কোন আশাই দেখি না... 🙁
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
টাইটেল ওয়েষ্টার্ণ ক্লাসিকের মতো হয়েছে 😛
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
তোমার লেখার স্টাইল দেখে বহু বছর আগের বাংলা রচনাগুলোর কথা মনে গেল। 😀
ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর জন্যে আসলে খারাপই লাগে।
ভাষা সৌরভ বই এর কথা মনে পরে গেল ভাই 🙂
পোস্ট টা অসাধারণ ছিল। এই চিন্তা গুলো প্রায় ই মাথায় আসে.. পোলার্ড, নারায়ণ সহ আরো অনেকেই দেখি এখন ফ্রিল্যান্স ক্রিকেটার হয়ে গেছে 🙁
দারুন লেখা জুনাদা। আপনার উল্লেখ করা কারনগুলোর সাথে সম্পূর্ণ একমত, তবে এতগুলো কারন দরকার নেই, শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বর্তমান বোর্ড আর প্লেয়ারদের মধ্যে যে পাগলামি আর কামড়াকামড়ি চলছে সেটা চালু থাকলে ওদের ভবিষ্যত শুধু ধূসর হলে ওরা বেশ ভাগ্যবানই হবে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্বর্ণযুগ নিয়ে করা ডকু 'Fire In Babylon' দেখছেন? না দেখলে ট্রাই করতে পারেন, অসাধারন।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ভাল লেখছ জুনা
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
ওয়েষ্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটে আমার প্রিয় দল।
অবশ্যই বাঙলাদেশের পরে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