এলোমেলো বসে থাকা– এরকম একটা উপমা শুনেছিলাম, বা পড়েছিলাম কোন এক গল্পে বা কবিতায় বা উপন্যাসে। অথবা আমাকে কেউ শুনিয়েছিলো শব্দ তিনটা কয়েক বছর নাকি কয়েক মাস আগে। শব্দ তিনটা অনেক সময় বলে সবাই, কিন্তু এভাবে একসাথে বলে না। এলোমেলো হয়ে যায় সবাই, এলোমেলো জীবন কাটায় অনেকেই, এলোমেলো দিনরাত পাড়ি দেয় কেউ কেউ। আবার চুপচাপ বসে থাকে, স্থির হয়ে বসে থাকে, নয়তো হয়তো কেবল বসেই থাকে সবাই বা কেউ কেউ। কিন্তু এলোমেলো বসে থাকে বিশেষ কোন মানুষ। এলোমেলো বসে থাকা কেমন সেটা আমি জানতাম না। আমাকে কেউ শিখিয়ে দেয়নি। শ্লেটের ওপরে খড়িমাটির চক দিয়ে যেভাবে মাতামহী স্বরে “অ” লেখা শিখাতেন, অ-এর গোল পেট টেনে টেনে আঁকতে হতো, কারণ তা প্রায়ই ভুল হতো আমার, মিশে যেতে চাইতো অ-এর কালো মাথার সাথে। তাই আমি ঈষৎ কাঁপাকাঁপা হাতে চক টেনে টেনে “অ” লিখতাম। এভাবেই শিখতে হয় অপরিচিত প্রণালী, নিয়মে, অধ্যবসায়ে, একাগ্রতায়। কিন্তু আমি কখনো এলোমেলো বসে থাকতে শিখি নি। এমনকি শব্দগুচ্ছটাও আমার অপরিচিত ছিল অনেকদিন। তবু শব্দজোড়া শুনেই আমার মাথায় একটা ছবি তৈরি হয়ে গেল।
আমি তারপর থেকে সেই ছবিটির মতো এলোমেলো বসে থাকার চেষ্টা করতাম। এখনও অবসরে করি। কেউ যদি আমাকে এভাবে বসে থাকতে দেখে, তাহলে কি সে অবাক হবে? তার কি মনে হবে এটাকে এলোমেলো বসে থাকা বলে? নাকি তার মনে হবে আমি খুব স্বাভাবিকভাবেই বসে আছি, আমার বসে থাকায় কোন নতুনত্ব নেই, নেই অগোছালো বিন্যাস। তাই আমি একা একাই নিবিড়ভাবে চেষ্টা করতে থাকি কতটা নিখুঁত করে এলোমেলো বসে থাকা যায়।
এভাবে বসে থাকলে আমার মাথায় বিচ্ছিন্ন চিন্তাগুলো আসতে থাকে। একেবারে গোছানো-চিন্তা কোন কাজের নয়, সেটা আমাকে পাগল করে দেয় না। পড়ার সময়ে, পরীক্ষায় আগে আমি গোছানো-চিন্তা করি। তাতে করে আমার লক্ষ্য স্পষ্ট থাকে। কিন্তু এলোমেলো বসে থাকার কোন উদ্দেশ্য তো নেই, কারো উদ্দেশেও এই বসে থাকা নয়। এ’ শুধু আমার জন্যেই, একান্ত আপন। সেজন্যে আমি এভাবে বসে থেকে রাজ্যের কথা ভাবি। ফড়িঙয়ের মতো দুরন্ত হয়ে ওঠে মগজের কোষ, সিন্যাপ্স- যাবতীয় জৈব-রসায়ন। আমি তখন জুলফি বেয়ে ঘাম কেমন ধীরে ধীরে নেমে আসে সেই কথা ভাবি। আরও ভাবি, বুড়ো আঙুলে চটকে দিলে ঘামের কণার স্রোতটা থেমে যাবে। খোঁচা খোঁচা দাড়িতে অবশিষ্ট-ঘাম লেপ্টে থাকবে। আর হাতের বুড়ো আঙুলেও কিছু কিছু চলে আসবে নির্ঘাত; আমি সেই হাত জামায় মুছে ফেলবো। ঘামের চলন কতো বিবিধ, বহুবিধ!
তারপরে আমি আরো কত কথা ভাবি এভাবেই বসে বসে। নিয়মবিহীন ভাবনার সুবিধা হলো কাঠবিড়ালির মতো ডালে ডালে লাফিয়ে চলে যাওয়া যায়। মাথা ব্যথা করছে, মাথার ভেতরে রক্তের নাড়ির মতো দপ্ দপ্ করে উঠছে এক একটা ধাক্কা। ব্যথাগুলো কি চিন্তার কারণে জন্ম নেয়? এই যে দুর্গম এলোমেলো ঘুরছি মগজের কোষে কোষে, তারা হয়তো নিউরনে খবর দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। দৈনন্দিন পরিচিত চিন্তার বাইরে তারা বেশি যেতে চায় না। মানুষের মতোই তারা হয়তো অভ্যস্ততা ভালোবাসে! তাই আজ আমার অলস অত্যাচারে তারা বিরক্ত, নাজেহাল, ব্যথিত। এজন্যে এখন সেই ব্যথা ছড়িয়ে পড়ছে স্নায়ুর রাজপথ দিয়ে, ব্যাপন একটা সুচারু প্রক্রিয়া। এলোমেলো বসে থেকে পায়েও ঝিঁঝিঁ ধরে গেলো। অসাড় হয়ে আসছে পায়ের আঙুল, আঙুলের ডগায় একটা কালো পিঁপড়া পিলপিল করে ঘুরছে- অস্থির! আমার চিন্তার মতোই এলোমেলো তার চলন। পিঁপড়াচলনের পথরেখা কেমন হবে? অমিত সম্ভাবনাময় সঞ্চারপথ। আগে থেকে তো বোঝার উপায় নেই পিঁপড়াটা ঠিক কোন দিকে যেতে পারে। আর বোঝা যায় না বলেই যে কোন দিকে চলাচলের এই বিপুল আশ্বাস নিয়ে নিশ্চয়ই পিঁপড়াটি ভাবনায় জর্জর। আবার নাও হতে পারে। হয়তো এমন কষ্টকর চিন্তা যাতে করতে না হয় এজন্যে পিঁপড়ার মগজ খুব কম। একদিকে কম পেলে আরেকদিনে বেশি থাকে। পিঁপড়ার পা অনেকগুলো, ছয়টা পায়ে তরতরিয়ে অসীম সম্ভাবনাময় পথে সে হাঁটছে, চারণভূমি আমার পায়ের নিঃসাড় বুড়ো আঙুল।
অনুভূতিশূন্য হতে পারাও একধরনের সক্ষমতা। এই গুণ সহজাত নয়, অনুশীলনজাত, অভিজ্ঞতাসঞ্জাত। আমি সেটার অনুশীলন করি না, অনেকে করে, আমি তাদের মুখের রেখার সরলীকরণ দেখে মুগ্ধ হই। দুঃখ-তাপে অবিচলতা দেখে আমার সমীহ জন্মায়। প্রচণ্ড বিপদে বা দূর্যোগে তাদের ইস্পাত-কঠিন স্নায়ু দেখে ভক্তিতে আমি প্রায় মাটিতে মিশে যাই। মাটিতে মিশে যেতে যেতেই আমি দেখি আমার শরীর কালো হয়ে উঠছে। রক্ত শুকিয়ে গেলে কালো হয়ে যায়? বোধহয়। শীতলপাটির মতো কালো মাটি সম্ভবত শুষে নিয়েছে রক্তকণা, শ্বেত, লোহিত ইত্যাদি। নিয়ে গেলেও ক্ষতি নেই, আমি ব্যবসা করতে চাই না তাই লাভের বা লোকসানের চিন্তা নেই। এই সকল নেই নেইয়ের মাঝেও মাথার ভেতরে সূক্ষ্ণ চিল-চিৎকার ব্যথা এখনও সরব! মাটিতে শুয়েই ঘাড় এদিক-ওদিক হেলিয়ে আমি ব্যথাপাচার করে দেয়ার চেষ্টা করি। মাটি সব নিলো, রক্ত-ঘাম-শ্লেষ্মা-ত্বক। খালি আমার এলোমেলো বসে থাকার ভঙ্গিটা নিলো না! আমার ক্রমচলনের মগজকীট নিলো না! আমার পায়ের ওপর ঘুরে বেড়ানো পিঁপড়া নিলো না!
***
😀
আন্দালিব,
পরে পড়বোনে, এখন ঘুমাতে যাচ্ছি ।
জীবনের প্রথম প্রথম হইলাম 🙂
২য়
😀 😀 😀 😀
আমিও পরে পরুম........................।। =)) =))
অনুভূতিশুন্য হইতে পারতাম যদি ।
অনুভূতিশূন্য হতে পারার সক্ষমতা আমি অর্জন করতে চাই না। মানুষ হিসেবে আবেগ এবং অনুভূতিতে ভেঙে পড়াটাই আমার জন্য আপাত-সুখের! ধরেই নিয়েছি ঐ সক্ষমতা আমার জন্য নয়!
এইডা কি কবিতা না গল্প নাকি অন্য কিছু 🙁 । যাই হউক, পড়তে ভালা লাগছে। :thumbup:
কবিতা বা গল্প এরকম ট্যাগ দিতে পারলাম না মরতুজা ভাই। এজন্যেই এটা ট্যাগহীন। পড়ে ভালো লাগলেই আমার তৃপ্তি। 😀
কোন একটা টাইপের (গল্প/কবিতা/প্রবন্ধ) মধ্যে ফেলতে না পারার অস্বস্তিটুকু স্বত্তেও ভালো লেগেছে।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আইচ্ছা তাইলে ধইরা নেন এইটা ব্লগর ব্লগর। 😀 সেমি-দিনলিপি, কোয়ার্টার-গল্প, রাউন্ড-রবিন-কবিতা! ;;;
আমার নাম এ কবিতা কে লিখলো? =))
হেহে, সেটাই তো রহস্য! ;;;
ভালা লাগছে।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
থেংকু কামরুল ভাই। 😀
এই লেখার সূচনাটা আমার খুব খুব ভালো লেগেছে। ভালো লেগেছে লেখাটাও।
আন্দা......তুমি রক কর। :thumbup:
জ্বি বস, আমি ভাবতেছি নতুন মিউজিক জঁরা করবোঃ এলোমেলো রক। লিরিক, সুর, গাওয়া সব আমার হবে! :awesome: :gulli2:
অনুভূতিশুন্যতা আর এলোমেলো বসে থাকার মধ্যে একটা মিক্সিং আনা যায় না। যখন দরকার অনুভূতি শুন্য থাকলাম, যখন দরকার এলোমেলো ঘাম মুছলাম কিংবা পিপড়ার গতিবিধি মাপলাম, দারুন হয় তাহলে।
লেখা ভালো লেগেছে। তোমরা বিখ্যাত হয়ে উঠার আগেই তোমাদের লেখা পড়ছি, ভাবতে মজাই লাগে।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
হুম, আনা তো যায়ই। এটা তো কন্ট্রোল্ড এলোমেলো থাকা। সময় করে, গুছিয়ে প্ল্যান করে এলোমেলো ভাবনা। সুতরাং চাইলে সেইসময়টায় অনুভূতিকেও নিয়ন্ত্রণ করা যায়। (তবে অনুভূতির নিয়ন্ত্রণ বেশ কঠিন ঝামেলার কাজ!)
ফয়েজ ভাই, আমি বিখ্যাত হতে চাই না! বিখ্যাত হওয়ার অনেক সমস্যা, বহু যন্ত্রণা। সবচেয়ে বড়ো ভয় বিখ্যাত হলে নিজের সততা হারিয়ে ফেলার। আমি হয়তো তখন মিথ্যুক আর ভণ্ড হয়ে উঠবো। সেটা আমার কাছে বড়ই বেদনার হবে। তারচে' বরং এমনই থাকি- সাধারণ, নির্বিবাদ, অবিখ্যাত। 😀
নাহ ভাই, দিনদিন আপনার পাংখা হইয়া যাচ্ছি.....
খাঁটি কথা বলছেন......ক'দিন পরে বসে ভাল একটা পোস্ট পড়লাম.......বিখ্যাত না হইয়া নিয়মিত লিখে যান......
পাংখা হও ভাল, এসি হইও না। ওতে আবার ঠাণ্ডা বেশি লাগে, ইলেক্ট্রিসিটিরও অপচয়! :-B
এলোমেলো বসে থাকা নিয়ে বললি কিন্তু লেখাটা তো পুরোটাই গোছানো । তোর কাছ থেকে ফিকশন আশা করছি । অনেকদিন ফিকশন লিখিস না । লিখে ফেল সময় থাকলে । মনে আছে তোকে বলেছিলাম মেয়ে চরিত্র নিয়ে তোর লেখা কম । দেখতো একটা এলোমেলো নামানো যায় কিনা । আর লেখার ধরনটা ভাল লেগেছে । শব্দ আর বাক্য নিয়ে তোর এই খেলাটা বেশ ইনজয় করি ।
ফিকশন একটা লেখার চেষ্টা করছি। বড়োগল্প। ইদানিং ভাবছি বইয়ে যেসব গল্প পড়ি সেগুলোর আকারের লেখা লিখবো (যেহেতু গল্প কম লিখি, আকারে বড়ো হওয়া উচিত)। একটু সময় লাগছে গুছিয়ে নিতে। আর লিখতে লিখতে এটাও ভাবছি যে সেটা ব্লগের পরিবেশে খাপ খাবে কী না। আকারে বড়ো হলে তো অনেক সময় মনিটরে পড়তে অসুবিধা হয়... 🙂
এইটা আমার হেভি মজা লাগে! দুনিয়ার সেরা খেলা! 😉
পর্ব করে দে । পড়তে সুবিধা হবে ।
জীবনের এই প্রথম আপনের লেখার পুরাটাই এন্টেনার রেঞ্জে পাইলাম 😛
তাই ভালো লাগতেছে 😀
হাহা।
হায়রে এন্টেনা। আমার ফ্রিকোয়েন্সি এখন রেডিও ওয়েভ রেঞ্জে নিয়ে আসছি। যাতে সবাই ভালো করে পড়তে পারে! 😀
ব্লগর ব্লগর ভালো লেগেছে 😛
অনেকদিন পর ভাইয়া, 🙂
এলোমেলোভাবে বসে থাকে ক্যাম্নে?? 😕
হুম, অনেকদিন পরে ব্লগর ব্লগর করলাম। এলোমেলো বসে থাকা এটা যার যার নিজস্ব যাপন। নিজে নিজে একা একা নিজের মতো করে বসে থাকেন, ভেবে দেখেন কীভাবে বসে থাকলে সেটা এলোমেলো মনে হবে আপনার কাছে। সেটাই আপনার জন্য এলোমেলো বসে থাকা।
দোস্ত তোর লেখা বড় ভাল লাগল। আমার সাথে মিলছে। আমিও এলোমেলো ভাবে বসে থাকতে চাই। তোর লেখার সাথে নিজের অবস্থা প্রায় মিলে যায়। তাই তোর লেখার অপেক্ষায় থাকি আর ভাবি দেশে এত মজা (আমরা যারা বাইরে তাদের কাছে দেশে থাকাটাই মজা) র মধ্যে থেকে তুই আমাদের এইসব অনুভূতি কিভাবে অনুভব করিস।
এই সব অনুভূতি বুঝতে পারি কারণ দেশেও আমাদের বয়েসি সবার অবস্থান মোটামুটি তোদের মতই। আসলে আমরা যে সময়ে পড়াশুনা করেছি, বড়ো হয়েছি, আমাদের আশেপাশের বাস্তবতা কিন্তু একই ছিলো। ভালো ছাত্র, বাবা-মায়ের চোখের মণি, আত্মীয়দের প্রশংসা বা দোয়া- এগুলো নিয়েই বেড়ে ওঠা। এখন পঁচিশ পেরিয়ে সামনের পথটুকু স্বচ্ছ হয়ে উঠছে আর দেখছি মানুষ হিসেবে, বা এই দেশের নাগরিক হিসেবে আমার ক্ষুদ্রতা! আসলে কিছুই করার নাই। নিজেকে প্রতারিত করার মতো বোকাও নই যে মনে করবো যেভাবে আছি ভালো আছি।
এটাই জীবন, এটাই গিভেন ডেটা, এটাই আনসল্যুবল ইকুয়েশন। সবকিছু হুদাই। সেজন্যে তোর আর আমার মাঝে মাইল মাইল দূরত্ব থাকার পরেও... আমরা এক। 🙁
ভালো লাগিল। ঘাম মুছার ব্যবচ্ছেদটা বেশী ভালো হইছে। মনে পইড়া গেল আপনের তো আবার বিশাল জুলফু 😀 😀 😀 😀
সরি জুলফি হইব। 🙁 🙁
------------------------------------------------------------------
কামলা খেটে যাই
বিশাল জুলফি মনে করায়ে দিলা! এখন আর নাই রে ভাই। শিক্ষকতা এমন চাকরি এখানে খুব "সাধারণ" লুক নিয়ে চলতে হয়। এনিথিং আউট অফ অর্ডিনারি হইলে কেমন জানি লাগে নিজের কাছেই! 😕
ব্যাপার না।
শালার লাইফ ~x( ~x( মানাইয়া নিতে নিতেই জান শেষ 😡 😡 :bash: :bash:
------------------------------------------------------------------
কামলা খেটে যাই
হ
কালে কালে আরো কতো দেখুম। :no:
আন্দালিব তোমার মত খুব এলোমেলো বসে থাকতে ইচ্ছে করছে,নাকি আমরা সবাই কোন না কোন সময় এলোমেলোই বসে থাকি????
