(পোস্টটি পড়তে অনেকের দেরি হতে পারে, কিন্তু বেটার লেট দ্যান নেভার। মাইক্রোসফট এর ওয়েবসাইট সাহায্য নিয়েছি। নিজেকে কেমন যেন ‘টেঁকি’ ‘টেঁকি’ লাগছে :-B । এর জন্য আমি একটু :tuski: :tuski: )
পহেলা এপ্রিল বিশ্বজুড়ে একটি মারাত্মক ওয়ার্মের (সাধারণ কথায় কম্পিউটার ভাইরাস) আক্রমণ আশংকা করা হচ্ছে। ওয়ার্মটির নাম কনফ্লিকার। (এই ওয়ার্ম, ফিতাকৃমি, গুড়াকৃমি বা অন্যান্য সব কৃমি থেকে অনেক বেশী ক্ষতিকারক – যে কোন কম্পিউটার ও এর ব্যবহারকারীর পেটের অবস্থা টাইট করে দিতে পারে)।
কনফ্লিকার একটি কম্পিউটারে আক্রমণ করে আমাদের কোন কর্মকান্ড ছাড়াই ফাজিল ছেলের মত নেটওয়ার্ক মাধ্যমে নিজে নিজেই ছড়িয়ে যেতে পারে।
আমি কি ধরা খাব? আমার কম্পিউটার কি এই ঝুঁকির মধ্যে পড়ে?
অতীতে অধিকাংশ এন্টি ভাইরাস প্রোগ্রাম (সর্বশেষ আপডেটসহ) কনফ্লিকার এর আক্রমণ প্রতিহত করতে পেরেছে। তাই যাদের কম্পিউটারে সর্বশেষ আপডেটসহ একটি ভাল মানের এন্টি ভাইরাস প্রোগ্রাম আছে, তারা অনেকাংশেই ঝুঁকিমুক্ত (সম্পূর্ণ কিন্তু নয়)। কিন্তু একটি একক কম্পিউটার কিংবা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে যদি সর্বশেষ আপডেটসহ এন্টি ভাইরাস প্রোগ্রাম না থাকে এবং উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের যদি মাইক্রোসফট এর সর্বশেষ সিকিউরিটি আপডেট না থাকে এবং ফাইল শেয়ারিং চালু থাকে, তাহলে কনফ্লিকার ওয়ার্ম সহজেই আক্রমণ করে রিমোট কোড একজিকিউশনের মাধ্যমে এক বা একাধিক কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় এবং তার অপকর্ম সারতে সুযোগ পায়।
কনফ্লিকার কি কি অপকর্ম করে?
* আজ পর্যন্ত কনফ্লিকারের Win32/Conficker.A (২১ নভেম্বর ২০০৮), Win32/Conficker.B (২৯ ডিসেম্বর ২০০৮), Win32/Conficker.C (২০ ফেব্রুয়ারী ২০০৯) এবং Win32/Conficker.D (০৪ মার্চ ২০০৯) – এই চারটি ভ্যারিয়েণ্ট আবিষ্কৃত হয়েছে। এর মধ্যে Win32/Conficker.B ওয়ার্মটি ফাইল শেয়ারিং অথবা পেন ড্রাইভের মাধ্যমে ছড়ায় যা আমরা হয়তো অনেকেই দেখেছি। এক্ষেত্রে কম্পিউটারে পেন ড্রাইভ যুক্ত করলে Autoplay প্রম্পটে কিছু অতিরিক্ত অপশন দেখা যাবে।
* কনফ্লিকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সার্ভিসও নিষ্ক্রিয় করে ফেলতে পারে যার ফলে সিকিউরিটি আপডেট এর মত অনেক কিছু আমরা কম্পিউটারে ইন্সটল করতে পারব না।
* আমরা ভাইরাস, ওয়ার্ম বা সিকিউরিটি সম্পর্কিত অনেক ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারব না।
* নেটওয়ার্কে কোন কোন একাউন্ট লক হয়ে যেতে পারে।
পহেলা এপ্রিলে আক্রমণকারী কনফ্লিকার সম্পর্কে সম্পূর্ণ পরিষ্কার ধারনা না থাকায়, আক্রমণের ধরণ এর চেয়েও অনেক ভিন্ন এবং ব্যাপক হবার শঙ্কা রয়ে যায়।
কিভাবে এই সন্ত্রাস মোকাবেলা করব?
আক্রান্ত হলে, খুব সম্ভবত কম্পিউটারে কোন অনলাইন সিকিউরিটি আপডেট (যেমন মাইক্রোসফট এর) বা প্রোগ্রাম (যেমন Microsoft Malicious Software Removal Tool বা MSRT) ডাউনলোড করা যাবে না। এমন কি আক্রান্ত কম্পিউটারে হয়তো এই প্রোগ্রাম চালানোও যাবে না। তবে চেষ্টা করে দেখতে হবে MSRT কাজ করে কিনা, কারণ এটি একটি ভাল সমাধান। কাজ করলে ভাল। না করলে একটি সুস্থ কম্পিউটারে MSRT ইন্সটল করে তার মাধ্যমে আক্রান্ত কম্পিউটারকে দাওয়াই দিতে হবে।
এছাড়া ভাল মানের এন্টি ভাইরাস দিয়ে কনফ্লিকারের আক্রমণ প্রতিহত করার উজ্জ্বল সম্ভাবনা আছে।
পহেলা এপ্রিলে কম্পিউটার না চালানোই মনে হয় ভাল হবে। এই দিনটি অন্যান্য কাজে (?!!? :grr: :grr: ) কাটানো যেতে পারে।
তবে সবচেয়ে সোজা সমাধান বোধ হয় একটিই। বর্তমান কম্পিউটারকে দান করে দেয়া এবং এই ছুতায় নতুন একটি কম্পিউটার কিনে ফেলা। এর উপর কোন জবাব নেই। 😀 😀
মোটামুটি আইডিয়ার জন্য – এখানে
অতিরিক্ত তথ্যের জন্য – এখানে
বিস্তারিত তথ্যের জন্য – এখানে
আক্রান্ত হবার লক্ষণ ও প্রতিকারের বিস্তারিত তথ্য – এখানে
এটা আমার কম্পুতে আসবে কিভাবে? ই-মেইলের মাধ্যমে? আমি কিছু কি রিসিভ করবো?
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
কম্পুতে আগে থেকেই কোন স্পাইওয়্যারের/পেন ড্রাইভের মাধ্যমে এসে বসে থাকতে পারে। টাইমলি একশনে যাবে।
ভাইয়া রাত ১২টা হয়ে গেছে....... পিসিতে কিছু হয়নাই..... মনে হয়না আর কিছু হবে....
ফাইল শেয়ারিং এ ভাইরাস কিভাবে আসবে একটু লিখবেন... আমার এ ব্যাপারে ধারণা কম কারণ আমি ফাইল শেয়ারিং এর সিকিউরিটি রিস্ক নিয়ে জানিনা কিছু...
অনেক ধন্যবাদ ইউসুফ ভাই।
আমার কম্পিউটারে যে anti-virus টি আছে, সেটি এইমাত্র মেসেজ দিলো, "ভয়ের কিছু নাই, আমরা এটা মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত।
কি জানি, আসলে কতটা নির্ভর করা যায় তারপরো।
যার অর্থ কম্পিউটার ব্যবহার করে ধরা খাইলেও এপ্রিল ফুল, সারাদিন ব্যবহার না কইরা পরে দেখা গেলো কিছুই হয়নাই তাইলেও এক-ই পরিণতি। :clap: :clap:
দেখি কি হয়..
ধন্যবাদ ইউসুফ ভাই; এখনো রাত ১২ বাজে নাই আমার এইখানে। বাড়ি খাওয়ার জন্য রেডি হয়ে থাকলাম।
ধন্যবাদ সালাউদ্দিন ভাই। আমি অটো আপডেট বন্ধ করে রাখি, মাইক্রোসফটের উপর আস্থা কম। 😛 আপনার পোস্ট পড়ে সবকিছু আপডেট দিলাম। এখন আল্লাহ ভরসা।
🙁 ~x( 😡
লেখক আর মন্তব্যকের মধ্যে ভেজাল লাগানোর জন্য ১ লক্ষ :frontroll: ক্যারি অন।
কপিরাইটঃ জহির স্টাফ
অফটপিকঃ ব্লগ এডুর চোখে কালারড হয়া গেলাম। 😕
কিছু হবে না । আর হইলে সবাই মনে রাখবেন
:grr:
থ্যাংকস ইউসুফ ভাই ।
আমরা মুক্ত, আমরা স্বাধীন, আমরা স্মার্ট
আমরা এক্সপি ব্যবহার করিনা :awesome:
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
হিংসা হয়, ঈর্ষা হয়। লিনাক্স ইউজ করতে শিখি নাই। উবুন্টুর ২০ টা সি ডি ফ্রী পেয়েও বেশিরভাগই বিতরন করে দিয়েছি। চেস্টা করতে সাহস হয় নাই।
এইটা খুবই ভুল ধারণা। উবুন্টু বা লিনাক্স ব্যবহার করতে আগে সাহস লাগতো। এখন শুধু ইচ্ছাটা থাকলেই হয়।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
সমস্যা হইলো সাপোরটিং সফটওয়্যারগুলা নিয়া। যার যার ফিল্ডের কাজের প্রায় সবধরনের সফটওয়্যারই উইন্ডোজ বেইজড 🙁 তাই ইচ্ছা থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লাভ নাই 🙁
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
:salute: :salute: :salute:
😀
অনেক ধন্যবাদ ইউসুফ ভাই আগাম সতর্কীকরণের জন্য। বছর দশেক আগে এই এপ্রিল মাসেই ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালানো চেরনোবিল ভাইরাসের কথা মনে করিয়ে দিল। সেই সময়ে কোন এন্টিভাইরাস একে প্রতিরোধ করতে পারেনি।
মন্তব্য লিখতে পারছি মানে এখনো কম্পিউটার বহাল তবিয়তে আছে। 🙂
কিরে ভাই আমার আগের কমেন্ট কৈ গেলো? ভাইরাসে খাইয়া ফেল্লো নাকি?