স্পেশাল ওয়ান। ক্যাডেট নম্বর ওয়ান ওয়ান ওয়ান ওয়ান। রাজশাহী ক্যাডেট কলেজে ক্লাশ সেভেনে এ ফরমে আমার ঠিক পরের ক্যাডেট নম্বর ১১১১।পোরশার ছেলে মোঃ ফিরোজ কবীর। ডাক নাম সুজন । বাড়ি ২টা। একটা নিশ্চিন্তপুর আর একটা নিতপুর। আমাদের সবার চাইতে বয়স একটু বেশি আর উচ্চতাও। হয়তো সেজন্যই কাউকে কিছু মনে করতো না। গায়ের রং কালো আর সুপারী গাছের মতো লম্বা আর চিকন কিন্তু ভঙ্গুর নয়। ক্লাশে এত কাছাকাছি থেকেও ওর কাছাকাছি হয়েছিলাম অনেক পরে। ক্লাশ সেভেনে থাকতে আমি শুধু ভাবতাম এই ছেলেটা ২টা বাড়িতে কিভাবে থাকে ?!
১৯৮৪ সাল। আমরা ক্লাশ এইটে উঠলাম। উইন্টার ভ্যাকেশনের পর প্রথম ক্লাশ। ফরম মাস্টার সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্যার প্রমোশন পাওয়ায় সবাইকে অভিনন্দন জানালেন। ডিমোশন ! ডিমোশন ! ক্লাশ শেষ হওয়ার আগেই ফিসফিসানি। তার পরে বেশ কয়েকদিন উচ্চস্বরে বলে চললো কয়েকজন ফিচলে। ফিরোজ ক্লাশ নাইন থেকে এসেছে তাই ক্লাশ এইট তার জন্য ডিমোশন তো বটেই। আমাদের প্রায় অর্ধেক ক্লাশ সেভেন থেকে আর প্রায় অর্ধেক ক্লাশ এইট থেকে ভর্তি হয়েছে।নাইন থেকেও ছিলো কয়েকজন। তবে স্বীকার করার মত সৎ সাহস আর কারও ছিল না। তাই ডিমোশন উপনাম ওকে অনেকদিনের জন্যই ধারণ করতে হয়। তবে এটা নিয়ে ও নির্বিকার ছিল। কাউকে কিচ্ছু বলেনি। তবে অন্যায় চুপচাপ সহ্য করা ওর ধাতে ছিলনা। ‘মারে শেষ করে দিব’ বলেই প্রতিপক্ষকে শেষ করতে চাইতো। তবে ওকে আমি কখনও মার পিট করতে দেখিনি ।
একবার কলেজ লাইব্রেরির নিচতলায় প্রেজেন্টেশন নাইটের প্রস্তুতি চলছে। ফকির আলমগীরের ‘মৌচাকের আগে মালিবাগের পিছে’ গানটি বেশ জোশের সাথেই গাওয়া হল। এমনিতে আমি নিরব শ্রোতা। সেই প্রথম আমি গলা ছেড়ে আনন্দের সাথে গান গাই। সেটি সম্ভব হল ফিরোজের উৎসাহে। ফিরোজ বেশ ভালো অ্যাথলিট ছিল। ৪০০ মিটার , ১৫০০ মিটার এবং ক্রস কান্ট্রি রেসের চ্যাম্পিয়ন। মাঝে মাঝে আমরা কয়েকজন মকরা খেলা বাদ দিয়ে গেমস টাইমে গল্প করতাম। একদিন ফিরোজ আমাদের সাথে যোগ দিলো। আমরা এত কষ্ট করি এত পড়াশুনা করি কেন ? কেউ বললো বড় হতে চাই, কেউ বললো ভালো কিছু করতে চাই।আরও বিভিন্ন জবাব। ও বললো তোরা সবাই ভুল ।আমরা এত কষ্ট করছি শুধু একটি মেয়ের জন্য।জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত হবার ফলাফল একটি সুন্দরী বউ পাওয়া।সুন্দরী বউ তো সবাই চাস, তাই না ? তাহলে এত কষ্ট সবই একটি মেয়ের জন্য। এই যুক্তি কেউ না মেনে পারে ?
ঘাউড়ামি করে ও বেশ কয়েকবার ইডি এবং ওয়ার্নিং খেয়েছে। এক্সট্রা ড্রিলকে আমরা অনেকেই ভয় পেতাম। কিন্তু ফিরোজ বেশ উপভোগ করতো। এক্সট্রা ড্রিলের ছবি পর্যন্ত তুলে রেখেছিল। আর ওয়ার্নিংকে থোড়াই কেয়ার করত। এখনো শুনতে পাই- ওটা ( ওয়ার্নিং লেটার ) ছিড়েঁ টয়লেটে ফেলে মুতে দিয়েছি। সাকলায়েন আর জুনাইদের সাথে ওর মতের মিল হত না প্রায়ই। সাকলায়েনকে কলেজ প্রিফেক্ট করা মোটেও ঠিক হবে না এটা প্রচার করে ও কাসিম হাউসে ব্যাপক সমালোচিত হয় ( আমি কাসিম হাউসে ছিলাম) ।ওর যুক্তিটা ছিল অদ্ভুত। সাকলায়েনকে কলেজ প্রিফেক্ট করলে কাসিম হাউস অচল হয়ে যাবে, লিড দেয়ার মতো কাউকে পাওয়া যাবে না। ফিরোজের ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে ১৯৮৮ সালে কাসিম হাউস একাডেমিক, অ্যাথলেটিক্স ট্রফিসহ ওভারঅল চ্যাম্পিয়ন হয়।
দ্বাদশ শ্রেণিতে টুয়েন্টি নাইন আর চুরি করে খেলা দেখার নেশায় আমার তারিক হাউসে যাতায়াত বেড়ে যায়। কাসিম হাউস একবারে সামনে। তারিক হাউস একটু আড়ালে। তখন ফিরোজ এবং পিয়ার সাথে আমার বেশ ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠে।টেনিসে আমরা স্টেফি গ্রাফের ভক্ত। ক্রিকেটে ফিরোজ ভারতের আর আমরা দুইজন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সমর্থক। তাস খেলায় আমি ফিরোজকেই পার্টনার হিসেবে চাইতাম। তাসের হিসাবে ভুল হলে অন্যদের মতো খেপে না গিয়ে ভুলটা বলে দিতো।মজার ব্যাপার হচ্ছে অন্য কেউ পার্টনার হলেই বেশি জিততাম (কার্ড ফেভার্স দা ফুলস)। ক্লাশ টুয়েলভে আমি ওদের সাথে এত সময় কাটিয়েছি যে, জুনাইদ আমাকে প্রায়ই তারিক হাউস বলে ডাকতো। আর একটা কথা, আমার মত নিরিহ কয়েক জনের অভিভাবকের মত বন্ধু ছিল ফিরোজ।
১৯৮৯ সালে আমরা শিক্ষা সফরে সুন্দরবনের হিরণ পয়েন্ট যাই। খুলনায় বিএনএস তিতুমিরে প্রথম যাত্রা বিরতি। সেখানে নৌবাহিনীর কার্যক্রম নিয়ে একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয় যার শেষ কথা- জয়েন নেভী, সি দা ওয়ার্ল্ড । ব্যারাকে গিয়ে প্রথম দোতলা খাট দেখলাম। জাহাজেও নাকি দোতলা খাট তাই এই ব্যবস্থা। পরের দিন কলেজ বাসে মংলা বন্দর। সেখান থেকে বিএনএস সুরমা গান বোটে চড়লাম। জাহাজ ও নাবিকজীবন সম্পর্কে কিছু জানা হল। জাহাজের সামনের অংশ বো, পিছনটা স্টার্ন। ডান দিক স্টার বোর্ড সাইড যা সবুজ রং করা এবং রাতের বেলা সবুজ আলো থাকবে। বাম দিক পোর্ট সাইড যা লাল রং করা এবং রাতে লাল বাতি জ্বলবে। জাহাজ বন্দরে বাম পাশ ঘেঁষে দাঁড়াবে। নদীতে নাব্যতা নির্দেশ করার জন্য বয়া আছে।রাতের বেলা বয়াতে আলো জ্বলার ব্যবস্থা আছে। জাহাজে জায়গা কম বলে নাবিকরা দোতলা বিছানায় থাকে।বিএনএস সুরমার বিছানা দেড় হাত মত চওড়া ছিল। পাশ ফিরতে লাগলে পড়ে যাওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা। রাডার এবং কম্পাসের কাছে একজন কিছুক্ষণ পরপর কিছু লিখছিল। সম্ভবত লগ বই। নাবিকরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যান। বিশ্ব ভ্রমনের সাথে সময়ের প্রয়োজনে অনেকেই গণিকালয়েও যান। তাদের ভাষায়- ম্যানি পোর্টস ম্যানি ওয়াইভস। পশুর নদীতে জাহাজ চলছে আর আমরা প্রাণ ভরে উপভোগ করছি। গান বোটের প্রপেলারে কেটে যাওয়া মাছ খাওয়ার জন্য শ’খানেক সীগাল ক্যাঁ ক্যাঁ করতে করতে আমাদের পিছু নিয়েছে। নদীর দুপাশের বন দেখে আমরা মুগ্ধ। হঠাৎ চমকে উঠি মুচড়ানো গাছপালা দেখে। মাস খানেক আগে একটা সাইক্লোন সুন্দরবনের উপর দিয়ে যায়। তখন গাছ গুলোর উপরের অংশ মুচড়ে যায়। মনে হচ্ছিল বিশাল কোন দানব ঘাসের মত করে ধরে গাছগুলো মুচড়ে দিয়েছে। আমরা যখন এসব দেখছি তখন ফিরোজ বাইনোকুলার হাতে নিয়ে ব্রিজে এমন ভাব নিচ্ছে যেন তখনই কাপ্টেন হয়ে গেছে। হিরণ পয়েন্টে রাতের বেলা নাবিকদের ক্যাম্পফায়ারে অনেক সময় কাটালো। শিক্ষা সফর থেকে ফিরে আমরা বেশ কয়েকজন নেভীতে আ্যাপ্লাই করলাম।
ফিরোজ নেভীতে জয়েন করলো। আমি ব্যর্থ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম। ও জার্মানীতে দুই বছরের ট্রেনিংয়ে থাকাকালে আমার সাথে পত্র যোগাযোগ ভালোভাবেই ছিল। দেশের খবর আর ক্রিকেটের খবর জানাতাম। আমরা ক্যাডেট কলেজে থাকাকালে ইহুদি নিধনের জন্য, আমেরিকা বা ইংল্যান্ডের বিরোধীতার জন্য হিটলারকে পছন্দই করতাম। ফিরোজ জানালো জার্মানরা হিটলারকে পছন্দ করেনা। তারা মনে করে ইহুদিরা খুব খারাপ হলেও তারা জার্মান ছিল তাই তাদের মেরে ফেলে হিটলার মোটেও ভালো করেনি। একবার রিক্সাকে অমানবিক যানবাহন আখ্যা দিয়ে তা বন্ধ করা উচিত বলে অভিমত জানালো। আমার মত জানালাম- রিক্সা অমানবিক হলেও বাংলাদেশের বাস্তবতায় তা বন্ধ করে দেওয়া অধিকতর অমানবিক হবে। একমত হলো। জার্মানীর ট্রেনিংয়ে ফিরোজ সেরা অফিসার এর পুরস্কার পায়। জার্মানী থেকে ফিরে আসার পর এক সাক্ষাতে মিগ-২৯ বিমান বিষয়ে ওর সাথে মত বিনিময় হয়। আমি বলি, আমাদের জন্য সম্ভাব্য হুমকি ভারত। ওদের অনেক গুলো মিগ আছে। যুদ্ধ হলে আমাদের ৬টা মিগই শেষ হয়ে যাবে। তা হলে এত টাকা খরচ করে এগুলো কেনা কি ঠিক হয়েছে ? ও বললো আমাদের ৬টা শেষ হবার আগে ওদের কমপক্ষে ২টা শেষ হবে। এখন ব্যাপার টা হচ্ছে বাংলাদেশের ৬টা মিগের জন্য ওরা ২টা মিগ হারাতে প্রস্তুত কি না। মনে হয় হারাতে চাইবে না। সুতরাং মিগ-২৯ তাদের জন্য অবশ্যই থ্রেট। বুঝলাম বিষয়টা। শান্তির জন্য অস্ত্র !
ফিরোজের সাথে আমার শেষ দেখা ২০০০ সালের শেষ দিনে।আমার কর্মস্থল সুনামগঞ্জ যাবার পথে নেভীতে হল্ট করেছিলাম। ও তখন সম্ভবত ট্রানজিটে ছিল। সেদিনের একটা কথা এখনো মনে পড়ে। ও আমাকে বলেছিলো- “মুস্তাফিজ, সাম সর্ট অফ ভাব ইজ রিকোয়ার্ড। তুই একজন অফিসার । একটু ভাব না নিলে লোকে তোকে আন্ডার এস্টিমেট করবে।” কাউন্টার দেয়ার জন্য আমার বসের কথা বললাম। তিনি সিম্পল লিভিং এন্ড হাই থিংকিংএ বিশ্বাস করতেন। কিন্তু আমি ভালই বুঝি, ফিরোজ ঠিক কথা বলেছিল। বন্ধুর অবমূল্যায়ন ও চায়নি বলেই পরামর্শটা দিয়েছিল।
২০০১ সালে আমি জাইকার ইয়ুথ ইনভাইটেশন প্রোগ্রামে জাপান সফরের জন্য মনোনীত হই। এই সুখবরটা ওর অফিসিয়াল মোবাইল ফোনে জানাই। খুব খুশি হয়েছিল। ফিরোজের সাথে তার পরে আমার আর কথা হয়নি। ঐ নাম্বারটা নিস্ক্রিয় থাকায় যোগাযোগ করতে পারিনি। এক সময় আমি সব ব্যাচমেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি। ক্যাডেট কলেজ থেকে সমাজসেবায় এসে মনমরা হয়ে ঘাপটি মেরে পড়ে ছিলাম। মাঝে মাঝে খবর পেতাম ফিরোজ দেশে/বিদেশে সুনামের সাথে কাজ করছে।
১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৬ সাল। বিএনএস শহীদ ফরিদ এর ক্যাপ্টেন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ফিরোজ কবীর বিকাল বেলা তার মায়ের সাথে কথা বলার চেষ্টা করে। মায়ের মোবাইলে চার্জ কম থাকায় তা বন্ধ হয়ে যায়। মা জানতে পারেননি তার ছেলে কী বলতে চেয়েছিল। সন্ধ্যায় হিরন পয়েন্টের কাছাকাছি জাহাজটি ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে। সাহসী ক্যাপ্টেন তার জীবন দিয়ে জাহাজ এবং নাবিকদের রক্ষা করে । ফিরোজের কর্মকান্ড আমাকে জেমস এর একটি গান মনে করিয়ে দেয়-
যেদিন বন্ধু চলে যাব
চলে যাব বহুদূরে
ক্ষমা করে দিও আমায়
আর মনে রেখ
কেবল একজন ছিল
ভালবাসতো শুধুই তোমাদের !
🙁
যাহা বলিব,সত্য বলিব,সত্য বৈ মিথ্যা বলিব না
🙁
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
অসাধারণ একটা লেখা পড়লাম। মন খারাপ হয়ে গেল।
ফিরোজ ভাই এর জন্য ::salute:: ::salute:: ::salute::
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
:teacup: :teacup:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
অসম্ভব ভাল মানুষ ছিলেন। দীর্ঘ সময় একসাথে এক জাহাজে কাজ করেছি। খুব মিস করি। আজকে ওনার অজানা কিছু জানতে পারলাম। ভাল লাগল। মুস্তাফিজ ভাইকে ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ
মন খারাপ যেমন হলো, ঠিক একই সাথে কিছুটা ইনস্পায়ার ও হলাম। কেন তা বোঝাতে পারবো না...
::salute::
:teacup: ইনস্পায়ার ও হলাম কারণ আমরা ক্যাডেট।
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
এভাবে শেষটা হবে ভাবিনি......
::salute::
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
আমিও না... =((
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
::salute::
এমনি পড়তেসিলাম। কমেন্ট করার জন্য আবার লগ-ইন করতে বাধ্য হলাম।
খুব মন খারাপ লাগতেসে।
ভাল মানুষ গুলো আসলে খুব তাড়াতাড়ি পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়। 🙁
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
:teacup:
ভাল মানুষ গুলো আসলে খুব তাড়াতাড়ি পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়। :thumbup:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
সুন্দর লেখা।
সাহসী ফিরোজ ভাইয়ের কারণে গর্ব অনুভব করছি।
আমি চোখ মেললুম আকাশে
জ্বলে উঠলো আলো পূবে পশ্চিমে
:teacup: :teacup:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
:teacup: :teacup:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
জুনায়েদ ভাই ও মনে হয় ফিরোজ ভাইকে নিয়েই কয়দিন আগে লিখেছিলেন।
আমার তখন ডাউট হইছিলো। কিন্তু কোন কথা বাড়াই নাই, সত্য হবার আশঙ্কায়।
আপনাদের এখন ব্য্চমেট তো বিডিআর মিউটিনির সময়ও মারা যান।
আর্ট্স এ না পড়লে নেভিতে পরীক্ষা দেবার সুযোগ পেতাম।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
জুনাইদের গল্পের বেপরোয়া নাবিক ফিরোজ। বিডিআর মিউটিনিতে হারাই আমাদের ব্যাচমেট মেজর মাকসুমুল হাকিমকে। স্বপ্ন বদলে আছে শওকত এর কথা। ও হার্ট অ্যাটাকে মারা যায়। সবার আগে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় মাহফুজ। মাকসুম এবং মাহফুজকে নিয়ে হয়তো জুনাইদের সুন্দর লেখা পাব আগামীতে।
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
জুনাইদ ভাইএর লেখার লিঙ্ক দিয়ে দিলাম আগ্রহী পাঠকদের জন্য।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:teacup:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
আশা করি উনি যেখানেই আছেন- ভাল আছেন। ক্যাপ্টেন কারেজিয়াস ফিরোজ ভাইকে স্বশ্রদ্ধ সালাম... ::salute::
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
:thumbup:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
ব্লগটি লেখার জন্য ছবি গুলো গুছিয়ে রাখছি। আমার ছোট ছেলে ( বয়স ৫ বছর) জানতে চাইলো ছবিগুলো কার, কোথায় আছে ? বললাম আমার বন্ধু, সমুদ্রে হারিয়ে গেছে। ও বললো জেমস বন্ড এর মতো ফিরে আসবে, দেখো; আমি জানি। ফিরোজ নিখোজ হবার পর আমিও ভেবেছি ওরকম কত কিছু। কিন্তু ছোট বাচ্চার মত বলতে তো পারিনা! =((
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
সুন্দর, সাবলীল লেখা, মনের কোনো এক কোণ যেও সিক্ততায় ভরে গেল- মোস্তাফিজ !
ধন্যবাদ জুয়েল ভাই :teacup:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
মন খারাপ করা লিখা... 🙁
সুন্দর লিখছেন।
• জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব - শিখা (মুসলিম সাহিত্য সমাজ) •
ধন্যবাদ শাহরিয়ার
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
Firoz Kabir was my Gunner (Naval term of Adjutant) during my naval training period. I was in navy for 8 yrs including training and He was the best naval officer I ever known and one of the best men I met so far. He was probably only naval officer who used to address every sailor 'apni', and it really requires tremendous guts that every military officer would admit this. Mostafiz bhai tried a lot, but language has limitation to hold the true essence of Firoz Kabir! When I heard his news of his disappearance in cyclone, for long days I thought he'd return one day and I still do believe so. Someone well said that God loves good souls so S/HE relieves them from the sufferings of earth quicker. Wherever you are, REST IN PEACE, LOVE and LIGHT
চমৎকার করে বলেছেন।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:thumbup:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
ভাই সত্তি শেসে এ সিউরে উঠেসিলাম , গায়ের লোম জেগে গিয়েছিল, খুব খারাপ লাগতেসে, ভালো লিখছেন ভাইয়া .
=(( :teacup:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
ভাষার সীমাবদ্ধতা আছে। আবার আমার ভাষার উপর তেমন দখল নেই। তবু চেষ্টা করেছি কিন্তু- language has limitation to hold the true essence of Firoz Kabir!
তানভির ভাইকে ::salute::
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
দারুন একটা লেখা, এইভাবে শেষ হবে ভাবিনি
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
ধন্যবাদ হামীম :teacup:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
He was a good friend of mine.thanks for your writing.
ধন্যবাদ
::salute::
ভালো লাগলো ফিরোজ ভাইয়ের কথা পড়ে।
ক্যাডেট হিসেবে গর্বিত বোধ করছি।
::salute::
ক্যাপ্টেন কারেজিয়াস ::salute::
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
::salute::
১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৬ তারিখে আমাদের মাঝ থেকে হারিয়েছি ফিরোজকে। তার স্মরণে ব্যানার প্রকাশ করায় ক্যাডেট কলেজ ব্লগ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ এবং ::salute::
জাতিসংঘ মিশনে থাকলে ফিরোজ দ্যাগ হ্যামারশোল্ড পদক পেত । আমি জানি না শেষ বীরত্বের জন্য নেভী থেকে কোন পদক দেয়া হয়েছিল কি না । ক দিন আগে সাধারণ জ্ঞানের বইতে দেখলাম নতুন কিছু পদকের নাম। বীর সর্বোত্তম, বীর মৃত্যুঞ্জয়ী, বীর চিরঞ্জীব ও বীর দুর্জয়। এ গুলোর কোনো একটা সরকার বিবেচনা করতে পারেন।
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
ক্যাপ্টেন কারেজিয়াস ফিরোজ কবীরের সাহসিকতা ও প্রাণচাঞ্চল্যের অনবদ্য স্মৃতিকথন আমাকে মুগ্ধ করলো। এই স্মৃতিচারণের জন্য ধন্যবাদ।
পড়বার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ, খায়রুল ভাই
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
পড়া ছিলো না লেখাটা। না পড়লে মিস করা হতো অনবদ্য এক লেখা, অজানা থাকতো অনন্য এক কারেজিয়াস ক্যাপ্টেনের অনেক কথা।
সত্যিই, স্রস্টা যাঁকে ভালোবাসেন, তাঁকে বোধ করি আগে ডেকে নেন।
তার আত্মা শান্তিতে থাকুক। এমন অনন্য মানুষ তার যোগ্য সন্মান পাক। তার নিকট জনেরা তার শোক সামলে গর্বিত বেঁচে থাক।
পড়বার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ লুৎফুল ভাই । ফিরোজ এর কাহিনী নিয়ে একটা কবিতা প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছিলাম। এ বিষয়ক একটা পোষ্ট আসবে সামনে ।
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
জানা ছিল না। অপেক্ষায় থাকবো সে পোস্ট পড়বার জন্য ... (সম্পাদিত)
ওটা ছিলো অলপোয়েট্রিতে। কবিগণের অনুমতি নিতে সময় লাগলো। আর কয়েকটা দিন ভাই।
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
ইন্সপায়ার হলাম। স্যালুট ::salute::
::salute:: কাফি ভাই
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল