ফেসবুক আকর্ষনের অন্যতম প্রধান কারন হলো নোটিফিকেশন। নতুন কয়টি এবং কি কি নোটিফিকেশন আসলো তা জানার জন্য ফেসবুকারেরা একটু পরপরই ফেসবুকে ঢুঁ দেয়। কিন্তু মাঝে মাঝে এই নোটিফিকশনই হয়ে দাঁড়ায় চরম বিরক্তির কারন। হবেই বা না কেন? অনেক আগ্রহ নিয়ে নোটিফিকেশন বাটনে ক্লিক করে যখন দেখা যায় তার মাঝে বেশিরভাগই বিভিন্ন গেমস আর এপ এর রিকোয়েস্ট তখন মেজাজ বিগড়াতে বাধ্য। আর মোবাইলে যদি ফেসবুক নোটিফিকেশন এলার্ট অন করা থাকে তাহলে তো কথাই নেই, কিছুক্ষন পরপরই মোবাইল জানান দিয়ে ওঠে ক্যান্ডি ক্রাশ বা ক্রিমিনাল কেসের দাওয়াত।
কিছুদিন আগ পর্যন্ত আমি নিজেও এই সব দাওয়াতে চরম বিরক্ত ছিলাম। দাওয়াত না দেয়ার জন্য অনুরোধ করে স্ট্যাটাস, ইনবক্সে ম্যাসেজ কোন কিছুতেই কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত খোঁজ পেলাম জুকারবার্গ সাহেবের যুগান্তকারী সমাধান। ইতিমধ্যে মনে হয় অধিকাংশ ফেসবুকারই এই পদ্ধতির খবর পেয়ে গিয়েছে, তারপরও আমার মত যারা একটু পিছিয়ে আছে তাদের সুবিধার্থে পুরো প্রক্রিয়াটা দিয়ে দিলাম।
১। সর্বপ্রথম ব্রাউজারে ফেসবুক ওপেন করে উপরের সর্বডানের ডাউন এরো বাটনে ক্লিক করুন। এরপর যে মেন্যুটি আসবে সেখান থেকে Settings এ ক্লিক করুন।
২। নতুন ওপেন হওয়া পেজ এর বাম পাশের মেন্যু থেকে Blocking এ ক্লিক করুন।
৩। এবারে ব্লকিং এর অনেকগুলো অপশন পাবেন, যার একটি হলো Block apps। এখানে যে এপ বা গেমস থেকে আপনি সকল নোটিফিকেশন ব্লক করতে চাচ্ছেন সেটির নাম (যেমন Candy Crash saga/Criminal Case) টাইপ করে সিলেক্ট করুন। এভাবে ব্লক করে দেয়া এপ বা গেমস এর কোন ধরনের কোন নোটিফিকেশন আর আপনার কাছে আসবে না।
৪। এছাড়াও আপনার বন্ধু তালিকায় যদি এমন কোন ‘সিরিয়াল রিকোয়েস্টার’ থাকে যে আপনাকে নিয়মিত বিভিন্ন এপ/গেমস এর রিকোয়েস্ট পাঠাতে থাকে যেগুলোর নামও হয়ত আপনি শোনেননি, তার হাত থেকে মুক্তি পেতে ব্লকিং পেজের Block app invites অপশনে ঐ ফ্রেন্ডের নাম টাইপ করে ব্লক লিস্টেড করে ফেলুন। তার কোন এপ রিকোয়েস্টই আর আপনার কাছে পৌছাবে না।
আশা করি এ পদ্ধতি অনুসরন করে আপনি ফেসবুকের সকল ধরনের অনাকাংখিত রিকোয়েস্ট থেকে মুক্তি পেয়ে নির্বিঘ্নে ফেসবুকিং চালিয়ে যেতে পারবেন।
শুভেচ্ছা!
এই প্রসঙ্গ ও অন্যান্য কারনাধীনে ব্যাসবাবা সুমন কোন এক দুর্বল দিনে গেয়েছিলেনঃ
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
আর কবিগুরু বহু আগেই বলিয়া গিয়াছেনঃ
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ভালো । যদিও আমার মাঝে মধ্যে ক্যান্ডি ক্রাশ খেলতে বা পুল খেলতে মন্দ লাগে না ।
বিশেষ করে কনো কারণে মেজাজ খারাপ হলে বা ডিস্টার্বড হলে খুব মনোযোগ দিয়ে খেলতে থাকি । যতোক্ষণ না এটাতেই বিরক্তি আসে আর মনে হয় ধ্যাত ! হয়েছে । এবার কাজ করি ।
বেশ বের হয়ে আসা যায় মাথা দপদপানো কোনো বিরক্তি বা রাগ থেকে ।
যদিও আমি রিকু পাঠানো পর্যন্ত যাওয়ার তাগিদ অনুভব করি না সেই রকম ।
তবু যারা পাঠায় তাদের এই দুই গেমে রেস্পন্ড করে ভদ্রতা আর সখ্যতা দুইই বজায় রাখি ।
সো আমার কাছে অমন হাজারো গেম রিকু আসলে একটু হাসি । বিরক্ত হই না ।
মোবাইলে গেমস তেমন একটা খেলা হয় না বললেই চলে। হঠাৎ করে হয়ত একটা গেমস পছন্দ হয়ে যায়, টানা কিছুদিন সেটা খেলা হয় তারপর আবার বন্ধ। মাঝে একবার ইনভাটেশনের প্রেশারে আর টিকতে না পেরে ক্যান্ডি ক্রাশও খেলা শুরু করেছিলাম, কিছুদিন পর্যন্ত ভালই আটকে রেখেছিল।
মাথা থেকে কোন কিছু তাড়িয়ে পুরোপুরি সুইচ অফ করে দিতে আসলেই এসব গেম বেশ কার্যকরী।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
🙂 🙂 🙂 🙂
সিসিবির কভার ছবি বদলেছে দেখি! দেশের বষর্া সেলিব্রেশন দেখতে দারুণ লাগে আমার! বষর্া আমাদের ঘামঝরা নাগরিক জীবনে প্রশান্তি নিয়ে আসে। নিজের গহীনে লুকিয়ে থাকা শিশুটি ঘর থেকে বেড়িয়ে ছাদে হুটোপুটি খেলে! নিরামিষ টাইপের অকবিও সেই উপলক্ষে দুটি চরণ লিখে ফেলেন। খিচুড়ি ইলিশের কথা আর কী বলবো!
সোশ্যাল মিডিয়াতে সময় দেবার মত সময় হয়না আর। এপস অথবা এইপস দুটোর হাত থেকেই বেঁচে গেছি তাই! 😀
নগর জীবনে বর্ষা এখন আর তেমন প্রশান্তি আনে না। রাস্তা ভর্তি পানি। গাড়ি ঘোড়া কিছু পাওয়া যায় না, পাওয়া গেলেও দ্বিগুন ভাড়া চেয়ে বসে থাকে। তবে আমি নিজে বর্ষা দারুন উপভোগ করি, ইষৎ সুবিধাভোগী শ্রেনী হওয়ার কারনে এই বিড়ম্বনাগুলোর মুখোমুখী তেমন একটা হতে হয় না বলেই হয়তো।
এপস অথবা এইপস দের হাত থেকে ভাল বাঁচা বেঁচেছেন আপু 🙂
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
🙂 🙂 🙂 🙂
আমি বষর্া উপভোগ করিনা বলতে গেলে। বষর্ার মাঝে ঠিক প্রশান্তি নয় প্রকট বিষণ্ণতা দেখি আমি। আকাশের কান্নাকাটি দেখে নিজেরও যে খানিক কান্না পেয়ে যায়, কী যন্ত্রনা! সিসিবির সব বষর্া অনুরাগীরা আমায় এবার শূলে চড়াবেন এই সত্যকথনের জন্য আমি নিশ্চিত।
দূর আকাশের কান্নার গল্প থাকুক, আমাদের নক্ষত্রখচিত আকাশের ছবি দেখে যে মন জুড়িয়েছে এটা বলতে পারি!
🙂
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
"এপস অথবা এইপস দুটোর হাত থেকেই বেঁচে গেছি তাই" - 😀
"নিরামিষ টাইপের অকবিও সেই উপলক্ষে দুটি চরণ লিখে ফেলেন" - 🙂
আমি ব্লকের পাশাপাশি আরও একটা কাজ করেছি- থার্ড পার্টি এপস এবং ওয়েবসাইট ব্যবহার করার প্ল্যাটফর্মও ডিজ্যাবল করে রেখেছি!
যে কোন অনাকাঙ্খিত গেম, ইভেন্ট, সফট ইত্যাদির ইনভাইটেশন থেকে আমি মুক্ত! B-)
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আপনি তো আরো এক ধাপ এগিয়ে আছেন 😛
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ধন্যবাদ আহসান, বড় উপকার করলে।
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
লেখাটা অন্তত একজনের হলেও কাজে লেগেছে জেনে খুশী হলাম 🙂
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ক্যান্ডি ক্রাশ খেলার দাওয়াত যে মাঝে মাঝে একেবারে পাইনি তেমন নয়। তবে মারাত্মক বিরক্তির আকারে সেটা কখনো পৌঁছায় নি। তবুও, তোমার লেখাটি সংগ্রহে রাখলাম, ভবিষ্যতে কাজে লাগতে পারে এই ভেবে।
মারাত্মক বিরক্তির আকার কখনোই ধারন না করুক এই কামনা করি 🙂
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ধন্যবাদ আকাশ। সার্ধশতকের আগাম শুভেচ্ছা 🙂
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
ধন্যবাদ মোস্তাফিজ ভাই 🙂
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
দাওয়াত দিলে দাওয়াত গ্রহণ করতে হয় আহসান ভাই :))
এজন্যই তো দাওয়াতই যাতে না দিতে পারে সে ব্যবস্থা নিয়েছি 😉
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