বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা বিজ্ঞানী আইনস্টাইন এর নাম আমরা কম বেশি সবাই জানি ।উনার সেই বিখ্যাত সূত্র
E=mc²
এর কথা আমরা সবাই কম বেশি শুনেছি ।অনেক সময় শুনতাম যে তার এই সূত্র ভুল প্রমাণ করতে গিয়ে অনেকে পাগল হয়ে গেছে ।জানিনা কথাটি কতটুকু সত্যি।এইচ এস সি লেভেল এ এসে এই সূত্রের সাথে পরিচয় ঘটে ।
১৯০৫ সালে প্রকাশিত আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্ব থেকে জানা যায় যে “the speed of light is a “cosmic constant” and that nothing in the universe can travel faster.”
কিন্তু জেনেভায় গবেষণাকেন্দ্র সার্নে ‘অপেরা’ নামের একটি পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেলো, পরীক্ষাটিতে নিউট্রিনো নামের একটি কণা আলোর গতির চেয়ে ০.০০২৫ শতাংশ বেশি গতিতে গতিমান ছিল ।নিউট্রিনো কণার গতি প্রতি সেকেন্ড এ ৩০০০০৬ কিঃমিঃ যা আলোর গতির চেয়ে সামান্য বেশি ।
নিউট্রিনো কী,নিউট্রিনোর গতি কেমন ছিল ,প্রজেক্ট অপেরা কি ,পরীক্ষণের নির্ভুলতা কেমন ছিল তা এই খানে মোটামুটি আকারে ধারণা পাওয়া যাবে ।
এই খবরটি সোনার পর মনে হল আইনস্টাইন এর আপেক্ষিকতাতে এক ধরনের বড় পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে ।
কিছুদিন পর বিভিন্ন পত্রিকাতে যে খবরটি বেশি আলোড়িত হয় তা হলো বাংলাদেশ এর দুই বিজ্ঞানী আইনস্টাইন এর আপেক্ষিকতাকে পরিপূর্ণ রুপ দিবার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন ।ওই বিজ্ঞানীদ্বয় হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এর ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ওসমান গণি তালুকদার এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অপর অধ্যাপক মুশফিক আহমেদ।২০ বছর ধরে গবেষণা করে তাঁরা এ সাফল্য পেয়েছেন।এ থেকেই বুঝা যায় যে তাঁরা এই আপেক্ষিক তত্ত্বের উপর অনেক গবেষণা করেছেন ।বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের মতবাদ অনুসারে কোন বস্তুর গতি আলোর চেয়ে বেশি হতে পারে না।এ বিষয়ে আইনস্টাইন দিয়ে গেছেন পাঁচটি সমীকরণ এবং একটি মৌলিক ধ্রুবসংখ্যা।আইনস্টাইনের এ মতবাদ ছিল অসম্পূর্ণ। কারণ, দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করে তাঁরা নানাভাবে প্রমাণ পেয়েছেন যে, বস্তুর গতি আলোর গতির চেয়ে বেশি হতে পারে। বস্তুর গতি যে আলোর গতির চেয়ে বেশি হতে পারে এ বিষয়ে যাবতীয় তথ্য-প্রমাণ ও
সহকারে ২০০১ সালে ওসমান গণি তালুকদার An Alternative Approach to the Relativity নামে একটি বইও প্রকাশ করেন।বইটি প্রকাশ করার আগে তাঁরা উভয়েই এ বিষয়ের ওপর লেখা কিছু গবেষণা প্রবন্ধ দেশ-বিদেশের বিজ্ঞানভিত্তিক বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশের জন্য পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু দৃশ্যত আইনস্টাইনের তত্ত্বের বাইরে যাওয়া যাবে না ভেবেই বিদেশের কোনো জার্নাল তাঁদের প্রবন্ধ প্রকাশ করেনি। অধ্যাপকেরা উল্লেখ করেন, বইটি প্রকাশ করার আগে ২০০১ সালের ২০ মে সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দেওয়া হয়, নিউট্রিনো নামের বস্তুকণিকা আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বের মতবাদ লঙ্ঘন করে, অর্থাৎ নিউট্রিনো আলোর চেয়ে বেশি বেগে চলে। তাঁরা বলেন, এ বিষয়ে তাঁদের নির্ণীত তিনটি সমীকরণের মধ্যে দুটি সমীকরণ সংবলিত একটি প্রবন্ধ কানাডার একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশের জন্য পাঠিয়েছেন, যা প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে।
প্রধানত সার্নের বিজ্ঞানীদলের ফলাফল বাংলাদেশ এর দুই বিজ্ঞানীকে সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে সেই মতবাদকে সম্পূর্ণতাদান বা সম্প্রসারিত করার।তা না হলে কখনই সুযোগ আসতো না বাংলাদেশ এর এই দুই বিজ্ঞানীর। সার্নের ওই গবেষক দল এখন পর্যন্ত কোন সমীকরণ দাঁড় করাতে পারেনি কিংবা এ সংক্রান্ত কোন মৌলিক ধ্রুব সংখ্যাও নির্ণিত করতে পারেনি। সার্নের গবেষকদের এ ঘটনাটি বিশ্বব্যাপী প্রচারিত হয় চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর।
এর আগে থেকেই তাঁরা (অধ্যাপক ওসমান গণি তালুকদার ও অধ্যাপক মুশফিক আহমেদ) সংবাদ সম্মেলন করে, বই প্রকাশ করে এবং প্রবন্ধ লেখাসহ নানাভাবে ঘোষণা দিয়ে আসছেন যে, বস্তুর বেগ আলোর বেগের চেয়ে বেশি হতে পারে এবং এ সংক্রান্ত নতুন সমীকরণ দাঁড় করানোসহ কিছু মৌলিক ধ্রুব সংখ্যাও আবিস্কার করেছেন ।
দুই অধ্যাপক বলেছিলেন, আগামী ডিসেম্বরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সম্মেলনের আয়োজন করে নতুন এ তিনটি সমীকরণ ও মৌলিক ধ্রুবসংখ্যা আবিষ্কারের বিষয় উন্মোচন করা হবে। বিজ্ঞান সম্মেলনটি আয়োজনের ব্যবস্থা করতে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
তবে কিছু ঘটনা যা না বললেই নয় ।কাগজে কলমে আমরা সবাই জানি মার্কনি রেডিও আবিষ্কার করেন। কিন্তু সত্যিকার অর্থে মার্কনির রেডিও আবিষ্কারের কয়েক বছর আগে তা আবিষ্কার করেছিলেন বাঙালি বিজ্ঞানি জগদীশ চন্দ্র বসু।
এক সাক্ষাৎকারে মার্কনিকে প্রশ্ন করা হয়:” আপনার এই আবিষ্কারে অবদান রাখার জন্য জগদীশ চন্দ্র বসুর নাম ও শোনা যায়। এ ব্যাপারে যদি কিছু বলতেন ?
