নীচের রাস্তাটায় মানুষের চলাচল কমে গেছে । হাসপাতালের উপর ছয়তলা থেকে নীচে তাকালে শীতের রাতের হালকা কুয়াশার ভিতর দিয়ে চলে যাওয়া দু’একটা মানুষ কে দলছুট পিঁপড়ার মত মনে হয়, যেন নিজের সারির খোঁজে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে চলা মানুষ। ছোটকালে লম্বা সারিতে ব্যস্ত ভংগীতে ছুটে চলা পিঁপড়াদের সারি থেকে দু’একটা পিঁপড়া কে সরিয়ে দিলে সারি হারান পিঁপড়া গুলো যেমন পাগলের মত এদিক ওদিক ছুটাছুটি করত সারির খোঁজে নিজেকে কেন জানি আজ সেই রকম সারি হারান পিঁপড়াদের দলে মনে হয়। ব্যস্ত ভংগীতে ছোটাছুটিই যার সার কারণ তার সারি তাকে ফেলে রেখে চলে গেছে বহু বছর আগেই।
এই শীতের মধ্যরাতে হাসপাতালে এত ভীড় দেখে বুঝা যায় বাবা মানুষটা আসলেই কতটা প্রভাবশালী ছিল। আত্মীয় স্বজন থেকে পরিচিত, অর্ধ পরিচিত, অপরিচিত কত মানুষ চারিদিকে। রাত এত বেশী না হলে হয়ত আর অনেক মানুষ হত। হয়ত কাল সকালে আসবে আর অনেকে। হাসপাতালের নীরবতা বজায় রাখতে মানুষ গুলো ফিসফাস করে কথা বলে, জানার চেষ্টা করে ব্যাপারটা কখন ঘটল, কীভাবে ঘটল। একটু আগে শোনা ঘটনাটাই হয়ত কেউ আবার নতুন করে শোনায়, শুনতে শুনতেই কেউ হয়ত মাথা নাড়ায়, আপন মনেই বলে- ব্যাড লাক। আমি কিছুই বলি না। শোন ঘটনা আবার শুনি, চুপচাপ। কারণ আমি সারি হারান পিঁপড়া।
অনেক আগে সবে যখন নতুন হাইস্কুলে উঠেছি তখন একদিন দুপুর বেলা বাসায় বাবা সবাই কে ব্যাগ গুছাতে বলেছিলেন। রাতের ট্রেনে আমরা নাকি চট্টগ্রাম যাচ্ছি তারপর সকল বেলা বাসে করে কক্সবাজার। আমরা ভাইবোনেরা খুব অবাক হয়েছিলাম সেইদিন, এমন কি মা’ও। কারণ দাদাবাড়ি আর নানাবাড়ি যাওয়া ছাড়া ঐটা ছিল প্রথম আমাদের সত্যিকারের ভ্রমণ। আমাদের ভাইবোনদের মাঝে সবচেয়ে বড় ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া দাদাও তার স্মৃতি হাতড়ে সেইদিন কোন ভ্রমণের গল্প বলতে পারেন নি আর আমি তো ছিলাম সবচেয়ে ছোট। এত্ত উত্তেজিত ছিলাম সেইদিন যে যাবার আগে প্রাণের বন্ধু তাপস কে পর্যন্ত বলতে ভুলে গিয়েছিলাম। সেই ভ্রমণটা আসলে ছিল অন্যরকম। সারাদিন ঘোরাঘুরি শেষে রাতের খাওয়ার পর রেস্ট হাউজের বারান্দায় পাঁচ ভাইবোন গোল হয়ে বসে গল্প করা। বাবা মা বসতেন বারান্দার কোণায়। মা একসময় গান গাইতেন বলে শুনেছিলাম কিন্তু সেইবার প্রথম আমরা মায়ের গলায় গান শুনি। মিটমিট করে হাসতে হাসতে বাবাও আমাদের সাথে বারান্দায় বসে পুরো গানটা শুনেছিলেন। আসলে সেই রাতে আমার প্রথমবারের মত মনে হয়েছিল বাবা আমাদের খুব কাছের একজন মানুষ।
হঠাৎ করে ছোট মামা ডাক দিলেন। কাছে যেতেই কয়েকজন অপরিচিত মানুষ কে আমার দিকে দেখিয়ে বললেন- দুলাভাইয়ের ছোট ছেলে। সবাই আমাকে দেখে চুপচাপ মাথা নাড়ায়। একজন প্রশ্ন করে- খবরটা তুমি কখন পেলে বাবা? আমি উত্তর দিই- ঘটনার আধা ঘন্টা পরেই, দাদা ফোন করেছিল। ঢাকার বাইরে ছিলাম দেখে আসতে এত দেরী হয়ে গেল। কেউ আর কোন প্রশ্ন করে না। আমি সরে এসে দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়াই। বুঝতে পারি অনেকে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। হয়ত কারও মনে আমার জন্য আফসোস হচ্ছে, কারও মনে বাবার জন্য। কার জন্য আফসোস আসলে বেশী হওয়া উচিত? বাবা? নাকি আমি?
বাবা আর আমার মধ্যে সমস্যাটা আসলে কোথায় ছিল? তারতো আরও চারটা সন্তান ছিল। সবাইকে তো একই রকম শাসনের ভিতর দিয়ে, নিয়মের ভিতর দিয়ে যেতে হয়েছে। তাহলে আমি বিদ্রোহ করলাম কেন? হেলান দিয়ে দাড়িয়ে থাকতে থাকতেই সমস্যা খুঁজে বের করার চেষ্টা করলাম। ঠিক সেই সময় তাপস কে দেখলাম। মনে হয় একটু আগে এসেছে, ছোট দুলাভাইয়ের সাথে কথা বলছে। আমাকে দেখেই এগিয়ে এল, বলল- সিগারেট খাবি?
হাসপাতালের বারান্দার কোণায় গিয়ে তাপসের সাথে সিগারেট খেতে খেতে আবার মনে হল, সমস্যাটা আসলে কোথায় ছিল? কেন জানি হঠাত মনে হল, অভিমান। পূর্ণবয়স্ক দু’টো মানুষের অভিমান হয়ত তাদের কাছে আসতে দেয় নি। কিন্তু এটা মনে আসতেই কেন জানি হাসি পায়। বাবার মত শক্ত পুরুষের অভিমান? সারা জীবন বাবা কে আমরা রাগতে দেখেছি, হুকুম করতে দেখেছি, আদায় করতে দেখেছি। তাই বাবার পাশে অভিমান শব্দটা ঠিক যেন মনের ভিতর খাপ খায় না। তবে শেষের দুই তিনটা বছর বাবা নাকি আগের থেকে অনেক নরম হয়ে গিয়েছিলেন। নাতি-নাতনীদের সাথে খেলতেন, গল্প শোনাতেন। ছোট ভাইয়ের মেয়েটা কে নিয়ে সকাল বিকাল নাকি হাটতে বেরুতেন। আচ্ছা মানুষটা কি প্রায়শ্চিত্ত করতে চেয়েছিলেন? নিজের ছেলে মেয়েদের অপ্রাপ্তিগুলো কি তাদের সন্তানদের দিয়ে মিটাতে চেয়েছিলেন?
আমরা যখন অনেক ছোট তাপস তখন তার বাবার সাথে স্কুলে যেত , আঙ্গুল ধরে। দেখে দেখে আমারও ইচ্ছে হত বাবার আঙ্গুল ধরে হাটবার। ছোট আপার খুব শখ ছিল স্টুডিওতে গিয়ে বাবার সাথে ছবি তোলার। রুনা আপাদের ড্রয়িংরুমে বড় বাধানো ছবিটার মত। আমাদের পূরণ না হওয়া সেই শখ গুলো হয়ত বাবা বুঝতে পেরেছিলেন শেষে এসে। হয়ত শেষ বয়সে অভিমান এসে দখল করেছিল তার রাগের জায়গাটা। সর্বগ্রাসী রাগের বদলে এই চুপচাপ অভিমান হয়ত আমার আর বাবার মাঝে তুলে দিয়েছিল দেয়াল।
তাপস প্রশ্ন করে- চাচা কে সিসিইউ তে দেখতে পেরেছিস? আমি মাথা নাড়াই। রাত সাড়ে নয়টার দিকে নাকি অবস্থা একটু ভাল হয়েছিল। তখন কাছের আত্মীয়রা সবাই গিয়ে একবার একবার করে দেখে এসেছে। আমি আসার আধাঘন্টা আগে অবস্থা আবার বেশী খারাপ হয়ে গেল তাই দেখাদেখি বন্ধ। উত্তর শুনে তাপস টা রেগে গেল, বলে- তুই কি মানুষ হবি না? এই সময় কি কেউ রাগ করে থাকে? আরেকটু আগে আসা যেত না? চুপচাপ তাপসের মুখের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন গুলো শুনে যাই, পথে গাড়ি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল সেটা আর বলি না। নিরুত্তর আমাকে দেখে তাপস আর রেগে যায়, বলে- তোর সমস্যাটা কি আসলে? সিগারেটের জ্বলন্ত ফিল্টারটা ফেলে দিতে দিতে আমি খালি খানিকটা হাসি কিন্তু কিছুই বলি না।
তাপসের বাবা যখন মারা যায় তখন আমরা কলেজের ফার্স্ট ইয়ার। কি কান্নাটাই না কাঁদল তাপস। চিৎকার করতে করতে গলাটাই ফাটিয়ে ফেলল। আমরা দুই-তিন জনে মিলে শক্ত করে ধরে রাখতে পারি না। আচ্ছা বাবা মারা যাবার পর আমিও কি কাদব? মনে হয় না। আপারা হয়ত কাঁদবে, একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে কাঁদবে। মা মারা যাবার সময় ঠিক করেছিলাম কাঁদব না। মার মৃত্যুর অনেক আগে থেকেই আমরা জানতাম মা মারা যাবে, ক্যান্সার। ডাক্তার সময় বলে দিয়েছিল তারপরেও বাবা আর দাদা মিলে ছোটাছুটি করে মা কে ইন্ডিয়া নিয়ে গেল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছুতেই কিছু হল না। মার লাশ ইন্ডিয়া থেকে আসার আগে ঠিক করেছিলাম কাঁদব না। কিন্তু লাশ দেখার পর পাশেই যখন ছোট আপাটা কান্না শুরু করেছিল তখন সব কেমন জানি উলটা পালটা হয়ে গেল।
আচ্ছা বাবা কি মা কে ভালবাসত? উত্তর টা সঠিক ভাবে আমরা ভাই বোনেরা কেউ মনে হয় দিতে পারব না। মার সাথে আমাদের সামনে বাবা কে খুব কম কথাই আমরা বলতে দেখেছি, সবই সংসারের প্রয়োজনীয় কথা। কিন্তু আমরা বুঝতে পারতাম কোথাও একটা অদৃশ্য সুতা আছে, হয়ত আড়ালে লুকিয়ে থাকা গাঢ রঙ্গীন কোন আবেগী সুতা। নাইলে আমাদের সব আবদার বাবার কাছ থেকে আদায় করার শেষ রাস্তা মা হয়ে উঠত না। আসলে পুরান দিনের মানুষ গুলোর আবেগ বড় অদ্ভূত, ধরা দিয়েও ধরা দেয় না ।
হঠাত তাপস পিঠে একটা টোকা দেয়। তাকাতেই দূরে আঙ্গুল তাক করে আর সাথে সাথে আঙ্গুল বরাবর আমার দৃষ্টি আটকে যায়। দৃষ্টি আটকে যায় যেমন যেত বহু বছর আগে একটা সময়। কিন্তু দম আটকে আসে না তখনকার মত, মাতাল করা সেই সময়ের মত বোকা হাসিটা আমার মুখে আর উঠে আসে না বরং শুকনা একটা হাসি আসে, ভদ্রতার হাসি। তাই আমার রাগ হয়। সিসিইউতে শুয়ে থাকা মানুষটার উপর আমার রাগ হয়, প্রচন্ড রাগ।
সম্পর্কটা কিভাবে শুরু হয়েছিল? মনে নেই, মনে থাকার কথাও না। সারা জীবন একসাথে হেসে খেলে বড় হওয়া মেয়েটা কিভাবে চোখে অন্যভাবে ধরা পরেছিল সেইটা বরং আশ্চার্য ব্যাপার। সেই সময়ের বোকা হাসিটা, চোরা চাহনি কিংবা ফিসফাস কথা কিছুই আজ মনে উঠে আসে না। শুধু উঠে আসে রাগ, প্রচন্ড রাগ। আর তার সাথে বাস্তব হয়ে উঠে আসে সিসিইউতে শুয়ে থাকা মানুষটা, সাদিয়ার বড় চাচা। কি হত মানুষটার ব্যাপারটা ঘটতে দিলে?
পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তাপসটা শুধু বকে যায়। ছেলেটার স্মৃতির পুরাতন গলি গুলি হয়ত আবার উঠে আসে। ছেলেটা বকে যায় তাই উঠে আসে- কখনও সাদিয়া, কখনও আমাদের সেই পুরাতন গলি আর কখনও বা আমরা সবাই। কিন্তু আমি কিছুই শুনি না কারণ আমার দৃষ্টি আটকে থাকে সাদিয়ার হাতে, তসবী গুনছে মেয়েটা। ওর কি সিসিইউতে শুয়ে থাকা মানুষটার জন্য তসবী গুনা উচিত? মেয়েটা কি সব ভুলে গেল? পুরান সব কথা? নাকি আমিই শুধু আঁকড়ে রয়ে গেছি জঞ্জাল গুলি? আমার রাগ হয় সবার প্রতি- সাদিয়া, সিসিইউতে শুয়ে থাকা মানুষটা সবার উপর। নাকি এটা অভিমান?
চিন্তাগুলি সব গুলিয়ে যায়। পাশে তাপস বকে যায়- সাদিয়া, সাদিয়ার সংসার, মাঝের বছর গুলো কিংবা বোকা আমি। আমি কথা গুলো শুনে যাই হয়ত আমার চিন্তা গুলো শুনে যায়। সাথে তাপস বকে যায়- কার জন্য থেমে থাকা, কার জন্য দূরে সরে যাওয়া, কার জন্য বোকা আমি? চিন্তাগুলি আবার গুলিয়ে যায়, কিসের জন্য এতসব? কার জন্য এই দেয়াল?
আমাদের পরিবারে অভিমান শব্দটা কখনও শিখান হয় নি কারণ এই শব্দটার অস্তিত্ব ছিল না আমাদের পরিবারে। আমারা জানতাম চার অক্ষরের এই শব্দটা এখানে কোন দাবী আদায়ের কাজে লাগে না, কাউকে অহেতুক চিন্তিত করে না। তাই ক্লাস ফাইভের বৃত্তি পাওয়ার পর একটা সাইকেল পাওয়ার কথা থাকলেও যখন ঐটা পাওয়া হল না তখনও বিকেলে আমার খেলতে যেতে দেরী হয় নি, রাতে খাবার খেতে ভুল হয় নি। নাকি চার অক্ষরের এই শব্দটা লুকিয়ে ছিল। নাইলে কলেজের সবার সাথে রাঙ্গামাটি যেতে না পারার কারণে ছোট আপা কেন ছাদে লুকিয়ে কাঁদবে। হয়ত শব্দটা সবার মাঝে লুকিয়ে ছিল চুপচাপ।
হঠাৎ করে ছোট মামা আবার ডাক দেয়। কাছে যেতেই কাঁচ ঘেরা ডাক্তারের রুমে নিয়ে যায়। ভিতরে সবাই বসে আছে। দাদা, ছোট ভাই, আপারা আর দুলাভাইরা। গম্ভীর সব মুখ। আমি বসে পরি নিঃশব্দে। রুমের একমাত্র টেবিলটার ওপাশে বসে থাকা মানুষটা গলা খাকরি দিয়ে রুমে হয়ত প্রাণ ফিরিয়ে আনতে চায়। লোকটা ধীরে ধীরে কথা শুরু করে, পেশাদারী কথা। চিন্তাগুলির ভীড় ঠেলে কিছু কথা কানে আসে- সময় শেষ…… উপায় নেই…… অনুমতি দরকার। কথা শেষে অনেকক্ষণ নীরবতার পর দাদা অনুমতি দেয়, আমরা কেউ কোন কথা বলি না চুপচাপ বসে থাকি। হয়ত সবার মত আমার মাথায়ও চিন্তাগুলো নড়াচড়া করে, স্মৃতি গুলো উঁকিঝুকি দেয়। আমাদের স্মৃতি নিয়ে খেলতে দিয়ে ডাক্তার উঠে যায়। রুমের কাচের দরজটা খুলে হেটে যায়। মাথায় চিন্তাদের অস্থিরতার সাথে সাথে আমি লোকটা দেখতে থাকি, চারপাশের আর সবার মত আমি দেখতে পাই লোকটা সিসিইউতে ঢুকছে। বাকী সবার মত আমিও বসে থাকি চুপচাপ, শক্ত হয়ে। হঠাৎ করে পাশে বসে থাকা ছোট আপা ডুকরে কেঁদে উঠে, শব্দটা আবার সব উলট পালট করে দিতে থাকে। ফিরিয়ে আনে পুরাতন এক ইচ্ছে। উলট পালট হয়ে যেতে থাকে অনুভূতি গুলি সব, থেকে যায় শুধু পুরান এক ইচ্ছে, মানুষটার হাত ধরে অন্তত একবার রাস্তায় হেটে যাবার ইচ্ছে।
ডিসক্লেইমারঃ এই গল্পটা গতকাল অন্যত্র প্রকাশিত
ভাইরে... কি লিখলা!
মন খুব খারাপ করে দিলে। তার মানে লেখা ভালো হয়েছে... 😀
ধন্যবাদ আন্দালিব ভাই 🙂
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
রাশু পাথরায় :thumbup:
সাবধান পাথর টাথর যেন গায়ে না পরে 😛
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
রাশেদ তুই খ্রাপ খুব খ্রাপ
আজকাল দুনিয়া খ্রাপ মানুষদের 🙂
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে গল্পটা। :thumbup:
ধন্যবাদ তানভীর ভাই
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আবেগমিশ্রিত লেখা... মন খারাপ হয়ে গেল ...
আছেন কেমন মেহেদী ভাই? এখন কি কুমিল্লা নাকি?
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
হ্যা কুমিল্লাতেই আছি ...
আরেকটু গুছাতে পার কিনা দেখতো, অনুভুতিগুলো আরও ধারালো করা যাবে মনে হচ্ছে।
মোটামুটি লাগলো।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ফয়েজ ভাই আপনার মন্তব্য পড়ার পর লেখাটা বেশ কয়েকবার পড়লাম, আমারও মনে হচ্ছে কয়েক জায়গায় আর লম্বা করা যেত তাতে কাহিনী আর পরিপূর্ণ হত। আসলে লেখা মাত্র তা পোস্ট করার বদ অভ্যাসের কারণে এই ভুল গুলো সব সময় চোখে পরে না। পরিকল্পনা আছে পরে একটা সময় আমার আগের লেখা গুলো যেগুলো তে এখন পড়ার সময় আমার প্রায়ই মনে এর থেকে ভাল করে লেখা সম্ভব সেগুলো কে রিরাইটিং করব এবং কথা দিচ্ছি সেই সময় এই গল্পটাও থাকবে।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
নিজের একটা লেখা দেওয়ার পরেই...মনের মধ্যে কু-ডাক ডাকছিল...... ;;; ;;; ;;; কেউ না কেউ একটা ফাটাফাটি লেখা দেবে... :dreamy: :dreamy: :dreamy:
সেই লেখাটা তুমি-ই দিলা !!!!!!! পারলা !!!!!!! পারলা ভাইডি !!!!!!!!! 😡 😡 😡
তাইলে লাগাও :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: কিয়ামত তক্!!! :awesome: :awesome: :awesome:
হৃদয় ছোঁয়া লেখা...অসাধারণ...! :hug: :hug: :hug:
Proud to be an ex-cadet..... once a cadet, always a cadet
🙂 :frontroll: :frontroll: :frontroll: 🙂 😀
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
রাশুরে পিডান x-(
রাশু, তোর ব্যাঞ্চাই :(( :((
😛
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
চরম হইছে লেখাটা :clap:
ধন্যবাদ আদনান ভাই 🙂
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
:clap: :clap: :clap:
ধন্যবাদ আপু 🙂
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
:hatsoff: :hatsoff: :hatsoff:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আপ্নেরেও :hatsoff:
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ভালো হয়েছে 🙂
ধন্যবাদ আপু 😀
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
হুম।
আজকাল দেখি খালি হুম হাম করে চলে যাও, ভাল খারাপ কিছু একটা বললে বুঝতাম ব্যপার খান কি? 🙁
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
হাসপাতাল শব্দটা দেখে তোমার গল্প দেখেও আর এইটায় সারাদিন আসিনাই। এখন এসে পড়লাম। মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন তুমি হয়ত গল্পই লেখলা কিন্তু অনেক জায়গায় আমি নিজের সাথে মিল পেয়ে গেলাম।
বাস্তব থেকেই তো গল্প হয়। কি বলেন তপু ভাই?
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
দারুণ লিখছ রাশেদ। গল্পের প্লটটা হয়ত নতুন নয় কিন্তু তোমার বলার ভঙ্গিটা চমৎকার। পুরোটা সময় একই টোনে বলে গেছ, নির্বিকার ভাবে।হয়ত পুরোপুরি হূমায়ুন হয়নি কিন্তু হূমায়ুনের এই টোনে শুরুর দিকে কিছু অসাধারণ লেখা আছে
ভালো থেকো
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
নতুন বলার মত গল্প কমে গেছে অনেক আগেই তাই একই গল্প নতুন ভংগীতে বারবার বলে যাওয়া
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়