ব্লগের মরা অবস্থা দেখে মাঠে নামসি। কিন্তু লিখতে তো পারিনা, ভালো পড়তে পারি। আচ্ছা কয়েকটা ঘটনা লিখি।
১। একজন ক্লাসে ঘুমাচ্ছিল, সে চশমা পড়ে। হঠাৎ স্যার (কেমিস্ট্রির অত্যন্ত বিখ্যাত এবং আমাদের অত্যন্ত পছন্দের স্যার), পড়া বন্ধ করে ওর দিকে এক দৃষ্টিতে খানিক্ষন তাকায় থাকলেন, তাও ওর ঘুম ভাংলো না। উনি আস্তে আস্তে আগায় যাচ্ছেন, আমরা সবাই শ্বাসরুদ্ধ অবস্থায় অপেক্ষা করতেসি… এরপর কি হবে?
স্যার এসে অত্যন্ত যত্ন সহকারে ওর চশমাটা খুলে নিলেন, তারপর ঠাস করে এক…
এখনো বুঝিনা থাপ্পর দিতে উনার চশমা খুলতে হয়েছিলো কেন??
২।রুমে একসাথে তিনজন আড্ডা দিতেসে, ক্লাস এইট থাকাকালীন ঘটনা। হঠাৎ হাউস প্রিফেক্ট চলে আসছে। যার রুম সে অত্যন্ত উত্তেজিত হয়ে লুকাতে গেসে (এখনো ঠিক পরিষ্কার না সে লুকাতে গেসিলো কেন, রুমটা তো ওরই), খাটের তলে সে হাফ ঢুকসে এইসময় আপাও রুমে ঢুকসে। সাথে সাথে স্টিল, হাফ ঢুকা অবস্থাতেই।
-কি ব্যাপার তোমরা এই রুমে কেন? রুমি কই? (রুমির রুম)
-জানিনা আপা।
-ওইটা কি? (অন্ধকার ছিলো, দেখা যাচ্ছে না)
-ইয়ে আপা, বালিশ, পড়ে আছে।
এইবার আপা, অত্যন্ত শান্ত স্বরে,
-রুমি, বের হও।
the end.
ধন্যবাদ।
(ইয়ে, নামটা পরিবর্তিত)
ঠ্যাংকু...
সামিয়াকে ধন্যবাদ মন্দা অবস্থায় এগিয়ে আসার জন্য। তোমরা কি সিনিয়র দের আপা বলতা নাকি ? আমি তো ভাবছি আপু ডাকতা। আপু ডাকটা অনেক কিউট না?
আরেকটা জিনিস কার থেকে যেন শুনেছিলাম তোমরা নাকি সবাই কলেজে ডাকনাম ধরে ডাকতা ক্যাডেট নাম বাদ দিয়ে।সত্যি নাকি।
রুপবানের গান ছাইড়া দাও... ব্লগ দেখো ক্যামনে জমে...
তপু ভাই, ঐসব কিউট ফিউট এর বেইল নাই।
আমাগো কলেজে ভুলেও কাউরে ভাইয়া ডাকলে খবরই ছিল। সবাই রে ভাই ডাকতে হইতো।
হু আপুটা কিউট, কিন্তু সিনয়ররে তো রাফ আন্ড টাফ নামে ডাকতে হবে, নাইলে তো প্রেস্টিজ নাই। কি ব্যাপার আপনার না পিএইচডি এইটা নিয়ে?
ডাকনামেই ডাকতাম, ক্যাডেট নামটা কাগজ কলমেই থাকতো।
হু ইজ রুপবান? একি অবস্থা? দুইদিন পর পর নতুন সিঙ্গার বেরইলে আমরা চিনবো কেমনে?
:gulli:
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
rupban hoilo mila......chino na?
মিলারে আমি আদর করে রুপবান ডাকি 😛
ওর লেটেস্ট গানটা শুনোনাই... ? রুপবানে নাচে কোমর দুলাইয়া...।
আরে মাসরুফ ভাই, আপনে কোত্থাইকা?? বস আমারে মিলা ডার্লিং এর ছবি গুলা সেন্ড করেন না... মন পুড়ে তো... 🙁
পৃথিবীড় অনেক প্রশ্নের উত্তর আমার জানা...যেমন জানা প্রথমটার। কারণ এই স্যার আমাদের একজনরে পিটাইতে যাইয়া নিজের ঘড়ি ভাইঙ্গা ফেলছিল। তারপর থেকে তিনি সাবধান...ঠ্যাঙ্কু
--------------------------------------------------------------------------
আর সহ্য হচ্ছেনা
ধন্যবাদ জ্ঞানী মানব।
funnny story...যারে বালিশ ডাকা হইল(রুমি)...সে mind করে নাই??
উহ আহ্ মিলা...... 😀
আর আমাদের কলেজে ক্যাডেট নামটাই আসল, ডাকনামটা ক্যাডেট নামের আড়ালে ঢাকা পড়ে গেছে। আর ক্যাডেট নামটা ঢাকা পড়েছে টিজ নেমের আড়ালে।
আহমেদরে (ছদ্মনাম) কেউ নয়ন বলে চিনে না, ওরে "পপি" অথবা "বদনা" নামেই বেশি মানুষ চিনে। ধন্যবাদ।
ঢিঁচ্চু 🙁
আর সহ্য হচ্ছেনা
বালিশশশশশশশশশশশশ..................... 😀
রসায়নের স্যার এত নিরস?
মেয়েদেরকে কেউ "ঠাস" করে থাপ্পর দেয়?
Inhumane!
আমাদেরও এমন একটা ঘটনা ছিল।
পারভেজ অথবা নাজমুল, রাতে Prep hourএ ঘুমাচ্ছিলো, নিজের deskএ মাথা রেখে।
আমরা কেউ গিয়ে ওকে বারবার জাগাচ্ছিলাম। ও খুব বিরক্ত হচ্ছিল। আবার শুয়ে যাচ্ছিল।
এমন সময় sir এলেন। ওর কানে টান দিলেন, ও মাথা উঠায়না।
এবার স্যার কান মুচড়ে দিলেন। ও রেগে গিয়ে স্যারের পেটে দিল ঘুষি।
অতঃপর স্যার?
বাকিটা বলা যাবেনা...
হুমম...