সরকারি চাকরিতে মেধা এবং কোটার বিরোধ অনেকদিন ধরেই চলছিল। গতকাল বুধবার ১০ জুলাই, ২০১৩ তার একটা বিস্ফোরণ ঘটেছে। ৫৬ শতাংশ নানা ধরণের কোটার বাধায় অনেকে ভালো ফল করেও চাকরি পাচ্ছেন না। এটা দুঃখজনক। কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
কিন্তু বিক্ষুব্ধরা ঢালাওভাবে কোটার বিরোধীতা করছে। যারা সব কোটা তুলে নেয়ার পক্ষে বলছেন, তারা দেশ-মানুষ সম্পর্কে কতোটা জানেন বুঝেন সে নিয়ে সন্দেহ আছে। এরা সরকারি চাকরিতে গিয়ে দেশ ও মানুষের কতোটা কল্যাণ চিন্তা করবেন সে নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায়। খুঁজে দেখলে পাওয়া যাবে এদের বেশিরভাগের বাবা-চাচা-মামারা কোটার জোরে চাকরি পেয়েছেন।
স্বাধীনতার ৪১ বছর পর মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ রাখা যৌক্তিক নয়। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সম্মান মর্যাদা যেমন দিতে হবে, তেমনি অগ্রহযোগ্য কোনো সুবিধার কারণে তারা যাতে সাধারণ মানুষের কাছে অসম্মানের না হন সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। গত ৫ বছরে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় কতোজন চাকরি পেয়েছেন, তা বিচার বিশ্লেষণ করে সমন্বয় করলেই মুক্তিযোদ্ধা কোটার অবস্থান বেরিয়ে আসবে। সে অনুযায়ী এই কোটার হার ঠিক করা দরকার। স্বীকার করতে হবে, এই কোটার অপব্যবহার হচ্ছে বেশি।
আদিবাসী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠি, প্রতিবন্ধী, নারী কোটা থাকতে হবে। যতোদিন তারা সমাজের মূলস্রোতের সমান না হতে পারবে ততোদিন এটা রাখতে হবে। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এই ধরণের কোটা আছে। আমাদের সংবিধানও এই জনগোষ্ঠির জন্য বিশেষ সুবিধা দিতে বলেছে।
সরকারি চাকরিতে একসময় কুমিল্লা, ব্রাক্ষণবাড়িয়া, নোয়াখালী জেলার মানুষের প্রাধান্য ছিল। জেলা কোটার বাধ্যবাধকতার কারণে সরকারি চাকরিতে উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গের মানুষের সংখ্যা, পরিমাণ বেড়েছে। কিন্তু এখন জেলা কোটার অপব্যবহার হচ্ছে। এক জেলার মানুষ সহজেই অন্য জেলার দেখিয়ে চাকরি বাগিয়ে নেন। অনেক জেলার তো কোনো কোটা থাকেই না।
সবমিলিয়ে বর্তমান বাস্তবতায় কোটা ব্যবস্থার পূনর্মূল্যায়ন জরুরি হয়ে পড়েছে। জানি না, এই সরকারের শেষ সময়ে সেটা সম্ভব কিনা। কিন্তু কোটা আছে, থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা, নারী, প্রতিবন্ধী, আদিবাসীসহ প্রয়োজনীয় কোটাগুলো যৌক্তিক করতে হবে।
ঢালাওভাবে কোটা প্রথার বিরোধীতা যেমন মতলববাজি, তেমনি কোটার নামে বর্তমানে বিদ্যমান অরাজকতা টিকিয়ে রাখাও ধান্ধাবাজি ছাড়া আর কিছু না।
1st!
B-) B-)
ছোট হাতি
:thumbup: :thumbup:
ছোট হাতি
গুড ওয়ান সানা ভাই।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
একাত্তর টিভি অন কইরা রাখছি মেধা চত্বর কি খেলা দেখায় তা দেখার জন্য।
একটা খুব ভালো সংবাদ পাইলাম।
মেধাবীরা জরদার কৌটা ফুটাইছে বেশ কিছু।
সুবহানাল্লাহ।
যারা জামাত শিবির করেন তারা এদের নাম ঠিকানা মোবাইল নাম্বার রেখেন দেন। ভবিষ্যতে কাজে লাগবে ৬৫ জেলায় একসাথে বোমা বিস্ফোরণ করাতে হলে। আমাদের মেধাবী অফিসাররা শিবির ক্যাডারদের কাজ করে দিবে ইনশাল্লাহ।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
কোটা নিয়ে বিতর্কে আমার চিন্তাধারাও একই লাইনেই। এই ব্যবস্থার পর্যালোনার সময় হয়েছে।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
শুভেচ্ছা নিবেন। কোটা প্রথার বিরুদ্ধে পরীক্ষার্থী, বুদ্ধিজীবি, শিক্ষাবিদ, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়ার একটি সংকলন প্রকাশ করেছে অনলাইন ম্যাগাজিন নতুনদিন। ফেসবুকে আপনার একটি স্ট্যাটাস প্রতিক্রিয়া সংকলনে প্রকাশিত হয়েছে।
আপনার প্রকাশিত মন্তব্যটি নিচের লিংকে দেখা যাবে।
http://www.notun-din.com/?p=4412
ধন্যবাদ
সহকারী সম্পাদক
নতুনদিন
ব্যাক্তিগত ভাবে আমি কোটা ব্যবস্থা কমিয়ে যৌক্তিকিকরণের পক্ষে এবং এটাকে পুরোপুরি নির্মূলের বিপক্ষে। তাছাড়া বিসিএস এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্ন পদ্ধতিটা ও সুংস্কার করতে হবে। সেটার কথা কেউ বলছেনা। একগাদা মুখস্থ করার প্রশ্ন না দিয়ে অংক, এনালিটিক্যাল প্রশ্ন , ইংরেজি এইসব সেকশন গুলোও যৌক্তিকিকরণ করতে হবে। তবেই না আসল মেধাবী বের হবে। শুধু কোটা বাতিল করলে উদ্দেশ্য সফল হবেনা। একগাধা সাধারণ গ্যেন মুখস্থ করে বিসিএস টিকে দেশের নীতি নির্ধারণ করা যায় না- এটা সবাই বুঝে। বর্তমান বাস্তবতায় সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার পূনর্মূল্যায়ন জরুরি হয়ে পড়েছে এটা ধ্রুব তারার মতন সত্য। কিন্তু কোটা আছে, থাকতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা, নারী, প্রতিবন্ধী, আদিবাসীসহ প্রয়োজনীয় কোটাগুলো যৌক্তিক করতে হবে। এটা হতে পারে সব মিলিয়ে ১৫% এর মতন। সেটা দাবী করা কোন অপরাধ নয়। ...অপরাধ হলো যখন স্লোগান উঠে "বন্দুক কোটা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক"...অপরাধ হলো যখন, “প্রজন্ম চত্বরের নাম রাতারাতি পাল্টে দেয়া হয় মেধা চত্বর”, ...অপরাধ হলো কোটা বিরোধী আন্দোলনের ফাকে চারুকলায় মঙ্গলযাত্রার শিল্পকর্ম পোড়ানো......অপরাধ হলো কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময়ে চারুকলার পাশে রাজাকারের ব্যঙ্গচিত্রগুলি পুড়িয়ে ফেলা।.... (জামাত শিবির এই আন্দোলনে মিশে গেছে নিশ্চয়ই)। মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে ব্যঙ্গ করার আগে দশবার ভাবা উচিৎ। উনারা যুদ্ধ না করলে ৪০% মেধা কোটাও থাকতো না। পুরোটাই হত পশ্চিম পাকিস্তানী কোটা। জামাত শিবিরের যদি আন্দোলনের মাঝে ঢুকে যায়, সব দায় কিন্তু সামগ্রিকভাবে আন্দোলনকারীর উপরই বর্তাবে। মেধাবী আন্দোলনকারীরা সেই দিকে সতর্ক হবে এটাই প্রত্যাশা।
ধন্যবাদান্তে,
মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান শাওন
প্রাক্তন ক্যাডেট , সিলেট ক্যাডেট কলেজ, ১৯৯৫-২০০১
["যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালো মন্দ মিলায়ে সকলি"]
সহমত
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
সিগনেচারটা ভালো লাগলো :clap:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
ধন্যবাদ সানা ভাই। :clap: কোটা ও মেধা নিয়ে কিছু লিখতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু আপনার লেখায় সব চলে এসেছে। ::salute:: :gulli2: :gulli2: :gulli2: সম্পূর্ণ একমত। :thumbup: :thumbup: :thumbup:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল