কিছুক্ষণ আগে দৈনিক ডেইলি স্টার পত্রিকায় আন্তর্জাতিক সালিশী আদালতে স্থল ও সমূদ্র সীমা নির্ধারণ বিষয়ে ভারতের বিরুদ্ধে বাঙলাদেশের সালিশে বিজয়ের খবরটি পড়ছিলাম। মোটামুটি রায়টি পড়া হয়ে গিয়েছে তারপরেও দেখছিলাম সংবাদপত্রগুলো কিভাবে খবরটি পত্রিকায় আনছে। বলাবাহুল্য বিশ্বকাপের ডামাডোলে শব্দ করার আগেই চাপা পড়ে গিয়েছে এই খবরটি। পড়া শেষ করে মন্তব্যের ঘরে দুটো মন্তব্য দেখলাম। একটি সরকারকে সাধুবাদ জানিয়ে অপরটি তালপট্টী হারানোর শোকে বিহ্বল ও আহাজারিরত। সাবলীল ইংরেজী লিখা দেখে ধারণা করলাম পড়াশোনা জানা মানুষ। কিন্তু দলকানা মন্তব্যটি দেখে আমি আমার DISQUS একাউন্ট দিয়ে লগ-ইন করে উনার মন্তব্যের একটি উত্তর লিখলাম। অতীতে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা থেকে মন্তব্য গুম হয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা থাকা সত্বেও মন্তব্যের কোন স্ক্রীনশট নেই নাই। চিন্তা করলাম ডেইলি স্টার, আগে প্রথম চেষ্টা করে দেখি। পোস্ট করার পরে লেখা উঠলো, মন্তব্যটি মডারেশানের জন্য অপেক্ষা করছে। এরমাঝে অন্যান্য জায়গায় ঘোরাঘুরি করে প্রায় মিনিট পাঁচেক পরে এসে পেইজ রিফ্রেশ করে দেখি মন্তব্যটি আর সেখানে নেই। চারছক্কা হইহই কমেন্ট গড়াইয়া গেল কই?! আবার রিফ্রেশ দিলাম। দেখে নিলাম DISQUS একাউন্টে ঠিক মত লগ-ইন আছি কিনা। সবই ঠিক আছে। আবারো মন্তব্য নীতিটি খুলে পড়া শুরু করলাম। মনে হলো লেখককে ব্যক্তিগত আক্রমন করেছি। যেই দ্বীপের অস্তিত্ব নাই সেই দ্বীপ নিয়ে কথা বলাকে পরোক্ষভাবে ডেমেনশিয়ায় ভোগা রোগীর সাথে তুলনা দিয়েছি। তাই নতুন করে উত্তর লিখলাম যেটা সুখপাঠ্য হয়। এবার মনে করে স্ক্রীনশট নিয়ে রাখলাম। পোস্ট করলাম এবং যথারীতি মিনিট পাঁচেক পরে মন্তব্য গায়েব। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন কাহিনী কারখানা করেও আমার মন্তব্য খুঁজে পেলাম না। কাহিনী কারখানার শ্রেষ্ঠাংশে ছিল পত্রিকা ওয়েবসাইট বন্ধ করে আবার খোলা, খোদ ব্রাউজার বন্ধ করে খোলা, ব্রাউজারের ক্যাশ ও ইতিহাস মুছে দিয়ে আবার ওয়েবসাইটে যাওয়া ইত্যাদি। কিন্তু হারিয়ে গেল সে। আর ফিরে এলো না। যাই হোক এবার ডেইলি স্টারের মন্তব্য নীতিগুলোর দিকে চোখ বুলাইঃ
> Comments will be published after moderation.
> We welcome debate, but discourage personal attacks on authors, other users or any individual.
> Comments with abusive language, hate speech, anti-religion will not be published.
> Comments with over 150 words will not be published
> We will remove any post that may put us in legal jeopardy.
> We will remove any posts that are commercial or spam-like.
> Keep your comment relevant to the topic or content of the news reports.
যেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে উত্তরটি লিখেছিলাম সেটি ছিল নিন্মরূপঃ
The loss of Talpattti is the landmark loss for Bangladesh and it has many adverse repercussions. The Bangladesh case was based on establishing Talpatti. And now who argues that Talpatti does not exist? No wonder it is Dipu Moni. What stinks is why are some Bangladeshis more interested in India’s interests than Bangladesh’s? Yet they claim they represent the true spirit of 1971 and blame BNP for wanting to sell Bangladesh to India।
আমার উত্তর ছিল নিন্মরূপঃ
Why should we mourn about an island that went under water due to climate change induced sea-level rise back in 2010? Bangladesh won 85% of their claimed sea-blocks opening up ample opportunities for new oil and gas explorations. Shouldn’t we feel happy about it? I just don’t get this meaningless partisan rivalry!
