১।
পাকিস্তান এয়ারলাইন্সকে আমি দূর থেকে অনেক শ্রদ্ধা করি। গোটা পাকিস্তানে একমাত্র এই সংস্থাটি আছে যারা স্বীকার করে যে তারা পি আই এ (PIA)। ফৌজ সহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও বহুল ব্যবহৃত এই শব্দ সংক্ষেপের পূর্ণরুপ নিশ্চয়ই আপনাদের জানা আছে। যারা জানেন না তাদের জ্ঞাতার্থে জানাই, পি আই এ= পেইন ইন এ*!
শুধু এয়ারলাইন্সই নয়, গোটা পাকিস্তান দেশটিই আসলে পৃথিবীর জন্য পি আই এ। এরা নিজেরা শান্তিতে থাকতে পারে না, অন্যদেরও শান্তিতে থাকতে দেয় না। এমন একটি দেশে শুধুমাত্র ব্যক্তিস্বার্থে জোর করে সফর করা আমাদের দেশের রাজনীতিবিদেরই মানায়।
২।
সেদিন এক অনলাইন পত্রিকায় পড়লাম “পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট বিসিবি সভাপতি”। ৯ সদস্যের পর্যবেক্ষক দলটি পাকিস্তান ঘুরে এসে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। যতদূর জানি দলটিতে ছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম-সচিব, একজন সিনিয়র সহকারী সচিব, পুলিশের পক্ষ থেকে মিরপুর থানার ডিসি ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চারজন কর্মকর্তা। বিসিবি সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল,ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন,পরিচালক জিএস হাসান তামিম ও বিসিবি নিরাপত্তা কমিটির প্রধান ইমতিয়াজ আহমেদ সামশুল হুদা।
এবার আমার প্রশ্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাচাই করার ক্ষমতা/দক্ষতা এদের কার কার আছে???
৩।
বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন “এই সফরের অনুমতি দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে বোঝানোর দায়িত্ব আমার। সেই সঙ্গে আইসিসিকেও অনুমতি দেয়ার অনুরোধ করছি”।
অথচ দুঃখজনক হলেও সত্য যে কোন সফরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয় শুধুমাত্র দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের মাধ্যমে, আইসিসি’র মাধ্যমে নয়।
নিচের ইমেইলে চোখ বুলিয়ে দেখতে পারেন। (যদিও বেড রুম থেকে লেখা ছিল, তবুও মেইল দাতার নাম ঠিকানা উহ্য রাখা হল)
সুতরাং শেষ পর্যন্ত যদি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর হয়ই, এটা হবে শুধুমাত্র বিসিবির অতি উৎসাহের কারনে-আইসিসির কোন হস্তক্ষেপে নয়।
৪।
২০০৯ এর মার্চ এর মতন কোন ঘটনা আমরা দেখতে চাই না। পাকিস্তানের সাথে ক্রিকেট খেলতে আমাদের কোন আপত্তি নেই, কিন্তু তা হতে হবে নিরপেক্ষ কোন ভেন্যু তে।
সফরের ব্যাপারে অতি উৎসাহী ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে জানাতে চাই-দয়া করে এই সফর বন্ধ করুন।
মুস্তাফা কামাল একটা মাল।
খবরে দেখলাম নাতি পছন্দ করেনা জন্য আশরাফুল চান্স পায় না। ইসসিরে, নাতনী হইলেও হইতো, কিবা বয়স হইছে আশরাফুলের 😀
শেয়ার মার্কেটে ধান্দাবাজি কইরা টাকা কামাইছে, ডেসটিনির মত ধান্দাবাজ পায় স্পন্সর, এশিয়া কাপে শুনলাম আরেক এমএলএম কোম্পানী আসছে, এর পরে নিরাপত্তা বিশেজ্ঞগ সাইজা টিমরে পাকিস্থান পাঠায় আইসিসির প্রেসিডেন্ট হবার জন্য। লোভের তো সীমা থাকা উচিৎ। মাম্মা জটিল জিনিস একটা।
তবে এই ব্যাটারে পাকিস্থানে এক্সপোর্ট করা উচিৎ বাক্সে কইরা, কাজে-কামে এক্কেরে পাকি দোসর মনে হয়। পাকিদের মত স্পট ফিক্সিং আর বেটিংটাও জাকাইয়া বসতেছে।
আর টিম পারফরমেন্স তো জিম্বাবুয়ে বুঝাই দিছে। দেশ লাস্ট কবে টেস্ট খেললো আর নেক্সট কবে খেলবে কইতে পারে? ইলেকশন কবে হইবো এটা কইতে পারে ঠিক্টাক, আর পারে মানুষরে জ্ঞান দিতে।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
এই লোকের বিপিএল এও ধান্দা আছে...সে তো ওয়ালটনের কাছ থেকে সিলেট টিমের শেয়ার কিনে নিয়েছিল (সম্ভবত ১৫%)...
আমার ধারনা সে আইসিসির সাথে সংশ্লিষ্ট থেকে বাঁচতে চায়...ধরেই নিয়েছে আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় আসবে না...পিঠ বাঁচানোর জন্য এর চেয়ে ভাল পন্থা আর কি হতে পারে??
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আইসিসি এই সিরিজকে 'Unsafe' মনে করছে এবং তাদের যাতে পাকিস্তানে আম্পায়ার বা ম্যাচ রেফারি পাঠানো না লাগে সেজন্য এধরনের unsafe সিরিজের জন্য তারা নতুন আইনও তৈরী করে ফেলেছে যেখানে বলা হয়েছে এ সিরিজে নিরপেক্ষ আম্পায়ার না হলেও চলবে। তারপরেও আমাদের গোটাস কামালের চোখ খুলবে না।
গোটাস কামাল পাকিস্তানিদের পা চেটে আইসিসি সভাপতি হতে চাচ্ছে, এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বহু আগেই। বাংলাদেশ থেকে আইসিসি সভাপতি হিসেবে মনোনিত হবার আগেই পিসিবি ব্যক্তি লোটাস কামালের পক্ষে তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।
আর জাতীয় দল নিয়ে তার পুতুল খেলা, বিপিএল এর প্রহসন এসব তো তার কাছে ডাল ভাত... কিন্তু সমস্যা হলো এসব কিছুই পার্টি ফান্ডে তার অবদানের কাছে তুচ্ছ।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
মন্ডায় কয় ধইরা... :chup:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আম মানুষ হিসাবে আমাদের কি কিছু করার আছে? মেইল ইত্যাদির মাধ্যমে?
গোট+এ্যাস কামাল হে!
আমার বন্ধুয়া বিহনে
কাবির ভাই, আমিও আপনার সাথে কড়াভাবে একমত পোষণ করি। কিছু মানুষের একান্ত নিজস্ব স্বার্থ উদ্ধারের বলি হতেপারেনা আমদের স্বপ্ন।
তানভীর আহমেদ
খেয়াল আছে কিনা যেইবার শ্রীলঙ্কা কাপ নিল সেইবার অস্ট্রেলিয়া আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ শ্রীলঙ্কায় খেলতে গেলো না নিরাপত্তার কারণে। আমরা তখন তাদেরকে সমালোচনা করছি ক্রিকেটিয় মানসিকতার পরিচয় না দেবার জন্য। যদিও এটা সত্যি যে টুইন টাওয়ার এর ঘটনার পর দুনিয়া চেঞ্জ হয়ে গেছে।
কামাল মিয়া অতিশয় দুষ্ট। পাকিস্তান যদি যেতেই হয় তবে কামাল ভাই কে খেলোয়াড়দের সাথে এক হোটেলে থাকতে হবে, এক রেস্টুরেন্টে খেতে হবে, এক বাসে যাতায়াত করতে হবে। তারপর দেখতে হবে কামাল মিয়া কি কয়?
আর প্রটোকল; অইটার গুষ্টি কিলাই। এরা মাটিতে বইসা শাহরুখ খানের নাচ দেখতে পারলে খেলোয়াড়দের সাথে থাকতে দোষ কি? এরা তো আরো বড় স্টার।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