মার্কনি উত্তরে বলেন ,“আমি বাবা মায়ের দ্বিতীয় সন্তান। তার মানে হচ্ছে জন্ম থেকেই ভাগাভাগির ব্যাপারটা আমার মধ্যে ছিল। এই যে ১৯০৯ সালে পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল প্রাইজ পেলাম, সেটাও পল ফার্ডিন্যান্ড এর সাথে যৌথভাবে পেয়েছি। তাই আবিষ্কারের ব্যাপারটাও ধর জগদীশ চন্দ্র বসুর সাথেই না হয় ভাগ করলাম। তবে সেটা আমি সবার সামনে স্বীকার করতে চাই না।”
মার্কনিকে আবার প্রশ্ন করা হয় ,“আপনি স্বীকার না করলেও এই পেটেন্টের ব্যাপারটাতো আদালত পর্যন্ত গিয়েছিল।”
উত্তরে মার্কনি বলেন ,” জগদীশ বসু খুবই ভাল মানুষ ছিলেন। তাই তিনি এই মামলায় জড়াননি। অন্য যারা রেডিও আবিষ্কারের দাবিদার ছিল তাদের আমি খুব সহজেই মামলায় হারিয়েছি। কারণ তারা সবাই ছিলেন বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানের পাশাপাশি তারা আমার মত রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন না। সেই কারণে মামলা মোকদ্দমার বিষয়গুলিও ভাল বুঝতেন না।”
কলেরা এবং ডায়রিয়ার খাবার স্যালাইন যেটি প্রতি বছর হাজার হাজার জীবন বাঁচায় তার আবিস্কারক একজন বাঙালী । নাম হেমেন্দ্র নাথ চ্যাটার্জী । কিন্তু বিশ্বজুড়ে সবাই জানে ওরাল স্যালাইনের আবিস্কারক দুজন পশ্চিমা বিজ্ঞানী , ডেভিড নেলিন এবং ক্যাশ ।
এই রকম শিকার আরও অনেক বাঙালি বিজ্ঞানী যা বাঙালি বিজ্ঞানীদের জন্য সুখের খবর নয় ।
যদিও আইনস্টাইন এর আপেক্ষিকতাকে পরিপূর্ণ রুপ দিবার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়া দুই বিজ্ঞানীর খবরটি একটু পুরাতন ।৮ অক্টোবর বিভিন্ন পত্রিকায় এই ব্যাপারে খবর ছাপা হয়েছিল ।কিন্তু এর পরে এ বিষয়ে আর কোন খবর না আসাতে মনে প্রশ্ন জাগে আগামী ডিসেম্বরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সম্মেলন কি হবে? বাংলাদেশ এর ২ বিজ্ঞানী কি পারবেন ইতিহাস হতে?আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্বের অসম্পূর্ণ মতবাদ সম্পূর্ণকরণ ;তাও যদি হয় বাংলাদেশ এর বিজ্ঞানীদের মাধ্যমে তাইলে ব্যাপারটা আসলেই খুব গর্বের ।বাংলাদেশ সরকারের উচিৎ তাঁদের এই ২০ বছরের পরিশ্রমের ফসলকে বাস্তবায়ন করতে পূর্ণ সহযোগিতা দেয়া ।যার ফলে নতুন প্রজন্ম তাঁদের দেখে অনুপ্রাণিত হবে এবং নতুন নতুন উদ্ভাবনীয় চিন্তা ধারায় বিকশিত হবে ।যার ফলে বাংলাদেশ অনেক দূরে এগিয়ে যাবে ।
পেপার না পড়ায় অনেক কিছুই অজানা থেকে যায়।জানতে পারলাম ব্যাপারটা সম্পর্কে। ধন্যবাদ
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই লেখাটি পড়ার জন্য । 🙂
কৌতূহল উদ্দীপক সংবাদ।একটু খোঁজ খবর করতে হচ্ছে।
তবে
