[নোট: দীর্ঘ লেখা। লেখার পেছনে প্রেরণা – মাহমুদ ভাই, আর মুহাম্মদ। অনেক ধন্যবাদ তাদের দু’জনকেই!]
বনানী মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় আমার একটা পছন্দের ডিভিডি’র দোকান আছে। মাসে, দু’মাসে আমি সেখানে ঢুঁ দেই, নতুন মুভি কিনতে। দোকানটির বৈশিষ্ট্য এই যে ডিভিডি’র মান, ছবির প্রিন্ট ও সাউন্ড খুব ভালো থাকে। মাঝে মাঝে বিদেশি, একটু কম আলোচিত ছবিও ওখানে পাই। গতমাসের মাঝামাঝি সময়ে একদিন আবার গেলাম। বেশ কয়েকটা নতুন মুভি আনলাম যাদের মাঝে একটাকে নিয়ে আজকে না লিখে পারলাম না!
ছবিটার নাম আগোরা
আমাদের দেশে আগোরা বললেই একটা সুপার মার্কেটের কথা মনে পড়ে যেখানে টুথপিক থেকে শুরু করে খেলনা সাইকেল পর্যন্ত সবই পাওয়া যায়। ডিভিডি দেখে ভাবলাম, হয়তো সেই সুপার মার্কেট নিয়েই বিতং ছবি বানিয়েছেন আলেহান্দ্রো আমেনাবার। এই পরিচালকের বানানো মাত্র সাতটি ছবির মাঝে তিনটি ছবি দেখার সুযোগ আমার হয়েছে। চিলি’র সৌভাগ্য, এমন একজন পরিচালক তাদের আছে যিনি প্রথাগত সিনেমার মধ্যেও সুররিয়্যাল ছবির মেজাজ নিয়ে আসতে পারেন। তাঁর প্রথম যে ছবিটা দেখেছিলাম, সেটি “আব্রে লোস ওহোস” (ওপেন ইয়োর আইজ)। (এই ছবিটির একটা হলিউডি-ভার্সন আছে, ক্যামেরন ক্রোয়ের বানানো, নাম- ভ্যানিলা স্কাই)। মাত্র পঁচিশ বছর বয়সে আলেহান্দ্রো এই ছবিটি বানিয়েছিলেন, যেটা ছবি দেখার সময়ে একবারও মনে হয়নি। ছবির এডিটিং, দৃশ্যবিন্যাস, পরপর বাস্তব-পরাবাস্তবের মধ্যে সংলাপগুলো, চরিত্রগুলোর মনস্তত্ত্ব এতোটাই জটিল-সরল রূপ নিয়েছে যে মন্ত্রমুগ্ধ হতেই হয়। যে বছর “আব্রে লোস ওহোসে”র রিমেক “ভ্যানিলা স্কাই” মুক্তি পেলো, সেই বছরেই আলেহান্দ্রো আরেকটি ছবি বানালেন, এবারে ভৌতিক গল্প নিয়ে। এটার নাম “দ্য আদার্স“। এখানেও প্রথাগত হরর ছবির হাস্যকর রক্তারক্তি নেই, খুব চিৎকার চ্যাঁচামেচি নেই, কিন্তু অজান্তব একটা শিরশিরে ভয় দর্শককে আচ্ছন্ন করে রাখে। আর ছবির শেষে একটা মারাত্মক মোচড় আমাকে এতোটাই ঘাবড়ে দিয়েছিলো যে ক্রেডিট শেষ হয়ে যাওয়ার অনেকক্ষণ পরেও চুপচাপ বসেছিলাম!
“আগোরা” কেনার সময়ে তাই আলেহান্দ্রোর নাম দেখে বেশ উৎসাহিত হয়েই কিনলাম।
ছবির পটভূমি ৩৯১ খ্রিস্টাব্দের আলেকজান্দ্রিয়া নগরী। গ্রিক সভ্যতার সবচেয়ে উজ্জ্বল নারী, একাধারে দার্শনিক, জ্যোতির্বিদ, গণিতবিদ এবং শিক্ষানুরাগী হাইপেশিয়াকে নিয়ে ছবিটা তৈরি। যদিও বিভিন্ন প্রচারণাতে তাঁর চাইতে বেশি বলা হয়েছে ক্রিশ্চিয়ানিটির অনুসারী এক যুবক এই ছবির মূল উপজীব্য (যে কিনা হাইপেশিয়ার দাস ছিলেন), ছবি দেখার সময়ে আমার সেটা মনে হয়নি। মূলত হাইপেশিয়ার নাম দেখে আমি তুমুল আগ্রহী হয়ে উঠি ছবিটা দেখার জন্যে। গ্রিক-রোমান সভ্যতার যে জ্ঞানার্জন, সেটার শেষ প্রদীপ ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর সাথে সাথেই আলেকজান্দ্রিয়াকে ঘিরে গড়ে ওঠা জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা অন্ধকারে পতিত হয়। খ্রিস্টান ধর্মের প্রবল ধর্মগুরুদের প্রতাপে রোমান প্রিফেক্টরা দলে দলে প্যাগান থেকে খ্রিস্টান হয়ে ওঠেন। ধর্মাচরণ, ধর্মপালন ব্যক্তি-সমাজ-রাষ্ট্রব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে এবং এক দীর্ঘ কুৎসিত অন্ধকার যুগের বন্ধ্যা সময়ের শুরু হয়।
এতোক্ষণ মুভিটির সামনে ও পিছনে থাকা দুজন সবচেয়ে জরুরি মানুষ নিয়ে কথা বললাম। আলেহান্দ্রো আর হাইপেশিয়াকে ছাড়া মুভির বাকি অংশগুলো বুঝে উঠতে দ্বিতীয়বার দেখলাম ছবিটা।
“আগোরা” মানে বাজার। গ্রীক-রোমান সভ্যতায় কোন কমনপ্লেসকে ঘিরে যে বাজার গড়ে ওঠে সেটাকে আগোরা বলে। রোমের কলিসিয়ামের ধার ঘেঁষে যেমন আগোরা ছিলো, তেমনি আলেকজান্দ্রিয়ার প্যাগান ভাস্কর্যের (অর্থাৎ দেবদেবীদের মূর্তি যেখানে স্থাপিত ছিলো) চারিদিকেও একই ধরনের আগোরা গড়ে উঠেছিলো। খ্রিস্টধর্মের বয়স যখন প্রায় চারশ বছর, তখন আলেকজান্দ্রিয়া একটি কসমোপলিটান নগরী হয়ে উঠছিলো। একই সাথে সেখানে গ্রীক সভ্যতা, রোমান সভ্যতার মিশেল আর ইহুদী, প্যাগান এবং নব্যআহূত খ্রিস্টান নাগরিকের একটা মিলনমেলা হয়ে উঠলো নগরটি। শাসন করতো রোমান প্রিফেক্ট, ধর্মানুসারে যারা প্যাগান ছিলেন। কিন্তু সিনেটের একটা বড়ো অংশ তখন ইহুদী এবং খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেছে। যীশুর মৃত্যুর প্রায় চারশ বছর পরেও সামাজিক সৌহার্দ্যের মুখোশ খুলে তাদের মাঝে বিরোধ মাঝে মাঝেই দেখা দিচ্ছে। আবার নিরাকার ঈশ্বর বনাম মূর্তিমান দেবতার যে সংঘাত, সেখানে একদিকে ইহুদী-খ্রিস্টানদের অবস্থান, বিপরীতে প্যাগান শাসক।
আলেকজান্দ্রিয়ার বিখ্যাত বাতিঘর আর পাঠাগার তখন সভ্যবিশ্বের প্রতীক, পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি ছিলো এই বাতিঘর! পাঠাগার যেমন ছিলো গ্রিক-রোমান সভ্যতার সকল জ্ঞানের সংগ্রহশালা, তেমনি প্যাগানদের উপাসনালয়ের স্থান। পাঠাগারের বইগুলো ছিলো হাতে লিখিত। মূল লেখকের লেখা একটি কপি থেকে পাঠাগারের শিক্ষার্থীরা আরো অনেকগুলো কপি করতেন। এভাবে বইগুলো সংরক্ষিত হতো। শিক্ষকদের বেশিরভাগই ছিলেন প্যাগান, পাঠাগারের ঠিক মাঝখানে প্যাগান দেবতা সেরাপিস, হোরাস, আনুবিস আর আইসিসের মূর্তি রাখা ছিলো। সারা শহর জুড়েই অসংখ্য স্থাপত্য নিদর্শন ছিলো যেগুলো এখন কিছুই অবশিষ্ট নেই!
হাইপেশিয়ার গবেষণার মূল প্রেরণা ছিলো জ্যোতির্বিদ্যা আর গণিত। পৃথিবীকে তখনও মনে করা হতো বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কেন্দ্র। তার চারপাশে সূর্য, মঙ্গল, শনি, বুধ এবং শুক্র হলো “পরিব্রাজক”(ওয়ান্ডারার)। টলেমির দেয়া মডেল অনুযায়ী, সকল ঘূর্ণনপথকে বৃত্তাকার কল্পনা করা হতো। সেক্ষেত্রে যেটা মূল সমস্যা ছিলো, তা হলো সূর্য এবং অন্যান্য পরিব্রাজকের আকারের ছোটবড় হওয়া। বৃত্তাকার পথে ঘুরলে সেটা হওয়ার কথা নয়। টলেমি এই সমস্যার সমাধান দিয়েছিলেন এই বলে যে, সবগুলো পরিব্রাজক পৃথিবীর চারপাশে ঘোরার সাথে সাথে নিজেদের একটা ছোট বৃত্তাকার পথেও ঘুরছে। এই কারণেই তার আকারের পার্থক্য আমাদের চোখে ধরা পড়ে। মনে রাখতে হবে, সেই সময়ে বৃত্ত ছিলো বিশুদ্ধতম জ্যামিতিক ক্ষেত্র। উপবৃত্ত, পরাবৃত্তকে মনে করা হতো অবিশুদ্ধ বা পার্থিব, বৃত্তাকার ছিলো স্বর্গীয়। এখনকার যুগে জ্যামিতিক ক্ষেত্রকে পবিত্র মনে করার ব্যাপারটা হাস্যকর মনে হলেও সে সময়ে এগুলো নিয়ে প্রশ্ন করা, বিরোধিতা করার জন্যে কাউকে মুক্তমনা হওয়া ছিলো খুবই জরুরি। বিজ্ঞানের প্রসারের প্রথম পদক্ষেপটাই ছিলো প্রতিষ্ঠিত সত্যের ব্যাখ্যায় প্রচলিত পদ্ধতিকে প্রশ্ন করা। জ্যামিতিক ক্ষেত্রের এই স্বর্গীয়/পার্থিব ভেদাভেদ করে অনেকদিন পর্যন্ত ভ্রান্তপথে চালিত হয়েছে গবেষণা। এখনও আমরা অনেকেই পড়াশোনা করার পরেও যেমন জ্যোতিষবিদ্যায় বিশ্বাস করি, পানিপড়া, তুকতাক, ঝাড়ফুঁকে বিশ্বাসীও খুঁজলে পাওয়া যাবে! একমাত্র মানুষের পক্ষেই সকল যুক্তি ও বোধ বিসর্জন দিয়ে এমন অবিশ্বাস্য “শক্তি”র ওপর বিনাশর্তে বিশ্বাস করা সম্ভব।
ছবিটির প্রথমাংশের একটি দৃশ্যে হাইপেশিয়ার ক্লাসরুম দেখানো হলো। এখনকার মতো নয়, আলেকজান্দ্রিয়ার ক্লাসরুম অনেক বেশি ‘ক্যাজুয়াল’ ছিলো। সেখানে পাশাপাশি প্যাগান-ইহুদি-খ্রিস্টান সকলেই তাঁর কাছে পড়তো। তিনি পৃথিবী ও সৌরজগতের এই জটিল ঘূর্ণন ব্যাখ্যা করছিলেন। ওরেস্টিস (পরবর্তীতে রোমান প্রিফেক্ট হন তিনি, ধর্মে প্যাগান) নামের একজন বলে উঠলো, “এমন ঘূর্ণনের নিয়ম বানানোর আগে দেবতাদের উচিত ছিলো আমার সাথে পরামর্শ করে নেয়া”। সকলে হেসে উঠলো, ওরেস্টিস একটু অপ্রস্তুত হয়ে বললো, “কারণ এতো জটিল করে বানানোর কী দরকার ছিলো? সবগুলো পরিব্রাজক কি একটা সরল বৃত্তপথেই ভ্রমণ করতে পারতো না? তাহলে তো অনেক সহজ হতো সবকিছু”। তার প্রশ্ন নিয়ে হাইপেশিয়া তখনও ভাবছেন, পাশ থেকে সাইনেসিস (পরবর্তীতে খ্রিস্টান বিশপ হন তিনি) আপত্তি করে উঠলেন, “ওরেস্টিস, তোমার কোন অধিকার নেই ঈশ্বরের সৃষ্টি নিয়ে এরকম হাসি-তামাশা করার। তিনি মহান, তাঁর সৃষ্টির নিয়মকে তুমি প্রশ্ন করতে পারো না!”
ওরেস্টিস: “তোমার কি সমস্যা? একজন মানুষ কি তার মতামত জানাতে মুখও খুলতে পারবে না?”
