একজন ছাত্রকে ব্যারিস্টার হওয়ার জন্য কোর্সে পাস করার পাশাপাশি ১২টা কোয়ালিফাইং সেশন করতে হয়। লাঞ্চ এবং ডিনার গুলো একেকটা কোয়ালিফাইং সেশন হিসেবে ধরা হয়। প্রতিটা কোয়ালিফাইং সেশনে একজন রথী-মহারথী বক্তৃতা দেন। গতকাল রাতে লিঙ্কন্স ইন(Lincoln’s Inn)এ ডিনার করতে গিয়েছিলাম। সেখানে যিনি বক্তৃতা দিয়েছেন, তিনি একটা ঘটনা বললেন। সেই ঘটনা সবার সাথে শেয়ার করার জন্যই আজ অনেকদিন পর লিখতে বসলাম।
১৯৯০ এর দশকে ইংল্যান্ডের কোর্টগুলাতে পরিসাংখ্যনিক উপাত্তের(statistical data-র অর্থ তো মনে হয় এটাই, তাই না?) মূল্যায়ন অনেক বেশি করার হত, বিশেষতঃ ফৌজদারি মামলা গুলিতে। এইসব উপাত্তের উপর ভিত্তি করে অনেক মামলায় রায় দেয়া হয়েছে। ইংল্যান্ডে ফৌজদারি মামলায় জুরিদের(১২ জন সাধারণ মানুষ যাদের ওই মামলা এবং আইনের সাথে কোন সম্পর্ক নেই) হাতে রায় প্রদান করার ক্ষমতা থাকে। এই ধরনের উপাত্তকে যখন কোর্টে সাক্ষ্যপ্রমাণ হিসেবে দাখিল করা হয় তখন জাজের কাজ থাকে শুধুমাত্র এইটা নিশ্চিত করার যে সেই সাক্ষ্যগুলো দাখিল করার উপযোগী। এছাড়া কিছু ডিরেকশন দেয়া এবং বিভিন্ন সময়ে জুরিদের সাহায্য করা ছাড়া ক্রাউন কোর্টে(ফৌজদারি মামলার জন্য নির্মিত লোয়ার(lower) কোর্ট)জাজের আর তেমন কোন কাজ নেই। এইসব পরিসাংখ্যনিক উপাত্ত একটা ফৌজদারি মামলার সময় কোর্টে দাখিল করা হলে তা জুরিদের মনের মধ্যে বেশ গভীর ভাবে দাগ ফেলতে সক্ষম হয়। এতটাই গভীরভাবে দাগ কাটে যে জুরিরা তখন মামলার অন্যান্য দিক বিবেচনা না করেই বিবাদীর বিপক্ষে রায় দিয়ে দেয়। একটা মামলার ঘটনা বললেই বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে। ১৯৭৬ সালে একটা ব্যাঙ্ক ডাকাতি হয়। ওই মামলার যে প্রধান সাক্ষী, তার ভাষ্য মতে ডাকাতি করে একজন সাদা গায়ের রংয়ের তরুণী যার পনিটেল আছে ও একজন কালো পুরুষ যার দাড়ি-গোঁফ আছে এবং তারা একটা হলুদ ক্যাডিলাক গাড়িতে করে পালিয়ে যায়। ওই ব্যাঙ্কের থেকে প্রায় ২০০ মাইল দূরে এই বর্ণনার সাথে মিলে যায় এরকম এক মেয়ে এবং পুরুষকে হলুদ ক্যাডিলাক সহ আটক করে পুলিস। ক্রাউন কোর্টে এই মামলায় এই দুইজনকেই দোষী সাব্যস্ত করে জুরি। এই মামলায় একজন বিখ্যাত পরিসংখ্যানবিদ অঙ্ক কষে প্রমাণ করে দেখান যে সাদা পনিটেল আছে এমন একজন মেয়ে, দাড়ি-গোঁফ আছে এমন কালো পুরুষ এবং হলুদ ক্যাডিলাক, এই কম্বিনেশন ১৭ মিলিয়নের মধ্যে একটা হতে পারে। এই সাক্ষ্যপ্রমানে ওপর ভিত্তি করেই ওই মামলায় সেই তরুণী এবং পুরুষকে শাস্তি দেয় জুরি। কিন্তু এই কেসে অন্যান্য অনেক এমন ব্যাপার ছিল যা নির্দেশ করে যে আসামী দুইজন নির্দোষ ছিল। কিন্তু ওই পরিসাংখ্যনিক উপাত্ত এতটাই পারসুএসিভ(persuasive এই শব্দের বাংলা কি?) হয়ে দাঁড়ায় যে জুরিদের মনে অন্য কোন বিষয়গুলি তেমন কোন দোদুল্যমানতার সৃষ্টি করতে পারে না।
যেই ঘটনাটা বলতে আজকে বসা সেটা বলি বরং এখন। ১৯৯২ সালে স্যালি ক্লার্ক নামে একজন মহিলা অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে মারা যান। খবরটা আপাত দৃষ্টিতে এমন কোন গুরুত্ব দহন করে না। কারণ কেউ যদি অতিরিক্ত মদ্যপানের জন্য মারা যায় তাহলে সে একজন পাগল অথবা প্রচণ্ড বেকুব বই কিছু নয়। কিন্তু তার এই অতিরিক্ত মদ্যপানের পিছনে যে কারণ সেটা আর কিছু নয়, ফৌজদারি মামলায় এই পরিসাংখ্যনিক উপাত্তের ব্যবহার। প্রচণ্ড দুর্ভাগা একজন মানুষ এই স্যালি ক্লার্ক। বিয়ের ২ বছর পর তিনি যখন প্রথম অন্তঃসত্ত্বা হন তখন পুরো পরিবারে বিষয়টি নিয়ে এসেছিল খুশির জোয়ার। তিনি এবং তার স্বামী অধীর আগ্রহে প্রথম সন্তানের জন্মের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তাদের প্রথম সন্তান জন্মের ১১ মাস পরে মারা যায়। ডাক্তারের মতে তাদের সন্তানের জন্ম হতেই একটা অভ্যন্তরীণ ক্ষত ছিল যা ডিটেক্ট করা যায় না। সেই ক্ষতের কারণেই সে মারা যায়। প্রথম সন্তানের মৃত্যুতে গভীর কষ্ট পেয়ে স্যালি আর তার স্বামী ঠিক করে যে তারা আরেকটি সন্তান নেবে। এবার তাদের সন্তান জন্মের ৮ মাসের মাথায় মারা যায়। সন্তানের মৃত্যুতে পাগলপ্রায় স্যালির স্বামী স্যালির বিরুদ্ধে মামলা করে যে স্যালিই তাদের দুই সন্তান খুন করেছে। মামলা যখন ক্রাউন কোর্টে যায় তখন বিভিন্ন এক্সপার্টরা এসে মেডিকেল রিপোর্ট দেখায় এবং প্রমাণ করার চেষ্টা করে যে উভয় সন্তানের মৃত্যুই স্বাভাবিক কারণে হয়েছে। সরকার পক্ষের উকিল তখন তার মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে কোর্টে নিয়ে আসেন একজন পরিসংখ্যানবিদকে। তিনি অঙ্ক কষে প্রমাণ করেন যে একই পরিবারে পরপর দুই সন্তানের এই ধরনের মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা প্রতি ৭০ মিলিয়নে একবার। তাই স্যালি নিজেই তার সন্তানদের খুন করেছেন এটাই সহজ উপসংহার। পরিসংখ্যানবিদের সাক্ষ্য শুনে জুরি তাদের রায়ে স্যালি ক্লার্ককে দোষী সাব্যস্ত করেন। রায়ের বিরুদ্ধে কোর্ট অফ আপিলে(হায়ার কোর্ট) আপিল করেন স্যালির আইনজীবী। কোর্ট অফ আপিল রায় দেয় যে জুরি ট্রায়ালে পরিসাংখ্যনিক উপাত্ত দাখিল করা হলে তা prejudicial(এই শব্দের অর্থও জানি না) রায়ের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। তাই জাজদের খুব সাবধান হতে হবে এই ধরনের উপাত্ত দাখিল করতে দেয়ার বিষয়ে। এই কথা বলার পরও কোর্ট অফ আপিল জুরিদের রায় বহাল রাখে। পরবর্তীতে আবার আপিল করে স্যালির আইনজীবী। এবার সে একটা নতুন সাক্ষ্যপ্রমাণ হাতে নিয়ে আপিল করে। যেই ডাক্তার স্যালির উভয় সন্তানের জন্ম হতে মৃত্যু পর্যন্ত তাদের চিকিৎসা করেছেন এবং স্যালিদের পারিবারিক ডাক্তার ছিলেন, মামলার সময় তাকে পাওয়া যায় নি সাক্ষ্য দেয়ার জন্য। কারণ তখন তিনি উচ্চতর ডিগ্রির জন্য অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থানরত ছিলেন। সে তখন দেশে উপস্থিত হওয়ায় স্যালির আইনজীবী তার সাক্ষ্য কোর্টকে শোনানোর জন্য আপিল করে। এবার কোর্ট অফ আপিল স্যালিকে নির্দোষ হিসেবে রায় দেয়।
এতসব ঘটনার মধ্যে দিয়ে স্যালিকে যখন পার হতে হয়, তখনই সে আস্তে আস্তে করে এলকোহলের দিকে ঝুঁকে পরে। দুই সন্তানের মৃত্যুর শোক তার পাশাপাশি তাকে সেই মৃত্যুর জন্য দায়ী করা, এত কষ্ট স্যালির পক্ষে সহ্য করা সম্ভব হয় না। ধীরে ধীরে স্যালি মদ্যপান বাড়িয়ে দেয়। কোর্ট অফ আপিলের সর্বশেষ রায়ের ১ মাস আগেই স্যালি মারা যায়। মৃত্যুর আগে স্যালি একবারের জন্যও জেনে যেতে পারল না যে সবাই সত্যটা জানতে পারল। এই মৃত্যু সমগ্র আইনব্যবস্থার ওপর একটা থুথুর মত ছিল। তার মৃত্যুর খবর এবং পরবর্তীতে কোর্ট অফ আপিলের রায় জানার পর তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল যে জুরিরা তাদের একজন আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
এই মামলা আইনি বিশ্বে খুব পরিচিত কোন মামলা না। পরিসাংখ্যনিক উপাত্তের ব্যাপারে আরও অনেক বিখ্যাত মামলা আছে। কিন্তু এই ঘটনাটা জানার পর থেকে কেমন যে অস্থির লাগছে। বাংলাদেশে ভুল রায়, খারাপ আইনি পদ্ধতির কারণে না জানি কত মানুষ এরকম অকালে জীবন হারাচ্ছে। কারো কারো জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে অনেকগুলো বছর। এই দেশের এত উন্নত আইনব্যবস্থা যখন স্যালিদের বাঁচাতে পারে নাই, তখন আমাদের দেশে এরকম কত স্যালি যে মারা যাচ্ছে তা ভাবতেই আমার গা শিউড়ে উঠছে। একটু সুন্দর জীবন আর কিছু টাকার জন্য আমরা যারা বিদেশ থেকে পড়াশুনা করে দেশে আইন প্র্যাকটিস করি তখন আমাদের লক্ষ্য থাকে বড় বড় কোম্পানির মামলা লড়া। কিন্তু এই অবস্থা পরিবর্তনের জন্য যদি আমাদের মত নতুন নতুন আইনজীবীরা এগিয়ে না আসি তবে আইন সবসময়ই একটা মাকড়সার জালের মতই থাকবে, যেখানে ছোট পোকারা তো আটকায় কিন্তু বড় পোকাগুলো তা ছিঁড়ে বেরিয়ে যায়। সেই জালে আটকা পরে কিছু কিছু ছোট পোকা হয়ত মারাই যায়। আমরা যখন নিজের দেশ নিয়ে কথা বলি তখনই দেশকে গালি দেই। এখানে সব বাংলাদেশি যখন অন্য কোন দেশের মানুষের সাথে কথা বলতে যায় তখন দেশের নামে কিছু না কিছু বদনাম করেই। বারমুডার এক মেয়ে সেদিন এক বাংলাদেশিকে খুব বকাঝকা করে বলেছিল যে আমি তোমার কাছে তোমার দেশ সম্পর্কে খারাপ কিছু শুনতে আসি নাই। ভালো কিছু বলতে পারলে বল নয় কোন কথা বল না। তার শেষ কথা ছিল তুমি তোমার নিজের দেশকে সম্মান কর না, ভালবাস না, তাহলে তুমি তো আর কাউকেই সম্মান করতে পারবে না বা ভালবাসতে পারবে না। তাই, গালি দেয়া বন্ধ করতে হবে আমাদের নিজেদেরই। আমার দেশকে আমিই ভালো করে গড়ব। কারো অপেক্ষায় বসে থাকলে সে এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না। আমার বড় মা(নানীর মা) বলতেন, “হাগার পর নিজের পাছা নিজেরই ধুইতে হয় বুঝছ”(একটু slang হয়ে গেল, কেউ কিছু মনে করেন না)।
খাইছে!
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
কি খাইছে ভাই? কারে খাইছে? :-/
ডিটেইল সহ নাকি ছাড়া? B-)
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ডিটেইলস বইলেন না, তাইলে আবার মাস্ফু ভাই খাপাখাপি শুরু করব :grr: :grr:
অনেকদিন পর পরথম হইসে তো তাই বিশ্বাস করতে পারছেনা, তাই না ভাইয়া? 😛
😀
:clap:
রিবিন ভিই, কিমিন ইছিন?
ইছি দিঊরির উপির।
ভাইয়া লেখা ভালো ছিলো 🙂
অফটপিকঃ কি খবর? ইউ কে'র কোথায় আছো?
কয়টার খবর জানতে চান? B-)
ভালো আছি। লন্ডনে থাকি। আমার বাসা মাইল এন্ড এ।
সব কয়টার খবর ... :grr:
মাইল এন্ডে সবসময় চেঞ্জ করতাম, লিভারপুলের জন্য। মনে হয় এই সেদিন 🙂
কি চেঞ্জ করতেন? 😕
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
লিভারপুলের জন্য বলছে, তাইলে মনে হয় প্লেয়ার চেঞ্জ করতো 🙁
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
আপনার ইউনিভার্সিটি কি লিভারপুল স্ট্রিটে ছিল?
না ভাইয়া আমার কাজ ছিলো লিভারপুলে, ইউনি আরেকটু দূরে ছিলো। 🙂
দোস্ত তাড়াতাড়ি দেশে ফিরা আয়......মাঠে নাম :thumbup:
তরে মিস করি 🙁
খুবই দ্রুত দেশে ফিরব ইনশাল্লাহ। কোর্স শেষ হবে আর দেশে চলে আসব। কীমন আছিস? আমিও মিস করি দোস্ত তরে।
শার্লী ভাই কেমন আছেন ?? আমি ৮ তারিখ আসতেসি লন্ডনে আপনার এমেইল এয়াড্রেস দেন আর ফোন নাম্বার।
গল্প গুলো খুব ভালো লাগলো
লন্ডনে আর যেইখানেই যাস সোহোতে যাইস না আবার,খুব খ্রাপ জায়গা।
ইমেইল-zobayer.1938@gmail.com
ফোন-+447760676702
আমার দেশকে আমিই ভালো করে গড়ব। সহমত
🙂
আপনি তাড়াতাড়ি বিলাত থেকে পোড়াশুনা শেষ করে আসেন। আমি মামলা করমু; সন্ত্রাসীরা আমার চায়ের দোকান ভাইঙ্গা দিছে। 😕 😕
কেমন চলছে লন্ডন-জীবন??
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ভালোই চলে। কে তোর দোকান ভাঙছে? তার একদিন কি আমার একদিন।
আমার দেশকে আমরা ভালো করে গড়ার চেষ্টা করব। সহমত
:thumbup:
ভাল বলছিস । কোর্স শেষ হবে কবে?
রেজাল্ট জুলাইয়ে, আর সার্টিফিকেশন(আমাদের ভাষায় কল টু দ্য বার)সেপ্টেম্বর ২০১০ ইনসশাল্লাহ।
এই লেখাটা আমার কাছে বিশেষ রকমের ভাল লেগেছে নিজের দেশের প্রতি গভীর মমত্ব ও কর্তব্যবোধের প্রকাশের কারণে।স্যালি ক্লার্কের ঘটনা এবং সে ঘটনা থেকে নিজের দেশকে সেবা করতে চাওয়ার যে অনুপ্রেরণা তা খুব বেশি ভাল লাগল।আমি দোয়া করি শার্লি যেন এদেশের স্যালি ক্লার্কদের বাঁচাতে সক্ষম হয়।
অফ টপিক- ডিনারের মেনু কি ছিল? লিঙ্কন্স ইনে ডিনার খাইতে মঞ্চায় 🙁
থ্যাঙ্কু।
খাবার ভালো না ভাই। খেয়ে মজা পাবেন না।
আর ৮ মিনিট 🙁
৭ মিনিট
কিসের কি? 😕
কি???
খুব সুন্দর লেগেছে... দেশের জন্য আমাদের সবারই অনেক কিছুই করার আছে। যার যার দায়িত্ব আর সামর্থ্যের ভিত্তিতে আমাদের কাজ করা উচিৎ ...
বড়ই সত্যি কথা। কেমন আছেন ভাই?
আছি কোনরকম ... ভালই বলা যায় ...
লেখা খুব ভালো লেগেছে শার্লী। স্যালি ক্লার্কের দুঃখ কতখানি তীব্র ছিলো সেটা বুঝে ওঠার চেষ্টা করতেছি। পারবো না যদিও। আমাদের দেশের আইন এবং বিচার ব্যবস্থাও অনেক ত্রুটিপূর্ণ, দূর্নীতিও বেশি। আর সবচেয়ে জরুরি যে দেশপ্রেম বা মানুষের প্রতি সহমর্মিতা, সেটা শুধু সেখানে না, কোনোখানেই তেমনভাবে নেই। থাকলে হয়তো আমাদের দেশটাও একটা উন্নতদেশ হতো! তোমার মতো মন-মানসিকতা ধারণ করে এই প্রজন্ম হয়তো সেই সময় নিয়ে আসবে!
*ব্র্যাকেটে আলাদা করে বাংলা শব্দ খোঁজার দরকার নেই শার্লী। কিছু কিছু দাপ্তরিক শব্দের পরিভাষার চাইতে ইংরেজিটাই সবার পরিচিত মনে হয়।
আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগল। *কথাটা মনে থাকবে।
পরে ডিটেইলস বলবো। আপাতত পোস্ট টা ভালো লেগেছে এইটুক বলে যাই।
থ্যাঙ্কু আমিন ভাই। আপনি বলছেন আর আমি পোস্ট দিয়ে দিছি, দেখছেন?
খুব ভাল লাগল দোস্ত। দেশের জন্য আমরা সবাই যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে একটু করে চেষ্টা করি তাহলেই অনেক কিছু হয়ে যাবে। কারোর জন্য বসে থাকতে হবে না।
খুবই সত্যি কথা দোস্ত।
পোস্টের কয়েকতা জিনিস ঝখুব টানলো। প্রথমত আইন "মাকড়সার জালের মত"- অসাধারণ উপমা। ভুল বিচারে কষ্ট পাওয়া মানুষের কথা শুনলে কেমন জানি করে উঠে মন ( বুড়া আকসেনভের কথাও মনে পড়ে)।
আর শেষর কথাগুলো খুব সত্যি। আমাগো সবাই এই সমস্যা সেই সমস্যা অমউকে হেন করে না তমুকে তেন করে না বলতে খুব ব্যস্ত। কিন্তু আসল কথা হইলো নিজে কী করছেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুব কম লোকেরই আছে।
আমি এই প্রশ্নের উত্তরটা যেন দিতে পারি সেই চেষ্টাই করব।
ধারণা করা যেতে পারে পৃথিবীর বর্তমান জনসংখা ৬,৭৯৪,৪৫১,৯৮৮ (৬৭৯৪ মিলিয়ন ), এবং এর ৯৮% ই কখনো খুন করে নাই.
'সরকার পক্ষের উকিল তখন তার মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে কোর্টে নিয়ে আসেন একজন পরিসংখ্যানবিদকে', এই লোককে জিজ্ঞাসা করলে,
রসু খাঁ এর খুনি হওয়ার সম্ভবনা .০২ x ৬,৭৯৪,৪৫১,৯৮৮ = ১৩৫,৮৮৯,০৩৯.৭৬ জনে একজন.
সুন্দর হিসাব 🙂
খুব দামী কথা...
ভালো লেখা।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
এই বিষয়টা নিয়ে টেড.কম (ted.com) এর একটা লেকচার আছে। সেখানে একজন স্ট্যটিশিয়ান তার লেকচারে দেখিয়েছেন যে এরকম অপরাধ সম্পর্কিত স্ট্যাটিস্টিক্স কতটা রিলায়েবল। দেখুন ... ভালো লাগবে। (স্যালি ক্লার্কের বিষয়টা নিয়ে কথা বলেছেন শেষের দিকে)
Peter Donnelly: How juries are fooled by statistics
http://www.youtube.com/watch?v=kLmzxmRcUTo
ভালো লিখছস শার্লি। তাড়াতাড়ি দেশে ফিরে আয় অনেক কাজ বাকি আছে।