শুরুতে মন্তব্য হিসাবেই লিখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি অন্য কমেন্টগুলোর মত আরো অনেক কমেন্ট ট্র্যাক করতে পারবো না, তাই আলাদা রচনা হিসাবে দিলাম। আমি কামরুলের সাথে একদম একমত। ICL খেলতে যাওয়ায় কোন অংশেই আমি দেশপ্রেমের অভাব দেখি না। ভারতীয় বোর্ড শুরুতে IPL এ বেশ কিছু বাংলাদেশী ক্রিকেটারকে সুযোগ দেবার কথা বলেছিলো। কিন্তু সুযোগ মিলেনি। রফিকের কোলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলার কথা, সুযোগ মিলেনি। আমাদের দেশী ক্রিকেটাররা কখনোই ভারতীয় ক্রিকেটারদের মতো স্পন্সরশীপ খুজে পায় না। তাই সীমিত সময়ের ক্যারিয়ারে কতটুকু আয় করা যেত; তাও আমাদের দেখা দরকার। একজন আর্মি অফিসারের ক্যারিয়ারের তুলনায় একজন ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার অনেক ছোট, তাই দুটোর কোনোভাবেই তুলোনা চলে না। আর অলকের মতো ক্রিকেটারদের দিন প্রায় শেষ। আফতাব ছাড়া জাতীয় দলে কেউ অপরিহার্য ছিলো না।
আর ক্রিকেটাররা ভাবে নাই সারা জীবনের মতো বহিস্কার হতে হবে। ভেবেছিলো ICL এবং ICC একটা সমঝোতায় পৌঁছাবে শীঘ্রই। যদিও আজ হোক কাল হোক ব্যাপারটা ঘটবে। আমার ধারনা পাকিস্তান কিছুদিনের মধ্যেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিবে। দক্ষিন আফ্রিকার ভারতীয় বংশোদ্ভূত হারুন লোরগাত ও ভারতীয় বোর্ডের মাস্তানি পছন্দ করছে না। আর সাদা বিশ্বতো এমনিতেই বিপক্ষে!!
ভারতীয় বোর্ড আমাদের ক্রিকেট বোর্ডের অর্থনৈতিক বন্ধু। কিন্তু কতটুকু তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। কখনো বাংলাদেশ দল পূর্নাঙ্গ ভারত সফর করে নাই, আগামী বিশ্বকাপে বাংলাদেশ কয়টা খেলা আয়োজন করতে পারবে তা নিয়ে আমি সন্দিহান। হয়তো শুধু বাংলাদেশের খেলাগুলোই। তাই ঠিক কি কারনে ভারতীয় বোর্ডকে এতো তৈল মর্দন আমি বুঝি না।
দেশ সেবার অনেক সূক্ষ কিছু যুক্তি এখানে দেখলাম; যেমন Return দিতে না পারায়, দেশি সম্পদের অপচয় না ঘটিয়ে ফৌজি চাকুরী থেকে বিদায় নেয়া :dreamy: কিন্তু ICL বেতন দিয়েছে ডলারে। মিশনে গিয়ে যখন ফৌজিরা ডলারে বেতন কামায়, আমি ভাবি রেমিট্যান্স আসে, এটাই আসল দেশ সেবা। এক্সারসাইজে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার চেয়ে লাইবেরিয়াতে পেট্রলিং করলে অনেক দেশ সেবা হয়। যাই হোক ICL থেকে অন্তঃত কিছু বৈদেশিক মুদ্রাতো এলো। একটু দেশসেবা তো হলো।
আমার মতো সাধারন ছেলের চেয়ে একটু বেশী প্রতিভাবান বলেই তো আমি হাউজ টিমে আর ওরা জাতীয় দলে ক্রিকেট খেলেছিলো। আমি যদি ভবিষ্যতে বাংলাদেশে কনসাল্ট্যান্সী চাকুরীর লোভে এখন বিদেশী ডিগ্রী আর এক্সপেরিয়েন্স খুঁজতে পারি তাহলে ওরা কেনো বেশী প্রতিভাবান হয়েও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করতে পারবে না। আমি অবশ্যই দেশে ফিরে যাবো।কিন্তু যাবার আগে নিজেকে আরেকটু যোগ্য করে নিতে হবে। কিন্তু আমার মনের কথা অথবা ব্যাক্তিগত পরিস্থিতি না জেনেই কেঊ যদি আমায় বলে আমি দেশপ্রেমিক না, তা হবে নিতান্তই ভুল এসেসম্যান্ট এবং আমার জন্য দুঃখজনক উপলদ্ধি।