সাইনেসিস: “তুমি আমাদের ঈশ্বরের সমালোচনা করছো, তার সৃষ্টির সমালোচনা করছো। এগুলো করে তুমি আমাদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত করছো।”
ওরেস্টিস: “তোমরা এক কাজ করো, মরুভূমিতে চলে যাও। ওখানে তোমাদের অনুভূতিকে আহত করার কেউ থাকবে না।”
এই উত্তপ্ত কলহের মাঝে দাঁড়িয়ে হাইপেশিয়ার আচরণ আমাকে মুগ্ধ করে। সাইনেসিসের দিকে তাকিয়ে তিনি শান্ত স্বরে বললেন, “সাইনেসিস, ইউক্লিডের প্রথম সূত্রটা কি?”
সাইনেসিস জবাব দিলো, “If two things are equal to a third thing, then they are all equal to each other.”
হাইপেশিয়া: “এখন বলো, তোমরা দু’জন কি আমার কাছে সমান নও?”
ওরেস্টিস আর সাইনেসিস চুপ করে মাথা নাড়লো, অনেকটা অনড় সিদ্ধান্তের স্বরে হাইপেশিয়া বললেন, “যদি তোমরা দুজনেই আমার কাছে সমান হয়ে থাকো, তাহলে তোমরা একে অপরের কাছেও সমান। আমি বাকিদেরকেও বলি, যতোকিছু আমাদের বিভক্ত করে, তার চেয়েও অনেক বেশি জিনিশ আমাদের একত্র করে। বাইরে বাজারে যে সংঘাত, মারামারি, হিংসা, হানাহানি, সেগুলো আমাদের এখানে নেই। এখানে আমরা সবাই এক। উই আর ব্রাদার্স!”
ছবির বাকি অংশ দেখার আগেই আমি বুঝে ফেলি, এটি সম্ভবত আমার দেখা সবচেয়ে অসামান্য দৃশ্যের একটি। একই দৃশ্যে মৌলবাদ, ধর্মীয় কুযুক্তি, বিশুদ্ধ বিজ্ঞান-দর্শনের ক্ষমতা, আর সাম্যের বাণী মিলে মিশে এক হয়ে গেছে! তখন বুঝতে পারি কেন রাজনীতিতে ধর্মকে ব্যবহার করা হয়। কারণ এই ধর্মের সাহায্যে মানুষে মানুষে সবচেয়ে বেশি বিভেদ তৈরি করা যায়। কোন মানুষের অর্জিত জ্ঞান, প্রজ্ঞাকে খুব সহজেই নাকচ করে দেয়া যায়, ভিন্ন ধর্মের অপবাদ দিয়ে। অন্য যে কোন বিষয়ে মানুষের মাঝে যতোগুলো ভাগ করা সম্ভব, তার চেয়ে অনেক সহজে মানুষকে বড়ো বড়ো গ্রুপে ভাগ করে ফেলা যায় খালি ধর্মের পার্থক্য করলেই। একটু মিলিয়ে দেখলাম, এই ভারত উপমহাদেশে, আলেকজান্দ্রিয়ার সময়ের প্রায় ১৫০০ বছর পরে ঠিক এভাবেই ভাগ করা হয়েছিলো হিন্দু আর মুসলিম ধর্মের নামে। কতো সহস্র মানুষ সেসময়ে মারা গিয়েছিলো, তার কোনো হিসেব ইতিহাসে নাই!
এখনকার বাস্তবতায় হয়তো আমরা ধর্মীয় পরিচয়ের চাইতে মানুষের কথা, কাজের মূল্য কিছুটা বেশি দেই। কিন্তু আমাদের সভ্যতার গত তিন-চার হাজার সময়ে বারবার জ্ঞানচর্চা, বিজ্ঞানের প্রসারে বাধা দিয়েছে ধর্ম। ধর্মানুভূতির কোমল ইন্দ্রিয়ে আঘাত পেয়েছে বলে যাজকদের, পাদ্রিদের, মোল্লাদের তলোয়ার আর বোমাতে মারা গেছে কাফের-নাস্তিক-বিধর্মী-ডাইনি (খেয়াল করলাম, এরা কোন মানুষ নয়, এরা কেবলই কতোগুলো নোংরা বিশেষণ!)। জেরুজালেম থেকে খ্রিস্টের মৃত্যুর পরে তাঁর বারো শিষ্যের হাত ধরে খ্রিস্ট ধর্মের প্রচার ঘটেছে। প্রায় সাত-আটশ বছরের অর্জিত গ্রিক-রোমান সভ্যতার বারোটা বাজাতে তাদের বেশিদিন লাগেনি। আলেকজান্দ্রিয়ায় ৩৯১ সালে পাঠাগার ধ্বংস হলো, পুড়িয়ে ফেলা হলো প্যাগান মূর্তিপূজারীদের অর্জিত বিজ্ঞানের বই, গবেষণার সরঞ্জাম! পাঠাগারের ভেতরে মূর্তিগুলো ভেঙে স্থাপনা হলো খ্রিস্টধর্মের নিরাকার ঈশ্বরের। প্রাচীন বাইবেল অনুযায়ী লিখিত হতে লাগলো শাসনের নিয়ম। নগরে চরে বেড়াতে লাগলো প্যারাবেলামি নামক মাস্তানেরা। এদের ঝোলায় থাকতো পাথর, কোমরে তলোয়ার। খ্রিস্টান ধর্মের প্রতাপে উচ্ছেদ হলো ইহুদিদের। তাদের বিরুদ্ধে সুপ্রাচীন অভিযোগ, তারা খ্রিস্টকে ক্রশবিদ্ধ করেছে। তাই তারা অভিশপ্ত, নির্বাসিত! মেরে ভাগিয়ে আগোরা থেকে তাড়িয়ে দেয়া হলো তাদের। এবং রোমান সরকার চেয়ে চেয়ে দেখলো কীভাবে ধর্মীয় বিশপ সিরিল পরাক্রমশালী হয়ে ওঠে!
