৬ষ্ঠ পত্র, ৫ম পত্র, ৪র্থ পত্র, ৩য় পত্র, ২য় পত্র, ১ম পত্র
আপনারা নিশ্চয়ই আমার নীলাকে ভুলে গিয়েছেন। ভুলে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। দৈনন্দিন ব্যস্ত জীবনে ক’জনেরই বা সময় হয় ! তারপরও আমার বিন্দুমাত্র অনুযোগ বা অভিযোগ নেই। কারন, আমার দুর্দিনে আপনারাই আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। অর্থ দিয়ে, সান্ত্বনা দিয়ে, ভালোবাসা দিয়ে আপনারা আমাকে অনেক ঋণী করে ফেলেছেন। ক্যাডেট না হলে হয়ত এতটা পেতাম না। আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ, আমার নীলার নতুন জীবনের জন্য।
জানেন, আমার নীলা ভাল নেই। ক্যান্সার কে হারিয়ে ও যে এখন জীবনের কাছে হারতে বসেছে! সমাজের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত এই মানুষটা যে আমার নীলা, বলে না দিলে কেউ বুঝতে পারবে না। সৃষ্টিকর্তাকে একটা প্রশ্ন করতে খুব ইচ্ছে করে, জেন্ডার নামের জিনিসটা তিনি কেন দিয়েছেন? মেয়ে হয়ে জন্মানোটাই কি আমার নীলার সবচেয়ে বড় অপরাধ? একটা সামান্য শারীরিক ত্রুটির জন্য কেন এই সমাজ তাকে ঘৃণা করবে? কেন তাকে প্রতিনিয়ত রক্তাক্ত করবে? কেন?
বেশ কিছুদিন হল আমার ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়েছে। খুব ইচ্ছা ছিল, নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে তারপর অনেক ধুমধাম করে আমার নীলাকে ঘরে নিয়ে আসব। হলোনা। ওর চারপাশের মানুষগুলো যে ওর জীবনটাকে বিষিয়ে তুলেছে!
গত পরশু দিন আহসানকে সাথে নিয়ে আমার নীলার বাসায় যাই। আঙ্কেল আর আন্টিকে বলি বিয়ের কথা। ওনারা আমার বাসা থেকে প্রস্তাব পাঠাতে বলেন। আমার বাসা……..
আব্বু শুনে আমার সাথে কথা বলাই বন্ধ করে দেয়। আম্মু বলে,এ মেয়ে ঘরে আনলে নাকি সমাজে মুখ দেখাতে পারবে না। কি বিচিত্র আমাদের এই সমাজ! অনেক করে বুঝালাম, কিন্তু তারা মানলেন না। একটা মানুষের দৈহিক গঠন এতোটা মূল্যবান হতে পারে, আমার জানা ছিল না। সন্তানের সুখের চেয়ে যখন সমাজ অনেক বড় হয়, সেখানে না থাকাটাই শ্রেয়। আর যেখানে আমার নীলা থাকতে পারবে না, সেখানে আমি থাকি কিভাবে?
কাল আমাদের বিয়ে। কোন পরিবার থেকেই মেনে নেয় নি। আর ও সবকিছু আমার ওপরই ছেড়ে দিয়েছে। শুধু বলেছে, ” আমাকে এই নরক থেকে উদ্ধার করো। ” অনেক চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কাল বিয়ের সবকিছু আহসানই সব ম্যানেজ করেছে। কার্ড ছাপিয়ে আপনাদের দাওয়াত করতে পারিনি বলে প্লিজ মাইন্ড করবেন না। আমি এখন খুব গরীব। শুধু আমাদের দুটি জীবনের জন্য দোয়া করবেন, প্লিজ।
একটা চাকরি খুব দরকার আমার…..অন্তঃত দুটি মানুষের বাঁচার জন্য……
(চলবে…… 🙂 )
*******************************************************************************
গল্পটার অধিকাংশ আমার জীবন থেকে নেয়া হলেও কাল্পনিক। উল্লিখিত কোন চরিত্র কারো সাথে মিলে গেলে, তা অনভিপ্রেত ও কাকতাল মাত্র। এজন্য লেখক দায়ী নয় 🙂
🙂 🙂 🙂 🙂 🙂
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
টিটো ভাই, খালি ইমো দিলেন? কিছু কইলেন্না যে!
আগের কাহিনী পড়ি নাই!নীলাপুর প্রবলেম কি?ঝোঁকের মাথায় বিয়ে করা উচিত হবে না!আরো কয়েকদিন ভাবুন!বিয়ের পর থাকবেন কোথায়?
গল্প চলুক!
