১। এই পোস্টে আমি কথা বলেছি অ্যাথেইজম নিয়ে, বিজ্ঞান, অ্যাকাডেমিয়া ও মানব-সভ্যতা নিয়ে। নিজের অন্ধ-বিশ্বাস দূ্র্বল হয়ে যাওয়ার ভয়ে বক্তব্য না শোনার জন্য কানে আংগুল চেপে থাকা যদি কারও কাছে মনে হয় একটি ফ্যান্টাস্টিক সলিউশন তার এই পোস্ট এড়িয়ে যাওয়াই উচিত।
****************************
২। মনে করুন একজন আগন্তুক আপনাকেকে এসে বললো যে তার বাসার পেছনের বাগানে বসবাস করছে সুপারম্যান- এটা আশা করা কি মোটেও উচ্চাশা হবে যে আপনি ঐ আগন্তুকের কথা অবিশ্বাসই করবেন? কিংবা আগন্তুক যদি তার সমস্ত আত্নবিশ্বাস নিয়ে আপনাকে বলে যে, সে সুপারম্যানকে নিজের চোখে দেখেছে এবং তার সাথে ঐ সুপারম্যানের একটি ব্যক্তিগত সম্পর্কও আছে, সুপারম্যানের অস্তিত্বের স্বপক্ষে কি নতুন কোন প্রমান এটা যোগ করবে আপনার কাছে? অথবা ভাবুন, চোখে পানি নিয়ে ঐ আগন্তুক আপনাকে অনুনয় করলো সুপারম্যানের অস্তিত্ব স্বীকার করে নিতে, আপনি কি তাই করবেন, এটাই কি আপনার মাথায় প্রথমে আসবে না যে চোখের পানি, প্লেয়িং দ্যা ভিক্টিম ও অন্যান্য অ্যাপিল টু ইমোশনই হচ্ছে একটা মিথ্যা কথা বিক্রী করার সবচেয়ে জনপ্রিয় কৌশল? এবার ভাবুন খানিকটা হিংস্র ডেসপারেশন নিয়ে আগন্তুক বললো যদি আপনি ঐ সুপারম্যানের কথা বিশ্বাস না করেন তবে সুপারম্যান আপনাকে কঠিন শাস্তি দিতে যাচ্ছে, এটা কি ঐ সুপারম্যানকে মোটেও বেশী বিশ্বাসযোগ্য করে তুলবে আপনার কাছে? এবার ভাবুন, এক মিলিয়ন মানুষ এসে আপনাকে বললো ঐ সুপারম্যানের কথা, আপনাকে বললো যে তারা সবাই ওই সুপারম্যানকে নিজের চোখে দেখেছে, তারা এটাও নিশ্চিত করলো যে সুপারম্যানের ক্ষমতাও রয়েছে যে তার অস্তিত্ব অস্বীকারকারী যে কাউকে সুপারম্যান কঠিন শাস্তি দিতে পারে তাহলেও কি আপনি সুপারম্যানের অস্তিত্ব স্বীকার করে নেবেন না? যদি আপনার উত্তর হয় “না” তবে আমি বলবো আপনি ভুল বলছেন। সংখ্যা মানবমনে সবসময়ই প্রভাব বিস্তার করে আসছে। এটা সম্ভবত আমাদের বিবর্তনের ইতিহাসেই যুক্ত যে, সংখ্যা দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে যেইসব সদস্যরা সমাজ ছেড়ে গিয়েছে ম্যামালিয়ান বায়োলজির একটি অন্যতম সীমাবদ্ধতা সমাজের কোঅপারেশন ছাড়া এই কঠিন পৃথিবীতে বাঁচা অসম্ভব- তাদের ঠেলে নিয়েছে মৃত্যুর মুখে; এভাবে একাকীত্বের জিন ভবিষ্যত প্রজন্ম আর ইনহেরিট করেনি। সংখ্যা দ্বারা আমরা শুধু প্রভাবিতই না, সংখ্যা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমরা যাচাই না করেই চোখ বন্ধ করে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি, কেননা এটা কল্পনা করা খুবই কঠিন যে এক বিলিয়ন মিথ্যাবাদী একই মিথ্যা কথা বলছে।
৩। এবার ভাবুন আপনাকে যদি আপনার জন্মের সময় থেকেই বলা হয়ে আসতো ঐ সুপারম্যানের সম্পর্কে, কি করতেন আপনি? শিশুরা মনস্তাত্বিকভাবেই প্রস্তুত যে কোন কিছু বিশ্বাস করতে। এটাও আমরা বলতে পারি ইভোলিউশনারিলি প্রিজার্ভড। কেননা, শিশুরা বাব-মায়ের কাছ থেকে লাভ করে তাদের পরবর্তী জীবন বেঁচে থাকার জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ। সে খেতে শেখে, শিকার করতে শেখে, কোন কোন অবস্থায় গেলে সে মারা পড়বে তা শেখে। শিশুরা সবচেয়ে বেশী প্রিডেশনের শিকার। এমতাবস্থায়, কোন শিশু যদি অভিভাবকের এই নির্দেশ “একা হবেনা কখনও” আমান্য করে স্কেপ্টিক হতে চায় সে প্রিডেটরের পেটে যাবে এবং ন্যাচারাল সিলেকশন কর্তৃক নেগেটিভ সেলেকশনের শিকার হবে; স্কেপটিসিজমের জিন প্রজেনি আর ইনহেরিট করবে না। আমরা সুপারম্যানে বিশ্বাস করি প্রথমত কেননা আমরা দেখি আরও মিলিয়ন লোককে যারা সুপারম্যানের সত্যতা নিশ্চিত করছে; দ্বিতীয়ত, আমরা শিশুকাল থেকেই সুপারম্যানের কথা শুনে আসছি। এমতাবস্থায় সুপারম্যানবাদ আরও দৃঢ় হবে যদি সুপারম্যানবাদীরা এটা দাবী করতে পারে যে- সুপারম্যানই এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন, সুপারম্যান সমস্ত ক্ষমতাধর, সর্বজ্ঞ, দয়াশীল ও সবকিছুর বিচারক, সুপারম্যানের কথা শুধু তারাই শুনতে পায় যারা সুপারম্যানে বিশ্বাস করে- এভাবে সুপারম্যানের নিশ্চুপতাও সুপারম্যানবাদীদের স্বপক্ষেই একটি প্রমান হয়ে দাঁড়াবে, দাবীকৃত সুপারম্যান অদৃশ্য যাকে কোনভাবেই দেখা বা ছোঁয়া যাবে না- এভাবে সুপারম্যানের স্বপক্ষে কেউ প্রমান চাইতে আসলে তার এই চাওয়া হেসেই উড়িয়ে দেওয়া যাবে, যদিও সমস্ত মহাবিশ্বই সুপারম্যানের সৃষ্টির এক বিশাল নিদর্শন। স্বাভাবিকভাবেই খুবই স্বল্প সময়ে সুপারম্যানবাদ হয়ে দাড়াবে একটি পরিপূ্র্ণ জীবন-ব্যাবস্থা, একটি বিচার করার আইন, একটি রাজনৈতিক স্ট্র্যাটেজি, একটি অর্থনৈতিক ব্যাবস্থা, নারীদের সম্ভ্রম রক্ষার একটি উপায়, একটি বেহেস্তে যাওয়ার চাবিকাঠি, সর্বোপরি একটি ধর্ম।
৪। একটি ব্যাপার আমাকে পরিস্কার করতে দিন। আমি জানি সিসিবিতে ধর্মপ্রচার নিষিদ্ধ। আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠতেই পারে যে আমি এই নিতীমালা ভাঙ্গছি; যেখানে ধার্মিকদের খুবই স্বাভাবিক একটা সাইকোলজি হচ্ছে নিজেদের রসাতলে ভ্রান্তমতের যেকোন বিরুদ্ধাচারীকে টেনে নামানো; তাদের খুবই প্রিয় একটা ক্লেইম “অ্যাথেইজমও একটি ধর্ম।” আসলেই কি তাই? একটি গুনগত বস্তুর নামকরণ সবসময়ই হয় কি ক্রিটিকাল প্রপার্টি তার দখলে আছে তার উপর ভিত্তি করে, কি ক্রিটিকাল প্রপার্টি তার দখলে নেই তার উপর ভিত্তি করে নয় কখনও। থেইস্ট মানে ব্যক্তি যিনি ধর্ম মানেন, গার্ডেনার মানে ব্যক্তি যিনি বাগান করেন, ক্রিকেটার মানে ব্যক্তি যিনি ক্রিকেট খেলেন। এমতাবস্থায় অ্যাথেইস্ট, অ্যাগার্ডেনার, অ্যাক্রিকেটার শব্দগুলো ক্যাটেগরিক্যালি রিডান্ডেন্ট। অ্যাথেইজম একটি ধর্ম হলে বাগান না করাও একটি শখ, ক্রিকেট না খেলাও একটি ক্রীড়া, কোকেইন সেবন না করাও একটি নেশা। উপরন্তু, পৃথিবীতে ধর্মের সংখ্যা অসংখ্য; কিন্তু, কোন ধর্মই বলে না ঈশ্বরের খোঁজ করতে। সব ধর্ম বরং বলে একটি স্পেসিফিক ঈশ্বরের কথা। এমতাবস্থায়, একজন হিন্দুর কাছে একজন মুসলমান ও অ্যাথেইস্টের স্ট্যাটাস একই। একইভাবে একজন মুসলমানের কাছে একজন হিন্দু ও একজন অ্যাথেইস্টের স্ট্যাটাস একই; এই আমানুষিক ধর্মটি বরং এর অপর দুই জ্ঞাতীভাই জুডেও-ক্রিশ্চিয়ান ধর্ম জুডেইজম ও ক্রিশ্চিয়ানিটির মতই ইনফেডেলদের প্রতি বিষোদগারে আরও এককাঠি বেশী ভোকাল এবং বেশী সরেস। একটি মজার ব্যাপার লক্ষ্য করুন, যদি ধরি একটি কাল্পনিক ধর্মের পুলে ১০০টি ধর্ম আছে তবে, ঐ মুসলিমিস্টও কিন্তু ৯৯টির কাছে ইনফেডাল, তাই না? কিন্তু, মসলিমটির ধারণা তারটি অন্য ৯৯গুলোর চেয়ে বেশী ভালো কেন? কারণ, সে বিশ্বাস করে। এখন ঐ বাকী ৯৯টি মিলে যদি তারটাকে দেয় ডলা তখন সে কিন্তু আবার অসহিষ্ণুতা, রেইসিজম বলে চেঁচাতে একটুও দেরী করবে না। এমতাবস্থায় এটা যদি কারো ক্লেইম হয় যে ,আমি ধর্মের কথা বলছি- তবে আমার উত্তর হবে না, আমি ধর্মহীনতার কথা বলছি, বলছি ধর্ম আমাদের সভ্যতার কি কি ক্ষতি করতে পারে, আমি বলছি এ থেকে আমাদের সভ্যতার বাঁচার উপায় কি। এমনকি আমি চাইও না যে সবাই ধর্মহীন হয়ে যাক; কে ধর্মহীন হচ্ছে না হচ্ছে রিগার্ডলেস আমার প্রত্যাশা একটি সমাজ যেখানে মানুষের রয়েছে সেন্স অফ জাস্টিফিকেইশন, যেখানে আষাঢ়ে বুজরুকী কোন ক্লেইম বিনা প্রশ্নে কেউ মেনে নিচ্ছে না, যেখানে একটি অন্ধবিশ্বাস একজন ইন্ডিভিজ্যুয়লকে দিয়ে সমাজের কোন ক্ষতি করিয়ে নিচ্ছে না। আমি এমন একটি দেশে থাকি যেখানকার ৭০% মানুষই ধর্মহীন। তাদের মধ্যে বেশীরভাগই ধর্মহীন পারিবারিকভাবে, কেননা তাদের বাবা-মা ধর্মহীন; একইভাবে বাংলাদেশে যেমন একজন ব্যক্তি পারিবারিকভাবে ধার্মিক। এরকম অনেক বিবেকবঞ্চিত পারিবারিক ধর্মহীন আমি এখানে দেখেছি যারা কিনা একজন ধার্মিক থেকেও সমাজের জন্য বেশী ক্ষতিকর হতে পারে।
৫। কি ক্ষতি ধর্ম করতে পারে? তা দেখার আগে চলুন আমরা একবার ভাবি এইচ আই ভি প্রোটিয়েসের কথা।ইউরোপীয় ককেসীয় জনগোষ্টির জিনপুলে একটি পলিমরফিজম আছে যাকে বলা হয় সিসিআর ডেলটা ৩২ যেটা একটি ৩২ বেইসপেয়ার ডিলিশন মিউটেশন। একটি বেনিফিশিয়াল বা নিউট্রাল মিউটেশন অ্যালিল ফিক্সেশনের মাধ্যমে একটি পপুলেশনে ফিক্স হলে তাকে বলা হয় পলিমরফিজম যেটা কিনা একটি ওয়াইল্ড টাইপ অ্যালিলের মিউটেন্ট। এই পলিমরফিজমটি এই পপুলেশনকে দেয় বিউবনিক প্লেগ থেকে অন্যান্য পপুলেশনের তুলনায় অনেক বেশী সুরক্ষা। বারোশত শতকে ব্ল্যাকডেথ মহামারীতে ইউরোপের ৫০% জনসংখ্যা মারা গেলে বেঁচে থাকা লোকজনের মধ্যে এই পলিমরফিজমটি প্রথম শুরু হয়। বর্তমানে এপিডেমিওলজিস্টদের মতামত এইচএইচভি সাব-সাহারান আফ্রিকার পপুলেশনে একই ঘটনা ঘটাতে যাচ্ছে যা নির্মুল করবে বেশীরভাগ জনসংখ্যাই মাত্র অল্প কয়েকজন একটি বেনিফিশিয়াল মিউটেশন নিয়ে বেঁচে থাকবে যারা কিনা ঐ মিউটেশন পপুলেশনে পলিমর্ফিজম হিসেবে ফিক্স করবে। অসংখ্য মানুষের অকাল মৃত্যু দাবী করবে এটা। এটা রোধ করার জন্য আমরা কি করতে পারি? এইচ আই ভি প্রোটিয়েস, এই একটি এনজাইম ইনহিবিট করে আমরা বাঁচাতে পারি মিলিয়নোর্ধ্বো জীবন। এই একটি এনজাইম ইনহিবিট করার জন্য পৃথিবীময় খেটে যাচ্ছে রসায়নের সব বাঘ-সিংহরা। বর্তমান রসায়নের দুনিয়ায় এইচ আই ভি প্রোটিয়েজ সবচেয়ে আলোচিত বিষয়বস্তু। এইচ আই ভি প্রোটিয়েস ইনহিবিট করা কঠিন, কেননা এইচ আই ভি একটি আর এন এ রেট্রোভাইরাস। এবং আর এন এ পলিমারেসের এরর রেইট প্রতি দশ হাজার নিউক্লিওটাইডে একটি নিওক্লিওটাইড। এইচ আই ভি খুবই দ্রুত এবং কার্যকরীভাবে মিউটেট করে। এর বিপরীতে প্রাকৃতিক সমাধান হচ্ছে বের করা কি কি মিউটেশন পজিটিভ সিলেকশনের শিকার হচ্ছে এবং সেই মিউটেন্টগুলোর প্রত্যেকটির জন্য একটি ইনহিবিটর ডিজাইন করা এবং রোগীকে দেওয়া একসাথে অনেকগুলো ইনহিবিটর যাতে একটি ব্যার্থ হলে অপরটি কাজ করতে পারে কোন সাইড-ইফেক্ট ছাড়া। আর এটার আধ্যাতিক সমাধান কি? কিছুই না? নাকি এটা যে আমরা অনুমান করে নেব এইডসে মরাই রোগীর নিয়তি, এর বিপরীতে আল্লা তাকে বেহেস্ত দিবেন, বা এইডস আল্লা কর্তৃক পাঠানো একটি গজব, শুধু খারাপ লোকদেরই এইডস হয়ে থাকে বা যার এইডস তার জন্য আমরা দোয়া করবো? যাই হোক না কেন, এই অলস কল্পনাবিলাসগুলো আমাদের কতটা কাছাকাছি নিয়ে যাচ্ছে এইচ আই ভি প্রোটিয়েস ইনহিবিট করার দিকে? এবং কি কল্পনাবিলাসে আমরা মাতছি যেখানে কিনা অসংখ্য মানুষ মারা যাচ্ছে অবর্ণনীয় যন্ত্রনায়? আমাদের self gratificational fantasy এর কাছেই এই প্রাণগুলো কি বলি হয়ে যাচ্ছে না? হ্যা যাচ্ছে। কিভাবে?
৬। দিনে ৫ বার নামায পড়ার পেছনে যদি কেই ছয় মিনিট করে করে আধাঘন্টা সময়ও দেয় এবং পৃথিবীময় এমন এক মিলিয়ন নামাযী থাকে তাহলে সেটা হয় পাঁচশো হাজার ম্যানআওয়ার প্রতিদিন। এর মধ্যে আমরা ১%ও এমনকি যদি ইফেক্টিভ ধরি সেটা পাঁচ হাজার ম্যান আওয়ার। পাঁচ হাজার ম্যানআওয়ারে অসাধ্য সাধন করা যায় যদি কিনা তা কোন কার্যকরী কোনকিছুতে নিয়োযিত হয়। প্রতিদিন এই নূন্যতম পাঁচ হাজার ম্যানআওয়ার আমাদের অপচয়িত হচ্ছে!!! ভাবুন, প্রতিদিন এই পাঁচ হাজার ম্যানআওয়ারের ১% বা ৫০ ম্যানআওয়ারও যদি ব্যয় হতো এইচ আই ভি প্রোটিয়েজ ইনহিবিশন গবেষণায় তাহলে কতগুলো জীবন বাঁচতো। হিমোগ্লোবিন ও এইচ আই ভি প্রোটিয়েসের সাথে প্রোটিওপিডিয়ায় সবচেয়ে বেশীবার ভিউড প্রোটিনগুলোর একটি হচ্ছে ল্যাক রিপ্রেসর। এটি ব্যাকটেরিয়ার একটি প্রোটিন যা একটি ট্রান্সকিপশন সাপ্রেসর। এটা ল্যাক অপেরন জিনগুচ্ছের সাথে বন্ধন স্থাপন করে ল্যাক্টোজ মেটাবলিজমের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইমের উৎপাদন রোধ করে যতক্ষণ না পরিবেশে ল্যাক্টোজ নেই। এভাবে শক্তির অপচয় রোধ করে ব্যাকটেরিয়া। যখনই ল্যাক্টোজ পরিবেশে প্রতুল হয় তখন ক্যাক্টোজ ল্যাক রিপ্রেসরকে ইনহিবিট করে ফলে ল্যাক অপেরন মুক্ত হয়ে যায় এবং ব্যাকটেরিয়া এনজাইম উৎপাদনের মাধ্যমে ল্যাক্টোজ মেটাবলিজম শুরু করে। ভাবুন ব্যাকটেরিয়ার মত একটা ছোট সিস্টেমকেও এনার্জি এফিসিয়েন্ট হতে হয়। আর ম্যানআওয়ার যেটা কিনা আমাদের সভ্যতার চালিকাশক্তি তা যদি ধর্মের কারণে এভাবে অপচয়িত হতে থাকে তবে এই কনসেনসাসে সম্ভবত আমরা পৌছতে পারি যে ধর্ম সভ্যতার একটি গভীর গভীর ক্ষত, একটি জটিল রোগ। য়ামি জানি ধর্মই শুধু একমাত্র কুলাঙ্গার না যেটা আমাদের ম্যানআওয়ারের অপচয় ঘটাচ্ছে।
৭। ধর্মের আরেকটি বড় সমস্যা নীতিগত। এটা মানুষের নীতিবোধ ধুলিস্মাত করে দেয়। সমাজের সুষ্ঠ পরিচালনার জন্য এই নীতিবোধ খুবই দরকারী। এটা একটি স্বাভাবিকভাবে নিউট্রাল ব্যক্তির কাছ থেকেও জঘন্য খারাপ কাজ আদায় করে নেয়। মানে, সিরিয়াসলি আমি বলছি আপনার কি মনে হয় কোনভাবেই এটা একটি সুস্থ্য নীতিবোধের পরিচায়ক যেখানে একজন ব্যক্তি এটাকে নীতির সাথে কনসিস্টেন্ট মনে করছে যে- পিতা পুত্রের গলায় ছুড়ি চালাতে পারে কারণ পিতা নবী (ইব্রাহীম)? একটা লোক কেবল নবী বলে তিনহাজার মানুষ মেরে ফেলতে পারে এই অপরাধে যে তারা ওই নবীর পছন্দের ঈশ্বরকে পূজা করেনি (মুসা)? একজন ইচ্ছা হলেই নয় বছরের একটা শিশুর সাথে যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হতে পারে কারণ সে নবী (হযরত)? যেমন খুশী তেমন করাতে কিন্তু আল্লা নিজেও মোটেও পিছিয়ে নেই। নুহের সময় কথা নেই বার্তা নেই হঠাৎ পৃথিবীর মানুষজন খুব খারাপ হয়ে গেল। গরু-ছাগল, গাছ-পালা এমনকি মাইক্রোঅর্গানিজম যেমন অ্যামোইবিজোয়া, প্রোটোজোয়া, প্রোক্যারিয়ট, আর্কিয়া সব্বাই এত্তো খারাপ হয়ে গেল যে বলার বাইরে। আল্লার তো মাথা খারাপ “আরে! একি!” তো আল্লা ভাবলেন কি করা যায় এবং বলাই বাহুল্য একটা ফ্যান্টাস্টিক সলিউশন তিনি নিয়ে আসলেন। সেটা কি? “সবগুলারে মাইরা ফেলবো, দ্যেয়্যর উই গ্যো, ফ্লাড।” তো, চমৎকার! এটা কিন্তু প্রমান করে আল্লা সুবিচারকারী এবং এটা আল্লার বুদ্ধিমত্তার স্বপক্ষেও একটি শক্তিশালী প্রমান বটে। আল্লার আরও কিছু যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত রয়েছে। আল্লা দেখলেন পুরুষগুলাকে নিয়ে আর পারা যাচ্ছে না, তাদের হাত থেকে এবং দৃষ্টি থেকে নারীদের সম্ভ্রম রক্ষা করা তার অন্যতম দায়িত্ব হয়ে দাড়ালো। তো তিনি করলেন কি? তিনি আরও একটি যুগান্তকারী সলিউশন নিয়ে আসলেন- বোরকা। নারীদেরকে বললেন- “there we go. একটু গরম লাগবে তবে সম্ভ্রম রক্ষা পাবে। hard work pays off right?” আর পুরুষদের চোখ মটকে বললেন “দেখি তোরা লাম্পট্য এবার কি করে করিস।” তো…………………চমৎকার?
৮। মুসলমান হিসেবে সাম্প্রতিক কালে আমরা একটি বদভ্যাস রপ্ত করেছি। সেটা হলো বোমা ফুটানো, কেননা বোমা ফুটিয়ে সরাসরি বেহেস্তে যাওয়া যায়। আমি অবাক হয়েছিলাম জেনে যে গ্লাসগো এয়ারপোর্টে যেই পরহেযগারটি বোমা ফুটোতে গিয়ে ভুলক্রমে বেহেস্তে যাওয়ার পরিবর্তে হাজতে চলে যায় সে ছিলো একজন ভারতীয় ডক্টর। আমি ভাবছিলাম শিক্ষিত ছেলে কেন বোমা ফুটাবে? আমার প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ ছিলো প্রবাসীদের মধ্যে অনেকেই উন্নত বিশ্বে এসে বেশী ধার্মিক হয়ে যায়। এবং এই হঠাৎ ধার্মিক হয়ে যাওয়াদের বেশীরভাগই বুদ্ধিসম্পন্ন- মগজহীন নয় একেবারেই। আমার পরিচিত গন্ডীর ভেতরেই আমি পর্যবেক্ষণ শুরু করলাম। আমি দেখলাম যে, এদের আরও একটি প্রবনতা থাকে, তা হলো যে দেশে সে থাকে সেই দেশকে ভালো না বাসা। একটি দেশে আমি মনে করি কেউ দুই বছরের উর্ধ্বে থাকলে সেই দেশ তার দ্বিতীয় মাতৃভূমি হয়ে ওঠাই স্বাভাবিক। একটা উল্লেখযোগ্য অংশ প্রবাসীকে দেখলাম যাদের বেলায় এইটা হচ্ছে না, বসবাসরত দেশের মাটির প্রতি কোন কৃতজ্ঞতাবোধই এদের নেই এবং ইন্টারেস্টিংলি এই গ্রুপের মোটামুটি ব্রাইটরা সবাই ই ঐ নব্য হুজুর পার্টিতেও রয়েছে। বসবাসরত দেশকে ভালোবাসে না এটা আমার মনে হয়েছে এটা দেখে যে এরা অবসরের বেশীরভাগ সময়ই ফোনে বাংলাদেশে কাটায়, কিংবা বাংলাদেশী বন্ধুদের সাথে কাটায়। সে দেশ সম্পর্কে বিষোদগার করে যেই বিষোদগার কনস্ট্রাক্টিভ নয় মোটেও এবং ক্লাসে যাওয়া, কাজে যাওয়া ছাড়া ঘরের বাইরে অন্য কোনধরণের কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করে না, সে দেশের সংবাদপত্র পড়তে আগ্রহ দেখায় না, টিভিশোগুলো নিয়ে উচ্ছাস দেখায় না, সে দেশীয় সঙ্গীত নিয়ে উচ্চাস দেখায় না যদিও অল্প কিছু ক্ষেত্রে খেলাধুলা নিয়ে কিছুটা উচ্ছাস দেখায়, সে দেশের রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামায় না, সে দেশের ইতিহাস সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান রাখে না, সে দেশের ফ্যাশন গ্রহন করে না বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই, সে দেশীয় খাবার সম্পর্কে উচ্ছাস দেখায় না এমনকি খাবারের নামও জানে না অনেক ক্ষেত্রে, সর্বদাই বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য ন্যাগ ন্যাগ করে ইত্যাদি। এটা সম্ভবত কনফার্ম করে বসবাসরত দেশের প্রতি মমত্ববোধের অভাব বা সে দেশের সাথে ইনভলবেন্সের অভাব। কিন্তু কেন? এটা বের করতে আমার খুব বেশী কাঠখড় পোড়াতে হয় নি। উত্তর সহজেই পর্যবেক্ষণযোগ্য, এদেশে তাদের কোন সামাজিক জীবন নেই, কোন বন্ধু নেই। কালচারে গ্যাপ অনেক হলে এই অবস্থায় বন্ধুত্ব হতে পারে না। তবে, আমার পর্যবেক্ষণ এই অবস্থায় একপক্ষ যদি এই গ্যাপ কমাতে সচেষ্ট হয় তবে বন্ধুত্ব হবার সম্ভবনা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়। ক্লাসে বা কাজে পাঁচটি ব্রিটিশ ছেলেমেয়ে আর একটি বাঙ্গালী থাকলে কিন্তু ঐ বাঙ্গালীটিকেই এই গ্যাপ দূ্র করতে পদক্ষেপ নিতে হবে কেননা ব্রিটিশটির জন্য আরও সম-কালচারের পাঁচটি ছেলেমেয়ে আছে বন্ধুত্ব পাতানোর জন্য। আমার ধারণা এই মমত্বহীন গ্রুপ এই পদক্ষেপটি হয় নেয়ই না অথবা নিয়ে ব্যার্থ হয়। ব্যার্থতার প্রমান আমি দেখেছি, নেয়ই যে না তার প্রমানও। এবং তাদের সবচেয়ে বেশী অনাগ্রহ দেখা যায় ভাষা শেখার প্রতি। একটি গ্রামের ছেলে ঢাকায় এসে যদি ঢাকার ভাষায় কথা বলা আয়ত্ত করে বা আয়ত্ত না করতে পারলেও স্মার্টলি চেষ্টা করে আয়ত্ত করতে সে কিন্তু কালচারাল সেই গ্যাপ ঘুচালোর জন্য বড় একটা পদক্ষেপ নিয়ে ফেলবে, আমি নিজেকেই দেখেছি এর প্রমান হিসেবে। তারপর আসবে পোশাক-আশাক, এটিকেটে ও পছন্দের প্রেফারেন্সে সেই গ্যাপ ঘুচানোর পালা। কিন্তু, বোমা কেন ফুটায়? আমি বলবো যে, সোস্যাল লাইফ হীন একজন ব্যক্তির মানসিকতা স্বাভাবিকভাবেই কিছু মনস্তাত্বিক রেসপন্স শুরু করে একাকীত্ব ঘোচানোর জন্য; সে এমন একটা কিছু চায় যা তাকে আচ্ছন্ন করে রাখতে পারে একাকীত্ব থেকে। এবং ধর্ম একটি সুন্দর জিনিষ দেহ-মনকে ২৪/৭ আচ্ছন্ন করে রাখার জন্য। একারণেই, যারাই কিনা এই একাকীত্বের বিরুদ্ধে মনস্তাত্বিক রেসপন্স শুরু করার মত স্বক্রিয় ও বুদ্ধিমান তাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশই ধর্মকে বেঁছে নেয় শেষ রিসোর্ট হিসেবে- আর অন্য পক্ষ যেমন চলছে তেমন চলুক জীবন টাইপ একটা ভাব নিয়ে পার করে দেয়। এবং অংশ যারা ধর্মকে শেষ রিসোর্ট হিসেবে বেঁছে নেয় তাদের একটা অংশই বোমা ফুটায় আমি বলবো। তাদের বোমা ফুটানো ক্যাটালাইজ করে কোন এক্সট্রিমিস্টের ভাষণ বা দীক্ষা, যেই দীক্ষা তারা গ্রহন করে পজিটিভলি- অপর অংশ বোমা ফুটায় না- ধর্মপালন আর বিষোদগার করে পার করে দেয় এবং কয়েকটি ক্ষেত্রে ধর্মের সাথে অন্য কোন একটি কার্যক্রমও সেকেন্ডারি হিসেবে যোগ করে। কোনই ক্রেডিবিলিটি নেই আমার এই বিশ্লেষণের, এটা শুধুই নিজের জন্য উত্তর খুঁজে পাওয়ার একটা প্রচেষ্টা।
৯। আমার মতামত হচ্ছে যেই ব্যক্তি পুত্রের গলায় ছুড়ি চালানোর পদক্ষেপকে নীতিগতভাবে পরিষ্কার দেখে এবং শুধুমাত্র অন্য ঈশ্বরকে পূজা করার অপরাধে তিনহাজার মানুষকে মেরে ফেলার পদক্ষেপকে নীতিগতভাবে পরিষ্কার দেখে- একটি সাধারণ মানুষ থেকে তার বোমা ফুটানোর সম্ভবনা অবশ্যই বেশী। বোমা ফুটানোর স্বপক্ষে অনেককেই আমি সাফাই গাইতে শুনেছি। এরাও কিন্তু, শুধুমাত্র ধর্মের কারণেই নির্দোষ সিভিলিয়ান মেরে ফেলার পদক্ষেপকে নীতিগিতিভাবে পরিষ্কার দেখে। আমি তাদের বলি, ধরো আমি তোমার কোন ক্ষতি করলাম। এখন তুমি প্রতিশোধ নেবে। আমাকে তুমি নাগালে পেলে না, পেলে আমার ভাইকে বা সন্তানকে। তুমি কি তার উপরে আমার প্রতিশোধ নেবে যে কিনা নির্দোষ? বলাই বাহুল্য তাদের উত্তর ছিলো আমতা-আমতা-আমতা। এর একটা নামও আছে উন্নত বিশ্বে। রুল অফ ল বা আইনের শাসন। এর মূল কথা হচ্ছে একটি অপরাধের প্রতিকার কখনও আরেকটি অপরাধ হতে পারে না। ফিলিস্তিনী নিরীহ মানুষ হত্যার প্রতিকার কখনও নিরীহ ব্রিটিশ মানুষ মারা হতে পারে না। বোরকা হচ্ছে এমন আরেকটি illegal আল্লাপ্রদত্ত সমাধান। তথাকথিত লম্পট পুরুষ যারা দৃষ্টি দিয়ে সতী-পবিত্র নারীদের যাদুকরী ক্ষতি করে ফেলে তাদের এই যাদুকরী অপরাধের ভার ঐ নিরপরাধ মহিলাদের উপর বাস্তবিকভাবেই কালো কাপড়ের সর্বাঙ্গ-ঢাকা বোচকা রূপে চাপিয়ে দেওয়া।
১০। সমাজবিরোধী ভার্মিন ছাড়া অন্য কোন মানুষ পাওয়া বোধহয় কঠিনই হবে যে কিনা নিজের মানবজন্ম নিয়ে গর্বিত নয়। আমার এককালে ধারণা ছিলো মানবসভ্যতা পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে সফল কিছু মানুষ- সবচেয়ে সফল বিজ্ঞানী, শিল্পী, দার্শনিক এদেরই একান্ত ব্যক্তিগত অর্জন কেননা আমি আমার নিজ চোখেই দেখছিলাম কি করে প্রায় সব মানুষই মরে গয়ে চিরজন্মের মত বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে সময়ের অকুল আধারে কোন অবদান না রেখেই। কিন্তু, সাম্প্রতিক সময়ে একটা কাকতালীয় দুর্ঘটনার মধ্য দিয়েই আমার এই ধারণা বালির বাঁধের মত ভেঙে পড়ে। আমি রাতের বেলায় ইউরোপের আকাশে প্রথম ভ্রমন করছিলাম ব্রাসেলস, ফ্রাঙ্কফুর্ট, মিউনিখ আর প্রাগের উপর দিয়ে; গন্তব্য বাংলাদেশ। আমি রাতের আকাশ থেকে ইউরোপের মাটিতে দেখেছি বাধভাঙ্গা, প্রবল, শক্তিশালী সৌন্দর্যের জোয়াড়। সূ্র্য ডুবে গেলে পৃথিবীর মানুষ আলো জ্বেলেছে, অসংখ্য আলো। রাতের পৃথবী থেকে অনন্ত আকাশ যতটা সুন্দর, রাতের আকাশ থেকে পৃথিবীর মাটি ঠিক ততটাই সুন্দর। দুয়ের সৌন্দর্যের উৎসও এমনকি একই, আলো; সংখ্যাহীন, অগন্য, অযুত আলোর ব্যালেরিনা যেন ছেয়ে ছিলো সমস্ত পৃথিবী। আলোর এই সংযত, শৃঙ্খলাপূর্ণ নাচন যেন পৃথিবীকে দিচ্ছিলো তার অস্তিত্বের অর্থ। ঝড়ের বেগে আমার মস্তিষ্কের ইলেকট্রিক অ্যাকটিভিটি যেন আমার অজান্তেই আমার কাছ থেকে এই স্বীকারোক্তি আদায় করে নিলো যে, না কয়েকজন মানুষের পক্ষে এটা সম্ভব না, পুরো মানবসমাজকেই চাই। ২.১% ব্রেইন টু বডি ম্যাস রেসিওর যে কোন প্রাণীই এই অর্জনকে নিজের বলে দাবী করতে পারে। আমি ভাবছিলাম কি করে এটা সম্ভব?