হাইপেশিয়া এই সকল উত্তেজনার মাঝেও জ্যোতির্বিদ্যার কাজ চালিয়ে গেছেন। অল্প কিছু বাঁচাতে পারা বই, কিছু গণিতের সরঞ্জাম দিয়ে তখনও চেষ্টা করছেন বিশ্বের সূত্র আবিষ্কারের। পৃথিবী এবং নক্ষত্রের ভ্রমণ নিয়ে তাঁর গবেষণায় বাধা হয়ে দাঁড়ালো খ্রিস্টান চার্চ। বাইবেলে বর্ণিত আছে, বিশ্বব্রহ্মাণ্ড একটা চেস্ট, যার সর্বোচ্চে আছে স্বর্গ, সর্বনিম্নে পৃথিবী, এবং পৃথিবী সমতল চাকতির(!) মতো। সেই মতবাদের প্রতাপে টলেমির গোলাকার পৃথিবীর মডেলও বাতিল। এখন হাইপেশিয়া যদি বলে বসেন, পৃথিবী আসলে কেন্দ্র নয়, সূর্যকে ঘিরে ঘূর্ণায়মান একটি গ্রহমাত্র, তাহলে তা বাইবেলের সরাসরি বিরোধিতা করে বসে! হাইপেশিয়া ব্যক্তিগত বিশ্বাসে নাস্তিক ছিলেন, প্যাগান ধর্মের মূর্তিতেও তিনি বিশ্বাস করতেন না। প্রখর প্রজ্ঞার এই দার্শনিকের কাছে দর্শনই ছিলো একমাত্র “ঈশ্বর”, একমাত্র পূজনীয় স্বত্ত্বা। তাই অচিরেই তিনি চার্চের চক্ষুশূল হয়ে উঠলেন। আর্চবিশপ সিরিল বাইবেল থেকে পাঠ করলেন স্রষ্টার অমোঘ বাণী, “নারীকে সৃষ্টি হয়েছে অবগুণ্ঠিত থাকার উদ্দেশ্যে, পুরুষের সহধর্মিনী হিসেবে, অনুচর হিসেবে। কোনো নারীর ক্ষমতার নিচে, নেতৃত্বের নিচে পুরুষ থাকতে পারে না। সেই নারী, যে আব্রু করে না, জ্ঞানের চর্চা করে এবং পুরুষকে নিয়ন্ত্রণ করে সে ডাইনি।” উদাহরণ হিসেবে সিরিল বললেন, যীশুখ্রিস্ট তাঁর বারোজন শিষ্যের মাঝে এজন্যেই কোন নারীকে রাখেন নাই। এই আলেকজান্দ্রিয়ায় একজন এমনই ডাইনি আছে যে কোন ঈশ্বরেই বিশ্বাস করে না, সৃষ্টিতত্ত্বের বিরোধিতা করে, পুরুষকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। হাইপেশিয়া নামক সেই ডাইনির বিরুদ্ধে চার্চের সমন জারি হয়ে গেলো!
পরের গল্পটুকু বেদনাদায়ক। ক্রীড়নক রোমান প্রিফেক্টের (ওরেস্টিস) শত আপত্তি সত্ত্বেও হাইপেশিয়াকে চার্চ আটক করে ফেলে। প্রকৃত ইতিহাস থেকে মুভিটি এখানেই একটু সরে আসে। মুভিতে দেখানো হয় হাইপেশিয়ার পুরনো দাস তাঁর শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে, তাঁকে নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচিয়ে দেয়। তারপর সেই মৃতদেহের দিকে পাথর ছুঁড়ে মারে প্যারাবেলামির মাস্তানেরা, খ্রিস্টের অনুসারীরা(!)। মূল ইতিহাসে, তাঁকে জীবন্ত অবস্থায় পাথর ছুঁড়েই মারা হয়, তারপরে তাঁর দেহ আলেকজান্দ্রিয়ার রাস্তায় ঘোড়া দিয়ে হিঁচড়ানো হয়। শিউরে ওঠার মতো নৃশংসতা? ইতিহাস বলে এটি কিছুই না। এর পরের প্রায় এক হাজার বছরের অন্ধকার মধ্যযুগে অনামী এমন অসংখ্য নারীকে ডাইনি অপবাদে মারা হয়েছে, পুড়িয়ে, পাথর ছুঁড়ে, চাবুক মেরে। কেবল নারীই নয়, জ্ঞান আহরণে আগ্রহী, বিজ্ঞান গবেষণার নিবেদিত যে কোন মানুষ যখনই ধর্মীয় সত্যের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন- তারা এরকম নির্মমভাবেই স্তব্ধ হয়ে গেছেন।
মুভি হিসেবে “আগোরা” এই চিরন্তন প্রশ্নগুলো উস্কে দেয়। ধর্মের শ্বাশত রূপ, মহান বাণী, সাম্যের প্রতিশ্রুতি কখনই প্রমাণিত হয়নি। যুগে যুগে ধর্মের পতন হয়েছে প্রতিষ্ঠিত একটি ধর্মকে হঠিয়ে। এই হঠানোর কাজটি সহজে হয়নি, মিষ্টি কথায় হয়নি। হয়েছে প্রবল প্রতাপে, নির্মম খুন-হত্যা-রক্তপাতের মধ্যে দিয়ে। এই নির্মমতার ব্যাপারে একটা মজার পর্যবেক্ষণ হলো, বহুদেবতাবাদী ধর্মের চাইতে একেশ্বরবাদী ধর্ম অধিক নিষ্ঠুর। প্যাগান বা হিন্দুধর্মের পৌত্তলিকতার চেয়ে খ্রিস্টান বা ইসলাম অনেক বেশি দাপুটে। আর এই সকল ধর্মের বিপরীতে একা দাঁড়িয়ে আছেন গুটিকতক মানুষ- যাঁরা মুক্তবুদ্ধির চর্চা করেন, যাঁরা বাকি সবার মতো একবাক্যে অমোঘ বাণী মেনে নেন না, যাঁরা প্রকৃত দর্শন, প্রকৃত বিজ্ঞানের পথে চলেন। মহাপ্রতাপশালী শাসক বা রাজার ধর্মকে অনায়াসে প্রশ্ন করতে পারেন।
আলেকজান্দ্রিয়ার সিনেটে ইহুদী-প্যাগান-খ্রিস্টান সকল ধর্মের সভাসদ ছিলেন। এক উত্তপ্ত বিতর্কের সময়ে খ্রিস্টান এক সিনেটর বলেন, “এটা কেবল সময়ের ব্যাপার যে আপনারা একদিন খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করবেন। প্রিফেক্ট বুদ্ধিমান তাই তিনি এরই মধ্যে করেছেন। আপনারাও করবেন।”
হাইপেশিয়া উত্তর দিলেন, “আপনার ঈশ্বর আগের যে কোন দেবতার চেয়ে বেশি ন্যায়পরায়ণ, ক্ষমাশীল এরকম প্রমাণ করতে পারেন নাই। চার্চ এখন যে ঈশ্বরের নামে হত্যা-লুঠ চালাচ্ছে সেটা আগের সকল দেবতার নামে ঘটে যাওয়া হত্যা-লুঠের চাইতে কম না। আমি কেন সময়ের সাথে আপনার ধর্মে বিশ্বাস করবো, যেখানে আপনি আমাকে সন্তুষ্ট করার মতো কোন প্রমাণ দেখাতে পারছেন না?”
উত্তর দিতে না পেরে সেই সিনেটর পালটা প্রশ্ন করলেন, “আপনি কেন স্রষ্টা ও ধর্ম নিয়ে কথা বলছেন। আপনি তো কোনোকিছুতেই বিশ্বাস করেন না!”
হাইপেশিয়া থেমে থেমে উত্তর দিলেন, “I believe in Philosophy.”
