৫।
টাকা-পয়সা মিটিয়ে দিয়ে ন্যাশ টেলিগ্রাফ অফিস থেকে বের হতেই দেখল রাস্তার উপর তিনজন লোক দাঁড়িয়ে আছে। ওদের মধে সবচেয়ে কুৎসিতদর্শন লোকটা বলে উঠল,
-তুমি কেভিন ন্যাশ?
-কে জানতে চাইছে?
-আমি হেনরি ওয়াকার, এইচ এম র্যাঞ্চ এর ফোরম্যান। আমাদের বস হ্যারি মার্টিন তোমাকে যেতে বলেছে, তোমার সাথে পরিচিত হতে চায়।
খুব কষ্ট করে মেজাজটা ঠান্ডা রেখে শান্ত গলায় ও বলল,
-আজ তো আমি অন্য প্ল্যান আছে, কাল তোমাদের ঐদিকে যাব। তখন না হয় তোমার বসের সাথে…
-কাল নয়, আজই। বস যখন বলেছে দেখা করতে, আজ এবং এক্ষুনি যেতে হবে। বুঝেছ? কথাটা বলে গায়ের উপরে পড়ে থাকা ওভারওলটা দু হাতে হালকা করে সরিয়ে দিল। দেখা গেল ওর ডান পাশের কোমরে পিস্তল ঝুলছে! বোঝা গেল ন্যাশের দুই উঁরুতে থাকা পিস্তলজোড়া ওদের কাছে কোন গুরুত্ব বহন করছে না!
-দাওয়াত খাওয়ানোর ব্যাপারে তুমি দেখছি নাছোড়বান্দা! ঠিক আছে চল…
‘কি বলে ছিলাম না?’ টাইপ অবজ্ঞার হাসি হেসে হেনরি দুই সাগরেদ এর দিকে ঘুরতেই এক লাফে ওর কাছে পৌঁছে গেল ন্যাশ। টের পেয়ে হেনরি আবার মুখ ঘুরাতেই ন্যাশ ধাম করে ওর মুখে ঘুসি মেরে দিল, প্রায় উড়ে গিয়ে রাস্তার উপর পড়ে গেল হেনরি। ধুলোর মধ্যে ওর অচেতন দেহটা পড়া দেখে দুই সাগরেদ প্রায় জমে গেল। হচকিতভাব কেটে যেতেই পিস্তল বের করতে গিয়ে দেখল ন্যাশের দুই পিস্তল দুইজনকে কাভার করে আছে।
-হিরোগিরি দেখাতে চাইলে পিস্তলে হাত দিতে পারো। আমি কিছু মনে করব না!
দুই সাগরেদই বিপদ বুঝে দুই হাত তুলে দাঁড়িয়ে রইল। একজন অবশ্য মুখ খুলল,
-কি বিপদে পড়তে যাচ্ছ তুমি জান না মিস্টার। তোমার কপালে খারাবি আছে!!
-তোমাদের ফোরম্যান মাটিতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে, আর তোমরা দুইজন আমার পিস্তলের সামনে দাঁড়িয়ে। বিপদে তো তোমরাই আছো, হে!
কোন জবাব না দিয়ে দুইজনই চোখ পাকিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে রইল। ন্যাশ পিছন ঘুরে দেখল টেলিগ্রাফ অপারেটর চোখ বড় করে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। বোঝাই যাচ্ছে পুরো ঘটনাই সে চাক্ষুষ করেছে। ন্যাশ ওর দিকে তাকিয়ে বলল,
-তুমি টেলিগ্রামটা পাঁচ মিনিট পরেও করতে পারবে। এখন গিয়ে শেরিফকে ডেকে নিয়ে এসো তো! বলতে না বলতেই সে পড়িমরি করে ছুটল।
দুই মিনিটের মাথায় শেরিফ এসে হাজির।
-কি হয়েছে এখানে??
