বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) প্রথম থেকেই ডিডোকে জাতীয় দল গঠনের স্বাধীনতা দিয়েছিল। সালাহউদ্দিন জমানায় অনেক ভালো সিদ্ধান্ত এর মতই প্রশংসনীয় ব্যাপার ছিলো সেটা। বিশ্বজুড়েই এটা রীতি যে দল নির্বাচনের সব দায়দায়িত্ব কোচেরই থাকে। ডিডোর ওপর যখন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাঁর ওপর আস্থা রাখা উচিত ছিল। পরম বিশ্বাসে সালাহউদ্দিনও নিজ দায়িত্বে ডিডোকে আগলে রেখে পরীক্ষায় সফল বা ব্যর্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত ডিডোকে সুযোগ দিতে চেয়েছিলো।
এইবারের সাফ গেমস এর দল ঘোষনার পরই এই লেখাটা দিতে চেয়েছিলাম। ভাবছিলাম দল গঠনে স্বাধীনতার অপব্যবহার হয়ে যাচ্ছে কিনা! দেখতে চাইছিলাম অন্যরা কি ভাবছে। এর মধ্যেই পরশু রাতে ডিডোকে বরখাস্ত করা হলো। প্রথম আলো লিখেছে গত পরশু রাতে হঠাৎ করে ডাকা জরুরি সভায় শুধু ডিডোকে বরখাস্ত করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্তই জানানো হয়েছিল, কাল সেটির কারণ জানালেন বাফুফে-কর্তারা।মূল কারণ তো অবশ্যই আগামী মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় সাফ ফুটবলের জন্য ডিডোর নির্বাচিত ২৩ জনের দল পছন্দ না হওয়া। কোচ তাঁর স্বাধীনতার অপব্যবহার করেছেন, দল নির্বাচনে সততার পরিচয় দেননি—এসব অভিযোগ এনে ‘আর কোনো বিকল্প ছিল না’ বলেও দাবি করা হলো কাল বাফুফে ভবনে আয়োজিত জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির সংবাদ সম্মেলনে।
অতীত অভিজ্ঞতা থেকে কারো ধারণা হতে পারে কোচদের এভাবে বিদায় দেয়া বাংলাদেশের ফুটবল সংস্কৃতিরই অংশ। কিন্তু আমি বর্তমান বাফুফের নির্বাচিত কমিটির একজন ভক্ত। গত পরশু রাতে নাটকীয় ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন বাফুফের ২১ জন সদস্যের ১৭ জনই। সেখানেই ডিডোকে বরখাস্ত করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের পর বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনও তা মেনে নেন। বাংলাদেশের সব পরীক্ষিত সংগঠক বাফুফের সভায় যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে আমি বিশ্বাস করতে চাইছি।
বিকেএসপিতে খেলোয়াড়দের সঙ্গে একটা ঝামেলা হয়েছিল ডিডোর। ডিডোকে নিয়ে সমস্যার শুরু তখন থেকেই। পত্রিকা পড়ে যা বুঝেছি ব্রাজিলিয়ান কোচ অসৎ না হলেও একগুঁয়ে আর বদমেজাজি। জুলাই মাসে বিকেএসপির আবাসিক ক্যাম্পে ডিডোর নির্দেশ অমান্য করে প্রশিক্ষণ শিবির ত্যাগ করেছিলেন ৮ জন ফুটবলার। তাদের কাউকেই ক্যাম্পে রাখার পক্ষে ছিলেন না ব্রাজিলিয়ান কোচ। শেষ পর্যন্ত সালাউদ্দিনের হস্তক্ষেপে তখন সমস্যার সমাধান হয়। তবে ব্রাজিলিয়ান কোচ ওই আট জন ফুটবলারের জন্য তখন আলাদা অনুশীলনের ব্যবস্থা করেন। পরবর্তী সব ঘটনায় মিডিয়া সব সময় ডিডো আর ঐ আট খেলোয়াড়ের সম্পর্কের উপর নজর রেখেছে এবং তা সব সময়ই খবর হিসেবে পত্রিকার পাতায় উঠেছে। এবারের দল গঠনের সময়ও দু-একজন সিনিয়র খেলোয়াড়ের বাদ পড়া দেখে মনে হয়েছে, বিকেএসপির সমস্যাটা ডিডো ভুলতে পারেনি। ডিডোর প্রতিশোধপরায়ণ মানসিকতা কিংবা সেই ইগোর দ্বন্দ থেকে বের হয়ে আসতে পারে নাই।
