শুরুর কথা:
ক্লাস সেভেনে যখন আমি ক্যাডেট কলেজে গেলাম তখন এক আজব পরিস্থিতিতে পরলাম, ওইখানে দোষ করলেও দোষ, আবার না করলেও দোষ। সিনিয়ারেরা (বিশেষ করে ১ ব্যাচ নব্য সিনিয়ারেরা) আজব আজব ফল্ট ধরে পাংগানি দেয়।
“কি ব্যাপার মাথা উচু কেন”?…… মাথা নিচু করলে “মাথা নিচু কেন?”
মসজিদ/ডাইনিংয়ে “টাচ” লাগায়, টাচ লাগল কেন?…… স্যরি বল নাই কেন?
স্যরি বললে “এত স্যরি কেন?”
মানে সিংহ আর মোষশাবকের মত অবস্থা। কিছু করলেও দোষ, না করলেও দোষ।
মূল লেখাঃ
ঘটনা ১:
আমি রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছি। রাস্তার মোড়ে আমি দেখলাম একজন ৪ অথবা ৫ বছরের শিশু ডাষ্টবিন থেকে ময়লা ঘেঁটে, পচা-গলা খাবার থেকে খাবার খুটে খাচ্ছে। আমি কিছুক্ষন ব্যাথিত মনে তাকিয়ে থাকলাম, তারপর শিশুটির দূর্ভাগ্যের কথা মনে করে আমি মাথা নাড়তে নাড়তে চলে গেলাম। আমার মনে হয়তোবা কিছুক্ষনের জন্য শিশুর প্রতি একটু করুনা জন্মাল কি জন্মাল না, তারপর নিত্যদিনের চাপে আমি ব্যাপারটা ভুলে গেলাম।
ঘটনা ২:
দুপুরে আমি টানা তিন-চার ঘন্টা ক্লাস করে মামার দোকানে ১০ টাকা দিয়ে একটা সিংগারা আর একটা সমুচা খেয়ে ক্যাম্পাসে আবারো ২/১ ঘণ্টা ক্লাস/লাইব্রেরী ওয়ার্ক করার প্রস্ততি নেই। তারপর বিকেল চারটায় প্রাইভেট পড়াতে গেলাম ক্লাস নাইনে পড়া ছাত্রের বাসায়। ওইখানে আমি বিকেলের চা খেয়ে সন্ধ্যার আগে আগে আবার ক্যাম্পাসে আসলাম। কিছুক্ষন পর আমার সবচেয়ে ক্লোজ বন্ধু তার নতুন কেনা ইয়ামাহার লেটেষ্ট মডেলের বাইকে মডেলদের মতনই গার্লফেন্ডকে উড়িয়ে নিয়ে আমার সামনে থামল। কিছুক্ষন অবোল-তাবোল প্যাচাল পারলাম তিনজনে, এরপর বন্ধুটিকে আমার “নোট” করা খাতাটা ধরায় দিতেই সে আবার পংখীরাজে তার রাজকন্যাকে নিয়ে উড়িয়ে চলে গেল। আমি বসে রইলাম একা একা। চারপাশের মানুষজন থেকে আলাদা হলে আমাকে যে একাকীত্ব বোধ হৃৎপিন্ডটাকে হঠাৎ খামছে ধরে, সেই বোধই আমাকে প্রলুব্ধ করে গোল্ডলিফের আগুনের আচেঁ এই জ্বলন্ত হৃদয়ে আরো আগুন জ্বালাতে।
ঘটনা ৩:
আমি ক্লান্ত হয়ে রুমে ফিরে আসি। ক্যালকুলাসের অতি ভয়ংকর সমীকরন যখন সোজা হয়ে আস্তে থাকে তখন আমার মাথায় কিছু একটা ঘটে যায়। আমার চোখের সামনে ভেসে উঠে সকালের সেই ছোট শিশুটির কথা। কি জন্য সে এই ছোট বয়সেই এত কষ্টে জীবন কাটাচ্ছে, কেন আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুটি বিলাসিতায় আর প্রাচুর্য্যে ভরপুর, আর আমারই বা কেন মাসের ৫ তারিখেই হিসেব করতে হয় আগামী ২৫ দিনের। কোথায় এই পার্থক্য? সবই নাকি ভাগ্য, তবে কেন আমার ভ্যাগেই সব হিসেবগুলো? কেন ওই ছোট ছেলেটার ভাগ্যে এমন বিভিষিকাময় জীবন? এই ভাগ্য জিনিষটার বিতরনের মাপকাঠি কি?
জন্মের অনেক আগেই নাকি সমস্ত মানুষজাতির ভাগ্য আল্লাহতালা লিখে রেখেছেন। সবার জীবনের সব মহুর্তের ঘটনাগুলো নাকি নির্ধারিত। তহলে কি এমন দোষ করলাম আমি কিংবা ওই শিশুটি যে এখনও দুনিয়ার কিছু না বুঝে শুধু কঠোর বাস্তবতাটাই বুঝলো।
আমি কেন তখন ওই শিশুটিকে সাহায্য করার চিন্তা করলাম না। আমি নিজে হয়তোবা অনেক সমস্যায় থাকি কিন্ত তাই বলে এই অমানবিক দৃশ্য দেখে কেন আমি আগালাম না? এটা কার দোষ, আমার? না ওই শিশুটির ভাগ্যের? যদি আমার হয় তবে কেন আমি চিন্তা করলাম না ওই ছোট ছেলেটাকে অন্তত একটা রুটি কিনে দিয়ে কিছুটা হলেও নিজের বিবেকের কাছে পরিস্কার থাকার কথা। আমিত জানি, আমিত বুঝি তার কষ্টটার কথা। এটা কি আমার দোষ না। কিন্ত আল্লাহ’ত বলেছেন
“But you cannot will unless Allah wills; Allah is All-Knowing, All-Wise.” (সূরা আল-ইনসান, ৩০)।
তাহলে আমার’ই বা দোষ কোথায়?
আমার বন্ধুটির এত সৌভাগ্যের কারন কি? সে জন্ম সূত্রে যে সৌভাগ্য নিয়ে পৃথিবীতে আসছে সেই সৌভাগ্য আমার কেন হল না? কেন হল না ওই পথশিশুটির।
আমি যখন মারা যাব, যখন দাজ্জাল নাযিল হবে আর সবাই মারা যাবে, যখন আখিরাতে আমাদের বিচার হবে, তখন হাজার হাজার প্রশ্নের মাঝে অব্যশই একটা প্রশ্নের সামনে আমি পড়ব, একটা পাপের জবাব আমাকে দিতে হবে, আর তা হল,
“আমি তোমাকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য যে একটা ছোট শিশুকে তোমার সামনে চরম অমানবিক কাজ করায় নিলাম, আর তোমাকে কিছুটা হলেও সামর্থ্য দিয়েছিলাম তাকে সাহয্য করার, তুমি আমারই নির্দেশে সাহায্য কর নাই ((আল-কুরান ২২:৭০)), আমিই তোমার ভাগ্যে লিখে রেখেছিলাম সাহায্য না করে চলে যাবার জন্য, জানতো আমার নির্দেশ ছাড়া কোন কিছুই হয় না, এমনকি একটা পাতাও নড়ে না। তুমি কেন আমার কথা শুনে, আমার দ্বরা লেখা ভাগ্যকে সত্য বানিয়ে চলে গেলে? তুমি পাপ করেছ, দোষ করেছ।”
এইরকম আরো লক্ষ লক্ষ আদেশ পালন করা প্রশ্নের সামনে আমি পড়ব, সৃষ্টিকর্তার লেখা ভাগ্যকে আমি তারি আদেশে পুংখানুপুংখানু করে পালন করে, আমার কপালে লিখে রাখা অদৃশ্য কালির নির্দেশ পালন করে আমি হব দোষী, হব পাপী। পৃথিবীতে কষ্ট করে যেয়েও আমি পুড়ব দোযখের আগুনে।
আমার দোষ না থেকেও আমাকে বলবে পাপী, হব দোষী!!
তবে তাই হোক।।
সেইটাই!
ভাগ্য লিখন সংক্রান্ত এই চিন্তাটাই তো আল্লাহ বিশ্বাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য যথেষ্ট। আফসুস, এইটুকুও অনেকে করেনা ...
দেখা যাক, এ ব্যাপারে আমাদের দাজ্জাল কি বলে 😀
আমিও অপেক্ষায় আছি। 😀 😀
যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
একেবারে আমার নিজের চিন্তার সাথে মিলে গেল!!
আমার কেন জানি মনে হয় আমাদের সবারই মনে এই প্রশ্নগুলো আছে। কেউ কেউ প্রকাশ করে আবার কেউ জুজুর ভয়ে বলে না অথবা চুপচাপ "নিষিদ্ধ বিষয়" বলে হজম কইর্যা ফেলে। কে জানে??
যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
সুন্দর লেখা।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
:shy: :shy:
যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
বড় সত্য লিখেছ...খুব ভালো লাগল পড়ে. :clap:
সুন্দর লেখা।
হু, এইটা আমারও খুব মনে হয়।
😕 সামীর সাথে থাইকা থাইকা রায়হানা আপু কি সামীর লাইন ধরলা নাকি? :-B
:)) ইডা কি কইলেন বস =))
আরে ধরব না কেন?? নামের মাঝে "সামী" আছে না। 😛 😛
যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
লেখা ভালো লেগেছে। এটা হতে পারতো সুন্দর অথবা অসুন্দর কোন গল্প। গল্প না হয়ে যা হয়েছে তাতেও পাঠকের কাছে লেখক রিচ করতে পারে। এটাই লেখার স্বার্থকতা।আর রাস্তার পাশে ময়লা কুড়িয়ে খেয়ে বেঁচে থাকা শিশুদের জন্য আমরা শুধু বিষণ্ণই হতে পারি, কষ্ট পেতে পারি, বড়জোড় ছোট পরিসরে একদিন অথবা কয়েকদিন তাদের কাউকে দৈবচয়ন প্রক্রিয়ায় হাসাতে পারি। কিন্তু তার ন্যায় হাজার হাজার মুখের জন্য আমরা কিছুই করতে পারি না..এটাই আমাদের সীমাবদ্ধতা। আমরা বড়ই ছাপোষা জীব.........।
:clap:
"খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে বিরাট শিশু আনমনে...."
মনখারাপের পোস্ট।
কিছু বলার নাই, আমিও পাপী।
সাবাশ কিব্রিয়া,লেখার মত লেখা এদ্দিনে :clap:
ধন্যবাদ ভাই। 😀
যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
সবার মনের ভাবনার ছবিটা প্রায় এইরকমই ,খুব সুন্দর করে প্রকাশ করলি ।
আরে জিনাত বাইয়্যা, কেমোন আচেন।
চব ঠিক-ঠাক আচেত বাইয়্যা?
যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
জিনাত বাইয়্যা 😕 😕 😕 😕
লেখাটা পড়ে ভালো লাগলো। :thumbup:
তবে আমার মনে হয় যে এই দুনিয়ায় পূর্বনির্ধারিত বলে কিছুই নাই। যেটা হবার কথা, সেটাই হয়।
এই বিষয়ে আমি যা বুঝি সেটা বলার চেষ্টা করছি-
আল্লাহ চাইলে তবে আমরা চাইতে পারি। না চাইলে পারি না। তবে কথাটা এমন না যে-
আল্লাহ চাইলেন "আমি কোন একজনকে সাহায্য করি"-> এরপর আমার মনের মধ্যে ইচ্ছা জাগবে যে, আমি তাকে সাহায্য করব।
এই ক্ষেত্রে তো তাহলে মানুষের কোন ক্রেডিট/ডিসক্রেডিটই থাকল না।
বরং ব্যাপারটা এইরকম যে-
আল্লাহ চাইলেন "আমি এখন কিছু চাইতে পারি/ আমার মনে যেকোন ইচ্ছা আসতে পারে"-> এরপর আমার মনের মধ্যে ইচ্ছা জাগবে যে, আমি কাউকে সাহায্য করব বা করব না।
এজন্যই ক্রেডিট বা ডিসক্রেডিটটা মানুষের।
জানি না কতখানি বুঝাতে পারলাম।
তাহলে কি ব্যাপারটা এমন দাড়াল না যে, আল্লাহ সব কিছুই লিখে রেখেছে শুধু আমাদের মনের ইচ্ছেটার কথা বাদ দিয়ে, কেননা আল্লাহ'ত সবই জানেন, সবই তার পরিকল্পনা অনুযায়ী।(নাকি??)
আর ক্রেডিট-ডিসক্রেডিটের ব্যাপারটা আমরা একটা জিনিষ ইগনোর করলেই ঠিক করতে পারি।
যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
হ্যাঁ, সবই আল্লাহর পরিকল্পনা অনুযায়ী। উনি আমাদের বেশীর ভাগ সময় কিছু করা এবং না করার জন্য সুযোগ দিয়ে রেখেছেন। আবার যেহেতু উনি সবকিছুই খুব সূক্ষাতিসূক্ষ পর্যায় পর্যন্ত জানেন, সুতরাং এই সুযোগে আমরা ঠিক কি করব, এটাও উনি জানেন। সেজন্য সবই উনি লিখে রেখেছেন।
সূরা আলাক
এইখানে "তাকে" হলো আবু জাহেল। আবু জাহেল হযরত মোহাম্মদের (সাঃ) চাচা ছিলেন। তিনি ইসলাম মেনে নেননি, শুধু তাই না, তিনি মোহাম্মদ (সাঃ) ও তার অনুসারীদের সবসময় জ্বালাতন করতেন (প্রমাণ সূরা আলাক সহ অনেক অনেক হাদীসে)।
ধরে নেই আল্লাহ তাকে সু্যোগ দিলেন কিছু করা এবং না করার ( হবে ইসলামের বিরোধীতা করার না করার)। তিনি (আবু জাহেল) করলেন কি তার ভাতিজার কথা শুনে ইসলাম কবুল করে ফেললেন, তারপর দুইজন মিলে ইসলাম প্রচার করা শুরু করলেন।
এদিকে আমরা সবাই জানি কুরান শরিফ লেখা হয়েছে অনেক আগে এবং আকাশের "এক" জায়গায় ওটাকে রেখা দেওয়া হয়েছিল। তো এইদিকে সূরা আলাক নাযিল হওয়ার টাইম হল, আর হযরতের কাছে একটা একটা করে অহি নামলো। ওইসময় আবু জাহেল সম্পর্কে যা নাযিল হওয়ার তা হয়ে গেল। তখন কি আল্লাহর ভুল হয়ে যেত? যদিও তা হয় নাই।
এবার দেখা যাক কেন তা হয় নাই। কারন আল্লাহ চাইছিল যাতে আবু জাহেল ইসলামের সাথে বিরোধীতা করেন। যেখনে সৃষ্টিকর্তার হাত আছে ওইখানে বেচারা আবু জাহেল কি করবে। কারন আর অন্য সবার মত তার ভাগ্যওতো লেখা হয়ে গেছে অনেক আগেই। শুধু এক অন্তহীন নাটকে সে অভিনয় করে গেছে। তাকেই আবার কাল আখিরাতে আল্লাহ নিজেই জিজ্জেস করবে কেন সে তার দেওয়া অভিনয়ের অংশটুকু পুরোপুরি পার্ফম করে গেল?
যদি ধরে নেই তাকে আমরা যাতে শিক্ষা নেই সেই জন্য কলুর বলদ হিসেবে নির্বাচন করছে, তাহলেও প্রশ্ন জাগে কেন সে? কেন আর কেউ না? কেন মোহাম্মদ মোহাম্মদ? কেন??
তার কি দোষ? কি পাপ??
যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
আবু জাহলকে আল্লাহ সুযোগ দিয়েছিলেন তার ইচ্ছেমত যেকোন কিছু করার। তাকে জোর করে কিছু করাননি। কিন্তু আল্লাহ সব কিছু আগেই জানেন। এজন্য এটাও জানতেন যে, আবু জাহলকে সুযোগ দেয়া হলে সে কি করবে। এজন্য কুরআনে তাকে ইঙ্গিত করে এমন আয়াত থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু না। আর আয়াতে শুধু তাকে ইঙ্গিত করা হয়নি, বরং ঐ ধরণের সব মানুষের কথাই বলা হয়েছে।
"আসলে ভবিষ্যতে কি ঘটবে তার সবই জানা থাকা"- আল্লাহর এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যের ব্যপারে চিন্তা করার সাথে আমরা ঠিক অভ্যস্ত না। এজন্যই কনফিউশন তৈরী হয়।
অ.ট. আবু জাহল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চাচা ছিল না। এটা একটা বহুল প্রচলিত ভুল ধারণা।
তাহলে জিনিষটা কি দাড়াল??
যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
আমার মনে হয় আমি এখন বুঝতে পারছি তুমি কি করছ। একটু পর পর এসে দেখছ যে, নতুন কোন উত্তর আসে কিনা। আসলে আমিও তাই করছিলাম। আমার অনুরোধ, মাথাটা একটু ঠান্ডা কর। দরকার হলে একটু ঘুরে আস বা খাওয়া-দাওয়া কর। গোসল কর বা ঘুম দাও (আমিও একটু আগে বাসায় এসে গোসল করলাম)।
এরপর ফ্রেশ মাথায় এই পোস্টে আমার কমেন্টগুলো পড়। তারপর ভাব যে, জিনিসটা কি দাঁড়াল। আমি লিখলে একই কথা বারবার লিখতে হবে।
আর অন্য কেউ যদি আমার কথাগুলো বুঝতে পেরে থাকেন, তাহলে প্লীজ একটু বলেন। অন্য কারও মুখ থেকে শুনতে অন্যরকম লাগবে হয়ত...
🙂
এক ফোটাও বুঝাইতে পারিস নাই।
প্রশ্নঃ কিন্তু আল্লাহ তো জানেন আমরা কি করবো। মানে, আমি যদি ডান হাত নাড়ায়ে কাউকে সাহায্য করি, সেই হাতটাও নাড়াবেন আল্লাহ! যদি না করি, তাহলে হাতটা "না" নাড়াবেন আল্লাহ!
সবকিছুই তো তিনি জানেন, সবকিছুই তার ঈশারায় হয়। তাহলে তার কর্মকাণ্ডের জন্য আমাদের শাস্তি কেন পেতে হবে?
দ্বিতীয়তঃ ধরা যাক, আমাদের সামনে দুইটি পথ রয়েছে। এর মাঝে যেকোন একটি গ্রহণ করার স্বাধীন সামর্থ্য যদি আমাদের থাকে এবং আল্লাহর আমি কোন পথে যাচ্ছি সেটা নিয়ন্ত্রণ তো দূরের কথা, বিন্দুমাত্র আইডিয়া না থাকে- তাহলে ধরে নিবো আমাদের ফ্রি উইল রয়েছে। সুতরাং খারাপ পথে যাওয়ার জন্য আমরা শাস্তির উপযোগী।
কিন্তু এখানে আরেকটা বড় ঝামেলার উদ্ভব হয়। ঝামেলা হলো, আমাদের তখন মানতে হবে, আল্লাহ পাকের সকল ঘটনার উপর নিয়ন্ত্রন নেই, সর্বোপরী তিনি আসলে সবকিছু জানেনও না।
আল্লাহ আমাদেরকে সুযোগ দিয়েছেন। এবং এই সুযোগের উপর উনার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আছে। ইচ্ছে করলেই উনি সুযোগ সরিয়ে আমাদেরকে কিছু করতে বাধ্য করতে পারেন। একই সাথে উনার সূক্ষাতিসূক্ষ বিষয়গুলোতে পর্যন্ত পরিপূর্ণ জ্ঞান থাকার কারণে এই সুযোগে আমরা কি করব এটাও উনার পুরোপুরি জানা আছে। কিন্তু তার মানে এই না যে, উনিই আমাদেরকে দিয়ে সব করাচ্ছেন।
বাকীদের বলছি- আমি কি কাউকেই "এক ফোঁটাও" বুঝাইতে পারি নাই? নাকি কেউ কেউ এর ব্যাতিক্রম আছেন? যারা কিছুটা হলেও বুঝেছেন?
সুযোগ পেয়ে আমরা কি করবো সেটাও আল্লাহ জানেন... অর্থাৎ সব কিছুই পূর্ব নির্ধারিত?
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
"সব কিছুই পূর্ব নির্ধারিত" কথাটা সাধারণত দুটো ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়- কোন কাজ করতে না চাইলে তার অজুহাত হিসেবে, আর কোন খারাপ কিছুর দোষ নিজের উপর থেকে সরাতে। আসল কথাটা হল আমাদের এর কোনটাই করার অবকাশ নেই। কেননা, আমরা তো জানি না সামনে কি হবে। এটা শুধু আল্লাহই জানেন। এবং বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে আমাদেরকে আমাদের ইচ্ছেমত কিছু করার সুযোগও উনি দিয়ে রেখেছেন। আর এটাও জানিয়ে রেখেছেন যে, আমাদের এর জন্য জবাবদিহিও করতে হবে।
'সব কিছুই পূর্ব নির্ধারিত' এর প্রয়োগের ব্যাপারে তোমার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। কিন্তু আসলে তো পূর্ব নির্ধারিতই ... না কি?
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আশা করি সবাই একমত হবেন এজন্য কোন উদাহরণ ছাড়াই বলছি, পৃথিবীতে মানুষের কাজের ফলাফল শুধু তার উপর বা তার কাজের উপর নির্ভর করে না, এর সাথে আরও অনেক বাইরের ব্যপার জড়িত থাকে। তার নিজের কাজ আর বাইরের নানা ফ্যাক্টরের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া মিলেই ফলাফল। আর এই সব ফ্যাক্টরই আল্লাহ নিয়ন্ত্রণে। এক্ষেত্রেও এসব ফ্যাক্টর সাধারণত কিছু নিয়মের অধীন হলেও আল্লাহ চাইলেই এসব নিয়ম পরিবর্তন করতে পারেন। আবার আল্লাহ সাধারণত মানুষকে তার নিজের ইচ্ছার উপর ছেড়ে দিলেও কখনও কখনও মানুষের ইচ্ছাকে নিয়ন্ত্রণ করে তাকে দিয়েই কাজ করান। আর এই সব মিলে যে ফলাফলটা আসে তার অনেকটাই পূর্ব-নির্ধারিত। আল্লাহই এটা নির্ধারণ করেছেন এবং মানুষ যাই করুক না কেন এটা ঘটবেই। যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মদীনাতে যাওয়া ছিল পূর্ব-নির্ধারিত। এজন্য এর বিরুদ্ধে নানাভাবে অনেক চেষ্টা করা হলেও উনি শেষ পর্যন্ত নিরাপদেই মদীনাতে পৌঁছে যান। এজন্য-
মানুষের কাজ(নিজের ইচ্ছায় অথবা সরাসরি আল্লাহর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত) + বাইরের ফ্যাক্টর(সাধারণভাবে অথবা বিশেষভাবে আল্লাহর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত) -> ফলাফল(পূর্ব-নির্ধারিত)
কিন্তু এই ব্যাপারটা আখিরাতের জন্য প্রযোজ্য না। আখিরাতে শুধু মানুষ যা নিজের ইচ্ছায় করেছে এবং করেনি কিন্ত করার ইচ্ছা ছিল, তার ভিত্তিতেই তাকে পুরস্কার/শাস্তি দেওয়া হবে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে-
মানুষের নিজের ইচ্ছাকৃত কাজ + ঐসব ইচ্ছা যেগুলো কাজে পরিণত হয়নি -> ফলাফল
তবে আবারও বলছি, মানুষের ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক, দুনিয়াতে হোক আর আখিরাতে হোক, কি হবে সবই আল্লাহর জানা আছে।
কেউ কেউ মনে করতে পারেন এতে মানুষের পৃথিবীর উপর হতাশা তৈরী হবে আর পার্থিব যেকোন দায়িত্বেও অবহেলা আসবে। এটাকে কেউ যেন অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে। শুধু আল্লাহর ইবাদত করাই যথেষ্ঠ না। সবার প্রতি যে দায়িত্ব আছে তাও পুরা করতে হবে। আবার শুধু এই দায়িত্ব পালন করেই যেন নিশ্চিন্ত না হয়ে যায়। আল্লাহকে চেনা, তাঁর নিকটবর্তী হওয়াও মানুষের প্রয়োজন। শুধু আখিরাতের জন্য না, এই পার্থিব জীবনের জন্যও।
তারমানে আপনি বলতে চাচ্ছেন যে, আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী হওয়ার পর'ও তিনি "শুধু" আমরা কি করব না করব তার সবকিছুই জানেন, কিন্ত তিনি কিছু কিছু ( নাকি সবগুলো??) জিনিষের উপর আদেশ ফলাইতে পারে না! তিনি শুধু সব জানেন। (তার জানাটাও বোধহয় একপ্রকার আদেশই)
অর্থাৎ আমি ইচ্ছেমত কাজ করার সুবিধা পাইলাম কিন্ত আমার কাজের ফল'টাই তার জানা, কাজটা না! কিংবা একদিন পুরা পৃথীবির সব মানুষেরা মরে যাবে ( মানে আখিরাতের আগে) অই সময় কোন মুমিন থাকবে না এটাই শুধু জানে আল্লাহ কিন্ত কারা কারা ওই সময় থাকবে তা তারা জানে না!!
ব্যাপারটা কি এরকম??
যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
দারুন লিখেছো কিবরিয়া... আমি নিজেও এভাবে চিন্তা করেছি... অনেককে প্রশ্নও করেছি এ ব্যাপারে কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন স্যাটিস্ফাইং জবাব পাই নি।
আশা করি এখানে ভাল কিছু ব্যাখ্যা পাব, অপেক্ষায় থাকলাম...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আমি বলতে চেয়েছিলাম যে -"আমরা যা করি, তা শুধু আমাদের দ্বারা ই করা হয় বা,আমরা নিযের ইচ্ছিতেই করি। অন্য কেউ করায় না"।
গ্রীক দার্শনিক এপিকিউরিয়াসের(খ্রিষ্ঠপূর্ব ৩৪১-২৭০) একটা বিখ্যাত উক্তি তুলে দিচ্ছি যা এই পোস্টের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ বলে মনে করিঃ
“Is God willing to prevent evil, but not able?
Then he is not omnipotent.
Is he able, but not willing?
Then he is malevolent.
Is he both able and willing?
Then whence cometh evil?
Is he neither able nor willing?
Then why call him God?”
এপিকিউরিয়াসের এই উক্তিতে পরকালের ব্যাপারটা মনে হয় আসেনি...
তাহলে আরেকটা উক্তি দেই যেটাতে পরকালটাও কাভার হয়ে গেছে 😀
" যে ঈশ্বর ক্ষুধার মুহূর্তে আমাকে অন্ন দিতে পারেনা সে আমার মৃত্যুর পর আমাকে স্বর্গসুখ দেবে এ আমি বিশ্বাস করিনা"
(উক্তিটা নজরুল/লালন/স্বামী বিবেকানন্দ এই তিন জনের একজন করেছেন)
:thumbup: :thumbup:
কেন যেন মনে হয়, তাকে ছাড়াই আমরা সারাজীবন কাটাইতে পারি, কোনো সমস্যা হয় না। কিন্ত তিনি আমাদেরকে ছাড়া "কোন একটা দিন"ও কাটাইতে পারে না। সবসময় তার প্রয়োজন আমাদের!!
যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
উপরের লাইনটির সাথে তোমার কথাটার সম্পর্ক ঠিক বুঝলাম না।
সম্পর্কটা হইল এইরকম,
ক্ষুধার্ত মানুষেরা প্রচন্ড ক্ষুধায় এমনি এমনি মারা যেতে পারে (যেরকম শত শত এক্সাম্পল আমরা দুর্ভিক্ষ কিংবা চারপাশে পাই)। ওইখানে আল্লহর প্রত্যক্ষ আর পরোক্ষ সাহায্য কাজে আসে না।
অন্যদিকে আমাদেরকে সবসময় আল্লাহকে "তোষামদ" করে যেতে হয়। আবার না করলে কি কি সব ভয়'ও দেখানো হয়।
যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
দেখুন পৃথিবীতে আল্লাহ প্রত্যেক অন্যায়ের প্রতিকার করবেন না আর প্রত্যেক অসহায় অবস্থায় সাহায্যও করবেন না। এতে মানুষ নিজের ইচ্ছায় কিছু করার স্বাধীনতা থাকত না। সুতরাং মানুষকে পরীক্ষাও করা যেত না। আর পরকালেরও কোন যৌক্তিকতা থাকত না।
তবে অনেক ক্ষেত্রেই অন্যায়ের প্রতিকারও করবেন, আর অসহায় অবস্থায় সাহায্যও করবেন। আর এর বেশীর ভাগই করবেন পরোক্ষভাবে, অল্প কিছু প্রত্যক্ষভাবে। উনি যে পরকালে করবেন, এগুলো তারই প্রমাণ। তবে আমাদের কাজ হল, আল্লাহর এই পরোক্ষ কাজগুলোকে 'নিছক কাকতালীয় ঘটনা' বলে উপেক্ষা না করা। আর প্রত্যক্ষ কাজগুলোকে 'বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে সম্ভব নয়, সুতরাং আসলে ঘটেনি' বলে এড়িয়ে না যাওয়া। যদি বৈজ্ঞানিক ভাবে সম্ভবই হত, তাহলে সেটাকে আর 'সরাসরি আল্লাহর কাজ' বলা হবে কেন।
তার লীলাখেলা আমরা বুঝবোনা কিবরিয়া...........................।
লীলাখেলা!!! এইটা আসলেই একটা খেলা। ‘স’ হরর ফিল্মে যেমন অদ্ভুত সব খেলা উপস্থাপন করা হয়েছে ঠিক সেই রকমই কোন খেলা। Nothing but, God is playing with his creatures.
ধরুন, পৃথিবীর সকল মানুষ সৎ, কেউ খারাপ কাজ করে না। তাহলে, সৎ শব্দটি কি একবারো উচ্চারিত হবে? হবে না। থাকবে না অসৎ শব্দের অবস্থানও। যদি পৃথিবীর সব নারী একইরকম হয়। ধরি, সবার একই চেহারা, সবাই সুন্দর। তাহলে কোন নারীর প্রতি কি পুরুষদের আকর্ষন থাকবে। আমার ধারনা থাকবে না। কারন পুরুষটির জানা থাকবে তার কপালে যে নারী্ই জুটুক। তার চেহারা অন্য সব গুলোর মতোই। তাই, অসুন্দর ছাড়া সুন্দর বোঝা সম্ভব নয়। রাত ছাড়া দিন বোঝা সম্ভব নয়। আর, এইখানেই স্রষ্টার সাফল্য যে তিনি প্রতিটি জিনিসে ভেদাভেদ তৈরী করতে পেরেছেন।
আসুন আরেকটা জিনিস ভাবি, মনে করি আপনি একটি রোবট তৈরী করলেন। এবং তার জন্য প্রোগ্রামও রচনা করলেন। অতপরঃ দেখা গেল তা আপনার প্রোগ্রাম মত কাজ করছে না। তা কি সম্ভব? যৌক্তিক ব্যাক্তিরা বলবেন, না, প্রোগ্রামের বাইরে তার কাজ অসম্ভব। ঠিক, যদি প্রোগ্রামার (আপনি) যদি ভুল না করেন তবে রোবট-জির কোন ক্ষমতা নেই প্রোগ্রামের বাহিরে কাজ করার। এবার ধরুন অনেক গুলো রোবট তৈরী করলেন। তাদের দিয়ে ফুটবল ম্যাচ খেলাবেন। যদি আপনি ১০০% দক্ষ প্রোগ্রামার হোন তবে নিশ্চিত আপনি হিসাব নিকাশ করে বলে দিতে পারবেন কারা জিতবে কারা হারবে। অর্থ্যাৎ কারা পুরষ্কার পাবে আর কারা তিরষ্কৃত হবে। ঠিক তেমনি আচরন করে যাচ্ছেন স্রষ্টা আমাদের সাথে। আর এখানেই স্রষ্টার ব্যর্থতা।তাই কিবরিয়ার কথা মত আমরা ব্যর্থ নই। আমাদের ব্যর্থতা মানে স্রষ্টার ব্যর্থতা।
অনেকেই হয়ত মনে মনে ভাবছেন বেটা দুই নৌকাতে পা দিছে। না, এবার যে কোন একটা নৌকা বেছে নিবার পালা। তবে কোনটা বেছে নিব ঠিক বুঝে উঠতে পারছিনা। আচ্ছা যদি এই দুই নৌকার কোন একটাতেও না উঠে নতুন কোন নৌকা বেছে নেই, তবে কেমন হয়?
স্রষ্টা ব্যর্থ কি সফল? তার হিসাব না করে আসুন ভাবি আমি কি ব্যর্থ না সফল? আমার যতটুকু ক্ষমতা আমি বংশ পরম্পরায় পেয়েছি তার যথাযথ প্রতিফলন কি রেখে যাচ্ছি পরবর্তী বংশধরদের জন্য। বংশ পরম্পরা শব্দটা উচ্চারন করলাম এইজন্য যে, ঐ শিশুটির দুর্ভাগ্য বংশ পরম্পারই ফসল, শিশুটির নিজের নয়। পারেনি তার পূর্ববর্তী বংশধর তার জন্য ভাল কিছু রেখে যেতে। আর ধনী বন্ধুটির বংশধর রেখে গিয়েছে (সে যেভাবেই হোক)। আবার ঠিক তেমনি বন্ধুটি কি পারবে তার পরবর্তী বংশধরদের জন্য সুভাগ্য রেখে যেতে?
তবে নিজেকে সফল করার দুটি রাস্তা ন্যায় কিংবা অন্যায়। একজন অন্যায়কারী যখন অন্যায় করে, তার মধ্যে আর শান্তির বালাই থাকে না। সে সারাক্ষন পাপবোধে নিমজ্জিত থাকে। আর ন্যায় পথ অবলম্ভন কারী সামান্য সফলতাতেই অনেক শান্তি লাভ করে। আমার ধারনা যারা অন্যায় করে তারা প্রতিটি অন্যায়ের পর প্রতিজ্ঞা করে যে “পরবর্তীতে আর এই কাজ করব না”। কিন্তু পরিস্থিতির চাপে হয়ত পারে না।
তাই আমার কথার সারসংক্ষেপ, এত তর্ক বিতর্ক না করে আসুন। ন্যায় পথে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করি। তবেই হয়ত সকলে মিলে স্রষ্টার “লীলাখেলা”কে বুড়ো আঙ্গুল দেখাতে পারবো।
good thinking....
আসলে এই ধরনের প্রশ্নগুলো আমরা যদি লজিক দিয়ে চিন্তা করি তাহলে হয়তো God এর ধারণা আমাদের কারও কাছেই আর টিকবে না।কেননা বিলীভ কথাটার মানে হল আমি কোনো প্রমাণ এর জন্য অপেহ্মা করবো না।প্রমাণ পেলেও বিলীভ করব আর না পেলেও করব।ধরে নিন আমি God বিলীভ করি।আমি এটাও বিলীভ করি যে আমাদের ভাগ্য পূর্ব নির্ধা্রিত।আর আমি এটাও বিলীভ করি যে God অসীম-হ্মমতাবান।তিনি এতটাই হ্মমতাবান যে তিনি কিভাবে আমদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করছেন তা বোঝার হ্মমতাও আমাদের দেন নাই।
একটা উদারণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছি।আমরা কিন্তু যা কখনও দেখি নাই তা কখনও নতুন করে সৃষ্টি করতে পারি না।মানে হল আমরা যাই বানাই না কেন তার উৎস এমন একটা জিনিস যা আমরা এই পৃথিবীতে দেখে থাকি।science fiction মুভিতে অনেক director অনেক ধরনের alien বানিয়েছেন কিন্তু খেয়াল করলে বুঝবেন alien গুলো সবই এমন ডিজাইনের হয় যা আমরা জগৎে দেখে থাকি।হয় তাদের মাকড়সার মতোন চোখ থাকে নয়তো অক্টোপাসের মতোন শুর থাকে,হয়তো বা লেজও থাকে।মানুষের মতোন দুই পা থাকে,না থাকলে মাকড়সার মতোন পা থাকে ইত্যাদি ইত্যাদি।এটা শুধু alien ডিজাইনের বেলায় নয়,যা কিছু নতুন আমরা সৃষ্টি করি তার সবকিছুর জন্যই প্রযোজ্য।অর্থাৎ আমাদের চিন্তার একটা লিমিট আছে,যার বাইরে ভাবা আমদের পক্ষে সম্ভব না।সুতরাং God কিভাবে আমদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করছেন তা বোঝাও আমাদের জন্য দুঃসাধ্য।
আর God কে বিলীভ করলে আমাদের তো কোনো ক্ষতি হয় না,তাই নয় কি ব্যাপারটা?বরঞ্চ অনেক ক্ষেএে তা আমাদের বিপথে যাওয়া থেকে বিরত রাখে,সমাজে মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটায়।আশা করি সবাইকে বুঝাতে পেরেছি আমি কি বলতে চেয়েছি।
কিবরিয়া,
জীবনটা এমনই, বাস্তবতা বড়ই কঠিন। এই কঠিন সময়ের মধ্যে আমাদেরকে ভালোভাবে চলতে হবে।
আল্লাহ সবার ভাগ্যকে সমান ভাবে দেয়নি, তবে তিনি সবাইকে সাহায্য করেন। বাস্তবতা মানুষকে কঠিন করে তোলে আর সৌভাগ্য মানুষের কাজগুলোকে সহজ করে দেয়।।
এইটাতো বাংলাদেশের পক্ষপাতদুষ্ট লোকাল সরকার ব্যাবস্থার মনোভাব। 😕
যাউগ্যা, তোরে ব্লগে দেইখ্যা ভালো লাগতাছে। পারলে নিয়মিত আসিস।।
যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