*******
স্টেজভ্যু থেকে ডাউনলোডের লিঙ্ক: http://stagevu.com/video/xzfwayteuqie
পোস্ট টাইম: ৫:১১ অপরাহ্ন আর এখন ৫:৪৮
গোল দিলাম 😀
সামহোয়ারে পড়েছিলাম, এখনো পড়লাম 🙂 দেখার আগ্রহ জেগেছে.... তবে সিনেমা ডাউনলোডের স্পিড নাই দেখে কবে যে দেখা হবে 🙁
হ্যাঁ, সেটাই দেখলাম। আমার লেখা কেউ পড়ে না মনে হয়। গোল দেয়ারও শখ নাই।
সামহোয়ারে তো পরে পোস্ট করলাম, আগে কেমন করে পড়লে?
সিনেমাটা ডাউনলোড করতে না পারলে, ডিভিডি কিনে ফেলো। 🙂
....ভাই আমি কিন্তু অনেক আগেই পড়ছি.... 🙂
লেখার বিষয়-বস্তু দেখে মনে হইছিল অনেক কমেন্ট হবে...কিছু যুক্তিশীল আলোচনা ও আশা করছিলাম.....হচ্ছেনা কেন?...সবাই কি খুব ব্যস্ত..?? 😕
তুমিও তোমার মতগুলো জানাতে পারো। 🙂
সামহোয়ারইনের প্রথম পাতায় ব্লগটা পড়ে এরপর এই ব্লগে আসছিলাম 😐 তাই ওখানে আগে পড়া হয়েছে, এখানে পরে
এইটা কোন কথা বল্লেন ?
আমি তো এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেল্লাম।
কমেন্ট করার জন্য অনেক কষ্ট করে টাইপ করতে হয়, তাই বেশিরভাগ পোষ্টেই কমেন্ট করা হয় না।
সিনেমাটা দেখতে হবে।
সারাদিন পরেও তিন চারটা কমেন্ট দেখে মজা করে বলেছিলাম। এখন তো দেখছি অনেকেই পড়েছে, জানিয়েছে। 🙂
সিনেমা দেখার পরে জানাইও কেমন লেগেছে।
চমৎকার লিখেছো আন্দালিব। ছবিটা দেখতেই হবে। :thumbup:
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
😀 😀
কমেন্ট দেখে খুশিতে দাঁত বের করে হাসি দিলাম! দেখার পরে বলবেন কেমন লেগেছে মুভিটা।
তোমার লেখা পড়ে আর ড্রয়িং দেখে তো হাইপেশিয়ার প্রেমেই পড়ে গেলাম মনে হচ্ছে!! কেম্নে কি?? :dreamy: :dreamy: :dreamy:
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
হাহা, লাবলু ভাই, এই ড্রয়িং দেখলে যে কেউই প্রেমে পড়ে যাবে। গ্রীকসৌন্দর্য বলে কথা! 🙂
তবে লাবলু ভাই, হাইপেশিয়া অবিবাহিত ছিলেন আমৃত্যু। তাঁকে প্রেম নিবেদন করে "রিফিউজড" হয়েছে এরকম একটা খুব মজার ঘটনার বর্ণনা আছে। ওরেস্টিস তাঁকে প্রেম নিবেদন করেছিলেন, বিয়ের জন্যে পাণিপ্রার্থনা করেছিলেন। বলেছিলেন হাইপেশিয়ার মাঝে তিনি পবিত্রতা, সৌন্দর্য আর "হারমোনি" দেখতে পান!
পরের দিন হাইপেশিয়া ওরেস্টিসকে Menstrual blood ভেজা একটি রুমাল উপহার দেন। তাঁর জবাব ছিলো, ওরেস্টিস তার মাঝে যে হারমোনি আর পবিত্রতা খুঁজছে, তিনি তেমন নন। তিনি একেবারেই সাধারণ, পার্থিব একজন মানুষ। বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের এরকম অভিনব পন্থা আর দেখা যায় না!
সুতরাং বুঝে শুনে বস! :grr:
:))
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
আন্দালিব, প্রেমে পড়লেই কি বিয়ে করতে হবে? এমন একটা অসাধারণ চরিত্র, ওই সময়টায় ভাবতেই অবাক লাগে। এই চরিত্রটা নিয়ে একটা উপন্যাস অথবা গল্প কি লিখতে পারো না? নিজের কল্পনাশক্তি আর সৃজনশীলতাকে কাজে লাগাও। চেষ্টা করে দেখো।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
এতো বড়ো চরিত্র নিয়ে লিখতে একটু ভয় লাগে। তাঁর সম্বন্ধে খুব বেশি পড়া নেই আমার। মুভিটা দেখে এতোটাই অভিভূত হয়েছি যে তখন নেট ঘাঁটাঘাঁটি করে কিছু কিছু পড়লাম।
তবে আপনার কথায় অনেক অনেক উৎসাহ পাচ্ছি লাবলু ভাই! আমি তাঁর ব্যাপারে আরো জেনে লেখার চেষ্টা করবো। 😀
:thumbup: চমতকার।
ধর্ম কখনো ব্যক্তি স্বাধীনতার অনুকূল নয়। কারণ সম্ভবত এই যে ধর্ম আর সমাজ পরষ্পর পরিপূরক। ইউরোপিয়ান মধ্যযুগ এর প্রমাণ।
মজা তখন'ই হয় যখন ব্যক্তি নিজেই নিজের অজান্তে এই বলয়ে পড়ে তার স্বাধীনতা খোয়ায়। বর্তমান যুগের সমস্যা আমার কাছে মনে হয় এটা'ই।
আমার একেবারে'ই নিজস্ব চিন্তা এটা।
মজার ব্যাপার হলো, ব্যক্তির স্বাধীনতার ধারণাটি ধর্ম কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত এবং আরোপিত। সম্পূর্ণ ব্যক্তি স্বাধীনতা কোন সমাজ-সভ্যতায় ব্যক্তি উপভোগ করতে পারে না। ধর্মীয় অনুশাসন সেটাকে আরো সংকুচিত করে ঠিক, আবার এটাও ঠিক ব্যক্তিপর্যায়ে সকল স্বাধীনতা ধারণ করার মানসিক, সামাজিক শক্তি অনেকের মাঝেই নেই। ধর্মীয় 'বেড়াজাল' সেক্ষেত্রে তাদের জন্যে সুখকর।
ইউরোপীয়ান মধ্যযুগের সাথে বর্তমান মধ্যপ্রাচ্য মিলাতে পারেন। দুটোর মাঝে অনেক মিল পাবেন।
আপনার নিজস্ব চিন্তা ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা নিবেন পদ্মজা।
সিনেমাটা অতিরিক্ত রকম অসাধারণ। আপনার লেখাটাও।
সিনেমায় যে লাইনটি আমাকে সবচেয়ে মুগ্ধ করেছিল তা দেখা যাচ্ছে আপনিও কোট করেছেন If two things are equal to a third thing, then they are all equal to each other.”।
আমি নিজেও আগোরা নিয়ে একটা লেখা লিখেছিলাম ছোট করে। সেটা পরের কমেণ্টে শেয়ার করছি।
এই সূত্রটা আমাদের কখনও পড়ায়নি ক্লাসে। কেন, কে জানে?