অনেকের মতেই গত বছর দেশের সেরা মধ্যমাঠ ছিলো আবাহনীর। আবাহনীর প্রানতোষ আর উজ্জ্বল ডিডোর প্রাথমিক ৩২ জনেও ছিলো না। দলে আমিনুলকে রাখা হলো, বিপ্লবকে বাদ দেওয়া হলো। অথচ আমিনুল অনেক দিন ধরেই মাঠে নেই। দুইজন খেলোয়াড়কে দলে নেয়া হলো যাদের মোহামেডানের কোচ মারুফও প্রথম একাদশে রাখে না। মেনে নিলাম মারুফের চেয়ে ডিডোর ফুটবল জ্ঞান ভিন্ন দর্শনের। উন্নত বিশ্বের দল গুলোতে দেখা যায় ক্লাব ফুটবলে নিয়মিত না হলে জাতীয়দলের কোচ তাদের দলে রাখে না। এই কারণেই লিভারপুলের অনেক টাকার বেতন ফেলে শুধু বিশ্বকাপে খেলার আশায় রায়ান বাবেল অনেক কম বেতনে ডাচ লীগে খেলতে যেতে চাইছে। আল আমিন নামে একজন অনুর্ধ ১৯ দলের একজনকে ডিডো দলে রেখেছেন, এই ব্যাপারটা আমি ভালো হিসেবেই দেখি। এক/দুইজন জুনিয়রদের এভাবেই জাতীয় দলের সাথে রাখা উচিত।
আমার কাছে অবাক লাগে মাত্র দুইদিন আগে যেই মিডিয়া দল গঠনের প্রচন্ড সমালোচনা করেছে তারাই এখন বলছে কোচকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে না দেওয়াটা আমাদের দেশের রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে, ফুটবলের জন্য যা মোটেই ভালো নয়। যাই হোক ডিডো বিদায় হয়েছে। দুনিয়াজুড়েই কোচদের চাকরি যাচ্ছে। অটো ফিস্টারও আমাদের জন্য কিছু করতে পারেন নাই। তারমানে এই নয় যে সাফ সাফল্য এনে দেয়া কোটান কিংবা শামির শাকিরের চেয়ে ফিস্টার ভুয়া কোচ ছিলেন। কিন্তু অতীতের চেয়ে আমাদের এখনকার ফুটবল প্রশাসকরা মতের ভিন্নতা রেখে আগায়নি। আবাহনী মোহামেডান এর আড়ালে আওয়ামী লিগ কিংবা বিএনপি দ্বন্দের বাইরে থেকেই জাতীয় স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হচ্ছে। আপাততঃ কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক গোলরক্ষক ও বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সাহিদুর রহমান শান্টু।
গুডলাক শান্টু!!
কেন জানি মনে হচ্ছিল আপনি একটা পোস্ট দিবেন এইটা নিয়ে 😀
আমি ব্যপারটায় ভিন্নমত পোষণ করি ... ডিডো কোচ হিসাবে প্রচন্ড একগুঁয়ে সন্দেহ নাই, তার দল নির্বাচনেও হয়তো সমস্যা ছিল, কিন্তু সেই দলটা মাঠে পারফর্ম করার আগ পর্যন্ত সেটা কিভাবে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে? এই দলটা তো ভালোও করতে পারতো ...
ডিডো এই দলটা নিয়ে অনেকদিন ধরে কাজ করছিল, অন্তত একটা টুর্নামেণ্টে তার দলের পারফরম্যন্স দেখে তারপর তাকে বিদায় করা যেতো ...
বাফুফের যুক্তি দেখলাম, এই দল নাকি সব ম্যাচে হারতো ... এমন তো না যে সাফ ফুটবলে বাংলাদেশ আগে ডাব্বা মারে নাই? আমার ভুল না হয়ে থাকলে গতবারও গ্রুপ থেকেই বিদায় নিয়েছিল ... এইবার যেহেতু সবকিছুই অন্যভাবে করা হচ্ছিল তাই ডিডোকে আরেকটু সুযোগ দিলে খারাপ হত না ...
এখন শান্টুর হাতে আছে এক মাসেরও কম সময়, বত্রিশটা প্লেয়ার, যাদের মাঝে কোন টিম কেমিস্ট্রি নাই বরং একটা রেষারেষিই থাকবে [আমিনুল আর বিপ্লব অলরেডি ঝগড়া লেগে গেছে] ... সম্ভাবনা খুব বেশি এই টীমটাও ধরা খাবে, সব দোষ চাপানো হবে ডিডোর ঘাড়ে ...
আর আমাদের প্লেয়াররা শিখবে যে ঘাড় গুজে পরিশ্রম করার দরকার নাই, স্ট্রাইক করলেই কোচকে লাথি মেরে বের করে দেয়া হবে ...
একমত। কিন্তু বিকেএসপিতে ওরা স্ট্রাইক করার পরও এই কথা ভেবেই ডিডোকে রেখে দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু একগুয়েমি চরম আকার ধারণ করেছে। শুধু দল গঠন না সব কিছুতেই চরম বাড়াবাড়ি... এখন বাংলাদেশ এর আর্থিক সামর্থের তুলোনায় আমরা বেশী দামী কোচ নিয়ে ফেলেছিলাম। বেশী দামী কোচের অনেক বেশী ভালো ট্রেনিং ফ্যাসিলিটিস লাগে। যেখানে নিয়মিত লীগ হয় না, যেখানে ক্লাবগুলোর নিজস্ব মাঠ, জিম কিংবা ফিজিক্যাল ট্রেইনার নেই, যেখানে ক্লাবগুলোর কোনো প্রি-সিজন ট্রেনিং নাই, সেখানে এইসব দামী কোচ আসার সাথে সাথেই খালি ফিটনেস ফিটনেস করে। আর এতেই জয়, রজনী কিংবা বুড়ারা ধরা খায়। আমি মানি ফিটনেস ছাড়া আধুনিক টোটাল ফুটবল অচল কিন্তু শুধু এইসব জাতীয় দলের ২/৩ সপ্তাহের ক্যাম্পেই তো কারো ফিটনেস আসে না। তাই বলে কি অনুর্ধ ১৯ দলকে জাতীয় দলে নিয়ে নেয়া উচিত।
আমাদের জন্য এই মুহুর্তে সাফল্য মানে হচ্ছে সাফ এ ভালো করা... যদিও এর আগেও সাফ এ গোল্ড জেতায় আমাদের ফুটবল অনেক এগিয়েছে তা বলা যাবে না, কিন্তু দেশের মাটিতে এখন একটা গিমিক দরকার...তাই দেশের মাটিতে যদি গোল্ড জেতা যায় তাহলে ফুটবল জোয়ার কাজে লাগানো যাবে তাই হয়তো সালাহউদ্দিনরা ভাবছে।
আমার মতে ডিডো কিংবা শান্টু কেউই এই মুহুর্তে সাফের গোল্ডের নিশ্চয়তা দেবার মত দল দিতে পারবে না। কারণ মালদ্বীপ, শ্রীলংকা কিংবা ইন্ডিয়া অনেক এগিয়ে গেছে।
তারপরও টিম কেমিস্ট্রি একেবারেই নাই তা বলা যাবে না, কারণ এই দল্টাকেই গত এক বছর একসাথে ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। বিকেএসপির ঘটনার পর কিছু খেলোয়াড় ভেবেছিলো ডিডোর চামচামী ছাড়া টিমে থাকা অসম্ভব... ডিডো ছাড়া কেউই আনটাচেবল না... তাই আমিনুল আর বিপ্লবের ঘটনার সূত্রপাত। আর ঐ ঘটনাতেই দলে বিভক্তি শুরু হয়েছিলো।
বাই দ্য ওয়ে, রিয়েল মাদ্রিদের ঐতিহাসিক বাঁশ খাওয়া নিয়ে আপনার অনুভূতি কি? 😀 [কষ্ট পাবেন তাই লিভারপুলের কথা জিগাইলাম না 😛 ]
রিয়াল বাঁশ খেলে সবসময়ই খুব মজা লাগে। তারপরও ভেবেছিলাম পেলেগ্রিনি, আলোন্সো আর ডিফেন্সটা ঠিক করায় এইবার ওরা ভালো ফাইট দিবে। তাও রিয়ালকে Ruled Out করার টাইম এখনো আসে নাই। বার্সার কেইটারে আমি ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ভেবেছিলাম, এখন দেখি ঐ ব্যাটা খালি গোল দেয়।