People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.
ভাইয়া, পোষ্টের শুরুতে ৬ টা লিংক আছে। তাই বেশি পিছন থেকে লেখা শুরু করিনি। 🙂
বিয়ের পর না হয় তুমিই একটা ব্যবস্থা করে দিও! 😀
হে হে হে...সবগুলা পড়লাম!কিন্তু বিয়ের জন্য এত উতলা হইসেন কেন? :)) :))
People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.
সামাজিক চাপ 🙁
:)) :)) :))
People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.
তোমার এই কথা গুলো কনফিউজিং, এটা দিয়ে কি বুঝাতে চাচ্ছ একটু ব্যাখ্যা করবে প্লিজ।
আমি বুঝতে পারছি না অধিকাংশ নিজের জীবন থেকে নেয়া একটা গল্প কাল্পনিক বলছো কিভাবে? আর কাল্পনিক হলে নিজের জীবন থেকে নেয়া হয় কিভাবে?
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ফয়েজ ভাই,
বেয়াদবি মাফ করবেন। চরিত্র গুলো ও নামগুলো আসল (মূল চরিত্র বাদে), প্লটটা কাল্পনিক। প্রথম দিকের ২/৩ টা পোস্ট "নিজের জীবন থেকে নেয়া" । পরে একটি বিশেষ ঘটনায় প্রভাবিত হয়ে গল্পটির বর্তমান অবস্থান।
আমি মনে হয় বুঝাতে পারলাম না। আসলে এই গল্পটি শুরু করার বেশ কিছুদিন আগে একটি বিশেষ ঘটনা আমাকে খুব আলোড়িত করে। এবং সেটা আমি মেনে নিতে পারিনি। সিসিবির সবার সাথে সেটা শেয়ার করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বারবার চেষ্টা করেও মূল প্লটটি তুলে আনতে ব্যর্থ হই। পরে নিজেকে আর আশেপাশের মানুষগুলোকে ওই অবস্থানে বসিয়ে নতুন করে চিন্তা করা শুরু করি। তার আউটপুটটাই ধারিবাহিক ভাবে পোষ্ট দিতে শুরু করি। তাই বেশ কিছু স্থানে আমার দৈনন্দিন জীবনপ্রবাহ এই কাহিনীর সাথে ওভারল্যাপ হয়ে যায়।
পোস্টের নীচের ব্যাখ্যাটার দরকার আছে কি?
আমাদের সব লেখাই তো জীবন ঘনিষ্ট, বিখ্যাত লেখকদের সব লেখাই কোন না কোন কিছু থেকে আলোড়িত হয়ে লেখা, তোমারটাও তেমনি।
তুমি যেটা বলছো তা হচ্ছে এটা তোমার জীবনী নয়।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
(ক. রা.- লোটাকম্বল (সঞ্জীব চট্ট.))
অ.ট.- আমিও জানি, ভাইয়া, "পোস্টের নীচের ব্যাখ্যাটার দরকার" নাই। কিন্তু ঝামেলা হল, এটা না দিলে পোলাপান আমারে নামের কপিরাইটের জন্য "গণধোলাই" দিতে পারে..... 🙁
আরে ব্যাপার না ...... বিয়ে করেই ফেলো ... নিয়ত ভালো থাকলে আল্লাহ সব সময় কোনো না কোনো সিস্টেম করে দেয় ...
পরের পর্ব কবে ???
খালি রকিব, রবিন, শার্লী, টিটো, আদনানের কথা বলি কেনো ... তুমিও তো ডজার হিসেবে কম যাও না...
শুরুতেই আমার নাম দিলেন !!!! 😕 😕
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ডজারদের আবার শুরু, শেষ কি ??? :-B 😛
সহমত 😛
😀 😀 😀
ডজার! 😕 আমি O:-) O:-)
পরম সৃষ্টিকর্তা আপনার দোয়া কবুল করুন.........আমীন.... 🙂
আমীন 😀
চরিত্র মিলছে......কিঞ্চিত কাল্পনিক,কিঞ্চিত বাস্তব 😀 😀
বিসমিল্লাহ কইরা তাইলে বিয়া কইরা ফালাও। 😀
😀 😀 আপনারা থাকতে আমার আর চিন্তা কিসের ! 😉 😉
পোলাডার মাথায় বিয়ার পোকা কিলিবিল করতাছে 😛
আমি বিয়া করব............... :((
এই পর্বটা একটু ছোট হয়ে গেল।
ভালো লাগছে।
ধন্যবাদ,তানভীর ভাই। ইনস্ল্লাহ পরের পর্বে পুষিয়ে দেব। 🙂