প্রবাসে প্রলাপ – ০১২ (বিশ্বকাপ বিড়ম্বনা)

১।
প্রথম বিশ্বকাপ দেখার স্মৃতি ঘিরে আছে ম্যারাডোনাকে ঘিরে। প্রথম খেলাতেই ক্যামেরুনের শারিরীক ফুটবল দিল সব হতাশ করে। ২টা লাল কার্ড দেখেও ওমাম বিয়িক এর দুর্দান্ত এক হেডে ১-০ গোলে হারিয়ে দেয় আমার প্রিয় ম্যারাডোনা, ক্যানেজিয়ার, বুরুচাগার আর্জেন্টিনাকে। পরের খেলা আর দেখিনি কারণ ছোটবেলা থেকেই কেমন যেন মনে হত আমি যেটা দেখব আমার টিম সেটাতেই হারবে। রুমানিয়ার সাথে সেই খেলায় ১-১ ড্র করেছিল মনে হয় আর্জেন্টিনা। কিভাবে যে পরের রাউন্ডে গেল এখন আর মনে নেই তবে খুব ভালই মনে আছে কারেকার ব্রাজিলকে হারানোর সেই ম্যারাডোনা-ক্যানিজিয়ার গোল। সেই প্রথম এবং শেষ আর্জেন্টিনার জয় দেখেছি ব্রাজিলের সাথে। ফাইনালে আবার ও স্বপ্নভঙ্গ। জার্মানীর ধূর্ত ফুটবলের কাছে হার মানে আর্জেন্টিনা ব্রেমার এর পেনাল্টি থেকে করা গোলে কাঁদতে কাঁদতে বিদায় নেয় ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা। সেই দুঃখে পরেরদিন সকালে নাস্তা করতে পারিনি এই কথাও মনে আছে বেশ। খালাত ভাই , মামারা সবাই মিলে আমরা বেশ একটা বড় আর্জেন্টিনা গ্রুপ ছিলাম, আর তখন আমার বয়স ও খুব একটা বেশি না। সেই থেকে বিশ্বকাপ আসলে আর্জেন্টিনা নিয়ে বিড়ম্বনা শুরু হত। মুখে হাতি ঘোড়া মেরে ফেলতাম প্রতিবার আর্জেন্টিনাকে জিতিয়ে দিতাম কিন্তু শেষ পর্যন্ত রেফারী, ভাগ্য এইসবকে দোষ দিয়ে ব্রাজিলের সাপোর্টারদের পঁচানো থেকে বাঁচতে হত।
২।
৯৪ বিশ্বকাপের কথা স্পষ্ট মনে আছে তখন অনেক বড় রাত জেগে ৩ ভাই গল্পের বই পড়ে খেলার জন্য অপেক্ষা করতাম আর খেলা শুরু হলে অনেক সময় খেলা দেখতে দেখতেই ঘুমিয়ে পড়তাম। সেবার তো বেশিদূর খেলা দেখা হল না কারণ আবারো সেই আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয় রাউন্ডে সম্ভবত রুমানিয়ার কাছে হেরে বাদ পড়েছিল। সেবার আমরা অজুহাত দিয়েছিলাম মাঠের বাইরের খেলাকে। হঠাৎ করে ম্যারাডোনাকে নিষিদ্ধ করাটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলাম না। মাত্রই তার আগের খেলায় অসাধারণ এক সাইড ভলি থেকে গোল দিয়েছিল ও। তখনকার আরেকটা কথা মনে আছে কোকাকোলা তখন ইয়ো ইয়ো ছেড়েছিল খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল ইয়ো ইয়ো তখন। সবার হাতে হাতে একটা ইয়ো ইয়ো থাকত। কলম্বিয়ার খেলোয়াড়ের সন্ত্রাসীর হাতে মৃত্যুও মনে আছে বেশ বড় একটা পেপার হেডিং এসেছিল।
৩।
৯৮ এর বিশ্বকাপ ক্যাডেট কলেজে দেখা প্রথম বিশ্বকাপ। প্রথম খেলাতেই ব্রাজিলের বিপক্ষে চিৎকার করে সিনিয়রদের কালার হয়ে গিয়েছিলাম অনেক। প্রথম খেলায় আত্মঘাতী গোলের সুবাদে ব্রাজিল বেঁচে গিয়েছিল। কলেজে থাকাকালীন আর্জেন্টিনা ভালই খেলেছিল। ইংল্যান্ডের সাথেও কানের পাশ দিয়ে গুলি গিয়েছিল কিন্তু হল্যান্ডের সাথের ম্যাচে সেই ফন ডার স্যারের সাথে ওর্তেগার অহেতুক মারামারিতে লাল কার্ড আর অল্প একটু পরেরি বার্গক্যাম্পের অসাধারণ গোলে আবারো হতাশ হলাম। এরপর বাকি দিন শুধু দোয়া করে গেছি ব্রাজিল যেন চ্যাম্পিয়ন না হয় তাহলে কলেজে ফিরে মুখ দেখাতে পারব না। ফ্রান্স ব্রাজিলকে ৩-০ গোলে হারানোতে সেইজন্যই সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছিলাম।
৪।
২০০২ এর বিশ্বকাপে আমরা কলেজের লিডিং ব্যাচ। সেইরকম জাঁকজমক ভাবে আয়োজন করা হল যদিও তার খেলা আর আমাদের এইচএসসি পরীক্ষা একই সাথে প্রায় শুরু হয়েছিল। পড়ালেখা বাদ দিয়ে খেলা দেখতাম তখন। হাউসের টিভি রুম গুলোকে ভাগ করে ফেলা হল সুরমা হাউসের টিভি রুম হয়ে গেল আর্জেন্টিনার আর তিতুমীর হাউস হল ব্রাজিলের। আর মাঝের শাহজালাল হাউসের টিভিরুম হচ্ছে অন্যান্য। আমাদের প্রথম কাজই হত নিজেদের গ্যালারী তে বসে বাকিদের বের করে অন্য হাউসে পাঠিয়ে দেওয়া। (আলাদা আলাদা হাউস বিল্ডিং যাদের তারা এইটা মনে হয় বুঝতে পারবেন না। এক বিল্ডিং এ থাকার সুবাদে অন্য হাউসের টিভি রুমে যাওয়া যেত আমাদের কলেজে)। কলেজ থেকে রাতে বের হয়ে কিছু পোলাপান পোস্টার আর ব্রাজিল আর্জেন্টিনার ফ্ল্যাগ জোগাড় করে এনেছিল। প্রথম রাউন্ডেই বাদ পড়ে যাওয়াতে সাথে সাথে আমরা আর্জেন্টিনার পতাকা পুড়িয়েছিলাম লাইটার দিয়ে আর সবাই মিলে সাথে সাথে খুব মনোযোগী পরীক্ষার্থী হয়ে গিয়েছিলাম। ব্রাজিলের সাপোর্টাররা কিছু বলতে আসলেই আমরা তখন কোন প্রশ্ন পরীক্ষাতে আসার সম্ভাবনা বেশি তা নিয়ে আলাপ করতাম। শেষ পর্যন্ত আমাদের দুঃখ আরো বেড়ে গিয়েছিল ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন হওয়াতে। ভাগ্যিস তখন কলেজ থেকে বাসায় চলে এসেছিলাম। অলিভার কান কে প্রচুর গালিগালাজ করেছিলাম সেদিন।
৫।
২০০৬ এর বিশ্বকাপ দেখেছিলাম বিদেশের মাটিতে। সেই প্রথম একা একা খেলা দেখা। রুমে বসে বসে নেট কিংবা টিভিতে খেলা দেখতাম রাত জেগে আর মনে মনে পুরান বিশ্বকাপের আনন্দের কথা ভেবে দীর্ঘশ্বাস ফেলতাম। বেশিদিন দীর্ঘশ্বাস ফেলতে হয় নি কারণ আর্জেন্টিনা বেশিদিন আমাদের খেলা দেখার জন্য আটকে রাখতে পারেনি। এরপরও বড় হয়েছি ভেবে বাকি খেলাগুলো দেখেছি তবে সেইরকম আবেগ আর ছিল না। ফাইনালে মাতেরাজ্জি কাহিনীতে বড় কষ্ট পেয়েছিলাম।
৬।
প্রতিবার বিশ্বকাপ আসলে বড়ই বিড়ম্বনায় পড়ি আর্জেন্টিনাকে নিয়ে আর এবার বিশ্বকাপ আসার আগেই পড়েছি। আর্জেন্টিনা শেষ পর্যন্ত মনে হয় আর বিশ্বকাপ খেলতে পারছে না এবার। একদিকে খুব একটা পার্থক্য নেই আগে বিশ্বকাপের প্রথম দিকেই বাদ পড়ত আর এইবার বাদ পড়েই বিশ্বকাপ শুরু হবে এই যা। তবে মনে হচ্ছে ৮২ থেকে ম্যারাডোনা ক্রেজে যে আর্জেন্টিনা মাতলামির শুরু হয়েছিল ২৮ বছর পর ম্যারাডোনাকে কেন্দ্র করেই সেই ক্রেজের সমাপ্তি ঘটল। প্রতিবার বিশ্বকাপকে ঘিরেই বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের কোন একটি দলের সমর্থক হওয়া শুরু হয় পরবর্তীতে যেটা তার অন্যতম ক্রেজে পরিণত হয়। যেহেতু আর্জেন্টিনাই থাকবে না সেহেতু অন্তত এই প্রজন্মের কিশোরদের কাছে আবেদন হারাল আর্জেন্টিনা। সত্যি বলতে কি আজ আর্জেন্টিনার খেলা দেখে আমার ও মনে হয়েছে ওরা কোন ভাবেই এখন বিশ্বের প্রথম সারির দলের মধ্যে পড়েনা।
এইবার অন্তত বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না।

৩৫ টি মন্তব্য : “প্রবাসে প্রলাপ – ০১২ (বিশ্বকাপ বিড়ম্বনা)”

  1. হাসান (১৯৯৬-২০০২)

    আমারো ফুটবলের প্রতি অনুরাগ ১৯৯০ বিশ্বকাপ দিয়েই শুরু। ক্লাস ওয়ানে ছিলাম, মনে পড়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনা হেরে যাওয়ার পর অনেক কেঁদেছিলাম। তবে ব্রাজিলের বিপক্ষে ওই জয়টা সত্যি অসাধারণ ছিল।

    ছোটবেলায় আমি ফুটবলার হতে চেয়েছিলাম :dreamy: কিন্তু বড়রা দিল না :bash:

    তবে আজকে যেমন ৩৫-৩৬ বছর বয়সে অভিষেক দেখলাম, এখনো আশা করা যেতেই পারে, কি বলিস? ;))

    জবাব দিন
    • কামরুলতপু (৯৬-০২)

      কেন যেন বিশ্বকাপের কথা মনে হলে ৯০ এর কথাই বেশি মনে পড়ে। রোম বিশ্বকাপের প্রতি খেলার আগে যে একটা বল অনেক এলাকা ঘুরে রোমের মাঠে যেত এটা এখনো চেষ্টা করলে চোখে ভাসে।
      ম্যারাডোনা কি সব টিম নামাচ্ছে বুঝলাম না। ভেরন লাল কার্ড পাওয়ার পরও খেলায় কোন প্রভাগ পড়ল না খেলা আগের মতই হল যেটা বুঝাল ওকে নেওয়াটাই ভুল হইছে। আর পালের্মো কেন টিমে একমাত্র ওই জানে। আর মেসিও পুরাই নিষ্প্রভ । আমার মনে হয় রিকুয়েলমেই এক মাত্র মিডফিল্ডার আর্জেন্টিনার আছে যে মেসিকে ব্যবহার করতে পারে।

      জবাব দিন
      • হাসান (১৯৯৬-২০০২)

        এক গোলে পিছায়ে থেকে কেন ডিফেন্ডার নামাতে হবে ৭৫-৮০ মিনিটে আমার মাথায় ঢুকে না। ডিফেন্ডার গুলার অবস্হাও যাচ্ছে তাই। মেসি, আগুয়েরো সবাই নিস্প্রভ। রিকুয়েলমে আর হিগুয়াইনকে এরপরেও টিমে না নেয়া ভুল হবে। ক্যাম্বিয়াসোকেও মিস করছে টিম, ম্যাক্সি রড্রিগুয়েজকেও আজকে নামায় নাই, অথচ ও অনেক ইনফ্লুয়েনশিয়াল একটা খেলোয়াড়

        জবাব দিন
    • এহসান (৮৯-৯৫)

      আর্জেন্টিনা হেরেছে মজা লাগছে; 😀 :tuski: :khekz: :goragori:

      কিন্তু ঐ রকম জঘন্য ম্যানেজারের কাছ থেকে হাসান বাড়তি কিছু আশা করেছিলা এইটা ভেবেই একটু অবাক হলাম।

      আর্জেন্টিনা দলের ডিফেন্স চরম ভূয়া তাই সব সময়ই গোল খাবার চান্স থাকে। আর আক্রমন... এই দলের কোনো উইডথ নাই। ম্যাক্সি রড্রিগুয়েজ খেলে আজকে তাও খেলে নাই, মেসি মাঝখানে খেলে তো উইং থেকে কোনো সাপোর্ট নাই। আর দুই স্ট্রাইকার খেলাতে হবে যেখানে টার্গেট স্ট্রাইকার হিসাবে খেলা উচিত হিগুইয়ানের, এগুয়েরার না। হিগুইয়ানের হাইট আছে; যেটার জন্য হিগুইয়ান এগুয়েরার থেকে বাতাসে ভালো। আর হিগুইয়ানের পিছনে খেলা উচিত তেভেজের। তাই ম্যানেজারের নিজের জামাই হলেও এগুয়েরা বাদ। এগুএরারে খেলাইতে হলে অর চলে যাওয়া উচিত লেফট উইঙ্গে যদিও গুটিয়ারেজ জেনুইন উইংগার ছিলো। আর দলের কম্বিনেশন ঠিক রাখার জন্য মেসির খেলা উচিত অন্য উইঙ্গে।

      ব্রাজিলের সাথে খেলায় এগুয়েরা বদলী খেলোয়াড় হিসাবে আসলো কিন্তু তুলে নেয়া হইলো ম্যাক্সি কে, অথচ ম্যাক্সি রাইটে দারূণ করছিলো; মধ্যমাঠে ভালো খেলা ভেরণরে আইনা দিলো রাইটে। এইগুলা ড্রাগ নেওয়া ম্যানেজারের পক্ষেই সম্ভব।

      আজকে ৭০/৮০ মিনিটের সময় নামসে যে ঐ ব্যাটা ডিফেন্ডার নাকি!!! আমার মনে হয় যেহেতু স্ট্রাইকাররা বাতাসে কোনো বেইল পাইতেছিলো না তাই পালের্মোকে সাহায্য করতে ঐ লম্বু প্লেয়াররে নামাইসে। কারন সেট পিসে এখন হিগুইয়ান নাই তাই লম্বু ডিফেন্ডার দিয়েই শেষ চেষ্টা!!!

      জবাব দিন
  2. তানভীর (৯৪-০০)

    আমি ব্রাজিলের সাপোর্টার হলেও আর্জেন্টিনার কয়েকটা প্লেয়ারকে খুব ভালো লাগে- মেসি, আগুয়েরো এদের। ক্লাব ফুটবলে ওদের খেলা আর দেশের হয়ে ওদের খেলায় বেশ পার্থক্য। ক্লাবের হয়ে ওদের অনেক বেশী খেলতে হয় বলে ওদের টিম কেমিস্ট্রি অনেক বেশি থাকে- এটা বলাই বাহুল্য। কিন্তু এটাতো অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য। তাহলে আর্জেন্টিনার আজ কেন যে এই অবস্থা আল্লাহই জানে!

    ওদেরকে ছাড়া বিশ্বকাপটা ম্যাড়ম্যাড়ে হওয়ারই কথা!

    জবাব দিন
  3. এহসান (৮৯-৯৫)

    এখনো আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ খেলার চান্স আছে। প্লে অফ খেলবে। আর না খেললেই ক্ষতি কি? কামরুল, মামুন ভাই এরা কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে আফ্রিকান টিমের সাপোর্ট করে এইবার না হয় শুরু থেকেই করবে। আর নিরপেক্ষদের জন্য স্পেন তো আছেই, তাই আর্জেন্টাইন ফ্যানরা দার্শনিকের মত শুধু মাত্র ফুটবলকে ভালোবেসে টরেস, ভিয়া, জাভি, ইনিয়েস্তা, আলোন্সোদের খেলা দেখবে।

    জবাব দিন
  4. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    আর্জেন্টিনা কালকেও প্যারাগুয়ের কাছে হারছে... এখন আছে ৫ নং এ , ৬,৭,৮ এ থাকা দলের সাথে পয়েন্ট ব্যবধান মাত্র ২, আর খেলা বাকি আছে মাত্র ২ টা... নাহ... আর্জেন্টিনার এবার সত্যিই খবর আছে :grr: :grr: :grr:

    ডিটেইল পয়েন্ট টেবিল এখানে


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  5. দিহান আহসান

    আমার ছোট ভাই ছাড়া বাসার সবাই ব্রাজিল। সে জার্মানি'র সাপোর্টার।
    মনে হয় গত বছরের আগের বছর, জার্মানি ফাইনালে উঠার পর সবাই একদিকে আর সে একা শুধু জার্মানি। হেরে যাওয়ার পর অবশ্য, বেচারার করুন মুখ দেখে কেউ আর তারে টিজ করলো না। উলটো তারে আমি বাইরে খাওয়াতে নিয়ে গেলাম। তোমার লেখা পড়ে আমিও সেই ছোটবেলায় ফিরে গিয়েছিলাম। 😛

    ভালো থাকো ভাইয়া । 🙂

    জবাব দিন
  6. আমিন (১৯৯৬-২০০২)
    কেন যেন বিশ্বকাপের কথা মনে হলে ৯০ এর কথাই বেশি মনে পড়ে। রোম বিশ্বকাপের প্রতি খেলার আগে যে একটা বল অনেক এলাকা ঘুরে রোমের মাঠে যেত এটা এখনো চেষ্টা করলে চোখে ভাসে।

    আমারো তাই মনে পড়ে। তবে দোস্ত ৯০ এর বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা কিন্তু টাইব্রেকার নির্ভর অশ্লীল ফুটবলের চুড়ান্ত প্রদর্শনী দেখাইছিলো।
    আমি আর্জেন্টিনা ব্রাজিল না বরং ফুটবলের সমর্থক। তয় আর্জেন্টিনা না থাকলে ঐটা বিশ্বকাপ হয় নাকি।
    আর্জেন্টিনা যাক বিশ্বকাপে এই কামনা সব সময়....

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।