স্কুল জীবনের প্রথম প্রেম, কৈশরের দুর্বার ভালোবাসা আর ছোট্ট তিনটি মনের স্বপ্ন, বাস্তবতা, চাওয়া- পাওয়ার গল্প এটি। ছোট্টবেলার স্বপ্নময় সুন্দর সময়ে বন্ধুত্ব হয় তাকাকী তোনো আর আকারী সিনোহারা র। আকারী সবকিছুই দেখে অন্যরকম চোখে, সব সুন্দর যেন ওর চোখে সবার আগে ধরা দেয় । আর মুগ্ধতার স্পর্শ তাকাকীকে জাগিয়ে তোলে। রেল ক্রসিংইয়ের পাশে চেরী গাছের পাতা ঝরা দেখতে দেখতে আকারী বলেছিল, তাকাকী, আগামী বসন্তেও তোমার সাথে এই চেরী গাছের নীচে দাঁড়াবো, আবার দেখবো পাপড়ি গুলোর ঝরে পড়া।
কিন্তু পরের বসন্তের আগেই আকারীর পরিবার টোকিও থেকে বদলি হয়ে যায়। দুজনের চিঠি দেয়া নেয়া শুরু হয়। একসময় তাকাকীও অনেক দুরের শহর কাগুশিমায় বদলি হয়ে যায়।কিন্তু তার আগে সে আকারীর সাথে দেখা করার সিন্ধান্ত নেয়। এই কদিনের দুরত্ব তাদের বন্ধুত্বকে কখন যে ভালোবাসায় পরিনত করেছে, কিশোর মন তখনো বুঝতে পারেনি। প্রচন্ড তুষার ঝড় উপেক্ষা করে তাকাকী রওনা দেয়, সাথে থাকে অনেকদিন ধরে লেখা একটা চিঠি যা কখনো পোস্ট করা হয়নি। ১৩ বছরের জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময় কাটায় দুজন । পরদিন আবার ফিরে আসে তাকাকী।
কাগুশিমায় নতুন স্কুলে তাকাকীর প্রেমে পড়ে কানাঈ সুমিদা । কিন্তু তাকাকী তা দেখতে পায়না । তাকাকীর মন যেন দূরে কোথাও পড়ে আছে। আর কিছুদিন, তারপর হাইস্কুলের পাঠ চুকিয়ে তাকাকী ফিরে যাবে তার আকারীর কাছে। কানাঈ ভাবে, তাকাকী কাকে এত এস এম এস করে ! কানাঈ কিভাবে বলবে তার ভালোলাগার কথা? তাকাকী যখন ফিরে যাবে তখন আকারী কেমন হবে দেখতে? অনেকটা সময় যে দেখা হয়নি দুজনের, এরই মাঝে কৈশর হারিয়ে গেছে, অনেক কিছুই বদলেছে। কিন্তু তাকাকীর স্বপ্ন বদলেনি, ভালোবাসাও এতটুকু কমেনি।
এক নজরে
পরিচালকঃ মাকোতো শিনকাই
সময়ঃ ৬০ মিনিট
সালঃ ২০০৭
ভাষাঃ ইংরেজি , জাপানীজ
IMDB রেটিং – ৮.০
১ম B-)
ধুর মিয়া ...... তুমি লোক ভালো না। এই সাস্পেন্সে লেখা শেষ করে দিলা। এখন টরেন্টের লিঙ্ক দাও।
টরেন্ট লিংক।
তাকাকী তোনো, আকারী সিনোহারা, কানাঈ সুমিদা- এর মধ্যে কোনটা যে ছেলে, কোনটা যে মেয়ে তা বুঝি নাই :no: তবে যা মনে হইল, তাকাকী পোলা, আর বাকি দুইটা মাইয়া। 😛
যাই হোক, ছবিটা বেশ আকর্ষণীয় হবে মনে হচ্ছে।
আর লেখার জন্য ধন্যবাদ। 🙂
সহমত তানভীর ভাই 😀 :thumbup:
"Never think that you’re not supposed to be there. Cause you wouldn’t be there if you wasn’t supposed to be there."
- A Concerto Is a Conversation
তাকাকীই ছেলে। তানভীর ভাই ঠিক ধরছেন।
নামটা কেনো "ফাইভ সেন্টিমিটার পার সেকেন্ড" হইল এটা বুঝতে পারতেছি না।
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
জিতু আপা, চেরীর পাপড়ি যখন ঝরে পড়ে, তখন ৫ সে. মি পার সেকেন্ড গতিতে পড়ে।
অসাধারন অ্যানিমে। :thumbup: :thumbup:
আর মেয়েদের :thumbdown: :thumbdown: ।
সত্যিই ভালো অ্যানিম। :thumbup:
রিভিউ পরে ভালো লাগলো।
এই লিঙ্কটা ট্রাই করা যেতে পারে ডাউনলোডের জন্য।
http://stagevu.com/video/pqewfhxzvcci
ধন্যবাদ, মেহবুবা।
এই ছবিটা আমার দেখা খুব অল্প এনিমের মধ্যে একটা। ভাগ্য ভালো যে কয়টা দেখেছি, সবগুলাই দুর্দান্ত।
৫সেমি/সেকেন্ড নামের আরেকটা রূপক অর্থ ছিলো মুভিতে। বেশিদিন দূরে দূরে থাকলে একজনের থেকে আরেকজনের হৃদয়ের দূরত্ব এই গতিতে নাকি বাড়তেই থাকে।
ছবিটা অনেক আবেগ দিয়ে বানিয়েছে পরিচালক। বিশেষ করে শেষ দৃশ্যটার কথা অনেক দিন মনে থাকবে।
রিভিউটাও ভালো হয়েছে। :thumbup: নো স্পয়লার। 🙂
ধন্যবাদ , আন্দালিব ভাই ।
মাস দুয়েক আগে দেখিছি এনিমটা। দুর্দান্ত বললে কম বলা হয় ...