আজ ১২ তারিখ,এখন রাত ২টা ৩০ বাজে কাঁটায় কাঁটায়।গতকাল বেলা ১১ টার সময় ঢাকা থেকে রওয়ানা দিয়ে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে গন্তব্যে পৌঁছেছি।সব জিনিসপত্র গুছানো শেষে এইমাত্র ল্যাপটপ খুলে বসলাম।সকাল থেকে থেকে(পরবর্তী নোটিশ না পাওয়া পর্যন্ত) মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেটের মডেম “আউট-অফ-বাউন্ড” হতে যাচ্ছে-জানিনা কতদিন পর্যন্ত এটি বলবৎ থাকবে।তাই ঝটপট কিছু অনুভূতি শেয়ার করিঃ
১) ৬ বছর ক্যাডেট কলেজ এবং তারপর বিএমএ তে থাকার অভিজ্ঞতা-এর পরেও আমার মা একটুও বদলাননি।বিশেষ করে একাডেমিতে আসার শেষ কয়েক দিন আগে এমন কান্নাকাটি করছিলেন যে আমার পক্ষে অশ্রু সংবরণ করা খুব কঠিন হয়ে পড়েছিলো।মা-রা বোধহয় এমনই হন,সময়ের সাথে সাথে সব কিছু পাল্টালেও সন্তানের প্রতি তাঁদের মমতার বিন্দুমাত্র হেরফের হয়না…
২) আসার ঠিক আগের দিন দুপুর পর্যন্ত আম্মুর সাথে সাথে আমারও প্রচন্ড মন খারাপ ছিলো-এক বছরের জন্যে পরিবার থেকে দূরে থাকতে হবে ভেবে।তবে সেদিন শাহরুখ খানের কনসার্টটি আমার মনকে চাঙ্গা করতে যথেষ্ট সহায়তা করেছে।ডেড পোয়েটস সোসাইটি নামক রবিন উইলিয়ামসের একটি সিনেমাতে একটা লাইন ছিলো অনেকটা এরকম-
“Medical,engineering,business etc are noble professions that make life possible in this earth.But poetry,romance,charm,literature….that’s what we live for.Without these,life would be meaningless.”
আসলেই তো,আমাদের জীবনে যদি এন্টারটেইনারদের অস্তিত্ব না থাকত-কি নিরানন্দ জীবনই না হত সেটি!
৩)বিজয়ের মাস ডিসেম্বর,খুব ইচ্ছে ছিল মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কিছু লেখার-কিন্তু মনে হচ্ছেনা খুব শিঘ্রি সেটি সম্ভবপর হবে।আশা করি পরবর্তীতে লগ-ইন করবার পর সিসিবিতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক দারুণ কিছু পোস্ট দেখতে পাব।
৪)ক্যাডেট কলেজ এবং পরবর্তীতে বিএমএ ট্রেনিং আমাকে সম্পূর্ণ নতুন একটি পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে কতটা সাহায্য করছে তা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব।এখনও পর্যন্ত আমাদের ব্যাচে পিসিসির আশীষ,জাহিদ ভাই,কুমিল্লার মান্না ভাই এবং জেসিসির রিয়াজ ভাই(৩০তম) সাথে কথা হয়েছে।এছাড়া আসার পথে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের সাইনবোর্ডও দেখতে পেরেছি-মনে হচ্ছিলো আমি যেন আবার আমার পুরনো ক্যাডেট জীবনে ফিরে যাচ্ছি!বাজি রেখে বলতে পারি,সব এক্স ক্যাডেটের অনুভূতি একই!
৫) আমার ট্রেনিং আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে যাচ্ছে দু-একদিনের মধ্যেই।সম্ভবত সিসিবিতে আগের মত আমার উপস্থিতি থাকবেনা,প্রিয় মানুষদের জন্মদিনে আমার অতি সাধারণ শুভেচ্ছা-ব্লগগুলো হয়তো আগের মত নিয়মিত আসবেনা।বেশ মিস করব সবাইকে-যদিও আমি বিশ্বাস করি,স্থানের দূরত্ব বাড়লেই মনের দূরত্ব বৃদ্ধি অন্ততঃ ক্যাডেটদের পারস্পরিক অনুভূতির ক্ষেত্রে ঘটেনা।
আজ এ পর্যন্তই।পরবর্তী সুযোগ না আসা পর্যন্ত সবাইকে শুভেচ্ছা!
কেমন আছিস ভাই?
ভাবছিলাম ছেলেটা গিয়ে কি না কি করছে।
ভাল থাকিস।
ভাই আমি বেশ ভালো আছি।আপনার স্নেহপূর্ণ ডাকটা খুব খুব খুব ভালো লাগলো।আসলে সবাইকে খুব মিস করছি...
মাসরুফ তোমার কি ট্রেনিং করার দরকার আছে? :dreamy: :dreamy: যাই হোক আগামী বছর হয়ত শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসাবে পাস আউট করবে এই প্রত্যাশায় রইলাম। আর পুলিশ একাডেমীর ট্রেনিং বুলেটিন এর অপেক্ষায় রইলাম।
সুতীব্র সহমত :thumbup:
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
তোমাকে উৎসাহ দেয়া মানে আসলে নিজেকেই দেয়া, নিজেকেই চাঙ্গা হতে বলা। যা করছি সেটা আরেকটু ভালোভাবে, নিষ্ঠার সাথে করার জন্যে মনকে তৈরী করা।
প্রত্যেকটা পেশার একটা নিজস্ব দাবী থাকে, সেটা একটু একটু করে আমাদের পাল্টে নেয় তার নিজের মতো করে। মনে আছে, যখন ডাক্তারী পেশায় ছিলাম তখন কখনো সখনো ড্রিংক করলেও খুব পরিমিতভাবে করতাম, মনে হতো রাতবিরেতে আশেপাশে, কোথাও কখনো যদি প্রয়োজন হয়! সবসময় প্রস্তুত রাখতাম নিজেকে। কিছু স্কিল আর শেখা হয়ে ওঠেনি বলে টেনশন হতো। মনে হতো, কখনো রাস্তায়, ট্রেন বাসে প্রয়োজন হলে, যখন আমি ছাড়া আর কেউ নেই সাহায্য করবার, তখন কি করবো।
আমার মনে হয়, তোমার পেশার এমন প্রয়োজনে নিজেকে অভিযোজিত করে নিতে পারবে তুমি। সংবেদনশীলতাটুকু হারাবেনা এমন পণ আগেই করে রেখছো জানি।
একটাই কথা বলবার, পথে যদি কখনো আমাদের দেখা হয় আমি আইন ভাঙার কারণে, আমি কখনো বলবোনা ছেড়ে দাও, তুমিও দেবেনা আশা করি।
আপনি এখন ডাক্তারী পেশায় নন?
এখন ল্যাবে
ওঁ টেস্টটিউবায় নমঃ
ওঁ দ্রবণায় নমঃ ---- করি
আর ইঁদুরের উপর ডাক্তারী প্র্যাকটিস করি। 🙁
সারদা.. নষ্টালজিক হয়ে গেলাম.. 🙁 🙁
মুহিব্বুল এর সাথে আমিও একমত। যে পোলা ৭ ক্লাশ থেকে একই ট্রেনিং নিতাছে তারে সারদা কিছু ভুলভাল ট্রেনিং ছাড়া নতুন আর কি শিখাবে !! বিষযটা যথাযথ কর্তৃপক্ষরে একটু বুঝায়ে কইলে জাতির কিছু খরচ আর তোমার কিছু কষ্ট কমতো ..
মনজুর ঠিকই কইছে- ছয় বছর ক্যাডেট কলেজে, তারপর আবার বিএমএ'তে...এরপর সারদায় ওরা কি শেখাবে তোমাকে?! সরকারের খালি আজাইর্যা খরচ। তোমাকে এখনই মাঠে নামায়া দিতে পারে।
এনিওয়ে, ট্রেনিংএর সময়টা যেহেতু ঐখানে থাকাই লাগবে, মজা করো, জম্পেশ।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
সিসিবি তার এই প্রিয় মাস্ফ্যুকে অনেক অনেক মিস করবে। আর চাওয়ালা কতটুকু মিস করবে তা না হয় নাই বলি (আমার মন খারাপের সময়, কিন্তু যে কোন সমস্যায় এমএসএনের পরামর্শগুলোর অভাব বেশ ভোগাবে আমাকে)।
শেষ কথাঃ :just: আপনাকে নিয়ে গর্ব করবার সুযোগ পাবো, এটাই আমার একান্ত প্রত্যাশা। ::salute::
অফটপিকঃ মান্না ভাইকে শুভকামনা দিয়েন। দুষ্টু লুকটারে মিস করবো।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ভাবতেই কষ্ট লাগছে সিসিবি তে আগামী কিছুদিন আমার এই আপন ভাই (বিশ্বাস না হইলে আমার আর ম্যাশের এফবি ওয়ালে সিব্লিং লিস্ট দেখেন) এর লুঙ্গি পড়া পদচারনা দেখতে পারব না :(( । অবশ্য আশার কথা হচ্ছে কিছুদিনের ভিতরেই তার মজার মজার অভিজ্ঞতা নিয়ে ব্লগে হাজির হবে 😀 । তোকে অনেক মস্করবো রে ম্যাশ :hug:
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
ভালো থেকো 🙂
ম্যাশ,
অল দা বেস্ট।
ভাল থাকিস।
শুভ কামনা সবসময়।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
শাহরুখ খানের কনসার্ট ইবং ডেড পোয়েটস সোসাইটি বড়োই বেসামাল বেমানান মনে হইলো! :grr:
ভাল থাকিস। বৃক্ষ হয়ে থাকিস।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
সারদায় ভাল থাকিস দোস্ত।
আমার জানা মতে সারদায় ল্যাপটপ আর মোডেম নিয়ে যাওয়া জায়েজ। যোগাযোগ রাখতে পারবি নিয়মিত। আশিস কে আমার শুভকামনা আর ভালবাসা জানাস।
আরেকটা কথা চাঙ্গা হউয়ার জন্য এত জায়গা থাকতে শাহরুখের ফালতু প্রোগ্রাম থেকে চাঙ্গা হইতে হইল?
গুড লাক ম্যাশ
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ছায়া দিয়ে রাখিস, যেমন আমাদের রেখেছিস এই সিসিবিতে। তোর ডালে বসা পাখিদের মারফত খবর পাঠাস, ঠিকই পেয়ে যাবো।
ম্যাশ বাবাজি কি এরি মধ্যে ম্যাশ পটেটো হইতে শুরু করসে ট্রেনিং এর চোটে?
পুলিশ জামাই বাবাজি, সারদার প্রথম রাতের পর প্রথম দিন কেমন কাটলো? বা এরপরের দিনগুলা? সময় ও সুযোগে নামায়া দিস ব্লগ।
লুঙ্গি কি পারমিটেড ঐখানে? ;))
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
মাস্ফ্যু ভাই ইনশাল্লাহ সেরা ঠোলা অফিসার হয়ে বের হবেন :boss:
আই মিস ইয়্যু, ম্যাশ, সাজেশন-টাজেশন বানাতে গিয়ে বড়ই অসহায় অসহায় লাগে...
নেক্সট বুলোগে গপ্পো দিস। ফুলিশরা ক্যাম্মে তরে কি টিরেনিং দেয় দেকপানে....... 😉