বিভিন্ন দেশ ঘুরে ইমিগ্রেশনের ও এয়ারপোর্টের কিছু মজার মজার অভিজ্ঞতা হয়েছে । এগুলো শেয়ার করার জন্যই লিখছি আজকে :
সিংগপুর ইমিগ্রেশন :
সিংগাপুরের চাংগী এয়ারপোর্ট আমার প্রিয় এয়ারপোর্টগুলোর একটা। অতি আধুনিক এই এয়ারপোর্টে সময় পাস করা কোন ব্যাপারই না। শপিং করে, ঘুরে, মানুষের ব্যস্ততা দেখে সময় কাটিয়ে দেয়া যায় অনায়াসেই। সিংগাপুর ইমিগ্রেশও খুব আধুনিক। স্মার্ট অফিসাররা খুব দ্রুততার সাথে সবকিছু শেষ করে। ইমিগ্রেশন ডেস্কে আমি পাসপোর্ট জমা দিলাম। অফিসার মহিলা আমার পাসপোর্ট নিয়ে কাজে ব্যস্ত হয়ে গেল। ডেস্কের উপরে রাখা চকলেট থেকে আমি চকলেট নিয়ে খেয়ে দেখি ওয়াও দারুন চকলেট !!!! আমি বাকিগুলোও নিয়ে নিলাম। ইমিগ্রেশন অফিসার একবার আমার দিকে তাকিয়ে ভেতর থেকে আরো কিছু চকলেট নিয়ে আবার ডেস্কের উপর রাখল। আমি এখনও চকলেটের দিকথেকে চোখ সরাতে পারছিনা। আর মনে মনে ভাবছি আবার চকলেট নিলে অফিসার আমাকে ঢুকতেই দিবে না সিওর। অফিসার পরে পাসপোর্ট ফেরত দেয়ার সময় পাসপোর্টের সাথে আরো দুটো চকলেট আর একটা হাসি উপহার দিলো।
প্রথমবার সিংগাপুরে গিয়ে চাংগি এয়ারপোর্টে গিয়ে মানুষের ব্যস্ততা দেখে টাসকি। কিছু মানুষ প্লেন ধরার জন্য দৌড়াচ্ছে। আমি মনে মনে ভাবলাম, “আরে ভাই তোরা তো বাসে বা ট্রেনে যাচ্ছিস না, প্লেনে যাচ্ছিস, একটু আগে আগে আয়। প্লেনে চড়ার সময়ও তোরা লেট।” ভেবে আমি এয়ারপোর্টের মধ্যেই ল্যাপটপ নিয়ে ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে বসলাম। এভাবে কিছুক্ষন যাওয়ার পর শুনতে পেলাম এনাউন্সমেন্ট হচ্ছে “মি: মানান প্লিজ রিপোর্ট টু বোর্ডিং ডেস্ক, বোর্ডিং উইল ক্লোজ সুন।” মনে মনে ভাবছি “আরেক ব্যাটা গাধা, প্লেন চলে যাচ্ছে, এখনও কোন খবর নাই”। ভাবতে ভাবতে হঠাৎ মনে হলো আরে মি: মানান তো আমিই (ততদিনে আমি বুঝে গেছি এরা কখনও মান্নান বলতে পারবে না) । তাড়াতাড়ি করে ল্যাপটপ কোলে নিয়ে দৌড় !!! এই প্রথম আমি বুঝতে পারলাম এয়ারপোর্টে কিছু মানুষ কেন সবসময়ই দৌড়ের উপর……
মালেশিয়া ইমিগ্রেশন:
মালেশিয়ায় যাচ্ছি।সাথে আমার এর বন্ধু যে প্রথমবারের মতো বিদেশ যাচ্ছে। তাই তাকে কোথায় কি যেতে হবে বুঝিয়ে দিচ্ছি। বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন পার হলো সহজেই। প্লেনেও উঠলাম, কেএল এয়ারপোর্টে পৌছুলাম। ইমিগ্রেশন ডেস্ক দেখিয়ে দিলাম। আমি সহজে ইমিগ্রেশন পার হলেও ওকে ইমিগ্রেশন অফিসার ছাড়লনা। ভিতরে নিয়ে অনেক প্রশ্ন করেই তবে ছাড়ল। মালেশিয়ায় ট্রেনিং শেষ করলাম। ফেরার দিনে আবার ইমিগ্রেশন। আমি পার হলাম সহজেই। আমার ফ্রেন্ডকে আবার আটকালো। ওকে আগেরবার শুধু প্রশ্ন করেই ছেড়ে দিয়েছে, ইমিগ্রেশন অফিসার ভুল করে আগে কোন এন্ট্রি সিল দেয়নি। তাই বের হওয়ার সময় ওকে ধরেছে কিভাবে ও সিল ছাড়া মালেশিয়া ঢুকেছে। অনেক বুঝিয়ে তবে ও ছাড়া পেল। ছাড়া পাওয়ার পর প্লেনে উঠে পাসপোর্ট চেক করে দেখে এবারও ওকে মালেশিয়া ইমিগ্রেশন এক্সিট সিল দেয়নি। ঢাকা ইমিগ্রেশনে আবার ক্যাচাল। ঢাকা ইমিগ্রেশন অফিসার ওকে দেখে বলল, “আপনি মালেশিয়া যাওয়ার জন্য বের হয়েছেন 9 তারিখে, মালেশিয়া যাননি, আবার 20 তারিখ এসেছেন ।এতদিন কোথায় ছিলেন?” আবার পুরো ব্যাপারটা বুঝিয়ে তবেই পার পাওয়া।
:khekz: :khekz:
আমি জীবনে একবারই বিদেশের মাটিতে পা রাখছিলাম...ইমিগ্রেশনের কোন ঝামেলা ছাড়াই...!!!
মুজিবনগরে পিকনিকে গিয়ে বর্ডার পার হয়ে দুইপা হেঁটে এসেছিলাম... =)) =))
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
:khekz: :khekz:
ভাল বলছ। সেই হিসাবে আমার দুইবার। একই দেশ 🙁 🙁
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
৯/১১ এর পর সিংগাপুর গেছিলাম পয়লা, পাক্কা তিন ঘন্টা বয়ায় রাখছিল লাল ড্রেস পড়া মাইয়াগুলা,
মিজাজ টা এমন খারাপ হইছিল, মনে হইছিল লাত্থি মাইরা মুখটা ফাটায় ফালাই
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আপনার মনে মিয়া দয়া মায়া বলতে কিচ্ছু নাই। লাল ড্রেস পরা আপারা নাহয় একটু বসাইয়াই রাখছিলো। তাই বইলা লাথি মারতে হইবো, তাও আবার যেনো তেনো লাথি না, এক্কেরে মুখ ফাটানো লাত্থি। 🙁 🙁
অফটপিকঃ আচ্ছা লাল কি ড্রেস পরা ছিলো? মিনি স্কার্ট ? :grr: :grr: সিঙ্গাপুরে তো শুনছি মেয়েরা মিনি থেকে মিনিতর স্কার্ট পড়ে। 😉 😉
কথা মিথ্যা না .....আমি একবার সিংগাপুরে সলোসো বিচে এমটিভির "জুক আউট" বীচপার্টিতে গেছিলাম। বীচপার্টিতে সারারাত বিয়ার খেয়ে নাচানাচি করে সব বালির মধ্যে পড়েছিল। আর ড্রেসের কথা: সেন্টোসা আইল্যান্ডে প্রাইভেট বীচ আছে কিছু ঐগুলাতে অনেকসময় ড্রেসের কোন বালাই থাকে না 😀 আমি প্রথম প্রথম কিছু ছবি তোলার পর দেখি আর কেউই এইগুলা কেয়ার করে না । খালি খ্যাতের মতো আমিই ছবি তুলছি। তারপরে একটু স্মার্ট হওয়ার চেষ্টা করলাম। এমনভাব নিলাম যে এইগুলা কোন ব্যাপারই না।
ডেটোনা (daytona beach) বীচ এর পাশে একটা নূড এরিয়া আসে, কাপড়চোপড় পইরা ঘুইড়া আসছি একবার। ভালই। :grr:
দূর এই মাইয়া দেইখা পাগল হওয়েনের কিছু নাই, ফিগার ঠিক আছে, মুখ পুরা বোয়ালের মত, অনুভুতি নাই, রোবট।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
অতেই চলবে। 😉 😉
কৃতজ্ঞতা স্বীকার না কইরাই তাইফুর ভাইয়ের বাণী ইউজ কইরা জলদস্যু হওয়ার অপরাধে কামরুল ভাইয়ের ভ্যান দাবী করছি :))
হমম....দিনকাল খারাপ যাচ্ছে....
আহহ,এস এস সির ভ্যাকেশনে ছিঃঙ্গাপুরের চাঙ্গি এয়ারপোর্টের ৩৬-২৪-৩৬ এয়ার হোস্টেস গুলার কথা ভাবলেই মনডা উদাস হয়া যায়...অগো সবার লাইজ্ঞা সেম সাইজ ড্রেস,ফিগার ঠিক না থাকলে পত্রপাঠ বিদায়...
এরাওহোস্টেস আর বিমানের
কিরে লেখা কম্প্লিট না কইরাই ঘুমায়া গেছিলি নাকি :grr:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
সিঙ্গাপুরি এয়ার হোস্টেস আর বিমানের ভোটকিগুলারে তুলনা করলে দিলে গিট্টু লাইগা যায় আর ছাড়তেই চায়না x-(
অফ টপিক-এয়ার হোস্টেস নিয়া আমার এট্টা কম শ্লীল ঘটনা আছে কমু কিনা বুঝতাছিনা,পরে আমার চরিত্র নিয়া মানুষজন সন্দ করতে পারে 😕
আরে প্যাটে কিছু চাইপা রাখা ঠিক না, কইয়া ফালাও
আর কেউ উল্টা পাল্টা কইলে আমারে খবর দিও, লং আপ করায় রাখবো। ফ্রন্টরোলেও রাখতে পারি, অবস্থা বুইঝা।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
:goragori: :goragori: :goragori: :goragori:
keo মালেশিয়া asle amake mail/phone diyen ... onek mojar jinis ache ai kane ..... 😀 (sorry for English) 🙁
আমিও মজার জিনিস খাপো :((
বাবা আরেকটু বড় হও ....সময় আসলেই মজার জিনিস পাবে.... 😀 😀 😀 😀
তোর সাথের বন্ধুর ঘটনাটায় মজা পাইছি। কে ছিল সেইটা?
বুয়েটের এক বন্ধু । ওর মালেশিয়া ট্যুর নিয়ে আরো মজার মজার কিছু ঘটনা আছে। পরে আরেক পর্বে লিখবো।
দৃশ্যটা মনে হয় দেখার মতোন হইছিল 😀 😀 ।
Life is Mad.
ব্রিটিশ ইমিগ্রেশন এ ঝামেলা করে অইখানে চাকুরি করা ইন্ডিয়ান আর পাকি র বাচ্চা অফিসার গুলান ! শুয়ারকা আউলাদ গুলান আংরেজ প্রভুদের প্রতি আনুগত্য দেখানোর জন্য সদ্বেশী বিশেস করে বাংলাদেশীদের উপর বেশি চড়াও হয়
এই একই অভিযোগ আমিও শুনেছি। পাকিরা নাকি বাঙ্গালীদেরকে খুব ডিসটার্ব করে।