১১। চলুন ব্যাপারটার নাম দেওয়া যাক ইমার্জেন্ট প্রপার্টি, যা উদ্ভুত হয় যখন কিনা একটি বস্তু সমগোত্রীয় অন্যান্য বস্তুদের সাথে যোগাযোগের ভিত্তিতে কমন ইন্টারেস্টের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে পারে। অ্যান্ট কলোনী হচ্ছে বিহেভিওরাল বায়োলজির প্রথম দিকের অধ্যায়। একটা অ্যান্ট কলোনী এতটাই জটিল যে অসংখ্য বিহেভিওরাল বায়োলজিস্টদের প্রচুর সময় ও শ্রম দিতে হয়েছে এর রহস্য উদ্ধারের জন্য। খেয়াল করুন একটি পিপড়ার মধ্যে কিন্তু সেই অ্যান্ট কলোনীর কমপ্লেক্সিটি অনুপস্থিত। একই ভাবে আমাদের কগনিশন যা আমাদের সবগুলো নিউরনের নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের ভিত্তিতে সাধারণ উদ্দেশ্যে নেওয়া সিদ্ধান্তের ফলাফল এর ইমার্জেন্ট প্রোপার্টিও একটি একক নিউরনে অনুপস্থিত। অনুপস্থিত একটি একক কোষে এরকম অসংখ্য কোষ সেল অ্যাঢেশনের মাধ্যমে জোড়া লেগে টিস্যু তৈরী করতে পারার বা মেটাজোয়ান বায়োলজির ইমার্জেন্ট প্রোপার্টি। ঠিক একইভাবে অনেক মানুষের নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের ভিত্তিতে সাধারণ উদ্দেশ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহন করার ইমার্জেন্ট প্রপার্টি ই আমাদের সভ্যতা। কল্পনা করুন একটা মানুষ, বা মানুষ নয় বাঘ, সিংহ, গরু, জেব্রা যে কোন ম্যামাল- সমাজ ছাড়া একা একটি ইকোলজিক্যাল নিচে তার সারভাইবেবলটি কত? শূণ্য নয় কি? এটা কোন অনুমান বা লজিক্যাল ডিডাকশন নয়, এটা পর্যবেক্ষিত সত্য যার সম্পর্কে আমরা শতভাগ নিশ্চিত। এমতাবস্থায়, সমাজ গঠনের জন্য বিবর্তনের ইতিহাসে একটি ছোট পদক্ষেপও যখন কিনা কোন অর্গানিজম নিবে- ন্যাচারাল সিলেকশন পাগলের মত সেটা নির্বাচিত করবে। বিহেভিওরাল বায়োলজিস্টরা সমাজের দিকে তাকানো মাত্র শুরু করেছেন। হয়তোবা আমাদের জীবদ্দশায়ই আমরা দেখে যেতে পারবো সমাজবিজ্ঞান জীববিজ্ঞানেরই একটি অংশে পরিণত হয়েছে।
১২। মানবসভ্যতার দিকে তাকালে তিনটি কর্মকান্ড আমাদের চোখে পড়বে। সাসটেইনেন্স বা বেঁচে থাকা, প্রপাগেইশন বা বংশবৃদ্ধি এবং ডেভেলপমেন্ট বা উন্নতি। সাসটেনেইন্স নিশ্চিত করে যেন প্রজননসক্ষম বয়সে পৌছানোর আগেই একজন ইন্ডিভিজুয়্যল মরে না যায়। এটা জড়িত করে খাদ্য উৎপাদন, চিকিৎসা প্রদান ইত্যাদি। প্রপাগেশন নিশ্চিত করে যে বংশবৃদ্ধির মাধ্যমে একটি ভবিষ্যত প্রজন্ম সবসময়ই তৈরী হচ্ছে, পপুলেশনে বংশগতির ধারা থেমে যাচ্ছে না একেবারে। ডেভেলপমেন্ট নিশ্চিত করে সেই প্রজেনি যেন বর্তমান প্রজন্মের চেয়ে ভালো থাকে। এটা জড়িত করে শিক্ষা, গবেষণা, অবকাঠামোর উন্নয়ন ইত্যাদি। এবার একটু থেমে লক্ষ্য করুন সাসটেইনেন্স এবং প্রপাগেইশন চলে আসছে আমাদের দুইশত হাজার বছরের ইতিহাসের শুরু থেকেই, শুধু মানুষের মধ্যেই নইয়, সকল প্রজাতির মধ্যে এটা চলে আসছে বিলিয়ন বছর ধরে। এটা হচ্ছে ডেভেলপমেন্ট যা কিনা মাত্র সত্তুর বছরের ব্যাবধানে আমাদের দিয়েছে প্রথম আকাশে ওড়া থেকে চাঁদে অবতরণ। ভাবুন অ্যাপোলো মিশনের কথা। এর পূ্র্ববর্তী কতগুলো ব্যার্থ উৎক্ষেপণ পদক্ষেপ একে প্রিডেইট করে? ইউটিউবে “rocket disaster” লিখে একটা ছোট ভিডিও সার্চই এই সত্য উদঘাটনের জন্য যথেষ্ট। আর ভাবুন ভারতের চন্দ্রায়ন, যেটা কিনা প্রথম পদক্ষেপ, ব্যাপকভাবে সফল হয়। কি রহস্য এর পেছনে? কো-অপরেশন। স্নায়ুযুদ্ধের সময় এক দেশ আরেক দেশকে সন্দেহ করতো, তথ্যের স্বাধীন আদান-প্রদান হতো না। এটা আমাদের সভ্যতাকে খসিয়েছে প্রচুর অর্থ, শ্রম এবং মাঝে মাঝে জীবনও। শুধু অর্থ দিয়েই কিন্তু এত বড় একটা প্রজেক্ট সম্ভব নয়। অর্থের সাথে সাথে এর জন্য লাগবে কো-অপরেশন। ভাবুন হিউম্যান জিনোম প্রজেক্টের কথা। পৃথিবীর আনাচে কানাচে অসংখ্য ল্যাবে কোঅর্ডিনেটেড ভাবে চলেছে এর উদঘাটন, সবাই বিনিয়োগ করেছে। কো-অপরেশন ছাড়া ১৪ নয় ১৪০ বছরেও এত বড় প্রজেক্ট হয়তো সফল হতো না। আর এখন ncbi এর জিনব্যাঙ্কে আছে ১৪০টি প্রজাতির জিনোম, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ইউক্যারিয়োট ও মানুষ, শিম্পাঞ্জী, রেসাস বানর, ওরাঙ্গোটাং (অসমাপ্ত) এই চারটি প্রাইমেট জিনোম যার মানে প্রায় ১৩.৫ বিলিয়ন বেইস পেয়ার রয়েছে। এক কে যদি আপনি এক পা হাটার সমান ধরেন তাহলে ১৩.৫ এ পৌছতে আপনি পুরো পৃথিবী ১৭০ বার প্রদক্ষিণ করবেন। বৃহদাকারের প্রজেক্টের উদাহারণ এমন অসংখ্য যা আমাদের অর্জনের তালিকায় যুক্ত হয়েছে। ভাবুন omim (mendelian inheritance in man) এর কথা। শেকল সেল অ্যানেমিয়া আর সিস্টিক ফাইব্রোসিস ছিলো দুটি রোগ যা মলিকিউলার পর্যায়ে আমরা জেনেছি। আর কত স্বল্প সময়ের মধ্যে আমরা পুরো ওমিম নির্মান করেছি যা যুক্ত করে আমাদের জিনোমের প্রতিটি লোকাসকে তার কোরেস্পন্ডিং রোগের সাথে। ওমিম বাচাচ্ছে অসংখ্য জীবন। ৬০ মিলিয়ন মানুষের দেশ বৃটেনে প্রতিদিন ১০,০০০ জীবন বাঁচাচ্ছে এন্টিবায়োটিক। এর অবকাঠামো একে বানাতে পেরেছে ৬০ মিলিয়ন মানুষের বসতি। অবকাঠামো ছাড়া এ ধারণ করতে পারে মাত্র ৬ মিলিয়ন। হাইবারস প্রসেস দায়ী আমাদের ৪০% উৎপাদিত খাদ্যের জন্য। সারের অনুপস্থিতিতে আমাদের খাদ্য উতপাদন কমে যাবে ৪০%, মরে যাবে আড়াই বিলিয়ন মানুষ। কেমিস্ট্রি জীবন বাঁচায়। আমাদের জীবনের প্রতিটি সেকেন্ড কেমিস্ট্রির কাছে ঋণী।
১৩। আমরা কি উপলব্ধি করতে পারলাম কতগুলো প্রতিকুল শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আমাদের প্রজাতি টিকে আছে? আমাদের জীবনযাত্রা যদি আমাদের এক প্রজন্ম আগের মানুষদের জীবনযাত্রার সাথে আমরা তুলনা করি আমরা হয়তো বলতে পারব আমরা স্বর্গে আছি। আমাদের জীবনকে প্রতিমূহুর্তে সহজ করে চলছে আমাদেরই অর্জিত জ্ঞান। এবং এই জ্ঞান হচ্ছে মানবসমাজের কোওর্ডিনেটেড কোঅপরেশনের ফল যা আমাদের জিতিয়ে দিচ্ছে নিষ্ঠুর প্রকৃতির সাথে যুদ্ধে। যেই প্রকৃতি সুযোগ পাওয়া মাত্রই আমাদের মেরে ফেলার জন্য ব্যাকুল। এই যুদ্ধে জ্ঞান ও বিজ্ঞান হয়েছে আমাদের ঘনিষ্টতম মিত্র। আর আত্নবিশ্বাসের সাথেই আমরা বলতে পারি যে, ধর্ম বা এর মত আর যে কোন অন্ধবিশ্বাসই যা কিনা গবেষণা শুরু করার আগেই ফলাফল পেয়ে যাওয়ার নামান্তর- হয়েছে আমাদের নিকৃষ্টতম শত্রু।
১৪। এবং আমার এই আত্নবিশ্বাসের উৎস হচ্ছে- মহাজগত কোন যাদুকরী বুজরুকী জগত নয় এটা বরং একটি বাস্তবিক, সত্য জিনিষ যা সম্পর্কে গবেষণা করা যায় এবং জ্ঞান-অর্জন করা যায়। ধার্মিক, রাজনৈতিক বা যা কোন অন্ধ-বিশ্বাস অজ্ঞানতার আস্তাকুঁড়ে নিজের মাথা ঠুকে আমাদের অর্জন এবং গৌরব গুলোকে শুধু পরিহাসই করে না বরং আমাদের আলোকিত ভবিষ্যতের সম্ভবনাগুলোকেও পদদলিত করে। নিজেদের ডিফেন্সে যে কোন অন্ধবিশ্বাসীকে এজন্যই আপনি পাবেন সবার প্রথমেই এটা উল্লেখ করতে যে কি আমাদের অজানা এবং কি এখন পর্যন্ত আমাদের জ্ঞানের আওতার বাইরে; মজার ব্যাপার হলো এই কোর্সে তারা সম্পুর্ণই উপেক্ষা করে কি আমাদের জানা এবং এই অর্জিত জ্ঞান কি করে আমাদের জীবনের প্রতিটি মূহুর্তকে মোহনীয় করে তুলছে। তারা শুধু এটা করেই ক্ষান্ত থাকে না বরং আমাদের কষ্টার্জিত জ্ঞান কি করে অদূ্র ভবিষ্যতে বালির ভাধের মত ভেঙ্গে পড়তে যাচ্ছে তা কল্পনা করেও আনন্দে নিজেদের বগল বাজায়। তাদের স্বার্থপরতা আর হৃদয়হীনতাকে আমি অভিহিত করবো “বিরক্তিকর” বলে। কিন্তু, ধার্মিকরা এর চেয়েও বড় ঔধ্যত্বের পরিচয় দেয় যখন কিনা তারা দাবী করে, তাদের প্রস্তরযুগীয় বিবলিকাল পূ্র্বপুরুষদের কাছে আমাদের আজকের সমস্ত কাটিং এইজ আবিষ্কারগুলো পাখাওয়ালা অদৃশ্য ফেরেস্তা কর্তৃক রিভেলড হয়েছিলো এবং তাদের পবিত্রগ্রন্থগুলো জ্ঞান ও বিজ্ঞানে ঠাঁসা। কোন বই বিজ্ঞানে ঠাঁসা? যেটা কিনা বলে, ছয়দিনে আল্লা মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছিলো দিনই যেখানে নির্ধারিত হয় সূর্য আর পৃথিবীর আহ্নিক গতির ইন্টার্যাকশনে? পপুলেশন বটলনেক, ইনব্রিডিং ডিপ্রেশন, মুলার্স র্যাচেট, জেনেটিক লোড, ফাউন্ডার এফেক্ট এগুলো সব উপেক্ষা করে প্রতিটি প্রজাতির একজোড়া অর্গানিজম থেকে সম্পুর্ণ বায়োডাইভার্সিটি পপুলেট করেছে একবার নয় দুই দুইবার; একবার জেনেসিসে আরেকবার নুহের প্লাবনে; আমরা কি একটি শব্দের সাথে পরিচিত পপুলেশন জেনেটিক্স? যে কিনা বলে শ্বাস-প্রাশ্বাস গ্রহন না করে মাছের পেটে পাঁচদিন মানুষ বাঁচতে পারে? যে এক মিলিমিটার সেডিমেন্ট লেয়ার না ফেলে পুরো পৃথিবীকে বন্যায় ভাসিয়েছে রেখেছিলো ৪০ দিন? এগুলোর চেয়ে বড় প্রশ্ন হলো সব সত্য যদি আমাদের বিবলিকাল পূর্বপুরুষদের কাছে রিভেলড হয়েই থাকবে, তো কি করেছে আমাদের সেই শক্তিধর বিবলিকাল পূ্র্বপুরুষেরা যখন একহাজার খৃষ্টপূ্র্বাব্দে তাদের গড় আয়ু ছিলো ২৮ বছর যেখানে এখন কিনা ৭৭ বছর? কি ভ্যাক্সিন তারা নিয়ে এসেছে যখন প্যানডেমিকে মরে যাচ্ছিলো মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ; আর আজ এইচ১এন১ নতুন ইনফ্লুয়েঞ্জা স্টেইনের নিউরামিনিডেইস আমরা ইনহিবিট করেছি আউটব্রেকের ৪ মাস সময়ের মধ্যে? কতটুকু ছিলো তাদের খাদ্য উতপাদন ক্ষমতা বা কতটুকু ছিলো তাদের পপুলেশন সাইজ, যেখানে আজ আমরা সাড়ে ছয় বিলিয়ন পপুলেশন সাসটেইন করার মত খাদ্য উতপাদন করতে পারি? কেন একটা সাধারণ ব্লাড ইনফেকশন তাদের জন্য ছিলো মৃত্যুদন্ড যেখানে কয়েকডোজ এন্টিবায়োটিক আজ যে কোন ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন রোধ করার জন্য যথেষ্ট? ২০০৫ সালে ক্যাসিনি-হোইগান মিশনের হোইগান প্রোব শনির উপগ্রহ টাইটানে অবতরন করে। হোইগান প্রোব এখনও সেখানে আছে। অসীম আকাশের দিকে তাকিয়ে আমি শনি খুঁজি, খুঁজি এর উপগ্রহ টাইটান। অ্যাস্ট্রোনমি জানিনা, তবে এটা জানি শনি খালি চোখে পৃথিবী থেকে দেখা যায় কিন্তু, টাইটান দেখতে টেলিস্কোপ লাগে। আমি উদ্ভ্রান্তের মত আকাশের দিকে তাকিয়ে কল্পনা করার চেষ্টা করি এই মহাশূণ্যের কোন এক পয়েন্টে রয়েছে শনির উপগ্রহ টাইটান। কোন অজানা কোন একটা কিছুর প্রতি শ্রদ্ধায় এটা আমার মাথা নুয়ে আসে যখন ভাবি এই একটি ছোট পয়েন্টে পৃথিবী থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন মাইল দূ্রে টাইটানের বুকে রয়েছে একটি ছোট্ট জিনিষ যেটা কিনা পৃথিবীতে নির্মিত। মানুষ হয়ে জন্মাতে পেরে আমি আরও একবার ধন্য হয়ে যাই এবং আরও একবার উপলদ্ধি করি আমাদের যদি কাউকে পূজা করতেই হয় তাহলে আমাদের নিজেদেরকেই আমাদের পূজা করা উচিত।
১৫। বজ্র, আলেয়া, আগুন ও অন্যান্য প্রাকৃতিক ফটোইলেকট্রিক ঘটনা মানুষ সবসময়ই যাদুর আধার মনে করে আসছে। আগুন হয়েছে পৃথিবীর প্রায় সব ধর্মের ঈশ্বরদেরই শাস্তি প্রদানের অন্যতম মাধ্যম। নীচে গ্যাসকুকারে কিংবা ঠোঁটের কোনায় ধরা সিগেরেট জ্বালানোর সময় আমি সবসময়ই তাকাই আগুনের দিকে, এর যাদুকরী সন্মোহনী ক্ষমতার দিকে। আর আমি দেখি অবর্ণনীয় সৌন্দর্য। কেমিস্ট্রি, থার্মোডায়নামিক্স, গণিত, অপটিক্স, ফিজিক্সের এক সুশৃঙ্খল, সবুজ সিম্ফনী যার প্রস্ফুরণ মানুষের গবেষণা করে উদঘাটন করতে পারার বিষ্ময়কর ক্ষমতার বাগানে। এজন্যেই কেমিস্ট্রি ও বায়োকেমিস্ট্রিকে আমি বলি চরিত্রগঠনকারী জ্ঞান। এটা আমাকে হাসায় যখন কিনা দেখি আগুনকে আল্লার ক্রসবেল্ট বা লকারস্টিক বা হ্যাঙ্গার হিসেবে উপস্থাপন করার হাস্যকর চেষ্টা- একটি টডলার শিশু তার দেড় বছর বয়সে প্রথম পটিতে বসে আতঙ্কে যদি ছুটে আসে এই অভিযোগ করতে করতে যে সে দেখতে পেয়েছে তার পটিতে কয়েকটি ছোট্ট হলুদ মনস্টার তাহলে আমি যেভাবে হেসে উঠতাম ঠিক সেভাবেই আমি হেসে উঠি। আমার কাছে কেউ দোজখের আগুন বেচার চেষ্টা করলে তাকে আমি বলি-
১৬। আগুন একটি রাসায়নিক বিক্রিয়ার দৃশ্যমান উপস্থাপন যাকে বলা হয় অক্সিডেশন বা দহন। রাসায়নিক বিক্রিয়ার তাপগতিবিদ্যাগত বা thermodynamic সংজ্ঞা হলো কার্যকরকারী শক্তি বা activation energy সূচীত সিস্টেমের গ্রাউন্ড স্টেটের পরিবর্তন। একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া জড়িত করে তিনটি অতীব প্রয়োজনীয় বা essential জিনিষ রিঅ্যাকটেন্ট, অ্যাকটিভেশন এনার্জি, প্রডাক্ট এবং একটি অপশনাল জিনিষ ক্যাটালিস্ট। একটি অক্সিডেশন বিক্রিয়ায় রিঅ্যাকটেন্ট অক্সিজেন এবং নিস্ক্রিয় গ্যাস ছাড়া লিটারেলি পৃথিবীর যে কোন মৌল বা তাদের দ্বারা গঠিত যৌগ এবং প্রডাক্ট ঐ রিঅ্যাকটেন্ট মৌল বা যৌগের অক্সাইড। অক্সিজেন রাসায়নিকভাবে খুবই সক্রিয় একটি বস্তু। এর ভ্যালেন্স শেলে ছয়টি ইলেকট্রন আছে, অর্থাৎ এর পিরিয়ড ২; যা কিনা- এর ডায়াটমিক স্টেইটেও একে রাখে রাসায়নিকভাবে খুবই সক্রিয়। আমাদের বায়ুমন্ডলের ২০%ই ডায়াটমিক অক্সিজেন। পৃথিবী রাসায়নিকভাবে সক্রিয় একটি গ্রহ। এই কারণেই এই গ্রহে আগুন জ্বলে। আমাদের বায়োকেমিস্ট্রির অধিকাংশ বিক্রিয়াই রেডক্স বিক্রিয়া যা কিনা রিডাকশন ও অক্সিডেশন দুটি বিক্রিয়ার সম্মিলিত রূপ। আমাদের প্রতিটি কোষে আমরা অসংখ্য জিনিষপত্র জ্বালিয়ে জ্বালিয়ে বেঁচে আছি। এখানে থার্মোডায়নামিক্স হচ্ছে, একটি স্পিসিসের অক্সিডেশনের জন্য অন্য একটি স্পিসিস রিডিউসড হতে হবে। অক্সিডেশন যেমন অক্সিজেন যোগ করা, রিডাকশন তেমনি হাইড্রোজেন যোগ করা বা থার্মোডায়নামিকালি অক্সিডেশন হচ্ছে ইলেক্ট্রন ত্যাগ করা, রিডাকশন হচ্ছে ইলেকট্রন গ্রহন করা। আমরা এটিপি বা অ্যাডেনোসিন ট্রাইফসফেট ব্যাবহার করি বায়োকেমিস্ট্রির অর্থনীতিতে মুদ্রা হিসেবে। এটিপি তে দাম দিয়ে আমরা থার্মোডায়নামিক এনট্রপি কিনি। আমাদের বায়োকেমিস্ট্রির প্রায় সবগুলো বিক্রিয়াই থার্মোডায়নামিকালি প্রতিকুল। একটি প্রতিকুল বিক্রিয়ার বিপরীতে এটিপি হাইড্রোলাইস করলে সেটি থার্মোডায়নামিকালি অনুকুল হয় কেননা এটিপির ফসফোএনহাইড্রাইড বন্ড দ্বারা বাধিত ফসফেট গ্রুপগুলো হাইড্রোলাইস হয়ে সিস্টেমে পর্যাপ্ত শক্তি মুক্ত করতে পারে। এই এটিপি উতপাদনের অপরিহার্য অংগ ইলেকট্রন ট্রান্সপোর্ট চেইনে ইলেক্ট্রন ডোনর হিসেবে কাজ করে অক্সিজেন। মেটাজোয়ানদের মধ্যে শ্বসন বা রেসপাইরেশন এটিপি উৎপাদনের প্রধান উপায়। আর গাছপালা ফটোসিনথেসিস বা শালোক-সংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায়ও এটিপি উতপাদন করে। ফটোসিনথেসিসেরও অপরিহার্য অংগ ইলেক্ট্রন ট্রান্সপোর্ট চেইন। এটা আমরা সবাই ই জানি ফটোসিনথেসিস হচ্ছে মহাবিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূ্র্ণ বিক্রিয়া। অর্থাৎ অক্সিজেনকে আমরা বলতে পারি মহাবিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূ্র্ণ বস্তু। মজার ব্যাপার, আমরা সৌভাগ্যবান যে বিবর্তনের ধারায় আমাদের বায়োকেমিস্ট্রিতে আমরা অক্সিজেনের ব্যাবহার আয়ত্ত করেছি নতুবা আমরা বলতে পারতাম অক্সিজেনের মত জঘন্য বিষ আর নেই। এটি লিটারেলি যে কোন বস্তুকেই পুড়িয়ে ফেলে। একটি লৌহখন্ডে মরীচা পড়তে দেখলে আমরা বলতে পারি খুবই আস্তে আস্তে লৌহখন্ডটি পুড়ে যাচ্ছে। কিন্তু, কার্বন বা এর যৌগের সাথে অক্সিজেনের বিক্রিয়া হয় খুবই দ্রুততার সাথে। কাঠ যেটা কিনা মূলত সেলুলোজ- অক্সিডেশন বিক্রিয়ার জন্য অ্যাকটিভেশন এনার্জিতে বা প্রায় ৩০০ ডিগ্রী ফারেনহাইটে উত্তপ্ত হলে সেলুলোজ পলিমারে থাকা অনুগুলো কাঁপতে থাকে। এই কম্পনকেই বলা হয় তাপ। যত বেশী ফ্রিকোয়েন্সিতে অনু কাঁপে তার তাপমাত্রা হয় ততো বেশী। ০ ডিগ্রী কেলভিনে অনু মোটেই কাঁপে না, তাই এটাই হচ্ছে মহাবিশ্বের সর্বোনিন্ম তাপমাত্রা, এরচেয়ে কম তাপমাত্রা হতে পারে না কেননা কম্পনের অনুপস্থিতির চেয়ে কম কম্পন বলে কিছু নেই। -১ ডিগ্রী কেলভিন তাপমাত্রা কতটা ঠান্ডা এই প্রশ্ন করার মানে অনেকটা একই প্রশ্ন করা যে, সেকেন্ডে তিনশো হাজার এক কিলোমিটার গতি কতটা দ্রুত বা ১৩.৭ বিলিয়ন বছরের এক সেকেন্ড আগে কতটা পূ্র্বে। অনুর এই কম্পন শক্তি যেই কোভেলেন্ট বন্ড দ্বারা অনুর পরমানুগুলো বদ্ধ তার শক্তির চেয়ে বেশী হলে পরমানু অনু থেকে বচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এই বিচ্ছিন্ন পরমানু সর্বনিন্ম এনার্জি স্টেইটে যাওয়ার থার্মোডায়নামিক প্রবনতা থেকে অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে বন্ড স্থাপন করে এবং এই প্রক্রিয়ায় সর্বনিন্ম বিধায় সবচেয়ে স্টেবল এনার্জি স্টেইটে গমন করে। সর্বনিন্ম এনার্জি স্টেইটে তার এক্সেস এনার্জি আর প্রয়োজন হয় না তাই সে তা আলো এবং তাপ রূপে মুক্ত করে। সেই তাপশক্তি পার্শ্ববর্তী অনুতেও একই বিক্রিয়ার জন্য অ্যাক্টিভেইশন এনার্জি ফিড করে চেইন রি-অ্যাকশন সূচনা করে। পার্শ্ববর্তী অনুগুলোর পরমানুরাও রাসায়নিক বন্ধন থেকে মুক্তি পেতে থাকে। আগুন হচ্ছে অবাধ, অবারিত রাসায়নিক মুক্তি আর স্বাধীনতার উদ্বেলিত উল্লাস। আগুনের যেই আলো তা অন্যান্য সব আলো্র মতই। অসংখ্য ভরশূণ্য সাবঅ্যাটমিক পার্টিকল ফোটন আঘাত করে আমাদের রেটিনার রড এবং কোন সেল যা ফোটনের এনার্জি থেকে অপটিক নার্ভে সূচনা করে একটি অ্যাকশন পটেনশিয়াল যা মস্তিষ্ক পর্যন্ত পৌছোলেই আমরা দেখি। কি রঙ আমরা দেখি তা নির্ভর করে ফোটনের ফ্রিকোয়েন্সির উপর। এই ফ্রিকোয়েন্সি নির্ধারিত হয় কি পরমানু আমরা তাপ দিচ্ছি এবং কত তাপমাত্রা প্রয়োগ করছি তার উপর। কোয়ান্টাম ট্রাঞ্জেকশনের সময় ফোটন লেনদেন হয় সাবঅ্যাটমিক পার্টিকেলদের মধ্যে। অক্সিডেশন বিক্রিয়ায় ফোটন নির্গত হয় ইলেকট্রন দ্বারা যখন তা এনার্জি স্টেইট পরিবর্তন করে। আগুন একটি বৈদ্যতিক ঘটনা। আগুনের যেই তাপ আমরা অনুভব করি তা মূ্লত আমাদের চারপাশের বায়ুতে তাপসূচীত কম্পনশক্তি যা কিনা আমাদের নার্ভাস সিস্টেমের পেইন রিসেপ্টর বা নোসিসেপ্টরের লিপিড ঝিল্লীক কাঁপাতে থাকে। এই কম্পনশক্তি সূচনা করে একটি অ্যাকশন পটেনশিয়াল যা নিউরনের এক্সনের মেমব্রেইনের ক্যালসিয়াম ও সোদিয়াম চ্যানেলগুলো সিনক্রোনিতে খুলতে ও বন্ধ করতে থাকে। সাইটোপ্লাজমের ও এক্সট্রাসেলুলার ম্যাট্রিক্সের মধ্যে পটাসিয়াম ও সোডিয়াম আয়ন আগমন প্রস্থান করার ফলে উভয় পাশে সৃষ্টি হয় একটি ইলেক্ট্রোকেমিকাল ভোল্টেজ গ্যাডিয়েন্ট। এই বৈদ্যতিক প্রবাহই আমাদের মস্তিষ্কে পৌছায়, আমরা ব্যাথা অনুভব করি। আমাদের মস্তিষ্ক, আমাদের জ্ঞান, প্রজ্ঞা, উল্লাস, ক্রন্দন, আবেগ স-ব-কি-ছু একটি বৈদ্যতিক ঘটনা।
১৭। আপনার মৃত্যুর পর আপনি কোথাও পুড়তে যাচ্ছেন না। কেননা আপনার মরণের পর আপনার শরীরের সবগুলো বায়োপলিমার ভেঙে যাবে। আপনার নিউরনাল এক্সন কোন অ্যাকশন পটেনশিয়াল প্রোপাগেট করবে না। আপনার মস্তিষ্কের ইলেক্ট্রিক কার্যক্রম থেমে যাবে। আপনি ব্যাথা অনুভব করবেন না। আপনি অনুভবই করবেন না কিছু। আপনার জন্মের আগে আপনি যেমন ছিলেন আপনি ঠিক তেমন অবস্থাতেই ফিরে যাবেন। দোজখের আগুনের ভয় দেখানো ধর্মের সবচেয়ে বড় কুলাঙ্গারীত্ব। এটা অসংখ্য মানুষকে সাইকোলজিকাল টর্চার করারই সামিল। বিশেষ করে শিশুদের, শিশু যারা কিনা মোটেও স্কেপ্টিক না হয়ে যেকোন কিছু মেনে নেওয়ার জন্য ইভোলিউশনারিলি প্রস্তুত। আমি ব্যক্তিগতভাবে এটাকে আমার দায়িত্বই মনে করি যে কোন শিশুর সাথে আমার এনকাউন্টার হলে তাকে এটা বোঝানো যে সে তার মরণের পর কোথাও পুড়তে যাচ্ছে না। যেহেতু শিশুরা সবকিছু গ্রহন করে বিনাপ্রশ্নে প্রতিবারই এক একটি শিশুকে এটা বুঝিয়ে আমি লাভ করেছি অপার মানসিক প্রশান্তি। আমার মায়ের দিককার কাজিনদের মধ্যে কাউকে যেন দোজখের ভয়ে ভীতু করে বড় করে তোলা না হয় তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি এবং ভালোই সফল হয়েছি। মানুষ বোধহয় রিজন বোঝে। আমি মনে করি আমাদের সবারই এটা দায়িত্ব হওয়া উচিত। আমি জানি আগুন কি এটা আপনি কোন দোজখ ব্যাবসায়ীকে বললে তারপর সে কি বলবে। সে বলবে যে আসলে দোজখের আগুন অন্যরকম এটা পৃথিবীর আগুনের মতো না, এটা জ্বলতে কোন অক্সিডাইজার লাগে না, কোন ফুয়েল লাগে না কোন অ্যাকটিভেইশন এনার্জি লাগে না। নিশ্চিত করুন যে আপনি তার কাছ থেকে এই স্বীকারোক্তি আদায় করে নিচ্ছেন যে, সে যেই আগুনের কথা বলছে সেটা যাদুকরী আগুন। এই আগুনে আমরা বিশ্বাস করি কেননা আমরা এখনও যাদু বা অলৌকিকত্বে বিশ্বাস করি।
১৮। মনে করুন আমি আপনাকে বললাম আমার বন্ধু বব ঈশ্বরের পুত্র- পরিবারের অন্য কারো কাছ থেকে ছোটবেলা হতে শুনে না আসলে- আপনি কি আমার কথা বিশ্বাস করবেন? বা আমার বান্ধবী বেথ ঈশ্বর প্রেরীত ফেরেস্তার বীর্যে গর্ভবতী? বা আমার বন্ধু ড্যান পঙ্খীরাজ ঘোড়ায় চড়ে মেরাজে গিয়েছেন? বা বান্ধবী স্যান্টেল ও রিস হাতের ইশারায় যথাক্রমে ভূমধ্যসাগর এবং চাঁদ দ্বিখন্ডীত করেছে? অবশ্যই না। কেন নয়? কারণ এটা সম্ভব নয়। কেন সম্ভব নয়? কারণ আমরা জানি জগত কি এবং কিভাবে এটা কাজ করে। প্রথমত এটা কোন মগের মুল্লুক না যেখানে যা খুশী তাই ই হতে পারে। এখানে কিছু ল’জ অফ নেইচার আছে যার ব্যতিক্রম কখনও ঘটতে পারে না। মিরাকল বা অলৌকিকত্ব ঘটতে হলে ল’জ অফ নেইচার ভঙ্গ হতে হবে- তাই ই এটা অসম্ভব। আমাদের লিখিত ইতিহাস সাড়ে সাত হাজার বছরের। এই সময়ের ভেতর একটি রিপোর্টেড পর্যবেক্ষণ আমি আবারও বলছি একটি রিপোর্টেড পর্যবেক্ষণও উপস্থাপিত হয়নি কোন প্যারানর্মাল ঘটনার তো সেটা জীন, পরী, দৈত্য, দানব, ফেরেস্তা, সান্তাক্লজ যাই হোক না কেন।উইকিপিডিয়া করুন প্যারানর্মাল। আপনি দেখবেন সাইকোলজিস্টদের সমাজ পুরষ্কার ঘোষণা করেছে মোটা অংকের টাকা যে কিনা কোন প্যারানর্মাল ঘটনার রিপোর্টেড নিদর্শন নিয়ে আসতে পারবে তা জন্য। প্রতিদিন অসংখ্য ঘটনার খবর আসছে, কিন্তু তদন্তে তাদের একটাও আসল প্রমান হচ্ছে না। পুরষ্কারের অংক আনক্লেইমডই থেকে যাচ্ছে। যেই কারণে প্যারানর্মাল সম্ভব নয় একই কারণে সম্ভব নয় কোন ব্যক্তির ফেরেস্তার সাথে দেখা বা ফেরেস্তা দ্বা্রা গর্ভবতী হওয়া বা আসমানী কিতাব নাজিল হওয়া বা পঙ্খীরাজ ঘোড়ায় চড়ে মেরাজে যাওয়া। লক্ষ্য করুন এগুলোই কিন্তু ধর্মের ভিত্তি। সুপারন্যাচারাল যেহেতু অসম্ভব তাই আমরা এটা বাতিল করতে পারি। আমার প্রশ্ন সুপারন্যাচারাল তুলে নিলে একটি ধর্মের আর কি বাকী থাকে?
