আজকে ২৫শে বৈশাখ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৪৮ তম জন্মবার্ষিকী। কিন্তু ব্লগে কোন মাত বোল নাই 🙁 । ব্লগের ব্যানারেও নতুন কিছু নাই। আমি অফিস থেকে মাউস টিপে টিপে রবীন্দ্রনাথকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা দিলাম। এখন ব্লগের কবি, গল্পকারদের পালা। দারুন কিছু লেখার অপেক্ষায় রইলাম। আপাতত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই গানটা দিলাম
চোখের আলোয় দেখেছিলেম চোখের বাহিরে।
অন্তরে আজ দেখব, যখন আলোক নাহি রে।।
ধরায় যখন দাও না ধরা
হৃদয় তখন তোমায় ভরা,
এখন তোমার আপন আলোয় তোমায় চাহি রে।।
তোমায় নিয়ে খেলেছিলেম খেলার ঘরেতে।
খেলার পুতুল ভেঙে গেছে প্রলয় ঝড়েতে।
থাক তবে সেই কেবল খেলা,
হোক-না এখন প্রাণের মেলা
তারের বীণা ভাঙল, হৃদয়-বীণার গাহি রে।।
গুরুরে সালাম।
আমিও আমার পছন্দের কবিতার দুই লাইন দেই।
"আমি জেনে শুনে বিষ করেছি পান,
প্রাণের ও আশা ছেড়ে সঁপেছি প্রাণ।"
আমি বলার মত কিছু পাচ্ছি না।
রবিবাবুকে নিয়ে অনেক সুন্দর কিছু লিখা আসুক।
আমি সকাল থেকেই বুড়োটার গান শুনছি।
কবিগুরুকে প্রণাম...দুর থেকে আশা করি আমার অনুকবিতা পেয়ে যাবেন।
তোমার উদয়ে গগন হৃদয়ে
ধন্য ধরণী কাব্য মালয়ে
জ্বালিয়ে আলো বাজিয়ে সুর
মনের কালো করিলে দূর...
আমার বসন্তগান তোমার বসন্তদিনে
ধ্বনিত হউক ক্ষণতরে-
হৃদয়স্পন্দনে তব, ভ্রমরগুঞ্জনে নব,
পল্লবমর্মরে,
আজি হতে শতবর্ষ পরে।।
কবিগুরুর প্রতি :salute: শুভ জন্মবার্ষিকী।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
আমার অনেকদিন কবিতা পড়া হয়না। তবে কবিগুরু আমার অনুভূতি জাগরণের অনুপ্রেরণা ছিলেন। বন্ধু নিয়ে কবির একটা কবিতা আমার হৃদয়ে গাঁথা...
পরম আত্নীয় বলে যারে মনে মানি
তারে আমি কতদিন কতটুকু চিনি
অসীম কালের মাঝে তিলেক মিলনে
পরশ জীবনে তার আমার জীবনে।
যতটুকু লেশমাত্র চিনি দু'জনায়
তাহার অনন্ত গুণ চিনি না'ক হায়।
দু'জনের একজন যেদিন যবে
বারেক ফিরাবে মুখ এ নিখিল ভবে।
......................................
এক্ষণ মিলনে তব ওগো মনোহর
তোমারে হেরিনু কেন অমন সুন্দর
মূহুর্ত আলোকে কেন হে অন্তরতম
তোমারে হেরিনু চির পরিচিত মম।