তোমার লেখাটা কাকতালীয়ভাবে আগোরা কিনে আনার দিনেই প্রথম চোখে পড়েছিলো। দেখার পরে আমি একটু সময় নিলাম এই লেখাটা লেখার জন্যে। আরো সংশ্লিষ্ট কিছু নোট ছিলো, ছোট ছোট কিছু কথাও ছিল প্রাসঙ্গিক। কিন্তু এর চাইতে বড়ো করতে ইচ্ছা করলো না!
বিজ্ঞান আর দর্শনের সাথে ক্ষমতাবাজ ধর্মধারী (অর্থাৎ চার্চ, মসজিদ) এদের সংঘাত একটা চিরন্তন ব্যাপার। হাইপেশিয়ার সময়ে সেটা হয়েছিলো গ্রীক প্যাগানদের সাথে খ্রিস্টানদের। এরপরে ইউরোপ অন্ধকারে ডুবে গেলে নতুন বিজ্ঞানচর্চা শুরু হয়েছিলো ৭০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে, আরব-মিশরকে কেন্দ্র করে। সেখানেও ভুরি ভুরি বিজ্ঞানি এবং দার্শনিক পাওয়া যাবে যাঁরা তৎকালীন ইসলামী শাসকদের হাতে নির্যাতিত হয়েছিলেন!
এই সূত্রটা ছিল তো 😀
কোন ক্লাসে সেটা অবশ্য ভুলে গেছি
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
২০০৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র "আগোরা" খ্রিষ্টাব্দ চার শতকে আলেকসান্দ্রিয়ায় একশ্বেরবাদী খ্রিস্টানদের ঈশ্বরের ইশারায় করা খুন, জখম, নারী নির্যাতনের দুর্লভ চিত্র। একশ চুয়াল্লিশ মিনিট সময় এমন ঘটনা বর্ণনার জন্য যথেষ্ট কম মনে হলেও পরিচালক Alejandro Amenabar কে তাঁর সুনিপুণ দক্ষতার জন্য দশ-এ সাড়ে আট দেওয়া যায় অনায়াসেই। চলচ্চিত্রটির মূল কাহিনী বর্ণিত হয়েছে বিখ্যাত গণিতজ্ঞ, জ্যোতির্বিদ ও দার্শনিক হাইপেসিয়াকে ঘিরে। নির্ধার্মিক হাইপেসিয়া, ছাত্রদের টলেমি, প্লেটো, অ্যারিস্টোটলদের গবেষণা পড়াতেন, দিনরাত নিজে গবেষণা করতেন সৌরজগৎ নিয়ে। তখনকার দিনে পৃথিবীকে সবকিছুর কেন্দ্র এবং অন্যসকল গ্রহ, নক্ষত্র একে কেন্দ্র করে ঘুরছে মনে করা হলেও হাইপেসিয়া সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবীর ঘোরার পাশাপাশি অনুমান করেছিলেন আবর্তনের উপবৃত্তাকার কক্ষপথের ব্যাপারটিও।
এই হাইপেসিয়াকে তদানিন্তন ক্যাথলিক চার্চ উইচ বা ডাইনি বলে অভিহিত করে এবং পাথর ছুড়ে হত্যা করে। পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার নামে, খোদার বিচার প্রতিষ্ঠা করার নিমিত্তে খ্রিষ্টানদের দ্বারা ধ্বংস হয় প্যাগানদের সকল গবেষণা-নথি। এই চলচ্চিত্রটি অবশ্য দেখনীয় এবং বলে লাভ নেই, ধার্মিকদের জন্য বুঝনীয়ও।
খ্রিষ্টানদের রক্তরঞ্জিত ইতিহাস দেখে মুসলমান দর্শকের আনন্দে আনন্দিত হবার কোনও কারণ নেই, কারণ ঠিক একই ভাবে রঞ্জিত তাদেরও ইতিহাস, একেশ্বরবাদী সকল ধর্মের ইতিহাস।
ডাউনলোড লিংক
১। ডাইরেক্ট ডাউনলোড- পর্ব এক, পর্ব দুই
২। র্যাপিড শেয়ার
http://rapidshare.com/files/355836501/Agora.2009.DVDRIP.H264-ZEKTORM.part1.rar
http://rapidshare.com/files/355769982/Agora.2009.DVDRIP.H264-ZEKTORM.part2.rar
http://rapidshare.com/files/355796649/Agora.2009.DVDRIP.H264-ZEKTORM.part3.rar
http://rapidshare.com/files/355810036/Agora.2009.DVDRIP.H264-ZEKTORM.part4.rar
৩। মেগাআপলোড
http://www.megaupload.com/?d=6JVDMQCV
http://www.megaupload.com/?d=4FQK9TXR
http://www.megaupload.com/?d=NTQNC0CE
http://www.megaupload.com/?d=1VP1OD7T
চমৎকার লেখা আন্দালিব ভাই :boss:
লিঙ্কের জন্য ধন্যবাদ আবীর ভাই 😀 :thumbup:
"Never think that you’re not supposed to be there. Cause you wouldn’t be there if you wasn’t supposed to be there."
- A Concerto Is a Conversation
পড়ার জন্যে তোমাকে ধন্যবাদ আশহাব। 🙂
লেখাটা পছন্দ হইছে।
সিনেমাটাও।
হাইপেসিয়াকেও।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
😀
সবই দেখি পছন্দ! ইয়াহু।
থেংকু থেংকু!
"Hypatia" নামক একটি জারনাল মাঝে মাঝে চোখে পড়ত, এবং জানতান এটা feminist philosophy'র উপর| আজ জানলাম হাইপেশিয়া কে ছিলেন| লেখককে এ জন্য ওনেক ধন্যবাদ|
কিছু ইতিহাস নিয়ে ঘাটাঘাটি|
আলেক্সান্দার আলেক্সানদার শহরের জনক| সেখানে তিনি একটি গণিতের কেন্দ্র স্থাপন করেন এবং Euclid সে কেন্দ্রের পরিচালক হন।
ঘটনার সময়-কাল ৩৯১| তার ৬৬ বছর আগে ৩২৫ সালে সম্রাট কোন্সতানতিন নিসায় সম্মেলন ডাকেন যেখানে তার প্রভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে "যীশু ঈশ্বর-পূত্র; যীশূ আর ঈশ্বর একি পদার্থ দিয়ে তৈরী"; তার কয় বছর পরে -- ৩২৭/২৮ হবে হয়ত -- বাইবেল সংকলীত হয় কন্সতানতিনের তত্ত্বাবধনে|
অনেক ধন্যবাদ শাহীন ভাই। আপনার দেয়া লিঙ্কটা দেখে ভালো লাগলো। হাইপেশিয়ার নামে ফেমিনিস্ট ফিলোসফির পত্রিকা আসলেই অভিনব! কারণ হাইপেশিয়া'র ফিলোসফির কাজ যদিও কিছু উদ্ধার করা যায়নি, তবুও অনেক ইতিহাসবিদের ধারণা তিনিই প্রথম নারী যিনি এই বিভাগে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন।
আরেকটি চমত্কারDocumentry: "Einstein's Big Idea" . সেখানে এক ফরাশী এক রাজকুমারী' কে দেখানো হয় (যার নাম আমি ভুলে গেলাম), বিজ্ঞান যার বেশ অবদান আছে..
দারুণ শাহীন ভাই! কাহিনী পড়েই তো দেখার আগ্রহ জাগতেছে! অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। :boss:
এখানে একটা টরেন্ট পেলাম। এখুনি নামাচ্ছি! ব্লগে এখন আমার চেহারা দেখতে পারলে মজা পেতেন। সবগুলো দাঁত ভেটকি দিয়ে হাসছি! 😀 (সম্পাদিত)
Emilie du Châtelet। সে মহিলার নামটি উদ্ধার করলাম| amazon.ca তে Einstein's Big Idea দেখতে পারো|
হাইপেশিয়ার সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ। ছবিটা দেখতে হবে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
শান্তা আপু থেংকু। ছবি দেখে জানাবেন কেমন লাগলো। 😀
হাইপেশিয়া কে নিয়ে সেবা প্রকাশনীর এক্টা অনুবাদ পড়েছিলাম। অসাধারন
হাইপেশিয়া নামে কিছু বইও দেখলাম নেট-এ। হয়তো তার মাঝেই কোন একটা অনুবাদ করেছে সেবা। আমার পড়া হয়নি বইটা।
তোমাকে ধন্যবাদ মেলিতা।
হাইপেশিয়ার সাথে আমার পরিচয়ও সেবার মাধ্যমেই 🙂
ভাই,ওই বইতে লেখা ছিল,হাইপেশিয়াকে দুইদল দুই দিক থেকে টেনে ছিঁড়ে মেরে ফেলে,ইতিহাসের সাথে বা সিনেমার সাথে তো মিল পেলাম না,...।ধন্দ লাগছে।বই এর টা মনে ঢুকে গিয়েছিল তো,তাই. :(( .....সিনেমাটা দেখবই 🙂
টেনে ছেঁড়াটা মনে হয় অতো সহজ না। একটা মানুষকে টেনে ছিঁড়তে মেশিন লাগবে। তবে পাথর ছুড়ে মারার ব্যাপারটা ঐ যুগে প্রচলিত ছিলো (এটা এখনও বাংলাদেশে প্রচলিত আছে, গ্রামে মাঝে মাঝেই মোল্লারা এই বিধান দিতো)।
সিনেমাতে তেমন নৃশংসতা দেখালে রেটিং বাড়িয়ে দিতে হতও। সেন্সরশীপের ঝামেলাও হতে পারতো। এজন্যে মনে হয় একটু ভিন্নভাবে দেখিয়েছে। পাথরগুলো মৃতদহের দিকে ছুড়েছে।
প্রতিষ্ঠিত ক্ষমতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী যেকোন চরিত্রকেই আমার ভালো লাগে; টার্গেটেড ক্ষমতা যত ব্যাপক প্রতিরোধও ততোই চ্যালেঞ্জিং। আর তাই হাইপেশিয়াকেও ভালো লাগল। (অবশ্য এই ভালো-লাগায় তোমার বর্ণনাভঙ্গীর খানিকটা কৃতিত্ব আছে;)।
- কিন্তু দর্শন আর ধর্মকে মুখোমুখী দাঁড় করিয়ে দেওয়াটা মনে হয় ভুল হচ্ছে। কারণ, আমার মনে হয়, দর্শনও সময় সময় ব্যক্তিমুক্তির (বা স্বাধীনতার) পথে অন্তরায় হতে পারে।
তাছাড়া, আমি ত জানতাম ধর্ম দর্শনেরই অংশ (অবশ্য আমার ভুল হতে পারে)। এই দুইয়ের তুলনামূলক বিচারে ধর্ম ও দর্শনের আলাদা আলাদা সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য, ইত্যাদির আলোচনা আবশ্যক। তোমার এই পোষ্টে এবং মুহাম্মদের সর্বশেষ পোষ্টেও আমার মনে হয়েছে এই তুলনাটা আছে। সময়+সুযোগ পেলে বিষয়টা খোলাশা করে দিও।
আর হ্যাঁ, পোষ্টে আমাকে স্মরণ করায় ধন্যবাদ।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
হাইপেশিয়ার প্রতিরোধ খুবই শান্ত এবং বিনয়ী ছিলো! আমি খেয়াল করে দেখলাম, গ্যালিলিও থেকে হাইপেশিয়া, সক্রেটিস এঁরা কেউই খুব বিদ্রোহীরূপে প্রতিবাদ জানাননি। তাঁদের কাজ এবং বক্তব্য এতোটাই নিস্পৃহ ছিলো যে আমার মনে হয় তারা অসূয়া নামের অনুভূতিটা ধারণ করতেনই না! প্রকৃতির মূল রহস্য বুঝে ফেলা মানুষেরা হয়তো ক্ষমতাশীলের বোকামিকে এমন শান্তভাবেই গ্রহণ করতে পারেন!
হতেই পারে, তবে সেক্ষেত্রে দর্শনের পাঠে নতুন নিয়ামক যোগ করা যেতে পারে। একশ বছর আগের দর্শন, এখনকার মানুষের জীবনযাত্রা ও মন-মানসিকতার সাথে মিলবে পুরোপুরি। সেক্ষেত্রে এই সময়ের মানুষের জন্যে দর্শনের রূপবদল ঘটবে।
আমি এই পোস্ট লিখতে লিখতেই ভাবছিলাম আপনি এই গলদটুকু ধরবেন। পোস্টের পরিসর বড়ো হওয়ায় আর আমার পড়াশোনা কম হওয়ায় তুলনামূলক বিচারটা হাইপেশিয়া-আলেকজান্দ্রিয়ায় সীমাবদ্ধ রেখেছি।
তবে আমারও ইচ্ছা এখন আরো পড়ি। দর্শনের সাথে ধর্মের তুলনামূলক বিচার সময়ের সাথে সাথে বদলে গেছে। বিশেষ করে এখনকার বিচারে হয়তো একেবারেই ভিন্নচিত্র পাবো! যদি নতুনকিছু জানতে পারি, অবশ্যই সেটা নিয়ে কথা বলবো। 🙂
আপনি অনেক আগে একটা পোস্ট লিখতে বলেছিলেন, আমার আলসেমি আর বিষয়টা গুছিয়ে আনতে না পারার ব্যর্থতায় লেখা হচ্ছিলো না। এই সুযোগে সিনেমার রিভিউয়ের মাঝে সেই বিষয়টা নিয়ে কিছুটা বলেছি।
যদি দর্শন নিয়েই পড়ি, লিখি, তাহলে আরো আরো কথা হবে! এখন ভাবছি কেন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে দর্শন নিয়ে পড়লাম না! 🙁
আমার মতে প্রকৃত জ্ঞান ব্যক্তির মধ্যে অসহিষ্ণুতার বদলে ধৈর্য, প্রতিকৃয়ার বদলে স্থিরতা দান করে। আর তাই জগতে বরেন্য জ্ঞানীদের মাঝে খুব কমই অস্থিরতা-উগ্রতা-একগুয়েমী দেখবে। তবে এই অবস্থায় নিজেকে নিয়ে যাওয়া অনেক সাধনার ফল, অনেক দিনের ক্রমাগত চর্চার ফল।
- বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু সামাজিক প্রতিষ্ঠান যা' মূলতঃ মানুষকে সেই প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য অনুযায়ী চালিত করে। তারমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে পুরোপুরি মুক্তি চিন্তা সম্ভব নয়। অতএব, যা' কিছু করার নিজে থেকেই করতে হবে, নিজে নিজেই পড়তে হবে। আশা করি তুমি পারবে।
তোমার 'সেই লেখাটা'র অপেক্ষায় আছি।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আপনার কথাটা ঠিক, বিশ্ববিদ্যালয় 'প্রভাবিত' শিক্ষা অনেক সময়েই খণ্ডিত জ্ঞান, অপর্যাপ্ত বিচার। তবু একটা প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি থাকতো। নিজে নিজে চাইলে অনেক বেশি পড়াশোনা করা যায়, জানি। সেই চেষ্টাই করবো এখন থেকে। 😀
'সেই লেখাটা' (প্রতিটা আইডিয়াই অন্য আর সকল আইডিয়াকে হটিয়ে ব্যাপিত হয়) যে কবে লিখবো! 😕
চমৎকার লেখা আন্দালিব ভাই। মুভিটা এখনও দেখি নাই। দেখে মুভি নিয়ে আরও কথা বলব।
আমিও খুব হাইপেশিয়ার ফ্যান। আসলে পরবর্তীতে কোপারনিকাস যে চিন্তাধারার জন্ম দিয়েছে সুযোগ পেলে হয়তো হাইপেশিয়াই সেটা করে দেখাতে পারতো। আপনার লেখায় তার চরিত্র খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠছে। হাইপেশিয়ার কাজ নিয়ে আরও পড়লে শেয়ার কইরেন।
আমেনাবার এর আদার্স দেখছিলাম, খুব ভাল লাগছিল। আরেকটা সিনেমা আছে ওর, "তেসিস" (থিসিস)। দেখছেন এইটা? স্প্যানিশ ভাষার সিনেমা এটা। একেবারেই অন্যরকম। ভার্সিটির এক ছাত্রী অডিও ভিজ্যুয়াল ভায়োলেন্স তথা সিক টাইপের হরর মুভি নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে জটিলতায় জড়িয়ে পড়ে। দেখতে পারেন সিনেমাটা...
সরি, এটা আসলে মাহমুদ ভাইয়ের মন্তব্যের জবাবে লেখা না। আন্দালিব ভাইকে উদ্দেশ্য করেই লেখা।
হাইপেশিয়া পৃথিবীকে কেন্দ্র মনে করতেন না, শেষদিকে তাঁকে মেরে ফেলার আগে তিনিই সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবীর উপবৃত্তাকার পথে ঘোরার হাইপোথিসিস দিয়েছিলেন- এমন একটা ধারণা মুভিটিতে দেয়া হয়েছে। তাঁর এই আবিষ্কারের ঘটনা খুবই দারুণভাবে দেখিয়েছেন আমেনাবার!
আমি আমেনাবারের বাকি মুভিগুলোও দেখতে চাই। তেসিস-এর কাহিনী সংক্ষেপ পড়ে থ্রিলার মনে হওয়াতে অতো আগ্রহ হয় নাই (আজকাল মনের উপর চাপ পড়ে এরকম মুভি টানে না তেমন)। তুমি রেকমেন্ড করতেছো, তাহলে ডাউনলোড করে নিবো। 🙂
"আগোরা" দেখার পরে জানিও কেমন লাগলো।
আন্দালিব
খুব সুন্দর একটি লেখা হয়েছে। বেশ সুন্দর ভাবে ধর্মের সাথে দর্শনের পার্থক্যটুকু ফুটিয়ে তুলেছো। আমিও একই কথা উচ্চারণ করে যাই ঃ “I believe in Philosophy.”।
ধন্যবাদ মোস্তফা ভাই! আমার কেবলই মনে হচ্ছে ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের পার্থক্যের চাইতে ধর্মের সাথে দর্শনের পার্থক্য আরো বিষম। যদিও অল্পবিদ্যা নিয়ে বলছি, ভয়ঙ্কর হয়ে গেলে মরেছি!
আমি এখনও দর্শনে পুরাপুরি বিশ্বাস করি নাই। আমার মনে হয় বিশ্বাসের সুইচে গণ্ডগোল! 😕
ছবিটা দেখলাম আজকে। এ রকম একটি সুন্দর ছবির কথা জানানোর জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা। মনটা খারাপ হয়ে গেল। শুধু একটি কথাই বলে যাইঃ ভালো মানুষ কিংবা নিরীহ মানুষদের দিয়ে খারাপ কাজ করানোতে ধর্মের এবং আদর্শবাদের পক্ষেই সম্ভব।
অনেক ধন্যবাদ ভাই।
তীব্র সহমত! 🙁
জটিল লেখা 😀 পাঁচতারা :hatsoff:
থেংকু দোস্ত। আনন্দে চোক্ষে তারা দেখতেছি! 😀 :boss:
দুর্দান্ত ইন্টারনেট স্পিড আর নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত ক্রসকান্ট্রির ভেতর দিয়ে অবশেষে মুভিটা ডাউনলোড করতে পারলাম 🙁
এখন দেখতে বসবো। 🙂
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
:))
কাইয়ূম ভাই, দেখার পরে কী বলেন সেটা শোনার অপেক্ষায় থাকলাম। 😀
হাইপেশিয়ার স্কেচ দেখে হাই প্রেশার তো বাইড়া গেল :shy:
দেখি দেখা যায় কীনা। 😀
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
স্কেচটা ব্লগের ব্যাকগ্রাউন্ডের সাথে পুরো মিশে গেছে! আমি নিজেও দেখার পরে পুরাই "মুগধ"! :shy:
ছবিটা দেখো, ভালো লাগবে।