অনেক গবেষনামূলক লেখা। জুবায়ের নামটা এই লেখার সাথে ঠিক খাপ খাচ্ছেনা। নামটা অর্ণব হলেই বোধহয় এই লেখার সাথে ঠিক খাপ খায়।
এই কামরুল সাহেব কিন্তু অরিজিনাল কামরুল হাসান, মানে, আমি না।
আসল কামরুলকে চিনতে হলে কেনার আগে গরু মার্কা সিল দেখে নিন। 😛
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
ewe......I already started suspecting otherwise!!! :)) :)) :))
😀 😀 😀 😀 😀
ওয়েল ভাইয়া, আপনি যেহেতু
বলেছেন, কাজেই আমি এই পোস্টটা পড়লাম। আমি এতটুকু বলতে পারি যে, ধর্মহীন মানুষদের চেয়ে আমি ভালো আছি। আমাদের দেশে বাবা মা"রা বুড়ো হয়ে গেলে এখনো তাদের সন্তানরা তাদের বৃদ্ধাশ্রমে ফেলে দিয়ে আসে না, কারণ ওই অন্ধ বিশ্বাস এবং তারা তাদের মূল্যবান কর্মঘন্টাকেও নষ্ট হতে দেয়, কারণ তাদের নিয়তিও একই হবে।
আপনি ৫ ওয়াক্ত নামায পড়ার সময়টা অনেক কষ্ট করে বের করেছেন, একটু কষ্ট করে সারা বিশ্বের কত মানুষ কতটা সময় নাইটক্লাব গুলোতে enjoy করে বেড়ায়, তাও বের করুন। আশাকরি এটা আগেরটার চেয়ে বেশি হবে।
মানুষ ভালো কাজ করবে কি করবে না, তা নির্ভর করে তার ইচ্ছার উপরে।কারণ ৭০% ধর্মহীনদের দেশে উনারা HIV গবেষনা না করে দিনরাত বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ খরচ করছেন কত তাড়াতাড়ি মানুষ মারা যায় এ ধরনের অস্ত্র তৈরি করতে।
অবিশ্বাসও একধরনের বিশ্বাস হতে পারে, তবে ইতিহাস আমি যতটুকু জানি, তাতে এ জিনিস কোন জাতির জন্যে সুফল বয়ে এনেছে, এরকম নজির পাইনি। বারংবারই এসকল জাতি কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে। আমাদের মতো
করা জাতিগুলো কিভাবে টিকে আছে, আশাকরি জানিয়ে আমার জ্ঞাননেত্র বিকশিত করবেন।
কেন ঘটতে পারে না? নাকি এটা "আমি তো এমনি এমনিই খাই" টাইপের কোনকিছু?
তুমি খেয়াল করে থাকবে আমি বলেই নিয়েছি ধর্মই আমাদের সভ্যতার মানব-ঘন্টা অপচয়ের একমাত্র কারণ নয়। একটা মানুষ মাসে ৫ কি ৬ ঘন্টার বেশী নাইটক্লাবে ব্যয় করলে একে আমি অবশ্যই অপচয় বলবো।
ফেলে যে দিয়ে আসে না এটার কারণ ধর্ম না। উন্নত বিশ্বের সবচেয়ে ধর্মপ্রাণ জাতি আমেরিকায় এখনও ৬০% মানুষ ধর্ম বিশ্বাস করে। তারপরও তারা কিন্তু ফেলে দিয়ে আসছে তাই না? ফেলে যে দিয়ে আসে না এটার কারণ এম্প্যাথি। যার এম্প্যাথি আছে সে বিশ্বাসী কি অবিশ্বাসী রিগার্ডলেস ফেলে দিয়ে আসবে না।
আমার মনে হয়না আমি একবারও বলেছি যে আমি শান্তির সময়ে অস্ত্র-প্রতিযোগীতার সমর্থনকারী। একজনের একটা খারাপ কাজ তার অপর আরেকটি ভালো কাজকে ভয়েড করে দেয়না, রাইট?
হুম যেমন কোকেইন সেবন না করাও এক ধরনের নেশা হতে পারে, ক্রিইকেট না খেলাও এক ধরণের ক্রীড়া হতে পারে, বাগান না করাও একধরণের শখ হতে পারে? আমার লেখার চতুর্থ প্যারা দেখো।
উইকিপিডিয়া করো demographics of atheism. ইউরোপের বেশীরভাগ দেশেই অবিশ্বাসীরা ৫০% বেশী। তারা আমাদের সভ্যতার নেতৃত্ব শুধু দিচ্ছেই না বরং রেনেসার পর থেকে এই নেতৃত্বের কেন্দ্র আর কোথাও স্থানান্তরিত হয়নি। এটা তাদের জন্যই কেবল সুফল বয়ে আনেনি এর সুফল ভোগ করছি তুমি আমিও। আমার আগের একটি পোস্ট দেখো এখানে
ঘটতে পারে না কারণ আমরা আমরা ঘটতে দেখিনা। ঘটতে যে পারে না এটাই ডিফল্ট পজিশন। অর্থাৎ, তুমি যদি দাবী করতে চাও যে ঘটোতে পারে তাহলে তোমাকে এর স্বপক্ষে এভিডেন্স নিয়ে আসতে হবে। যদি পার তবে সোইকোলজিস্টদের সমাজ হতে তুমি একটা মোটা অংক পুরষ্কারও পেতে যাচ্ছ।
আপনি রেফারেন্স বুক হিসাবে wikipedia এর চেয়ে ভালো কিছু বলতেন.... এই জিনিসতো প্রতিদিন এডিট হয়। এমন একটা রেফারেন্স বুক বা ধর্মগ্রন্থ দেখান, যেটা আজ পর্যন্ত কোনোদিন এডিট হয়নি।
কারো পুরষ্কার পাবার ইচ্ছা নিয়ে আপনার সাথে আমি কথা বলছি না। কারণ বিশ্বাসীরা আরেক জগতে বিশ্বাস করে।
তোমার এই কথা খুবই ঠিক যে উইকি তথ্যের কোন অথেন্টিক সোর্স না। যদিও না ভেবে পারছি না বিশ্ববিদ্যালয় যার রেফরেন্স গ্রহন করে তুমি কেন তার রেফরেন্স গ্রহন করতে চাচ্ছ না। বিশেষত আমার রেফরেন্স ছিলো demographics of atheism. তুমি কি তাদের সাইট করা রেফরেন্স দেখেছো যে কোন সংস্থা এই পরিসংখ্যান চালিয়েছিলো, নাকি তথ্যের উপরে সুপারস্ক্রিপ্ট ছিলো সাইটেশন নিডেড? আমি মানছি তুমি রিজন বোঝ। তবে, আমি বলবো তুমি কুনস্পিরেসি থিওরিগুলোর উপর খুব বেশী নির্ভর করে তোমার যুক্তিগুলো ছুড়ছো। an extraordinary claim requires an extraordinary evidence.
আমি আপনার চেয়ে বিজ্ঞান কম বুঝি, ভুল হলে ঠিক করে দিয়েন। Theory হল তত্ত্ব যা কিনা প্রমানিত হলে law তে পরিনত হয়। কাজেই conspiracy theory গুলো প্রমানিত হয়ে যেদিন law তে পরিণত হবে সেদিনের জন্য আমি অপেক্ষা করবো।
কেন চাইব না? তবে পৃথিবীতে অসংখ্য বিশ্ববিদ্যালয় আছে যারা ভিন্ন ভিন্ন সূত্র থেকে উপাত্ত গ্রহন করে। আপনিও তো তাদের থেকে তথ্য নিতে পারেন।
আপনার reference আমি ধরলাম, কিন্তু যেহেতু তা আমার চিন্তার সাথে অসংগতিপূর্ণ, কাজেই আমাকেও আমার কাছে available সূত্র থেকে reference টানতে হচ্ছে।
অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই ধর্মগ্রন্থ নিয়ে গবেষণা করে থাকে। কোরানের থেকে পাওয়া বিষয়গুলো কোন প্রতিষ্ঠান মিথ্যা প্রমাণ করতে পেরেছে, এমন কোন সূত্র পেলে এখানে পোস্ট করে দিবেন।
আমি রেফারেন্স হিসাবে এই গ্রন্থের কথা বলছিলাম, কারণ supernaturally এই গ্রন্থ অদ্যবধি edit হয়নি। এই বিষয়টার ব্যাখ্যা আশা করবো।
জানার আছে অনেক কিছু ...
কথাটা ১০০% মানুষ সত্য বলে মানেনা। কুরআন লিপিবদ্ধের ইতিহাস ঘাটলেই দেখা যায়, কুরআনও এডিটেড হয়েছে। যেটা ধর্মপ্রান মুসলমানরা কখনওই মেনে নেবে না। 😀
আপনি আমারে এডিটের আগেন কুরান আর এডিটের পরের কুরানের কপি দেখান।
সবকিছুই তো তুমি না দেখে বিশ্বাস করতেছ। এটাও করে ফেলো 😀
😀 😀 😀 😀 দোস্ত কমেন্ট অফ দি ইয়ার।
------------------------------------------------------------------
কামলা খেটে যাই
=))
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
na dekhe bissas korte hole or pochonder jinis korbe, tomar pochonder ta keno? R tomra to na dekhe bisssas koro na, eta ki kore korle?
ছোট ভাই টার্কি তে সবচেয়ে পুরান কুরানটা আছে সেটার প্রচুর ছবি নেটে পাওয়া যায়, আর্টিকেলও পাবা সেটা সম্পর্কে। পড়ে দেখো।
এখন যেই কুরান দেখো এটা ১৯২৪ সালে মিশরে কম্পাইল করা হইছে। তার আগের ভার্সন গুলার সাথে বর্তমানটার পার্থক্য আছে।
আর তোমার কথা শুনে মনে হইল তুমি পোস্ট ঠিক মত পড় নাই। কিছু কিছু আবেগাক্রান্ত মনে হল। নিষ্ঠুর এবং পক্ষপাতহীন যুক্তিতে না আসলে এরকম আলোচনা করা যায় না, কিন্তু তুমি তো এমনই থাকবা কি আর করা 😀 😀
------------------------------------------------------------------
কামলা খেটে যাই
হোসেন :clap:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রায়হান
:clap:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমেরিকায় সম্প্রতি অ্যাফিলিয়েশনবিহীন অনেক বিশ্ববিদ্যালয় চালু হয়েছে যারা ধর্মভিত্তিক ক্যাথলিক বা ইভ্যাঞ্জেলিকাল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়ে থাকে। তুমি এসব ইউনির কথা অবশ্যই বলছো না কেননা তাদের ডিগ্রি বা গবেষণার এমনিতেই কোন গ্রহনযোগ্যতা নেই। মূ্লধারার কোন ইউনি যদি থিওলজি ও কম্পারেটিভ রিলিজিয়ন স্টাডি করেই থাকে তারা সেটা করে সম্পুর্ণই সেকুলার মানসিকতা নিয়ে। কে কি বলছে তা জ্ঞান না, জ্ঞান হচ্ছে পিয়ার রিভিউড জার্নালে কি প্রকাশ হচ্ছে? তোমার কি মনে হয় কম্পারেইটিভ রিলিজিয়নের একটা জার্নালে কোন প্রফেসার কোরান কিভাবে লেখা হয় এটা গবেষণা করে এই ফলাফল প্রকাশ করতে পারে যে "অদৃশ্য ডানাওয়ালা ফেরেস্তা কর্তৃক কোরান পৃথিবীতে আসে যার রচয়ীতা আল্লা?" হেল! নো। তাকে গবেষণা করতে হবে কোরানের রচয়ীতা আসলেই কারা ছিলো, তারা কোন জাগার লোক ছিলো, কিভাবে তারা এটা লিখেছিলো ইত্যাদি। তাদের গবেষণা হতে হবে তথ্যনির্ভর, অনুমাননির্ভর নয় কখনোই। অ্যাকাডেমিয়াতে তুমি যাই বলো না কেন তোমার বক্তব্য এভিডেন্স দ্বা্রা সাপোর্টেড হতে হবে। বুজরুকী কোনকিছু তুমি বলতে পারো না, বললেও সেটা প্রকাশ হবে না গদাধর পিয়ার রিভিউ পদ্ধতি আছেই এজন্য।
কোরান থেকে পাওয়া বিষয় মিথ্যা প্রমান করতে পারেনি? get a gun and shoot me. কোরান অনেক ডেমনস্ট্রেবলি ভুল ক্লেইম নিয়ে এসেছে, যেগুলো আমরা জানি সোজা কথায় সম্ভব নয়। যেমন- আদম হাওয়ার মিথ, নুহের প্লাবপ্নের মিথ, ছয়দিনে বিশ্বসৃষ্টির মিথ ইত্যাদি। অনেকগুলো প্রেডিকশনই করেছে যেগুলোর সবগুলোই কিনা প্রাচীন গ্রীক স্কিপচারে বদৌলতে আমরা আরও একহাজার বছর আগে থেকে জানি। সেলেস্টিয়াল অবজেক্ট প্রদক্ষিণ করছে, পৃথিবীতে পতিত উল্কাসমূহ আয়রণে রিচ, এম্ব্রিও নিয়ে কিছু কথা বলেছে ডেভেলপমেন্টাল বায়োলজি যদি পড়ে থাকো দেখবে এটা ক্লাস টুয়ের একটা বাচ্চার এই বিষয়ে জ্ঞান থেকে মোটেও কিছু বেশী নয়। কোরান যা বলেছে এটাকে তিনভাগে ভাগ করতে পারো- ডেমনস্ট্রেবলি ভুল বৈজ্ঞানিক ক্লেইম, গ্রীক স্ক্রিপচার থেকে চুরি করা সঠিক বৈজ্ঞানিক ক্লেইম ও দ্বিতীয়শ্রেণীর শিশুর বোঝার উপযোগী কিছু মামুলী জ্ঞান। তোমার আল্লা যদি আসলেই অনেক কিছু জানতো কোথায় সে আমাদের বলবো হিবার্স প্রসেসের কথা বা কেমিকাল বন্ডের কথা বা এটমিক থিওরির কতা বা মাইক্রোওর্গানিজমের কথা, ভাইরাস-ব্যাক্টেরিয়ার কথা, কাইনেটিক্স-ডায়নামিক্সের কথা? এগুলো একএকটি যদি কোরান মানুষের আগে উতঘাটিত করতে পারতো আমাদের সভ্যতা একহাজার বছর করে করে আগিয়ে যেত। আমি বলবো যদি তুমি বিশ্বাস করতেই চাও করো। কিন্তু, এমন ক্লেইম নিয়ে এসো না যে তোমার প্রস্তরযুগীয় অর্ধশিক্ষিতি লোকজনদের দ্বারা লেখা বইটি বিবিধ কেরামতীতে ঠাঁসা। আমার পোস্টের ১৪ নাম্বার প্যারা দেখো।
তুমি নিশ্চয়ই আশা করো না যে সুপারন্যাচারালি একটা গ্রন্থ পুনঃসম্পাদনা হতে পারে, করো কি? নাকি তোমার ধারনা যে কোরানই পৃথিবীর একমাত্র ধর্মগ্রন্থ যেটা কখনোও পুনঃসম্পাদিত হয়নি? what about এন্সিয়েন্ট হিন্দু স্ক্রিপচার? তোমার কোরান আছে দেড় হাজার বছর ধরে আর ভেদ লেখা খৃষ্টপূর্ব দেড়হাজার বছর আগে। তোমার কোরানে ভার্স সাড়ে ছয় হাজার। আর মহাভারতে ভার্স একশো হাজার, রামায়নে চব্বিশ হাজার, ভেদ, সমহিতা, পুরানা এগুলোর কথা ছেড়েই দিলাম। তোমার এক কোরানে যত ইনফর্মেশন আছে তারচেয়ে কতগুন বড় হিন্দু স্ক্রিপচার চিন্তা করো। তোমারটা দেড়হাজার বছরে এডিট হয়নাই আর তাদেরটা যে চারহাজার বছরে এডিট হয়নাই? কি মনে কর যে তুমি এটার কারণ? হিন্দুরের গডই তাহলে আসল গড? না। কারণটা হচ্ছে, প্রথমত হিন্দুদের অনেকগুলো বড় বড় ধর্মীয় নেতা আছে আমাদের জুডেও ক্রিশ্চিয়ান ধর্মগুলোর মতো ওদেরটা একনেতা ভিত্তিক না। দ্বিতীয়ত তারা যেহেতু অনেক পুরোন তারা সময়ও পেয়েছে অনেক বেশী এজন্যই তাদের স্ক্রিপচার সাইজ এওত বড়। বেশী কথা বলেছে বলে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষতি সেটা করেছে জুডেওক্রিশ্চিয়ান ধর্মগুলোর চেয়ে অনেক অনেক গুন বেশী। তবে কিছুটা কাজ তারা করেছে। কার্ল সেগানের কসমস দেখে থাকলে দেখবে তারাই প্রথম সম্ভবত গ্রীকদেরও আগে বৈইজ্ঞানিক উপায়ে অ্যাস্টোনমি স্টাডি শুরু করে। জুডেওক্রিশ্চিয়ান ধর্ম এক্যেমন ইসলাম, ক্রিশ্চিয়ানিটি ও জুডেইজম ধর্মগুলোর দিকে তাকিয়ে আমি অবাক হয়ে যাই। এরা কোন কাজের কাজই করেনি। হগর-বগর করে করে ধর্ম হয়ে উঠেছে। এই ঘটনায় মজা পেয়েই সুপারম্যানের অ্যামালজিটা প্রথম আমার মাথায় আসে। প্রতিটি ধর্মগ্রন্থই দেখে থাকবে ওই ধর্মের সবচেইয়ে বড় নেতৃত্ব মারা যাওয়ারও অনেক অনেক পরে লেখা। কোরানের রচয়িতারা কোরান লেখার পর রাষ্ট্রীয়ভাবে একটি কপিকেই গ্রহন করা হয় জেনে থাকবে অন্যান্য কপিগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়।
গবেষণা করতে দোষ কি? আর গবেষণা করার আগেই যদি ডিসিশন নেয়া থাকে তাহলে তো ভিন্ন ব্যাপার।
রাহাত, আমি তোমার সাথে একমত. এই ধরনের লেখার উত্তর অনেক সময় নিয়ে দিতে হবে . সেই সময় টা এখন নেই. তবে আমি একটা লেখা পোস্ট করব শীঘ্রই. আমি জানিনা লেখক কি করে, তবে একজন মেডিকেল সাইন্স এর ছাত্র হিসেবে আমি এইচ আই ভি সম্পর্কে অনেক কিছুই জানি.
কোনো কিছু নিয়ে বিতর্কে যেতে হলে দুই দিক টা সম্পর্কেই ভালো জানা থাকতে হয় . নাস্তিকতা নিয়ে লিখতে হলে ধর্ম সম্পর্কে আগে জানতে হবে. আমার মনে হয়. লেখক ধর্ম নিয়ে কোনো নলেজ না নিয়েই রায় দিয়েছেন নাস্তিকতার পক্ষে.
তাইলে কি প্রথমে জাকির ভাই হইয়া পরে নাস্তিক হইতে হইবো?
ভালো কইরা ধর্ম জানা বলতে কি বুঝায়?
তাইলে তো আবার মাদ্রাসায় গিয়া ভর্তি হইতে হইব।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
=)) =)) =))
তুমি গেছো
স্পর্ধা গেছে
বিনয় এসেছে।
আপনার সব লেখা সময় করে একদিন পড়ে ফেলতে হবে...একটু টাইম নিচ্ছি...প্রিয়তে!
People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.
😀 ধন্যবাদ।
তোমার লেখাটা পড়লাম। তথ্যের ভিত্তিতে যুক্তি প্রয়োগের বা অন্য কথায় বলতে গেলে তোমার স্বাধীন চিন্তাভাবনার দার্শনিকতা প্রকাশের যে কারুকার্যময়তা - সেটা প্রশংসার দাবী রাখে।
আকাশ থেকে দেখা মানবসভ্যতার জোনাকীসজ্জা যেমন তোমার মানসজগতটাকে ইন্ডিপেন্ডেন্ট থেকে ইন্টারডিপেন্ডেন্টে নিয়ে গেল - এখাবে তোমার পরবর্তী লেখায় মানসজগত বা দর্শনত্ত্বের কি কি বিবর্তন ঘটে সেটা পড়ার আগ্রহ রইলো।
সর্বোপরি এতটুকু একটা ছেলের এতো উচ্চমার্গের দার্শনিকতার স্বকীয়তা বলে দেয় যে তুমি দলছুট কেউ।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
এতটুকু একটা ছেলে?!!!!! ওয়েল, হতে পারে আমার জন্মেরও একবছর আগে থেকে আপনি ক্যাডেট। আর, না দলছুট হতে চাই না। বুদ্ধিসম্পন্ন বিবেকবান মানুষের দলেই থাকতে চাই। একটাই ভয়, এন্টিসোস্যাল ভার্মিন হিসেবে যেন নিজেকে কখনও প্রমান না করি।
"এতটুকু একটা ছেলে" - কথাটা এসেছে লেখাটায় লেখকের মানসিক বিবর্তনের যে দেরী দেখলাম তার পরিপ্রেক্ষিতে। আরো আগে যদি ইন্টারডিপেন্ডেট প্যারাডাইমে প্রবেশ করতে তাহলে এ কথাটা এতো সহজে আমি লিখতাম না।
আমি কারুকার্যে মুগ্ধ হয়েছি, অনেক তথ্যের সমাহার যে লেখকের নিউরনে জমা হয়েছে তা বুঝেছি, কিন্তু ফিলসফিক্যাল জ্ঞান অপরিপক্ক লেগেছে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
একটা সময় ছিলো যখন ফিলসফিকাল জ্ঞান ও বিজ্ঞান দুটোই দরকার ছিলো পৃথিবীর অনেক কিছু ব্যাখ্যা করতে। সে দিন বদলেছে, বিজ্ঞান এতো দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে যে ফিলোসফি অনেক দিন আগেই সেই তাল হারিয়েছে। নাথিং এর সংগা দিতে গিয়ে সক্রেটিস বলেছিলেন "নাথিং হলো সেই জিনিস যা একটি পাথর স্বপ্নে দেখে", এইদিকে লরেন্স ক্রাউস দেখিয়েছে নাথিং এ সবচেয়ে শক্তিশালী জিনিস। আমরা এখানে এসেছি কারন এই "নাথিং"। এখন বিজ্ঞানের ব্যাখ্যায় ফিলোসফি কেউ আর খুঁজে ও দেখেনা, দেখে এভিডেন্স!
It is sad that science still can't explain everything around us! And truth of science gets changed when a new truth is discovered/proved by science!
এন্টিসোস্যাল ভার্মিন হিসেবে ইতিমধ্যেই নিজেকে প্রমান করেছেন
তাই নাকি ভাইজান? আপনে ক্যাডা? 😀
ক্যাডা
ক্যাডা
ক্যাডা???
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আপনার সমস্যা কি বলেন ভাই। শুনি।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
প্রথমেই বলে রাখি, ব্যক্তিগতভাবে আমি মরমিয়া/সুফিবাদে বিশ্বাসী। ধর্ম মানেই যে মারামারি-হানাহানি, স্রষ্টার cruelity মরমিয়া/সুফিবাদে তা নাই। যেহেতু পুরোপুরি বিশ্বাস আমার নাই, কাজেই আমি agnostic, কারণ স্রষ্টাকে অবিশ্বাস করার ধ্রুব কোন প্রমাণও আমি পাই নাই।আমি সংশয় বলতে বুঝি- প্রচলিত যে কোনো মত ও পথ নিয়ে প্রশ্নমুখর থাকা।
নাস্তিক = ন+অস্তি+ইক।
ন = নঞর্থক, নাই, প্রয়োজন হয় নাই।
অস্তি = অস্তিত্ব, ভৌত জগত, প্রকৃতি ইত্যাদি।
ইক = মতবাদী, মতবাদ পোষণকারী।
একেবারে শাব্দিক অর্থের বিশ্লেষণে নাস্তিক বলতে এমন মতবাদে বিশ্বাসী ব্যক্তিদের বুঝায় যার মনে করেন এই ভৌত জগত বা প্রকৃতিকে 'অস্তিতে' আসবার 'প্রয়োজনই' হয় নাই।
ভৌত জগতের অস্তিত্ব অনাদিভাবেই ছিল। অস্তিত্বর কোনো সূত্রপাত হয় নাই। অস্তিত্বই সংয়ম্ভূ। ইত্যাদি ইত্যাদি .. ব্যাপারটি এখনো আমার কাছে ক্লিয়ার না।
আমি সুফিবাদ বা মিস্টিসিজমের সাতে ধর্মের তেমন কোন ভেদাভেদ খুজে পাইনা। তুমি কি সাইন্টোলজির নাম শুনেছো? এটাকে অনেকটা সুফিবাদের সমার্থক বলতে পারো। সুফিবাদ এবং সাধারণ ধর্ম দুটোকে আমি একই কাতারে ফেলবো কেননা এরা আমাদের কিছু দেয়না। এরা এইচ আই ভি প্রোটিয়েস দেয় না বা হাইবার্স প্রসেস দেয়না। এটা শুধু একটি জিনিষই দেয় কিছু মানুষকে মানসিক প্রশান্তি। আমার এই পোস্টের মতের সাথে যদি তুমি একমত পোষণ করো তবে সেই ডিলুশ্যনাল প্রশান্তিরও কোন দরকার তোমার কাছে থাকবে না। তুমিও ধর্ম বা সুফীবাদকে আস্তাকুঁড়ে ছুড়ে ফেলতে পারবে। এটাই ছিলো আমার এই পোস্ট লেখার উদ্দেশ্য। তোমার এই দাবী সত্য যে সুফিবাদ অধিকার হরণ কিছুটা কম করে।
কিভাবে পাবে? স্রষ্টাতো অদৃশ্য সুপারম্যান, কোনভাবেই ই তার কোন প্রমান পাওয়া সম্ভব না। আমার পোস্টের তৃতীয় প্যারাটা পড়ো। চলো দেখি আরেকটি জিনিস যার কোন প্রমান পাওয়া সম্ভব না। উইকি করো রাসেল'স টিপট। বার্ট্র্যান্ড রাসেলের অ্যানালজি এটা। মনে কর তোমাকে বলা হলো শনি আর বৃহস্পতির কক্ষপথের মাঝে সূ্র্যকে প্রদক্ষিণরত আছে একটি চায়না টিপট, তুমি কি এটা বিশ্বাস করবে বা এটার অনস্তিত্ব ঘোষণা করতে কোনরকম দ্বিধা করবে? করলে কেন করবে, তুমি তো এটা অপ্রমান করতে পারো না এমন কোন টেলিস্কোপ আমাদের নেই যেটা দিয়ে কিনা আমরা দেখতে পারি যে আসলেই ঐ টিপট আছে কি নেই। তুমি যদি টিপটে অবিশ্বাসই করো সেটা তুমি করবে কারণ, তুমি জান জগতটা কি এবং কি করে এটা কাজ করে, রাইট? যেই কারণে তুমি অ্যাটিপটিস্ট, সেই একই কারণে আমি অ্যাথেইস্ট।
নাস্তিক শব্দটির যেই কয় ভাষায় যেই কয়টি প্রতিশব্দ আছে তার সবগুলোই ক্যাটেগরিকালি রিডান্ডেন্ট। আমার পোস্টের চতুর্থ প্যারা দেখো।
আমার কাছে মনে হয় গৌতম বুদ্ধ এই সমস্যার সমাধান ২৫০০ বছর আগেই দিয়ে গেছেন ।আমরা যদি দেখেও না দেখার ভান করি, তাহলে কি আর করা যায়।
যাইহোক, গৌতম বুদ্ধকে আপনি কোন ক্যাটেগরিতে ফেলবেন? আস্তিক, নাস্তিক না সংশয়বাদী ?
