বিএসএফ এর বর্বরতা !!

আমি আজ বাকরুদ্ধ । সীমান্তে বিএসএফ এর নির্মম অত্যাচার আর মেনে নেয়া যায় না ।বজ্জাত বিএসএফ এর জঘন্য কাজ ফেসবুকে মনে হয় সবার কাছেই গেছে ।বিএসএফএর এই রকম জঘন্য কাজের ভিডিও ফেসবুকে হয়ত অনেকেই পেয়েছেন । ওর প্রথম অংশ দেখে ওই ভিডিও দেখার আমার আর রুচি হয় নি ।তাই এখানে সেই ভিডিও টা শেয়ার করছি না । ভিডিওর প্রথম অংশ দেখেই আমার মেজাজ বিগ্রে গেলো । ভিডিওতে এক বিএসএফ বলছে এই ভিডিওটা বাংলাদেশ এর লোক দেখলে খুব খুশি হবে । ওরা আমাদের দেশের ওই লোককে উলঙ্গ করে ফেলে এবং সব বিএসএফ মিলে নির্মম ভাবে প্রহার করে । ওই লোকটার আহাজারি আর চিৎকারে আমার চোখে জল এসে গেলো । মনে হচ্ছিল আমাদের নিজেদের দেশকেই উলঙ্গ করা হচ্ছে । জনসম্মুখে কাউকে এইভাবে অপমান করার চেয়ে গুলি করে মেরে ফেলা অনেক ভাল ।

ভারতীয় সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার তারাপুস্কুনী ও একবালিয়া এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) গুলিতে এক ভারতীয় নাগরিক নিহত হয়েছেন।তারাপুস্কুরনীপাড় সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশে মাদকসহ অনুপ্রবেশের সময় বিজিবির গুলিতে ভারতীয় চোরাকারবারি নিহত হয়েছেন।এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএসএফ এক বিজিবি সদস্যকে আটক করে ভারতের ধনপুর বিএসএফ সীমান্তে নিয়ে যায় । সূত্র- বাংলা নিউজ ।তারা নির্বিচারে আমাদের দেশের লোক হত্যা করবে আর ভারতীয় চোরাকারবারিকে মারার জন্য তারা বিজিবি সদস্যকে আটক করে নিয়ে যাবে এইটা কোন ভাবে মেনে নেয়া যায় না ।

ভারত তো আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র । তা এই বন্ধু রাষ্ট্রের বর্বরতা সবাই দেখুন ।আর কতদিন সহ্য করতে হবে এই অত্যাচার । আর পাকিস্তান একটি মুদ্রার এ পিঠ আর ও পিঠ । দেশ টা আজ কোথায় যাচ্ছে ? এর ভবিষ্যৎ কোথায়?

১,৫৭০ বার দেখা হয়েছে

১৬ টি মন্তব্য : “বিএসএফ এর বর্বরতা !!”

    • শরিফ (০৩-০৯)

      ভাই ভারত নির্ভরশীলতাকে কি সম্পূর্ণ ভাবে বাদ দেয়া সম্ভব? ক্রিকেট থেকে শুরু করে অন্য আরও অনেক কিছুতে ভারতের আধিপত্য বিরাজ করছে । আমরা ভারতের অনেক চ্যানেল দেখি । কিন্তু ভারত কি আমাদের কোন চ্যানেল তাদের দেশে ব্রডকাস্ট করার পারমিশন দিছে । ভারতের মাটিতে বাংলাদেশ কোন ওয়ানডে ,টেস্ট অথবা কোন সিরিজ খেলতে পারছে ? পারেনি । এখনো হিন্দি সিরিয়াল , মুভি বাংলাদেশ এর সবাইকে আকৃষ্ট করে রাখছে । তার উপর আবার প্রেক্ষাগৃহে আবার ভারতীয় সিনেমা দেখার পারমিশন দিয়ে দিছে সরকার ।

      এই নির্ভরশীলতাকে হয়ত সম্পূর্ণ ভাবে বাদ দেয়া যাবে না । কিন্তু নির্ভরশীলতাকে কমানোর চেষ্টা করা যেতে পারে ।

      জবাব দিন
  1. ঐ ভিডিও দেখার জন্যে একটা ইউটিউব লগিন খুলেছিলাম আমি, কিন্তু আপনার মত আমিও শুরুটা দেখে আর দেখতে পারিনি, এবং অশ্রু সংবরণ করতে পারিনি। কিছু লোক সেখানে আবার কমেন্ট করেছে আমাদের দেশের লোকদেরই বর্বব গালি দিয়ে, বিডিআরের কালো অধ্যায় মনে করিয়ে দিয়ে।
    কিছু ইন্ডিয়ান পরিচয় দিয়ে স্যরি বলে মন্তব্য করেছে, কিন্তু মনে হলো যেন ধরা পড়ে গিয়েছে বলে এখন কাচুমাচু। ধরা না-পড়লে এরাই আমাদেরকে গালি দিতে ছাড়তোনা।
    কিছু ব্লগে দেখছি লোকেরা আমাদের প্রতিবাদকে জামাতী উদ্যোগ আখ্যা দিয়ে বিপ্লবে রাশ টেনে ধরার চেষ্টায় আছে কারণ তারা জানে -জামাতী- শব্দটা শুনলেই আমরা নিজেদেরকে সরিয়ে নিবো, তারমানে এরা চায় আমরা নীরব থাকি।
    সবমিলিয়ে আমার মনে হচ্ছে আমাদের সকলের মনে উত্তপ্ত ঘৃণার ফেনার উদ্গার হচ্ছে, কিন্তু একত্রিত হতে পারছিনা, বিক্ষিপ্তভাবে সবাই এখানে ওখানে ঘৃণার প্রকাশ করে চাচ্ছি। ঠিকমত সংগঠিত হতে পারলে এই উত্তাপ কিন্তু অনেক বড় কোনও বিবর্তন এনে দিতে পারে যাতে করে রাজনীতি-দল-নোংরামীর গন্ধটা বাদ পড়ে যাবে কিন্তু দেশের ভালো হবে। কে জানে অপরাধীরা আমাদের পা-ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্যও হতে পারে!!
    আমি আশাবাদী।

    জবাব দিন
    • শরিফ (০৩-০৯)
      কিছু ব্লগে দেখছি লোকেরা আমাদের প্রতিবাদকে জামাতী উদ্যোগ আখ্যা দিয়ে বিপ্লবে রাশ টেনে ধরার চেষ্টায় আছে কারণ তারা জানে -জামাতী- শব্দটা শুনলেই আমরা নিজেদেরকে সরিয়ে নিবো, তারমানে এরা চায় আমরা নীরব থাকি।

      এই ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর সঙ্গে জামাতি হবার কি সম্পর্ক আমি বুঝতে পারিনা । যারা এই কাজ টি করে তারা ইচ্ছা করেই এই প্রসঙ্গটা অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিতে চায় ।

      জবাব দিন
  2. ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

    আমাদের একজন গান্ধি দরকার যে একটা জোরসে ডাক দিয়ে ভারত-পাকিস্তানী পণ্য বর্জন করতে বলবে। আমাদের মেয়েরা যদি শুধু ভারতীয় শাড়ি কেনা বাদ দেয় তাহলেই কিন্তু একটা বড় বিপ্লব শুরু হয়ে যায়।

    ভিডিওটার কথা আর কি বলবো? তবে আশার কথা হলো এই যে এটা ভারতীয় টিভি থেকেই প্রচার পেতে শুরু করেছে। সেখানেও আমাদের ভারত নির্ভরশিলতা। আমাদের দেশের সাংবাদিকরা কি করে?


    “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
    ― Mahatma Gandhi

    জবাব দিন
  3. আসাদুজ্জামান (১৯৯৬-২০০২)

    বুঝলি না????? মাইনে দাদারা গোলাবারুদ লইয়া আমাগরে সমাদর করনের লাইগা এইদেশে পা দেওনের আগ পর্যন্ত কি আমাগো হুঁশ হইবো না?????

    পুরা জাতিরই তো ভারতীয় পন্য, মিডিয়া, মোবাইল সবকিছু বয়কট করা প্রয়োজন ছিল। আমরা জাতি হিসাবে যে কতটা আত্মসম্মানহীন তা আরো একবার প্রমান হলো। ধিক মোদের শত ধিক।

    জবাব দিন
  4. রাকেশ (৯৪-০০)

    শুধু ফারাক্কা বা তিস্তা না ইস্যু নয়, আমাদের সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ আজ পাখির মত মানুষ মারছে, নির্মম অত্যাচার করছে। আর আমরা কিনা সেই ইন্ডিয়ান পন্য কিনে তাদের হাতেই আমাদের দেশের টাকা তুলে দিচ্ছি? আপনি কি জানেন ইন্ডিয়ার বার্ষিক রপ্তানীর একটা বড় অংশ বাংলাদেশ থেকে আসে?

    আমাদের দেশেও সমমানের অনেক পন্য প্রস্তুত হয়, কিন্তু শুধু আমাদের না জানার জন্য তাদের আজ নিজ দেশেই যুদ্ধ করে টিকে থাকতে হচ্ছে। আপনিই বলেন , এটা কি ঠিক?

    আপনি যদি মনে করেন ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের সাথে থাকবেন, প্লিজ এগিয়ে আসুন।

    আমাদের কর্মসুচীতে সাথে থাকতে এই ইভেন্ট পেইজে সাবস্ক্রাইব করুন , আর সবার মাঝে ছড়িয়ে দিন

    ২৭ তারিখ, শুক্রবার বিকাল ৪টায় আমরা একত্রিত হচ্ছি বানিজ্য মেলায়। সাথে থাকবে প্ল্যাকার্ড আর লিফলেট। প্ল্যাকার্ড আর লিফলেটের মাধ্যমে আমরা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিব আমাদের কথা - আসুন আমরা ভারতীয় আর সকল বিদেশী পন্য বর্জন করে নিজেদের দেশের পন্য কিনি।

    ৩ তারিখ, শুক্রবার আমরা আবার একত্রিত হচ্ছি প্রেসক্লাবের সামনে, আরও বিশাল আঙ্গিকে মানববন্ধন করব। সেই একই মেসেজঃ আসুন আমাদের স্বদেশী পন্য ব্যাবহার করি সবাই।

    ভারতীয়/বিদেশী পন্য বর্জন শুধু আপনার শপিং লিস্ট না, এটি একটা সচেতনতা। এটা এমন সচেতনতা যেটা আপনারে প্রতিনিয়তই মনে করিয়ে দিবে বাংলাদেশকে ভালবেসে আপনি কতভাবে দেশের জন্য অবদান রাখছেন। আজ থেকে আমরা সবাই আমাদের যতদুর সামর্থ থাকে নিজের দেশের পন্য কিনব, ব্যাবহার করব আর আমাদের পরিচিত সবাইকে উতসাহিত করব। তো আপনি কি আসছেন আমাদের সাথে ২৭ তারিখ আর ৩ তারিখ?

    আমরা কোন তলাবিহীন ঝুড়ি না, অন্য কোন দেশের মুখাপেক্ষী হয়েও আমরা থাকতে চাই না। নিজ দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করব, এটাই আমাদের লক্ষ্য। আর এর মাধ্যমে আমরা ভারতকেও দেখাতে চাই, আয়তনে বড় হলেই বাংলাদেশের উপর যা ইচ্ছা করা যাবে না।

    ভারতীয় পন্য বর্জন নিয়ে অনেকে অনেক কিছু বলতে পারেন, এই ব্লগটা দেখে আসেন , আপনার অনেক প্রশ্নের উত্তর পাবেন।

    বিএসএফের এই আগ্রাসী মনোভাব যে আজকের না, সেটা দেখতে হলে এই লেখাটাও পড়তে পারেন

    ভাবছেন চারপাশে সবই তো ভারতীয় পন্য, এগুলা ছেড়ে দিলে কিভাবে বাচবেন? এই লিস্টটা দেখেন তো , অনেক কিছুই আছে আমাদের বাহুল্য পন্য যেগুলা খুব সহজেই আপনি ছাড়তে পারবেন, আর এগুলার খুব ভাল মানের বাংলাদেশী বিকল্পও আছে।

    আমরা বিশ্বাস করি আমরা সবাই একত্র আর সচেতন হলে আমাদের দেশও একদিন স্বাবলম্বী হবে। একাত্তুরে যারা শহীদ হয়েছেন বা প্রান বাজী রেখে দেশ স্বাধীন করেছেন, তাদের স্বপ্ন তো আমাদেরকেই বাস্তবায়ন করতে হবে, তাই না? তাই আজ শুধু সব আমদানীকৃত ভারতীয় পন্য না, একাত্তুরের চেতনায় সাথে পাকিস্তানী পন্যও বর্জন করব।

    মনে রাখবেন,
    * আপনার বন্ধু, বান্ধবী, সহকর্মীসহ যত বেশি সংখ্যক লোক সঙ্গে আনবেন তত ভালো।
    * আপনি ইচ্ছা করলে নিজ দায়িত্বে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড বানিয়ে আনতে পারবেন। এবং তা করতে পারলে খুব ভাল হবে।
    * এটি কোন রাজনৈতিক দলের সমাবেশ নয়। বিষয়টি পুরোটাই দেশের স্বার্থে। তাই যে কেউ অংশ নিতে পারবেন।
    * এই মানব বন্ধনে কোন ধরনের খাবার, নাস্তা, বা যাতায়াত ভাড়া সরবরাহ করা হবে না। আপনি দেশকে ভালবেসে নিজ দায়িত্বে সচেতনভাবে ভারতীয় পণ্য বর্জন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন।
    * ফেইসবুকে অন্য বাংলাদেশীদেরকে ইনভাইট করুন এই Event-এ Join করার জন্য।
    * এই Event টি Share করুন।
    * ফেইসবুকে যাদের page আছে, তারা অনুগ্রহপূর্বক এই Event টি Promote করুন।

    [এইখানে কোন দালালীকে আশ্রয় দেয়া হবে না। ভারতের দালাল এবং পাকিস্তানের দালালদের কে ১০০ হাত দূরে অবস্থান করার জন্য নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে। এইটা শুধু বাংলাদেশীদের জন্য, বাংলাদেশের স্বার্থের জন্য।]

    আমাদের ইভেন্টে যোগ দিন এখানে

    আমাদের সাথে আসতে জয়েন করুন নিচের ফেসবুক গ্রুপে

    আবারো সবাইকে মনে করিয়ে দেই,

    ১। এই কর্মসুচী কোনভাবেই কোন রাজনৈতিক বা ধর্মীয় উদ্দেশ্য প্রনোদিত হবে না।

    ২। এটি পুরোপুরি শান্তিপুর্ন কর্মসুচী, সরকার আর দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়ে এমন কোন কিছুই আমরা করব না, সাপোর্টও করব না।

    ৩। কোন প্রকার ভারতীয় দালাল বা পাকি রাজাকার/দালাল এই কর্মসুচীতে থাকবে না। এখনও এই গ্রুপে যারা আছেন তাদের নিজ দায়িত্বে এই গ্রুপ থেকে চলে যাওয়ার অনুরোধ করছি।

    ৪। আমাদের মুল লক্ষ্য হল আমরা আমাদের বাংলাদেশকে অন্য কোন দেশের টেস্টিং ফিল্ড হিসেবে দেখতে চাই না, তাই সচেতনতার সাথে মানুষকে দেশীয় পন্য ক্রয় আর ব্যাবহারে উতসাহিত করব।

    ৫। একই সাথে সীমান্তে ভারতে বর্বর আচরন, পানিচুক্তির খেলাপ আর অনৈতিক বানিজ্যিক আর মিডিয়া অবরোধের জন্য সকল প্রকার আমদানীকৃত ভারতীয় পন্য ব্যাবহার থেকে বিরত থাকব। একই সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সকল প্রকার আমদানীকৃত পাকিস্তানী পন্যও ব্যাবহার বা ক্রয় থেকে বিরত থাকব।

    ৬। মানববন্ধন বা লিফলেট বিতরন - যে কর্মসুচীই নেয়া হোক সামনে, আমাদের মুল লক্ষ্য সাধারন মানুষের কাছে পৌছে তাদেরকে সচেতন করা, আক্রমনাত্মক মনোভাব প্রকাশ করা না।

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।