কত কতদিন হয়ে গেল তোর কোন পাত্তা পাই না। কতদিন তোর সাথে প্রাণভরে আড্ডা মারিনা। কতদিন কোন এসএমএস পাই না যে, “কোথায় রে তুই, তাড়াতাড়ি আয় “। তোর জন্য অপেক্ষা বড় বেশি লম্বা হয়ে যাচ্ছে। একটা দিন তোর সাথে যোগাযোগ না হলে আমার পেটের ভাত হজম হত না। সেই তোর খবরই পাই না কতদিন। এখন আর আমাকে গিটার স্ম্যাশ করতে হয় না আমি এমনি এমনিই রান্না করি প্রতিদিন ভাত খাই। কিন্তু আমার যে খুব তোর সেই ঝাড়ি খেতে ইচ্ছে করে। অনেকদিন হয়ে গেছেরে আপুসোনা তোর কি আমার জন্য একটুও খারাপ লাগছে না? তোর কি একবার ও মনে হচ্ছে না তোর পিচ্চিটার সাথে কত কথা জমে গেছে।
দিনদিন সব কিছু এমন বদলে যাচ্ছে, ভাল লাগে না কিছুই। শুধু মনে হয় আগে কি সুন্দর প্রতিদিন তোর সাথে আড্ডা দিতে পারতাম। তার পর তুই ব্যস্ত হয়ে যাবার পরও অন্তত প্রতিদিন মোবাইলে একটা মেইল কিংবা এসএমএস পেতা। তখন খুব আক্ষেপ করতাম ইশশ তুই কেন ব্যস্ত হয়ে গেছিস কেন তোর সাথে কথা বলতে পারি না। তখন কি চিন্তাও করতে পারতাম যে এই যোগাযোগ ও একসময় কমে যাবে। কতদিন তোর আদুরে কোন এসএমএস পাই না।
প্রতিদিন কতশত দরকারী বেদরকারী কথা জমা হয় তোর সাথে। রাতের বেলা ঘুমাতে গেলে মনে মনেই তোর সাথে সেসব কথা বলি। কিন্তু কোন উত্তর না পেয়ে অভিমান হয়। দিনের বেলা মোবাইলে একটু আওয়াজ হলেই মনে হয় অবশেষে মনে হয় আমার আপুসোনার আমার কথা মনে হল। কিন্তু মোবাইল হাতে নিয়ে রাগ হয়।
ব্যস্ত আপুসোনা আমার। মনে মনে ঠিক করি , তুই যেমন ব্যস্ত হয়ে আমাকে ভুলে থাকতে পারিস আমিও সেরকম হব। আর কখনো তোকে নিয়ে ভাবব না। কখনো তোর জন্য মন খারাপ হবে না। এসব ঠিক করি প্রতিদিন। প্রতিদিন তোর সাথে একবার করে আড়ি দেই। পরেরদিন থেকে ঠিক করি আর কখনো আপুসোনা উচ্চারণ করব না। তুই আমাকে ডাকলেও না। তখন কি করবি তুই? আমি জানি তো দুদিন পরই তোর আমার কথা মনে হবে। কারন আমি যে তোর অনেক অনেক আদরের ছোটভাই।
১০ টি মন্তব্য : “মিস ইউ আপুসোনা”
মন্তব্য করুন
গো.........ল 😀
People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.
মন খারাপ করানোর জন্য তোর ব্যান চামু কিনা ভাবতেসি 🙁 🙁
চায়া ফেল আবার জিগায়।
দুইখান কথাঃ
১) অনেক দিন পর আপুসোনার কথন। একটু বিষাদ, একটু একাকীত্বের প্রচ্ছন্নতার ছাপ।
২) লেখাটা লুকিয়ে রাখলেন ক্যান !!! 🙁
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
১। কি জানি কিসের ও লাগি মন করে হায় হায়...
২। 🙂
🙁
রিডারে সাবস্ক্রাইব করা না থাকলে মিস্ হইতো।
তপু, খবর কিরে?
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ভালই আছি ভাইয়া। আপনার খবর কি কেমন আছেন? আপনি কি আর জীবনে কোন লেখা দিবেন না বলে ঠিক করছেন নাকি?
তপু, তোমার এই সিরিজটা অনেক আগ থেকেই পরে আসছ, কখনও কমেন্ট করা হয়নি, সবসময়ই মনটা খারাপ হয়ে যায় পড়লে এই কারণেই বোধহয়। ভাইয়েরা বোনদের কাছে অনেক আদরের আর বোনেরাও ভাইদের কাছেও। কিন্তু বাস্তবতা খুব বিচ্ছিরী একতা জিনিস। আমি এমন অনেক পরিস্থিতি খুব কাছ থেকে দেখেছি যেখানে এক বোন যিনি তার ভাইদের নিজের চোখের মনি করে রেখেছিলেন, বন্ধুর মত সঙ্গ দিয়েছেন সর্বক্ষেত্রে, কিন্তু ভাইয়েরা তাদের বিয়ের পর নিজ নিজ সংসার, কর্মক্ষেত্র নিয়ে এতোটাই ব্যাস্ত হয়ে গিয়েছিল যে সেই আদরের বোনটাকে সময় দেওয়া তো দুরের কথা, খোজ খবরই নিতে পারত না। আবার এমন বোনও দেখেছি যার মনে প্রচন্ড ইচ্ছা থাকা স্বত্বেও স্বামী শ্বসুড় শাশুরি পছন্দ করে না বলে ভাইকে একটু আদর করে বাড়িতে এনে আদর করে খাওয়াতে পারে না, বিছানায় আধসোওয়া হয়ে কোলে বালিশ চেপে দু'দন্ড নিশ্চিন্তে আড্ডা দিতে পারে না।
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
আপু খুব সুন্দর একটা কমেন্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার কথা গুলো সবই জানি এবং বুঝি। কিন্তু সব কি মেনে নেওয়া যায়? বাস্তবতা আসলেই খুব খারাপ। ছোট ভাই গুলা যারা বোনের উপর খুব বেশি নির্ভর হয়ে পড়ে হঠাৎ করে পতন এবং কেয়ারিং এর অভাব তাদের খুব বেশি এলোমেলো করে দেয়।
ভাল থাকবেন আপু
কমেন্ট করতে খুব ঝামেলা হচ্ছে.. ঠিক ঠাক শব্দ খুজে পাওয়া যাচ্ছে না 🙁 🙁 🙁