এইবার নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবেনকি?
১। শূন্য থেকে কোনো কিছু সৃষ্টি হতে পারে কি? সৃষ্টির মূল উপাদানটি কে সৃষ্টি করেছেন বা কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে।
২। প্রাণ সৃষ্টির রাসায়নিক সংঘর্ষ মতবাদটি সম্পন্ন হবার সম্ভাবনা গাণিতিক বিচারে খুবই ক্ষুদ্র একটি সংখ্যা।এর চাইতে সৃষ্টিকর্তার উপস্থিতি কেন অধিক গ্রহণযোগ্য নয়?
৩। বর্তমানে কৃত্রিমভাবে প্রাণ সৃষ্টি করা সম্ভব কি?
৪। ধর্মবিশ্বাস মানুষকে অন্যায় থেকে বিরত রাখতে সাহায্য করে।নাস্তিকতায় কিভাবে তা সম্ভব যদি ঐ ব্যাক্তির তা বিনা বাঁধায় করার ক্ষমতা থাকে?
৫। চূড়ান্ত হতাশায়,জীবন-ধ্বংসী সময়ে একজন আস্তিকের সর্বশেষ অবলম্বন তার ধর্মবিশ্বাস যা বেশীর ভাগ সময়েই তাকে আবার জাগিয়ে তোলে?নাস্তিকতায় এরূপ সম্ভব কি?
৬। কালিক বিচারে মানুষের জ্ঞান এখনো পূর্ণতা থেকে যোজন যোজন দূরে।এই স্বল্প জ্ঞানে স্রষ্টা বিষয়ে কোন নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে উপস্থিত হওয়া যুক্তিসংগত কি?
ধন্যবাদ।
(আমি কয়েকটা কথা বলি, অর্ণব ভাই হয়তো আরও গুছিয়ে উত্তর দিতে পারবেন)
১ ...
শূন্য থেকে কোনো কিছু সৃষ্টি হতে পারে কি? সৃষ্টির মূল উপাদানটি কে সৃষ্টি করেছেন বা কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে।
এক্ষেত্রে আপনার মনে সংশয় আছে যে, শূন্য থেকে কোন কিছু সৃষ্টি হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু এই আপনিই আবার শূন্য থেকে ঈশ্বরের সৃষ্টি ব্যাপারটি মেনে নিয়েছেন (সৃষ্টির মূল উপাদান কে সৃষ্টি করেছেন এই প্রশ্নের মধ্যেই মূলত উত্তর নিহিত। নিহিত উত্তরটি- একজন ঈশ্বর। আমি নিশ্চিত আপনি আল্লাহ কিংবা ভগবানের নাম শুনতে চাননি। যেহেতু ভেতরেই উত্তর আছে, সুতরাং একটা কোন স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রশ্ন হতে পারেনা।)।
২...
সম্ভাবনা ক্ষুদ্র। কিন্তু সেটা একটা সম্ভাবনা। আপনি দেখুন বিলিয়ন বিলিয়ন জায়গায় প্রাণের সৃষ্টি হতে পারতো, কিন্তু হয়নি। হয়েছে খালি এই পৃথিবীতে- যেখানে সম্ভাবনা মিলে গেছে। এর চাইতে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব কেন গ্রহণযোগ্য নয়, সেটা বলছি পরে।
৩ ...
খুবই সম্ভব। দেখুন কার্ল সাগানের কসমস সিরিজের ডকুমেন্টারি কিংবা কসমস বইয়ের দ্বিতীয় পর্ব। সেখানে তার কর্ণেল ইউনিভার্সিটির বন্ধু ল্যাবরেটরিতে প্রাণ সৃষ্টি করে দেখিয়েছেন- যে প্রাণ হলো আমাদের প্রথম পূর্বপুরুষ যে অনেকটা এককোষী ব্যাকটেরিয়ার মতো।
৪ ...
প্রতিদান পাওয়ার লোভে আপনি যদি ভালো কাজ করেন কিংবা শাস্তির লোভে যদি খারাপ কাজ না করেন তাহলে আপনার নৈতিকতার উপর আপনি অপমান করছেন। কারণ কোন কিছুর আশা না করে ভালোকাজ করার মাধ্যমেই আসল সুখ নিহিত। কিছু হবেনা জেনেও খারাপ কাজ না করাটাই আসল মাহাত্ম্য। যাদের ভালো কাজ করানোর জন্য এবং খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য ঈশ্বর নামক জুজুর ভয় দরকার তাদের আমি নিন্মস্তরের বলতে দ্বিধাবোধ করবো না। ধর্ম আমাকে কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ শিখায় নি। আমি নিজের বিচার বুদ্ধিতেই শিখতে পেরেছি। এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা পাবেন- মোহাতার হোসেন চৌধুরির লেখা, সংস্কৃতি কথা ও সভ্যতা বই দুটি পড়ে দেখতে পারেন।
৫...
না। নাস্তিকতায় এটা সম্ভব না। তবে নাস্তিকদের জন্য এটা খুব জরুরি কিছু না। কারণ তারা জানে তাদের একটাই জীবন। এই জীবনে দুঃখ, হতাশা এই সব সুপারফিসিয়াল জিনিসপাতি নিয়ে টাইম নষ্ট করার কোন মানে নাই। জীবনকে উপভোগ করে যেতে হবে, আনন্দে থাকতে হবে।
বিজ্ঞান স্রষ্টা বিষয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়নি। উপনিত হয়েছেন আপনারা।
ধার্মিকরা যেই জিনিসের ব্যাখ্যা পাচ্ছেনা, সেখানেই বসিয়ে দিচ্ছে ঈশ্বরকে। যা মূলত জ্ঞানের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করে। বিজ্ঞান যেই জিনিসের উত্তর পাচ্ছেনা, তা ঈশ্বর করেছে বলে বসে না থেকে কার্যকারণ বের করার চেষ্টা করছে। এই কারণেই সমাজের উন্নতি হচ্ছে।
তবে হ্যাঁ। কোনদিন যদি বিজ্ঞান ঈশ্বরকে দেখতে পায়, নির্দ্ধিধায় সেটা মেনে নেবে। এখানেই ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের পার্থক্য।
৩।কৃত্রিমভাবে প্রাণ তৈরি ইতোমধ্যে হয়া গেছে।
সত্য আমরা অনেক কিছুই জানিনা। তবে এরচেয়ে বড় সত্য হলো অনেক কিছুই আমরা আবার জানি। অনেক কিছুর স্ব্পক্ষেই আমাদের কনক্লুসিভ এভিডেন্স আছে। আমরা গ্র্যাভিটি সম্পর্কে, রিলেটিভিটি সম্পর্কে, সেন্ট্রাল ডগমা সম্পর্কে, মেন্ডেলিয়ান জেনেটিক্স সম্পর্কে অনেক কিছুই জানি। এই জ্ঞান হচ্ছে আমাদের এই সিদ্ধান্তে পৌছার ভিত্তি যে- পৃথিবীটা কি করে কাজ করছে। এখানে যে কিছু ল'জ কিছু পদ্ধতি আছে আমরা জানি। আমরা আরও জানি সুপারন্যাচারাল বলে কিছু নেই। এটা কনক্লুসিভলি জানা সম্ভব না কেননা সময় নিত্য প্রবাহমান। ভবিষ্যতে যদি সুপারন্যাচারালের কোন এভিডেন্স উপস্থিত হয় হতেই পারে। তবে, সাত হাজার বছরে যেহেতু হয়নি- আমাদের আত্নবিশ্বাসী হওয়াটা মোটেও অযৌক্তিক না যে সুপারন্যাচারাল বলে আসলেই কিছু নেই। এই দুটা জিনিষের উপর ভিত্তি করেই আমি ঈশ্বর সম্পর্কে সিদ্ধান্তে উপনীত হই, যে- না, এটা সম্ভব না। আমরা অনেক কিছু না জানতে পারি তবে, এতটুকু সিদ্ধান্তে পৌছানোর জন্য যথেষ্ট জানি, এটাই আমার মতামত। আমাদের যতটুকু অনাবিষ্কৃত সেটাকে আমি কখনোও প্রস্তরযুগীয় যাদু-টোনায় বিশ্বাসীদের কল্পনাবিলাসের দূ্র্গ বানাতে দিতে রাজী না।
হেল, ইয়েস!!! আমি জানি আমার জীবন কি, কতগুলো প্রায় অসম্ভব ঘটনা একসাথে ঘটার ফলাফল এটা। এটাই আমাকে আমার মানবজন্মের প্রতি ধন্য করে তোলে। এটার জন্যই হোইগান প্রোব টাইটানে নামলে গর্বে আমার বুক ভরে যায়, রাতের ইউরোপের বার্ড আই ভিউ আমাকে নতুন করে জাগিয়ে তোলে, আগুনের শিখায় আমি দেখি কেমিস্ট্রি, ম্যাথমেটিক্স আর থার্মোডায়নামিক্সের নৃত্য, একটি নতুন জিনোম জিনব্যাঙ্কে জমা হলে তাতে আমি দেখি এক মিলিয়ন বছর ভবিষ্যতের অপার সম্ভাবনা। আমি জানি যে, এটাই আমার একমাত্র সৌভাগ্য এবং একইসাথে দূর্ভা্গ্য যে- ২.১% ব্রেইন টু বডিম্যাস রেসিও নিয়ে যেই আমি মানুষ ৭০ কি ৮০ বছরের মধ্যেই এটা পচে গিয়ে হতে যাচ্ছে একস্তুপ হাইড্রোজেন। আমি জানি কতটা অল্প সময় এটা। এই অল্প সময় আমার আর কোন অর্জন যদি এমনকি নাও থাকে আমি অন্তত এতটুকু বুঝে মরতে চাই যে, কি ছিলাম আমি, কিভাবে ছিলাম, কোথায় ছিলাম, যেখানে ছিলাম সেটা কিভাবে কাজ করে ইত্যাদি। মজার ব্যাপার হলো আমাদের সভ্যতার অনেক সদস্যদের এই আকাঙ্খাই কিন্তু আজ আমাদের দিয়েছে মোবাইলফোন, এভিয়নিক্স, স্যাটেলাইট, ওয়েস্টার্ন ভ্যালু, হিউম্যান রাইটস, ফার্স্টওয়ার্ল্ড সিভিলাইজেইশনের আরো অসংখ্য কম্ফোর্ট। যখন আমার কোন নিকটাত্নীয় মরে যায়- শোকে মগ্ন আমি এক মিনিটেই রিকভার করি এটা ভেবে যে এই এক মিনিটে পৃথিবীতে মারা গিয়েছে আরও ৩৭ জন যারা সবাই ই কিনা আমার মত কারও না কারো প্রিয়জন। কি বলছো তুমি আস্তিকতার সর্বশেষ সম্বল ধর্মবিশ্বাস? প্রস্তরযুগীয় মরুভূমির মানবতাহীন ঈশ্বর যদি কারও এতটাই পছন্দের হয় আমার পছন্দ তার চেয়ে অযুত- লক্ষ গুন পবিত্র ও মহান "মানুষ"- এর অর্জন, এর ইতিহাস, এর কার্যপদ্ধতি এবং এর অবারিত সম্ভাবনাময় ভবিষ্যত। কারো পূজা করেই যদি আমার self gratification পেতে হয় পূজার জন্য আমি বেছে নেব তাদেরই যারা সৌরজগতের বাইরে প্রোব পাঠিয়েছে, জিনোম সিকোয়েন্স করেছে, পার্টিকেল এক্সেলেটর বানিয়েছে, সেন্ট্রাল ডগমা উদঘাটন করেছে ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার পূজনীয় বাঁচাচ্ছে জীবন যেখানে তোমার পূজনীয় প্রথমত কিছুই করছে নাঃ আর করে থাকলেও মানুষের অধিকার হরণ করছে, বোরখা পড়াচ্ছে, বোমা ফুটিয়ে মানুষ মেরে বেহেস্ত বেচছে, দোজখের ভয় দেখিয়ে সাইকোলজিকাল টর্চার করছে, পঙ্খীরাজ ঘোড়ায় চড়ে লোকজনকে যাদুকরী ভ্রমনে পাঠাচ্ছে ইত্যাদি। এটাই আমার সন্তুষ্টির উৎস যখন কিনা আমি নতুন একটা কিছু পড়ি, বুঝি ও জানি, নতুন একটা সুর সৃষ্টি করি, নতুন একটা জায়গা ভ্রমন করি, নতুন রমনীর হাত চেপে ধরি, নতুন একটা কিছু ভেবে বের করি ইত্যাদি। আমার সময়টুকুকে আমি জীবনের জোয়াড়ে ভাসিয়ে দিতে চাই, শুধুমাত্র এই একটা দিকেই অসংখ্য ভুল আর ভ্রান্তি নিয়ে হলেও আমার শৈশব থেকে আমি সফল। জীবন একটাই। তাই, এই একটা জীবন আমি বাঁচতে চাই অন্য কিছু করতে নয়। I want to live a life and I'm serious about it.
ভুল তথ্য। ইউরোপে অর্ধেকেরও বেশী মানুষ ধর্মহীন। তোমার ধার্মিক সৌদিআরব, ইরান আর বাংলাদেশে কি ইউরোপের চেয়েও কম ক্রাইমরেইট তুমি ক্লেইম করতে চাও?
২০০২ সালে আমরা ল্যাবে প্রথম ভাইরাস তৈরী করেছি। ২০২০ সালের মধ্যে প্রথম প্রোক্যারিয়োট তৈরী করতে যাচ্ছি। আর এরপর হয়তো আমরা ল্যাবে তৈরী করবো ইউক্যারিয়োটও এবং বায়োসাইন্স যেই গতিতে আগাচ্ছে আমি মনে করি আমাদের জীবদ্দশায়ই আমরা ল্যাবে শুধু মাল্টিসেলুলার অর্গানিজমই নয় বরং ইন্টেলিজেন্ট মাল্টিসেলুলার অর্গানিজমও তৈরী করতে যাচ্ছি। তুমি প্রাণকে একটা যাদুকরী বুজরুকী জিনিষ ঠাওরে বসে আছো। অথচ প্রাণ হচ্ছে পৃথিবীর পরিবেশে রসায়ন তার উৎকর্ষের শীর্ষে। সবই রসায়ন কোন যাদু নেই, ইন্দ্রজাল নেই, মন্ত্র নেই। শুধুই রসায়ন। আমার পোস্টের ১৫ নম্বর প্যারাটা দেখো। এমনকি আমাদের কগনিশনও হচ্ছে একটি রাসায়নিক বা বৈদ্যতিক ঘটনা।
তুমি যেই সম্ভবনাগুলো দেখে এসেছো সবগুলোই ক্রিয়াইশনিস্টদের গননা করা সম্ভবনা এবং বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই নম্বরগুলো বানানো, মনগড়া। তোমাকে জানতে হবে প্রথমে সম্ভবনা কিভাবে ক্যালকুলেট করা হয়। একটি ১০x১০ গ্রীডের একটি নির্দৃষ্ট সেলে একটি নির্দৃষ্ট অবজেস্ট স্থাপিত হওয়ার সম্ভাবনা একশো ভাগের এক। একইসাথে দুইটি নির্দৃষ্ট সেলে দুইটি নির্দৃষ্ট অবজেক্ট স্থাপিত হওয়ার সম্ভাবনা একশো স্কয়ার বা প্রায় দশহাজার ভাগের এক। তিনটি নির্দৃষ্ট সেলে একইসাথে তিনটি নির্দৃষ্ট অবজেক্ট স্থাপিত হওয়ার সম্ভবনা প্রায় এক মিলিয়ন ভাগের এক। রাইট? এখন ভাবো একটুকরো পাথর যার এরকম ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন নির্দৃষ্ট পজিশনে স্থাপিত আছে এরকম ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন নির্দৃষ্ট পরমানু। কত এর সম্ভাবনা? প্রায় অসম্ভব? তাই বলে কি তুমি দাবী করবে একজন পাথর মেকিং গডের প্রয়োজনীয়তা? একটি বস্তু উপর থেকে ছেড়ে দিলে উলম্বভাবে তা নীচদিকে পড়বে এর সম্ভাবনা কত? এক, রাইট? এখন তুমি যদি গ্র্যাভিটিকে পুরোপুরি ইগনোর কর তাহলে এর সম্ভাবনা প্রায় অসম্ভব। একইভাবে পৃথিবীতে প্রাণের সম্ভাবনা হিসেব করতে যদি তুমি অ্যাবায়োজেনেসিস পুরোপুরি ইগনোর কর, তোমার ফলাফলে প্রাপ্ত সম্ভাবনা হবে ঐ প্রায় অসীম। খেয়াল করো প্রাণের সম্ভবনার কথা শুধু তুমি শুনে থাকবে ধর্ম নামক সাপের তেল ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকেই। কখনও কোন সত্যিকারের কেমিস্ট বা বায়োলজিস্টের কাছ থেকে নয়। কোন পিয়ার রিভিউড পেপারেও তুমি এই ক্যালকুলেশন পাবে না। প্রাণের সম্ভাবনার হিসাব একটি ভুয়া হিসাব এবং একটি অসততাপূর্ণ মিথ্যাচার যা কিনা তথ্য সংগ্রহের আগেই সিদ্ধান্তে উপনীত হবার নামান্তর। আর হ্যা অ্যাবায়োজেনেসিসে রাসায়নিক সংঘর্ষ নামক কোন মতবাদ নেই। বিজ্ঞানে যা খুশী তা বলা চলা না যতক্ষণ না তোমার দাবী তুমি এভিডেন্স দ্বারা সাসটেইন করতে পারছো।
হ্যা পারে, পার্টিকল এক্সেলারেটরের নাম হয়তো শুনে থাকবে বা হেড্রন কোলাইডার। এটা এই পদ্ধতিতেই কাজ করে থাকে। এটা এনার্জিকে ম্যাসে রুপান্তর করে অনেকটা পারমানবিক বোমা যেভাবে কাজ করে তার বিপরীতভাবে। আর শূণ্য থেকে কোনকিছু সৃষ্টি যদি হতে নাই পারে, শূণ্য থেকে কোনকিছু সৃষ্টি হতে যদি একজন আল্লা লাগে সেই আল্লাও তো তাহলে শূণ্য থেকে সৃষ্টি হতে পারে না তাই না? সেই আল্লাকে শূণ্য থেকে কে বানলো? আরেকজন বড় আল্লা। এভাবে কি তুমি ক্রমান্বয়ে বড় বড় আল্লার এক এন্ডলেস লুপ চালাতে চাও?
ইসসস...এতো বড় লেখাটা লিখতে যেয়ে কত ম্যানআওয়ার না নষ্ঠ হলো... আমিও আরো কিছু ম্যানআওয়ার নষ্ঠ করে আরো ভাল ভাবে পড়ে মন্তব্য করার চেষ্টা করবো।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
হুম্ তাই করুন। একশো ম্যানআওয়ার নষ্ট করে যদি একহাজার ম্যানআওয়ার বাঁচানো যায় তবে মন্দ হয়না এই উপলব্ধি থেকেই লিখলাম। আর, ভালো আছেন নিশ্চয়ই।
অর্নব ভাই লেখাটা পড়লাম। এখানে সেদিনের তিনঘন্টা গাড়ি ভ্রমণের সময় আলোচনার বেশ কিছু জায়গা উঠে এসেছে।
শুরুতেই একটা কথা বলতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু খেলা দেখায় ব্যাস্ত থাকায় মন্তব্য করতে পারিনি। আর তা হলো, নামাজের উদাহরণটা খেলো হয়েছে। আমি ব্যাখ্যা করে বোঝাতে পারি কেন উদাহরণটা যুতসই হয়নি, কিন্তু তার প্রয়োজন মনে করছিনা। শুধু মনে রাখুন, নামাজ ধার্মিকদের একধরণের প্রশান্তি লাভের উপায়। মানুষ সারাদিন কাজ করেনা, তার একটু আধটু অন্য কাজের দরকার হয়।
যাই হোক, তবে আপনার কথাও সঠিক হবে অদূর ভবিষ্যতে। বিবর্তনের পথ ধরে আমরা যখন আরও সামনে এগিয়ে যাবো। তখন আমাদের এই সামান্য ম্যান পাওয়ারও বিশাল একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে, এখন নয়।
অন্ধবিশ্বাসের ব্যাপারটার কারণটা জেনে ভালো লাগলো। অন্ধবিশ্বাস ছাড়া আসলে আমাদের বেঁচে থাকাটা কন্টকপূর্ণ হতো, এবং অন্ধবিশ্বাসের কারণেও কন্টকপূর্ণ হয়েছে।
ধর্মের পোশাক লাগিয়ে যেকোন কিছুকেই জায়েজ করে ফেলা যায়, এইটা খুব দুঃখজনক। আমাদের নবী নিয়ে আমার এইদিকে বেশ কিছু অবজারভেশন আছে- চেপে গেলাম।
সুপারন্যাচারাল কিছু দেখতে মঞ্চায় ...
দুঃখজনকভাবে তোমার এই শখ পুরণ করতে মানবসভ্যতা চিরকালই অপারগ থাকবে। বাই দ্য ওয়ে কিছু হ্যালুসিনোজেনিক ড্রাগ ট্রাই করে দেখতে পারো।
আমাদের নবী হচ্ছে একটা নির্জলা প্যারাফিলিয়াক। তার পিডোফিলিয়ার কথা তো বিশ্বনন্দিত। তবে, ছেলে মজা করে গেছে ভালো। যখনই মন চাইলো একটা বিইয়ে করে ফেললো আর বললো "দেখো এইটা হচ্ছে সুন্নত।"
কেন? নামাযে অপচয় হচ্ছে পাঁচশো হাজার মানবঘন্টা। এর মধ্য থেকে মাত্র ১% বা পাঁচ হাজার মানবঘন্টা আমি ধরেছি ইফেক্টিভ। অন্যান্য খাত থেকে দূ্রবর্তী কোন খাতে মানবঘন্টা আমদানী করতে গেলে সংজ্ঞাগতভাবেই ২০ কি ৩০ পার্সেন্টের বেশী ইফেক্টিভিটি পাওয়া সম্ভব না। সেখানে আমার মাত্র ১% ইফেক্টিভিটির রেইট ধরা কেন অযৌক্তিক?
প্যারাফিলিয়াক আর পিডোফিলিয়ার ব্যাখ্যা দিলে খুশি হবো। হ্যাঁ, তাঁকে
আমি বিশ্বনন্দিত করি অন্তত একটা কারণে যে তিনি বিশৃংখল একটি জাতিকে নেতৃত্ব দিয়ে তাদেরকে সুপ্রতিষ্ঠিত স্থানে দাঁড়া করাতে পেরেছিলেন। যার মূলে ছিলো একটি আদর্শ, একটি বিশ্বাস।
আপনার টাইপের অনেকের সাথেই আমার কথা হয়েছে, আপনিই একমাত্র যাকে আমি পেলাম, নবীর প্রচার করা আদর্শ ওভারলুক করে সরাসরি ব্যক্তিকে টার্গেট করছেন।
নবী এ কথা বলে যাননি যে তোমরাও আমার মতো করে ৪ টা করে বিয়ে করো, বরং তিনি একথা বলেছেন যে, তোমাদের যদি সব স্ত্রীদেরকে সমঅধিকার দেবার সামর্থ থাকে, তাহলে এবং প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ব্যতীত ২য় বিবাহ করাটাকে তিনি নিষিদ্ধ বলে গেছেন।
নবীর অসংখ্য আদর্শের কিছুই আমরা অনুসরণ করি না। উনার স্ট্যাটাস বলার আগে উনার জীবনী ভালোভাবে পড়ুন। আপনার ম্যানআওয়ার নষ্ট হবে না, গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি।
আমার এই বক্তব্যটা প্রফেশনাল হয়নি বুঝতে পারছি। শুধু রায়হানের সাথে কথা বলছি ভেবে অন্যান্যরাও যে এই মন্তব্য দেখবে সেটা ভুলে গিয়েছিলাম। এইজন্যই একটু ঢিলা দিয়ে কথা বলেছি যেটা উচিত হয়নি। তুমি বলছো নবী কি কি ভালো কাজ করেছে। খুবই সত্যি কথা অনেক ভালো কাজই সে করেছে। শুধু সে না প্রত্যেকটি ধর্মীয় নেতাই কিছু না কিছু কাজ করেছে। কিন্তু। তুমিই আবার বলছো নবী যাই করেছে সবই ভালো কাজ। এখানেই আমার সমস্যা। আমার কোন সমস্যাই থাকতো না যদি তুমি বলতে যে, "না একটা মানুষের ভুল হয়েই থাকে। কিছু অনুচিত কাজ ইনি করেছেন বটে কিন্তু, এগুলো তার করা অন্যান্য ভালো কাজগুলো ভয়েড করে দিচ্ছে না।"- কোনই সমস্যা থাকতো না আমার। কিন্তু, তুমি বলছো যে সে যাই করেছে সবই ভালো কাজ এজন্যই আমি বলেছি- যে সে ছিলো পিডোফাইল- নয় বছরের একটা শিশুকে সে বিয়ে করেছে। ধর্মীয় সংজ্ঞায় এটা হয়তো সুন্নত। কিন্তু, এই সুন্নত তুমি যদি উন্নত বিশ্বে কোথাও পালন করতে যাও ব্যাপক সমস্যায় তোমাকে পড়তে হবে। কেননা, এটা অনৈতিক ও বেআইনী।
আমরা সবাই এই কামনাই করি। আপনাকে ধন্যবাদ।
সহমত
আলী তো হনুফাকে বিয়ে করার আগে ফাতেমার পারমিশান নেন নাই।
চাইরখান বিয়া করা যাবে।
সুবহানাল্লাহ।
দাড়ি রাখতে হইলে বউএর পারমিশান লাগে। এখন কথা হইল মুমিন বউ কি মানা করতে পারে দাড়ি রাখার ব্যাপারে?
স্বামীর আরো স্ত্রী দরকার হইলে মুমিন স্ত্রী কি কইরা না করতে পারে? স্বামীর সুখই তো স্ত্রীর সুখ।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আরো ভাল ভাবে পড়তে গিয়ে বিপদেই পড়লাম, আমার সীমিত জ্ঞান দিয়ে অধিকাংশ বিদেশি শব্দের মানেই বুঝতে পারলাম না 🙁 আর লেখা নিয়ে বলতে গিয়ে আমার পুরনো একটা মন্তব্যের কথা মনে পড়ে গেল...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
এটা খুবই স্বাভাবিক। আমারও প্রথম দিকে ঠিক এমনটাই হতো। ব্যার্ট্রান্ড রাসেল আর হুমায়ুন আজাদ পড়ে আমি আরও বেশী ধার্মিক হয়ে উঠতাম। আমি বলবো আস্তে আস্তে এটা কেটে যাবে। এখন আপনি ধর্মের হাস্যকর দিকগুলো দেখে ভীত হচ্ছেন কেননা এটা আপনি আপনার শৈশব থেকে যা শুনে এসেছেন তার সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত। পড়াশুনার বহর বাড়লে এবং এটা নিয়ে গভীর চিন্তায় নিমগ্ন হলে একসময় এটা ওভারকাম করবেন ভীত হওয়ার বদলে তখন ঠিকই হেসে উঠবেন। ততদিন ভালো থাকুন।
আমি ধর্মের হাস্যকর (?) দিক গুলো দেখে ভীত হচ্ছি না, বরং তোমার অনেক কিছুই আমার হাস্যকর লেগেছে (দুঃখিত)।
হুম... ভাল আছি আর এই ভাল থাকাটাই মনে হয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সৃস্টিকর্তাকে অস্বীকার না করেও মনে হয় ভাল থাকা যায়, কি বলো?
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আপনি বস্ মানুষ। :salute: :salute: :salute: । no reason, no argument, no logic, no discourse খালী তোমার অনেক কিছুই আমার হাস্যকর লেগেছে। fantastic fantasy batman যা মন চায় তাই না?
:khekz: :khekz:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
সহমত :khekz:
ঢাকা শহরে ট্রাফিক জ্যামে যত ম্যান আওয়ার নষ্ট হয় আগে তার হিসাব বের করো, তারপর বিশ্বব্যাপী নামাজের মতো আনপ্রোডাক্টিভ খাতে কত ম্যান আওয়ার নষ্ট হচ্ছে তার হিসাব করবা। Charity begins at Home, so start counting what we are loosing now, every single day! Globally people spend more time in ques for bus, movie tickets and so on! why Namaz! If one gets his mental peace in prayers who r u to snatch it away. Are there any one who is snatching away ur guitar because it sounds terrible and u are losing precious man-hour playing this metal c**p!
আপনার মন্তব্যের ইংরেজী অংশের শেষ শব্দটা আপনি জানেন কিনা জানিনা একটি স্ল্যাং। আমার মনে হয় একটি ফর্মাল ফোরামে স্ল্যাং এর ব্যাবহার করলে সেটার সবগুলো বর্ণ না লিখে এমন কয়েকটি বর্ণ লিখে মাঝখানের কয়েকটি বর্ণ উহ্য রাখা যায় যাতে পুরো শব্দটি উচ্চারিত না হয়েও কি শব্দ আপনি উচ্চারণ করতে যাচ্ছেন তা বোঝা যায়। এতে স্ল্যাং ও বলা হয় না আবার নিজ মতামত প্রকাশের স্বাধীনতাও বজায় থাকে। এজন্য আপনার মন্তব্যের শেষ শব্দটি্র দুটি বর্ণ মুছে আমি দুটি * বসিয়ে দিলাম। দয়া করে এটাকে সেন্সরশিপ মনে করবেন না। গনতন্ত্রের ভিত্তিতে অন্যান্যরা যদি এই পদক্ষেপকে অযথার্থ মনে করে আমি এটা মুছে আপনার প্রাক্তন স্ল্যাংটি রিইনস্টেড করবো। ধন্যবাদ।
ও হ্যা আরেকটি ব্যাপার যেটা আগে খেয়াল করিনি। নিঃসন্দেহে আপনার ইংরেজী ফ্যান্টাস্টিক। তবে, any one দুটি আলাদা শব্দ নয় বরং একটি শব্দ anyone. এবং are there any one না বরং হবে is there anyone.
ইংরেজির ভূল ধরিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ। ভাষার কাজ মনের ভাব প্রকাশ করা, ভূল ব্যকরনেও যদি তা প্রকাশ পায় । আর সিসিবি আমার কাছে পরীক্ষার খাতা নয় ।
fantastic defence. :salute: :salute: :salute:
বাহ, তুমি দেখি আজকাল ইংরেজি গ্রামার ক্লাস নিচ্ছো 😀
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
yes, নেই একটু আটটু আরকি। my unpaid voluntary job.
