সমস্ত বিকেল ধরে
সাদাটে আকাশে
কে যেন
আঁকছেই
মেঘের পরে মেঘ,
খসখস খসখস –
৩বি ৪বি পেন্সিলে
জানলায়
থেকে থেকে’
সূঁচলো সরেখ বিদ্যুৎ।
গ্রীলের ছায়া
দেয়ালে ঝনঝন করে ওঠে –
মহাসাগর পাড়ি দিয়ে
হাইওয়ে ধরে ছোটে
টিনের চাল, থিরথির কচুপাতা
ডালের বড়া, মায়ের সবুজ শাড়ি
ধু ধু পার্কিং লটে
বৃষ্টির বাজনা দেখে
উনুনে-ফুটন্ত-ভাতের ঘ্রাণ আসে
আসে ডিমের সস্তা কারি;
এমন দিনে
সিডি কিংবা ল্যাপটপে নয়,
প্রাচীন কোন ক্যাসেটেপ্লেয়ারে
মায়ের পছন্দের গানগুলো
বাজাতে বড় ইচ্ছে করে
:clap: :clap: :clap: :boss: :boss: :boss:
🙂 🙂 🙂
আহা ... নুপুর, শব্দ দিয়ে কি চমৎকার ছবি আঁকতে পারো ।
খুবই ভালো লাগলো। :clap: :clap: :clap: :clap: :clap:
নিজে কানা পথ চেনে না
পরকে ডাকে বার বার
অরূপদা'
লজ্জা পাইলাম।
কর্কশ শব্দে ফাটল ধরলো আকাশে। ভাঙা টুকরো অবশ করে দিতে চাইছে উষ্ণ রক্ত-মাংস। কাঁপা হাতের কুঠুরীতে নিঃশব্দে পুড়ছে আমেরিকান স্পিরিট। সোঁদা মাটির গন্ধ যদি গ্রেইট ভ্যালু টেট্রাপ্যাকে কিনতে পারতাম? 🙂
বরাবরের মত অপূর্ব। কড়া রোদ উঠেছে। তবুও যেন বৃষ্টির গন্ধ পেলাম! 🙂
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
আ হা রে,
দেশে এখন তো চান্দিফাটা গরম হবার কথা। এখানে আজ সারাদিন মেঘলা আর ঝিরঝির বৃষ্টি।
চান্দি ফাটানো শুরু করেছে। তাও মন্দের ভাল গত এক সপ্তাহের ইনিংস ভালই ছিল। 😀
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
আকাশজোড়া মেঘ থাকলেও পাত্তা দেইনি মোটে। বিকেল থেকে শিলাবৃষ্টি শুরু হল। বিজলী বাতি চলে গিয়ে পুরো এলাকা আঁধারে ডুবে ছিল ছয় ঘণ্টার জন্য! আশেপাশে গ্রোসারী, রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে সব দোকানপাট বন্ধ করে দিতে হয়েছে। ট্র্যাফিক বাতিও ছিলনা রাস্তায়। নুয়ে পরেছে সব প্যানসি আর বেগুনি টিউলিপ। স্প্রিং ফ্লাওয়ার সব লুটিয়ে পরেছে পথের ধারে। রাত প্রায় একটায় পাওয়ার এলে আমার কন্যারত্ন বলল, মনে হলো হলোকস্ট থেকে বেঁচে এলাম!
বরাবরের মত অনবদ্য, নূপুর দাদা! ক্যাম্নে পারো তুমি??
বলো কি! ৬ ঘন্টা কারেন্ট ছিলোনা?
তোমাদের মন্তব্য পড়ে টড়ে নিজেকে একটা বিশাল কিছু মনে হয় মাঝেমধ্যে। হা হা
কাল আমরা আঁধারে ডুবে ছিলাম, নূপুর। কত দূর অবধি আলো নেই জানতে মন চেয়েছিল বলে অন্ধকারেই ড্রাইভ করেছি নেইবারহুডে। ট্র্যাফিক লাইট অবধি ছিলনা। কেমন যেন কবরের নিস্তব্ধতা চারপাশে। ফ্ল্যাশ লাইট হাতে হাঁটতেও বেড়িয়েছিলাম মা মেয়ে দু'জন। মোমের আলোয় ডিনার খেতে যদিও মন্দ লাগেনি কিন্তু কাঁহাতক অইসব কাব্যি করা যায়, বলো?
তুমি আমাদের সিসিবির প্রিয় কবি, বিশাল তো হতেই হবেরে! 🙂 🙂
আমেরিকাতেও আজকাল একনাগাড়ে ছ'ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকেনা তা'হলে! সেদিক থেকে তো আমরা এখানে ভালোই আছি বলতে হবে।
অনন্য সাধারণ 🙂
বিদ্যুতশক্তি চমকানোর।ইমো দরকার।
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
বড়দা, ধন্যবাদ এবং ধন্যবাদ!
আবৃত্তির জন্য ভাল। নোট করলাম...
চমৎকার একটা ছবি পেলাম।
ভাবার মতো অনেক অনুষঙ্গও পেলাম।
অনেক ভাল .........
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
পারভেজ ভাই,
আমি খারাপটাও শুনতে চাই। আমার লেখায় বৈচিত্র দেখিনা কোন। একইরকম যেন সব।
আর এত ছোট আকারের লেখা পাঠে কি মজা আসবে? শুরু না হতেই শেষ!
ইমব্যালান্স একটু আছে।
তিন স্টেঞ্জা বর্ননা আর এক স্টেঞ্জা প্রত্যাশা। আবৃত্তির সময় মনে হবে হঠাত ফুরিয়ে গেল।
২ + ২ অথবা অন্ততঃ ৩ + ২ মানে আরও একটা প্রত্যাশা স্টেঞ্জার অনুপস্থিতি ফীল করছিলাম।
তবে বলতে দ্বিধা হচ্ছিলো।
কারন বড়রা ভুল ধরালে তাঁরা হয়ে যায় শাসনকারী, শোষক। ছোটরা ধরালে তাঁরা হয় শুভাকাঙ্খি, এই রকম একটা পিছুটান বোধ করি মাঝে মধ্যে...
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
পারভেজ ভাই,
আমি অন্তত সমালোচনার ক্ষেত্রে বয়সের ব্যবধান মাথায় রাখিনা। নইলে আপনার এবং আর সবার সমালোচনা করতে পারতামনা।
সিসিবিতে সমালোচনা মিস করি খুব।
বৃষ্টি আর নস্টালজিয়া হাত ধরাধরি করে চলে।
৩বি ৪বি পেন্সিল দিয়ে সাদাটে আকাশে খসখস করে ছবি আঁকার বর্ণনাটা সুন্দর হয়েছে।
আন্তরিক ধন্যবাদ খায়রুল ভাই!
পুরো কবিতাটিই অসাধারণ, অনেকক্ষণ ধরে সমালোচকের চোখে দেখার চেষ্টা করলাম শেষ পর্যন্ত মনে হলো,
নুপুর,
তুমি সারা দুপুর
লিখছো যেসব পেন্সিলে
সেসব ছবি
হচ্ছে কপি
হাজার মনের স্টেন্সিলে
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
সাইদুল ভাই,
আপনার মন্তব্য পড়ে সত্যি সত্যিই ময়ুরের মত নেচে উঠলো হৃদয়।
অকপটে স্বীকার করি - আমিও এমনটাই চাই। পাঠকের হৃদয়ে একটু স্থান পেতে চাই।
এত চমৎকার মন্তব্যে ধন্য হলাম।
মাত্রাজ্ঞান, ছন্দ নিয়ে এই ক'টা লাইনেই যা দেখালেন তাতে আপনার মুন্সিয়ানা নিয়ে আমার প্রত্যয় আরেকদফা জেঁকে বসলো।
আশা করি, আপনার আরো আরো লেখা পাব।
🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂
ইউ রক, সাইদুল ভাইয়া! :boss: :boss: :boss: :boss:
:boss: বরাবরের মতই
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
এখানে এখন আবার পড়লাম । আবার আপ্লুত হলাম ।
সরেখ বিদ্যুত আলো জ্বেলে যেনো ঝকঝকে তুলে আনলো ৩বি ৪ বি পেনসিলের ছাপে স্মৃতিপট জুড়ে থাকা বৃষ্টিসিক্ত সব সময়, স্থান আর ঘ্রাণ !
আহা বৃষ্টির কাছে যাবার লাগি উন্মুখ হলো প্রাণ ।
ক্যাসেট প্লেয়ারে পঙ্কজ উদাস এর গান শুনতো আব্বু। আমার তখন ছোটবেলা। ক্যাসেট প্লেয়ার মানেই আমার কাছে শৈশব এর কোনো অলস বিকালে পঙ্কজ উদাসের গান।
কবিতা নিয়ে কোন জ্ঞান নেই আমার , তবুও অনেক কবিতা পড়ে ভালো লাগে কেন জানি। এবারও একই অনুভূতি। জানিয়ে গেলাম কমেন্ট করে 🙂