p:s: ফৌজি ভাইরা আমার কোনো কমেন্টে দুঃখ পেলে আমি Sorry. কোনোভাবেই আমার তাদের আঘাত করার ইচ্ছা ছিলো না বা এখনো নাই। অনুগ্রহ করে কেউ আমার কথাগুলোকে misinterpret করবেন না।
দেখি ১ম হইতে কেমন লাগে।
সেলিনা আপা আমার উইনিং স্ট্রিক ভাইংগা দিল। 🙁
কিন্তু, এথলেটিসিজমের স্পিরিটে আপার জন্য :hatsoff:
:thumbup: :thumbup: :thumbup: :thumbup:
পৃথিবীর সব বোর্ড কর্তৃক উপেক্ষিত আইসিএল " -এখানটাতেই আপত্তি আমার। যদি উপেক্ষিত না হতো সেই প্রেক্ষাপটে আপনার মতামত কি? যারা খেলোয়াড়দের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাদের জন্যে আমার এই প্রশ্ন।
'পৃথিবীর সব বোর্ড কর্তৃক উপেক্ষিত আইসিএল'... আসলে কারো কাছে alternative নাই BCCI ছাড়া। তাই ভারতীয় বোর্ডকে হাতে রাখে। রশিদ লতিফ ঠিকই বলেছে, মুম্বাই এর বোমা করাচীতে ফাটলে ইংল্যান্ড পাকিস্তানে যেতো না টেস্ট খেলতে।
ক্রিকেট এর মতো এতো লম্বা খেলার পিছনে এতো সময় খরচ করা ভারতীয় উপমহাদেশেই সম্ভব। এত অলস লোক পশ্চিমা দুনিয়ায় নাই। তাই উন্নত বিশ্বে এত স্পন্সর নাই ক্রিকেটের জন্য। তাই ক্রিকেট বিশ্ব ভারতীয় বাজারের পিছনে ছুটছে।
তুমি ঠিক বলেছো; আরো আছে রাজনীতি। ডাল মিয়া ভারতীয় বোর্ডের প্রেসিডেন্ট থাকলে এতো দিনে জি টিভি ICL কে জায়েজ বানিয়ে ফেলতো।
আর আমরা আছি দেশপ্রেম আর বেঈমানীর হিসাব কষতে!!!
আমি এহসান ভাইয়ের সাথে সম্পুর্ণ একমত।
ভারতীয় জুজুর এই ভয় ক্রিকেট বোর্ডের যাবে না যতদিন না বাংলাদেশের মূল দল এমন একটা স্ট্যাণ্ডার্ডে যাবে যে আমাদের সবসময় টেস্ট স্ট্যাটাস হারানোর ভয় থাকবে না। সেটা আদৌ কোনদিন হবে কি না সেটা অন্য আলোচনা। আই সি সি-র (পড়ুন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের) অর্থ, সহানুভূতি আর "সমর্থন" সবকিছুই খুব জরুরী বাংলাদেশ ক্রিকেটের (পড়ুন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের) টিকে থাকার জন্য। ওদের চোখ-রাঙানিটাও ওই প্যাকেজেরই অংশ। তাই ওই খেলোয়াড়দের ব্যান করার সিদ্ধান্তটা আমি মেনে নিতে না পারলেও ওটার ইতিহাসটা বুঝতে পারি।
আর আইসিএল খেলতে যাওয়াদের অনেকেই হয়তো গালমন্দ করছেন, বিদ্রোহী বা বিশ্বাসঘাতক ডাকছেন। কিন্তু একবারের জন্যও ভাবছেন না বাংলাদেশে ঘরোয়া ক্রিকেটের ন্যুব্জপৃষ্ঠক্যুব্জদেহ, জাতীয় দলে খেলোয়াড় বাছাই নিয়ে কর্তাব্যক্তিদের কুৎকুৎ খেলা, একের পর এক আন্তর্জাতিক ম্যাচে পত্রিকায় ক্রীড়া সাংবাদিকদের বায়বীয় স্তুতিকে ছাপিয়ে যাওয়া পনেরো কোটি দর্শকের আশাহত দীর্ঘশ্বাসের শব্দ ... আর অন্যদিকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে লীগ পর্যায়ে ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি অর্থের আকর্ষণ।
ক্রিকেটাররা সিদ্ধান্ত নিশ্চয়ই ভেবেই নিয়েছেন। রপ্তানি হয়ে যাওয়াই ভালো, দেশে থেকে গালি খাওয়ার চেয়ে, এমনটাই হয়তো ভেবেছেন।
আমি আসলে আগের ব্লগটার সবগুলো কমেন্ট পড়ি নাই। এখন পড়লাম। কিন্তু আপডেটেড লেখা হিসাবে এখানে কমেন্ট করছি।
আহসান আকাশ বলেছেন
একদমই একমত হতে পারছি না। আমরা ক্যাডেট্রা আর ফৌজিরা দেশের টাকায় ট্রেইনিং নিতে পারে, কিন্তু ক্রিকেটাররা মূলতঃ ট্রেনিং নিয়েছে ক্রিকেট থেকে অর্জিত ক্রিকেট বোর্ডের টাকায়। আমাদের ক্রিকেটে সরকারী পর্যায় থেকে বেসরকারী পর্যায়ে বরাবরই বেশী পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে। যেমন আবাহনী ক্লাবের লোটাস কামাল আকরামকে দিয়ে বোলিং ক্যাম্প করিয়েছে গর্ডন গ্রীনিজ দেশে আশার অনেক আগেই।
আর তৌফিকের করা প্রথম কমেন্টটা (জানুয়ারী ২, ২০০৯ , ৪:৫০ পূর্বাহ্ন)
যদি আগেই পড়তাম তাইলে হয়তো এই ব্লগটা লিখতাম না। ওই কমেন্টটার সাথে পুরোপুরি একমত। সবকিছুকে sum up করলে তাই দাঁড়ায়।
ভাগ্য ভালো পড়েন নাই। 😀
তাইলে এই ব্লগটা পাইতাম না।
আই সি এল - এ চলে যাওয়ায় জাতীয় দলের খুব ক্ষতি কি হয়েছে?
শাহরিয়ার নাফিস আর আফতাবের জন্য আমার মাঝেমধ্যে খারাপ লাগে। কিন্তু আমরা রকিবুল হাসানকে পেয়েছি। আর চলে যাওয়ারা এমনিতেই অনিয়মিত ছিল দলে কিংবা ধারাবাহিক পারফরমার ছিল না।
শুধু মেধা দিয়ে যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রীড়ায় অংশগ্রহন করা যায় না, অনেকেই হয়তো স্বীকার করবেন। অতি মেধাবীদের কথা বাদ। মেধার পাশাপাশি ভালো ওয়ার্ক এথিকস ও মানসিক দৃঢ়তা লাগে। চলে যাওয়াদের মধ্যে ওসবের অভাব ছিল। গেছে ভালোই হইছে। মেধার জ্বালায় হাঁফসাঁফ করতে থাকা বাংলাদেশ দল একটু নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পাইছে।
তবে ওদের গালমন্দ করা ঠিক না। আমার দৃষ্টিতে ওরা চলে যেয়ে কোন অন্যায় করে ফেলেনি।
***নিতান্ত নাদানের একান্ত ব্যক্তিগত মতামত।
তোমরা সবডি দেখি আমার মনের কথা কইতে পার। ভাবতেছি নেক্সট বসের লগে ডিবেটের সময় তোমাগো হায়ার করুম।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
গ্রেট মাইন্ডস থিংক আলাইক। B-)
আমি সম্পূর্ণ একমত হতে পারলাম না। আজীবন নিষিদ্ধ হবে না ভেবেছে এই কথা তো আসেই না কারন তারা যাওয়ার আগে সবাই মিলে জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছে। এটা তাদের কোন ধরণের চাল। অবসরের ঘোষণা দেওয়া কি মশকরা।
এখন আবার সবাইকে দলে নেওয়া হলে আমার আপত্তি থাকবে। কারন তাহলে তামিম মাশরাফি যারা সবার উপরে জাতীয় দলে খেলাকে মূল্য দিয়েছে তাদের জন্য ব্যাপারটা আনফেয়ার হয় আইসিএল পার্টি টাকাও কামাল এখানে এসে আবার খেলল কেমন হল ব্যাপারটা। আমি তাদের দেশপ্রেম নিয়ে কোন কথা তুলব না কিন্তু আমার মনে হয় তাদের ব্যাপারটা আমাদের জাতীয় দলের জন্য ভুলে যাওয়াই ভাল। (একান্ত নিজের ধারণা)
আমিও একমত।
একবারে এত টাকা কামানোর ধান্দা সামনে থাকলে যে কারোরই মাথা নষ্ট হবার জোগাড় হবে। শাহরিয়ার, আফতাবরা যা করসে তাতে আমি দোষ ধরতে পারিনা। নিজের ভালো পাগলেও বোঝে।
আবার এত বড় একটা দাও মারার সুযোগ কে অবজ্ঞা করে মাশরাফি, তামিমরা কিন্তু ঠিকই থেকে গেছে। এইজন্য আই স্যালুট দেম।