আমি মনে করি আমার মন্তব্যটি কোন ভাবেই ডেইলি স্টারের মন্তব্য নীতির সাথে সাংঘর্ষিক ছিল না। যদি তা না হয়ে থাকে, তবে সম্ভাব্য কারণ হতে পারে ডেইলি স্টারের ওয়েবসাইটের প্রযুক্তিগত ত্রুটি। DISQUS এর সাথে কমপ্যাটিবিলিটির বা সমন্বয়ের অভাব, সার্ভার বসে যাওয়া, ইত্যাদি। কোন পত্রিকাকে খাটো করার লক্ষ্যে নয় (সেটা করতে চাইলে ফেইসবুকে চটুল কথাসহ ছবি পোস্ট করে লাইক ও গালিগালাজ কামাই করা কোন ব্যাপার ছিলো না) বরং ব্যাপারটি নিয়ে আমি যেকোন ভাবেই চিন্তিত। প্রথমত, এই যদি মন্তব্য মডারেশানের দশা হয়ে থাকে তবে সেটা নিঃসন্দেহে হতাশাজনক। দ্বিতীয়ত, যদি প্রযুক্তিগত ত্রুটি ধরি তবে সেটা সমাধান কেন করা হচ্ছে না? অর্থাই এই ক্ষেত্রে DISQUS এর সাথে যদি কম্প্যাটিবিলিটির সমস্যা থাকে তাহলে সেটার সমাধান কেন করা হচ্ছে না? ইত্যাদি।
সিসিবির পাঠক ও লেখক সমাজে সাংবাদিক ও কন্ট্রিবিউটর বড় ভাই রয়েছেন। আমি খবরের লিংক দিয়ে দিচ্ছি এবং আমার দ্বিতীয় মন্তব্যের স্ক্রীনশট দিয়ে দিচ্ছি। আপনারা পড়ে যদি জানাতেন তবে কৃতার্থ হতাম। আমি মনে প্রাণে আশা করছি এটি একটি প্রযুক্তিগত ত্রুটি। যদি নাও হয় তবুও বলুন এটি প্রযুক্তিগত ত্রুটি।
আচ্ছা ভাই মেনে নিলাম এটা প্রযুক্তিগত ত্রুটি 😛 😛
সত্যি কথা বলতে কী, এইসব নিউজপেপার এর নিউজে কমেন্ট করে কোন লাভই নাই। এগুলো কেউই মুল্যায়ন করে না 🙁 কমেন্ট পড়ে মনে হয়, যারা কমেন্ট করে তারা বেশিরভাগই দলগত প্রভাব দোষে দুষ্ট। যাই বলবেন এরা তাই নিয়েই সমানে ত্যানা প্যাচাবে।
উলুবনে মুক্ত ছড়িয়ে কী লাভ ভাই?? 😛
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
ভুল করসিরে ভাই ভুল করসি। ভুইলা গেসিলাম। :bash:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
বাপার না। ঠেকে শিখলেন তো!! 😛 😛
আমি কিন্ত এইসব কমেন্ট পড়ি নিয়মিত। বিশেষ করে প্রথম আলোর চটকদার নিউজ গুলোর। বিনা পয়সায় ব্যাপক বিনোদন পাওয়া যায়... :awesome:
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
আমিও পড়তেসিলাম। ভাবলাম একটু মত প্রকাশের নাগরিক অধিকার চর্চা করি। পুটু মারা খাইলাম! :((
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
:))
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
😀
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
হাইসেন না রাজিব ভাই। এইভাবে খায়া দিল! :(( :((
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
:khekz: :khekz:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
মন খারাপ করে না মোকা, কমেন্ট খেয়ে দেয়া এখন ট্রেন্ড। ফেসবুকেই ধরা খেয়ে গেলে মানুষ নগদে কমেন্ট ডিলিট মারে, সেখানে পত্রিকাওয়ালারা তো মহারথি 😛
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
এইগুলা অন্যায়! :((
ডেইলী স্টারকে একটু জাতের ভাবসিলাম। সবাই দেখি একই লেভেলের ঘচু। x-(
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
ডেইলি স্টার প্রথম আলো তো একই গাছের দুটি ফুল 😉
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
এই ব্যাপারটা বেমালুম ভুলে গিয়েছিলাম! :bash:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
একই গাছের দুটি ফুল!!! 😀
ভালা কইছেন ভাই ::salute::
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!