নয়াদিল্লি ছেড়ে আসা ট্রেন ‘আশ্রম এক্সপ্রেস’ গুজরাটের রাজধানী আহমেদাবাদের সীমান্তে হাঁটু পানির একটি নদী অতিক্রম করল। সহযাত্রী গুজরাটের এক সরকারি কর্মীকে প্রশ্ন করে জানলাম, নদীর নাম ‘সবরমতি’। স্মৃতিতে ভেসে উঠল এরকমই আরেক ট্রেনের নাম ‘সবরমতি এক্সপ্রেস’, যাতে করে ২০০২ সালের মার্চে গুজরাট ফিরছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একদল করসেবক। গোধরায় স্টেশনের অদূরে ট্রেনে আগুন ধরে ওই করসেবকদের অনেকেই মারা গিয়েছিলেন। আর তার প্রতিক্রিয়ায় সে সময় ভারতের এই গুজরাট প্রদেশের কোনায় কোনায় জ্বলে উঠেছিল প্রতিহিংসার আগুন। ধর্ষণ, হত্যা, লুটপাটের ঘটনায় এক চরম নৈরাজ্য ছড়িয়ে পড়েছিল এখানে। তবে শুভবুদ্ধি জেগেছিল ভারতে। গুজরাটের আগুন শেষ পর্যন্ত রাজ্যের সীমান্ত অতিক্রম করেনি।
এসব ভাবনা নিয়েই আহমেদাবাদ নেমে এক হোটেলে আশ্রয় নিলাম। দৈনিক পত্রিকাগুলো সংগ্রহ করে এনে চোখ বোলাতেই ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর শীর্ষ শিরোনামে দৃষ্টি আটকে গেল। গুজরাটের দাঙ্গার এক আলোচিত মামলা নিয়ে পত্রিকাটি শীর্ষ শিরোনাম করেছে, ‘সিবিআই মুভস টু ফাইল বিলকিস চার্জশিট’। সংবাদের ভেতরে ঢুকতেই জানা গেল এক অসীম সাহসী নারীর দীর্ঘ লড়াইয়ের কথা।
বিলকিস ইয়াকুব রসুলের সে মামলার কথা ইতোমধ্যে প্রথম আলো পাঠকদের জানা হয়ে গেছে। আহমেদাবাদ থেকে পাঠানো এর আগের এক প্রতিবেদনে আমি জানিয়েছি, দাঙ্গার সময় পাঁচ মাসের অন্তস্বত্তা এই গৃহবধু গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। তার ১৪ জন আত্মীয়কেও সে সময় উন্মত্ত জনতা (এক ধর্ম সম্প্রদায়ের নামে) একে একে হত্যা করেছিল। বিলকিস ইয়াকুবের মামলা গুজরাট পুলিশ তদন্ত করেনি, চাপা দিয়ে রেখেছিল। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই) তদন্ত করে গত সোমবার মামলার চার্জশিট দিয়েছে। চিকিৎসক, পুলিশ অনেকেই সে মামলার আসামি।
২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচন ও ভারতের রাজনীতি নিয়ে লেখা আমার বইয়ের প্রচ্ছদ
হিংসা, নৈরাজ্য আর হানাহানির দুঃস্বপ্নের দুই বছর পর গুজরাটের মুসলমানরা এবারের নির্বাচনে কী করেছেন, কাকে ভোট দেবেন তা জানার আগ্রহ তাই জেগে উঠল প্রবলভাবেই। হোটেলের রিসেপশনে জেনে পাশের এক মসজিদে হাজির হলাম। বয়স্ক মুসল্লি মি. ইকবাল বললেন, কংগ্রেসকে ভোট দেবেন তিনি। পরিবারের সদস্যদেরও এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। আর যদি অবস্থা ভালো না দেখেন তাহলে ভোট দিতেই যাবেন না। মি. ইকবালের সঙ্গে যখন কথা বলছিলাম, তখন আশপাশে জড়ো হওয়া আরো তিনজন আমাদের কথোপকথন শুনে সরে গেলেন। তারা নিজের মত প্রকাশ করতে চান না।
ভোটে নানা জাতপাতের হিসাব আছে গুজরাটে। ভোটারদের মধ্যে আছেন ব্রাহ্মণরা, প্যাটেলরা। নিম্নবর্ণের হিন্দুরা আছেন, মুসলিমরা তো আছেনই। আরো কত কী! ভোটের কথা বললেই এসব নানা জাতের নানা ভোট আচরণের কথা হড়বড় করে বলে যান গান্ধীনগরের ভোটার কিরন প্রজাপতি। মুসলমানরা সেখানে কোথায়?
আহমেদাবাদের তরুণ ব্যবসায়ী আরিফ ও নিজাম জানালেন, তারা এবার ভোট দেননি, আগামীতেও দেবেন না। গত মঙ্গলবার রাজ্যে ভোটের দিন দুপুরে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসেই কথা হচ্ছিল। নিজাম বললেন, দুই বছরে গুজরাট হত্যাকাণ্ড দেশে-বিদেশে নাড়া দিলেও রাজ্যে তাদের অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। তাদের নিরাপত্তার কোনো নিশ্চয়তা নেই এখানে।
’৪৭ সালে ভারত ভাগের আগে গুজরাটে মুসলিমদের প্রবল দাপট ছিল। দেশ ভাগের সময় তাদের অনেকেই গুজরাট ছেড়ে যান। ট্রেনে আসতে আসতে সেসব কথা জানান এক সহযাত্রী। ট্রেনলাইনের পাশে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া ইট-কাঠ-কংক্রিটের একটি অবস্থান দেখিয়ে তিনি জানান, এখানে কটন মিল ছিল। মালিক ছিল মুসলিমরা। কোথায় এখন তারা? প্রশ্নের জবাব সহযাত্রী দিতে পারেননি। আহমেদাবাদে মুসলিম সম্প্রদায়ের কেউ এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি বা চাননি।
শহরে নেমেই আরো একটি তথ্য(!) পেয়েছিলাম। অতীতে প্রতিবার নির্বাচনের আগে দিল্লির মুসলিম নেতাদের মতো গুজরাটের মুসলিম নেতারাও কাকে, কোন প্রতীকে ভোট দেবেন তা ঠিক করে দিতেন। কিন্তু এই প্রথমবার নির্বাচনের দিনেও সে ‘নির্দেশ’ আসেনি। নির্দেশদাতা সেইসব নেতাদেরও কোথাও দেখা যায়নি।
তবে আহমেদাবাদ শহরের তাজিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জে ভি মোমিন জানালেন, এখানে একশ্রেণীর মুসলিম নেতারা ‘ভোট বয়কটের’ কথা বলছেন। তা সত্ত্বেও তারা নিজ সম্প্রদায়ের লোকজনকে ভোটদানে উৎসাহিত করে যাচ্ছেন। মি. মোমিন দায়িত্ব নিয়েই বললেন, জামনগর, রাজকোট, সুরাট, কিংবা আহমেদাবাদের মুসলিমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তারা আর কংগ্রেসকে ভোট দেবেন না। কারণ কংগ্রেস তাদের ‘ভোট ব্যাংক’ ভাবে। অথচ তাদের পাশে দাঁড়ায় না।
কংগ্রেস হোক কিংবা বিজেপি- দলগুলো কি মুসলিমদের কথা কিছু ভাবছে? পত্রিকাতেই খবর বেরিয়েছে, রাজ্যের দক্ষিণের শহর মোদাসার কথা। সেখানে ৭২টি পরিবার দাঙ্গার পর গ্রাম থেকে এসে এই ছোট শহরে তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছে। তারা আর গ্রামে নিজের ভিটামাটিতে ফিরতে চায় না। এসব পরিবারের কাছে ভোট চাইতে কংগ্রেস বা বিজেপি- কোনো দলের নেতারা যাননি।
নেতারা যাবেনই বা কেন? আহমেদাবাদ হোক কিংবা গান্ধীনগর সবখানেই শুনেছি হিন্দুদের ভোট বিজেপির আর কংগ্রেস পাবে মুসলিম ভোট। মাত্র ১৫ কোটি মুসলিম জনগোষ্ঠীর ১০ কোটি বা তারও কম ভোটারের ভোটে কি ৬৭ কোটি ভোটারের এই লোকসভা নির্বাচনে জেতা যায়? ভোটের দিন আহমেদাবাদে বিজেপি সমর্থক বিক্রমলাল স্পষ্ট করেই জানালেন, শুধু হিন্দুদের ভোট পেলেই তাদের চলবে।
এর আগেই গান্ধীনগরে ২৪ নম্বর সেক্টরে ভোটকেন্দ্রের বাইরে যুব কংগ্রেস নেতা রমেশ প্যাটেল জানিয়েছেন, কংগ্রেসকে তাদের নীতি বদলাতে হবে। উপ-প্রধানমন্ত্রী ও রক্ষণশীল হিন্দু নেতা হিসেবে পরিচিত এল কে আদভানির নির্বাচনী এলাকার এই কংগ্রেস নেতা বললেন, দিল্লিতে যারা বসে আছেন তাদের বাস্তবতার সঙ্গে সম্পর্ক নেই। শুধু মুসলিম বা নিম্নবর্ণের হিন্দুর ভোটে তো নির্বাচন জেতা যাবে না। নির্বাচনে জিততে হলে প্যাটেলদের হতে হবে কংগ্রেস নেতা। কারণ এ আসনে তারাই ৪০ শতাংশের বেশি। মুসলিমদের পক্ষে দাঁড়ালে এই ৪০ শতাংশ ভোটের বাক্সে থাকবে না।
অর্থাৎ কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া কিংবা বিজেপির পক্ষ নেওয়া অথবা ভোট বয়কট- মুসলিম সম্প্রদায়ের কোনো অবস্থানই এবার চতুর্দশ লোকসভার নির্বাচনে গুরুত্ব পায়নি গুজরাটে।
আহমেদাবাদ, গুজরাট
২০ এপ্রিল, ২০০৪
[পাদটিকা : ব্লগে থাকার এই এক সমস্যা। কিছু না লিখলে হাত নিশপিশ করে। আবার লেখার জন্য যথেষ্ট সময় বা ভাবনাও হাতে নেই। একটা ধারাবাহিক শুরু করেছিলাম। মাঝপথে ছেদ পড়ে যাওয়ায় সেটা ঝুলে আছে। তবে সেটা শেষ করবো নিশ্চয়ই। একটু সময় পেলেই। তো এই সময়ে কি করি? ২০০৪ সালে ভারতের লোকসভা নির্বাচন প্রথম আলোর সাংবাদিক হিসাবে কাভার করেছিলাম। এর আগের দুটো ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালের নির্বাচনও আমি প্রথমটি ভোরের কাগজ ও পরেরটি প্রথম আলোর পক্ষ থেকে কাভার করেছিলাম। রাজনীতি বিশ্লেষণ আমার ভীষণ প্রিয় বিষয়।
২০০৪-এর নির্বাচন কাভার করতে গিয়ে প্রায় ৪০ দিনে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে চরকির মতো ঘুরেছিলাম। প্রতিদিন খবর পাঠাতাম প্রথম আলোতে। ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশনা সংস্থা “ঐতিহ্য” আমার ভারত নির্বাচনের লেখাগুলোকে নিয়ে “ভারতের ভোটের রাজনীতি” নামে একটি বই বের করেছিল। দু’তিনদিন আগে হঠাৎ করেই ভাবনা এলো, সেসব লেখার কিছু সিসিবির পাঠকদের সঙ্গে ভাগাভাগি করলে কেমন হয়? সময় ৬ বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু ভারতের রাজনীতি যে এই সময়ে তেমন পরিবর্তিত হয়েছে বলা যাবে না। তাই এই লেখাগুলো এখনো প্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে। পাঠকের আগ্রহ দেখলে আরো কিছু লেখা আগামীতে প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।]
B-)
গুড রেজওয়ান। গোল্ড। এবার পড়ে মন্তব্য করো। :grr:
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
এই ধর্মের নামে রাজনীতি যতদিন চলবে এই দশা অব্যাহত থাকবে...........
ভাল লাগল ভাই , পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়....
২য় 😀 😀 😀
যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
হুম, মাত্র ৬ মিনিটের ব্যবধানে দ্বিতীয় কিবরিয়া...... ;;;
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
সত্য সত্য সত্য..................
কিন্ত অনেক দুংখজনক সত্য
যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
রেজওয়ান ও কিবরিয়া, রাষ্ট্র ও সমাজে ধর্মের অপব্যবহার যে পরিমাণ বিভেদ তৈরি করে তা আর কোনো কিছু করতে পারে না। মানুষকে অন্ধ করে দেয়। আশা করি আমরা এ থেকে মুক্ত থাকতে পারবো।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
ভাইয়া, সেই স্বপ্ন দেখতে দেখতেই মনে হয় জীবনটা পার হয়ে যাবে........এই বিষবাষ্প যতদিন থাকবে ততদিন দম আটকে পড়ে থাকতে হবে সমাজে
আমি ব্রোঞ্জ নাকি 😀
২০ মিনিটের ব্যবধানে সন্দেহ থাকার কথা নয় ফখরুল!! :-B
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
প্রথম ৫ জনকে তো ক্রেস্ট দেয়া উচিত...... তাই না?
ঠিক রকিবুল। এরপরের দুইজনকে যথাক্রমে লোহা ও টিনের পদক দেওয়া উচিত! এর পর আরো বাড়াইতে চাইলে অ্যালুমিনিয়াম, কাঁচ, মাটি, বালির পদকও দেওয়া যায়!! তুমি বেছে নাও কোনটা নেবে? :gulti:
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
:grr:
পর পর দুবার কংগ্রেস কেন্দ্রে ক্ষমতায়। অবস্থা কতটা বদলেছে বলে মনে হয় লাবলু ভাই।
ধর্মের রাজনীতি তো কংগ্রেসও করে মাসুম। তবে বিজেপিওয়ালাদের মতো না। হায়দারাবাদের সাম্প্রতিক দাঙ্গার খবর পত্রিকায় পড়ছি। কিন্তু পত্রিকায় তো ভেতরের খবর আসছে না। শহর তো মোটামুটি মুসলিমপ্রধান। হিন্দু-মুসলিম বিরোধটা এই অঞ্চলে এতো প্রকট যে সহজে এর সমাধান হবে না।
ইন্দিরা গান্ধী হত্যার পর দিল্লিতে শিখবিরোধী দাঙ্গায় কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্ব জড়িত ছিল। ওই দাঙ্গার প্রতিবেদন বেরিয়েছে। কিন্তু এখনো দল ওইসব নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
শিখ দাঙ্গা নিয়ে অসাধারণ একটা মুভি আছে, নাম হলো আমু। ওইটা দেখার পর কিছু লেখাপড়া করছিলাম। কংগ্রসের ভূমিকা হতাসজনক।
দেখতে হবে তো মুভিটা। কোথায় পাওয়া যায়? রায়ানসে?
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
রায়ানস বন্ধ লাবলু ভাই :((
আমার কাছে আছে
তাইলে আমিও ক্রেস্টের দাবিদার......
রঞ্জনা আমি আর আসবো না...
বিয়াপওক আগ্রহ প্রকাশ করছি বস ...
অটোগ্রাফ সহ বইটা পাইতে চাই ...
লেখা পড়ুম ব্লগে
বইটা কালেকশান-এ রাইখা মাইনষেরে দেখামু ...
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
খাওয়া-দাওয়া কেমন চলতাছে তাইফুর?
দেখি বইটার কিছু এক্সক্লুসিভ এডিশন করা যায় কিনা! তোমারে অটোগ্রাফ দিতে তো আবার সাধারণ এডিশন হইলে হইবো না, তাই না!! B-) B-) B-)
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
বই যত পুরনোই হোক, লেখকের বাসায় কিছু Xক্লুসিভ কপি থাকবেই ...
এই টাইপ ডাইলগ দিয়া ছুড পোলাপাইন্রে এড়ায়া গেলে ক্যাম্নে কি ??
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
ভাইয়া, আমি সব সময় আপনার লেখা গুলো অনেক মন দিয়ে পড়ি।
উপমহাদেশে যত সংখ্যালঘুদের উপর যত অত্যাচার হয় তা কি পৃথিবীর আর কোথাও হয়? এই প্রসঙ্গে একটা কথা বলি,
আমি অনেক কে চিনি যারা বলেন ইন্ডিয়ান রা মুসলমানদের উপর অত্যাচার করে, তাই আমরা হিন্দুদের উপর করবো। আমার পাশের বাড়ির লোক চুরি করলে কি আমাকেও চুরি করতে হবে?
আর এইসব প্রকাশ্য দাঙ্গা ছাড়াও অনেক কিছু হয়। আমার স্পষ্ট মনে আছে ক্লাস ৫ পর্যন্ত আমি যে স্কুলে পড়তাম সেখানে হিন্দু মেয়েদের জন্য আলাদা বেঞ্চি ছিল। আমরা কেউউ ঘৃনায় অইখানে বসতাম না।
পরে আমার স্কুল ও কলেজ জীবনের সবচেয়ে কাছের বন্ধু ২ জনের কাছেই শুনেছি কতটা আঘাত করে এই ধরনের মানসিক অবস্থা। এবং খুব স্বাভাবিক ভাবেই এধরনের ঘৃনা আর অবিশ্বাসের বিরুদ্ধে একটা স্বয়ং সমান পরিমান প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। আমাদের টীনেজ বয়ষে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমরা এই মানসিকতায় কখনও আক্রান্ত হব না। জানি না কতটা পেরেছি।
আমরা যারা প্রবাসে থাকি তারা কিন্তু একরকম সংখ্যা লঘু। আমি মাঝে মাঝে ভাবি যে আচরন
পেলে আমরা মনে মনে মানুষ কে রেসিস্ট বলে গাল দেই(সৌভাগ্যবশত, কানাডায় আমার এমন অনুভুতি হয়নি, উল্টোটা অনেকবার হয়েছে), তার চেয়ে ভাল আচরনের স্বাক্ষর আমি কি রাখতে পেরেছি যখন আমি সংখ্যাগুরুর আসনে ছিলাম?
(ডিসক্লেইমারঃ আমি আমার অনুভুতির কথা লিখলাম। না বুঝে কাউকে আহত করার জন্য আমি দুঃখিত। আমি কিছু ভুল বলে থাকলে সংশোধন করে দেবেন)
নাহ ভাবী,কিচ্ছু ভুল বলেননি,একদম বাস্তব সত্য। :thumbup:
কি আর বলব,আমাদের বুয়েটের ক্লাসেই একটা মেয়ের সাথে আমার একবন্ধুর অনেক ভালো বন্ধুত্ব হল ১-১ এ।টার্মের শেষে যখন স্যার রোলকলের সময় আমার বন্ধুটির কথা বললেন,যে নাম দেখে বুঝার উপায় নেই সে হিন্দু,তখন মেয়েটা এমনভাবে সবেগে ঘুরে বলল,''অ্যাই .........,তুমি হিন্দু!!!!!'' এরকম আচরণে আমার বন্ধু এবং ওর পাশে থাকা আমরা কজন এতটা বিস্মিত হয়েছি,এরপর ওই মেয়েটা সামান্য ''কেমন আছো'' কথাটাও জিজ্ঞেস করেনি আমার বন্ধুটিকে!!অথচ তিন বছর হতে চলেছে একসাথে ক্লাস করছি! x-(
মানুষে মানুষে ধর্মের ভেদাভেদ দিয়ে ভালো-খারাপ নির্ণীত হলে আমার খুব বিশ্রী লাগে!
@ মেলিতা আপু,
আপু আমার এখানে একটা কথা আছে। হিন্দুদের অনেকে মুসলমানদের সাথে বসতে চায় না । আমি যখন প্রাইমেরী স্কুলে পড়ি তখন আমার ক্লাসে দুইটা ব্রাম্মন ছেলে ছিল। ওরা সবসময় আলাদা বসত। ব্রাম্মন-রা নাকি স্বয়ং ভগবানের মত । ওরা নিজেরাই আলাদা বসতে চায়। হিন্দুরা মুসলমানদের ভাবে যবন আর যবনের স্হান শ্রুদ্রের নীচে । আর কোনো মুসলমান হিন্দুদের টাচ করলে ওদের গোসল করা লাগে নাহলে নাকি ওদের ঘর অপবিত্র হয়ে যায়। এসব কারনে অনেক স্কলে টিচাররা ইচ্ছা করেই হিন্দু ছেলে মেয়েদের আলাদা বসায়। আজকাল আর এমন নাই । গ্রামে কিছুটা আছে শহরে নাই বল্লেই চলে । বাট, বাংলাদেশে হিন্দুদের অবস্হা ভারতের মুসলমান থেকে অনেক অনেক উত্তম ।
মেলিতা, বাপ্পী, আর আছিবের কথা পড়ে তো আমার মনের ভয়ংকর অবস্থা! এখন বাংলাদেশে এই অবস্থা - আমাদের সময় কিন্তু এমন ছিল না। অবস্থা এতো খারাপ হওয়ার কারন কী?
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
শান্তা : মনের সাম্প্রদায়িকতা রুখবে কি করে? এটা সবসময় ছিল। আমার বাবা (মৃত্যু : ১৯৯২) যাকে অনেক ব্যাপারেই উদার দেখেছি, হিন্দুদের প্রসঙ্গ এলেই দেখতাম সাম্প্রদায়িক মনোভাব দেখাচ্ছেন। আমাদের মতো কিছু শহুরে উদারবাদীকে দেখে সিদ্ধান্ত নিও না। পাহাড়ি বা হিন্দু সম্প্রদায় সম্পর্কে বিএনপি-জামায়াতসহ ডানপন্থীদের দৃষ্টিভঙ্গী কি তা তো জানোই। এই সাম্প্রদায়িকতা আমাদের সমাজে-মানুষে, মুসলমান-হিন্দুর মধ্যেই আছে। সুযোগ পেলেই আমাদের মনের বাঘ বেরিয়ে আসে। ১৯৯০ আর ১৯৯২-এ ঢাকার সহিংসতা কি দেখেছিলে? এগুলো অবশ্য দাঙ্গা ছিল না। কারণ ওতে তো দুপক্ষ লাগে। আমাদের মুসলমানিত্ব ২০০১-এর নির্বাচনের পর বিএনপিও দেখিয়েছিল।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
ধন্যবাদ ভাইয়া, যেকথা টা বলতে পারছিলাম না তা বলে দিলেন।আমার আম্মু,আব্বু আরো অনেক মুরুব্বীদের দেখেছি সুক্ষ/প্রবল অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি বিদ্বেষ। একই রকম বিদ্বেষ কিন্তু অনেক সময় অন্যধর্মীরাও পুষে রাখে। কিন্তু ২ পক্ষের লোক বল সমান না দেখে সেই বিদ্বেষ প্রকাশ পায় না। আমার বড়বোনের শ্বশুরবাড়ি যশোর। আমার দুলাভাইয়ের কাছ থেকে যশোরের প্রতন্ত্য অঞ্ছলের হিন্দুধর্মাবলম্বীদের উপর, বিশেষ করের মেয়েদের উপর অত্যাচারের বর্ননা শুনে শিউরে উঠেছি। আক্ষরিক অর্থে আমার দুলাভাই এই বাক্যটা বলেছিলেন
"ঢাকার মানুষ যেমন মাঝে মাঝে বিনোদোনের জন্য চিড়িয়াখানায় যায়, ওইখানকার প্রতাপশালীরা হিন্দু পরিবার এ রাত কাটাতে যায়"
আমার এক পরিচিত আন্টি গতবার বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর সিঁদুর পরা বন্ধ করে দিয়েছিলেন ভয়ে। অনেক বাড়িওয়ালা হিন্দু পরিবার কে বাড়িভাড়া দিতে চান না।
আজকে যদি হিন্দু মুসলিমের অনুপাত উল্টে যেত, তবুও এই অবস্থার পরিবর্তন হবে না। কারন একই রকম বিদ্বেষ কিন্তু অনেক সময় অন্যধর্মীরাও পুষে রাখে। কিন্তু ২ পক্ষের লোক বল সমান না দেখে সেই বিদ্বেষ প্রকাশ পায় না।
সমস্যা আমাদের মানসিকতার।
ভোটের রাজনীতিটাই আসল। এখানে যদি কিছু সংখ্যালুঘু বলি হয় তাতে ক্ষমতাবানদের কি আসে যায়। তবে সংখ্যাগুরুদের এই নেতিবাচক আচরণ কখনো ভাল ফল বয়ে আনে না। আপনার লেখাতেই দেখা যাচ্ছে অনেক মুসলিম "ভোট বয়কটের" কথা ভাবছে। এরা যখন রাষ্ট্রের কাছ থেকে দিনের দিনের পর দিন সুবিচার পাবে না তখন কিন্তু এরা শুধু ভোট বয়কট করে বসে থাকবে না। হয়ত তাদের প্রতিবাদ সশস্ত্র প্রতিবাদের রূপান্তরিত হবে। আর মজার ব্যাপার হচ্ছে সংখ্যাগুরু নেতারা সব সময় এভাবেই রাষ্ট্রের নিরাপত্তা কে হূমকির সম্মুক্ষীন করেন এবং সেই সব সশস্ত্র প্রতিবাদীদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে তাদের বিচার করে সেই ঘটনার হিরো সেজে বসেন। এইসব পুরান খেলা বারবার দেখতে দেখতে আর ভাল লাগে না।
অফটপিকঃ সানা ভাই স্মৃতির ঝাপি কি বন্ধ করে দিলেন নাকি?
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
সহমত রাশেদ। "স্মৃতির ঝাঁপি" কি এতো সহজে বন্ধ হয়? আবার ফিরে আসবে। অপেক্ষায় রাখার জন্য দুঃখিত। 🙁
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
লাভলু [নাকি সঠিক বানান লাবলু হবে],
ভারত ও চীন - দু দেশেরই অনেক অভ্যন্তরিন সমস্যা আছে - তা সত্ত্বেও তারা যে ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে তাদের সাধারণ মানুষের মধ্যে ঊন্নতির ছোয়া লাগছে। এই ঊন্নয়নে অনেক অসমতা আছে - সন্দেহ নেই। তবু স্বীকার করতে হবে তাদের ঊন্নতি হচ্ছে।
আমার মনে হ্য় ধর্ম ভিত্তিক চিন্তা না করে অর্থনৈতিক গষ্ঠি হিসাবে ঊন্নয়নের ব্যাপারে চিন্তা করা ঊচিৎ। ভারতে 'সাক্সেসফুল' মুসলমানের সংখ্যা সমস্ত পাকিস্তান ও বাংলাদেশের 'সাক্সেসফুল' মুসলমানের সংখ্যার চাইতে বেশী। আমি মনে করি এখন সময় এসেছে মেলিতার মত চিন্তা করার।
গুজরাট থেকে চলে যেয়ে পাকিস্তান না বানিয়ে জিন্না যদি সেখানে রয়ে যেতেন, তবে কি গুজরাটের আরও ঊন্নতি হতনা আজ?
সাইফ ভাই, খুবই ঠিক। ভারত ও চীন যেভাবে এগোচ্ছে, আমরা মাঝখানে থেকে এর সুবিধা নিতে পারতাম। এই দুই বিশাল অর্থনীতির সঙ্গে এই অঞ্চলের ছোট দেশগুলো নিজেদের সমন্বিত করতে পারলে কি যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসতো! এর জন্য দায় কে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন না। দেশে তুলকালাম হয়ে যাবে!
আসলে ধর্ম নিয়ে বিভেদটা শুধু এ অঞ্চলে নয়, গোটা বিশ্বেই এখন বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে। যে যেখানে সংখ্যালঘু সে তার সমস্যাটা ভালো বোঝে। আমেরিকাতে নির্বাচন এলে ধর্মের ব্যবহারটা প্রকট হয়, সেটা আপনিও জানেন। এ থেকে মুক্ত হওয়া কিভাবে, কতোদিনে সম্ভব কে বলতে পারে?
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
অনেক আগে একটা বই পড়েছিলাম। ১৯৯৬ এবং ৯৮ এর লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে তৃনমূল কংগ্রেস-বিজেপি জোটের উত্থান নিয়ে আনন্দবাজারের নির্বাহী সম্পাদক (এখন আছেন কিনা জানিনা ) সুমন চট্টোপাধ্যায়ের লেখা এই রকম নির্বাচনী বিশ্লেষন। সেবার মমতার 'জোড়াফুল' আর বিজেপির 'পদ্মফুল' মিলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল কংগ্রেসকে। বইটার নামও দারুণ- 'চুপচাপ ফুলে ছাপ'।
ভালো লেগেছিল এই কারণে যে সেখানে সুমন বেশ সাহসী কলমে রাজনীতিবিদদের মুখোশ অনাবৃত করেছিলেন । জাতি-ধর্ম ইস্যুকে কিভাবে রাজনীতিবিদরা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেন সেই সত্য জানানোর চেষ্টা করেছিলেন।
এই লেখাটা পড়ে সবার আগে সুমনের সেই বইটার কথাই মনে হল।
চলুক, লাবলু ভাই।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
কামরুল : সুমনের বইটা পড়িনি। তবে আমি সেবার ভারতের নির্বাচন ও রাজনীতি নিয়ে লেখা প্রতিবেদনগুলোতে মানুষের কথা, নিজের দেখা, বিশ্লেষণ, ইতিহাস- এরকম বিষয়গুলোকে যুক্ত করে বর্ণনামূলক ধাঁচে লেখার চেষ্টা করেছি। ওখানে আমি ছিলাম বিদেশী সাংবাদিক। তাই লেখার সময় বাংলাদেশের পাঠকদের আগ্রহের বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হয়েছে।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
লাবলু ভাই,আমি বইটা পড়তে চাই,কই পাব বলেন?
মান্না, খোঁজ নিয়ে জানতে হবে বইটা "ঐতিহ্য"-এ আছে কিনা। ৫ বছর আগে ছাপা যদিও। বিক্রি আদৌ হয়েছে কিনা তাও জানি না। প্রচারও হয়নি কখনো। তবে বইটা সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাজে লাগতো হয়তো!
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
জিন্নাহ মুসলমানদের স্বার্থরক্ষার জন্য ভারতভাগ করেনি। বরং তার ব্যক্তিগত লক্ষ্য অর্জনই ছিল মূলে। এর জন্য সে ধর্মকে ব্যবহার করেছে সুন্দর করে। এটা আমার ব্যক্তিগত ধারণা।
অনেক ইতিহাসবিদই তর কথার সাথে একমত হবে।জিন্নাহ ব্যক্তিগত জীবনেও প্র্যাকটিসিং মুসলিম ছিলেন না।
উপমহাদেশের ইতিহাস ও রাজনীতি বিষয়ক লেখাগুলো অনেক আগ্রহ নিয়ে পড়ি ভাইয়া ।বাবরি মসজিদ নিয়ে রাজনীতির ফলাফল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই ।
জিনাত : পরের লেখাটা বাবরি মসজিদ নিয়েই হবে। আর এর ফলাফল? দুই দুইটা মেয়াদ ধরে বিজেপি ক্ষমতার বাইরে। দলটা দুর্বল হয়ে পড়ছে আর কংগ্রেস দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
বিষয়টা নিয়ে আরো লেখা পড়তে চাই। আপনার বইটা কিভাবে পেতে পারি, জানাবেন প্লিজ। আপনার সবগুলো লেখাই আমার ভাল লাগে। এটাও ব্যতিক্রম নয়।
মেহেদী : আশা করি আরো কিছু লেখা দেবো বইটা থেকে। অসুবিধা নাই। কারণ নতুন করে তো লিখতে হচ্ছে না। সফট কপি ছিল। সেটা কনভার্ট করে নামাতে হবে শুধু!! 😀
আর বইয়ের ব্যাপারে ওপরেই জানিয়েছি। খোঁজ নিয়ে জানতে হবে বইটা “ঐতিহ্য”-এ আছে কিনা। হয়তো বিক্রি হয় না বলে সের দরে স্টকলট ছেড়ে দিয়েছে!! 🙁
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
লেখাটা পড়ে অনেক অজানা কিছু জানা গেলো ঠিক যেমনটা লাভ্লু ভাইয়ার লেখায় সবসময় থাকে।।
ধন্যবাদান্তে,
মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান শাওন
প্রাক্তন ক্যাডেট , সিলেট ক্যাডেট কলেজ, ১৯৯৫-২০০১
["যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালো মন্দ মিলায়ে সকলি"]
যথারীতি সমৃদ্ধশালী লেখা। ্জীবন নিংড়ানো অভিজ্ঞতা থেকে লেখা বলে সত্যিকার অবস্থা বুঝতে সাহায্য করছে। আর সবার কমেন্ট পড়ে তো তাজ্জব! শুধু হিন্দু-মুসলিম নয় বাংলাদেশ এখন ঘৃনায় ছেয়ে গেছে। পেশাগত ঘৃনা, শ্রেনীগত, জাতিগত - অধিকাংশই মনের ভেতরে ঘৃনার রাজপ্রাসাদ(!) বানিয়ে চলছে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
ভাইয়া, চলুক। :clap: :clap: :clap:
মাঈনুল : পরের পর্বে বাবরি মসজিদ দর্শন প্রসঙ্গ থাকবে।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
:hatsoff: :hatsoff: :hatsoff: ম্যালাকিছু জানলাম।
অবস্থার আদৌ কোন পরিবর্তন তো হয়নি এতদিনেও.......
তবে গুজরাটে না হোক, উগ্র হিন্দুত্ববাদীতার জন্য বিজেপি এবার ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে যে ধাক্কাটা খেয়েছে, তা একটা দারুন ব্যাপার বটে.......সেই সাথে আফসোসের ব্যাপারটা হলো, মোদির আচরণ এতটুকু বদলায়নি......তার যে ড্যামকেয়ারনেস, তা আইপিএল-এর আহমেদাবাদের খেলাগুলোর পুরষ্কার বিতরণী মঞ্চে দাঁড়িয়ে থাকার ভাবটা দেখেই বোঝা যায়
রশিদ : নরেন্দ্র মোদি গুজরাটে নির্বাচনে প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বিতার আগে বিজেপির দপ্তর সম্পাদক ছিল। রাতে ঘুমাতোও দিল্লিতে দলের অফিসে। তবে মানুষের মনে হিংসা জাগাতে ওস্তাদ। ওই গুনই (!!) তাকে এতোদূর নিয়ে এসেছে।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
১৯৯৪'এর প্রথম দিকে আমি আহমেদাবাদ গিয়ে মাস খানেকের কিছু বেশী ছিলাম। আপনার লেখা পড়ে আমার নিজের অভিজ্ঞতার স্মৃতিগুলো চোখে ভেসে উঠলো।
যথেষ্ট তথ্যপূর্ণ লেখা সানাউল্লাহ ভাই। ভাল লাগল পড়ে।
ধন্যবাদ আবিদ। তোমার বইটা ভালো লেগেছে। রং-এর হিসাব মিলাতে বসিনি অবশ্য!! :dreamy:
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
আপনার এ বক্তব্যের সাথে সম্পূর্ণ একমত ভাইয়া।
লেখাটা ভালো লাগল, পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
গুজরাটের দাংগা নিয়ে কিছুদিন আগে একটা হিন্দী ছবি দেখলাম- 'ফিরাক'। ছবিটা মনে বেশ দাগ কেটেছে।
আমু আর ফিরাক ছবি দুইটা দেখতে হবে তানভীর। ভালো থেকো।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
পড়ছি লাবলু ভাই। :hatsoff:
লেখার সাথে সাথে বিভিন্ন মন্তব্যে ভারতের রাজনীতির সাথে আমাদের দেশের রাজনীতির বিভিন্ন ধরণের দিকগুলো এবং বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতীয় প্রভাবগুলোর কথা উঠে এলে উপকৃতই হবো।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
আমি তো ওই কাজটা পাঠকের জন্য রেখে দিছি কাইয়ুম।
আমার কাছে বরং পোস্টের নিচে মন্তব্য-জবাব ধরণটা ভালো লাগে। এতে নানা জনের নিজস্ব ভাবনা-চিন্তা উঠে আসে। ফলে পারস্পরিক আলোচনাটা আকর্ষনীয় হয়। ধন্যবাদ তোমাকে।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"