আর দলে নেয়া না নেয়ার ব্যাপারে কামরুল তপু ভাই যেটা বলসে সেটা আমারও মনের কথা।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
এখানে একটা ব্যাপার মাশরাফি, তামিম, আশরাফুলদের বেলায় লক্ষনীয়। যারা আইসিএল এ গেছে তাদের চেয়ে এরা জাতীয় দলে উন্নত গ্রেডের (বিসিসির চুক্তির গ্রেড অনুযায়ী)তাই জাতীয় দলের নিশ্চয়তা এদের বেশি। আরেকটা হলো, আইসিএল এ বাংলাদেশের দলটা মোটামুটি ভালই পারফর্ম করেছে, এতে কি বাংলাদেশের ক্রিকেটের পতাকাটা কি আরো উন্নত হয়নি ?নাকি যদি আইসিএল এ বাংলাদেশের একটা প্লেয়ারও না থাকতো তবেই বাংলাদেশের ক্রিকেট বেশি বাহবা পেত ? আইসিএল এর প্লেয়ারদের টাকা ইনকামের বহর দেখেও যদি আরও দশটা বাবা-মা ছেলেকে ক্রিকেট খেলতে উৎসাহিত করে তবে সেটা ক্রিকেটের উপকার না ? এখন কি বাবা-মা ছেলেকে ক্রিকেট খেলতে বেশি উৎসাহিত করবে না, যখন জানবে যে তার ছেলে জাতীয় দলে চান্স না পেলেও না খেয়ে মরবে না ?
এক হিসাবে তো আমি নিজেও আইসিএল এর প্লেয়ারগুলোর মতোই। টাকার জন্য আফ্রিকায় পড়ে আছি। কিন্তু ভাবতে ভাল লাগে আজ দেশের সিংহভাগ বাজেট হয় রেমিটেন্সের টাকায়। বাংলাদেশের ইনকামের সবচেয়ে বড় অংশই আমার মতো দেশত্যাগীদের কষ্টের টাকা। এটাকি দেশ সেবা না ? আজ হাজার হাজার ভারতীয় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সারা বিশ্বে, তারাই কি আজকে বিশ্বের দরবারে ভারতকে অর্থনোৈতিক পরাশক্তিতে পরিনত করেনি ? বাংলাদেশের জনসংখ্যা তার সম্পদ, তাকে ছড়িয়ে দেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ ।
মন্ট্রিয়লে ঘুরতেছি, যে বাসায় আছি সেখানে নেট নাই, তাই ব্লগ থেকে কিছুদিন বিরতি নিছি ... আগের পোস্ট পড়ার সময় নাই, এইটাও একটু চোখ বুলায়ে যা বুঝলাম তার উপর ভিত্তি করে দুইটা কথা বলিঃ
১) একটা ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার কয়দিনের? যে ভালো খেলে তাকে আমরা মাথায় তুলে নাচি কিন্তু যে একবার খারাপ খেলে টিম থেকে বাদ পড়ে তার খবর রাখি কয়জন? গত কয়েকবছরে দুইএকটা ম্যাচ খেলেই বাদ পড়ছে এমন খেলোয়াড় তো একেবারে কম না, তারা কে কোথায় কি করতেছে আমরা কি জানি? একটা প্লেয়ারের হঠাত ইনজুরি হইতে পারে, ফর্ম পড়ে যেতে পারে, তারপরে তার চলবে কিভাবে? বোর্ড তার সাথে চুক্তি ক্যানসেল করবে, আর ঘরোয়া ক্রিকেটের এমন কোন ভালো অবস্থা নাই যে সেটার টাকায় কেউ খুব ভালো থাকবে, তার উপায়টা কি হবে তখন? কেউ যদি এসব বিবেচনা করে নিজের ভবিষ্যত নিরাপত্তার জন্য জাতীয় দলে আর না খেলার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে তাকে বেঈমান বলার অধিকার আমরা রাখি কি?
২) ফুটবলার মুন্নার কথা মনে আছে? তার কিডনী নষ্ট হওয়ার পর তার জন্য প্রীতি ম্যাচের নামে ভিক্ষার আয়োজন করতে হয়েছিল ... আমাদের ক্রিকেটাররাও গরিব ঘরের সন্তান, এইটা মনে রাখা দরকার ...
৩) সরকারী ভার্সিটিতে বিনা পয়সার পড়ালেখা করে দেশের বাইরে এসে সেটেল হয় এমন ছাত্রের সংখ্যা কত আমাদের দেশে? তাদের সাথে আইসিএলে যাওয়াদের পার্থক্য কোথায়?
৪) ক্যাডেট কলেজ থেকে পাস করে অনেকেই তো আর্মিতে যায় না, নিজের পছন্দ অনুযায়ী ক্যারিয়ার বেছে নেয়, সেটা কিভাবে সমর্থনযোগ্য, যদি আইসিএলএ খেলাটা বেইমানী হয়?
ক্রিকেটাররাও আমাদের মতই মানুষ, এইটা মাথায় রাখা দরকার ...
যেটা বলতে চাইছি তার বটম লাইন হচ্ছে, ক্রিকেটাররা যদি আগের থেকে সব জেনে-বুঝেও স্বেচ্ছায় জাতীয় দলে না খেলতে চায়, সেটা তাদের অধিকার; তাদের আচরণ আমাদের মনমত না হতে পারে, কিন্তু সেটার জন্য তাদের বেইমান বলার কোন রাইট আমাদের নাই ...
একমত। :ahem:
ব্যাপক বুজছি :ahem:
কোয়াবের জরিপে হাবিবুলদের পক্ষেই ভোট বেশি
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
খুব ছোটবেলা থেকেই কখেলাধূলারপ্রতি আমার অগাধ ভালোবাসা। নিজে খেলতে পারি নাই পারি খেলার স্পিরিটকে সম্মান করি।আইসিএলে যাওয়া পার্টির জন্য দুঃখ পাইছি।এ$টা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলার আগে আমাদের কিছু কথা জানতে হবে।
সাইফুল নামে একজন খেলোয়াড় ছুইল ।আজকের সমর্থক দের অনেকেই হয়তো তাকে চিনবে না কিন্তু আকরামের যে ইনিংসটির উপর বাংলাদেশের ক্রিকেট দাড়িয়ে সেখানে জুটিতে তারো অবদান ছিলো।তার ভাগ্যে কী ঘটেছে লাঞ্ছনা।কিংবা শ্যূটার আসিফের কপালে জুটেছে মার।আমরা তাদের ধরে রাখতে পারছি না।মোহাম্মদ রফিকের ভাগ্যে কী ঘটেছে?
অনেক জায়গায় আফতাব হাবিবুলদের ইনকাম দেখিয়ে তাদের বিশ্বাস ঘাতক বলতে চাওয়া হয়েছে?বলি,এই টাকা কী তারা ভিক্ষা করে পেয়েছে?ওরা পারিশ্রমিক হিসেবে নিয়েছে।আর যেহেতু আমাদের তুলনায় ওদের কাজ(৫৭ এর তুলনায় ৩৫ বা ৩৬)করার টাইম লেনথ কম ওদের বেতন বেশি হবে স্বাভাবিক।
ইত্যবসরে বাংলাদেশের উদ্ধত দুর্বিনীত অধিনায়কটি নিজেকে বিরাট দেশপ্রেমিক সেজে গেছে যদিও ওর সাথে প্লেয়ারদের ইগো কনফ্লিকটের কথা শুনা যায়।
যা হোক আই সি এলে যারা গেছে সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার যারা যায়নই সেটাও তাদের ব্যাক্তিগত ব্যাপার যাওয়ার জন্য ধিক্কার দেয়ার কিছু নেই আবার না যাওয়ার জন্য বাহবা দেয়ার কিছু নেই।
আমি মনে করি আইসিএলে যাওয়া যদি ধেশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা হয়,দেশের টাকায় পড়াশুনা করে সরকারি চাকরি না করে বিদেশে গেলেও বিশ্বাস ঘাতকতা।
তৌফিক,লাভ ক্ষতির আর মেধার অনুকম্পা নিয়ে ওদের টিস করা টা ফেয়ার না।বাংলাদেশ দলের লাভ হয়েছে এটা মানতে পারলাম না।
কামরুলতপু বলেছেনঃ
জানুয়ারী ৩, ২০০৯ @ ৩:০০ অপরাহ্ন
এখন আবার সবাইকে দলে নেওয়া হলে আমার আপত্তি থাকবে। কারন তাহলে তামিম মাশরাফি যারা সবার উপরে জাতীয় দলে খেলাকে মূল্য দিয়েছে তাদের জন্য ব্যাপারটা আনফেয়ার হয় আইসিএল পার্টি টাকাও কামাল এখানে এসে আবার খেলল কেমন হল ব্যাপারটা।
দোস্ত ,তাইলে জাফর ইকবালের মত লোকদের সরকারি ভার্সিটিতে নিয়োগ দেয়া যাবে না।সে আমেরিকায় টাকাও কামাল আবার এখানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়ে দেশপ্রেমের বুলি ছাড়বে।এতে যে লোক বিদেশে যাবার সুযোগট পেয়েও দেশের কমিটমেন্টে সরকারি সার্ভিস দিল তার প্রতি অবিচার করা হলো না?
আমার মতামত তোমার থেকে ভিন্ন কিছু না। খেলাই এদের পেশা, যে বেশি দাম দেবে, তার হয়েই তারা খেলবে।
কিন্তু বাংলাদেশ দলের লাভ হয়েছে এটাও আমি মনে করি। যুক্তি দেখাইতে বললে একটা ব্লগ লিখা হয়ে যাবে। তারচেয়ে দেশে আসি, তারপর কোন একদিন একসাথে ডিনারের পর বিড়ি ফুকঁতে ফুকঁতে বিতর্ক করা যাবে। 🙂
আমাদের আহসানের এই ব্লগটা দেখে আসো। আমার কিছু কমেন্ট আছে, দেখলে আমার বক্তব্যটা বুঝতে পারবা। 😛
ফয়েজ ভাই, কামরুল ভাই, ফৌজিয়ান ভাই, এহসান ভাই, তৌফিক, আমিন সহ অন্যান্য যারা icl এ যোগদানকারিদের পক্ষে বলেছেন, তাদের অকাট্য যুক্তিগুলো দেখে আমি এখন স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছি যে আসলে তাদেরকে বোধহয় দোষ দেয়া, বেঈমান বলা ঠিক হচ্ছে না। তবে একটা ব্যাপারে আমি নিশ্চিত যে ঐ সব প্লেয়াররাও এত সুন্দর ও জোরালোভাবে তাদের পক্ষে যুক্তি দিতে পারবে না।
তবে আমি মনে করি icl এর কারনে আমাদের উপকার হয়েছে, যাদের কমিটমেন্ট এর অভাব ছিল, তারা দল থেকে সরে গিয়েছে, বলা যায় একটা ফিল্টারিং হয়ে গিয়েছে।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
:hug:
বুঝলাম আহসান।
কিন্তু আমাদের উদ্ধত দুর্বিনীত অধিনায়কের কমিটমেন্ট নিয়ে আমি বরাবরই প্রশ্ন তুলি।
দর্শকদের সাথে হাতাহাতির পর থেকে ওর প্রতি এমনিতেই শ্রদ্ধা নেই।শুধু সে খুব ভালো ব্যাটসম্যান বলেই ওকে বাদ দেয়া যাচ্ছে না। মাথা থেকে পা পর্যন্ত প্রতিটা আচরণে সে স্টুপিড (ক্রিকেট বাদে)।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আইসিএল এর ক্রিকেটারদের প্রতি তাদের মনোভাব বদলেছে, তারা বলেছে ৩১ মে'র মধ্যে তারা যদি আইসিএল এর সাথে চুক্তি বাতিল করে তবে তারা ১ জুন থেকেই ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে পারবে, আর ১ বছর পর থেকে তারা জাতীয় দলে খেলার জন্য বিবেচিত হবে। আইসিএল এ আমাদের ক্রিকেটারদের যোগদান নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে অনেক কথা হয়েছে, দেখা যাক এবার আমাদের ক্রিকেট বোর্ড কি সিদ্ধান্ত নেয়।
cricinfo report
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
একটু আগে দেখলাম খবরটা।
আগেই কইছি পুরা ব্যাপারটা হইতেসে ভারতীয় বোর্ডের চামচামি। এইবারে আমাগো বোর্ড সইরা আসব। আর কিছু বলার নাই।
আমাদের আইসিএল পার্টির ভিতরেই পলিটিক্স শুরু হয়ে যেতে পারে, বুড়া পার্টি (হাবিবুল, রফিক, মঞ্জু) চাইবে যাতে icl এর সাথে চুক্তি বাতিল না করে আর বাকিরা চুক্তি বাতিল করে জাতীয় দলে ফিরতে চাইবে... তবে বিসিসিআই যদি বেশিরভাগ ভারতীয় প্লেয়ারদের ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারে তাহলে icl ভেঙ্গে পড়তে পারে...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
একমত। তবে বুড়া পার্টি মনে হয় না তেমন কিছু করতে পারবে।
শেষমেষ আফতাব নাফিস অলক রা ওদের ভুল বুঝে ফিরে এলে ভালো লাগবে।
আমার ভাল লাগবে না। কারণ তখন যারা তখন যায়নি আইসিএলে তারা ভাববে আমরাও তো গেলেই পারতাম মাঝে কোটি টাকা কামাতে পারতাম।
দোস্ত উপরে একটা কমেন্টে তোর এই কথার পাল্টায় একটা কথা কইছিলাম দোস্ত।
তোর কথা একেবারেই ১০০% ঠিক।
তাও কেন জানি কেমন কেমন লাগে।
আমিও কখনো ওদেরকে পজিটিভলি নিতে পারবো না, আর জানি না বাকি প্লেয়াররা ওদেরকে কতটুকু পজিটিভলি নিবে... সেক্ষেত্রে টিম স্পিরিট এর বারোটা বেজে যাবে।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
টিম স্পিরিটের কারণেই ওরা গেছে বইলা মনে হয়। এই ব্যাটা সিডন্স হইতেসে এর নাটের গুরু। আমার কথা হইতেসে তোরাই কইলি ওরা ভালো থাকা পাইত তাইলে ওরা শুধু টাকার জন্য যায় নি। ওরা গেছে টিমে অনিশ্চিত জায়গা আর টিম ম্যানেজমেন্টের উপর অভিমান করে।
নাফিসের কথা কই। সে দুই ময়াচ খেইলা বাদ পড়ছে পাকিস্তানে। তার জায়গার জোকার জুনায়েদ খেলল। খারাপ করল অথচ তারে বাদ দেয়ার কোন সদ লক্ষণ কেউ দেখাইল না। নাফিস কইছে, দল থেকে বাদ পড়ছি, ক্যাপ্টেন কথা কয় না কোচ কথা কয় না। এমন গুমোট পরিবেশে খেলা যায় না।
এইটারে কি বলবি?
আমাদের দেশপ্রেমের ঝান্ডাধারি দুব্িনীত স্টুপিড অধিনায়কটা কী কইবো?
আশরাফুলও আইসিএল এ চলে গেলে আমি খুশি হতাম... যেতেও মনে হয় চেয়েছিল, পরে তো ঐ সময় ইংল্যান্ডে ভেগে গেল।
নাফিসের এটিচিউড একদম শুরু থেকেই আমার ভাল লাগেনি, icl এর অনেক আগে থেকেই, আর ও কিন্তু অস্ট্রেলিয়া ট্যুরে সিলেকটেড হয়েছিল, ব্যক্তিগত কারন দেখিয়ে যায় নি...
তবে টিম ম্যানেজমেন্টকে আমি সব সময়ই দোষারোপ করব পুরো ঘটনার জন্য... আশা করি আইসিএল এর ঘটনা থেকে শিক্ষা পেয়ে এর উন্নতি হবে।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
নাফিসের এ্যাটিচিউড আমার কাছে দোষের লাগেনি।জুনায়েদ কে নিয়ে কোচের ছ্যাবলামিটা চোখে পড়ার মত দৃষ্টিকটু হয়েছে। ও অসট্রেলিয়া ট্যুরে যায়নি অভিমান থেকে আর আমাদের ম্যানেজমেন্ট শুধু তিক্ততা বাড়িয়েছে।
আমিন তুই নাফিসের বিশাল ফ্যান দেখছি, নাফিস তার বেশির ভাগ রান পেয়েছে জিম্বাবুয়ে(avg 62.41), বারমুডা(116.00), আয়ারল্যান্ড(70.33), স্কটল্যান্ড(30.00), কেনিয়া(34.14) এদের বাদ দিলে ওর এভারেজ হয় 16.61
ডিটেইল
অন্যদিকে জুনায়েদ এখনো এদের সাথে খেলার সুযোগ পায়নি, শুধু জিম্বাবুয়ের সাথে ২ ম্যাচ বাদে, ওর এভারেজ আসে 15.33
ডিটেইল
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
টেস্টে নাফিসের এভারেজ ২৭.০০ (বিদেশের মাটিতে ২১), আর জুনায়েদের ২১.৫২ ( বিদেশের মাটিতে ২৬.০০)
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আমি রাস্তায় । বাসায় ফিরে কারেন্ট থাকলে ডিটেইলস বলব নে ।
বাসায় ফিরে কারেন্ট থাকলে ডিটেইলস বলব নে ।
এইটাই এখন মোস্ট ইমপর্ট্যান্ট ব্যাপার ~x( ~x(
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আহসান, নাফিসের ফ্যান আমি কোন কালেও না। কিন্তু এই যে তুই এত গুলা পরিসংখ্যান আনলি সেটা হলো একটা প্রচলিত কথার সমর্থনে। "নাফিস ছোট টীমের সাথে পারে"।
এই বক্তব্যে আমার ঘোর আপত্তি। ছোট টীম বড় টীম বলে কী হলো?
বিশ্বকাপে বড়টীমের সাথে প্লেয়ার দু একজন যদি একটু নাফিসের মত ছোট টীমের সাথে পারত তাহলে আয়ারল্যান্ডের সাথে হারতে হয় না। নাফিস আর আফতাবকে বাদ দিয়ে এখন জিম্বাবুয়ের সাথে কেমন ত্রাহি মধূসূদন অবস্থা হইছে তা তো চোখেই দেখলি।
আর যে জিম্বাবুয়ের সাথে রান করা নিয়ে নাফিওসের ক্রেডিট খাটো করলি ঐ ম্যাচগুলার কয়েকটায় বাংলাদেশ শুধু হেরেছে তা নয় সিরিজও একটা হেরেছে।
কখনো দেখা হলে এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলার আশা রাখি।
তোর সাথে সম্পূর্ন একমত, আমিও ছোট টিমের সাথে ভাল খেলে টাইপ জিনিষে বিশ্বাষ করিনা, আমি বুঝাতে চেয়েছিলাম জুনায়েদ এখনো ঐ টিমগুলোর সাথে খেলার সুযোগ পায় নি, তবে আসলে ঘটনা টা হয়েছে মনে হয় যারে দেখতে নারি, তার চলন বাকা... আমি নাফিসকে এটিচিউড এর জন্য প্রথম থেকেই সহ্য করতে পারি না এ জন্যই হয়তো ওটা কমতি-ঘাটতি খুজে বের করার চেস্টা করেছি 😛 যেটা ঠিক হয় নি, তবে কেন জানি আমি আইসিএল এ যাওয়া খেলোয়াড়দের সহ্যই করতে পারি না।
আর বিসিবির নতুন ঘোষনার পরে একমাত্র নাফিস ই সরাসরি বলেছে যে সে আইসিএল ছাড়বে না, আর আমি এতে বহত খুশ ( এই আইসিএল কতদিন টিকে থাকে সেটাই দেখার বিষয় :grr: )
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
বুঝলাম।
এটাও বুঝলাম যে, ওদেরকে বেঈমান বলার বিপক্ষে আমি।
-এই আকুতি'টা আমি গত তিন বছরে টোকিও+আমেরিকা'তে বেশ কিছু মানুষের মাঝে দেখেছি। তারা সবাই যথেষ্ট যোগ্যতা থাকা সত্বেও বিফল হয়েছেন। ব্যর্থতার নানান কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। পুরোপুরি বুঝিনি। এইবার মনে হয় আমার পালা আসছে নিজ অভিজ্ঞতা দিয়ে বোঝার।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
হুম । সেটাই । ক্রিকেট আলোচনা সাক্ষাতে হবে নে । এত কথা লিখতে কষ্ট হয় ।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আইসিএল এ যোগ দেয়া বিদ্রোহী ক্রিকেটারদেরকে মূল ধারায় ফিরে আসার সুযোগ করে দিয়েছে, এ জন্য তারা ১৫ জুন পর্যন্ত সময় দিয়েছে আইসিএল এর সাথে চুক্তি বাতিলের জন্য। এবার দেখা যাক আমাদের প্রিয়(!) ওয়ারিয়র্সরা কি করে...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
হাবিবুল বাশারের জন্য দারুণ একটা সুখবর। 'নিষিদ্ধ' ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগ আইসিএল ছেড়ে আসার ইচ্ছেটা তার পুরণ হতে আর কোনো বাধা থাকছে না। আইসিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, মূলধারার ক্রিকেটে ফেরার জন্য আবেদন করেছিলেন এমন জনাপঞ্চাশেক ক্রিকেটারকে তাদের সঙ্গে করা চুক্তি বাতিলের অনুমতি দিচ্ছে তারা। ক্রিকইনফো জানিয়েছে চুক্তি থেকে মুক্তি পাওয়াদের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের শেন বন্ড, পাকিস্তানের ইমরান নাজির ও রানা নাভিদ-উল হাসান আর ভারতের দীপ দাসগুপ্ত, অভিষেক ঝুনঝুনওয়ালা ও হেমাঙ্গ বাদানিদের সঙ্গে আছে ঢাকা ওয়ারিয়র্সের অধিনায়কের নামও।
হুমম... তবে আর কেও ফেরত আসবে কিনা কে যানে... তাপশ বৈশ্যের বিয়ে খেতে আজ অথবা কাল আইসিএল এর সবাই একত্র হচ্ছে... এরপর হয়তো বাকিদের সিদ্ধান্ত জানা যাবে, তবে আইসিএল এতগুলো প্লেয়ার ছেড়ে দেবার পর কিভাবে টিকে থাকে সেটাই দেখার বিষয়।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