-সামান্য ভুল বোঝাবুঝি! ওরা আমাকে দাওয়াতে নিয়ে যেতে চাচ্ছিল, আর আমি এখন কিছুতেই যেতে চাচ্ছিলাম না। সানসিটির সবাই ই কি এরকম অতিথিপরায়ন নাকি??
**************************************************
-‘তোমাকে আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না!’ পরীক্ষার হলে কোন ছাত্র প্রশ্নপত্রে কমন প্রশ্ন না পেয়ে যেমন অসহায় ভাব করে, বেশ কিছু মুহুর্ত চুপ থাকার পর শেরিফের কথা শুনে ঠিক তেমনটাই মনে হল!
-না বোঝা-বুঝির তো কিছু দেখছি না! আমি নির্বিবাদী মানুষ। একটা কাজে এখানে এসেছি, চুপচাপ কাজ শেষ করে চলে যাব। কিন্তু কেউ যদি আমাকে ঘাটায় তাকে ছেড়ে দেবার মতন ধৈর্য্য এবং মহানুভবতা আমার মধ্যে নেই।
-কিন্তু ডাবল এ্যারো বা এইচ এম র্যাঞ্চের লোকদের সাথে যতটা সম্ভব সদ্ভাব বজায় রাখা তোমার নিজের জন্যই জরুরী। এখানে ওরাই আইন! আমি নিজের অসহায়ত্ব বা কাপুরুষতা প্রকাশ করছি না, তবে এটাই সত্যি!
-আরে দূর! তুমি কিচ্ছু চিন্তা কর না। আমি কারো সাথেই ঝামেলায় জড়াচ্ছি না। বরং দু’একদিনের মধ্যে আমি হয়ে উঠব এই এলাকার সবচেয়ে জনপ্রিয় মানুষ!!
-তোমার হেঁয়ালিপনা আমাকে ঠিক আশ্বস্ত করতে পারছে না। কিন্তু, আমার কি? তুমি যদি যেচে পরে ঝামেলায় জড়াও আমি আর কি-ই বা করতে পারি! যাহোক, ওয়াকারের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ দায়ের করতে চাও?
-নাহ্। ওয়াকারের মতন লোকদের আমার ভাল করেই চেনা আছে- শক্তের ভক্ত, নরমের যম। ওকে নিয়ে আমি কোন চিন্তা করছি না। তাছাড়া, শীঘ্রই ওর বসের সাথে আলাপ করতে যাব। তখন সব ভুল বোঝা-বুঝির অবসান হয়ে যাবে।
ওর দাঁত বের করা হাসি দেখে শেরিফকে খুব একটা প্রসন্ন মনে হল না। মুখ কালো করে থাকা শেরিফের অফিস থেকে বের হতে গিয়ে আবার ফিরে এল ও।
-শেরিফ, তোমাকে পুরনো একটি ফাইল এর ব্যাপারে জানিয়েছিলাম, মনে আছে?
-হ্যাঁ।
-১৫ বছর আগের এক সংঘর্ষে এই এলাকায় বেশ কয়েকজন র্যাঞ্চার মারা গিয়েছিল। এদের মধ্যে কয়েকজন মারা গিয়েছিল সপরিবারে। আমি ঐ সময়কার ফাইলটা একটু দেখতে চাইছি। তোমার যদি কোন আপত্তি না থাকে তাহলে…
-আপত্তির কিছু দেখছি না। আমি খুঁজে পেলে তোমাকে জানাবো।
-অনেক ধন্যবাদ তোমাকে। ভাল কথা, আমি জানি তুমি আমার ভালোর জন্যই আমাকে নিয়ে চিন্তা করছ, সেটার জন্যও ধন্যবাদ। আমার অন্যতম সেরা গুণ হচ্ছে বন্ধু বা শত্রু চিনতে কখনো দেরি হয় না! সুতরাং চিন্তা কর না।
চিন্তার তো সুইচ নেই যে ইচ্ছেমতন অফ-অন করা যায়! রাফ-এন্ড-টাফ এই ছেলেটার জন্য শুধু চিন্তা নয়, রীতিমত দুশ্চিন্তা হচ্ছে- মনে মনে ভাবল শেরিফ।
৬।
‘আজ আর বাইরে গিয়ে কাজ নেই, বরং শহরের মধ্যে ঢু মারা যাক’ ভাবল ন্যাশ। আস্তাবলে গিয়ে ঘোড়াটাকে এক নজর দেখে নিয়ে শহরের মাঝ বরাবর রাস্তা ধরে হাঁটা শুরু করল। প্রথমে উদ্দ্যেশ্যহীনভাবে শুরু করলেও কিছুক্ষণ হাঁটা র পর মনে মনে একটা লক্ষ্য স্থির করে ফেলল। একজনকে খুঁজতে হবে!
পশ্চিমে ‘একজনকে খুঁজছি’ সরাসরি কাউকে বলার অনেক ঝামেলা আছে। কেননা এরমানে হচ্ছে খুন করার জন্য খোঁজা। সেকারনে যাকে খুঁজছে তার খোঁজ বের করা একটু কঠিন হয়ে গেল। অবশেষে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসা করার পর লোকটার হদিস পেল। ডার্টি মরিস, শহরের আন্ডারটেকার!!
শহরের একেবারে শেষপ্রান্তে ভাঙ্গাচোরা এক বাসার সামনে এসে উপস্থিত হল ও। কিছুক্ষণ ইতস্তত করে বন্ধ দরজায় টোকা দিল। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরও কোন সাড়া পাওয়া গেল না। দরজায় জোরে ধাক্কা দিতেই দরজা খুলে গেল। ভেতরে ঢুকে কিছু সময়ের জন্য ন্যাশ প্রায় অন্ধ হয়ে গেল। বাইরের উজ্জ্বল আলো থেকে ঘুটঘুটে অন্ধকারে আসার কারনে এমনটি হল। কয়েক মুহূর্ত চোখ পিট পিট করে অবশেষে কিছুটা হলেও দেখতে শুরু করল। রুমের মধ্যে ভাঙ্গা আসবাবপত্র, কাঠের টুকরো, কয়েকটা আস্ত কফিন-এসব হাবিজাবি দিয়ে ভরা। এক কোনায় মেঝের উপর থাকা একটি কফিনের উপর কম্বল রেখে একজন হাত-পা ছড়িয়ে শুয়ে আছে। পাশে বেশ কয়েকটি হুইস্কির খালি বোতল পড়ে থাকতে দেখে বোঝা গেল ‘ভদ্রলোকের’ এখনো সকালই হয় নি!
-‘মরিস, ওঠো!’ কফিনে লাথি মেরে ন্যাশ চিৎকার করে ওকে ডাক দিল।
-‘ও গড! আমাকে নরকে দিও না’ বলে ডার্টি মরিস হাউমাউ করে উঠলো।
অনবরত চিৎকার করতে থাকা মরিসকে থামাতে কিছুটা নিচু হয়ে ন্যাশ ওর কলার ধরে এক ঝটকায় ধরে দাঁড় করিয়ে দিল। এক হাতে কলার ধরে রেখেই অন্য হাত দিয়ে ঠাস করে মাঝারি সাইজের চড় মেরে দিল। চড়টা খেয়েই মনে হয় জনাবের হুঁশ ফিরল।
-তোমার নরকে যাবার এখনো কিছুটা দেরি আছে’ ন্যাশের কথা শুনে ওর দিকে ভাল করে চাইল মরিস।
-কে তুমি?
-আমি ন্যাশ। তোমার সাথে কিছু কথা বলতে এসেছি।
-ন্যাশ…ন্যাশ…ওহ মনে পড়েছে! তুমি শহরে নতুন এসেছ, তাই না? তা আমার সাথে কি কথা তোমার?? চোখ কুতকুত করে জিজ্ঞাসা করল ও।
-তোমার মুখ দিয়ে যেভাবে গন্ধ বের হচ্ছে, আমার প্রথম কথা হচ্ছে-জলদি হাত-মুখ ধুয়ে নাও!
-আমার ব্যক্তিগত ব্যাপারে তোমাকে নাক…’ বলতেই ন্যাশ ওর কলার ধরে হ্যাঁচকা টান দিয়ে হিড়হিড় করে টেনে ঘর থেকে বাইরে নিয়ে এল। এরপর বাড়ির সামনে থাকা বিশাল বালতিসদৃশ পানির পাত্রটার মধ্যে ওর মাথাটা চুবিয়ে দিল। কিছুক্ষণ দাপাদাপি করার সময় দিয়ে ন্যাশ ওর কলার ছেড়ে দিল।
-তোমাকে আমি খুন করে ফেলব!’ ছোটখাট শরীরের ডার্টি মরিস ওর চেয়ে দেড়গুণ বড় ন্যাশকে হুমকি দিল। এই কথা শুনে রাস্তাদিয়ে হেঁটে যাওয়া দুইজন তরুনী খিলখিল করে হেসে উঠল। ওদের দিকে তাকিয়ে ন্যাশ হ্যাটটা নড করে অভিবাদন জানালো। মেয়েদুটোর গালে হালকা রক্তিম আভা দেখা দিয়েই মিলিয়ে গেল আর ওরা হাসতে হাসতে দূরে চলে যেতে থাকল।
-ও মরিস! আমি দুঃখিত! তোমার ঘুম ভাঙ্গানোর জন্য এরচেয়ে সহজ কিছু আর আমার মাথায় আসে নি। চলো, তোমাকে নাস্তা করাই। মাই ট্রিট, ওকে?
কিছুক্ষণ ওর দিকে তাকিয়ে থেকে অবশেষে ফোকলা দাঁত বের করে মরিস সন্ধি করার হাসি দিল। ‘যাও তোমাকে মাফ করে দিলাম, তাছাড়া তোমার সাইজের কফিন বানাতে আমারই কষ্ট হত!!
অনেক কষ্টে হাসি চেপে ন্যাশ ডার্টি মরিসকে নিয়ে ম্যাথু টেইলরের সেলুন এর দিকে রওনা হল।
*******************************************************************
-‘সকালে সাধারনত আমি কিছু খাই না’ তিন জনের সমান নাস্তা করে কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে মরিস জানালো।
-সেটা তোমাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে’ মুচকি হেসে ন্যাশ ওর বক্তব্য সমর্থন করল।
-এবার বল তুমি কি জানতে চাও। তবে একটা কথা আগেই বলে রাখি-বিশ বছর ধরে সানসিটিতে থাকলেও এখানকার বেশিরভাগ জিনিসই আমার অজান্তে হয়। মানে বোঝই তো…আমার পেশার সাথে হুইস্কির খুব গাঢ় সম্পর্ক রয়েছে! যত বেশি হুইস্কি, তত কম স্মৃতি…অকুপেশনাল হ্যাজার্ডও কম!
-আমি জানতে চাচ্ছি প্রায় ১৫ বছর আগের এক ঘটনার। রেঞ্জ ওয়্যার এ বেশ কিছু লোক মারা গিয়েছিল। ওদের মধ্যে এক পরিবারের দশ-এগার বছরের ছোট্ট একটি ছেলে বাদে সবাই মারা পড়েছিল। মনে পড়ে?
– ১৫ বছর, না? মাথা চুলকে মরিস মনে করার চেষ্টা করতে লাগল। ‘ওহ, মনে পড়েছে! সে এক কঠিন সময় গেছে…এক সপ্তাহের মধ্যে আমাকে দশ-বার জনকে কবর দিতে হয়েছিল। তখন শেরিফ ছিল আর্থার, বড় ভাল মানুষ ছিল। আর্থার অবশ্য নরম স্বভাবের ছিল, তবে ফ্যামিলিম্যানরা তো একটু নরম হয়। নিজের খেয়াল রাখা, পরিবারের দিকে…
-মরিস! আর্থার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি না।’ বাধা দিয়ে ন্যাশ বলে উঠল। ‘ঐ ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত বল।’
-আমার আসলে অত কিছু মনে নেই। গরু চুরির অভিযোগে ক্রিস এভার্ট এবং হ্যারি মার্টিন সদলবলে আশে-পাশের ছোট র্যাঞ্চারদের বাড়িতে যায়। এক পর্যায়ে গোলাগুলি হয়, এতে করে অনেকে মারা যায়।
– ব্যস, এত সহজ? কোন তদন্ত হয় নি?
-আর্থার তদন্ত করেছিল। কিন্তু সাক্ষ্য-প্রমানের অভাবে বেশিদূর এগোতে পারে নি। তবে আর্থার মনে হয় কিছু জানত পেরেছিল।
-কিভাবে বুঝলে?
-একদিন মাতাল অবস্থায় আর্থারকে ক্রিস এভার্ট এর সাথে ঝগড়া করতে দেখেছিলাম।
-ক্রিস এভার্ট? মানে ডাবল এরো’র মালিক?
-হ্যাঁ। ও নাকি কি সব প্রমান পেয়েছিল। কিন্তু পরেরদিন সকালে শুনলাম কোন প্রমান-টোমান কিছুই নেই। এর এক সপ্তাহ পরে আর্থার পরিবারসহ শহর ছেড়ে চলে যায়…
-তাই?
-হ্যাঁ। আমি অবশ্য অবাক হইনি। হুইস্কি পেটে পড়লে অমন অনেক কথাই মুখ দিয়ে বের হয়-যার কোন ভরসা নেই।’ ন্যাশকে ভ্রুকুটি করতে দেখে মরিস তাড়াতাড়ি বলে উঠল, ‘খোদার কসম, যা বলছি সব সত্যি! আমার পেটে এখন এক ফোঁটাও হুইস্কি নেই।’
-হুম। বিশ্বাস করলাম। তাছাড়া বিশ্বাস না করেই বা উপায় কি! তোমার কথার ডাবলচেক তো আর করতে পাচ্ছি না!
-একটা উপায় অবশ্য আছে…
-কি উপায়?
-আর্থারকে জিজ্ঞাসা করতে পার?
-মানে?? ও না শহর ছেড়ে চলে গেল?
-‘শহর ছেড়ে গেলেও খুব বেশি দূরে যায় নি’।
একটু সামনে ঝুঁকে নিচু স্বরে বলল, ‘শুনেছিলাম ও নাকি এখন কারসন সিটিতে আছে, বছর কয়েক বছর আগেও ওখানে ওকে দেখা গেছে।‘
-কারসন সিটি যাবার পথ কি?
-খুবই সহজ! সানসিটি থেকে উত্তরদিক বরাবর গেলে হেনরি ওয়াকারের র্যাঞ্চ পার হয়ে দশ মাইল যাবার পর গোল্ড ডাস্ট রিভার পড়বে। ওখান থেকে কারসন সিটি আরো পঞ্চাশ মাইলের মতন। আমি তোমাকে একটি ম্যাপ এঁকে দিচ্ছি, সেটা দেখে সহজেই যেতে পারবে। শুনেছি শহরটা অনেক সুন্দর, বড় এবং জমজমাট! ওখানকার মেয়েগুলোও নাকি ভয়ানক সুন্দরী। বয়স ত্রিশ বছর কম হলে তোমার সাথে যেতাম, বহুদিনের শখ আমার ওখানে যাবার। কিন্তু…
-ওর চেয়েও ভাল অফার দিচ্ছি! জুলাই মাসেই তোমাকে ক্রিসমাস গিফট দেব ভাবছি-দুই বোতল হুইস্কি!!
-মেরি জুলাই ক্রিসমাস!!!
:clap: :clap: :clap:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:just: :clap:
ভালো থাকা অনেক সহজ।