একটু আটটু আরকি :-/ :-/ :-/
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
সবাই একজন বিচারবোধসম্পন্ন বুদ্ধিমান মানুষের লেখা পড়ে ম্যানআওয়ার নষ্ট করছি।
কাজে যাই
আপনি ক্যাডেট না সিভিল জানি না, লগ-ইন করেননি। তবে যাই হোন না কেন নিশ্চিতভাবে বলা যায় আপনি একজন ইম্যাচিউর্ড মনের অধিকারী। আপনি হয়তোবা জানেন না যে, আমরা সিসিবিতে
অ্যাপিল টু রিডিকিউল এবং অন্যান্য লজিকাল ফ্যালাসি ব্যাবহার করে থাকি না। আপনার যদি আসলেই কোন পয়েন্ট উল্লেখ করার থাকে আপনি সেটা করতে পারেন। বাচ্চাদের মতো অবান্তর কথা বলে সময় নষ্ট করবেন না এই আশাই আপনার কাছ থেকে করি।
না না ভাইয়া, এই জিনিসের ভিত্তিকে আপনি যদি overlook করেন তাহলে আরো অনেক wikipedia তৈরি হয়ে যাবে। একসময় মানুষ জানবে না যে, রেনেসার আগেও পৃথিবীতে সভ্যতা ছিলো, এবং তা আমাদের মতো অন্ধবিশ্বাসীদের হাতে গড়া।
তুমি সম্ভবত আমার demographics of atheism যুক্তিটির বিরুদ্ধে এই মন্তব্য করতে চাচ্ছিলে। অবশ্যই ওভারলুক করা হচ্ছেনা। হ্যা রেনেসার পূ্র্বে হয়তো সভ্যতা অন্ধবিশ্বাসীদের হাতেই গড়া। তুমি এখন নিশ্চয়ই বলবে না যে ঐ অন্ধবিশ্বাসীরা এবাদত করে করে ঐ সভ্যতা গড়েছিলো। পিরামিড দেখে থাকো আর যাই ই দেখে থাকো এর কোনটিই ইবাদত করে করে হয়নি। এর সবগুলোর পেছনেই অসংখ্য মানুষের অমানুষীক শ্রম রয়েছে। এবং প্রিরেনেসান যুগে যখন ইউরোপে চলছিলো ডার্ক এইজ তখনকার বিখ্যাত আরব মনিষীদের দ্বারা বায়োসাইন্স, গণিত, রসায়ন লিটারেলি জ্ঞানের বেশীরভাগ শাখাতেই যেই অমূ্ল্য অবদানগুলো রাখা হয়েছে তার কোনটিই এবাদতের ফলাফল নয়, তাদের গবেষণার ফলাফল, তাদের বহু কষ্টের ঘাম ঝরার ফলাফল। অলস বিলাসিতা করে এই অর্জনগুলো অর্জিত হয়নি।
অবশ্যই কোরানে বারবার বলা হয়েছে ইজতেহাদ বা গবেষণার কথা। সেই যুগের গবেষকরা একারনেই গবেষনায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন। উনাদের সভ্যতা বিকাশে ধর্ম পালন বা ইবাদত করা কোন বাধ সাধেনি।
প্রিয় মুহিব,
ভিন্ন নামে বারবার মন্তব্য করার মাধ্যমে - 'কাজে যাই' হচ্ছেনা কিন্তু। অবশ্য আপনার কাজ যদি হয়, ব্লগে ব্লগে ভ্যান্ডালিজম করা তাহলে আমার কিছু বলার নেই। আর অবশ্যই কোন সাইট থেকে কপি পেস্ট করে ইংরেজিতে কোন মন্তব্য করবেন না। এই পোস্টে একটা মন্তব্য আপনি করেছেন- যেটা হুবুহ অন্য একটা সাইট থেকে কপি করা। যেহেতু ইংরেজি কমেন্ট সিসিবিতে গ্রহণযোগ্য নয়, তাই মডারেটররা মন্তব্যটি মুছে দিয়েছেন।
অ্যাথিস্ট হওয়া আপনার নিজস্ব ব্যাপার কিন্তু অন্যের ধর্ম নিয়ে অবান্তর মন্তব্য করা মনে হয় ঠিক না।
এই ব্লগে ধর্মীয় বিতর্ক নিষেধ অথচ আপনারা ধর্ম নিয়ে খেলছেন।অবশ্য এই ব্লগ আপনাদের control এ, যা ইচ্ছা তাই করছেন।
অঃটঃ নিজের মুসলিম নাম দিয়ে IUT তে পড়ছেন। এতই যদি অ্যাথিস্ট হন তাহলে মুছে দিন না মুসলিম নাম, ছেড়ে দিন IUT যেটা OIC এর টাকায় চলে।
মুহিব কিংবা কামরুল কিংবা ipok,
এইতো নিজে নিজে কিছু লিখতে পারছেন। কিপিটাপ!
আইইউটি ছেড়ে দিচ্ছি। ভর্তির সময় ধর্মপ্রান ছিলাম, আর তাছাড়া আমাদের দেশেতো বুঝলেন একটা সময় পর্যন্ত বাবা মায়ের কথাতেই চলতে হয় ... এই কারণে আইইউটি ছাড়া গেলো না। আর আপনি যখন এতো করে বলছেন, তাহলে আর কী করা কালকে থেকে আইইউটি বাদ 😀
আামার কথায় আইইউটি বাদ দেয়ার দরকার নেই (আমার এটা বলা অনুচিত ছিল, দুঃখিত ), অন্যের বিশ্বাসকে শৈল্পিক উপায়ে হেয় না করার অনুরোধ করছি।
ভাল থাকুন।
এই ব্লগ সেন্সরশিপের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে থাকে। ধর্মপ্রচার, ধর্মীয় আলোচনা কোনকিছুই এখানে নিষিদ্ধ না as long as আপনার লেখা একটি নুন্যতম threshold level of sense of analysis বজায় রাখছে, যা মন চায় তাই ই আপনি বলছেন না, কিছুটা রিজন ও এভিডেন্স আপনার দাবীকে সম্পর্থিত করছে। তবে, অবশ্যই অবান্তর কথা এখানে নিরুৎসাহীত হয়। আপনার সাইকোলজি মজা লাগলো যে সেন্সরশিপকে একটা ডিফল্ট অবস্থান ধরে আপনি কি করে আপনার যুক্তি শুরু করলেন। খুবই স্বাভাবিক একটি মুৎসী মুসলিমিস্ট সাইকোলজি। প্লাটোর একটা কথা আছে- একজন ব্যক্তির সফলতার উৎকর্ষ মাপা হয় তার ক্ষমতা দিয়ে সে কি করছে এটা দেখে। আপনাকে দেয়া ব্লগে কমেন্ট করার এই মামুলী ক্ষমতা দিয়ে আপনি প্রথমত লজিক্যাল ফ্যালাসির ব্যাবহার করেছে, দ্বিতীয়ত সেন্সরশিপের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। আর মুসলমানও পোস্টরেনেসান সময় থেকে তার ক্ষমতা দিয়ে কি করেছে? সেন্সর সেন্সর সেন্সর সেন্সর।
আমি ধরে নিচ্ছি আপনি একজন বিবেকবান প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। এই হিসেবেই আপনাকে একটা অনুরোধ করি- বেড়াল সাজবেন না প্লিজ। uhhh...my feelings get hurted. আমার ফিলিংস হচ্ছে "আমাদের অর্জিত জ্ঞান জোবন বাঁচায়" এর বিপক্ষে কথা বললে কি আপনি আমার ফিলিংসে আঘাত করবেন নাকি নিজেকে একটি নির্বোধ, হাস্যকর এন্টিসোস্যাল ভার্মিন প্রমান করবেন? পরিচয় ডিসগাইস করে একাধিক নামে কমেন্ট করে রায়হানের কাছে শোচনীয়ভাবে ধরা খাওয়ার ফলে আপনার অসততার মুখোসটা দিখিনা বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে। আপনি একজন আসত ব্যক্তি যার কিনা পরিচয় ডিসগাইস করার দরকার হয়, ব্লগে ব্লগে ব্যান্ডালিজম করে নিজেকে এন্টিসোস্যাল ভার্মিনও আপনি প্রমান করেছেন নিপুনভাবে। বিশ্বাস করুন আপনার যা বিশ্বাস করতে মন চায়। তবে- বোমা ফুটানো ক্যাটালাইস করে, বোরখা পড়ায়, মানবাধিকার হরণ করে, সভ্যতার অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেয়, আমাদের সময় নষ্ট করে কোন আউটকাম না দিয়েই, ছ্যদিনে পৃথিবী সৃষ্টি, নুহের প্লাবন ইত্যাদি ডেমন্সট্রেবলি ভুল, হাস্যকর দাবী উথ্যাপন করে- এমন একটি ক্ষতিকর প্রস্তরযুগীয় ফ্যান্টাসী কখনও কারও কাছ থেকে কোন প্রশ্নের সম্মখীন হবে না পৃথিবীটাকে এতটা মজাময় একটি জায়গা ঠাওরে বসে থাকলে ভুল করবেন।
@ muhib, সামান্য কঠিন অনুভূতি প্রদর্শনে কাজ হবে না। আপনার basic কত শক্ত, তা যুক্তি দিয়ে প্রদর্শন করুন।
এটা কি বললে তুমি ভাই? কেন বললে? বা বললেই যদি আর কাউকে খুঁজে পেলেনা বলার জন্য, কোন ক্যাডেটকে যে কিনা তোমার মতের সাথে সহমত পোষণ করছিলো? এই এন্টিসোস্যাল ভার্মিনটাকেই খুঁজে বের করলে? তুমি আর আমিই এই পোস্টে সবচেয়ে বেশী ইন্টার্যাক্ট করছি। তুমি কি দেখনি একেবারে প্রথম মন্তব্যেই কামরুল ভাই একে প্রায় গরু বলে সম্বোধন করেছেন? রায়হানের মন্তব্য দেখনি যে এর কাজ হচ্ছে ব্লগে ব্লগে ঘুরে ভ্যান্ডালিজম করে বেড়ানো? দেখোনি যে এ নিজের পরিচিয় গোপন করে বারবার ক্যামাফ্লোজে যাচ্ছিলো অসততাপূর্ণ ভাবে? আমি দেখেছি, তুমি যদি দাবী করে থাকো যে দেখনি সেটা যৌক্তিক দাবী হবে। আর একেই তুমি মিত্রভাবে সম্বোধন করলে একমাত্র কারণ যে এ তোমার মতের সাথে একমত? এটা কি ক্যাডেটসুলভ আচরণ হলো মোটেও? এতটুকু পৌরুষ কি আমরা একজন ক্যাডেটের কাছ থেকে আশা করতে পারি না যে- এই প্যাথেটিক হোলিগ্যানটাকে সে আমার মতের সাথে একমত কি দ্বিমত নির্বিশেষে বলতে পারবে p*ss off কেননা এ ক্যাডেট কলেজ ব্লগে ভ্যান্ডালিজম করেছে, ইসলামিক সাইট থেকে গোমূত্র- ছাগমূত্র এনে আমাদের ব্লগে কাট পেস্ট করার ঔধ্যত্ব দেখিয়েছে? আর তার একটা কুকর্মের প্রতিবাদ না করে তুমি বরং উলটো এর চেতনা জাগ্রত করছো? how mean is that? I urge you তুমি তোমার এই মন্তব্য প্রত্যাহার করে নেও। অথবা এরকম কিছু যুক্তি নিয়ে আসো কেন এই কুলাঙ্গারটি তোমার সমর্থন পাওয়ার যোগ্য হতে পারে, একজন এক্স-ক্যাডেট তুমি। তোমার সাথে আলোচনা উপভোগ করছিলাম, তোমার এই মন্তব্যে কষ্ট পেয়েছি। তোমার প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় থাকলাম।
মৃগেন্দ্রকেশরী
কবে হে বীরকেশরী সম্ভাষে শৃগালে
মিত্রভাবে।
অফ টপিক- অর্ণব দেখি মেঘনাদবধ কাব্য থেকে কোট করলা।এই মহাকাব্যের প্রায় প্রতিটা লাইন প্রবাদ হওয়ার যোগ্যতা রাখে।নাহ,আবার রিভাইস দিতে হবে!
আমি পড়েছিলাম পুর রচনাসমগ্র বছর দুয়েক আগে। খুবই মজা পেয়েছিলাম।
জ্বে না, আমি উনারে মিত্র বোলাইনাই। কইছি খালি যে উনার **টা অনেক ছোট। আমার মিত্র লাগে না এইসব জায়গায়। আমার নিজের উপর বিশ্বাসের কোন অভাব নেই।
শুনে খুশী হলাম।
লেখা ভাল লেগেছে অর্ণব ভাই। বিবর্তনের জিনতাত্ত্বিক প্রমাণ নিয়ে লেখাটা কতদূর এগুলো? একটু আপডেট জানায়েন।
লেখা ৫০% শেষ করেছি। তোমার ইমেইলে একটা কপি পাঠিয়েও দিচ্ছি। তোমার কোন ডেডলাইন থাকলে জানাও, জোড়ে লিখে শেষ করে দিচ্ছি। ধন্যবাদ।
না, এখনও ডেডলাইন দেয়ার সময় আসেনি। ভাল করেই লিখতে থাকেন।
রেনেসাঁর আগে??? রেনেসাঁর আগে যে সভ্যতাগুলো মানব সভ্যতার গোড়াপত্তন করেছিলো, তাদেরকে আপনি নিশ্চয়ই বুশ সাহেবের মতো অসভ্য বলবেন না। আর রেনেসাঁর সূত্রধরেরা সবকিছু নিজেরা সূচনা করেছেন, একথা বললে ওনারাও হয়তো লজ্জা পাবেন।
সব ডিফল্ট পজিশনও শুরুতে ঠিক করে দিতে হয়। তারপরে তাকে ডিফল্ট বলা শুরু হয় একসময়। এই ডিফল্ট সেটিংয়ের কাজটা কেউ শুরু করেছিল, নাকি সেটাও ডিফল্ট ছিলো, জানতে ইচ্ছা করে।
At least ধর্ম পালন করার কারণে হয়তোবা আমাদের দেশে এইডস এর রোগী পার্শবর্তী দেশটির চেয়ে অনেক কম। ছড়ানোর হারটাও এই অশিক্ষিতদের দেশে অনেক কম।
বাংলাদেশের সভ্যতা পিছিয়ে থাকলেও অন্তত ধর্ম আমাদেরকে একটুকম ক্ষতি করেছে।
তোমার যুক্তি ছিলো ধর্মহীনতা কখনোও সমাজের মঙ্গল বয়ে আনেনি। তোমার যুক্তির খন্ডন হিসেবে ছিলো আমার রেনেসান ও পোস্ট রেনেসান ইউরোপের উদাহারণ। এখন তুমি বলছো প্রিরেনেসার কথা। এটাকে বলে মুভিং দ্যা গোলপোস্ট যা কিনা একটা লজিকাল ফ্যালাসি। এটা ইতিহাসে স্বীকৃতই যে, গ্রীক এনলাইটেনমেন্টের পর মধ্যযুগীয় ইউরোপের ডার্ক এইজ যেটা কিনা অবশ্যই ইউরোপের সদ্য ক্রিশ্চিয়ানিটি গ্রহনের ও পালনের ফলাফল- সেই সময় গ্রীকদের জ্ঞান সংরক্ষিত ও বর্ধিত হচ্ছিল আরবদের দ্বারা। কখনই বলা হচ্ছেনা রেনেসায়ই সবকিছুর সূচনা হয়েছে।
এখন তুমি বলছো কালামস কসমোলজিকাল আর্গুমেন্টের কথা যেটা নিয়ে আমি আগেও একবার আলোচনা করেছিলাম। কালামস কসমোলজিকাল আর্গুমেন্ট একটি লজিকাল ফ্যালাসি যার নাম নন সেকুইটর; এবং এটি একটি ফলস ডাইকোটমিও ও ফাউন্ডেশনাল বায়াসও বটে। আমার এই পোস্টে এই সবগুলো লজিকাল ফ্যালাসি আমি আলোচনা করেছি। দেখো। নীচের কমেন্টগুলোও দেখো।
এটা সত্যি। অস্বী্কার করার উপায় নেই।
একমত নই। ধর্ম আমাদের লাভ হয়তোবা কিছু বেশী করছে যেমন এইডস কম ছড়াচ্ছে। কিন্তু, ক্ষতি মোটেও কম করছে না। অন্যান্য দেশের তুলনায় ধর্ম আমাদের ক্ষতি কিভাবে কম করছে তার কিছু উদাহারণ তুলে ধরো।
আমি গোলপোষ্টটা যেখানে সরাচ্ছি আপনি এখনো সেই মাঠে পাই রাখেননি। আমি আরব সভ্যতার কথা বলছি, বলছি আরব সভ্যতাপূর্ব ডার্ক এজ এর কথা,........wikipedia তে নেই না কি?
না, সভ্যতার পূর্বের ডার্কএইজের কথা জানিনা। পড়ে দেখবো, ধন্যবাদ। তবে, ব্যাপারটা হচ্ছে কি জানো? কেউ একটা সভ্যতা গড়লে সেটা তার স্থারব সম্পত্তিতে পরিণত হয়না। সভ্যতা একটি আগিয়ে নেওয়ার জিনিষ। মিসরীয়রা কেমিস্ট্রি ও ম্যাথমেটিক্স শুরু করে। তারা যেখানে থামে গ্রীকরা সেখান থেকে তাদের ঐ জ্ঞান বাড়িয়ে তোলে। গ্রীকরা চলে গেলে আরবরা সেটা ধরে। আরবদের পর আবার পোস্ট রেনেসান ইউরোপ। এখন কি কোন ইজিপ্সিয়ান দাবী করতে পারে কেমিস্ট্রি বা ম্যাথ আমাদের সম্পত্তি? কে কখন কি করলো তার চেয়ে বড় ব্যাপার হলো কোন সময় কে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
ও...রেনেসাঁর বসেরা কিন্ত যখন যেখানে পেয়েছে, তাদের আগের গবেষকদের করা কাজগুলো নিজেদের নামে set as default করে নিতে ভুল করেনি। It is very natural, nothing supernatural.
হতেই পারে, হয়ে থাকলে এটা অবশ্যই নেক্কারজনক। আমি শুধু নিশ্চিত করতে চাই এই কথার মধ্য দিয়ে তুমি জাকের নায়েক বা হারুন ইয়াহিয়ার মত স্বঘোষিত সমাজবিরোধী ভার্মিনদের যুক্তির সাথে সুর মেলাচ্ছো না। কয়েকটি উদাহারণ নিয়ে আসো। কনফার্মড উদাহারণ, অবশ্যই কোন কনস্পাইরেসি থিওরি না। আমরা তারপর আলোচনা করতে পারি এই যুক্তির গ্রহনযোগ্যতা সম্পর্কে।
আমার পেশাগত কারনে ওই লোকজনের কথা শোনার মতো সময় পাই না। কাজেই তাদের সুর কেমন আমি জানি না। আমি আপনাকে শুধুমাত্র পারিপার্শ্বিকতা থেকে বলতে পারবো। যা একান্তই আমার যুক্তি। খুবই সাদামাটাভাবে।
এই জিনিসটা খুবই কঠিন, কারণ আমি যেটাকে কনফার্মড উদাহরণ বলবো, আপনি সেটাকে conspiracy theory হিসাবে চিহ্নিত করার মতো যথেষ্ট কারণ থাকতে পারে।তবু আমি চেষ্টা করবো সময় দিতে।
না, একেবারেই না। কোনটা রিপোর্টেড সত্য আর কোনটা কন্সপিরেসি থিওরি এটা স্পষ্ট হার্ডোয়্যার্ড সীমানা দ্বারা নির্ধারিত। সেটাই সত্য যেটা আমি কোন গ্রহনযোগ্য ইতিহাসের বইয়ে পাবো বা ইতিহাসের পোর্টালে খুজে পাবো। কনস্পিরেসি থিওরি সেটাই যেটা কিনা বলবে "ওয়েল আসলে ঐ গ্রহনযোগ্য ইতিহাসের বইটা ভুল। আসল ইতিহাস জানে সগীর মোল্লা।"
কোন কিছু বিশবাস করার জন্য তা দেখাটা কি আবশ্যক ? কোন কিছুর প্রমাণ পেলে তার দেখার প্রয়োজন হয় না । আমরা যদি কুরআন কে ১০০ ভাগ সত্যি প্রমাণ করতে পারি তাহলে ইসলাম ধর্মকে সত্যি বলে মানতে হবে । কুরআন যে সত্য তার হাজারো প্রমাণ আছে ।
মুহম্মদ,তোর "কোরাণিক বিজ্ঞানের পৌরাণিক কাহিনী" আর্টিকেলটার লিঙ্ক দে এইখানে।
তোমার মন্তব্যের প্রথম বাক্যে তোমার করা প্রশ্নটির উত্তর তুমি নিজেই দিয়েছো তোমার দ্বিতীয় বাক্যে।
এখানেই হচ্ছে সমস্যাটা। বাইবেল, গীতা, তাওরাত এমনকি সাইন্টোলজি বিগবসের লেখা সায়েন্সফিকশন বইগুলির স্ব্পক্ষেও হাজারো প্রমান আছে যে এরা সবাই সত্য। এই সমস্যাটা একটু worked out হওয়া দরকার ছিলো।সরেজমিন তদন্তে দেখা যায় তাদের উপস্থাপিত প্রমানের সবগুলিই a pile of gerbage। হয় লজিকাল ফ্যালাসি, নয় দাহা মিথ্যা কথা অথবা বুজরুকী, আজগুবি কথাবার্তা সব যেগুলো সংজ্ঞাগতভাবেই কিনা অবান্তর।
পরোক্ষে স্বীকার করে ফেললেন নাকি, যে আসলেই ওই ঘটনাগুলো কোন supernatural শক্তির হস্তক্ষেপে ঘটেছিল?
আমার দূ্র্ভাগ্য আমার সারকাজমটা তুমি ধরতে পারোনি।
রাহাত,
ভাই আমার ... আগেই এমন কিছু বলে ফেলোনা, যেটা শুনে অনেকে হাসাহাসি করতে পারে। নূহ নবীর কাহিনিতে তুমি বিশ্বাস করতেই পারো কিন্তু এটা একজন যুক্তিবাদি মানুষের কাছে বলতে যেওনা ... ধর্ম গ্রন্থকে আমি গালগল্প বলি এইসব ভুয়া, অযৌক্তিক কাহিনির জন্য ... নূহ নবীর কাহিনি সম্পর্কে জানতে চাইলে জাস্ট এই ব্লগটা পড়। আমি তোমাকে বলবো না, তোমার বিশ্বাস ভেঙ্গে ফেল, বাট বলবো কী দরকার সবার সামনে এই কাহিনি নিয়ে গর্ব করার ...
দুনিয়াজোড়া হাজার হাজার মানুষকে আপনি এক কথায় যুক্তিহীন বলে ফেললেন? :clap:
আচ্ছা ফেলবো না। তুমি এক কাজ করো দুনিয়াজোরা এই হাজার হাজার মানুষের পক্ষে, নূহ নবীর কাহিনির ভ্যালিডেশনের একটা যুক্তি দাড় করাও। আমরা পড়ে দেখি। কনফিউশন হলে জানাবো। আর কনফিউশন না হলে মেনে নিবো। আর একটা কথা, কোরআন, হাদিসের রেফারেন্স দিলে হবে না। এটা মাথায় রেখ।
দুঃখজনক হলেও সত্যি যে আসলেই দুনিয়াজোড়া হাজার জাহার মানুষই যুক্তিহীন। মানো আর নাই মানো তাদেরকে তুমি যে কোন কিছুই বেচতে পারবা। এমনকি তুমি যদি তাদেরকে বাচতে চাও যে তুমি ভীনগ্রহ থেকে আগত একজন এলিয়েন। all you need to do is কেঁদে কেটে বলো যে তোমার ঐ গ্রহটিকে কতটা মিস তুমি করো। গ্রহের একটা ফিকটীশিয়াস নামও দেও। পৃথিবীর বেশীরভাগ মানুষই সবকিছুই কেনে। এজন্যই হেন্রিখ হিমলার তাদের ফাইলাল সলিউশন বেচে ছয় মিলিয়ন ইহুদী মেরে ফলতে পারে, বুশ ইরাক যুদ্ধে যেতে পারে, স্ট্যালিনের কথা নাই বা বললাম, আর হযরত তোমাদের কাছে পঙ্খীরাজ ঘোড়া, মেরাজ ইত্যাদি বেচে ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করে (১৮ বছর বয়সের নীচে কারো সাথে সেক্সুয়্যল ইন্টারকোর্স সংজ্ঞাগতভাবেই ধর্ষণ কেননা কনসেন্টের বয়স ১৮) নবী হয়ে যেতে পারে। পৃথিবীর মানুষ যদি আসলেই যুক্তিহীন না হতো, আমার ধারণা পৃথিবীটা বসবাসের জন্য আরও ভালো একটা জায়গা হতো। কি বলো?
রাহাত,
সংখ্যাধিক্য আর সত্য যে সব সময় এক দিকে যায়না সেটা আশা করি তুমি জান।গ্যালিলিওর সময়ে সারা পৃথিবী বলেছিল গ্যালিলিও ভুল কিন্তু পরবর্তীতে প্রমাণিত হয়েছে যে সেই সময়ের অথর্ব সমাজ গ্যালিলিওর আবিষ্কার বোঝার মত যোগ্য ছিলনে।
রাহাত ভাইয়া কি কইলা তুমি?? 😀 😀 😀 😀
------------------------------------------------------------------
কামলা খেটে যাই
অনেকে যারা বলে তারা ধর্মব্যবসায়ী, তাদের করা ভুল বা অপব্যাখ্যার কারণে আপনি ধর্মের মূলনীতিকে দুষতে পারেন না। আমার ধর্মে কোথাও এধরনের open chit দেয়া হয়নি, আমার জানামতে দেয়া হয়নি আর কোন ধর্মেও। যারা ধর্মের নামে সাধারণ মানুষ মারে তারা আসলে সবচেয়ে নিকৃষ্ট।
রাহাত,
এখানে কথা হচ্ছে ধর্ম এইসব খারাপ কাজ থেকে মানুষকে বিরত রাখতে পারে কি-না তা নিয়ে।ইতিহাস ঘাটলে আমরা দেখতে পাই,ধর্মের নামে যত অধর্ম হয়েছে খুব কম বিষয় নিয়েই এতটা অধর্ম করা হয়েছে।আর ভাল/সাধারণ মানুষকে দিয়ে খারাপ কাজ করাতে ধর্মের জুড়ি নেই বললেই চলে।১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আর রাজাকাররা ধর্মের নামে আমাদের লোকদের হত্যা করেছে,আমাদের মেয়েদেরকে রেপ করেছে।এই রাজাকার বা পাকিস্তানি সেনা এরা জন্মগতভাবে সবাই দানব ছিল এই কথাটা আমি বিশ্বাস করিনা।জন্মগতভাবে কেউ রেপ করতে বা মানুষ খুন করতে শেখেনা।রাজাকারদের দিকেই যদি তাকাও,গোলাম আজম বা নিজামীরা বাদে সরাসরি মানুষের উপর পাশবিক অত্যাচারকারী "সৈনিক" পর্যায়ের রাজাকারদের ব্যাকগ্রাউন্ড দেখলেই বুঝতে পারবে যে এরা অনেকেই ছিল সাধারণ মানুষ-ধর্মের বুলি দিয়ে এদের ব্রেন ওয়াশ করা হয়েছিল।তাই রেপ করাকে এদের কাছে মনে হচ্ছিল "ধর্ম" রক্ষা করছি! এক্ষেত্রে তুমি যেটা বললে-যে ধর্মব্যবসায়ীদের কারণে ধর্মকে দোষ না দিতে-এইটা কেন হবেনা সেই ব্যাপারে অনেক আগে করা রায়হানের একটা উক্তি পুনোরোল্লেখ করিঃ
"ধর্মের কোন হাত-পা নেই যে সে নিজে নিজে কিছু করবে।ধর্মের অনুসারীদের কীর্তিকলাপই প্রমাণ করে ধর্ম কি"
এই কথা বলার কারণ- ধর্ম যদি এতই শক্তিশালী কোন বর্ম হত যা দিয়ে মানুষের সব পাপ কাজ ঠেকিয়ে রাখা যায় তাহলে ধর্মের অনুসারীরা এইসব কুকর্ম করল কিভাবে? খেয়াল কর-বিকৃতভাবে অনুসরণকারীরা(তমার ভাষায় ধর্মব্যবসায়িরা) যেসব কুকর্ম করছে তা থেকে কিন্তু ধর্ম এদেরকে বিরত রাখতে পারছেনা।
আমার প্রশ্ন হল,তাহলে এই জিনিসটা নিয়ে এত মাতামাতি করার প্রয়োজন কি?
আমিও সেটাই বলি, কারণ ধর্মব্যবসায়ীরা ধর্মানুসারী না।
বুঝলাম যে ধর্মব্যবসায়ীরা ধর্মের অনুসারী না।সেই সাথে এইটাও বুঝা গেল যে ধর্মের নামে যে যত কুকর্মই করুক না কেন,সেইটা ঠেকানোর যোগ্যতা ধর্মের নাই।
এই কথা বলার কারণ- ধর্ম যদি এতই শক্তিশালী কোন বর্ম হত যা দিয়ে মানুষের সব পাপ কাজ ঠেকিয়ে রাখা যায় তাহলে ধর্মের অনুসারীরা এইসব কুকর্ম করল কিভাবে? খেয়াল কর-বিকৃতভাবে অনুসরণকারীরা(তমার ভাষায় ধর্মব্যবসায়িরা) যেসব কুকর্ম করছে তা থেকে কিন্তু ধর্ম এদেরকে বিরত রাখতে পারছেনা।
তুমি ধর্ম ব্যবসায়ীদেরকে ধর্মের অনুসারী না এই কথা বলবা সেইটা আগেই জানতাম।দেখ আমার মন্তব্যে কিন্তু উত্তরটা দেওয়া আছে।তোমার সুবিধার্থে আবার পোস্ট করলাম।
এইখানে সমস্যাটা কি জানো? তোমার বলা কথাটা অনেকটা এটা বলার মতো যে, স্ট্যালিন কোন কমিউনিজমের অনুসারী না, আসল কমিউনিজম খুবই ভালো একটা জিনিষ। বোমা ফুটানো ক্যাটালাইজ করার জন্য ধর্মের সরাসরি বলার দরকার নাই যে, "বোমা ফুটাও।" ধর্ম বলছে ধর্মের জন্য যে মরবে মরার পর সে বেহেস্তে যাবে। ধর্ম আরও বলেছে ধর্ম প্রসারিত করার জন্য সংগ্রাম করতে। এই দুটা জিনিষই ক্যাটালাইজ করছে বোমারুর মন যে- আমি আমার ধর্মের জন্য প্রাণ দিলে আল্লা আবশ্যই আমাকে দোজখ দিবে না। এমনিতে হয়তো তার লাইফ অর্থনৈতিক বা অন্যান্য কষ্টে এমনিই মিজারেবল, আত্নহত্যা সে এমনিতেই করতো কেননা পৃথিবীর বুকে বেঁচে থাকার জন্য কিছু যোগ্যতা লাগে- ধর্মের খাতিরে কাওয়ার্ডটা আরও কিছু মানুষ নিয়ে মরলো। ধর্ম মূলত বোমা ফুটানোর জন্য দায়ী বেহেস্ত বেচে। বেহেস্ত বিক্রী করার একমাত্র কুফল কিন্তু শুধু এটাই নয় আরও অনেক আছে। ধর্ম যে একটি ঘৃণ্য আস্তাকুঁড়ের কীট এটা কিন্তু এই কারণেই যে, এটা আমাদের সমাজের ক্ষতি করে।
যে এধরনের চিন্তা করে হয় সে ধর্মে আসলে কি বলা আছে তার পুরোটা জানে না, নয়তো তাকে কেউ Ill motivate করেছে। আমি আবারো বলছি...পুরোটা। এই ধর্মের জন্য মরার অনেক কন্ডিশন দেয়া আছে, যা পুরোটা না জেনেই উনারা বেহেস্ত পাবার আশায় আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যাকে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
আমি এধরণের কিছু জানিনা। আমি আমার ধর্ম থেকে শিক্ষা পেয়েছি আঘাত না পেলে আঘাত না করার জন্যে।
@রাহাত
ভাই, আপনি ধর্ম নিয়ে কতটুকু পড়াশুনা করেছেন জানিনা। সর্বশক্তিমান আমাদের মত এ নগন্য বান্দাদের কাছে জীবন ও সম্পদের বিনিময়ে মহামুল্যবান জান্নাত বেচেছেন এ কথা স্পস্টভাবেই উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের তিনটা বড় ইসলামী দলে দায়িতশীল পর্যায়ত থেকে শেষমেষ তাদের থেকে এ জন্য দূরে আসতে বাধ্য হলাম যে এরা মানব সমাজের জন্য ক্ষতিকর জিনিষ (এরা মানুষ না বস্তু)। এ কথা মনে রাখবেন, ধর্মব্যবসায়ীরা দলীল ছাড়া কোন ব্যবসা করে না। আর দলীলের উৎস কিন্তু ঐ কুরান হাদিস-ই।
আর আঘাত না পেলে আঘাত করবেনা এ শিক্ষা আপনি এ জন্য পেয়েছেন যে আপনি মক্কী যুগের মানুষ। মাদানী যুগের মানুষ হলে বুঝতেন গরম কাকে বলে।
Who told you? From what reference? If anyone has told, have you asked him, from where he has learnt this?
তো ভাইয়া, এখন আর কোনো সমস্যা নাই। এখন আমাদের মতো ****ত টাইপ পোলাপানের আর কষ্ট করে বোরখার উপর দিয়ে তাকাতে হয়না, সব এ্যামনেই খোলা থাকে। যা নারী স্বাধীনতার অপার দৃষ্টান্ত। Miss World প্রতিযোগিতার সময় যে নারীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে, উনাদের সালাম জানাই। কারণ রেনেসা পূর্ব কালো যুগে যখন জীবিত কন্যাসন্তানকে মাটিতে পোতা হতো, তার থেকে কিন্তু মুক্তি দিয়েছিলেন ওই প্যারাফিলিয়াক মানুষটিই।
পুরুষদের লাম্পট্য এর ব্যাপারে বলছি, কোরান শুধুমাত্র নারীকে বোরখা পড়ায়নি, বলেছে পুরুষকেও তার দৃষ্টি সংযত করতে ( সূরা আন-নূর) দেখতে পারেন। আমরা মানি, না মানিনা, সেটা আমাদের দোষ। আমাদের কোড অভ কন্ডাক্টে আমাদের উভয়পক্ষকেই নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
হয়তো business টা এই পোস্টে না আসলেই ভালো। আমি এক্ষেত্রে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করবো অনৈতিক এবং বেআইনি এর উপরে।
পশ্চিমা বিশ্বের কোনো কোনো দেশ মেয়েদের মাথায় ওড়না পড়াটাকে বেআইনি ঘোষণা করেছিলো। কেন তারা তাদের পছন্দমতো পোষাক পড়তে পারবে না? আমাদের দেশে তো এমন আইন হয়নি যে মেয়েরা skin tight jeans and t-shirt পড়তে পারবেনা। এটা কি জোর করে গণতন্ত্র দেবার মতোই কিছু? তাদেরকে তাদের পছন্দমতো পোষাক না পড়তে দেয়াটা কি তাদের ব্যক্তিগত স্বধীনতায় হস্তক্ষেপ নয়? বোরখা যদি নারী স্বাধীনতায় এতো বড় বাধাই হয়ে থাকে তাহলে আমার মা কিভাবে পারলেন ৩৫ টি বছর বোরখা পড়ে অফিস করতে এবং সেরা কর্মকর্তার পুরষ্কার অর্জন করতে?
রাহাত,
আবারো তুমি অর্ণবের যুক্তির সারকথা বুঝতে ভুল করছ।আমাদের দেশের নারীরা যথেষ্ট পরিমান স্বাধীনতা ভোগ করেন,অন্তত পাকিস্তানি আর আফগানিস্তানি নারীদের তুলনায়।আমাদের দেশের সংবিধানে সরাসরিভাবে নারি-পুরুষের সাম্য এবং ক্ষেত্রবিশেষে না্রীদের অগ্রাধিকার দেবার কথা বলা হয়েছে।সামাজিকভাবে বোরখার প্রভাব তাই কর্মক্ষেত্রে যে ভয়াবহভাবে এফেক্ট করে সেটা অন্ততঃ এদেশে বলা যাবেনা।কিন্তু পাকিস্তান আর আফগানিস্তানের দিকে তাকিয়ে দেখ-পাকিস্তানের অনেক জায়গায় এবং আফগানিস্তানে প্রায় সব জায়গাতেই বোরখা পরা বাধ্যতামূলক।যেসব জায়গায় নারীদেরকে জোর করে বোরখা পরানো হচ্ছে(এবং আনুষঙ্গিক যাবতীয় ধরণের বাধার মধ্যে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে) সেসব জায়গায় নারীদের অগ্রগতি কতটুকু তা আশা করি তোমাকে বুঝিয়ে বলতে হবেনা।আমাদের দেশে তোমার আম্মা(তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা) নিজ ইচ্ছায় বোরখা পরছেন-তিনি যদি ইচ্ছা না করেন তাহলে তা তিনি না করলেও পারেন।তাই বোরখা পরা-না পরা উনার কর্মের ক্ষেত্রে ভাইটাল ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াচ্ছেনা।কিন্তু খেয়াল করে দেখ তো,আফগানিস্তান আর পাকিস্তানে(যেখানে জোর করে নারীদের নানা অনুশাসন পালনে বাধ্য করা হচ্ছে) নারীদের অবস্থান কোথায়?
খোলা থাকলে তোমার সমস্যাটা কি? খোলা দেইখা তোমার মাথায় মাথায় মাল চইড়া যায় আর এইটার প্রায়শ্চিত্তের ভার তুমি ফেলবা মেয়ের ঘাড়ে। কতটা কাপুরুষসুলভ এইটা? আর এইটা তোমার বোরখার পেছনে জাস্টিফিকেইশন, না? ফ্যান্টাস্টিক। আরও একবার আমার এই দাবী প্রমান করলা যে, কুলাঙ্গার ধর্ম একটা অ্যাপারেন্ট মানুষের কাছ থেকেও ন্যাক্কারজনক খারাপ কাজ বা খারাপ জাস্টিফিকেইশন আদায় করে নেয়। মনে করোনা যে তোমাকে অফেন্সের উদ্দেশ্য নিয়ে এই কথা বলছি। বাস্তবতার নগ্নতা বোঝাতেই শুধু একটু চলিত ভাষা ব্যাবহার করলাম।
exactly. কেননা নারী স্বাধীনতা it matters. আমাদের সভ্যতারই একটা প্রাথমিক অধ্যায়ের পাঠ all men are born equal আমরা কোন প্রস্তরযুগীয় মরূভুমির ডগমা দ্বারা আক্রান্ত হতে দেব না। যেই ডগমা মানুষ মারে, মানুষকে পশুতে রুপান্তরীত করে, অসংখ্য মানুষকে সাইকোলজিকাল টর্চার করে। আমাদের দেশেও আমরা সেই ডগমার উচ্ছেদ চাই সাতশো বছর আগে রেনেসার মধ্য দিয়ে যেই ডগমা উচ্ছেদ পশ্চীম ইউরোপকে বানিয়েছে আমাদের সভ্যতার গৌরব উজ্বল রাজধানী।
প্যারাফিলিয়ার সমস্যাটাই এখানে। তিনি শুধু মুক্তিই দিলেন না; মুক্তি দিয়ে তাদের মধ্য থেকে বেছে ছয় বছরের কচি একটাকে ধর্ষণও করে ফেললেন। মুক্তির বিনিময়ে ধর্ষণ, না। চমৎকার! একটা জোক শোন- আগুন লেগেছে কল পেয়ে দমকলবাহিনী গেল অপারেশনে। বাড়ী পৌছে দেখে এক মহিলা সার্ভাইবার জানালা গলে হেল্প হেল্প চিৎকার করছে। এক ফায়ারম্যান দড়ি বেয়ে উঠে গেল রেসকিউওয়ের জন্য। গিয়ে মহিলাকে বললো "ওয়াও তুমি হচ্ছো এই সপ্তাহে আমার দ্বারা উদ্ধারকৃত তৃতীয় গর্ভবতী মহিলা।" মহিলা বললো "আমি গর্ভবতী নই।" ফায়ারম্যানের উত্তর "ওয়েল, তুমি এখনও উদ্ধারকৃতও নও।"
কেনো যে বিক্ষোভ করে সেটা জেনে থাকলে তুমি তোমার জানানো সব সালাম কিন্তু তুলে নেবে। তার আফেমিনিস্ট। ফেমিনিজমের শুরুর কথায় জঞ্জালের মতো যে কোন ধর্মকে আস্তাকুঁড়ে ছুড়ে ফেলা। কেননা ধর্মই ঐতিহাসিকভাবে মেয়েদের সবচেয়ে ক্ষতি করেছে। যদিও পুরুষদের তুলনায় মেয়েদের ধর্ম বা ধর্ম কি যে কোন কিছুর প্রতিই আনুগত্য বেশী দেখা যায়, যেটা কিনা একটি ইভোলিউশনারিলি কনজার্ভড ব্যাপার। তারা বিক্ষোভ করে মেয়েদের পন্যায়নের বিরুদ্ধে। পুরুষও পন্যায়িত হচ্ছে। কিন্তু, সোউভাগ্যজনকভাবে আমরা মেয়েদের তুলনায় প্রিভিলেজড ক্লাস বলে ম্যাস্কুলিজম নামে কিছু নেই। থকলে, হয়তো আমরাও নিস্টার ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগীতার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতাম।
মনে হয়না আমি কখনও বলেছি যে, কোরানের কুলাঙ্গারীত্ব শুধু মেয়েদের অধিকার হরণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। অবশ্যই এটা পুরুষদের জন্যও একটা জ্বালাময় উৎপাত। যেমন দেখো- খৎনা বা জেনিটাল মিউটিলেইশন। জেনে থাকবে, পশ্চীম ইউরোপে আলোচনা হচ্ছে এটা বন্ধ করার জন্য। বা খোলা থাকলেও আঠারো বছর বয়সের পর থেকে। কেননা ১৮ এর নীচে কোন ব্যক্তি জীবন-বাঁচানো ছাড়া অন্য কোন সার্জারীর সাবজেক্ট হতে পারে না। কেননা ১৮ হচ্ছে কনসেন্টের বয়স। একারণেই, ১৮এর নীচে কোন প্লাস্টিক সার্জারী, কোন ট্যাটু বা পিয়ার্সিংও হয় না। প্রস্তরযুগিয় কোন স্যাডিস্টিক ডগমাকে আমরা মাদের সভ্যতার আইন ভাঙ্গতে দিতে পারি না।
তোমার কোরান বোরখা না পড়িয়ে বা actual harm না করে শুধু উপদেশ দিয়েই তৃপ্ত থাকলে আমার কোন সমস্যাই ছিলো না।
আমি জানি তুমি কোন ইনসিডেন্সটির কথা বলছো। হ্যা, অবশ্যই তারা সেটা ঠিক করেনি। যদিও বৃটেনের রাস্তায় আমি বোরকা দেখতে চাইনা, তারপরও আমি বলি যার যা খুশী পরার অধিকার আছে। সংবিধানিকভাবে ইউরোপে এখন এটা নিশ্চিত করা হয় যে, কারও রিলিজিয়াস ড্রেসকোড সাপ্রেশনের শিকার হচ্ছে না এমনকি মিলিটারিতেও। যদিও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের ইউনিফর্ম কোড ঠিক রাখার জন্য এই অধিকার কিছুটা সাপ্রেস করতে পারে।
তোমার অ্যানালজিটা মোটেও কোন ভালো অ্যানালজি হয়নি। প্রথমত, বোরকা পরা আর সেরা কর্মকর্তার পুরষ্কার জেতা এই দুই ঘটনার মধ্যে কোন ইন্টার-রিলেইশন নেই। এবং তোমার অ্যানালজিটী যে একটীনন সেকুইটর লজিকাল ফ্যালাসিও হয়েছে সেটা দেখানোর জন্য আমি আরেকটি অ্যানালজি দাড় করাচ্ছি দেখো- "দাসপ্রথা যদি মানুষের স্বাধীনতায় এত বড় বাধাই হয়ে থাকে তাহলে কি করে মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ দাস হিসেবে জন্মগ্রহন করে বুড়ো বয়সে মরার আগ পর্যন্ত দাস হিসেবেই কাটিয়ে দিলো?"
............................ :bash: :bash: :bash: :bash: :bash: :bash:
জুবায়ের ভাই এবং রায়হান ভাইকে প্রথমেই অসংখ্য ধন্যবাদ আমার প্রশ্নগুলো নিয়ে সুদীর্ঘ আলোচনা করার জন্য। বর্তমানে বিশ্বে ধর্মকেন্দ্রিক যে অপবিজ্ঞান চলছে[জাকির নায়েক এবং হারুন ইয়াহিয়া যাদের প্রকৃষ্ট উদাহরণ] আমি তার অবশ্যই বিরোধী। আপনারা সকল ধর্মের বিলুপ্তি চান[ অন্তত আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যা বুঝেছি।]
ধর্ম বিজ্ঞানবিরোধী সন্দেহ নেই। পারলৌকিক মুলো ঝুলিয়ে আমাদের প্রতারিত করছে সেটাও বুঝলাম। এবারে একটু ভেতরে যাই। আমার মনে হলো আপনারা সূক্ষভাবে বস্তুবাদিতার প্রতিনিধিত্ব করছেন। ২য় বিশ্বযুদ্ধের শেষে ইউরোপের পোড়া জমিতে এই মতবাদ চরম জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ধার্মিক নীতিবোধের অসারত্ব হাড়ে হাড়ে উপলদ্ধি করে বেড়ে চলে ধর্মহীনতা। ততদিনে গোটা বিশ্বে দুটো স্বীকৃত ধর্মহীন রাষ্ট্র নিজেদের অবস্থান পোক্ত করে ফেলেছে। তারা হলো সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং চায়না। খেয়াল করলে দেখবেন, ধর্মকে অস্বীকার করলেও ধার্মিক বিধানের মতই নিষ্ঠুর ভাবে তারা ব্যবহার করেছে কমিনিউজমকে- বিরোধীদের দমনের উদ্দেশ্যে, যারা প্রশ্ন তুলেছে তাদের বিনা দ্বিধায় মেরেছে, জেলে পচিয়েছে ঠিক ধর্মের মতই। অর্থাৎ এ সেই নতুন বোতলে পুরনো মদের আবির্ভাব। রাষ্ট্রিয় ভাবে ঘোষিত নাস্তিকতা তাই খুব একটা অনুমোদনযোগ্যতার প্রমান দিতে পারেনি এখনো।
ধন্যবাদ মাহবুব ...
তোমার সহনশীলতা ভাল্লাগছে (নীচের মন্তব্য ...)
আমি কিন্তু কমিউনিজমরেও ধর্ম কই ... সুতরাং আমারে এগো লগে মিলায়ও না ...
ব্যার্ট্রান্ড রাসেল এবং ফ্রেডরিখ নিটশের মতো দার্শনিকেরা মনে করে গেছেন কমিউনিজম একটি ধর্ম। আমি সবসময়ই কমিউনিজম এর বিরোধীতা করে আসছি কেননা এটা মানবাধিকার হরণ করে, ইউটোপিয়ার স্বপ্নবিলাশ বিক্রী করে, সেন্সরশিপ আরোপ করে, ব্যাক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে। এগুলো বিবেচনায় আনার পর কোন বিচারবোধসম্পন্ন মানুষের বোধহয় এই সিদ্ধান্তে না পৌছানোর কোন কারণ নাই যে, কমিউনিজমও একটি ধর্ম।
কমিউনিজম ধর্ম কিনা সে বিতর্কে না গিয়েও এটা বলা যায় যে ক্যাপিটালিজম মানব ইতিহাসের শেষ অধ্যায় নয়। মার্কস একথাটার অসংখ্য প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন তাঁর ক্যাপিটাল বইটাতে, ঠিক ডারউইন যেমন প্রাকৃতিক নির্বাচনের সপক্ষে একগাদা প্রমাণ সন্নিবিষ্ট করেছিলেন তাঁর অরিজিন অব স্পিশিজে।
মানুষ খুবই আবেগী প্রাণি। সে কখনোই পুরোপুরি যুক্তিনির্ভর থাকে না সবসময়। তাহলে বিশ্বাস শব্দটাই টিকে থাকতোনা। অবশ্যই অজ্ঞতাই এখানে একটি প্রধান কারণ।কিন্তু সেটাই একমাত্র কি? আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশের হাজার বছরের ধর্মসাধনা, বিভিন্ন মত-পথ এর সবই কি এক ফুৎকারে উড়িয়ে দেবো আমরা? ভাববাদ এর পুরোটাই কি অসার, ভিত্তিহীন?? খেয়াল করলে দেখবেন ৭০ এর দশকে আমেরিকান হিপি সমাজে ভারতীয় ভাববাদ ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছিল। এর কারণ কি? বস্তুবাদে অনাগ্রহ কেন এলো তাদের? ভাববাদ, মিস্টিজম এগুলো একটি বিশাল প্রভাবক আমাদের সাহিত্যে। মহান বৃদ্ধ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যার আদর্শ উদাহরণ। তার সাহিত্যের একটি মূল অংশ হলো জীবনদেবতার প্রতি তার প্রেম। তাহলে আমরা কি করবো, পৃথিবীর এইসব মহৎ সাহিত্যকে ছুড়ে ফেলে দেবো শুধুমাত্র ধর্ম-সংশ্লিষ্টতার জন্য? আপনার লেখায় মানুষের মন বিষয়টিকে খুব হালকাভাবে দেখানো হয়েছে [ বস্তুবাদী বলে!!! ]। একটি শিশুর মানসিক বিকাশকে আপনার কাছে একটি মেশিনের নিয়মিত ইন্সট্রাকশনের চেয়ে বেশি কিছু মনে হয়নি। আমাদের মনোজাগতিক চিন্তা-চেতনার কতটুকু নিয়ন্ত্রণ করে বৈজ্ঞানিক যুক্তিমালা। আধুনিক সাহিত্যের প্যাটার্নগুলো খেয়াল করলে দেখবেন, বস্তুবাদ থেকে আমাদের চিন্তা আজ সরে এসেছে পরাবাস্তববাদে, ম্যাজিক রিয়ালিজমে। আমাদের মূল সাহিত্যিকদের এরুপ আধিভৌতিক ঘেঁষা লেখা কি এটাই প্রমান করেনা যে আমাদের মনমানসিকতার গঠন এখনো অনেক জটিল এবং তার অনেককিছুই নিয়ন্ত্রন করে আবেগ, পুরান এবং বিশ্বাস? কি করে সমূলে উৎপাটন করা সম্ভব তার?? ব্রেন ওয়াশ??
আমি শুরুতে বৌদ্ধ ধর্মের কথা বলেছিলাম, এ ধর্মে কোনো স্রষ্টা নেই, নেই কোনো পরকাল। তাহলে এটি কেনো ধর্ম?? কেনো মতবাদ নয়?? স্রেফ ৪০০০ বছর আগে এসেছিলো বলে। আমি এ বিষয়ে আরেকটু পড়ে দেখতে অনুরোধ করছি।
পরিশেষে আমি বলি, বিজ্ঞান তার পূর্নতার পথে চলুক, ধর্মও তার ভেতরে নাক না গলাক, কিন্তু কেউ যেন কাউকে ধ্বংসের উদ্দেশ্যে না নামে। তা হলে ফলাফল হবে উভয়দিকেই ভয়াবহ। ধর্ম আর বিজ্ঞান দুটাই পরম ধ্রুবক কিছু নয়। ধর্ম আরো পরিশীলিত হবে, কালে কালে তা আরো মানবতাবাদী হবে এটাই আমার কামনা।
হায়, হায়!!! কমেন্ট ডাবল হইলো কেমনে??? জুবায়ের ভাই, বড় কমেন্টটা মুছে দিয়েন।
মুছে দিয়েছি। তোমার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
অর্ণব ভাই কি টমাস পেইন-এর "দি এইজ অভ রিজন" পড়েছেন। আমি নিজেও পড়িনি। তবে প্রথম প্রায় - পৃষ্ঠার মত পড়েছি। অসাধারণ একটা বই। যে আমেরিকায়ও এখনও ৬০% মানুষ ধর্মে বিশ্বাস করে, যে আমেরিকায় ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন এর চর্চা হয়, যেখানে অনেক ধর্মব্যবসায়ীরাই আজ আস্তানা গাড়ে সেই আমেরিকায় আজ থেকে ২০০ বছর আগে কিভাবে এত ধর্মনিরপেক্ষ আর মুক্তমনা একটি সংবিধান তৈরি হয়েছিল তার হদিস পাওয়া যায় টমাস পেইন পড়লে। পেইন এর এইজ অভ রিজন নাকি আমেরিকায় বেস্ট সেলারের ইতিহাস তৈরি করেছিল।
এই বইয়ের শুরুর কথাগুলো আপনার শুরুর কথার মতই। টমাস পেইন প্রথমেই স্পষ্ট করেছেন, যার উপর ওহী নাযিল হয় তিনি ছাড়া আর কেউ সেই ওহীর উপর বিশ্বাস করতে বাধ্য নয়, এমনকি বিশ্বাস করা উচিতও না। কারণ ওহী মানেই অলৌকিক যা ব্যাখ্যা করা সম্ভব না, যার কোন প্রমাণ নেই। তিনি অবাক হয়েছেন এই ভেবে যে, যার ওপর ওহী এসেছিল সরাসরি তার কাছ থেকে না শুনেও কত হাজার মানুষ অন্ধের মত তা পালন করছে, যেখানে সরাসরি শুনলেও বিশ্বাস করার প্রশ্ন ওঠে না।
না, টমাস পেইন পড়িনি। তবে, আমেরিকা একটা মজাদার দেশ। সবকিছুতেই তাদেরি ইনফিস্টমেন্ট ফলাফলপ্রসূতভাবে তাদেরই কন্ট্রিবিউশনই সবচেয়ে বেশী। এবং উন্নত বিশ্বের মধ্যে তাদেরই আবার সবচেয়ে বেশী ধার্মিকতা, সন্ত্রাস আর অশিক্ষার হার। আমি মনে করি, আমেরিকার জনগোষ্ঠী একটি স্পষ্ট বর্ডারলাইন দ্বারা বিভাজিত। আমি একে বলবো এনলাইটেন্ড ও আনএনলাইটেন্ড। এই আনএনলাইটেন্ডরাই এখনও সংখ্যাগরিষ্ঠ বলেই বোধহয় আমেরিকাতে ক্রিয়েশন মুজিয়াম চলতে পারে, সারা প্যালিন ভাইস প্রেসিডেন্ট হতে পারে ,বুশ ইরাক যুদ্ধ করতে পারে and so on and on and on। ইউরোপে এই বিভাজনটা মনে হয় অনেকটা কম। আমেরিকার একটা জিনিশই আমার মজা লাগে, টাকা পয়সা দিয়ে হোক, সুযোগ-সুবিধা বা সন্মান দিয়ে হোক পৃথিবীর সব কোনা থকে সব ব্রেইনগুলো তারা ধরে ধরে এনে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পুনর্বাসিত করছে। ভাবতে পারো, ডিএনএ স্ট্রাকচার আবিষ্কারক কেইম্ব্রিজের ফ্রান্সিস ক্রিক একটা আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়েরও প্রফেসার?
এর একটা বড় কারণ হতে পারে আমেরিকায় বিশুদ্ধ জ্ঞান এবং বিজ্ঞান এর বদলে ব্যবসা, পুঁজি এবং প্রযুক্তি-ই মুখ্য হয়ে উঠেছে। ইউরোপ-এশিয়া তেও যে এগুলো নেই তা না। তবে আম্রিকার মানুষজন বিশুদ্ধ জ্ঞান এর পরোয়াই করে না, ঠিক যেমন আর্ট এর তোয়াক্কা করে না। আমেরিকা মনে হয় পৃথিবীর প্রথম সুপার পাওয়ার যাদের মধ্যে সুসভ্যতার বালাই নেই। এর আগে প্রাচীন গ্রিস, রোমান সম্রাজ্য, মুসলিম মধ্যপ্রাচ্য, রেনেসাঁ যুগের ফ্রান্স বা যুক্তরাজ্য সবগুলো সুপার পাওয়ার এরই কিন্তু কমবেশি সুসভ্যতা ছিল।
ও অর্ণব ভাই, এইজ অভ রিজন পড়ে দেখতে পারেন। আশাকরি ভাল লাগবে। ইবুক এর লিংকটা আগেই দিয়েছি। আবারও দিচ্ছি। পারলে পড়ার পর এই বইয়ের একটা রিভিউ লিখতে পারেন:
http://ebooks.adelaide.edu.au/p/paine/thomas/p147a/complete.html
পড়ে ভাল লাগলে রিভিউ লিইখেন। অপেক্ষায় থাকলাম।
"ভাবতে পারো..ফ্রান্সিস ক্রিক একটা আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়েরও প্রফেসার?" - ছিলেন কিন্তু মারা গেছেন ২০০৪ (2004) সালে। আইনষ্টাইনও প্রিন্সটনের প্রফেসর। পয়েন্ট ঠিক আছে যদিও।
ক্যাডেট কলেজ ব্লগে আমি অনেক ইংরেজী কমেন্ট পড়েছি। সেকারণেই গতকাল রাতে একটা পোস্ট করেছিলাম ইংরেজীতে। লেখার শুরুতেই বলেছিলাম এ কথা, যে শুধুমাত্র এ পোস্টটিই এ রকমের এবং তার জন্যে আমি লেখার শুরুতেই ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলাম। আপনারা, মানে ব্লগের কর্তাব্যক্তিরা ১টা, শুধুমাত্র একটা ইংরেজী পোস্টের জন্য এরকমের জিরো টলারেন্স না দেখালেও পারতেন। একজন নন ব্লগ মেম্বারের কমেন্ট মোছার পরে আমি দেখেছি তাকে ফিডব্যাক দেয়া হয়েছে, যে কেন তার কমেন্ট মোছা হল।
গতরাতে করা আমার কমেন্ট পোস্টটির ব্যাপারে, (যা মুছে দেয়া হয়েছে) আমি একজন ব্লগ মেম্বার হিসাবে সদুত্তর প্রত্যাশা করছি যথোপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট।
এরকম কিছু করা হয়ে থাকলে অবশ্যই রাহাতের দাবীর প্রতি সহমত পোষণ করছি।কমেন্ট মুছে দেয়া হলে যথাযথ কারণ প্রদর্শন বাঞ্ছনীয়।
রাহাত
আপনার বিশাল ইংরেজি মন্তব্যটি স্প্যাম হিসেবে এসেছিল। ফলে সেটা অনুনমোদিত করতে হয়েছে।
আর সিসিবি'র নিয়মে বলাই আছে, ইংরেজিতে মন্তব্য সব সময় প্রকাশের নিশ্চয়তা দেয়া হয় না। তাই দয়া করে বাংলাতেই মন্তব্য করার অনুরোধ করছি। ইংরেজিতে মন্তব্য করার পর সেটা অনুমোদিত না হলে তার জন্যে মডারেটররা কোন মতেই দায়ী নন।
ধন্যবাদ।
মারছে আমারে...এইটা স্প্যাম হইলো ক্যামনে? :O কেউ যদি একটু বইলা দেন ক্যামনে হইলো...........কত্ত বড় ডকুমেন্ট টাইপ করছিলাম রে.. :((
দুঃখজনক। আমার কিছু করার থাকলে আমি দরকার পড়লে রাহাতের মন্তব্যটি বঙ্গানুবাদ করে হলেও রাখার চেষ্টা করতাম। আমি ব্যক্তিগতভাবে সবধরণের সেন্সরশিপের কঠোর বিরোধী।
খুবই সুন্দর প্রস্তাব অর্ণব।
তুমি এক কাজ করো , সবাইকে বলে দিতে পারো, যারা যারা ইংরেজিতে মন্তব্য লিখে, তারা যেন তোমার কাছে সেগুলি পাঠিয়ে দেয়। তুমি বঙ্গানুবাদ করে দিবে। তাহলেই তো হয়ে যায়। অনেকে ইংরেজিতে পোস্ট লিখতে চায়, সেগুলি বঙ্গানুবাদের দায়িত্বও নিতে পারো।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
আপনার মন্তব্যটাতো সার্কাস্টিক নাকি? অবশ্যই আমি বলছি না সবার লেখা ইংরেজী মন্তব্য আমি বাংলা করে দিবো। আমি বলেছি শুধু যে আমি চাইনা কেউ সেন্সর হোক। এটাও আমি বুঝি নীতিমালা ভেঙ্গে কেউ ইংরেজী মন্তব্য করলে তার সেন্সর হওয়া ঠেকানোর কোন উপায় নেই। আমার মন্তব্যকে ভুল বুঝে মিছেমিছি কষ্ট পাবে না সিসিবির সকল মডারেটররা এতটা ম্যাচিউরড এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।
তোমার সঙ্গে তর্কে জড়ানোর আগ্রহ ছিল না, তাও আবার একেবারে ভিন্ন একটি প্রসঙ্গে। কিন্তু মাঝে মাঝে তুমি খুব ইমম্যচিউরড (এই দেখ, তোমার লেখা পড়তে পড়তে আমিও ইংরেজি বলা শিখে ফেলেছি 😀 ) কথা বল। যুক্তিবাদী অর্ণবের সাথে যা একেবারেই মানায় না।
সেন্সরশীপ/মডারেশন এই সবকিছুর বিপক্ষে আমিও। কিন্তু যখন আমি সিসিবিতে নিবন্ধন করেছি তখন এটা জেনেই করেছি যে এখানে কিছু নীতিমালা আছে সেগুলি আমাকে মেনে চলতে হবে। আমার পছন্দ হলে আমি থাকবো না হলে পগাড়পাড় হবো। ব্যস, সোজা কথা। কেউ তো আমাকে জোর করছে না মডারেশন মেনে এইখানে থাকতে, নাকি?
তোমার কি ধারনা মডারেটরদের অন্য কোন কাজ নেই? তারা বসে বসে সকল ইংরেজি মন্তব্য বঙ্গানুবাদ করবে। এটা একটা স্বেচ্ছাশ্রম। নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনের ফাঁকে এরা সিসিবিকে সময় দেন, তোমার ভাষায় অনেক ম্যানআওয়ার নষ্ট করে। আশা করি তাদের দিকটাও ভেবে দেখবে।
আর যেখানে মন্তব্যের ঘরের উপরে স্পষ্ট বলে দেয়া আছে 'দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা' সেখানে ইংরেজি মন্তব্য অপ্রকাশিত বা অপ্রদর্শিত হলে তার জন্যে মডারেটরদের কারণ দর্শাতে বলা কি তোমার যৌক্তিক মনে হয়? কিংবা কারণ জানার পরেও ভুল করে দুঃখ পাওয়া?
তুমি মাঝে মাঝে কিছু চমৎকার কথা বলে আমাকে মুগ্ধ করেছো। একই সাথে কিছু হাস্যকর কথা বলে নিজেকে হাসির পাত্র করে ফেলোনা।
ভালো থেক।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
ওহহহ...বিশাল লেখা পড়ে ফেললাম।।
no comments.
তবে যদি বেয়াদবি না হয়,একটা কথা বলি ভাইয়ারা।
ব্লগে আমরা এসব নিয়ে বিতর্ক না করি,এত কিছুর পরেও আমাদের যারা ধর্মভীরু আছেন,তাঁদের কেউ ধর্ম ত্যাগ করবেন না।আবার ধর্মত্যাগীরাও ধর্ম গ্রহন করছেন না।ফাঁকে দিয়ে কি হল্,আমাদের মাঝের সম্পর্কটাতে চিড় ধরল।একটা মনোমালিন্যের ও ঘোলাটে পরিস্থিতির সৃষ্টি হল।
সেই অবস্থাটা আমাদের কারোরই কাম্য নয়।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি প্রায় প্রতিদিনই পোস্টটা ফলো করে যাচ্ছি। সুন্দর সুস্থ আলোচনা-বিতর্ক হচ্ছে। ব্লগে সহনশীলতা বেড়েছে।
তবে দুয়েকটা বিষয়,
এক. অর্ণব তোমার নামাজের সময় হিসাব করে শ্রমঘণ্টা নষ্ট করার উদাহরণটা আমার কাছে ভালো লাগেনি। আমরা অনেকভাবেই সময় নষ্ট করি। শুধু নামাজের হিসাব কষাটা বিপক্ষকে বক্সিং রিংয়ে নামার উস্কানি মনে হতে পারে।
দুই. মুহাম্মদের বালিকা বিয়ের বিষয়টি। আমাদের নবী হচ্ছে একটা নির্জলা প্যারাফিলিয়াক। তার পিডোফিলিয়ার কথা তো বিশ্বনন্দিত।
আমার প্রথম মন্তব্যটাই এখানে আবার দেয়া যায়। এমনসব উদাহরণ না টেনেও ধর্মের অসারতা বোঝানোর অনেক কিছু আছে।
বিতার্কিকরা সাধারণত লড়াইয়ে জেতার জন্য দু'ধরণের পদ্ধতি অবলম্বন করে বলে আমার পর্যবেক্ষণ। প্রথমটা, আক্রমণাত্মক আর দ্বিতীয়টা, বিনয়ী।
আক্রমণাত্মক পদ্ধতিতে বিপক্ষকে নির্মমভাবে আঘাত করা হয়। এতে দুপক্ষই লড়াইয়ে জিততে মরিয়া হয়ে ওঠে। এই পাল্টাপাল্টি কখনো কখনো বেল্টের নিচে নেমে যেতে পারে এবং বিপক্ষকে মানানো কঠিন হয়ে যায়।
আমি বিনয়ী পদ্ধতির মানুষ। জ্ঞান-বিজ্ঞান, সমাজ-সভ্যতার অগ্রগতি, বিবর্তন, ইতিহাস ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে প্রতিপক্ষকে সুস্থ বিতর্কে উৎসাহিত করাটা আমার পছন্দের প্রক্রিয়া। আমি প্রতিপক্ষকে আরো পড়তে, জানতে উৎসাহিত করতে চাই। এতে প্রতিপক্ষ বুঝবে আমি তার মতকে অসম্মান করছি না। তাকেও আলোচনা-বিতর্কে উৎসাহিত করছি।
তোমার এই বক্তব্যটা আমি বুঝিনি অর্ণব।
এডু-মডুদের কেউ না হলেও সিসিবিতে ধর্মপ্রচার বা বিরোধীতা কোনোটাই নিষিদ্ধ নয় বলে আমি জানি। আমি ভুল করলে জানিয়ে দিও যে কেউ।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
ভাইয়া আপনার কথাগুলো ভালো লাগলো। কম বেশি আমার মতও একই। :thumbup:
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
আপনার কথাগুলি খুবই ভাল লাগলো লাবলু ভাই।
তবে একটা বিষয়ে আমি শঙ্কিত,এই বিতর্কগুলি যেন আবার আমাদের ব্যাক্তিগত সম্পর্কে বিবাদের সৃষ্টি না করে।একজন মানুষের ধর্মকে বিশ্বাস/অবিশ্বাস সম্পুর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার।ঘটনা এরকম হয়ে যায় যে,এসব নিয়ে তর্ক শুরু হলে আর শেষ হতে চায় না।পুর্বেও অনেক ব্লগে এরকম দেখেছি যে,এসব তর্ক একবার শুরু হয়,কিন্তু শেষ হয় ঝগড়া ঝাটির মাধ্যমে।
আমাদের সিসিবি শুধু একটি ব্লগ নয়,এটি আমাদের স্বকীয়তার অনেক কিছুই বহন করে।তাই তর্ক/বিতর্ক যাতে অন্য দিকে প্রবাহিত না হয়,তা নিয়ে আমরা সবাই সচেষ্ট থাকি।
স্বাস্থ্যকর বিতর্ক মনকে সুস্থ রাখে
এসব নিয়ে বিতর্ক মনে হয় না খুব স্বাস্থ্যকর বিতর্ক।কারন এখানে অন্যের বিশ্বাসকেই আঘাত করা হচ্ছে।
অনেক ভালো লাগলো। এখন সকাল হয়ে গেছে, সারারাত ঘুমাইনি। ঘুম থেকে উঠে কিছু কথা বলার আছে সেগুলা বলব।
------------------------------------------------------------------
কামলা খেটে যাই
সেপ্টেম্বর ১৯ থেকে তুই ঘুমাইতেছস!! আজকে নভেম্বর ৮। উঠবিনা দোস্ত 😀
তিন বছর হৈয়া গেলো দোস্ত, ঘুম থেকে উঠবিনা?
দারুণ এই পোলাডা গেল কৈ? ওর লেখা ভীষণ মিস করি। মিস করি মুহাম্মদকে। আরো আরো অনেককে।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
এইরকম ফালতু ১টা লেখা আর কমেন্টস পড়ে শুধু শুধু আমার সময় অপচয় করলাম। কোনটা সত্য আর কনটা মিথ্যা মরলেই টের পাবেন
আপনি না মইরা টের পাইলেন কেমনে, কইঞ্ছেন দেহি?
হামিও ঝান্থে ছাই :((
অবাক হচ্ছি, প্রতিদিনই সিসিবিতে ঢু মারি। কিন্তু তোমার এই লেখাটি প্রকাশের ঠিক তিন মাস পর খোঁজ পেলাম। তাও আবার বাহিরের অন্য একটি লিঙ্ক থেকে। লেখা সম্পর্কে বিশেষ বলার নেই। গত কয়েক হাজার বছরে সভ্যতার পরিবর্তন হয়েছে খুব ধীর গতিতে। কিন্তু বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে, ইন্টারনেট এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নতির ফলে আগামী কয়েক শতকেই সভ্যতার বিপুল পরিবর্তন হবে। ধর্মহীন সমাজ খুব বেশি দূরে নয়, সেটা আমরা মানতে চাই বা না চাই।
There are thousands of beliefs and disbeliefs.Both of these have certain logics.When you turn into a negative mentality,you`ll go for proving your belief.But there are loads of opposite things.You dont wanna go for it.This is your fake idea and a delusion.God helps in both ways.Also the disbelievers!
ভাই বাংলা অনুবাদ করা আমার কাছে কঠিন লাগছে তাই ইংলিশ টাই তুলে দিলাম .প্লিস পোস্ট করবেন .ফর দা আঠিয়েস্ত্স : "Some reasons for extremism are given by Yusuf al-Qaradawi in Islamic Awakening Between Rejection and Extremism.
Extreme irreligion will produce extreme religion.
Lack of knowledge of, and insight into, the purpose, spirit and essence of religio-spirituality.
Failure to contemplate Qur'an and sunnah in their entirety. Unable to see relation between the parts and the whole. ("grasp the ethos")
An inability to differentiate between the figurative or metaphoric, and the literal meanings of texts. (the "fundamentalist-gnostic" duality)
Partial knowledge. This can show as failing to take into account original purposes and circumstances.
Intellectual shallowness showing as an intense interest in marginal issues and as excessive extension of prohibitions.
Emphasis upon allegorical texts-- inappropriate conjecture.
Failure to recognize the sunnan (patterns or natural law) of God's creation. (failure to engage in science)
Often, when we view Islam through the eyes of the popular media, we are seeing complaints of social-political-economic injustice that are being expressed in religio-spiritual language. It would be a grave error to presume that the majority of Muslims2 share the sentiments portrayed in the popular media, though they may be sensitive to the cause of the complainants. But much of the extremism is our own fault: a centuries-long decline in intellectual engagement with the sources of the tradition and with God's creation. This decline can be represented by the phrase "closing the door to ijtihad" and the concurrent rise in taqlid over the course of centuries. "Ijtihad" is the interpretation of the Qur'an while "taqlid" is a blind following of past modes of interpretation. Many are beginning to recognize this problem."
God helps in both ways.Also the disbelievers!
সহমত :thumbup:
"Never think that you’re not supposed to be there. Cause you wouldn’t be there if you wasn’t supposed to be there."
- A Concerto Is a Conversation
অসাধারণ! ৫ তারা দিলাম। প্রিয়তে যোগ করলাম। কোথায় আছো? কি করছো? সমমনা পাইনা বড় একটা, একটা যদি পাই, অমনি যোগাযোগ করতে মঞ্ছায়।
এই জন্য আমি এই ধরনের লেখা পরতে চাইয়াও পড়ি না। ধর্মের অসাড়তা প্রমানের জন্য অনেক বিধর্মীর কাছ থেকে শ্রেষ্ঠ মানব সন্তান আখ্যায়িত হওয়া নবীকে এভাবে আক্রমন করতে হবে????
ভাই তোমার অনেক কথায় যুক্তি থাকলেও কেন যেন মনে হইতেসে বিশ্বাসী মানুষদের প্রতি রেস্পেক্টটা নাই। ( ডিস্ক্লেইমারঃ সরি ভাই আমি তর্ক করতে আসি নাই। কারন বিশ্বাস ছাড়া আমার নলেজ খুবি কম।লেখাটা আর কমেন্টগুলা পড়ে আমার যা মনে হল তাই বললাম। সিসিবি এর পলিসি কি আমি ঠিক জানিনা কিন্তু তোমার ওই কমেন্টে একজন সাধারন ব্লগার হিসেবে আমার ধর্মীয় অনুভুতি বাজে ভাবে আঘাত প্রাপ্ত।)
ধর্মীয় গোড়ামি যেমন আছে, তেমনি নাস্তিক্য গোরামিও আছে| যুক্তি'র উল্টো যুক্তি দেয়া সময়-সাপেক্ষ হতে পারে কিন্তু অসম্ভব নাহ|
Evolution theory জীবনের বিকাশ explain করে (দ্বি-মত সহ)| কিন্তু 'শুরুর শুরু' (জড় পার্ট) এর কি explanation ? ভর-শক্তির Conversion/preservation যদি law of nature হিসেবে নিতে হয় , তাহলে তো , huge mass(/energy) এর eternal time ব্যাপী অস্তিত্ব মেনে নিতেই হয় , যার সৃষ্টি বা ধ্বংস নেই.....
তাহলে 'Creator' এর বিশ্বাস এর সাথে এই বিশ্বাস এর নীতি -গত পার্থক্য কি দাড়ালো ?
৫০০ বিলিয়ন galaxy , ১০০ বিলিয়ন stars per galaxy.... universe is too big/complicated/mysterious to comprehend its initiation/evolution.
May be Its too early to prove/disprove / or may be its a ever-lasting dilemma.
Civilization এই present stage এ আসা'র পেছনে নাস্তিক দের চেয়ে ধার্মিক/আস্তিক দের ভুমিকা কম নয়, আর নামাজ/meditation/পূজা/prayer../../../ যুগে যুগে মানুষকে (সবাইকে নয়) দিয়েছে ধীর -স্থির মন| মেন্দেলিফ এর মত অসংখ্য scientist ই ছিলেন পাদ্রী কিনবা ধর্ম -যাজক /উপাসক|
আবার, ধর্ম যেমন mankind k বারবার better society বানাতে help করেছে, সেই ধর্মের কারণেই মানুষ এর মধ্যে বিভক্তি 'র রেখা সুগভীর হয়েছে, হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন মানব শিবির, তাদের মধ্যে ভয়াবহ যুদ্ধ - স্বধর্মীদের দিয়েও অসংখ্য মানুষ হইছে নিপীড়ন এর শিকার। ধর্মের কারণে civilization পেছনের দিকে হাটছে...বারবার
তারপরেও যার যার বিশ্বাস তার তার থাক। যার দরকার, যুক্তি খুজে বেড়াক নিজের মত করে। আস্তিকরা নির্দেশিত, নাস্তিকেরাও সেটি করতে বাধ্য| তবে অন্যের বিশ্বাস নিয়ে টানাটানি করাটা কি মুক্তমনা মানুসের জন্যে বান্চনীয়?.
১) এখানে অনেক আলোচনা আমার খুব কাচা, সেই একই চর্বিত মনে হয়েছে। সবকিছুতে বিজ্ঞান না নিয়ে এসে বরং বিজ্ঞানে অবদান রাখা কি কাজের কাজ নয়? যারা বিজ্ঞানে কাজ করে আমার মনে হয়না তারা আলোচনায় সময় নষ্ট করে। কিন্তু যারা বিজ্ঞান পড়ছে তারা বিজ্ঞানকে দেবতা মনে করে এবং বিভিন্ন কারনে অহরহই এটা জাহির করে থাকে।
২) সব কিছুরই একটা বয়স আছে। টিনএজ বয়সে সবাই মেয়ে/ছেলে নিয়ে আগ্রহ দেখায় কারন মানুষের হরমোনের জন্য। একটা বয়সে সে হরমোন কেটে গেলে মানুষ আর বালখিল্যতা করে না। এই একই কথা সত্য ইউনিভার্সিটি পড়ুয়াদের জন্য। হরমোন বা রক্ত গরম একধরনের বালখিল্যতা নিয়ে দিনভর অ্যাথেইজম, গড নাই, গড আছে, ধর্মের এই দোষ, ধর্মই সব, চল চিল্লায়, আমি নাস্তিক - আমি ২০ টা বিজ্ঞান বই পড়ে সব জেনে গেছি, কোরানে সব আছে, কোরানে এই আয়াত ভুল, জীবন কিভাবে চলব এটাতো রিলেটিভিটি পড়েই জানা যায় - এই সব 'ফালতু' আলোচনা না করে কি কোনো ক্রিয়েটিভ কাজে সময় ব্যয় করা যায়? যখন এই বয়স চলে যাবে, 'বিদ্রোহী' হরমোন কেটে যাবে, আরো বেশি জানা যাবে, ছেলেমেয়ে হবে, বাবা-মা মারা যাবে, তখনকি একই ধরনের মানসিকতায় সময় কাটবে?
৩) বিজ্ঞানে কিছু অবদান কি কেউ কোনোদিন রাখতে পারবে? এভাবে ব্লগে 'ম্যান আওয়ার' নষ্ট না করে এইডস এর রিসার্চ করা কি বেশি ফলপ্রসু নয়?
৪) জীবনকে ঠিকভাবে চালানোর জন্য কেউ কোনো কিছু কেনো চিন্তা করে বাতলে দিচ্ছনা? খালি 'মুক্তচিন্তা'র বুলি দিয়ে কি ভুল সেটা না করে এর বাইরেও একটা কিছু ঠিক উপায় বের কর।
৫) মুহম্মদ কে নিয়ে কিছু সমালোচনা করা খুবই fashionable, ১০০ টা ভালোর মধ্যে ৫ টা দোষ (?) নিয়ে কান ঝালাপালা করে ফেলা যায়। এটা এক বয়সের বালখিল্যতা যেটার কথাই আমি বারবার বলছি। আমাদের কিন্ত যুগ এবং সময় বিবেচনা ছাড়া কাউকে জাজ করা উচিত না। আমাদের এখনকার সময়ের সবচেয়ে সেরা মানুষটাও এক হাজার বছর বা কয়েকশত পরের বিবেচনায় অনেক দোষে দোষী হবে। এখন দেখিতো উনবিংশ/বিংশ শতকের ভারতবর্ষের কয়েকজন মহতী মানবদের। bidyashagor, tagore, gandhi - এরা কেউই ধর্মপ্রচারক নয়, তবে জীবনে অনুকরনীয়। আমাদের খুবই কাছাকাছি সময়ের। এরা কি কেউ ১০ বছরের, বা ১৩ বছরের, বা ১১ বছরের বালিকাকে বিয়ে করেছিলেন, এ কালে, এ যুগের এত কাছে থেকেও? ভবতারিনী (mrinalini debi) র জন্ম ১৮৭৩, রবিঠাকুরের সাথে বিয়ে ১৮৮৩, জন্মতারিখ মাস আমার জানা নেই, তবে আমার ধারনা তখন তার ৯ বছর বয়স ছিল, ঠিক ১০ বছরও নয়। Kasturbai (gandhi's wife) ১২ বা ১৩ ছিলেন। বিদ্যাসাগরেরও কম বয়সী বালিকার সাথে বিয়ে হয়েছিল, আমার সঠিক বয়স জানা নেই। এগুলো আলোচনা করা বা জানাটাও খুব ফ্যাশনেবল না, (এইতো সেদিন যদিও), কারন তারা মহাকালের বিবেচনায় লোকাল ফিগার, গ্লোবাল হয়তো নয়, তাই কোনো ওয়েষ্টার্নার তাদের এগুলো নিয়ে ক্রুসেড ষ্টাইলে লিখে প্রচার করার কথা ভাবেনি, দরকার নেই। তাই ১৪০০ বছর আগে আয়েশার সাথে মুহম্মদের বিয়ে আমাদের বিবেচনায় দোষী বটেই। এটা আলোচনার বিষয় হতে পারে, তবে খোড়া যুক্তির নামে কাউকে হেয় করার বালখিল্যতা হিসেবে নয়। এ রকম অনেক বিষয়েই ঐ সময়ের কি প্রথা ছিল ও সেটা জানা দরকার। সমাজের সংস্কার সবচেয়ে কঠিন একটা বিষয়। বিজ্ঞান একাজকে সহজ করে দিতে পারে, কিন্তু তবুও অনেক কাজ বাকি থাকে। আমি কিন্তু এখান বিশ্বাসের কথা বলছিনা, বলছি সমাজের সংস্কারের কথা।
৬) ধর্মবিশ্বাস ভুয়া কি সত্যি এসব আলোচনার বিষয়। কিন্তু এটা করতে গিয়ে লেখক ও কমেন্টারদের মুহম্মদকে নিয়ে cheap shot আমার কাছে পশ্চিমাদের নকল মনে হয়। encyclopedia brittanica - macropedia তে মুহম্মদকে নিয়ে আলোচনার শুরু এভাবে - 'muhammad ushered in monumental changes in human history'. আইজাক নিউটন ছাড়া মানব সভ্যতার ইতিহাসে আর কাউকে নিয়ে এ কথা বলা যায় না, এত ব্যপক প্রভাব আর কোনো মানুষের নেই। এক ধরনের bias নিয়ে মুক্তবুদ্ধির আলোচনা হতে পারে না। 'জামাতি'দেরই মতই 'বিজ্ঞানযুক্তিজামাতি-আমিসবজানি' দেরও কোনো দরকার নেই।
৬) অনেক লেখা যায়। এসব নিয়ে লেখা আমার জন্য সময় নষ্ট মনে হয়। বিজ্ঞানের আর যুক্তির নাম ভাংগিয়ে আর কত? বিজ্ঞানে কোনো আবদান রাখতে পারবে কি - লেখক বা কমেন্টাররা? অথবা মানুষের জীবনে/সমাজে কোনো আমুল/নগণ্য পরিবর্তন?
তুমি ভাল লিখো।
সবকিছুতে বিজ্ঞান না নিয়ে এসে বরং বিজ্ঞানে অবদান রাখা কি কাজের কাজ নয়?
ভাইয়া অন্যদের কথা জানিনা কিন্তু আমার কাছে এই লেখাটি আমার জ্ঞান প্রসারিত করতে সহায়তা করেছে-অন্তত আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান কিছুটা হলেও প্রসারিত করতে এই লেখাটির অবদান আছে।
তাই ১৪০০ বছর আগে আয়েশার সাথে মুহম্মদের বিয়ে আমাদের বিবেচনায় দোষী বটেই
বিদ্যাসাগর,রবীন্দ্রনাথ-এঁদের কাউকে নিয়ে "সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব" এবং "সর্বকালের সর্বস্থানের সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুকরণীয় আদর্শ" বলে দাবী করা হয়না যেটা হজরত মুহম্মদ (স) কে নিয়ে করা হয়-তাঁর সমালোচনা করার কারণে কল্লা গেছে এমন উদাহরণও কম নয়।"extra ordinary claim requires extra ordinary proof"- কাজেই যাঁকে নিয়ে উপরোক্ত দাবীসমূহ করা হয় তাঁর এসব ক্ষুদ্রতাগুলো বাজিয়ে দেখা যুক্তিযুক্ত বৈকি-মনে হয়না কেবলমাত্র ফ্যাশানের তাগিদেই তা করা হয়।
আলোচনা, গবেষনা, সমালোচনা ঠিক আছে। কিন্তু হেয় করা নয়। জামাতিরা যে রকম 'zeal' নিয়ে কিছু বলে, তার চেয়ে ১০ গুন বেশি 'zeal' নিয়েই তথাকথিত মুক্তবুদ্ধির আলোচনা দেখি, অনেক 'biased' মানসিকতা থাকে এখানে, সেখান থেকে মুক্ত থাকতে হবে। আমি বলেছি আমাদের স্থান, কাল বিবেচনায় আনতে হবে, বর্তমান সময় দিয়ে উনবিংশ বা বিংশ বা একাদশ শতকের কাউকে জাজ করলে সে সময়, কালচার সব জেনে নিতে হবে। হয়তো আজ থেকে দুশ বছর পরে, আমরা যারা রিকশায় চড়ি তাদেরকে অমানুষ হিসেবে দেখা হবে, নীতিগত বা আইনত - যেমন পালকী চড়াকে এখন অনেকটা সেরকম মনে হয়। গরু বা ঘোড়ায় গাড়ী টানবে, কিন্ত মানুষ। দুশ বছর পরে এখনকার আমাদেরকে জাজ করার জন্য এসময়কে তাদের জেনে নিতে হবে। এটা একটা সামান্য উদাহরণ। জাতীয়তার নামে আমরা কালে কালে যা করেছি, সেটাও খুব নেগেটিভ ভাবেই দেখা হবে সুদূর এককালে। মুক্তবুদ্ধি 'মুক্তবুদ্ধি'ই হওয়া উচিত, একরোখা 'আমিই সব জানি' এরকম কিছু নয়। সমাজবিষয়ক আলোচনায় অনেক 'vagueness', 'viewpoint', 'change of values with time' থাকে, সেটা বিবেচনায় আনতে হবে।
//জামাতিরা যে রকম ‘zeal’ নিয়ে কিছু বলে, তার চেয়ে ১০ গুন বেশি ‘zeal’ নিয়েই তথাকথিত মুক্তবুদ্ধির আলোচনা দেখি//
জামাতিদের সাথে মুক্তবুদ্ধির মানুষদের তুলনা করলেন-খুব খুব খুব দুঃখ পেলাম।মুক্তবুদ্ধির মানুষেরা তাদের যুক্তিতর্ক কলম এবং বক্তৃতায় সীমাবদ্ধ রাখে- "যুক্তির অবমাননা" করার দায়ে তলোয়ার হাতে কারো কল্লা কাটেনা,বোমা মেরে মানুষও মারেনা।আর উপযুক্ত প্রমাণ পেলে মুক্তবুদ্ধির মানুষ স্রষ্টার অস্তিত্ব মেনে নিতে একবিন্দু দ্বিধা করবেনা(আমি নিজে নাস্তিক তবে পুরোপুরি মুক্তবুদ্ধি অর্জন করার মত জ্ঞান এখনো অর্জন করিনি-আমি ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারি,স্রষ্টার অস্তিত্বের সন্দেহাতীত প্রমাণ পেলে সাথে সাথে সেদিনই তওবা করে ধর্মগ্রহণ করব)---কিন্তু হাজারটা যুক্তি/প্রমাণের পরেও অধিকাংশ বিশ্বাসী মানুষ আকাশের ওই স্কাই ড্যাডির দাড়ি ধরে ঝুলে থাকবে।
আমিও খানিকটা সারকাজম করে ফেললাম-কিন্তু ধর্মান্ধ মানুষের কীর্তিকলাপের তুলনায় আমার এ "অপরাধ" ক্ষমার্হ বলেই মনে করি।
পারবে।
একটা সিনেমা দেখে যখন সমালোচনার ঝড় তুলেন তখন আপনারে বলা উচিত, আগে নিজে একটা সিনেমা বানাও, দেখা যাবে কত বড় পন্ডিত তুমি।
ভালো থাকবেন।
এখানে একটা ব্লগ বা প্রবন্ধ লেখা হয়েছে। এর সমালোচনা হতেই পারে। এখানে আলোচনা আছে, জ্ঞানের প্রয়োগ আছে, তবে মৌলিক বিজ্ঞান নয়। যেহেতু লেখক সময় নষ্ট করার কথা তুলেছে, মৌলিক বিজ্ঞানে অবদান ইত্যাদি, আমার মনে হয়েছে লেখককে এ ধরনের চ্যালেন্জ দিতেই পারি সে আদৌ মৌলিক বিজ্ঞানে কোনো অবদান রাখতে পারবে কিনা। যাই হোক, সিনেমা সমালোচনা করার মানেই সিনেমা বানিয়ে 'বড় পন্ডিত' প্রমানের দরকার নেই।
এখানে মাহমুদ নামে একজন জনপ্রিয় জ্ঞান নিয়ে ব্লগ লিখেছিল, যেটা আমার খুব পছন্দ হয়েছিল। একটা বিষয় খুবই ভালভাবেই আমি জানি, তা হল, বিজ্ঞানলেখক হিসেবে তোমরা অনেকেই ভাল করবে। কিন্তু বিজ্ঞানী হিসেবে নগণ্যর বেশী কিছু যারা করে তারা সারাদিন ব্লগে বসে থাকে না, জনপ্রিয় জ্ঞান জাহির করার জন্য সময় নষ্ট করে না (এটার দরকার আছে বটেই বিজ্ঞানলেখকদের জন্য), পাতার পর পাতা অন্য মানুষদের চর্বিত বিষয় লিখে খুব ভাব নেয় না, আর মনে করে না সমাজের বিশাল কিছু করে ফেলেছি কিছু যুক্তি তর্ক নিয়ে বছরের পর বছর শানিত করে অন্যদের চোখ ধাধানোর চেষ্টায়, বা জেতায়, ইত্যাদি কাজে। এ সবেরই দরকার আছে, ভাল লেখক, বিজ্ঞানলেখক বা চিন্তার পরিধি বাড়ানোর জন্য, কিন্তু আমি যা বলেছি সেটা খুবই সহজ, বিজ্ঞানের প্রয়োগ দিয়ে যুক্তি তর্ক করার ব্যপারে উতসাহ থাকা ভাল। কিন্তু বিজ্ঞানে অবদান রাখার জন্য যা দরকার হয়, সেটা নিজেকে জাহির করে হয় না। হাজার হাজার ব্লগ লিখে ভাল ব্লগার হতে পারবে বা ভাল অন্য কিছু, কিন্তু বিজ্ঞানী নয়। পারবে না। চ্যালেন্জ থাকল। তুমি/তোমরা এই চ্যালেন্জ নিতে পার, যেহেতু সত্যি শুনতে অনেকেরই ভাল লাগে না। আর যতই শানিত যুক্তিবাদি হওয়ার চেষ্টা থাকুক যখন কেউ ভুল ধরিয়ে দেয়, তখন সবার মাথা গরম হয়ে যায়, জামাতিদের বা যুক্তিবাদিদের। কিন্তু এইসব ব্লগ লেখালেখি করেই অনেকে ভাল করবে, এর বাইরে কোনো স্কলারলি কাজে নয়। সেটাও অনেক সাফল্য বটে। করোটির গ্রে ম্যাটারের সব ব্যবহার একসাথে হয় না। এ ধরনের মন্তব্য করার জন্য আমাকে 'বড় পন্ডিত' হওয়ার কোনো দরকার নেই। সত্য সত্য করে দিন কাটালে সত্য হজম করার সাহস থাকতে হয়।
রাসেল ভাই,
যখন কেউ ভুল ধরিয়ে দেয়, তখন সবার মাথা গরম হয়ে যায়, জামাতিদের বা যুক্তিবাদিদের
ভুল করলেন।যুক্তিবাদিরা নমনীয় কেননা বছরের পর বছর অন্ধবিশ্বাস ত্যাগ করে তবেই তাদেরকে যুক্তির পথে আসতে হয়।আমি আবারো বলছি- স্রষ্টার অস্তিত্ব কেউ যদি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পারে তবে যুক্তিবাদীরাই সবার আগে উপাসনালয়ে দৌড়াবে-"স্রষ্টা নেই" বলে শোরগোল তুলবেনা।আর আপনি বার বার জামাতিদের সাথে যুক্তিবাদীদের এক কাতারে টেনে আনছেন-আমি এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।
যুক্তিবাদী, মুক্তমনা এসব নামের লেবেলের পিছনে পালিয়ে কোনো লাভ নেই। শুধু স্রষ্টার অস্তিত্ব আর ধর্ম নিয়ে কথা বলার ব্যাপারেই দেখা যায় যুক্তি যুক্তি খেলা, আর নিজেকে জ্ঞানী জাহির করার চেষ্টা। আমি কোনো ভুল বলিনি যে জামাতি বল, আর তথাকথিত যুক্তিবাদী বল, ভুল ধরলে অর্থাত স্বার্থে আঘাত আসলে সবার মাথা গরম হয়ে যায়, কারন এটা মানুষের স্বভাব। ছোটভাই রায়হানের কমেন্ট দেখ উদাহরন হিসেবে - "একটা সিনেমা দেখে যখন সমালোচনার ঝড় তুলেন তখন আপনারে বলা উচিত, আগে নিজে একটা সিনেমা বানাও, দেখা যাবে কত বড় পন্ডিত তুমি।" সিনেমার যারা ক্রিটিক হয়, তাদের কিন্তু সিনেমা বানাতে হয়না সিনেমার সমালোচনা করার জন্য। বা আর্টের সমালোচনার জন্য, নিজেকে তার চেয়ে বড় আর্টিস্ট হতে হয় না। সুতরাং দেখা যাচ্ছে এখানে মাথা গরম হওয়াটাই ফাপা কমেন্টের কারন, যুক্তি বলে আসলে কিছু নেই অধিকাংশেরই, যুক্তি মুলত এক জায়গায়ই সীমাবদ্ধ। আমি জানি আমি বারবার উদাহরন হিসেবে জামাতি, যুক্তিবাদি একইসাথে নিয়ে এসেছি, যদিও তাদের মধ্যে পার্থক্য আছে, কিন্তু মানুষের মুল ব্যাপারগুলোতে এরা সবাই একই, আমি সেটাই বুঝিয়েছি। কারো যদি তাতে আপত্তি থাকে, থাকতেই পারে।
পৃথিবীর মানুষ মুলত স্বার্থহীন এবং স্বার্থান্বেশী, এ দুভাগেই বিভক্ত।বাংলাদেশে গরীব পরিবারের ছেলেপেলেদের বেশি মাদ্রাসায় দেখা যায়, এবং যারা গুলশান/বনানী/ইত্যাদি থাকে বা জীবনে খুব সহজে চলতে পারে বাবা মার স্বচ্ছলতার কারনে তারা অনেক ফ্যানসি আলোচনা করে সময় কাটায়। স্বার্থে আঘাত করলে দেখবে সব এক কাতারে। বিদেশে দিন কাটাচ্ছে এ রকম কাউকে বল কেন তারা থাকে গরীব দেশে থাকছে না, দেখবে তারা ১০০ যুক্তি দিয়ে তার স্বার্থকে ডিফেন্ড করবে, সেটা ভ্যালিডও হতে পারে, কিন্তু তাদেরই আরেক বন্ধু ১০০ টা যুক্তি দিতে পারবে তার বিপক্ষে, যে কিনা তার স্বার্থ/দিক দিয়ে চিন্তা করছে, দেশেই থাকছে। যুক্তিবাদীদের টাকা পয়সা কেড়ে নাও বা ভাগ বাটোয়ারা কেটে নাও, দেখবে তারা কাম্পাসে ধারালো অস্ত্র নিয়ে খুনাখুনি করবে। এরশাদ বাবাজীও যুক্তিবাদি ছিলেন নিঃসন্দেহে এ ব্যাপারে আমার কোনো সন্দেহ নেই, ধর্ম ব্যবহারে ওস্তাদ। নীতিবান মানুষ আছেই, কিন্তু তুমি তাদেরকে লেবেল দিয়ে তথাকথিত 'যুক্তিবাদি' বানিয়ে দিওনা। তারা নীতিবান কারন তারা স্বার্থহীন - ধার্মিক বা অধার্মিক দুই হতে পারে, সেটা কথা নয়। আর যাদেরকে জামাতি বলছ, তারা মুলত স্বার্থান্বেষি - ইহকালের বা পরকালের। কিন্তু আমি তো বলেছি, তথাকথিত যুক্তিবাদিরা একটু স্বচ্ছল বা ঝামেলাহীন পরিবার থেকে আসে বলে কম কম শয়তানি করে। এটা কিছুটা আর্থসামাজিক, তাদের তথাকথিত যুক্তিবাদি মনের ভুমিকা আছে, কিন্তু নগণ্য। ভাল আর খারাপ এ দুভাগেই মানুষ হতে পারে, যুক্তিবাদি নামটা শুধু ধর্মের অসারতা প্রমান করার জন্য ব্যবহার করা এক অসার আইডিয়া। এই ব্লগে যাদেরকে দেখলাম, এর বাইরে এদের সংখ্যা আছে, কিন্তু কম। সাধারনত এরা বয়সে বড় হয়, বয়সে ছোটরা জীবন নিয়ে এতই কম জানে, এরা সবাই 'বিদ্রোহী' হরমোনে আক্রান্ত।
যাই হোক, সিসিবি তে এটাই আমার শেষ কমেন্ট, সময় নষ্ট, কিছু সুবিধাভোগি ছেলেপেলেদের ফ্যানসি আলোচনা আর তর্কে জেতার মানসিকতা, নিজেকে প্রচার করার অসার চেষ্টা, মডার্ন হওয়ার চেষ্টা, যারা সবাই বড় হওয়ার একটা প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। শুভ কামনা। ভাল থেকো।
তথাকথিত যুক্তিবাদিরা একটু স্বচ্ছল বা ঝামেলাহীন পরিবার থেকে আসে বলে কম কম শয়তানি করে
ভুল।সমাজের সব অংশ থেকে যুক্তিবাদিরা আসে-এই ব্লগের একজন আছেন যার বাবা জামাতের রুকন।আর এই উদাহরণ একটা না,শত শত।আর ঝামেলাপুর্ণ পরিবার থেকে ধার্মিকরা আসে তার মানে কি এটা ধরে নিতে পারিনা যে পারিবারিক ঝামেলাই ধর্ম্বিশ্বাসের উৎস?
কিছু সুবিধাভোগি ছেলেপেলেদের ফ্যানসি আলোচনা আর তর্কে জেতার মানসিকতা, নিজেকে প্রচার করার অসার চেষ্টা, মডার্ন হওয়ার চেষ্টা
একজন সিনিয়র হিসেবে ছোটভাইদের প্রতি আপনার এই মনোভাব অত্যন্ত দুঃখজনক।তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
যুক্তিবাদী, মুক্তমনা এসব নামের লেবেলের পিছনে পালিয়ে কোনো লাভ নেই। শুধু স্রষ্টার অস্তিত্ব আর ধর্ম নিয়ে কথা বলার ব্যাপারেই দেখা যায় যুক্তি যুক্তি খেলা, আর নিজেকে জ্ঞানী জাহির করার চেষ্টা
আপনি এইমাত্র যে কাজটি করলেন এটি হচ্ছে লজিকাল ফ্যালাসির একটি ক্লাসিক উদাহরণ যার নাম মুভিং দা গোলপোস্ট। এখানে পুরো আলোচনাটা যেহেতু ধর্মবিশ্বাস নিয়েই হচ্ছে সেখানে ধর্মের বাইরে আলোচনাটাকে টেনে নেবার চেষ্টাটা কি একটু বেমানান নয়? ওয়াকার ইউনুস খুব ভালো ফাস্টবোলার তাতে কি হয়েছে,ক্রিকেটের বাইরে সে কি আর কিছু খেলতে পারে- আপনার বক্তব্য অনেকটা এরকম হয়ে গেলনা?
যুক্তিবাদী, মুক্তমনা এসব নামের লেবেলের পিছনে পালিয়ে কোনো লাভ নেই। শুধু স্রষ্টার অস্তিত্ব আর ধর্ম নিয়ে কথা বলার ব্যাপারেই দেখা যায় যুক্তি যুক্তি খেলা, আর নিজেকে জ্ঞানী জাহির করার চেষ্টা
নামের লেবেলের পেছনে পালানোর কথা আসছে কেন? আমি তো মনে করি উল্টোটাই সত্য-ধার্মিকরা বুঝে গেছে যে বর্তমান যুগে টিকে থাকতে হলে ধর্মকে বিজ্ঞানের দ্বারা সার্টিফাই হওয়া ছাড়া পথ নেই এ কারণে ধর্ম নামক আমগাছে তারা বিজ্ঞানের নিমডাল খোঁজে,দুটো সম্পুর্ণ ভিন্নধর্মী বিষয়কে এক করার হাস্যকর প্রচেষ্টা চালায়।ধার্মিকরা তাদের এই অপচেষ্টা বন্ধ করুক,ধর্মের নামে হানাহানি না করে নিজের বিশ্বাস নিয়ে থাকুক-বিজ্ঞানমনাদের খেয়ে দেয়ে কাজ নেই যে তাদের সাথে লাগতে যাবে।দ্বন্দ্বটা যেহেতু স্রষ্টার অস্তিত্ব আর ধর্ম নিয়েই তাই এখানে আপনার করা "শুধু ঈশ্বরের বেলাতেই যুক্তিবাদী-স্বার্থে টান পড়লে সবাই এক" জাতীয় ওভার জেনারালাইজড এবং অপ্রাসঙ্গিক কমেন্টকে বাতুলতা ছাড়া আর কিছু বলতে পারছিনা।
যুক্তিবাদি নামটা শুধু ধর্মের অসারতা প্রমান করার জন্য ব্যবহার করা এক অসার আইডিয়া
কিভাবে অসার আইডিয়া একটু বলুন না ভাইয়া।ধর্মের অসারতা প্রমাণ করে যুক্তিবাদীরা যা বলে তা দু একটা খন্ডন করুন প্লিজ! যেমনঃনূহের মহাপ্লাবণের বিপক্ষে অথবা আদম-হতে-মানব-জন্ম এর বিপক্ষে যুক্তিবাদীরা যা বলে তা অসার প্রমাণ করুন দয়া করে-তারপর বলবেন যুক্তিবাদিদের আইডিয়া "অসার"। স্বার্থে টান পড়লে সবাই যে এক তা আপনার একের পর এক আপাত ভদ্র কিন্তু অন্ত্যন্ত অপমানসুচক(অপমানসূচক হলে সমস্যা ছিলনা যদি তা যুক্তি-তথ্যপ্রমানের ভিত্তিতে হত) মন্তব্যগুলতে পরিষ্কার ফুটে উঠছে।
এই ব্লগে যাদেরকে দেখলাম, এর বাইরে এদের সংখ্যা আছে, কিন্তু কম সারা বিশ্বে নাস্তিক/মুক্তমনা/যুক্তিবাদীদের সংখ্যা সম্পর্কে একটু খোঁজ নেবেন ভাইয়া,আশা করি আপনার চক্ষু কর্ণের বিবাদ ভঞ্জন হবে।উন্নতবিশ্বের জনসংখ্যার ধর্মভিত্তিক পরিসংখ্যানের দিকে কষ্ট করে একটু নিজর দিলেই বুঝতে পারবেন যে আপনি যত কম ভাবছেন মুক্তমনাদের সংখ্যা তত কম নয় মোটেই।
বয়সে ছোটরা জীবন নিয়ে এতই কম জানে, এরা সবাই ‘বিদ্রোহী’ হরমোনে আক্রান্ত
বয়সে ছোটদের সম্পর্কে আপনার এই ধারনা আবারো দুঃখজনক।এই ব্লগে ১৯৬০ এর দশকের এক্স ক্যাডেটও আছেন যাঁরা বয়েসে আপনার চাইতে অনেক সিনিয়র,এমনকী তাঁরা পর্যন্ত সিসিবির নবীনতম সদস্যের প্রতিও এমন ধারণা পোষণ করেননা। আর বিদ্রোহ হরমোনে আক্রান্ত হয়ে নয়-সজ্ঞানে জেনে বুঝে ধর্মত্যাগী মানুষের সংখ্যাই কিন্তু মুক্তমনাদের মধ্যে বেশি।আমার জ্ঞান অতিমাত্রায় সীমিত তবে এটুকু বলতে পারি,২৩ বছর ধরে যে ধর্মকে আমি সত্য বলে জানতাম তা ত্যাগ করতে তথাকথিত বিদ্রোহ হরমোন নয়,তার চাইতে অনেক বড়সড় ধাক্কার প্রয়োজন ছিল।
ভাল থাকবেন।
কমেন্ট করতে বাধ্য হচ্ছি ভুলের জন্য -
"এই ব্লগে যাদেরকে দেখলাম, এর মধ্যে এদের সংখ্যা আছে, কিন্তু কম। সাধারনত এরা বয়সে বড় হয়" কারেকশন, আমি 'মধ্যে' লিখতে চেয়েছিলাম, মানে এই ব্লগের মধ্যে, লেখার সময় অন্য কিছু লিখে ফেলেছি। স্বার্থহীন মানুষের সংখ্যা কম, নো ডাউট।
আমার প্রধান আপত্তি এই 'যুক্তিবাদি'/'মুক্তমনা' নাম নিয়ে, এটা না বলে বরং 'নাস্তিক' নামটাই ব্যবহার করতে পার। ইংরেজি 'atheist' এর বাংলা তাই হয়। 'যুক্তিবাদি'/'মুক্তমনা' এ সবের ইংরেজি প্রতিশব্দ বল? সে সব শব্দের অর্থ অন্য কিছু মিন করে। সুতরাং বাংলায় এই ফ্যানসি এক নাম বানিয়ে তার পেছনে পালানোর কোনো দরকার নেই - কথাটা খারাপ লাগতে পারে, কিন্তু ভেবে দেখা উচিত।
আমি কয়েকটা উদাহরন দিয়েই সেটা বোঝাতে চেয়েছি যে 'যুক্তিবাদি' নামটার সাথে অনেক 'নাস্তিকের' কোনো সম্পর্ক নেই। যেমন - এক ব্লগারের মাথাগরম কমেন্ট আমি কোট করেছি, যার মধ্যে যুক্তির কোনো বালাই নেই - সুতরাং 'যুক্তিবাদি' নাম নিয়ে যুক্তিহীন ভাল মানুষ সাজার কোনো দরকার নেই। আরেক উদাহরন - "যুক্তিবাদীদের টাকা পয়সা কেড়ে নাও বা ভাগ বাটোয়ারা কেটে নাও, দেখবে তারা কাম্পাসে ধারালো অস্ত্র নিয়ে খুনাখুনি করবে।" হ্যা করবে, এ ব্যাপারেও কোনই সন্দেহ নেই। 'তথাকথিত যুক্তিবাদিরা একটু স্বচ্ছল বা ঝামেলাহীন পরিবার থেকে আসে বলে কম কম শয়তানি করে।' নিজেদের কথা বিবেচনা কর। এটাও ঠিক। কিন্ত এটার উলটো করাটাই ভুল - সুতরাং লজিকাল ফ্যালাসি তোমারই হয়েছে। "সমাজের সব অংশ থেকে যুক্তিবাদিরা আসে-এই ব্লগের একজন আছেন যার বাবা জামাতের রুকন।" উনি নাস্তিক, যুক্তিবাদি নন।
'যুক্তিবাদি' নাম কেটে 'নাস্তিক' ব্যবহার করলে আমার অনেক কথা পরিবর্তন করতে হতে পারে। যেমন এই লাইনটা - "যুক্তিবাদী, মুক্তমনা এসব নামের লেবেলের পিছনে পালিয়ে কোনো লাভ নেই। শুধু স্রষ্টার অস্তিত্ব আর ধর্ম নিয়ে কথা বলার ব্যাপারেই দেখা যায় যুক্তি যুক্তি খেলা, আর নিজেকে জ্ঞানী জাহির করার চেষ্টা।" অতি ব্যবহারে 'নাস্তিক' শব্দটা হয়ত কিছুটা devalued হয়েছে, কিন্তু সেজন্য ভুল নাম নেয়ার কোনো দরকার নেই।
হ্যা, আমি মুল পোষ্টের বিষয় থেকে কিছুটা সরে গিয়েছি কমেন্টের সুত্র ধরে। কারন যুক্তিবাদি নাম নিয়ে ভালমানুষী সাজার চেষ্টাটা আমার ভাল লাগেনি।
তাই 'স্বার্থহীন এবং স্বার্থান্বেশী' ইত্যাদি আলোচনা এসেছে।
বয়সে ছোটদের প্রতি ধারনাটা আমার জীবন থেকে নেয়া, তাই আমি হয়ত নিজেকেই ছোট করছি।
আবারো সময় নষ্ট হল।
আমি মুল পোষ্টের বিষয় থেকে কিছুটা সরে গিয়েছি কমেন্টের সুত্র ধরে। কারন যুক্তিবাদি নাম নিয়ে ভালমানুষী সাজার চেষ্টাটা আমার ভাল লাগেনি।
যুক্তিবা্দী/নিধর্মী নামের আড়ালে কেউ ভালমানুষ সাজতে চায়নি-এটি আপনার কল্পনা।যে চেষ্টা করা হয়েছে সেটি হচ্ছে মুহম্মদ (স) যে সর্বযুগের অনুকরনীয় আদর্শ কিনা তার আলোচনা/সমালোচনা।খুব অবাক হচ্ছি- আপনি সেখানে প্রদত্ত যুক্তি নিয়ে একটা কথাও না বলে "নিধর্মী না নাস্তিক না যুক্তিবাদী" এই বিতর্ক সৃষ্টি করে মূল বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন। যা হোক, বিতর্কের খাতিরে ধরে নিলাম বক্তারা সবাই "নাস্তিক", এরা কেউ "যুক্তিবাদী" না ।( আপনার এই মূল বিষয় থেকে সরে যাওয়া সম্পর্কে শহীদুল আহসান ভাইয়ের ব্লগে আপনার কমেন্টের পর আন্দালিব ভাইয়ের কমেন্টের নিচেই আমার কমেন্ট রয়েছে-কষ্ট করে দেখে নেবেন আশা করি)
এবার "নাস্তিকদের" দাবীটা (সম্ভবত চতুর্থ বা পঞ্চমবারের মত) কপিপেস্টের মাধ্যমে উত্থাপন করিঃ
যা-থেকে বিতর্কের সূত্রপাত, নবীজীর বাল্যবিবাহের যৌক্তিকতা- এ সম্পর্কে কয়েক লাইনে যা বলা যায় তা হচ্ছে, সে সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে এধরণের বিবাহ হয়তোবা খুব একটা দোষের ছিলনা কিন্তু নবীজীকে যেহেতু মুসলিমরা সর্বকালের সর্বমানুষের অনুকরণীয় আদর্শ হিসেবে দেখে,বর্তমান সময়ের বিচারে ‘পেডোফিলিয়ার” মত বিকৃত একটা কাজ তিনি সে সময়ে বসে কেন করেছিলেন প্রশ্নটা জাগে এটা নিয়েই।
এর উত্তর এভাবে হতে পারে(বারংবার একই কথা লেখার জন্যে দুঃখিত)-
ভাইয়া, বিতর্কের খাতিরে মেনে নিলাম উপরের দাবীটা যারা করেছে তারা সবাই "নাস্তিক", কেউ "যুক্তিবাদী" না।
এবার অন্ততঃ দইয়া করে এ দাবী নিয়ে আপনার মতামত দিন- "যারা এরকম কথা বলে তারা মুক্তমনা/যুক্তিবাদী নামের আড়ালে লুকায়-আসলে তারা নাস্তিক" -এই কথা বলে মূল বিষয় এড়িয়ে যাবার মনে হয়না আর কোন অবকাশ আছে। মূল বিষয় সম্পর্কে একটা শব্দ উচ্চারণ না করেও অযথা নাস্তিক-যুক্তিবাদী নাম বিতর্কে যদি এতক্ষণ সুবিশাল কমেন্ট করতে পারেন, নাম বিতর্ক মিটে যাবার পর উপরে উল্লেখিত মূল বক্তব্য সম্পর্কে মতামত পেশ করার মত উদারতা আপনি রাখেন বলেই আমার ধারণা।
ভাল থাকবেন।
রাসেল ভাই কোন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কথাগুলা বলেছেন বোধহয় ধরতে পেরেছি। আমাদের সব কর্মকান্ডই ব্যাক্তিগত সম্পদের সাথে জড়িত। দুর্ভাগ্যজনক, কিন্তু সত্য কথা, আমাদের ক্যাডেট কমিউনিটির এসবের সাথে পরিচয় নেই। রাজীব ভাই (১৯৯০-৯৬) এর সাথে এইটা নিয়ে কথাও হয়েছিল একদিন। আপনার সাথে পরিচিত হতে পারলে ভালো লাগবে।
না জানাটা দোষের কিছু না, কিন্তু জানতে না চাওয়াটা দোষের। এইগুলানের শাস্তি হওয়া উচিৎ!!
তুলনাটা আলোচনার intensity নিয়ে করা হয়েছে। মানুষদের নিয়ে নয়। পুরো লাইনটা একটু সতর্ক হয়ে পড়ে দেখার অনুরোধ রইল।
উদাহরণ টানার সময় পাকি ক্রস স্পার্ম বেজন্মা জামাতিদেরকে টানার ব্যাপারেও দ্বিতীয়বার ভেবে দেখতে আপনাকে বিনীত অনুরোধ করছি।মুক্তমনাদের বক্তব্যে কোন কোন সময়ে প্রয়োজনের তুলনায় ঝাঁঝ বেশি হয়ে যায় এ নিয়ে আমার কোন দ্বিমত নেই-কিন্তু তারা জামাতি বেজন্মাদের মত নির্লজ্জ্বভাবে মিথ্যাচার করেনা,অন্ততঃ আনুপাতিক হারটা এক নয়।আর আলোচনার ইনটেনসিটির কথা ধরলেও মুক্তমনারা জামাতীদের ধারে কাছেও যেতে পারবেনা কারণ মুক্তমনাদের কথার ঝাঁঝ যত বেশিই হোক না কেন তা ওই কথাতেই সীমাবদ্ধ।নাস্তিকের সাথে ধর্ম নিয়ে তর্ক করার পর কাউকে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হতে হয়েছে বলে শোনা যায়না বললেই চলে-যেটা একজন পাঁড় জামাতীর সাথে ক্যাম্পাসে ধর্মের বিপক্ষে কথা বলায় অনেক মুক্তমনারই হয়েছে।
পুরোটা পড়ে অলস সময়ের মাঝে ভয়াবহ কিছু চিন্তার খোরাক পেলাম. আমার যতদুর মনে হয়,এ ধরনের চিন্তা সবারই আসে কোনো না কোনো সময়, কিন্তু একটা অজানা থেকে পেয়ে বসা ভয় আবার ফিরিয়ে আনে তাকে. আর এজন্য ই যারা এখানে লিখেছেন, বা যারা খুব জোর দিয়ে বলেন যে, তারা ধর্মবিশ্বাসী, তাদের কথাটা যুক্তির দিক থেকে ততটা শক্তিশালী না.
সৃষ্টি কে বোঝার জন্য , তার রহস্সো বোঝার জন্য ই ধর্মের উত্পত্তি. শুধু ধর্ম নয়, সামগ্রিক অর্থে, দর্শন ও একই কারণে সৃষ্টি. দর্শন ও ধর্ম মূলত পর্যবেক্ষণ নির্ভর নয়, বরং তা প্রজ্ঞা নির্ভর, তাই বলে তা যে সত্য উদঘাটনে একেবারেই অক্ষম, তা কিন্তু নয়. বহু বছর আগেই দার্শনিক প্রজ্ঞার মাধ্যমেই দেমক্রিতাস বা কনাদ'রা বলে গিয়েছেন যে পরমানু রয়েছে. তবে এই পদ্ধতির সমস্যা হলো, একাধিক সমাধান এর মাঝে সঠিক টি বের করা দুরহ. আর এ কারণেই গালিলীয় পরবর্তী সময় পর্যবেক্ষণ নির্ভর সমাধান পদ্ধতি, যাকে আমরা বিজ্ঞান বলছি, তা আসে. তবে তার উদ্দেস্য কিন্তু পরিবর্তন হয় নি. যে উদ্দেশ্যে আমরা আজ সার্ন এ এল এইচ সি বানাচ্ছি, ঠিক একই কারণে সক্রেটিস আগোরার সাধারণ লোকজনের সাথে কথা বলতেন, তাদের জীবনের মানে খোজার চেষ্টা করতেন, আর তা হলো, কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে, কিভাবে প্রাকৃতিক নিয়ম তা নিয়ন্ত্রণ করছে, এবং কোন পথে তা যাচ্ছে.
ধর্ম এ ধরনের একটা পদ্ধতি, যা নিস্সন্দেহে ত্রুটিপূর্ণ এবং কোনো সময়ই সম্পূর্ণ সঠিক উত্তর দিতে পারেনি. তবে খুব গুরত্বপূর্ণ একটি কাজ করতে পেরেছে, আর তা হলে সাধারণ মানুষ কে জীবনের একটা অর্থ দিতে পেরেছে, যারা সৃষ্টির রহস্যের ব্যাপক বিস্তৃত চিন্তা টি ধারণ করবার সাহস করেনি, তাদের একটা সহজিয়া সমাধান দিয়েছে. আর অর্ণব ভাই নিজেই কিন্তু বলেছেন, যে সভ্যতা শুধুমাত্র কয়কজন মানুষের চিন্তা ভাবনার ফসল নয়, বরং তাতে প্রতিটি মানুষের হাত রয়েছে. আর তাদের অধিকাংশের জন্যে ধর্ম. তারা সেই বিশ্বাসে নামাজ পড়ে, যে বিশ্বাসে কোনো নিউক্লিয়ার ফিজিসিস্ট পার্টিকাল এক্সিলারেটর এর কন্ট্রোল রুম এর স্ক্রীন এ তাকিয়ে থাকে. প্রথম টি সমাধান দেয় না, কিন্তু তার জন্য এর চাইতে বেশি আর দরকার ও নেই.
ধর্ম ও এর ভয়াবহ এবং ক্ষতিকর দিক গুলো সময়ের বিবর্তনে যথাক্রমে পরিবর্তিত ও বিলুপ্ত হবে, আর এই পুরো প্রক্রিয়া টি সামাজিক পরিবর্তনের অংশ. কোনভাবেই এটিকে তরান্নিত কিংবা দীর্ঘায়িত করা সম্ভব নয়.
ইশ্বর আছেন কি নেই, এই বিতর্ক টি আমার সবসময় আমার হাস্যকর লাগে. বিতর্কের আগে উভয় পক্ষই নিজেদের ইচ্ছা মত সঙ্গা নির্ধারণ করে বিতর্কে নামেন. পদার্থবিদের কাছে ইশ্বর গ্র্যান্ড উনিফিং থিওরি বা গাট, জীববিদের কাছে তা আমেইনো এসিড, আর মুসলিম দের কাছে তা আল্লাহ. আর তাই, এই বিতর্কে সবাই জেতে. হ্যা, ধর্মের খারাপ দিক নিয়ে বিতর্ক করা যেতে পারে, কার ইশ্বর সবচাইতে ভালো (!) এই নিয়েও তর্ক করা চলে, কিন্তু ইশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে নয়.
পদার্থবিদের কাছে ইশ্বর গ্র্যান্ড উনিফিং থিওরি বা গাট, জীববিদের কাছে তা আমেইনো এসিড, আর মুসলিম দের কাছে তা আল্লাহ.
তোমার কথার সাথে যারা বলে "নাস্তিকতাও আসলে একটা ধর্ম,কিছু বিশ্বাস না করাটাও তো আসলে একটা বিশ্বাস" সেই দলের লোকদের মিল খুঁজে পাইলাম।ধার্মিকরা যেভাবে শুধুমাত্র বিশ্বাসের ভিত্তিতে স্রষ্টার অস্তিত্ব খুঁজে পান, তার সাথে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে দিনরাত পরীক্ষাগারে হাজারটা এনালাইসিস করা বিজ্ঞানীর এমাইনো এসিডে বিশ্বাসটা এক করে দেখাটা কি ঠিক হল? হুমায়ূন আজাদ স্যারের একটা লেখায় কাছাকাছি এরকম পড়েছিলাম-"কেউ কিন্তু বলেনা যে আমি এমাইনো এসিডে বিশ্বাস করি বা মাধ্যাকর্ষণ শক্তিতে বিশ্বাস করি কারণ এদের অস্তিত্ব প্রমানিত,এদের উপরে আলাদা করে ঈমান আনার (বিশ্বাস করার) কোন প্রয়োজন নেই।কিন্তু একজন ধার্মিককে বারংবার বলতে হয় "আমি স্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাস করি" কারণ স্রষ্টার অস্তিত্বের মূল ভিত্তি হচ্ছে বিশ্বাস-মাধ্যাকর্ষণ শক্তি বা এমাইনো এসিডের মত বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নয়।কাজেই তোমার বক্তব্যের সাথে একেবারেই একমত হতে পারলাম না।
ধর্ম ও এর ভয়াবহ এবং ক্ষতিকর দিক গুলো সময়ের বিবর্তনে যথাক্রমে পরিবর্তিত ও বিলুপ্ত হবে, আর এই পুরো প্রক্রিয়া টি সামাজিক পরিবর্তনের অংশ. কোনভাবেই এটিকে তরান্নিত কিংবা দীর্ঘায়িত করা সম্ভব নয়.
আবারো তীব্র দ্বিমত।প্রয়োজনীয় শিক্ষা এবং বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার প্রচার-প্রসারের মাধ্যমে ধর্মের ক্ষতিকর দিকগুলো বৈপ্লবিক গতিতে দূরীভূত করা সম্ভব এবং বহু দেশে,এমনকী বাংলাদেশেও তা হচ্ছে।বর্তমানে ইন্টারনেটেই(স্বীকার করছি এরা সমাজের অগ্রগামী অংশ)ধর্মীয় কুসংস্কার নিয়ে যে পরিমান ঘাঁটাঘাঁটি এবং প্রকাশ্য বিদ্রোহ দেখা যায়-আজ থেকে ১০/১৫ বছর আগে কি তা কল্পনাও করা যেত?
ব্যক্তিগত বিষয় টেনে এনে এই লেখাটার বিচার করা ঠিক হচ্ছেনা বলেই আমি মনে করি।লেখকের প্রতি তোমার যে অভিযোগ তা সত্য হলেও এই লেখার বিষয়বস্তু মিথ্যা হয়ে যায়না।তোমার রিলিজিয়ন তোমাকে বলেনা এইরকম অনেক কাজই কিন্তু তথাকথিত রিলিজিয়াসরা করে-জেলখানায় গেলে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়া শিশুধর্ষক প্রচুর দেখতে পাবা,তাদের কারণে নিশ্চয়ই আমি বলবনা যে রিলিজিয়নের দোষে তারা ওই অপকর্ম করছে।
আমারতো এই লেথা পড়ে মনে আসলে ধর্ম থেকে সরে আসতে যেয়ে আমরা নতুন এক ধর্ম তৈরী করছি তা হল নাস্তিকতা
সেইরকম লেখা।
সাধু সাধু।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
৩ বছর আগে এই লেখাটা পরসিলাম। জুবায়ের ভাইয়ের সায়েন্টিফিক কথাবারতা ম্যাক্সিমাম নেটওয়ার্ক এর বাইরে দিয়ে গেসিল। বাট ২ বছর মেডিকেল পইড়া যখন লেখাটা পরলাম তাও দেখি খালি বায়োলজিটাই বুঝি খালি। মানুষ এত ব্রিলিয়ানট হয় কেমনে? :boss: :boss:
নাহ জানার অনেক কিছুই বাকি আসে। ক্যাডেট কলেজ ব্লগের কোন আর্কাইভ করা হইলে এইটা প্রথম সারির একটা লেখা। যারা ক্যাডেটদের মেধা,মনন নিয়া প্রস্ন তোলে তাদের কান ধইরা আইনা দেখানো দরকার । আয় দেখ ক্যাডেট কি জিনিস। x-( x-(
তুমি গেছো
স্পর্ধা গেছে
বিনয় এসেছে।
:)) :)) :)) :)) :)) :)) :)) :)) :)) :)) :))
thanks to Arnob for his artcle which is well written and really easy to comprehand.
On the other hand, Rahat should get equal amount of warm reception from me. Because of his argument, writer could answer to so many questions which are normally expected for this kind of topic.
N.B- 1. i am not a cadet.
এই লেখাটা পড়ে আমার একটা কথাই শুধু মনে হয়ঃ এতগুলো মানুষ এতগুলো শ্রমঘণ্টা নষ্ট করল এই আকাইম্মা লেখা টা পড়ে !
মাহমুদ
লেখা পড়ে আমার সময় নষ্ঠ হয় নাই, কারন অনেক কিছু শিখলাম। আপনার কমেন্ট পড়ে সময় নষ্ট করলাম এবং জবাব দিয়েও। একটা কথা শিখেছি, অনলাইনে, নিজেকে মুক্ত করতে না পারলে "মানুষ" কখনৈ মুক্ত হতে পারেনা, সে অলৌকিক কারো জন্য হোক অথবা লৌকিক কারো জন্য হোক। আপনি মনে হয় প্রথম জন, ব্যাক্তিগত ভাবে জানলে হয়তো দ্বিতীয়টার ব্যাপারেও বলতে পারেন!
অসাধারন ! অসাধারন !! অসাধারন !!!
এই লেখাটা আমি বারবার পড়ি । যতবারই পড়ি মুগ্ধ হয়ে যাই । জীবন সম্পর্কে আমার অনেক দৃষ্টিভঙ্গী বদলে দিয়েছে এই লেখাটা । লেখক কেন এত কম লেখেন জানিনা । আমি গর্ববোধ করি যে আমাদের দেশে এমন খোলামনের মানুষ জন্মায় । স্যালুট !
জুবায়ের, এই লেখাটা এত দেরি করে পড়া আমার উচিত হয় নাই। খুব ভালো লিখেছো। তোমার লেখার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। এখানে আমার নিজস্ব কিছু কথা বলে যাইঃ
১) এই ক্যাডেট কলেজ কমিউনিটিতেও অসহিষ্ণু মানুষ আছে অনেক। অনেক জনের অনেক মন্তব্যে নিশ্চয়ই প্রমাণ পেয়েছো। আমার কলেজের ব্যাচমেট আছে বেশ কয়েক জন যারা আমাকে কুপিয়ে মেরে ফেলতে দ্বিধা করবে না যদি তারা জানে আমি ধর্মে বিশ্বাস করি না।
২) পৃথিবী প্রতিদিন পাল্টাচ্ছে। পাল্টাচ্ছে আমাদের জ্ঞান। ২০০০ বা ৪০০০ বছর আগে যা স্বতঃসিদ্ধ ছিল, আজ তা অসাড়। একথা আমার আজকের জ্ঞানের জন্যও সত্য। এবং এটা আমি মেনে নিতে রাজি। কেউ যখন আমাকে ভুল প্রমাণ করতে চায়, আমি মন দিয়ে শুনি। তাকে বলতে দিই। হয়তো এতে আমি নতুন কিছু শিখতেও পারি। কিন্তু আস্তিকদের সমস্যা হচ্ছে তারা সব জানে। যা আজ আবিস্কার করা হয়েছে, সেটা নাকি ১৪০০ বছর আগেই আবিস্কার করা হয়েছে। আজ থেকে আরও ২০০০ বছর পর কি হবে, তাও নাকি তারা জানে। আগে হাসি পেতো। এখন মারতে ইচ্ছা করে।
৩) তোমার লেখায় মাঝে মাঝে punctuation এর ব্যাঘাত ঘটেছে। এদিকে একটু মনযোগ দিও। আর তোমার লেখার হাত চমৎকার।
৪) I see atheists are fighting and killing each other again, over who doesn't believe in any god the most. Oh, no.. wait... that never happens 😀
জুবায়ের অর্ণব (৯৮-০৪)
দাদু, আপনি কি নোবেল পাইয়াছেন? যদি পেয়ে থাকেন তবে অবিলম্বে জানাইবেন। লেখা পড়ীয়া আপনার ধিমান শক্তি দেখিয়া কুপোকাত হয়ে গেছি। আগে অন্ধ ছিলাম, এখন চক্ষু দিয়া দিব্য দেখতে পাইতেছি।
মনে হচ্চে আপনি ইউক্যারয়ট আবিস্কার করে ফেলেছেন। আচ্ছা, আপনার ল্যাবটা যে কোথায়? ওখানে বসে আমাকে একটা হুরি বানাইয়া দিবেন, আমি খেলা করিব। আর ল্যাবে কি কি আবিস্কার করিতেছেন? ডারউইন দাদুকে দেখতে ইচ্ছা করছে, ওকে একটু বানাইয়া দিবেন। আচ্ছা, ডারউইন কি মারা গেছে নাকি? ওর আত্মাটা কোথায় গেল? নাকি soul বলতে কিছু নেই? ওসব মিথ?
৯ বছরের মেয়ে বিয়ে করলেই কি পেডোফাইল হয় এই সংগা কে দিল দাদু? আর সব মেয়েদের গ্রোথ রেট কি এক রকম? হেলথ সাইন্স কি বলে? তবে বিজ্ঞানি চাচারা বলেছেন, প্রথম ভ্রুন সবচাইতে ভাল সন্তান উপযোগি, যত বিলম্ব হবে তাতে ভ্রুনের কার্যকারিতা কমে।
আরো লিখবে পরে, টাইম কম।
কোন সমাজের পুরুষরা বিয়ের জন্য ছোট মেয়ে খুজে না জানতে চাই।
তিনি কি সব পুরুষের কাতারে পড়েন ? তিনি তো মহাপুরুষ !!!! 😕 😕 😕