-- একথাটি ঢালাও সরলীকরণ বলে মনে হচ্ছে, কারণ যে কোন তত্ত্বেরই প্রমাণ-অপ্রমাণ সংক্রান্ত ফলাফল খুব আকর্ষণীয় হবে যে কোন জার্নালের কাছেই, ছাপার সুযোগ কেউ হারাতে চাইবেনা।
রেফারেন্স পেলে ভালো হতো, কোন কোন জার্নাল তাঁদের ফলাফল ছাপতে রিফিউজ করেছে।
আইনস্টাইনের তত্ত্বে কোন রিভিশন এলে তা হৈ চৈ ফেলে দেবার কথা, দেখি সেরকম কিছু হয় কি না।আর ফলাফল ঘোষণা করবার জন্য আন্তর্জাতিক সম্মেলন ডাকতে হবে কেন, সেটাও আমার বোধগম্য হচ্ছেনা।কোন জার্নালে ফলাফলের পাণ্ডুলিপি পাঠালেই তো হয়।
এই গবেষকদ্বয়ের আর কোন মৌলিক কাজ আছে কি না, আরেকটু ব্যাকগ্রাউন্ড জানতে পারলে ভালো হতো। (সম্পাদিত)
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর কমেন্ট এর জন্য ।আপনার লেখার জবাব দিতে গিয়ে আমি ভুল করে নতুন একটি কমেন্ট অপশন এ আমার কথাগুলো লিখেছি ।একটু কষ্ট করে দেখে নিবেন ।ভাল থাকবেন ।ঈদ মুবারক ।
নুপুর ভাই, সত্যেন বোসও নিজের গবেষণার কাজ প্রকাশ করতে পারেননি। শেষমেষ আইনস্টাইনকে নিজের পেপারটা পাঠিয়েছিলেন, আইনস্টাইনের তদবিরেই সেটা প্রকাশ পায়। একটু ঘাঁটলে অনেক উদাহরণ পাবেন। নিউটন সাহেবও লিবেনিজ সাহেবের ক্রেডিট খাটো করার চেষ্টা কম করেননি। পিয়ার রিভিউ সিস্টেমটা ফুলপ্রুফ না, কিন্তু এই একটা সিস্টেমই আছে। ডক্টর জহুরুল কবীর স্যার ক্লাসে একটা কথা বলতেন, মানি ইজ আ স্টুপিড মেজার অব সাকসেস, বাট দিস ইজ দ্য অনলি মেজার উই হ্যাভ। জার্নালের পিয়ার রিভিউ সিস্টেমটাও মানির মতোই, স্টুপিড সিস্টেম, বাট অনলি সিস্টেম।
কথায় ধার আছে । 😀
তৌফিক,
সত্যেন বোসের ঘটনাটা জানি। তবে সেটা তো বহু আগের ঘটনা। এখন পৃথিবীময় যোগাযোগ অনেক সহজ হয়েছে। একটা জার্ণাল হেঁজিপেঁজি করে না ছাপতে চাইলে আরো জার্ণাল আছে; তারচে' বড়কথা সেনসেশনাল কাজ হলে সেটা এডিটরিয়াল বোর্ড পার হয়ে পিয়ার রিভিউতে যাবে আর সেখানে আজকাল কেউ একথা বলতে পারবেনা যে, আইনস্টাইনের তত্ত্বের 'বিপক্ষে' যাচ্ছে বলে তারা ছাপবেনা। বরং এর অন্যথাই হবার কথা।তাই বলে আজকালকার যুগেও কি আর পক্ষপাতিত্ব আর দেদারসে rejection হচ্ছেনা কাজে মেরিট থাকার পরও? ভালো পরিমাণেই হচ্ছে। দলাদলি আর রেষারেষিও বজায় আছে। এই গবেষকদ্বয়েরও সেটা জানা থাকার কথা ভালোভাবেই, কাজেই তাঁদের কাজ ছাপানোর জন্য আটঘাট বেঁধে (সব evidence পুনঃপুনঃ নিশ্চিত করে) নেমেছেন নিশ্চয়ই। সেটাই আশা করি একটি আবিষ্কারের পরিচিত হবার শর্ত আজকাল।
দেশে সাংবাদিক সম্মেলন করে, সেই খবর দৈনিকে ছাপিয়ে বা আন্তর্জাতিক সম্মেলন করেই সেই খবর পৃথিবীকে যতই দেয়া হোক না কেন, তার আগে যদি অন্য কেউ জার্নালে পাবলিশ করে ফেলে আবিষ্কারের খেতাবটা কিন্তু তারই প্রাপ্য হবে। কাজেই এসব ব্যাপার আমার ঠিক বোধগম্য হচ্ছেনা। উনাদের তো এসব আমার থেকেও ভালো জানার কথা। পেপার পাঠিয়েছেন, সেখান থেকে রিভিউ হয়ে এসেছে কি না, কোন নতুন experiment বা evidence চাওয়া হয়েছে কিনা এসব নিয়ে উনাদের ব্যস্ত থাকার কথা। জার্নালটি (রিভিউয়াররা আসলে) পুরো convinced হচ্ছে কিনা উনাদের finding নিয়ে, এটাই এখন মূল সমস্যা। এমন একটি মৌলিক গবেষণা পাবলিশ হবার আগেই নিউজরুমে চলে যাবার কিছু বিপদও আছে সেটাও উনাদের জানার কথা।
আর নেটে যেখানেই এটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে রেফারেন্স হিসেবে আসছে শুধু ডেইলি স্টারের সেই একটুকরো খবর। আন্তর্জাতিক মহলে না জানুক, দেশেও তো আরো পদার্থবিদ রয়েছেন। তাঁদেরো কোন সাড়াশব্দ দেখছিনা।
ভাই আপনার কথা যুক্তিপূর্ণ ।তবে শুধু ডেইলি স্টার নয় আরও অনেক পত্রিকাতেই এসেছিল ।
আপনার মতো আমারও ওই একই প্রশ্ন ।
ওসমান গণি তালুকদার এবং মুশফিক আহমেদকে অবশ্যই অভিনন্দন তাদের অনন্য কাজকর্মের জন্য। কিন্তু সন্দেহ আছে অনেক: অপেরার নিউট্রিনো পরীক্ষার ফলাফল যে সত্যি তা এখনো প্রমাণিত নয়, আর সত্যি হলেও এর অনেক বিকল্প ব্যাখ্যা আছে: স্ট্রিং থিওরি, সিমেট্রি ব্রেকিং, ট্যাকিয়ন ইত্যাদি অনেক কিছু দিয়েই অতিআলোকীয় কণার ব্যাখ্যা দেয়া যায়। সুতরাং তাদের তত্ত্বই যে একমাত্র ব্যাখ্যা তা কিন্তু নয়। আমি তাদের ব্যাখ্যা সম্পর্কে কিছু জানি না বলে লিখতে পারছি না। কিন্তু জানার কোন উৎসও এখন পর্যন্ত পাচ্ছি না।
আর আইনস্টাইনের তত্ত্বের বাইরে গেলেই বিদেশী জার্নাল তা ছাপতে চায় না এটা ঠিক না। ১৯৫৫ সালে কলকাতার অমল কুমার রায়চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রের ফিজিক্যাল রিভিউ জার্নালে আপেক্ষিকতার তত্ত্বে যে সিংগুলারিটি (অর্থাৎ একটি সীমাবদ্ধতা) আছে তা দেখিয়ে লেখা পাঠান। তারা লেখাটি ছাপেনি কারণ তা অসম্পূর্ণ ছিল। তারা কিছু পয়েন্ট ধরিয়ে দিয়ে রায়চৌধুরীকে কাজ শেষ করতে বলেছিল। সেই পয়েন্টের সূত্র ধরেই তিনি কাজ শেষ করেন, প্রথমবারের মত দেখান আপেক্ষিকতার তত্ত্বে সিংগুলারিটি আছে। কাজ শেষের পর তার পেপার কিন্তু বিদেশী জার্নালেও ছাপা হয়েছিল। সেখান থেকে শুরু করেই পরে স্টিফেন হকিং ও পেনরোজরা সিংগুলারিটির বাকি কাজ শেষ করেন।
জগদীশ চন্দ্র বসুর পেপার নেচারে ছাপা হয়েছে, সত্যেন্দ্রনাথ বসুর পেপার প্রচণ্ড প্রথাবিরোধী এবং বৈপ্লবিক হওয়া সত্ত্বেও জার্মানির জাইটশ্রিফট ফুর ফিজিক তা ছেপেছিল। বসু নোবেল পাননি কারণ তার তত্ত্ব প্রমাণিত হওয়ার কোন উপায় ছিল না। প্রমাণের পর তাকে নোবেল দেয়া সম্ভব ছিল না কারণ ততদিনে তিনি মারা গেছেন। কিন্তু নোবেল পাওয়াই একমাত্র সম্মান নয়, বিজ্ঞানী মহলে তাকে সবাই চেনে। নোবেল বিজয় এবং বিপুল জনপরিচিতি বিজ্ঞানী বিচারের মাপকাঠি নয়। কালের স্রোতে একসময় প্রকৃত আবিষ্কারকই সম্মান পায়, তা তার মৃত্যুর পর হলেও।
সার্নে নিউট্রিনোর একটি বিতর্কিত ফলাফলের কারণেই হঠাৎ দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে তারা আলোচনায় উঠে এসেছেন। বর্তমান বিশ্বে কেবল বাংলাদেশের বলে বা আইনস্টাইনের তত্ত্বের বাইরে যাচ্ছে বলে কোন পেপার প্রকাশনা বন্ধ আছে তা মানতে পারছি না। দৈনিক পত্রিকা আর প্রেস কনফারেন্স দিয়ে তো বিজ্ঞান হয় না। শত শত জার্নাল আছে যারা এই মুহূর্তে এমন একটি গবেষণাপত্র ছাপার আশায় বসে আছে। তাদের গবেষণাপত্র প্রকাশিত হোক, তাহলে বিজ্ঞানী মহলে এমনিতেই আলোচনা শুরু হয়ে যাবে। কসমোলজি এবং রিলেটিভিটি বিষয়ক সব গবেষণাপত্রই এখন ইন্টারনেটে বিনামূল্যে পাওয়া যায়। একবার একটা জার্নাল ছাপলে তাদের পেপার বিশ্বের সবাই পড়তে পারবে। তাই তাকে কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না, এমনটি দাবী করার কোন অবকাশ থাকবে না। সেই প্রকাশিত পেপার দেখার অপেক্ষায় আছি, প্রেস ব্রিফিং নয়। (সম্পাদিত) (সম্পাদিত)
ধন্যবাদ মুহাম্মদ ভাইয়া আপনার সুন্দর কমেন্ট এর জন্য ।আপনার এই কমেন্ট এর মাধ্যমে অনেক কিছু জানলাম ।আমার এই ব্লগ লেখার অন্য আরও একটি উদ্দেশ্য ছিল সেটা হচ্ছে আপনাদের কাছ থেকে কিছু জানা ।আমি ব্লগ এ যা লিখেছি তা হলো ওই দুই বিজ্ঞানীর বক্তব্য ।আপনার কথা শুনে আমার এখন মনে হচ্ছে কেন তাদের লেখা ছাপালো না ?কি কারণ হতে পারে ? প্রফেসর তালুকদার বলেছেন ,” “We are going to send messages to relevant international organizations that we have got the solution to the problem. We are going to send messages to all international organizations in the field including International Centre for Theoretical Physics (ICP), CERN, American Institute of Physics (AIP), Indian Institute of Physics (IIP), Australian Institute of Physics (AIP) and institutes of physics in other countries regarding our findings.” এ সংক্রান্ত তাদের নির্ণিত তিনটি সমীকরণের মধ্যে দু’টি সমীকরণ সংবলিত একটি প্রবন্ধ কানাডার একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশের জন্য তারা চলতি বছরের ২০শে সেপ্টেম্বর পাঠিয়েছেন । এটি হচ্ছে তাদের উপাত্ত ।১৮-১৯ ডিসেম্বর একটা সেমিনার হবার কথা যার sponsor:UNIVERSITY OF RAJSHAHI & MR. HAFIZUR RAHMAN KHAN, CHAIRMAN, BARENDRA UNIVERSITY TRUST.পরিশেষে আপনাকে ঈদ মুবারক ।
প্রথমেই ধন্যবাদ নূপুর কান্তি দাস ভাইয়া এই লেখাটি পড়ার জন্য ।
ভাইয়া আপনার মতো আমার এই একই প্রশ্ন যে কেন তারা ছাপালো না ?কিন্তু ওই সময়ে কোন জার্নাল তাদের লেখা ছাপায় নি ।সূত্র ( মানবজবিন
,প্রথম আলো ও আরও অনেক পত্রিকা । The independent এর সূত্র অনুযায়ী প্রফেসর তালুকদার বলেছেন ," “We are going to send messages to relevant international organizations that we have got the solution to the problem. We are going to send messages to all international organizations in the field including International Centre for Theoretical Physics (ICP), CERN, American Institute of Physics (AIP), Indian Institute of Physics (IIP), Australian Institute of Physics (AIP) and institutes of physics in other countries regarding our findings.” এ সংক্রান্ত তাদের নির্ণিত তিনটি সমীকরণের মধ্যে দু’টি সমীকরণ সংবলিত একটি প্রবন্ধ কানাডার একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশের জন্য তারা চলতি বছরের ২০শে সেপ্টেম্বর পাঠিয়েছেন ।এটি
হচ্ছে তাদের উপাত্ত ।তারা An Alternative Approach to the Relativity নামে একটি বইও প্রকাশ করেন।১৮-১৯ ডিসেম্বর একটা সেমিনার হবার কথা যার sponsor:UNIVERSITY OF RAJSHAHI & MR. HAFIZUR RAHMAN KHAN, CHAIRMAN, BARENDRA UNIVERSITY TRUST. আমি যা লিখেছি তা উনাদের বক্তব্য ।আমারও মনে একই প্রশ্ন যে ছাপা না হবার কারণ তা কি? যেটা ব্লগ এ লিখা হয় নি ।যেহেতু বিজ্ঞানী আইনস্টাইন এর এই সূত্রটি পৃথিবীবাপী বিখ্যাত। তাই হয়ত উনারা সার্বজনীন স্বীকৃত পাবার জন্য সব বিজ্ঞানীদের সামনে উপস্থাপন করতে চাইছেন । (সম্পাদিত)
ওনাদের পেপারটা আমি পড়লাম যদিও আমার রিলেটেড নয়, তবুও আমার কাছে খুব বেশি significant মনে হয়নি। এটা যদিও ২০০৭ সালের পেপার এর পর হয়ত ওনাদের আরো কাজ করেছেন ওনারা। ওনাদের পেপার এখানে পাওয়া যাবে।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার কমেন্ট এর জন্য ।
ভাইয়া এটা আমারও রিলেটেড নয় ।আগ্রহের বশবর্তী হয়ে এবং এ বিষয়ে আরও জানার জন্য আমার এই লেখা ।
আপনার সাথে আমিও একমত ।২০ বছর ধরে উনাদের এই গবেষণা ।হয়ত ক্রমাগত গবেষণার উনারা উনাদের পেপার কে শক্তিশালী করেছেন । এ সংক্রান্ত তাদের নির্ণিত তিনটি সমীকরণের মধ্যে দু’টি সমীকরণ সংবলিত একটি প্রবন্ধ কানাডার একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশের জন্য তারা চলতি বছরের ২০শে সেপ্টেম্বর পাঠিয়েছেন ।উনাদের দেখে মনে হয়েছে আত্মবিশ্বাসী । তাই উনারা আন্তর্জাতিক সম্মেলন এর মাধ্যমে তাদের উপাত্ত সব বিজ্ঞানীদের সামনে উপস্থাপন করতে চেয়েছেন ।এখন দেখা যাক কি হয় পরবর্তীতে ।
তপু, পেপার দেইখা তো আমিও হতাশ...
🙁 🙁 🙁 🙁 তবে তৌফিক ভাই তপু ভাই এর একটি কথা কিন্তু আশার আলো দেখায় ।
তবে বিজ্ঞানীদের আত্মবিশ্বাস আমাদের একটু হলেও আশার সঞ্চার করে ।এখন দেখা যাক কি হয়?