লেখাটা খুব ভাল লাগল
সেই ইচ্ছাটা জাগিয়ে তুলতে পেরে আমারও ভালো লাগছে মনসুর ভাই। আমরা সবাই কিছু কিছু সময়ে একইরকম!
এটা কী বলবো বাস্তব-দর্শন; নাকি ভাবনার প্রগাঢ়তা। মাঝে মাঝে আমিও এলোমেলো বসে ভাবি, কাঠখোট্টা তড়িৎ প্রকৌশল নিয়ে পড়ে থেকেও এত চমৎকার ভাবে ভাষার খেলা করেন কি করে!! :salute:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
পড়াশোনাটা পেটের ধান্দায়, সেই পড়ার মাঝে আনন্দ কম। আর লেখালেখিটা নেশা, মনের অপূর্ণতা পূরণের প্রয়াস। এজন্যেই এখন পড়ার বাইরে যা পড়ি, তা খুব আনন্দ নিয়েই পড়ি- তা ব্লগ হোক বা কোনো বই।
আর প্রকৌশলীরা লেখক হিসেবে ভালোই হয়! (ব্লগে প্রচুর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া লিখিয়ে সেটার প্রমাণ) 😀
নাহ এই চিন্তাটা তাইলে আমারো বাদ দিতে হয়...... :-B অবশ্য অর্ধেক রাস্তা পার হইয়া গেসি... B-) এখন ভেরী ডিফিকাল্ট টু কাম ব্যাক :no:
লেখায় ৫ তারা...চরম :thumbup:
আরে, আমার কথায় কোনকিছু বাদ দেয়ার দরকার নাই রেজওয়ান। বিখ্যাত হয়ে ওঠা মোটেই খারাপ কিছু না (বরং উচ্চাভিলাষ অনেক মানুষের ভেতর থেকে শ্রেষ্ঠ আউটপুট বের করে আনে)। আমার জন্যে দেখেছি সেটা মাঝে মাঝে বুমেরাং হয়ে যায়। আমি তখন অনেকটাই "আউট অফ ক্যারেক্টার" আচরণ করি বলেই সাবধানে থাকি, এই যা।
তুমি, তোমরা বিখ্যাত হয়ে ওঠো, আমি সেটা বলে লোকজনের কাছে ভাব নিতে পারবো! B-) :clap:
নাহ ভাই আপনার প্রসেসর আমার লাগবই। অনেকদিন পর পড়লাম আপনার লেখা, বরাবরের মতই। এরকম খেলাধুলা নিয়মিত করেন; বড় ভালা পাই। 🙂
থ্যাঙ্কু হাসনাইন! :hatsoff:
এত সুন্দর একটা নাম...
অথচ, আমরা এইটারে কই 'চেগায়া বইসা থাকা'...... 🙁
ধুর...আমি আসলেই অশিক্ষিত... :(( :bash:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আপনার কমেন্ট পড়ি আর ভাবি, কত কিছু শেখার বাকি!
চেগাপট্টমের কথা মনে করায়ে দিলেন। =))
শেখার কোন শেষ নাই ;)) ;))
=))
এলোমেলো বসে থাকা? মাথার ভেতর ফাঁকা
চিন্তাটা আকাবাঁকা হায়!
আন্দার লেখা
যতই পড়তে থাকি, ভাবি কতকিছু বাকি...
মুগ্ধতা আরো বেড়ে যায় :dreamy:
আন্দা, তুমি আসলেই ভস্ পাবলিক (সিরিয়াসলি বলছি)। বাক্য আর শব্দের এই খেলা চলুক, চলতে থাকুক :gulli:
আপনার কমেন্টে অনেক উৎসাহ পেলাম রহমান ভাই! আসলেই অনেক ভালো লাগছে!
লেখা চলবে অবশ্যই। আমি আর কিছু না হোক, আপনারা পড়বেন এই আনন্দেই লিখবো!