সাদা কালোয় অনেক ভালো
চোখ ফেরানো যায় না
পূর্ণীমা, ববিতা নাকি অপর্না
কে এই ললনা?
এই ললনা গানের পাখি
করে অনেক লেখালেখি
ভালো রাঁধে
চুলও বাঁধে
অনেক গুণে উত্তমা
সবার প্রিয় তারার মা।
১২ টি মন্তব্য : “ছবিতা”
মন্তব্য করুন
সাদা কালোয় অনেক ভালো
চোখ ফেরানো যায় না
পূর্ণীমা, ববিতা নাকি অপর্না
কে এই ললনা?
এই ললনা গানের পাখি
করে অনেক লেখালেখি
ভালো রাঁধে
চুলও বাঁধে
অনেক গুণে উত্তমা
সবার প্রিয় তারার মা।
গতকাল আটলান্টায় এক্স ক্যাডেটদের সাথে ফুরফুরে একটা দিন কাটিয়ে বাড়ি ফিরে দেখি আমার নিজের ঘরই উত্তপ্ত হয়ে আছে 'ছবিতা' কে কেন্দ্র করে।
আই রিয়েলি ডোন্ট নো ফ্রম হোয়ের টু স্টার্ট! আমি জানি গার্লস ক্যাডেটদের একমাত্র নিয়মিত প্রতিনিধি/ব্লগার হিসেবে আমি এখানে সবার আনকন্ডিশনাল আদর, স্নেহ, ভালবাসা আর প্রশ্রয় পেয়ে এসেছি বরাবর। 'কানে দিয়েছি তুলো আর চোখে বেঁধেছি কুলো' থিউরি অনুসরণ করে আর থাকা গেলো না। নিজের অবস্থান জানান দিতে তাই লিখতে বসা।
ছবিতা লেখার প্রেক্ষাপট এখানে সবাই জানেন। সম্প্রতি মোস্তাফিজের লেখা একটি ব্লগ নিয়ে তিক্ততা চরমে ওঠার পর ও ব্লগ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেয়। জাতিসংঘ মহাসচিব নূপুরের মদ্ধ্যস্ততায় সব কিছুর শান্তিপূর্ণ সমাপ্তির পর ছবিতায় কমেন্টের শেষে বলেছিলাম, 'ছবিতা লেখার কারণে তোমাকে না ঘরে বাইরে শূলে চড়তে হয়, পাগলা!' ব্যাপারটা মিটে গিয়েছিল সেখানেই। ব্লগে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরে আসে তারপর।
আফজাল আমার পুত্রসম জুনিয়র ক্যাডেট, যে আমাকে মায়ের মতো ভালবাসে। এক ঘর লোকের ভীড়ে আফজাল তার মায়ের প্রতিচ্ছবি খোঁজে আমার মুখে। গতকাল রাতে ওর মন্তব্য পড়ে প্রথমে চমকে উঠেছিলাম। তারপর মনে হলো মায়ের প্রতি অধিক প্রটেক্টিভ পুত্র এমনই করে হয়তো।
অন্যদিকে মোস্তাফিজ আমার বন্ধুসম মানুষ। ব্লগে তার সাথে আমার পরিচয়, পরে সেই পরিচয়ের ব্যাপ্তি ফেইসবুক অবধি গড়ায়। ব্লগে সাম্প্রতিক বাদানুবাদের পর আমি প্রথম তার সাথে কথা বলি। পারভেজ ভাইয়ার কথার খেই ধরে বলি, আমি সাত ভাইয়ের একটি মাত্র পারুল বোন। সবার উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের কারণে আমার তো ব্লগ থেকে পালিয়ে যেতে মন চাইছে, ভাইয়ারা!
কাল রাত থেকে আমি খুব অস্বস্তির মাঝে আছি। গলায় একটা কাঁটা ফুটে আছে, না পারছি বের করতে, না পারছি গিলে ফেলতে। সবার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বলছি, ভাইয়ারা ব্লগে আরো একটু সংযম আর বিনয়ের সাথে কথা বলি, প্লিজ! এবার না হয় থামি সবাই, প্লিজ। ভুল থেকেই নিজে শিখি অন্য কাউকে শেখাই একটু একটু করে প্রতিদিন।
ভালো থেকো ভাইয়ারা! মাচ লাভ!!
ধন্যবাদ আপা।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
সহজ, সুন্দর স্বাভাবিক কিছু কে কিভাবে প্যাচানো যায় তা কিছু কমেন্ট পড়ে বুঝলাম।
সাধু, সাধু।
ছড়া বা কবিতার লেখকের সাথে যার উদ্দেশ্যে ছড়া লেখা তার সাথে কিছুটা মনোমালিন্য বা আরো সোজা করে বলতে গেলে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিলো।
এখন লেখক বিষয়টির সুন্দর একটি সমাপ্তি টানতে একটি কবিতা বা ছড়া লিখেছেন।
ও আচ্ছা লেখক সাবিনা আপার অনুমতি নেন নি।
যাদের মাথায় বিন্দুমাত্র ঘিলু নামক পদার্থ আছে তারা নিশ্চয়ই এটা বলবেন না যে মোস্তাফিজ ভাইয়ের উচিত ছিলো সাবিনা আপাকে বলা যে,
বুবু তোমার কাছে সরি। এখন তোমাকে নিয়ে সরি বলার জন্য একটা ছড়া লিখবো, এবং সেই ছড়ায় তোমার খুব সুন্দর সাদাকালো একটি ছবি এড করে দিবো।
তারপর আপা অনুমতি দিবেন আর মোস্তাফিজ ভাই লেখা প্রকাশ করবেন।
খুব সম্ভবত আমাকে পাবনার টিকিট কাটতে হবে বা রাঁচি।
আমার মনে হয় সাবিনা আপা যথেষ্ট স্মার্ট। তার যদি মনে হয় তার ছবি দেয়া বা তাকে বিষয়বস্তু করার ব্যাপার টি উনার পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব নয় তবে তিনি ভালো করেই জানেন কিভাবে অই ছবি বা লেখা সরাতে হবে।
মনে হয় না আপার লোক ভাড়া করার দরকার আছে।
ও আচ্ছা কমেন্টে দুজন কপ বা কুপাকুপি বলেছে। ছি ছি কি বাজে কথা। না, না আদৌ এটা ঠিক হয় নি।
যারা আমার কমেন্ট পড়ছেন তাদের সবাই কে বলছি, এই পর্যন্ত আমি অনেক লেখা ভাল লাগায় সাধু শব্দটি ব্যবহার করেছি। কিন্তু এই কমেন্টে সাধু,সাধু শব্দের ব্যবহার যে ব্যাংগার্থে তা মনে হয় না ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন আছে।
এবং পরিশেষে গোয়েবলস কে মনে পড়ে গেলো।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
প্রিয় রাজীব, আমার পক্ষে কথা বলবার জন্য লোক ভাড়া করতে হবে বলে মনে হয়না। অতটা নীচে নামবার দরকার পরেনি এখনো। মন্তব্য করতে গিয়ে আমরা ভদ্রতার সীমারেখা যেন ছাড়িয়ে না যাই কখনো।
আবার আমার মন্তব্যটি পড়ুন দয়া করে। আমি আপনাকে মোটেই সেরকম কিছু বলিনি।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
সাবিনাবু ছবিটা সরাতে নিষেধ করেছেন। সাদা কালো ঐ ছবি দেখেই ছবিতা লেখা হয়েছে। তবু যেহেতু কেউ কেউ মনে করছে বিষয়টা অ্যাবিউজ তাই সরিয়ে ফেললাম।
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
সরিয়ে যখন ফেলেছেনই ত কিছু বলার নেই।
আপাতত একটা ববিতার ছবি দিয়ে দিন।
অশনি সংকেতে পুকুরে গলা ডুবিয়ে ববিতার একটা সুন্দর ছবি আছে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
অন লাইনের কথাবার্তা অফ লাইনে না আনাই ভালো যদি না হাতে পর্যাপ্ত প্রমাণ থাকে। ইথারে কার সাথে কী কথা হলো সেটা ব্লগে না আনাই উচিত ছিল বোধকরি। ছবি সরাতে না বলেছিলাম তোমাকে ঠিকই কারণ আমি চেয়েছিলাম আত্মপক্ষ সমর্থন করে কিছু লিখো তুমি, মোস্তাফিজ! তুমি সেদিকে গেলে না বরং প্রসঙ্গ অন্যদিকে চলে গেলো।
ছবির সাদা কালো মানুষের মতোই আমি একজন সাদামেটে মানুষ, পাবলিক ফিগার নই আশা করি জানো তুমি। আমি তোমার অথবা আফজালের কারোরই ফরে কিছু বলতে চাইনি। চেয়েছিলাম নিজেরাই কথা বলে মিটিয়ে ফেলো ভুল বুঝাবুঝি।
আশা করি বুড়ো হয়ে যাবার আগে আমরা বড় হবো, ভাইয়ারা!
মকবুল ফিদা হুসেন মাধুরির অনুমতি না নিয়েই লিখছিল। তাতে সমস্যা হয়নি। এই অধম ফিদা হুসেন নয়। ফেসবুকের ছবির প্রাইভেসি ঠিক করে দেয় তার ব্যবহার। ও ছবিটা দেখেই ছবিতা লেখা। বুবুর মান ভাঙাতে গিয়ে তার পুত্রধনের রোষানল। সাধু সাধু!
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
মোস্তাফিজ ভাই সহ সকল কেই সাধুবাদ জানাই। ছোট মুখে যদিও অনেক বড় বড় কথা বলে ফেলেছিলাম, তবুও সবার প্রতি আমার সন্মানপ্রদর্শন এতটুকু কমবে না বৈকি আরো বেড়ে গেল। ভুল আমরা সবাই কমবেশি করি, ভুল্কে গ্রহণ করার মধ্যে কোন লজ্জা নেই বরং আপনি আপনার উদার মনেরই প্রকাশ ঘটান ভুলকে সবার সামনে গ্রহন করে।
শুভকামনা রইল।
Allah Bless Us.
জিয়া, আমার লেখা যারা পড়ে তারা হয়তো খেয়াল করতে পারে- মামুন আমার লেখায় কোপ ছাড়া কমেন্ট দিতে পারে না। ওর প্রতি বিরক্ত হয়ে কুপা মামু লেখছিলাম।
রঙিন ছবিটা প্রকাশের অনুমতি পাইনি।
গুণিজন ট্যাগ দিয়ে অন্যকিছু বুঝাব এতটা গর্দভ নই আমি।
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
মোস্তাফিজ ভাই আপনি যেই দুইজনের নাম উল্লেখ করেছেন তারা দুইজনই সেলিব্রিটি, উনারা খুব ভাল করেই জানেন এবং দুইজনই শিল্পী মানুষ হওয়াতে এটা আরো ভাল করে জানেন কিভাবে অনুমুতি নিয়ে প্রাইভেসি রক্ষা করতে হয়, শুধু মুখে মুখে বুবু সাবিনাবু বল্লেইত আর হলনা, সেটা বাস্তবেও নিজের কর্ম দিয়ে প্রকাশ করতে হবে। যেটা করতে আপনি সম্পূর্ণই ব্যর্থ হয়েছেন বা বলতে চাই সেটা করার চেস্তাও আপনি করেন নি।
আর ভাই একটা অনুরোধ করব, কষ্ট করে খোঁজ নিয়ে দেখে তারপর জানবেন আসলেই কি মকবুল ফিদা হুসেন মাধুরির অনুমতি না নিয়েই ছবি একেছিলেন কিনা? আমরা অন্যকে সন্মান করতে না শিখলেও উনারা ঠিকই জানেন।
ফেইসবুক অবশ্যই ছবির প্রাইভেসি ঠিক করে দেয়, কিন্তু নৈতিকতা বা বিবেক বলে একটা কথা আছে যা কোথাও লেখা থাকে না, সেটা ফেইসবুকেও নেই। সেটা আমাদের নিজেদের মধ্যে না থাকলে ঐসব কাগুজে নিয়ম দিয়ে জগত সংসার কখনই চলত না।
আর আপনি বারবার আপনার কথা ত্যানার মত পেচাচ্ছেন, এক একবার একেক কথা কেন বলছেন, একবার ও সরাসরি আপনি বলেন নি যে সাবিনা আপু আদৌ আপনাকে সরাসরি ফেইসবুক থেকে চুরি করা ছবি আপনার কবিতায় ব্যবহার করার অনুমুতি দিয়েছেন কিনা। আপনি তা না করে একবার বলেছেন যে "ব্লগের বাইরেও বুবুর সাথে ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, ফোন ইত্যাদি মাধ্যমে যোগাযোগ আছে। ছবিতা প্রকাশ হবার পর সাবিনা বুবু ব্লগে কমেন্ট করেছেন, ফোনে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি তার প্রিয় কয়েকজনকে সেটি পড়িয়েছেন। " আরেকবার বলছেন " সাবিনাবু ছবিটা সরাতে নিষেধ করেছেন" আবার তারপরই বলছেন " মকবুল ফিদা হুসেন মাধুরির অনুমতি না নিয়েই লিখছিল। তাতে সমস্যা হয়নি। এই অধম ফিদা হুসেন নয়। ফেসবুকের ছবির প্রাইভেসি ঠিক করে দেয় তার ব্যবহার। ও ছবিটা দেখেই ছবিতা লেখা। "
আমি আসলে কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না, আপনি দয়া করে সোজা সাপ্টা করে কথা বলেন, এত ত্যানা না প্যাঁচানোই ভাল, যদি কেও আপনার পোস্ট না পড়ে, তাই সস্তা বিনোদন দিয়ে আপনার প্রচার ও প্রসার বাড়াতে চান তা ভিন্ন কথা। অবশ্য আপনার সেই উদ্দেশ্য হাসিল হয়ে গেসে, কবিতার গুনে না হলেও আপনার চুরি করা ছবির গুনে আর মন্তব্যের কারনেই আপনার কাঙ্খিত প্রচার ও প্রশার হয়ে গেসে।
ভাই ভুল স্বীকার করে নেন, তাহলেই সব লেটা চুকে যায়।
Allah Bless Us.