খুব ভয়ে ভয়ে একটা ব্লগ লেখার চেষ্টা করতেছি। এমন একটা বিষয় নিয়ে, যেটা নিয়ে আমার দূরদর্শিতা কিংবা জ্ঞানের সমূহ অভাব রয়েছে। যারা বোঝেন এবং এ বিষয়ে জ্ঞান রাখেন, এবং যারা রাখেন না, তাদের উভয়ের মতামত কামনা করছি।
উপজেলা নির্বাচনের আবহাওয়া আর পরিষদের ক্ষমতা সংকোচন নিয়ে আমরা বেশ হতাশ। ক্যাম্পাস গুলোতে ভোট পরবর্তী অরাজকতা নিজস্ব নিয়মেই চলছে। সরকারের কাজকর্ম নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে অসন্তুষ্ট হওয়া শুরু করেছি। সানাউল্লাহ ভাইয়ের উত্তপ্ত কড়াই থেকে জ্বলন্ত চুলায় : দুই -এই ব্লগটা নিশ্চুই সবাই পড়েছেন। এখানে আগেকার সেই হতাশাই চরমভাবে দেখা গেছে আবার। কিন্তু আশা ছাড়তেও আবার কেউ রাজী নন।
তবে, এবারে নির্বাচনের যে পরিস্থিতি, তাতে করে শুধু সরকারকে বলে লাভ নেই। আমাদের দায়িত্বও আসলে ধুম করে বেড়ে গেছে। তা হলো সরকারকে চাপে রাখা।
বন্যর কমেন্ট পড়ে হাসতে গিয়েও আমার তাই মনে হলো, চুলায় পানিটা আসলেই আমাদের ঢালতে হবে। তাইফুর ভাইয়ের কমেন্টও তাই আসলে জোক্স হিসেবে নিতে পারি না…সিসিবি ব্লগার পার্টি নাহয় নাই খুললাম, সিসিবির পক্ষ থেকে আমরা কিছু একটা তো করতে পারি।
কিন্তু সেই কিছু একটা-টা কি? আমি অনভিজ্ঞ অর্বাচীন মানুষ, আমার বুদ্ধি বেশি দূর যায়না। আমার মতে, আমরা ম্যানিফেস্টো ট্র্যাক করতে শুরু করি। আগামী পাঁচ বছর ম্যানিফেস্টো এবং সরকারের বাস্তবে গৃহীত পদক্ষেপ গুলো তুলনা করে আমরা আমাদের প্রতিবাদ, অনুরোধ, প্রংশাসমূহ সরকারের দৃষ্টিগোচর করবো। কিভাবে করবো সেইটা অবশ্য আমি জানিনা। একটা উপায় আছে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে বিবৃতি প্রেরণ করা। তবে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে, এসব ক্ষেত্রে কোন কাজ হয় না। এক্ষেত্রে মন্ত্রী বা আমলাদের দোষ দিয়েও আসলে লাভ নেই, উনাদের এত কাজ যে এসকল সংগঠন কি দাবী করল বা না করল, সেটা দেখার সময় তাদের কমই থাকে। এরকম সময়ে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অসহযোগিতা কর্মসূচী ভালো কাজে দেয়।
তবে এসকল কর্মকান্ডগুলো হবে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ভাবে, অর্থাৎ সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ভাবে রাজনৈতিক কর্মকান্ড অবজারভেশন, যেটাকে সবচেয়ে ভালোভাবে বোঝানো যায় ইংরেজীতে, নন-পার্টিস্যান মুভমেন্ট (non-partisan movement)। ব্যাপারটা খুব সহজ নয় আসলে। তবে কিছু একটা করতে হলে প্রথমে ইচ্ছে করতে হয়, তারপর সব আলসেমী ঝেড়ে ফেলে জাস্ট সেটা করে ফেললেই হয়, তাহলেই সেটা হয়ে যায়।
এখন আমরা কি করতে পারি? বা আদৌ কি কিছু করতে পারি? ম্যানিফেস্টোর একটা লিঙ্ক নিচে দিয়ে দিলাম। স্বীকার করছি, আমি রাজনীতি বুঝিনা, আর নির্বাচনের আগে বিলেতি ভাষায় লেখা এই ম্যানিফেস্টো পড়ার ধৈর্য্যও আমার হয়নি, তবে এখন পড়া শুরু করেছি। এখানে বোদ্ধা এবং অভিজ্ঞ অনেকেই আছেন, আপনারা যদি আপনাদের মতামত দেন দয়া করে, আমরা মানে পিচকু প্রজন্ম অনেক উপকৃত হবে।
সিসিবি আমাদের একটা প্ল্যাটফর্ম, আমরা যদি ইচ্ছে করি, এখান থেকে বড়সড় অনেক কিছুই করা সম্ভব। ভার্চুয়াল জগৎ ছেড়ে আমরা যদি বাস্তব জগতেও পাশাপাশি দাঁড়াই, ব্যাপারটা খুব খারাপ হবে বলে মনে হয় না।
আওয়ামী লীগ-ম্যানিফেস্টো
৩৩ টি মন্তব্য : “আমাদের কিছু দায়িত্ব এবং একটি ছোট্ট চিন্তা”
মন্তব্য করুন
খুব ভাল লাগল
🙂
সময় উপযোগী লেখা।কথা গুলো কয়েকদিন ধরে আমার মাথাতেও ঘুরছিলো। আসলে আমার মনে হয় শুধু ইশতেহার ট্র্যাক করলে হবে না, আরো কিছু করা লাগবে। কি তা আমি এখনো জানি না। সানা ভাই মনে হয় বলতে পারবেন ।
(অফটপিকঃ
আমার কাছে বাংলা টার হার্ডকপি আছে, লাগলে বইলো
হার্ড কপি তো দেয়া জাবেনা 😕 ই-বুক কী সম্ভব??? 😕
অবশ্যই লাগবে...বিলেতি ভাষা পড়তে গিয়ে ... 😡
আসলে আমার জাতিগত ভাবেই মিথ্যূক, আমদের রাজনীতিবীদরা আরও খারাপ। তাদের কথা আর ম্যানিফেস্টো যেকোন সময় বদলে যাবে, যদি না তাদের থলের বেড়াল বের হয়ে আসার সম্ভবনা দেখা দেয়। আসলে আমি অনেক আশা করেছিলাম যে এইবার একটু বদলাবে। না কোন কিছু বদলায় নি।
হাসিনা তার মত করে দেশ চালচ্ছেন, আবার "গড ফাদার-মাদার" তৈরি হচ্ছে। দলীয় করন, লাগামহীন সন্ত্রাস আবার শুরু হয়ে গেছে। আর তার অয্যোগ মন্ত্রীদের আচরনও খুব চেনা চেনা লাগছে। আওয়ামী লীগ তাদের প্রথম পরীক্ষায় (উপজেলা আর হল দখল) ফেল করেছে।
আর বিএনপি... সামনে বসতে না দিলে আমি খেলমু না ...
রাজনীতির এক দুষ্ট চক্রে বন্দী বাংলাদেশ...
আসলে কোন কিছু বদলানো এত সহজ না ভাইয়া, আমাদের আশার পরিধিটা তাই কমানো উচিৎ। তাহলে হতাশ কম হবো। তবে আশা হতাশা বাদ দিয়ে আসলে এখন কাজ করতে হবে।
সামিয়া আপু খুবই উপকারী পোষ্ট 🙂
আসলে আমাদের দেশে রাজনীতি নিয়ে আমরা গোড়ামী না করে সবার দোষ গুণ নিয়ে আলোচনা করে কীভাবে তা রোধ করা সম্ভব সেটা নিয়ে আলোচনা করাটাই ভালো।। 🙂
সেটাই
ম্যানিফেস্টো, ট্র্যাকিং এর একটা মাধ্যম হতে পারে, কিন্তু একমাত্র হতে পারে না। মাঝে মাঝে কিছু গুরুত্বপূর্ন ঘটনা চলে আসতে পারে, যেটা হয়ত ম্যানিফেস্টোতে নেই। যেমন ডেপুটি স্পিকারের ব্যাপারটি।
আমরা বরং চলতি রাজনীতির খবর রাখতে পারি। কি হচ্ছে, আর কি হওয়া উচিৎ। এর পর সুর ধরে ব্লগিং করতে পারি। ব্লগিংকে অবহেলা করার উপায় এখন হয়ত আছে, কিন্তু ক্রমেই এটা একটা শক্তিশালী মাধ্যমে পরিনত হচ্ছে। এর একটা উদাহরন চীন। চীনের যতজন সাংবাদিক নির্যাতিত কিংবা কারাগারে, তার একটা বড় অংশই অন-লাইন ব্লগার।
তবে আমদের প্রথম কাজ শুরু করা উচিৎ নিজেদের সচতনতা বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে।
এটা আমার নিজস্ব মত। শওকত ভাই কিংবা সানা ভাইয়ের মত যারা সাংবাদিক তারা ভাল মত দিতে পারবেন।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ফয়েজ ভাইএর সাথে একমত... :thumbup:
সরকার বা বিরোধীদলের কোন কর্মকান্ড পছন্দ না হলে- সেটা নিয়ে আমরা ব্লগিং করতে পারি এবং লিংকটা বিভিন্ন সাইট (যেমন ফেইসবুক!) এ দিয়ে দিতে পারি...