এই বছররের ট্রান্সফার উইন্ডো শেষ হাবার সাথে সাথেই আমার কাছের মানুষজনরে বলেছিলাম, বেনিটেজের টাইম শেষ। বেনিটেজের ডিডোগিরির জন্যই আলোন্সো কিংবা মাইকেল আওয়েন টিমে নাই। আলোন্সো কে রিপ্লেস করার মত একমাত্র খেলোয়াড় এসিয়েন যে লিভারপুলে আসবে না। আর রবি ফাওলারকে যদি ব্যাকআপ প্লেয়ার হিসেবে নেয়া যায় তাহলে কেনো আওয়েন না। বেনিটেজ আসার পরই সাফল্যের আসায় আওয়েন ট্রান্সফার রিকোয়েস্ট দিয়েছিলো, আর গত বছর ইন্টার মিলান এর সাথে এওয়ে ম্যাচে নিজের বাচ্চার জন্মের সময় আলোন্সো মিলান যায়নি।
কিন্তু ট্যাক্টিক্যালি ভালো হলেও শুধু ঘাউরামীর জন্য বেনিটেজরে বিদায় করা উচিত। ট্রান্সফার মার্কেটে ডসেনার মত প্লেয়ার না কিনে রিইসারে রেখে দেয়া উচিত ছিলো। কিন্তু বেনিটেজ তখন রিক পেরীরে বিদায় করার রাজনীতিতে ব্যস্ত ছিলো। x-( ডিডোও মনে হয় বাদল রায়কে বাদ দিতে গিয়ে নিজে বাদ হয়ে গেলো। 😕
ডিজিট্যাল সময়ে এখন খেলা দেখা ভীষন কষ্ট। ইউরোপে শীতকালীন সময় শুরু হলেও আমরা আগের মতই আছি। ৭ ঘন্টা ব্যাবধান। মিড উইকের খেলাগুলো ভীষন ঝামেলা করে। জানুয়ারীর ট্রান্সফার উইন্ডো শেষ হবার আগেই আমার ফেরত যাইতে হবে, ততদিনে মনে হয় লিভারপুলের টপ ফোর ফিনিশের স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে 🙁
:))
ফুটবলের কর্তাব্যক্তিদের মানসিকতা না বদলালে স্বয়ং ঈশ্বরও বাংলাদেশের কোচ হিসেবে স্বাভাবিক ভাবে বিদায় নিতে পারবেন না!
শান্টু এর আগেও কোচ ছিলেন, দল রেখে তিনি আমেরিকায় পাড়ি জমিয়ে ছিলেন! জার্মান, আর্জেন্টাইন, ব্রাজিলিয়ান সবদেশের কোচই ট্রাই করা হয়েছে। এবার মঙ্গল গ্রহ থেকে কোচ আনতে হবে
:)) :))
:)) :))
:)) :)) :))
একটা ভুলের মাসুলের জন্য আরেকটা ভুল করে ফেললো বাফুফে, বুঝতে পারছিনা ব্যাপারটা সঠিক হল কিনা। 🙁
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আমার মনে হয় এবার দল খারাপ করলেও ডিডোকে বাদ দেয়া নিয়ে কোন কথা উঠবেনা। বরং ডিডো'র কারণেই দলের এই হাল আমাদের বেনিয়া কর্মকর্তারা সেটিও প্রতিষ্ঠা করে ফেলবেন। সালাউদ্দীনের জন্য কষ্টই লাগছে। বেচারা আর কত চেষ্টা করবেন! একা একা ২১ জনের ভেতরে ১৭ জনেরই মতের বিরুদ্ধে কীভাবেই বা যাবেন। রজনী বর্মন কিংবা বিপ্লবদের মত নন কমিটেড তথাকথিত স্টার প্লেয়ারদের ভার সহ্য করতে পারলোনা কেউ। ডিডো কতটুকু কি করতে পারতেন এটা হয়তো সময়ে টের পাওয়া যেতো, কিন্তু আমার কাছে সে সবসময়ই আমাদের ফুটবলের ইতিহাসে সবচে সাহসী এবং কমিটেড কোচ হিসেবেই থাকবেন এ পর্যন্ত যারা আসছেন তাদের মধ্যে।
আজকে প্র আ তে ডিডোর মন্তব্যটা পড়ে এত্ত খারাপ লাগলো! 🙁
"এদেশে ফুটবলের কথা কেউ ভাবেনা, কেউনা..."
এহসান ভাই, ধন্যবাদ পোস্ট টার জন্য, তবে শুধু 'ডিডো থ্যাঙ্কিউ' না, আমার বলতে ইচ্ছে হচ্ছে, ডিডো, উই আর স্যরি।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
:thumbup:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
'দল গঠনে কোচের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত' এটা মেনেই তো পৃথিবীর সব জায়গায় ফুটবল কোচ নিয়োগ দেয়া হয়। সেটা একগুয়েমি হোক আর বাড়াবাড়ি। ভালো প্লেয়ার নিয়ে দল গঠন করলেই তো আর টিম চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায় না। ভূয়া কোচের হাতে পরলে অনেক প্রতিভাবান দলেরও শেষ পর্যন্ত কী পরিনতি হয় সেটা আর্জেন্টিনাকে দেখেই বুঝা যায়। 😛
দেশের প্রেসিডেন্ট অনুরোধ করার পরও একজন প্লেয়ারকে কোচ দলে নেননি, এমন উদাহরনও তো আছে। এবং সেটা সবাই মেনেও নিয়েছিল। শুধু আমাদের দেশে আমরা মানতে পারিনা।
ডিডো'র একগুয়েমি ছিল। কিন্তু সেটা আমাদের ফুটবলকে যতটা না ক্ষতি করতো তারচেয়ে বেশি ক্ষতি করলো 'বাফুফে ব্যাবস্থাপনা কমিটি'র এই ফাইজলামি। অপেশাদারিত্বের কারনে কোচের ক্ষমতায়ন দেখে আমরা অভ্যস্ত নই। ফলে কর্মকর্তাদের চেয়ে কোচ যখন বেশি ক্ষমতাবান হয়ে যান তখন 'ফুটবল বাঁচানো'র অজুহাত দিয়ে তাকে বিদায় করে দেয়া ছাড়া আমরা আর কিছু করতে পারি না।
যেসব প্লেয়ারদের নিয়ে এই ঝামেলাটা হলো, তারা কেউই ধোয়া তুলসীপাতা না। বিশৃঙ্খলতার অভিযোগ আছে, কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজোশ করে দলের মধ্যে গ্রুপিং তৈরী করার চেষ্টা করেছেন অনেকে। শুধু ভালো খেলোয়াড় বলে সব মাফ করে দিতে হবে? কোন নিশ্চয়তা আছে এরাই দলকে জেতাবে?
ফুটবলের কর্তাব্যক্তিদের এইরকম বোকাচুদামি'র জন্যে মিডিয়াও কিছুটা দায়ী। গতকালের টিভি/পত্রিকা দেখেন, দল নিয়ে সবার হা-হুতাশ, ডিডোরে গালাগালি। ফলে বাফুফের লোকজন পড়ছে প্রেশারে। তাড়াতাড়ি ডিডোরে বাদ দিয়া হাফ ছাইড়া বাঁচছে। অথচ সেই পত্রিকাগুলাই আজকে আবার সবাই ডিডোর জন্যে মায়াকান্না করতেছে। আজব!
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
কামরুল ভাইয়ের কমেন্টে উত্তম ঝাঝা! ডিডোর লাস্ট কথাটা আমারো খারাপ লাগছে-"আমি নিজের জন্য চিন্তা করিনা-প্রফেশনাল কোচচের ক্ষেত্রে এমন পরিনতি হতেই পারে।আমার দুঃখ বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য!"
একটা জিনিষ এতে করে আরো খোলাসা হল।আমাদের দেশে এমনও কিছু খেলোয়াড় আছে,যাদের বাদ দিয়ে দলই গঠন করা যাবে না।যারা করবে,তাদেরও ডিডোর মতই বরখাস্ত করা হবে। 😐
আসলেই আজব!!!
সব বাদ্দিয়া আসেন আমরা সবাই মিডিয়ারে গালি। একসংগে শ্লোগান দেই
"হালার পুত মিডিয়া, কেমনে নাচতে হয় তাও শিখস নাই"
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
মিডিয়ারে গালি দেই হইবো 😛
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ইউরোপের কোন কোচ এই আটজনকে দলে রাখবে? এটা তো গুরুতর অপরাধ, তাই না?
আমার কাছে এটা খুবই স্বাভাবিক মনে হয়েছে।
আমি কিন্তু টিম দেখে খুব খুশি হইছিলাম, কিন্তু রাতে এই নিউজ শুনে মেজাজ গেল খারাপ হয়ে।
শুনছি, কিছু ক্লাবের কোচ ছিল যারা বলছে দরকার হলে ডিডোর বেতনের টাকা ওরা পকেট থেকে দিবে, তবুও যেন ডিডোকে তাড়ানো হয়। অনেকদিন পর একটা পরিবর্তনের স্বপ্ণ দেখছিলাম, কিনতু আসলেই “এদেশে ফুটবলের কথা কেউ ভাবেনা, কেউনা…”
এর জন্য দায়ী কিন্তু ওই আখের গোছাতে সদাব্যস্ত তথাকথিত 'ক্রীড়া সংগঠক' রাই। সদিচ্ছা থাকলে এই দেশে ফুটবলের চেহারা বদলে দেয়া যায়। কিন্তু এরা কাজ করার থেকে বিদেশে ট্যুর দিতে বেশি আগ্রহী।
আজ প্রথম আলোতে দেখলাম সালাহউদ্দীন ক্যামুন জানি কইছে ডিডো'কে বাদ দেওয়া নিয়ে...
আমাদের ফুটবলের আসলেই মনে হয় কোন ভবিষ্যত নেই।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx