মাস্টার প্ল্যান! (শেষ পর্ব)

আগের অংশ

৫।

-‘শামীম, তোমার ছেলের যে বয়স তাতে করে গিফট বা এই জাতীয় কিছু দিয়ে তুমি মন জয় করতে পারবে না।‘ ডিপার্টমেন্ট এর ক্যাফেটারিয়াতে বসে কফি খেতে খেতে বললেন ডঃ আনিসুজ্জামান। শামীম হাসানের চেয়ে সিনিয়র হলেও তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান।
-তাহলে আপনিই বলুন, আমার কি করা উচিৎ…
-প্রতিটি ছেলের কাছেই তার বাবা হচ্ছে তার প্রথম হিরো। তুমিও তোমার ছেলের কাছে তাই। কিন্তু তোমাদের মধ্যে যোগাযোগ কম হচ্ছিল বলে ব্যাপারটা একটু ফিকে হয়ে গিয়েছে। তোমার কাজ হচ্ছে সেটা ওকে মনে করিয়ে দেওয়া।
-কিভাবে?
-হাউ দ্যা হেল শুড আই নো? তোমার বড় কাজগুলো ওর সাথে শেয়ার করতে পার, অথবা ওর কোন কাজে হেল্প করতে পার…
-ও প্রোগ্রামিং করতে খুব ভালবাসে…
-তাহলে তো হয়েই গেল! ওর জন্য বড় কোন সুযোগ তৈরি করে দাও…তোমার তো অনেক উঁচু লেভেলের মানুষদের সাথে ওঠা-বসা রয়েছে…জাস্ট মেক হিম ফিল ইউ ক্যান ডু এনিথিং ফর হিম…তবে সাবধান! এমন কিছু কর না, যাতে ওর ইগোতে লাগে! খুব প্ল্যান করে তোমাকে এগোতে হবে…
-সো ফার্স্ট, আই নিড আ মাস্টার প্ল্যান…আই থিং আই ক্যান ডু দ্যাট!

সেদিন সন্ধ্যেবেলা।

-আচ্ছা তুই যে প্রোগামিং করিস, তা কোন জিনিস তোর সবচেয়ে বেশি ভাল লাগে??
ড্যাড যে ওকে তুই করে বলা শুরু করেছে ব্যাপারটা শুনেও না শোনার ভান করল শিমুল। ‘তুমি’র চেয়ে ‘তুই’ শুনতেই দেখি বেশি ভাল লাগছে। ড্যাডকে আগের চেয়েও বেশি আপন মনে হচ্ছে!!
-আসলে ঠিক প্রোগ্রামিং না, আমার ভাল লাগে নেটওয়ার্কিং নিয়ে কাজ করতে-বিশেষ করে নেটওয়ার্কের সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করতে।
-আরো সহজ করে বল্‌…
-হ্যাকিং শুনেছ না?
-হ্যাকিং! কি বলিস রে তুই? সে তো বিশাল বড় ক্রাইম…
-রিল্যাক্স! হ্যাকিং মানেই অপরাধ না! হ্যাকারের কাজ হচ্ছে কোন নেটওয়ার্কের বা সিস্টেমের সিকিউরিটির খুঁত বের করা। যারা খারাপ, তারা এটা ব্যবহার করে ক্ষতি করে। আর যারা ভাল, তারা চেষ্টা করে খুঁতটিকে সারিয়ে দিতে।
-অর্থাৎ তুই ভাল হ্যাকার হতে চাস?
-এক্সাক্টলি! আমি আমার স্কুলের পুরো নেটওয়ার্ক মেইনটেইন করি।
-ওয়াও! তবে খবরদার, হলিউডের মুভির মতন এফ বি আই বা সি আই এ’র নেটওয়ার্কে ঢোকার চেষ্টা করিস না যেন!
-অফ কোর্স নট। কাউকে না জানিয়ে আমি ওসব করি না। প্রথমে আমি মেইল করে ওদেরকে জানাই কি করতে চাই। এরপর ওরা রাজি হয়ে রিপ্লাই দিলে আমি প্রোসিড করি, তা না হলে না…
-এ পর্যন্ত কয়টা কাজ করেছিস?
-দুই তিনটা। আমাদের দেশে খুব কম কোম্পানীর নেটওয়ার্কই সিকিউর্ড। আর বাকিদের প্রয়োজনই পড়ে না। সাধারনত ব্যাঙ্কগুলোই শুধুমাত্র এসবের পেছনে পয়সা খরচ করে। বললে বিশ্বাস করবে না, আমাদের মোবাইল কোম্পানীর সিকিউরিটিও তেমন বলার মতন কিছু নয়। আমি যদি চাই, এখুনি তোমার সেল ফোনে চার ডিজিটের যে কোন পরিমান টাকা ফ্লেক্সি করে দিতে পারি…!!
-ওরে বাবা! কোন দরকার নেই! তার মানে ব্যাংক ছাড়া…
-ওহ্‌ ভুলেই গিয়েছিলাম, আরো আছে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নেটওয়ার্ক। ওদেরটাও অনেক ভাল হয়।
-তুই ব্যাটা কথা দে, জীবনে কোনদিন খারাপ কাজে তোর বিদ্যা-বুদ্ধি ব্যয় করবি না।
-ডোন্ট ওরি ড্যাড! আই প্রমিজ। আমি কখনো কোন কাজ না ভেবে করি না।
-আই জাস্ট হোপ সো…

৬।

পরের তিনটা দিন শামীমের অত্যন্ত ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে গেল। ক্লাস, লেখা, ছেলের সাথে সময় কাটানো। সবচেয়ে বড় কথা তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন, ছেলের জন্য কি করতে চান। তার ছোটবেলার বন্ধু এখন সেনাবাহিনীর একজন ব্রিগেডিয়ার। সেই বন্ধুটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি গোয়েন্দা সংস্থার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। তাকে বলে শিমুলকে দিয়ে ওদের নেটওয়ার্ক চেক করানোর ব্যবস্থা করে ফেলেছেন। আজ কিছুক্ষণ আগে লোক মারফত সেই ব্রিগেডিয়ার বন্ধু সিল-ছাপ্পড় মারা অফিশিয়াল অর্ডার পাঠিয়ে দিয়েছে। যেখানে লেখা আছে- শিমুল কে, ও কি করবে ইত্যাদি।

আরেকটা কাজ বাকি আছে। জেলের ব্যাপারে স্টাডি করার জন্য পুলিশ আই জি’র হেল্প নিতে হবে। সুবিধা হচ্ছে, তিনি আবার শামীমের লেখার খুব ভক্ত। প্রতিবার বই প্রকাশিত হবার পর পরই সেটা কিনে আই জি সাহেব সপরিবারে বাসায় এসে ওর কাছ থেকে অটোগ্রাফ নিয়ে যান। খুব সহজেই আই জি সাহেবকে ফোনে পাওয়া গেল। অল্প কথায় শামীম কি চাচ্ছেন তা আই জি’ কে জানালেন। আই জি সাহেবও খুব উচ্ছ্বসিতভাবে সকল প্রকার সাহায্য-সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন। ভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট এর প্রধানের সাথে মিনিট দশেকের একটি ছোট্ট মিটিং করে সব গুছিয়ে শামীম বাড়ির দিকে রওনা হলেন।

গাড়িতে উঠেই ব্রিগেডিয়ার বন্ধুকে ফোন দিলেন,
-বন্ধু, সালাম! তোমার কাগজ কিছুক্ষণ আগে হাতে পেলাম।
-গুড! আরো আগেই দিতে পারতাম, তবে তোমার ছেলের সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স এর জন্য একটু দেরি হয়ে গেল।
-শিমুলের সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স?
-অবশ্যই! তুমি কি ভেবেছ, শুধু বন্ধুত্বের খাতিরে আমি আমার সংস্থার এত বড় কাজ তোমার ছেলেকে দিয়ে করাবো? অফ কোর্স নট। আমার নিজের ছেলে হলেও তার সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স নিয়ে নিতাম। তবে ওর মেধা না থাকলে কোনভাবেই এটা সম্ভব হত না। যাদের কাছেই ওর সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে, সবাই ভূয়সী প্রশংসা করেছে।
-বুঝতে পেরেছি! ভাল কথা, শিমুল বলেছে প্রথম ধাপে ও চেষ্টা করবে বাইরে থেকে হ্যাক করে তোমাদের নেটওয়ার্কে ঢোকার। সাকসেসফুলি তা যদি করতে পারে সেক্ষেত্রে ও তখন তোমাদের সাথে বসে খুঁতগুলো সারাবার ব্যবস্থা করবে।
-অলরাইট!
-আরেকটা ব্যাপার! আই নিড আ লিটল ফেভার মোর…
-গো এহেড…

৭।

বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে দ্রুত শামীম নাস্তা সেরে নিলেন। এরপর ‘সেই’ কাগজ নিয়ে চলে গেলেন সোজা ছেলের রুমে।
-দেখ তোর জন্য কি এনেছি!
খাম থেকে কাগজটা বের করে পড়তে পড়তে শিমুলের চোখ বড় বড় হয়ে গেল। চিৎকার করে সে ড্যাডকে জড়িয়ে ধরল।
-থ্যাংক ইউ ড্যাড, থ্যাংক ইউ সো মাচ!
ওদের হৈ চৈ শুনে ইশরাতও চলে এলেন।
-কি হচ্ছে এখানে?
-মাম্‌, ড্যাড জাস্ট গেভ মি দ্যা বিগেস্ট সারপ্রাইজ অফ মাই লাইফ!!
-কি এমন সারপ্রাইজ দিল?
-এই যে কাগজ দেখছো? এখানে লেখা আছে আমি ‘অমুক’ গোয়েন্দা সংস্থার নেটওয়ার্ক চেক করে দেব। বুঝলে কিছু??
-‘ও, এই ব্যাপার! আমি ভাবলাম-কি না কি! যাহোক, তোদের এই সব পাগলামীর মধ্যে আমি নেই’- বলে রুম থেকে বের হয়ে গেলেন। তবে, বের হবার আগে স্বামীকে ‘ভালোই তো দেখালে’ টাইপ চাহনি দিয়ে যেতে ভুললেন না!
-এবার বল, তুই হ্যাকিং করবি কিভাবে?
-বললে তো মনে হয় বুঝবে না, সহজ ভাষায় বলি-প্রথমে খুব নিরীহ একটি প্রোগ্রাম আমি ঐ নেটওয়ার্কে পাঠিয়ে দেব। ¬ওদের ফায়ারওয়াল প্রোগ্রামটিকে বাঁধা দেবে, তবে বেশি গুরুত্ব দিয়ে নয়। ইতোমধ্যেই সে নেটওয়ার্ক এর দুর্বল জায়গাটা বের করে ফেলবে এবং একটা ‘ব্যাকডোর’ তৈরি করে ফেলবে। আমি সেই ব্যাকডোর দিয়ে খুব সহজেই ভেতরে ঢুকে পড়ব। অবশ্য, শুনতে যত সহজ মনে হচ্ছে আসলে ব্যাপারটা বেশ জটিল। নেটওয়ার্ক, ফায়ারওয়াল, কি ধরনের দুর্বলতা আছে- ইত্যাদি নানা কিছুর উপর নির্ভর করে কি ধরনের প্রোগ্রাম দিয়ে ব্যাকডোর তৈরি করতে হবে।
-বুঝলাম! অনেক জটিল ব্যাপার…তুই তাহলে কাজ শুরু করে দে…
-ওকে ড্যাড! বলে শিমুল কাজ শুরু করে দিল।

ঠিক দু’ ঘন্টা পর ন্যাশনাল সিকিউরিটির একটি দল ওদের বাসায় উপস্থিত হল।

৮।

-হোয়াট্‌স ইওর প্রবলেম? আই এম নট ডুয়িং এনিথিং ইল-লিগ্যাল! শিমুলের চিৎকার করে বলা কথাটা একেবারেই পাত্তা না দিয়ে এস এস এফ এর কমান্ডিং অফিসার মেজর সাহেব শামীম হাসানের দিকে তাকিয়ে বললেন,
-স্যার, আপনার ছেলেকে শান্ত করুন।
-ওকে মেজর, আপনি আমার সাথে কথা বলুন।
-গত কয়েক ঘণ্টার ভেতরে আমাদের একটি গোয়েন্দা সংস্থার নেটওয়ার্কে একজন হ্যাক করার চেষ্টা করেছে। আমরা তার আইপি ট্র্যাক করে এই বাসার লোকেশন পেয়েছি। বোঝাই যাচ্ছে অ্যামেচারের কাজ…

শিমুল আর নিজেকে ধরে রাখত পারল না। দৌড়ে গিয়ে মেজরকে হাল্কা ধাক্কা দিল, মেজর সাহেব সেলফ ডিফেন্স এর জন্য রিফ্লেক্স অনুয়ায়ী ওকে সরিয়ে দিতে গিয়ে ওজন অনুমানে গড়মিল করে ফেলল। ফলে শিমুল প্রায় উড়ে ওর খাটে গিয়ে পড়ল। এই দেখে শামীম হাসান যা করলেন তার জন্য কেউই প্রস্তত ছিলেন না, হঠাৎ ধাই করে মেজরের মুখ বরাবর ঘুষি ছুঁড়ে দিলেন! মেজর ঝট করে মুখ সরিয়ে নেবার কারনে দুজনেই ভারসাম্য হারিয়ে মেঝেয় পড়ে গেলেন। সাথে সাথে দু’জন সোলজার এসে শামীমের হাত চেপে দাঁড় করিয়ে দিলো।

প্রথমে জমে গেলেও শিমুল নিজেকে দ্রুত সামলে নিল। বোঝা গেল ও কোন ব্যাথা পায় নি। সিল মারা কাগজটি মেজরের দিকে দিয়ে বলল,
-আপনার কথায় ভুল আছে। হ্যাক করার চেষ্টা নয়, আমি অলরেডি ঢুকে পড়েছি। আর আমি যদি চাইতাম, তাহলে আপনারা কেন- বাংলাদেশের কেউই আমাকে ট্র্যাক করতে পারত না। কিন্তু আমি তা চাই নি- কেননা আমি যা করছি তা আপনাদের সম্মতি নিয়েই করছি।
কাগজের লেখা পড়ে মেজরের মুখ গম্ভীর হয়ে গেল। তবে কন্ঠস্বর ভাবলেশহীন রেখে বললেন,
-আমাকে কাগজটা ক্রস চেক করতে হবে।

পরের কয়েক মিনিট দ্রুত কয়েকজনের সাথে সেল ফোনে কথা সেরে তিনি জানালেন,
-কোন বিশেষ কারনে এই কাগজের কথা বেশি লোকে জানে না, তবে আমাদের ডি জি স্যার ব্যাপারটা এনশিওর করেছেন।
-থ্যাংক গড! শিমুল স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল।
-ডোন্ট জাস্ট থ্যাংক হিম ইয়েট! ডঃ শামীম হাসান, আমাদের কাজে বাঁধা দেবার জন্য এবং কর্তব্যরত কর্মকর্তার গায়ে হাত তোলার অপরাধে আপনাকে গ্রেফতার করা হল!!

হতভম্ব হয়ে যাওয়া শিমুল এবং ইশরাত কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওরা শামীমকে জীপে করে নিয়ে চলে গেল।

৯।

ঢাকার এক বিখ্যাত জেলখানা।

-ছেলে কোথায়?
-সামনের ওয়েটিং রুমে।
-কি অবস্থা ওর?
-খুব শক খেয়েছিল, তবে এখন ঠিক আছে।
-আর তুমি?
-আমি?? গতকাল আই জি ভাই এর সাথে কথা হয়েছে। তারপর তোমার ব্রিগেডিয়ার দোস্তের সাথেও কথা হয়েছে, সো আই নো এভরিথিং এবাউট ইউর লিটল স্ক্যাম! ওরা তোমার বিরুদ্ধে কোন চার্জ ফাইল করে নি! আর তোমার ১৫ দিন এখানে থাকার আবেদন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ‘সুপারিশে’ মঞ্জুর হয়েছে, বেটা বদমাশ!
-আরে কর কি? স্বামীকে কেউ এভাবে গালি দেয়…ছি ছি ঘোর কলিকাল!
-আর হ্যাঁ, তোমার ডিপার্টমেন্ট এর হেড ফোন করে জানিয়েছে যে তোমার এক মাসের ছুটির নোটিশ হয়ে গেছে…এসব আমাকে আগে থেকে জানালে না কেন?
-তাহলে এই ফান মিস করতাম যে…
দুজনেই সশব্দে হেসে উঠলেন। ‘হয়েছে এবার ছেলেকে ডাকো’।

-হাই ড্যাড!
-হ্যালো বেটা।
-মাম্‌ ক্যান আই হ্যাভ আ মিনিট উইথ ড্যাড, প্লিজ!
-ওকে টেক ইউর টাইম। আমি খাবার রেডি করে নিয়ে আসি।
-ড্যাড, আই এম সো সো স্যরি…
-প্লিজ বেটা, এভাবে বলিস না…চিন্তা করে দেখ, কোন ক্রিমিনাল চার্জ ছাড়াই এখন আমি ১৫ দিন এখানে কাটাতে পারব…এ কয়দিনে আমি আমার উপন্যাসের রিসার্চ করা হয়ে যাবে! সত্যি কথা বলতে কি, শুধু রিসার্চ এর কথা বললে হয়ত এভাবে আমাকে থাকতে দিত না। সো, থ্যাংস টু ইউ…ভাল কথা, তোর কাজ কেমন হল?
-খুব ভাল। ব্রিগেডিয়ার আংকেল খুব খুব খুশি হয়েছেন। আমাকে নাকি কি সব পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। তোমার জন্যই এত কিছু পসিবল হল। আই লাভ ইউ সো মাচ ড্যাড!
-আই লাভ ইউ টু বেটা!

১,২৩৫ বার দেখা হয়েছে

১৫ টি মন্তব্য : “মাস্টার প্ল্যান! (শেষ পর্ব)”

  1. মামুনুর রশীদ খান(২০০১—২০০৭)

    একটু সমালোচক ভাব নিই।আগেই দুইটা ফ্রন্টরোল :frontroll: :frontroll: দিয়ে নিলুম।
    পড়তে ভাল লেগেছে,গল্পের ম্যাটেরিয়ালের জন্য নয়;গল্পকারের বলার ঢঙের জন্য। এককথায় স্মার্ট! আরো চাই। :thumbup: :thumbup:


    ক্যাডেট রশীদ ২৪তম,প ক ক

    জবাব দিন
  2. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    http://dev-bd.bdnews24.com/details.php?id=111844&cid=8

    পাঁচ বছর আগেকার এই খবরের কথা মনে পড়ে গেল। পুলিশের এস,আই এর ছেলে শাহী মির্জা RAB এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট হ্যাক করে দেখিয়ে দিয়েছিল কত দুর্বল ফ্রেমওয়ার্ক নিয়ে চলে এদেশের আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওয়েবসাইট গুলো। দোষ প্রমাণিত হলে ১০ বছরের কারাদন্ড ও এক কোটি টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড হতে পারে প্রচলিত আইনে। কেউ কি জানেন শেষ পর্যন্ত কি হয়েছিল এই ছেলের?

    ফ্র্যাঙ্ক এবাগনেল ধরা পড়বার পর জেল খাটার পরিবর্তে এফ,বি,আই এর ফ্রড ও অর্গানাইজড ক্রাইম ডিপার্টমেন্টের হয়ে কাজ করবার সুযোগ পায়। বাংলাদেশ কি শাহী মির্জাকে সেই সুযোগ দিয়েছিলো? জানতে মন চায়! :dreamy: (সম্পাদিত)


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন
  3. আন্দালিব (৯৬-০২)

    হ্যাপি এন্ডিং। তবে একটু বেচাল হলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো, সেদিক থেকে চিন্তা করলে শামীমের প্ল্যান বেশ কাঁচা।
    কবীর ভাই, ভাল লিখেছেন। গড়গড় করে পড়ে ফেললাম। :boss:

    জবাব দিন
  4. রাব্বী (৯২-৯৮)

    গল্পটা আজকে পড়লাম। ভাল লাগছে। ঘটনাও আগাইছে ভাল। তবে একটু বেশি সংলাপ নির্ভর হয়ে গেছে। আর পোলাডারে চাইপাচুইপা মুখ দিয়া আরেকটু বাংলা বের করতে পারলে পড়ে বেশি আরাম পাইতাম।

    জুনা ভাল থাইকো 🙂


    আমার বন্ধুয়া বিহনে

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মামুনুর রশীদ খান(২০০১—২০০৭)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।