অফ টপিকঃ ব্লগিং এর ব্যাপারে চীনের উদাহরণ দেয়ার জন্য ফয়েজ ভাইএর ব্যান চাই... 😛
প্রচন্ড অফ টপিকঃ সামিয়াপু, তোমার কি হইছে?? শরীর মন ভাল তো??? এত কম সময়ে দুইটা পোস্ট দিলা তো...তাই :just: ভাবছিলাম আর কি... ;;)
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
~x( ~x(
:salute: আপনারদের কয়েকজনের কমেন্টের জন্য খুব অপেক্ষা করছিলাম ফয়েজ ভাই :shy:
একদম একমত ফয়েজ ভাই।
আরেকটা কথা, চলতি রাজনীতি নিয়ে ব্লগিং করলে সচেতনতা বাড়বে। এটা খুব ভাল একটা পন্থা। তবে তাতে পরবর্তী কার্যক্রম আসলে খুব একটা থাকে না, অনেকটা সেমিনারের মতন। একটা সেমিনারে যেমন একটা বিষয় নিয়ে ভালো আলোচনা হয়, কিছু ভালো ডিসিশন নেয়া হয়, তারপর সেইটুকুতে আটকে থাকে, তার পর আর কোথাও যায় না। এই পরবর্তী কাজটুকু আমরা কিভাবে করতে পারি?
স্যামঝ্যাং,
পুরো নন-পার্টিস্যান মুভমেন্ট (non-partisan movement) আইডিয়াটা অসাধারণ।
দেশ চালানো খুব কঠিন একটা ব্যাপার। সদিচ্ছা আর দেশপ্রেম নিয়ে সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করে বিগত তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবসায়ী সহ প্রায় সব লেভেল থেকে নীরব 'অসহযোগ আন্দোলন'এর মুখে নতী স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিল, তারা ব্যর্থ হয়েছিল। আমরা গণতন্ত্র চেয়েছিলাম। তত্বাবধায়ক সরকার ওই একটা জিনিস বাদে সব দিতে চেয়েছিল ...
এখন আমরা গণতন্ত্র পেয়েছি।
রাজনৈতিক দল গুলোও যে দেশকে উন্নতির দিকে যেতে দেখতে চান না তাও নয়। সমস্যা হল দেশ চালাতে হলে কিছু "ইতর" শ্রেণী'র সহযোগিতা প্রয়োজন হয় বলে তাদের কিছু undue favour করতে হয়। যদি বলি তাদের সহযোগিতা বাদ দিয়ে ... আমার মনে হয় তা সম্ভব নয়।
সবচেয়ে অসহায় লাগে তখন, যখন বুঝি কি করলে মুক্তি পাব, কিন্তু করতে পারি না ...
তবু তোমার মত সবাই একটা একটা করে উত্তরনের উপায় যদি খুজে বের করি আর চেষ্টা করে যাই ... সম্ভব হতেই পারে।
চমৎকার লেখার জন্য :boss:
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
এটা একটা খুব বড় পয়েন্ট আমার মনে হয়, আমরা যত কিছুই বলি না কেন, দেশ আসলে ব্যবসায়ীরাই চালায়। সেই আর্যদের তামার ব্যবহার থেকে শুরু করে সিরাজুদ্দৌলার আমল পর্যন্ত, এমনকি পাকিস্তান আমলেও অর্থনৈতিক বৈষম্য আমাদের আলাদা হয়ার অন্যতম প্রধাণ কারণ।
আর অসহযোগ আসলেই খুব ভালো পন্থা, একটা দাবী মেনে নিতে বাধ্য করে।
ভাইয়া, একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে, তারা যখন তেড়িবেড়ি করতেছে, সেইক্ষেত্রে, ধরেন, চালের দাম কমাবে না। যদি কৃষকরা কেউ ধাণ বিক্রি না করে? তখন?
আবার, ধরেন, টেলিটক বিল হুদাই বিল বাড়ায়া দিল (দিবে না দিবে না, টেলিটক ভাল জিনিস) । টেলিটক ইউজাররা এক মাস ইউজ বন্ধ রাখলো...এই ধরণের অসহযোগ। এটাও কি কাজ করবে না বলে মনে হয়?
প্রশ্ন গুলো সহজ ... আর উত্তরও তো জানা।
ধান বিক্রি না করলে খাবে কি ?? শহরের মানুষ তো আর গ্রামে গিয়ে চাল কিনে নিয়ে আসবে না।
তোমার আমার ক্ষেত্রে "অসহযোগ আন্দোলন"টা যতটাই সরল, ব্যবসায়ী'রা যাদের নিয়ে মূলত ব্যবসা করে তাদের জন্য ততটাই জটিল ...
আর 'ইতর' পার্টি এতটাই well backed up, যে দুই চার বছরের অসহযোগ আন্দোলন এরা অনায়াসে বিদেশে বসে কাটিয়ে দিতে পারে। নইলে সব ইতরের পয়সা বিদেশের ব্যাংকে ক্যান জমে ??
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
অনেক কঠিন কঠিন কথা দিয়া একটা ভাবগম্ভীর কমেন্ট লিখসিলাম...
মুইছা গেসে :(( ...কেমনে কি? :no:
নাহ, আল্লাহপাক মনে হয় চায়না যে আমি সিসিবিতে সিরিয়াস কমেন্ট করি ;))
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
যেই জাতি নিজের ভাগ্য পরিবর্তনে সচেষ্ট নয়, আল্লাহ সে জাতিকে কখনো নিজ থেকে সাহায্য করেন না। আর তুমি তো জাতি'র নগন্য এক একক মাত্র ...
আগে নিজে স্বচেষ্ট হও বৎস্য।
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
উপরে আমাকে দেখ, দাঁতের মাঝখানে কলম কামড়ায়া কি-বোর্ড কোপাইলাম ... আল্লাহ মুখ ফিরিয়ে নান নাই।
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
বস,
আপনার এই চিন্তার লাইনটা খুব ভালো লাগলো...
রাজনৈতিক দলগুলার আসলেই অনেক ধরণের সীমাবদ্ধতা থাকে...হুজুগে বাঙ্গালী যখন একচাপা রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলগুলার বংশোদ্ধার করতে থাকে, আমার মাঝেমাঝে মায়া লাগে...
আসলে ব্যক্তিগত পর্যায়ে আমাদের সবারি অনেক গলদ...ছোটখাট প্রচুর অসৎ কাজ আমরা প্রতিনিয়তই অবলীলাক্রমে করতে থাকি, এমনকি এইগুলা যে 'অসৎ কাজ' সেই বোধোদয় টুকু পর্যন্ত ছাড়া...সমস্যা হয়, যখন আমাদের মাঝ থেকেই কেউ নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে চলে যায়; তখন এই ব্যক্তিগত গলদ গুলো বড় প্রকট হয়ে ধরা পড়ে...আমরা যারযার হীনমন্যতা ঢাকতে দল বেঁধে নেতা-নেত্রীদের শাপ-শাপান্ত করতে থাকি, যদিও সেই একই অপরাধে আমরাও কমবেশী অপরাধী...
কথা লাইনের বাইরে চলে যাচ্ছে- যা বলতে চাচ্ছিলাম, আমার কাছে মনে হয় সবার আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হইল 'আত্মসমালোচনা'...নিজের কাজের/কথার/চিন্তার মূল্যায়ন মানুষকে নিজের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ করে তুলে...সমাজ বলি, সমষ্টি বলি, জাতি বলি- পরিবর্তনের সূচনাটা আমাদের নিজে নিজেদের দিয়েই শুরু করতে হবে...
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
ভাইয়া ঠিক এই ব্যাপারটাই, আমরা যদি কেবল সরকারকে দোষ না দিয়ে নিজেরাই কিছু উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করি, আর নিজ নিজ ক্ষেত্রে যদি একটু খানি সৎ থাকার চেষ্টা করি, তাহলে আসলে একটা বিশাল লাফ দেয়া (one big leap এর বাংলা) হয়ে যায়।
তবে আত্মসমালোচনাটা সমষ্টিগত ভাবে করার সময় এসেছে।
সিসিবিকে একটা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ধরে কিছু একটা শুরু করা খুব ভালো আইডিয়া হইতে পারে...কারণ, পারষ্পরিক বিশ্বাসযোগ্যতা আর চেইন অব কমান্ডটা তো আমাদের 'বাই ডিফল্ট' অ্যাডভান্টেজ...আমাদের ব্যাচের(মকক-৩১) ছোটখাট একটা উদ্যোগ আছে...যদিও অর্ধেকের বেশি পোলাপান প্রবাসী হয়ে যাওয়ার পরে, লোকবলের অভাবে আমরা অনেকটা আটকায়ে পড়সি...দেখি, একদিন সিসিবিতে অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো...
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
আমি এখন আশাবাদী হয়ে উঠছি। সামিয়াসহ আমরা সবাই যেভাবে রাজনীতি নিয়ে ভাবতে শুরু করেছি, উদ্বিগ্ন হচ্ছি, ক্ষোভ-হতাশা জানাচ্ছি, আশার জায়গা সেটাই।
আসলে আমি-তুমি তোমরা-আমরা সবাই ভীষণভাবে রাজনৈতিক। এটাই ঠিক, এটা হতে হবে। এ কারণে আমেরিকা বদলাচ্ছে, বাংলাদেশও বদলাবে। রিপাবলিকানদের ধরাশায়ী করে বদলানোর প্রত্যয়ে উদ্দীপ্ত একটা তরুণ (!!) নেতৃত্বকে যেভাবে সামনে নিয়ে এসেছে, সেটা কিন্তু ভীষণ রাজনৈতিক একটা কাজ। বাংলাদেশেও আমরা চোরচোট্টা, সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ, মাফিয়া চক্রকে ধূলায় মিশিয়ে দিয়েছি, প্রমাণ করেছি চাইলে আমরা আওয়ামী লীগ বা মহাজোটকেও ভবিষ্যতে একই শিক্ষা দিতে পারবো।
তবে মনটাকে উদার রাখতে হবে। দলবাজ হলে চলবে না। রাজনীতিমনস্ক হবো, সচেতন হবো; দলবাজ বা দলের প্রতি অন্ধ হবো না।
এই যে বাংলাদেশটা গত দুবছরে যেটুকু বদলেছে, তাতে রাজনৈতিক দলের কোনো ভূমিকা ছিল না। বদলানোর জন্য জনমত গঠনের কাজটি করেছে মিডিয়া (সবাই নয়) ও নাগরিক সমাজ। আর তাতে একটা বড় ভূমিকা রেখেছে বিদেশী শক্তি। এখন চেষ্টা হচ্ছে দেশটাকে আবার পেছন নিয়ে যাওয়ার। যেসব সংস্কার হয়েছিল, সেগুলো উল্টে দেয়ার। আমাদের এতে নিরব থাকলে হবেনা।
ব্লগে আমরা সোচ্চার থাকবো। নাগরিক সমাজের ভূমিকা রাখবো। মোজাফফর স্যারের মতো বুড়ো মানুষগুলো টিআইবি, সুজন করে কাজ করে যাচ্ছেন। সায়ীদ স্যার পরিবেশ নিয়ে কাজ করছেন। রেহমান সোবহান বা মতিউর রহমান, দেবপ্রিয়রা পরিবর্তনের পক্ষে জনমত গঠনের কাজ করে যাচ্ছেন। আর আমরা তরুণ, যুবারা বসে বসে হতাশ হচ্ছি!!
রাজনৈতিক দল না করেও পরিবর্তনের রূপকার হওয়া যায়। অনেকে অনেক কথা বলবে, নানা স্বার্থ খুঁজবে। বিশেষ করে দলবাজরা। কিন্তু নিজের বিবেকের কাছে পরিস্কার থাকলেই হলো।
আমরা এরকম আরো নানা সৃজনশীল কাজে যুক্ত হবো না কেন? দেশটাকে আমরা সবাই ভালবাসি। সবাই মিলে দেশটাকে বদলাতে চাই।
আমি তো ভীষণভাবে ভাবি, সুযোগ পেলে একদিন স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঢাকা শহর পরিচ্ছন্ন করার কর্মসূচির কথা। পথশিশুদের জন্য কিছু করার কথা। ঢাকা শহরে যেখানে জায়গা পাওয়া যাবে সেখানেই গাছ লাগানোর স্বপ্ন। পাড়ায় পাড়ায় মাদকের বিরুদ্ধে মহল্লাবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করা যায়। যেখানে দুর্নীতি দেখবো সেখানেই এ নিয়ে প্রতিবাদ গড়ে তুলবো।
ফয়েজ বলেছে,
তাইফুর লিখেছে,
একটা বিষয় বুঝি। চুপ করে থাকা যাবে না। নিজের ক্ষতি হতে পারে ভেবে আমরা অনেক সময় অন্যায়কে সহ্য করে যাই। এতে অন্যায়কারী প্রশ্রয় পায়। আমাদের নিরবতাকে দুষ্টু লোকেরা নিজেদের প্রতি সমর্থন বলে ব্যাখ্যা করে!
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
:salute: আপনি কোন দিন রাস্তা ঝাট দিতে বের হবেন সানা ভাই, আমি কথা দিতেসি ভাইয়া, আমি সবার আগে আপনার সাথে যোগ দিবো, যেইদিন পথশিশুদের নিয়ে ক্লাস নিবেন কিংবা মাদকের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামবেন, আমাকে খালি একটা মেইল দিবেন কষ্ট করে, আমি চলে যাবো, গাছ লাগাতে গেলে আমি নিজে মাটি খুড়ে দিবো।
সানা ভাই তারপর কি করবো?
এভাবেই একটা আন্দোলন গড়ে উঠবে। এরকম অজস্র সামাজিক আন্দোলন এক স্রোতে যুক্ত হবে। একটা শক্তি তৈরি হবে। পরিবর্তনের। যে শক্তির অভাবে আজ দুই দল আর দুই নেত্রী আমাদের জিম্মি করে রেখেছে।
সবটাই স্বপ্ন। কিন্তু
উদারনৈতিক গণতন্ত্রের একটা শক্তি সমাবেশ না ঘটালে আমাদের বারবারই বলতে হবে "এরপর কি"? পরিবর্তনটা আকাশ থেকে আসবে না বা যারা আল্লাহ'য় বিশ্বাস করে তিনিও করে দেবেন না। দেশের ভেতর থেকেই, জনগণকে নিয়েই পরিবর্তনটা করতে হবে।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
খাওয়ার টেবিলে আংকেল এবং তোরা মিলে বেশ দেশ উদ্ধার করছিস বলে মনে হচ্ছে। :grr: :grr:
😛
দরকারি পোস্ট। সবাই এখন নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করলেই হয়। আমিও বেশ আশাবাদী। রাজনীতি কিছুই বুঝি না। বুঝলে এই পোস্টের প্রস্তাবনাগুলো নিয়ে আরও এগুতে পারতাম। লীগের রাজনৈতিক ইশতেহারের চুলচেরা বিশ্লেষণ আসলেই হওয়া দরকার। সিসিবি প্রেস ক্লাব আশাকরি কাজটা খুব ভালভাবে করবে।
খুব ভাল লাগল এরকম একটা পোস্ট পড়ে। সেদিন কিছু একটা করব ভেবে আর কি করব ভেবে না পেয়ে সারা নেট খুঁজলাম বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী কে কোন ভাবে মেইল করা যায় কিনা। কিন্তু খুঁজে না পেয়ে আওয়ামীলীগ প্রেসিডেন্ট (একই ব্যাক্তি হলেও আওয়ামীলীগের সাইট থেকে ওনাকে করাতে আওয়ামী লীগ প্রেসিডেন্ট হিসেবেই মেইল করা হয়েছে ) কে বিশাল একখানা মেইল করেছিলাম। আশা করছিনা যে উনি পড়বেন কিন্তু প্রায়ই গিয়ে ফিরতি মেইল আসল কিনা সেটা চেক করছি।
এখান থেকে কোন একটা বুদ্ধি বের হবে সেই আশায়। কিছু একটা করতে চাই।
আমার নিজেকে আরও সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে সিসিবিতে এসে। আংগুলের ব্যাথা চলে গেছে এই ব্লগটা পড়ে। এবার লেগে পরবো ইনশা আল্লাহ। তবে মোল্লার (আমার) দৌড় মসজিদ পর্যন্ত। আমি কোন কাজে লাগতে পারলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করবো। বিষয়টি উটত্থাপনের জন্য সামিয়াকে মোবারকবাদ।
আগেরটা ছিল ফৌজি এবার সিভিল লিখা লিখি। যে কোন পরিবর্তনের জন্য দরকার পরিকল্পনা আর পরিকল্পনা করার জন্য সামনে একটা স্বপ্ন থাকতে হয়। আমদের এখন নেতা নেত্রীদের সবচেয়ে বড় সমস্যা তারা তো স্বপ্ন দেখতে পারেইনা উপরন্ত অন্যের স্বপ্নকে হেসে উড়িয়ে দেয়। একটা স্বপ্ন একজন দেখলে তা যদি আরো কয়েকজনকে বলে তবে তাদের মনের মধ্যে ঐ স্বপ্নের বীজ বপন হয়। একসময় তারাও একই স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। অনেক গুলো মানুষ যখন একই স্বপ্ন দেখে তখন সেটা ইচ্ছাতে রুপান্তরিত হয়। আর ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। হয়তো ইচ্ছা শক্তিকে বাস্তবে রুপ দেয়ার জন্য একটা প্লাটফরম প্রয়োজন হয়। সামিয়া একা নয় এই স্বপ্নটা অনেক বিবেকবান ব্যাক্তিই দেখেন।সামিয়ার কথা মতো সিসিবির প্লাটফরমটা একেবারে ফেলনা না। অন্যান্য সাইটে লিঙ্ক দিলে আমরা আরো জনমত পেতে পারি। তারাও আমদের দলে যোগ দিতে পারে। মার্কেটিং এ ল্যাটেন্ড ডিমান্ড বা সুপ্ত চাহিদা নামক একটা টার্ম আছে। মানুষের সুপ্ত চাহিদা আছে কিন্তু তার নাম জানে না তাই চাইতে পারেনা। সামিয়া নাম বলে দিয়েছে এখন আমদের চাইতে হবে।ডিমান্ড যদি বাড়ে প্রডাক্ট তৈরী হতে বাধ্য- শুধু সময়ের ব্যাপার। শওকত, সানাউল ভাইয়েরা জ্ঞানী মানুষ এবং আমাদের থেকে এসব জিনিষ অনেক বেশি কাছ থেকে পর্যবেক্ষন করার সুযোগ থাকে তাদের। সিসিবির প্লাটফরমের সবচেয়ে বড়দিক এটা নেভার এন্ডিং। আজ আমরা বুড়া হবো কাল নবিনরা স্থান নিবে অর্থাত এটা চলতেই থাকবে। কতদিন লাগবে? ৫ বছর, ১০ বছর, বা ২০ বছর। লাগুকনা তাতে কি। আমরা না হয় এর ফল ভোগ নাইবা করলাম, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটা সুন্দর বাংলাদেশ দিতে পারবো এটা কম কিসে?
ইয়ে.....এরপর গত তিন বছরে আসলেই কি কিছু করা হয়েছিল? :-/ :brick: